#কারণে_অকারণে_সে
#পর্ব:১৩
#লেখক:রিয়ান আহমেদ (ছদ্মনাম)
;
আরশি বুঝতে পারছে না এটা শাড়ি না কি চাদর এতো বড় কেন?তার মনে হচ্ছে এই যেন খুলে পড়ে যাবে শাড়িটা। ইন্সাটাগ্রাম,ফেসবুকে মেয়েরা যখন শাড়ি পড়ে ছবি দেয় তাদের তো বেশ সুন্দর লাগে আরশির মতে তাহলে সে শাড়ি পড়াতে তার নিজের কাছে নিজেকে বিচ্ছিরি মনে হচ্ছে কেন?আরশি আয়নার থেকে মুখ সরিয়ে নেয়।প্রতিদিন এই আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবির প্রশংসা করেই তার দিন শুরু হতো।তাহলে আজ কি হলো?আজ যেন কনফিডেন্স শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।আরশি চশমাটা ঠিক করে মুছে নিতে নিতে বিড়বিড় করে বলে,
“এই শাড়িটা আমার কনফিডেন্স কমিয়ে দিয়েছে।এই শাড়ি যদি আমার মান সম্মান হানির বিন্দুমাত্র চেষ্টা করে তাহলে আমি আর এর চেহারা দেখবো না।”
আরশি মা বাবা ভাইয়ের সঙ্গে গাড়িতে উঠে বসে।তার মা বলে দিচ্ছে ঐ বাড়িতে গিয়ে সবার সাথে কেমন আচরণ করতে হবে,কেমন করে কথা বলতে হবে।আর আরশি সেসবের উত্তরে হু হা করছে।
সাভাশদের বাসার সামনে আরশিদের গাড়ি থামে।পেছনের গাড়িতে আছেন আরশির চাচার পরিবার মানে তীব্রর বাবা রাফিউল আহসানের পরিবার।তীব্র বাদে তার মা বাবা বোন সবাই যাচ্ছে।ভাইঝি এর হবু শশুড়বাড়ি দেখতে তারাও এসেছেন।
আরশি গাড়ি থেকে নামতে গিয়ে শাড়ির সঙ্গে পা উল্টে পড়ে যেতে নিলে কেউ একজন তার কোমর ঝাপটে ধরে।আরশির মুখ হা হয়ে গেছে নিজের কোমরে উষ্ণ স্পর্শ পেয়।আরশি চোখ বড় বড় করে ব্যক্তিটিকে দেখতেই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলল,
“ও আপনি।,,,আই মিন ছা,,ছাড়ুন আমাকে।”
সাভাশ সাথে সাথে ছেড়ে দেয় আরশিকে।আরশি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে শাড়ি ঠিক করে পেট আর কোমর ঢেকে নেয়।সাভাশ কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে সে কি বাস্তব জগতে আছে না কি কল্পনা।কিন্তু এমন কল্পনা তো তার আশাতীত ছিল।সাভাশ আরশির গায়ের মিষ্টি ঘ্রাণটা পেতেই বুঝতে পারে এসব কল্পনা নয় সত্য।সত্যিই তার সামনে একটা সদ্ব্য ফোঁটা গোলাপি গোলাপ দাঁড়িয়ে আছে।
আরশির গায়ের মিষ্টি গন্ধটা গায়েব হয়ে যেতেই সাভাশ নিজের ভাবনার সুতো কাটে।সে তাকিয়ে দেখে আরশি নিজের পরিবারের সঙ্গে তার বাড়ির ভিতরে চলে গেছে।সাভাশ নিজের আচরণের জন্য আফসোস করে।শশুড়বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় না করে সে এখানে হাদারামের মতো দাঁড়িয়ে ছিল।তারা কেমন ভেবেছে ওকে?নিশ্চিত মনে মনে বলেছে,”কি বেয়াদপ ছেলে আমাদের দেখেও হাল চাল কিছু জিজ্ঞেস না করে দাঁড়িয়ে রইলো।”
সাভাশ বুঝতে পারে সে দিনকে দিন বোকা বনে চলে যাচ্ছে।না হলে আরশি চলে গেল তার চোখের সামনে দিয়ে আর সে ড্যাপড্যাপ করে শুধু তাকিয়ে রইলো।
কিছুক্ষণ আগের কথা সাভাশ বাগানের সোফায় বসে নিজের একজন ক্লাইন্টের সঙ্গে কথা বলছিল।গতকাল রাতে ছেলের জ্বর হওয়ায় তাসনিম বেগম ছেলেকে আজ আর বাড়ি থেকে বের হতে দেন নি।তাই বাড়িতেই নিজের ক্লাইন্টকে আসতে বলেছিল সাভাশ।ক্লাইন্ট চলে যেতেই সাভাশ মোবাইলটা হাতে নেয়।এংগেজমেন্টের দিনের আরশির ছবিটার উপরে হাত বুলিয়ে সে বলছিল,
“আমার মনে হয় আমার এই জ্বরের কারণ তোমার ছোঁয়া।কাল তোমার ছোঁয়ায় আমি অন্যরকম কিছু অনুভব করেছিলাম।এই জগতের সবকিছুর থেকে অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে সেটা।,,আম আমি আজ অব্দি কখনো তোমাকে শাড়ি পরিহিত অবস্থায় দেখি নি। হঠাৎ কেন জানি না তোমাকে শাড়িতে দেখতে ইচ্ছা করছে।”
কথাটা বলে সাভাশ যেই উঠে বাড়ির দিকে পা বাড়ায় তখনই আরশির সঙ্গে তার এই কাহিনী ঘটে।সাভাশ ব্যাপারটা ভেবে মিটমিটিয়ে হেসে বলে,
“আল্লাহ্ আমার সব ইচ্ছা আজকাল পূরণ করে দিচ্ছে না হলে কিছুক্ষণ আগে কিউটিকে শাড়িতে দেখতে চাইলাম আর কিছুক্ষণ বাদে সে সদ্য ফোঁটা গোলাপি গোলাপ হয়ে আমার সামনে এসে উপস্থিত হলো!,,, আচ্ছা অনেক কথা বলেছি একা একা এবার বাড়ির ভেতরে যাই।”
;
;
আরশি মূর্তি হয়ে চুপচাপ বসে আছে কারণ পাশে তার মা।মা চোখের চাহুনি দিয়ে বার বার বুঝিয়ে দিচ্ছেন,”একটা ফালতু কথা বলবি আর তোর গালে দশটা থাপ্পড় পড়বে।”
সাভাশ ফ্রেশট্রেশ হয়ে সবার সাথে কুশল বিনিময় করে।তখনই তানহা টিটকিরি মেরে হাসতে হাসতে বলে,
“ভাইয়া আপনি তো তখন বউকে বাঁচাতে গিয়ে দিন দুনিয়ার কথা ভুলেই গিয়েছিলেন।এতক্ষণে আমাদের কথা মনে পড়লো।”
সাভাশ লজ্জা পায় কথাটায়।আরশি অবাক হয়ে যায় সাভাশের গালে লাল আভা দেখে।আরশি অবাক ভাবতে থাকে,অদ্ভুত!ছেলেদের গালও কি লজ্জা পেলে লাল হয় না কি?
সাভাশ লজ্জামিশ্রিত হাসি দেয় কিন্তু কিছু বলে না।এমন পরিস্থিতিতে কোনো কিছু না বলাটাই উত্তম।
আরশি সাভাশের চাচাতো বোন তুযের দিকে তাকিয়ে বলল,
“আমি তোমাদের বাড়িটা ঘুরে দেখতে চাই।”
তুযে হাসি মুখে বলল,
“কেন নয় আমার সঙ্গে চলো আমি তোমাকে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছি।”
আরশি উঠে চলে যায় তুযের সঙ্গে।এতে আর কারো কোনো যায় না আসলেও সাভাশ মনে মনে ভাবতে থাকে,”এভাবে আমাকে অদেখা করে চলে যেতে পারলে তুমি।একটাবার দেখলে না।আর আমি যে পুরোটা সময় আমার গোলাপ বানুর দিকে তাকিয়ে ছিলাম।”
সাভাশ দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে প্রিয়তমাকে খুঁজতে সবার মাঝ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য উদ্যত হয়। বাহানাস্বরূপ ছোট্ট করে বলে,
“আমি একটু অসুস্থ বোধ করছি আমি যাচ্ছি আপনারা কথা বলুন।”
আরশির মা চিন্তিত স্বরে বলেন,
“কি বলো বাবা কি হয়েছে তোমার?”
সাভাশ যেই কিছু বলতে যাবে তার আগেই তাসনিম বেগম বলে ফেলেন,
“আপা আর বলবেন না কাল রাতে ছেলেটার ভীষণ জ্বর হয়েছে।দেখছেন না মুখটা কেমন শুকিয়ে গেছে।”
আয়েশা বেগম বললেন,
“হ্যা আপা তাই তো বলি ছেলেটাকে এমন দেখাচ্ছে কেন।,,যাও বাবা ঘরে গিয়ে বিশ্রাম নেও।আমরা তো আসবো যাবো কিন্তু তোমার স্বাস্থ্যটা হলো সবচেয়ে জরুরী।”
সাভাশ জোরপূর্বক হাসি দিয়ে সেখান থেকে চলে আসে।নিজের মা আর হবু শাশুড়ির কথাবার্তায় সে বেশ বিরক্ত।দুজনের কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছিল এই মুহুর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি অসুস্থ ব্যক্তিটির নাম সাভাশ চৌধুরি।
আরশিকে নিয়ে তুযে একটা রুমে ঢুকে বলে,
“ভাবি এটা সাভাশ ভাইয়ের রুম।তুমি জানো এটার বিশেষ ব্যাপার কি?”
আরশি রুমের চারপাশে চোখ বুলিয়ে বলে,
“কি?”
তুযে দক্ষিণ দিকে জানালাটা খুলে দিয়ে বলে,
“এই জানালাটা।এর বাতাস মনোমুগ্ধকর আর সামনে গাছপালা থাকায় গরমে এসি বন্ধ রাখলেও তোমার আরাম লাগবে।”
আরশি জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।কোনো গ্রিল নেই।বাইরের দিকে পা ঝুলিয়ে বসা যাবে।সাইড দিয়ে কিছু লতাপাতা এসে ভীর করেছে সাথে আছে তাদের ছোট ছোট ফুল।আরশির মনে সহজে কিছু ধরে না আর ধরলে ছাড়ে না।আজ আরশির মনে এই জানালাটা ধরে গেছে।সত্যি অদ্ভুত রকমের সুন্দর এই জানালাটা।এর পাশে দাঁড়াতেই নিজেকে কোনো এক রূপকথার গল্পের রাজকন্যা মনে হচ্ছে।
আরশি জানালার উপর হাত রেখে চোখ বন্ধ করে নিঃশ্বাস নেয়।কি সুন্দর বাতাস মনটা একদম ফুরফুরে হয়ে গেল।হঠাৎ ঠাস করে কিছু পড়ার শব্দে আরশি চমকে চোখ খুলে।আরশি দেখে জানালার পাশে একটা কালো মোটা বিড়াল বসে আছে।সে ভয় পেয়ে পেছনে তাকায় তুযেকে ডাকতে কিন্তু তুযে এখানে নেই।আরশি বলে,
“হায় হায় এই মেয়ে গেল কোথায় আমাকে রেখে।”
বিড়ালটা মেও মেও করে আরশির পাশ ঘেঁষে বসে।আরশি ছিটকে দূরে সরে যায় আর সঙ্গে সঙ্গে তার শাড়ির কুচি খুলে যায় পুরোটা।আরশি কোনোমতে কুচি তুলে দাঁড়ায় তখনই দরজা থেকে সাভাশ বলে,
“আরু তুমি এখানে?”
আরশি চোখ বড় বড় করে একবার সাভাশের দিকে তাকায় তো একবার হাতে থাকা অবাধ্য শাড়ির কুঁচির দিকে।কিন্তু চিৎকার করে না।চিৎকার করে লাভ নেই ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে হবে।আরশি একটা শুকনো ঢোক গিলে সাভাশকে ইগনোর করে কুঁচি ঠিক করতে থাকে।সে নিজের অস্বস্তি কমানোর জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করছে সাভাশকে না দেখার আর এদিকে সাভাশ তো অন্যদিকে চোখ ঘুরিয়ে ভাবছে,
“আল্লাহ্ আজকে আমার ধারা কি কি হচ্ছে এসব?প্রথমে ওর কোমরে হাত এখন আবার,,,নাহ থাক আমি শুধু ভাববো আমি কিছু দেখি নি।ও যেহেতু আমাকে না দেখার চেষ্টা করছে আমিও ওকে না দেখার চেষ্টা করি।এতে দুজনেই লজ্জা থেকে বেঁচে যাব।”
আরশি শাড়ির কুচি কোনোমতে ঠিক করে স্বাভাবিক গলায় সাভাশকে বলল,
“এই বিড়ালটা কার?এটা আমাকে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল।”
সাভাশ আরশির দিকে ঘুরে এবার।সে বুঝতে পারছে আরশি শাড়ির ব্যাপারটা ধামা চাপা দিতে চাইছে তাই বিড়ালের কথাটা বলে কথা ঘুরানোর চেষ্টা করছে।সাভাশ নিজেও আরশিকে অস্বস্তিতে ফেলতে চায় না তাই বিড়ালটার কাছে গিয়ে দাড়াল।বিড়ালটা আরশির কাছ থেকে সরে এসে সাভাশের সাথে ঘেঁষে বসলো।
সাভাশ বলল,
“এটা আমাদের পাশের বাসার একটা বাচ্চার বিড়াল।বাচ্চাটা দেশের বাইরে গেছে পায়ের চিকিৎসার জন্য।তাই ওর পরিবার বিড়ালটাকে আমাদের বাসায় কিছুদিনের জন্য রেখে গেছে।”
আরশি আড়চোখে বিড়ালের দিকে তাকিয়ে বলে,
“তা এর নাম কি?ছেলে না মেয়ে?”
“ছেলে বিড়াল এটা।নাম হচ্ছে টইটই।”
“ভালো নাম যাইহোক আমি যাই।”
সাভাশ দ্রুত বলে,
“এই অবস্থায়?”
“কোন অবস্থা।”
সাভাশ অনেকক্ষণ যাবত নিজের হাসি আটকে রেখেছিল এবার আর পারলো না।হা হা করে হাসতে হাসতে বলল,
“তোমার শাড়ি!তোমার শাড়ির অবস্থা এখন এরকম যে তুমি হাঁটলেই এটা আবার খুলে পড়ে যাবে।”
আরশি নিজের সামনে থাকা বড় আয়নায় নিজেকে একবার দেখে নিজেই হাসতে শুরু করে।তার কুচি অনেক বেশি ফুলে আছে ভাজ ঠিকমতো নেই তার উপর দেখে মনে হচ্ছে এই শাড়ির সঙ্গে বিশ্বযুদ্ধ হয়েছে।
আরশিকে খিলখিল করে হাসতে দেখে সাভাশের হাসি বন্ধ হয়ে যায়।সে মেয়েটাকে এই প্রথম খিলখিল করতে হাসতে দেখছে।কি মধুময় এই হাসির শব্দ।শুনলে শুনতেই ইচ্ছে করে।
আরশি হাসি থামিয়ে সাভাশের উদ্দেশ্যে বলে,
“আপনি একটু কাউকে ডেকে দিন প্লিজ।আমি শাড়ি ঠিক করতে পারবো না একা একা।”
সাভাশ আগ বাড়িয়ে বলে,
“আমি নিচে বসে কুচি ধরছি তুমি নিজে ঠিক করে নেও।”
আরশি কথা বাড়ায় না।সাভাশের সাহায্য নিয়ে কুচি ঠিক করে নেয়।সেই সময় রুমে তুযে প্রবেশ করে।তার ভাই ভাবিকে কুচি ঠিক করতে সাহায্য করছে এই দৃশ্যটা সত্যিই অসাধারণ।এমন একটা দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি করে রাখলে মন্দ হয় না।তুযে নিজের মোবাইলটা বের করে কয়েকটা ছবি তুলে নেয়।তুযে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই ছবিগুলো ফ্রেম করে আরশি আর সাভাশকে বিয়ের দিন উপহার হিসেবে দেবে।
সাভাশ আর আরশি কেউই তুযেকে এখনো দেখে নি।সাভাশ উঠে দাঁড়ায়।আরশি নিজের খোলা চুলগুলো খোঁপা করার চেষ্টা করছে।
সাভাশ নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বলল,
“চুলগুলো খোলা রাখো।”
আরশি কথাটা শুনে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আরো টাইট করে খোঁপা করে এরপর বলে,
“আমার চুল আমি যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে রাখবো। গরমে এতো বড় বড় চুল খোলা রাখা মনে হয় মুখের কথা!আপনার মতো ছোট ছোট সিল্কি চুল না বুঝলেন।,,ওহ আপনার হাত ব্যান্ডেজ করিয়েছেন?”
কথাটা বলে আরশি সাভাশের হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে তার লাগিয়ে দেয়া গতকালের সেই ব্যান্ডেজটাই সাভাশ পড়ে আছে।তার মাথা গরম হয়ে যায়।সাভাশের হাত খপ করে ধরে বলে,
“আপনার কি সমস্যা হ্যা?এটাতে তো ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে আপনি নতুন করে মেডিসিন পর্যন্ত লাগান নি।”
সাভাশ হেসে বলল,
“কারণ এতে তোমার ছোঁয়া আছে।”
কথাটা শুনে আরশি অবাক হয়ে সাভাশের দিকে তাকায়।দুজনের চোখ চোখ পড়ে। ১৫ বছরের তুযে এতক্ষণ মুগ্ধ হয়ে ভাই ভাবির কাহিনী দেখলেও এখন তার মনে হচ্ছে এবার নিজের উপস্থিতি না জানালে আরো বড় কিছু হয়তো দেখতে হবে।তুযে খানিকটা হেসে কেশে নিজের উপস্থিতি তাদের জানায়।আরশি আর সাভাশ তুযের গলার আওয়াজে এক অপর থেকে সরে আসে।
তুযে মুচকি হেসে বলে,
“ভাবি তোমাকে আর ভাইকে খাবার খাওয়ার জন্য ডাকা হচ্ছে চলো।”
আরশিরা বিকালের দিকে সাভাশদের বাসা থেকে চলে আসে।
;
#চলবে