গ্যাংস্টার লাভ পর্ব-২১+২২

0
772

#গ্যাংস্টার_লাভ
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
#পার্ট_২১

রিহা গোসল করে আয়নায় চুল মুচ্ছে রেহান ও হাচ্চু দিতে দিতে বেরিয়ে আসে।

রিহা : ঠিক হইছে
রেহান : তাই না আমি অসুস্থ হলে কিন্ত তোমাকে কাল যেতে দেবো না (নাক টেনে)
রিহা : এমনি ও যাবো না
রেহান : সে দেখা যাবে

কথাটা বলে রেহান বিছানায় বসে আর রিহা বাইরে যায়

রেহান : এতো রাতে কই যাও?
রিহা : আসছি

একটু পর রিহা আসে হাতে সুপ নিয়ে
রেহান : এটা কিসের জন্য ?
রিহা : চুপ করেন

রিহা সুপটা টেবিলে থুয়ে একটু রেহান এর মুখের সামনে ধরে
রিহা : নেন খেয়ে নেনে
রেহান : আমার খুদা নেই
রিহা : চুপ চাপ খেতে বলছি (চোখ গরম করে)

রেহান বাধ্য ছেলের মত খেয়ে নিল। খাওয়া শেষে রেহান কে রিহা ওষুধ খাইয়ে দেয় ।

রেহান : এতো care কিসের জন্য অন্য? কেউ হলে কি এমন করতে নাকি আমি স্পেশাল কেউ ?
রিহা : আমি মানুষ আর আপনার সাথে একই ঘরে থাকছি ফেলে তো দিতে পারিনা আমি অসুস্থ হইছিলাম তখন তো আপনি অনেক যত্ন করছিলেন তাহলে
রেহান : ও তাহলে ঋণ শোধ করছো ?
রিহা : যা ভাববেন তাই আপনি যদি ঋণী ভেবে থাকেন তাহলে তাই এখন চুপচাপ ঘুমান অনেক রাত হইছে

রেহান শুয়ে পরে রিহা ও শুয়ে পরে।
রেহান : রিহা
রিহা : কোনো কথা না চুপচাপ ঘুমান অনেক রাত হইছে
রেহান : মাথা ব্যাথা করছে একটু হাত বুলিয়ে দিবে (করুন কণ্ঠে)
রিহা : আচ্ছা ঠিক আছে

রিহা রেহান এর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যে রেহান ঘুমিয়ে যায় রিহা রেহান কে দেখে মুচকি হেসে নিজে ও ঘুমের দেশে চলে যায় ।

সকালে রিহার আগে রেহান এর ঘুম ভেঙ্গে যায় । রেহান মাথার উপর কিছু একটা অনুভব করে ভালো করে দেখে রিহা ঘুমিয়ে আছে রেহান এর মুখে আপনাআপনি হাসি ফুটে আসে

রেহান : কবে তুমি আমার ভালোবাসায় পড়বে কবে তোমায় নিজের করে পাবো কবে তোমাকে নিজের মনের কথা বলতে পারবো আমি যে আর পারছি না খুব কস্ট হচ্ছে কিন্ত তোমার জন্য আমি সব কষ্ট করতে রাজি সব (মনে মনে)

রেহান আস্তে আস্তে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে যায় । আজ সবাই অন্তরা দের বাসায় যাবে সেই সব করছে । রেহান কি সোফায় বসলো

মাইশা চৌধুরী : কীরে রেহান রিহা কই ?
রেহান : ও তো ঘুমাচ্ছে কেনো কোনো দরকার ?
মাইশা চৌধুরী : হুম আমরা বের হবো কিছুক্ষণ পর তুই ত আর যাবি না ।
রেহান : আম্মু আমার একটু কাজ আছে আমি আর অনি কাজ শেষ করে যাবো
অন্তরা : রিহা কিন্ত আমাদের সাথে যাবে (সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে)
রেহান : আমার কলিজা না ছিড়লে তো তোমাদের শান্তি নেই (বির বির করে)
মাইশা চৌধুরী : তোরা কথা বল আমি সব কিছু গুছিয়ে নিই অনেক দূরের পথ

অন্তরা এসে রেহান এর পাশে বসে

অন্তরা : তুমি গেলে খুব ভালো লাগতো প্লিজ চলো আমার জন্য
রেহান : যাবো তো আমার কলিজা যাচ্ছে আমি না গেলে হয় কিন্ত আমার কাজ খুব দরকারী
অন্তরা : আচ্ছা (মন খারাপ করে)
রেহান : আমি একটু আসছি

রেহান উপরে গিয়ে দেখে রিহা এখন ও ঘুমিয়ে আছে রিহাকে না ডেকে রিহার বেগ গুছিয়ে দিচ্ছে ।

এদিকে
রুশ : আচ্ছা কইটা জামা নেবো ? বেশি করে নি
অনি : এমন ভাব করছো মনে হচ্ছে হানিমুনে যাচ্ছ
রুশ : যাচ্ছি তো বিয়ের পর কোন জায়গায় নিয়ে গেছো ?
অনি : হায় কপাল শেষে এই কথা এতো জায়গায় ঘুরতে নিয়ে গিচি তাও ম্যাডাম এর হইনি
রুশ : হইনি তো আমি তো তোমার একমাত্র বউ নাকি আরো কোনো বউ আছে ?
অনি : আছে তো আমি প্রতিদিন বিয়ে করি তুমি জানো না (রেগে)
রুশ : রেগে যাচ্ছ কেনো আমি তো এমনি বললাম
অনি : থাক তোমাকে আর বলতে হবে না
রুশ : একটা কাজ করো না তুমি একটু গুছিয়ে দাও আমি রিহাকে ডেকে আসি
অনি : তোমাকে যেতে হবে না রেহান গেছে
রুশ : তুমি কি করে জানলে ?
অনি : আমি সেই ধরে ওখানে ছিলাম
রুশ : আচ্ছা

রিহা ঘুম থেকে উঠছে না অনেক কষ্ট রেহান রিহাকে কোলে তুলে ওয়াশরুমে নিয়ে পানি মুখে দেয় । রিহা পিটপিট চোখে রেহান এর দিক তাকায়

রিহা : আমি কোথায় ?
রেহান : তুমি আমার কোলে।
রিহা : আমরা যাইনি

রেহান এর মনটা খারাপ হয়ে যায়।
রেহান : না গেলে হয় না ?

রিহা মুখ ছোটো করে তাকায় । রেহান মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে

রেহান : আমি তো মজা করছিলাম তুমি ত যাবে এখন তাড়াতাড়ি রেডী হয়ে আসো ।

রিহা মাথা নাড়ায়। রেহান বেরিয়ে আসে

একটু পর রিহা বের হয়।

রিহা : আচ্ছা রেহান আমি কি পড়বো?

রিহা তাকিয়ে দেখে রেহান ড্রেস হাতে দাড়িয়ে আছে ।

রেহান : এটা পরে নিচে আসো
রিহা : আচ্ছা ।

রিহা রেডী হয়ে নিচে যায় । রেহান রিহার দিকে বার বার করুন দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে ।

এখন সবার যাওয়ার পালা রেহান রিহাকে এটা সেটা বুঝাচ্ছে আর রিহা শুধু মাথা নারাছে

অন্তরা : আহ্ রেহান ওকে এমন ভাবে বলছো যেনো ও বাচ্চা কোথাও গেলে হারিয়ে যাবে
রেহান : হা ও বাচ্চা ও বাকিদের মত ওত ভালো বুঝে না তাই বলছি
মাইশা চৌধুরী : অন্তরা তুই গাড়িতে উঠ ।

অন্তরা আর কিছু না বলে গাড়িতে উঠে রিহা ও উঠে রেহান জানলা দিয়ে রিহা কে এটা সেটা বলছে

রেহান : এই কার্ড রাখো কোনো দরকার পড়লে খরচ করো আর রুশ এর সাথে থাকবে কোথাও একা যাবে না
রিহা : আচ্ছা
রেহান : আমি তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে চলে আসবো
রিহা : ওকে

গাড়ি ছাড়লো একটু দুর গিয়ে রিহা গাড়ি থামাতে বললো । রেহান দাড়িয়ে আছে রিহা গাড়ি থেকে নেমে রেহান এর কাছে যায় । রেহান রিহাকে জড়িয়ে ধরে

রিহা : কি করছেন ছাড়ুন ?
রেহান : তোমাকে ছাড়তে ইচ্ছা করছে না মনে হচ্ছে কলিজা কেউ ছিড়ে নিয়ে যাচ্ছে
রিহা : হইছে আর বলতে হবে না আপনি ফ্রী থাকলে ফোন করবেন
রেহান : হুম (কপালে ভালোবাসা দিয়ে)
রিহা : আমি এখন আসি ঠিক time মত আসবেন কিন্ত

বিনিময়ে রেহান মুচকি হাসি দিল । রিহা গাড়িতে উঠে চলে গেলো যত দুর দেখা যায় রেহান তাকিয়ে আছে রেহান এর চোখে পানি চিক চিক করছে । রিহা খুশি মনে চলে গেলো। রিহার যেনো কিছু মনে হচ্ছে না

অদ্ভুত এই ভালোবাসা কেউ কাদে আর কেউ হাসে। এটাই কি ভালোবাসা । সময় মানুষকে কি না বানিয়ে দেয়। একে অপরের জন্য প্রাণ দিতে পারা শুধু গল্পে মানায় real লাইফে এখনও দেখলাম না এটা আপসোস

গাড়িতে রিহা আর রুশ গান বাজিয়ে নাচছে । মনে হচ্ছে ওরা পিকনিকে যাচ্ছে অন্তরা চুপ করে বসে আছে বরাবরই ও শান্ত মেয়ে মাইসা চৌধুরী হেসেই যাচ্ছে । ওদের দেখে ড্রাইভার ও হেসে দিচ্ছে

কিছুদূর যাওয়ার পর রেহান ফোন করে মাইসা চৌধুরী ধরে

মাইশা চৌধুরী : হা রেহান বল
রেহান : আম্মু তোমরা কি রাস্তায় রিহা ঠিক আছে ?
মাইশা চৌধুরী : হা ঠিক আছে খুব আনন্দ করছে দারা তোকে দেখাচ্ছি

মাইশা চৌধুরী ভিডিও কল দিয়ে রিহাকে দেখাচ্ছে । রিহার খুশি দেখে রেহান এর আর কিছু মনে হচ্ছে না কিন্ত ছেলের চোখের পানি ঠিক মা দেখতে পেয়েছে

মাইশা চৌধুরী : এতই যখন কষ্ট হচ্ছে তাহলে যেনো যেতে দিলি ?
রেহান : তুমি তো জানো ও কেমন আমার কথা কি ও শুনছে
মাইশা চৌধুরী : চিন্তা করিস না আমরা আছি তো
রেহান : আম্মু ওর দিকে নজর দিও গাড়িতে উঠলে কিন্ত ওর বমি হয় আর রাতে তোমার কাছে নিয়ে ঘুমিয়ে ও কোথাও যেতে দিও না ।
মাইশা চৌধুরী : আচ্ছা ঠিক আছে তুই সাবধানে থাকিস
রেহান : হুম ।

রেহান কল কেটে দিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। তখনই অনি ওর কাঁধে হাত রাখলো

অনি : চিন্তা করিস না রিহা ঠিক থাকবে
রেহান : ভয় করে অনেক কিছুর পরে রিহাকে পাইছে এখন হারাতে চাইনা
অনি : জাস্ট দুইদিন
রেহান : সেটাই অনেক দিন

এই জার্নি হইতো ওদের আছে আনবে বা দূরে সরিয়ে দেবে ।

ফাঁকা রাস্তায় একটা মেয়ে একা হেঁটে যাচ্ছে হটাৎ কিছু বকাতে ছেলে পিছনে পরে যায় ।

মেয়েটা নিজেকে বাঁচাতে দৌড়াতে থাকে কিন্ত শেষ রক্ষা করতে পারলো না ইটের সাথে বেঁধে পরে যায় যায় ছেলে গুলো মেয়েতার দিকে কেমন হিংস্র প্রাণীর মতো তাকাচ্ছে আর মেয়েটা বার বার নিজের জিবন ভিক্ষা চাইছে ।

ছেলেগুলো নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করছে একটা ছেলে মেয়েতার ওরনা ফেলে দেয়। মেয়েটা জোরে কেদে উঠে

চলবে

#গ্যাংস্টার_লাভ
#নুসরাত_জাহান_অংকুর
#পার্ট_২২

ছেলেগুলো মেয়েতার দিকে এগিয়ে আসতে গেলে তখনই কিছু কাল পোশাক পড়া লোক এসে ছেলেগুলোকে ঘিরে ধরে । ছেলেগুলো তো হতভম্ব হয়ে গেছে তখনই একটা গাড়ি আসলো সেই গাড়ি থেকে আমাদের হিরো রেহান আর অনি বের হলো

জন : স্যার আমরা ওদের ধরেছি এখন কি ওদের মেরে ফেলবো
রেহান : না এতো সহজে না সব কইটা কে আমাদের গুডানে নিয়ে আসো
জন : জী স্যার

লোকগুলো ছেলেগুলো নিয়ে গেলো রেহান আর অনি মেয়ে ট্যার কাছে যায়

রেহান : ধন্যবাদ আমাদের সাহায্য করার জন্য
নীলা : এটা কোনো ব্যাপার না তুই ওদের মত অমানুষ দের শাস্তি দিতে চাইছিস তোর জন্য এই টুকু করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করবো
অনি : আচ্ছা এখন চল তোকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসি
নীলা : আচ্ছা ঠিক আছে কিন্ত ওই লোকগুলোকে কি করবি
রেহান : ওদের এখন জামাই আদর করা হবে যেই ভাবে ওরা অসহায় মেয়েদের সাথে করে তুই না থাকলে আজকে যে কি ভাবে ওদের ধরতে পারতাম
নীলা : ওটা কোনো ব্যাপার না আর আমি তোদের অনেক পুরনো ফ্রেন্ড এই টুকু তো করতে পারি
অনি : সরিরে তোকে ব্যাবহার করেছি তোর জন্য ওদের ধরতে পারছি নাহলে এই জঙ্গলে ওদের ধরা মুশকিল
নীলা : বাদ দে তো তোদের কি খবর সেটা বল শুনলাম রেহান নাকি বিয়ে করছে

বিয়ের কথাতে রেহান এর রিহার কথা মনে পড়ে । রেহান তাড়াতাড়ি ফোন দেয় দুইবার রিং হতেই রিহা ধরে

রেহান :হেলো
রিহা : জী
রেহান : ঠিক মত পৌঁছে গেছো ? কোনো সমস্যা হইনি তো
রিহা : হুম মাত্র আসলাম আপনি ঠিক আছেন?
রেহান : হুম আমি ঠিক আছি আর শুন

বাকি কথা বলার আগেই রিহার কল কেটে যায় । রেহান বার বারর ফোন দিচ্ছে কিন্ত ফোন বন্ধ

অনি : কিহলো ?
রেহান : রিহার সাথে কথা বলতে বলতে কেটে গেলো ফোন দিচ্ছি কিন্ত বন্ধ
অনি : নেট প্রবলেম জানিস তো গ্রাম এলাকা
রেহান : আমার ভালো লাগছে না
নীলা : বাবা বউ এর প্রতি কি দরদ
টা বউ গেছে কই ?
রেহান: আম্মুর সাথে খালা আম্মুর বাড়ি (মন খারাপ করে)
অনি : চিন্তা করিস না

রেহান কিছু না বলে গাড়িতে উঠলো অনি আর নীলা কথা না বাড়িয়ে গাড়িতে উঠলো । রেহান এর তো রিহাকে ছাড়া ভালো লাগছে না

এদিকে
রিহারা পৌঁছে রাইসা খান সাথে অনেক কথা বলে ফ্রেশ হতে যায় ।

মাইশা চৌধুরী কিছুটা রাইসা খান মতো দেখতে

সবাই ফ্রেশ হচ্ছে রিহা ফেস হয়ে ফোন নিয়ে দাড়িয়ে আছে এখানে নেট খুব স্লো

রুশ : কীরে দাড়িয়ে কি ভাবছিস ?
রিহা : আর বলিস না উনি ফোন করছিলেন কথা বলতে বলতে কেটে গেছে
রুশ : নেট প্রবলেম এখন ওসব বাদ দে চল বাইরে একটু ঘুরে আসি বাড়িটা কিন্ত খুব সুন্দর ।
রিহা : হা পুরানো জামানার
অন্তরা : আমার দাদু বানিয়েছিল এটা অনেক আগের মানুষ ত তাই কিন্ত খুব সৌখিন ছিল তাই তো সব গুছানো (দরজায় দাড়িয়ে)
রিহা : অন্তরা আপু আসো
অন্তরা : সরি তোমাদের তেমন টাইম দিতে পারিনি অনেক দিন পর তো সেই জন্য
রিহা : আরে কোনো বেপার না
অন্তরা : চলো খেতে চলো

রিহা +রুশ : হুম

৩জন খাবার টেবিলে গিয়েছে। অন্তরা আব্বু একটু শহরে গেছে অনেক দিন পর দেশে আসছে তাই সব প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে

রাইসা খান : আরে তোমরা এসে বসো তোমাদের সাথে তো তেমন কথা হইনি কেমন আছো ?
রুশ +রিহা : জী ভালো
মাইশা চৌধুরী : এ হলো রিহা আমার ছেলের বউ আর ও রুসা অনির্বাণ এর বউ ।

রাইসা : ওহ তাহলে এ আমাদের রেহান এর বউ দেখতে তো খুব সুন্দর

অন্তরা দাদী বলে

দাদী : আমি তো বলেছিলাম অন্তরার সাথে বিয়েটা দিতে

রিহা এতে অবাক হলো কারণ অন্তরা রেহান এর বোন । নিজের না হলে ও বোন তো

রাইসা: আহ্ মা ছার তো রক্তের সম্পর্কের চেয়ে কারোর কাছে অন্য সম্পর্ক বড়ো (মাইসার দিকে তাকিয়ে)
মাইশা চৌধুরী : রেহান রিহাকে খুব ভালো বাসে আর ছোটো বেলা

বলতে গিয়ে থেমে গেলো । রিহা অন্তরা আর রুস শুধু শুনছে বড়োদের মধ্যে কি বা বলবে

রুশ রিহার কানে বলে
রুশ : দেখ একদম স্টার জলসার কুটনি বুড়িদের মত একে শ্রী ময়ীর নাটকে ওই বুড়ির মত লাগছে
রিহা : চুপ যা সবাই আছে
রুশ : আছে তাতে আমার কি আমার চকোলেট ছিড়া
রিহা : তোরে ঘরে গিয়ে চকোলেট দিমুনে এখন চুপ যা
রুশ : ওকে

দাদী: তো মেয়ে কি দেখিয়ে রেহান এর মাথা খেলে ?

রিহা কিছু বলতে যাবে তার আগে রুশ বলে
রুশ : আপনার তিনি কে সেই ভাবে করছেন সেই ভাবে আর আমাদের রেহান ভাইয়ার চোখ আছে তাই সে সব বুঝতে পেরে ঠিক মানুষকে বেচে নিচ্ছে
রাইসা: আহ্ মা ওভাবে কেউ কথা বলে
দাদী : আমি বাপু বুড়ি মানুষ যা বুঝছি তাই বলছি
রিহা : দাদী একটু নিজের যত্ন নেন বয়স তো কম হলো না দিন কাল যা খারাপ কখন আল্লাহ প্রিয় হয়ে যান কে জানে

রিহার কথায় সবাই মিটমিট করে হাসছে

দাদী : রূপের সাথে তো চুপা ও আছে
রিহা : সবই আপনাদের দান
মাইশা চৌধুরী : রিহা আর কথা না বাড়িয়ে খেয়ে নে আমাদের কাল বাসায় যেতে হবে

অন্তরা : কিন্ত খালা মনি কাল কেনো তোমাদের তো থাকার কথা
মাইশা চৌধুরী : পরিবেশ তো তেমন দেখছি না রাইসা : মার কথা তুই ধরে বসে আছিস

মাইশা চৌধুরী কিছু বলতে যাওয়ার আগেই অন্তরা বলে

অন্তরা : খালা মনি তুমরা থাকবে সেটাই জানি কাল রেহান আসবে প্লিজ তোমরা থাকবে প্লিজ প্লিজ

মাইশা চৌধুরী আর কিছু না বলে রিহা আর রুশ কে নিয়ে ঘরে গেলো ।

রিহা : মামনি তুমি রাগ করো না প্লিজ আমরা ও ত কম জাইনা জানো তো
মাইশা চৌধুরী : রেহান কে এখানে আসতে বল ওকে তোর কাছে না রাখলে আমি শান্তি পাচ্ছি না

কথাটা বলে মাইশা চৌধুরী বেরিয়ে গেলো । রুশ বসে বকে গেম খেলছে আর রিহা আয়নায় দেখছে

রিহা : আচ্ছা সত্যি কি অন্তরা আপুর সাথে উনার বিয়ে ঠিক হইছিলো ?
রুশ : আমি তো কখনো শুনিনি
রিহা : অন্তরা আপু কি আমার থেকে সুন্দর
রুশ : কি আবোল তাবোল বলছিস
রিহা : কিছু না সর তো ঘুমাবো
রুশ : এখন ঘুমাতে হবে না চল একটু বাইরে ঘুরে আসি
রিহা : চিনিনা জানিনা কোথায় যাবো
রুশ : চল তো

রুশ রিহার হাত ধরে বাইরে নিয়ে যায় ওদের দেখে অন্তরা এগিয়ে আসে।

অন্তরা : কিহলো তোমরা কোথাও যাচ্ছ ?
রুশ : হুম একটু বাইরে দেখতে
অন্তরা : ওহ আচ্ছা চলো আমি নিয়ে যাচ্ছি

দুইজন খুশি মনে অন্তরার সাথে যেতে লাগলো।

এদিকে

মাইশা চৌধুরী আর রাইসা খান এর মধ্যে কথা কাটাকাটি হচ্ছে

রাইসা : তোর সমস্যা কি আমি বুঝছি না ?
মাইশা : তোর সেই বুদ্ধি নেই যে কিছু বুঝবি
অন্তরা আম্মু : তুই কি বলতে চাস একটু বল ত
মাইশা : আমি চাই রেহান এর আমানত আমি রেহান এর কাছে ফিরিয়ে দিতে রিহাকে যদি আর কোনো রকম ভাবে অপমান করা হয় তাহলে আমি কালই চলে যাবো আমি ভাবিনি এতবছর পর ও তুই একই থাকবি

কথাটা বলে মাইশা চৌধুরী বেরিয়ে আসে ।

রিহা অন্তরা রুশ গ্রামের পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে রিহার কাছে পরিবেশ খুব ভালো লাগছে । কিন্ত সব কিছুর মাঝে রেহান কে খুব মিস করছে রিহা ফোন হাতে নিয়ে দেখে এখন একটু নেট পাচ্ছে রিহা ফোন দেয়

দুইদিন বার দেবার পর রেহান ফোন ধরে।

রিহা : হেলো
রেহান : হুম ফোন বন্ধ ছিল কেনো ?
রিহা : নেট প্রবলেম
রেহান : আচ্ছা এখন কি করছো ?
রিহা : গ্রামের পথে হাঁটছি অন্তরা আপু আর রুশ এর সাথে
রেহান : সব সময় রুশ এর সাথে থেকো অন্য কোথাও যাবে না বুঝছো
রিহা : আপনি আসবেন কবে তাড়াতাড়ি আসুন না
রেহান : হুম আসবো কাজ শেষ হলেই আসবো রিহা : সেটা কবে শেষ হবে ?

রেহান কিছু বলার আগেই রেহান এর পাশ থেকে চিৎকার আসে ।

রিহা : কি হলো আপনার ঠিক আছেন ত

কথাটা শেষ করার আগেই কল কেটে যায়

চলবে