🖤#কালোবউ🖤
লেখিকাঃ Tahmina Toma
পর্বঃ২৮
মেঘলাঃ(আকাশ কেমন নেশা ধরা চোখে তাকিয়ে আছে। তা দেখে মন আরো অস্থির হয়ে ওঠলো)
আকাশঃ শেষ লজ্জা পাওয়া??
মেঘলাঃ(উনার কথা শুধু চোখ নামিয়ে নিলাম)
আকাশঃ শেষ না,,, কেবল শুরু মিসেস আকাশ চৌধুরী। আরো অনেক লজ্জা দেওয়া বাকি আছে (কানের কাছে ফিসফিস করে) তবে সেসব এখন না। (ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসিয়ে দিয়ে গলায় নেকলেসটা পড়িয়ে ঘারে একটা কিস করলাম। আয়নায় তাকিয়ে দেখি চোখ বন্ধ করে আছে মেঘপরী। আস্তে আস্তে সব পড়িয়ে হালকা সাজিয়ে দিলাম।) হয়ে গেছে এবার চলো।
মেঘলাঃ চলো মানে কোথায় যাবো??
আকাশঃ তোমাকে এত কষ্ট করে সাজালাম এখানে বসে থাকতে?? বললাম না লং-ড্রাইভে যাবো। কথা বন্ধ এবার চলো।
মেঘলাঃ আমি কোথাও যাবো না।
আকাশঃ তুমি যাবে??? নাকি এতো সুন্দর করে সাজানোর অন্য ফায়দা তুলবো।
মেঘলাঃ মানে,,,,????
আকাশঃ ডিয়ার,,, তুমি এখনো বাচ্চাই আছো। মানে তুমি যাবে নাকি আমি বাসর করে নিবো। এমনিতেও তোমাকে সেই হট লাগছে।
মেঘলাঃ অসভ্য লোক একটা।
আকাশঃ অসভ্য না কী সেটা পরে বুঝাবো এখন চলো।
মেঘলাঃ যাবো কীভাবে আমি?? আপনার মতো পাইপ বেয়ে (রাগে কটমট করে তাকিয়ে)
আকাশঃ আগে বেলকনিতে চলো।
মেঘলাঃ মই এলো কোথা থেকে??
আকাশঃ সেটা তোমার ভাবতে হবে না। তাড়াতাড়ি নামো তো।
মেঘলাঃ আমি আগে নামতে পারবো না ভয় করে।
আকাশঃ ওকে আমি আগে নামছি বাট যদি চালাকি করে না নামো এখনই বেবির আম্মু বানিয়ে দেবো।
মেঘলাঃ অসভ্য, ফালতু একটা।
আকাশঃ আমি আগে নেমে গেলাম। তারপর মেঘলা আস্তে আস্তে নামলো। তারপর বাউন্ডারি আর একটা মই দিয়ে পার হয়ে রাস্তায় এসে দাড়ালাম।)
মেঘলাঃ আপনি মইয়ের ব্যবস্থা করলেন কীভাবে??
আকাশঃ আমরা যেখান দিয়ে এলাম সেখানে যে গার্ড আছে সে আমার গার্ডের ছোট ভাই। সেই সব ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
মেঘলাঃ কী বদমাইশ লোক রে বাবা??
আকাশঃ কী বললে??(মেঘলাকে কাছে টেনে)
মেঘলাঃ ক,,,কই কিছু বলিনিতো। কোথায় যাবেন চলুন।
আকাশঃ হানিমুনে যাওয়ার জন্য তর সইছে না দেখছি।
মেঘলাঃ কিহ্ ,,,,,,,,,,, হানিমুনে???
আকাশঃ জী ম্যাডাম এখন আমরা হানিমুনে যাচ্ছি।
মেঘলাঃ আমি কোথাও যাবো না আপনার সাথে।
আকাশঃ ওকে যেও না আমি নিয়ে যাচ্ছি। (মেঘলাকে কোলে তোলে গাড়ির ভিতর বসিয়ে সিট বেল লাগিয়ে নিজেও ওঠে পড়লাম। মেঘলা নামতে চাইলে ডোর লক করে দিলাম) আগে রাঙামাটির সাজেক যাবো। মেঘ আর আকাশের মিলনমেলা দেখবো। আর ঐ মেঘ আর আকাশ দেখবে এই আকাশ আমার মেঘপরীর মিলনখেলা। (মেঘলার কানের কাছে ফিসফিস করে)
মেঘলাঃ(উনি যখনই কানের কাছে ফিসফিস করে কিছু বলে সারা শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যায়। যেন মেরুদণ্ড দিয়ে রক্তের শীতল স্রোত বয়ে যায়।)
আকাশঃ(গাড়ি আপন গতিতে ছোটে চলতে শুরু করলো। দুজনেই চুপচাপ হয়ে বসে আছি। কারো মুখে কথা নেই।) কী হলো মেঘপরী?? কথা বলছো না কেন?? তোমার কী সাজেক ভালো লাগে না?? তাহলে বলো যেখানে চাইবে সেখানেই নিয়ে যাবো।
মেঘলাঃ কী বলবো হ্যা?? এভাবে নিয়ে এলেন আমি সাথে কিছু এনেছি?? কী পড়বো সেখানে গিয়ে?? আরো কত কী দরকার হয় মেয়েদের জানেন??
আকাশঃ পেছনে তাকিয়ে দেখো,,,,
মেঘলাঃ (পেছনে তাকিয়ে দেখি শপিং ব্যাগ ভরতি।) এত শপিং ব্যাগ কিসের??
আকাশঃ এখানে তোমার যা লাগবে সব আছে। ড্রেসগুলো আমি পছন্দ করেছি বাকি যা লাগে সব চাঁদ কিনেছে। আরো কিছু লাগলে সেখানে মার্কেট থেকে কিনে দিবো।
মেঘলাঃ (হায় আল্লাহ এর কী মাথা খারাপ?? পিছনে সূচ ফেলার জায়গা নেই,,,, এত শপিং ব্যাগ। মনে হচ্ছে ঘুরতে না সারাজীবনের জন্য যাচ্ছে। আর কিছু বললাম না)
আকাশঃ নামো,,,,,,
মেঘলাঃ মানে,,,,? এটা কী সাজেক??
আকাশঃ (কথা না বলে মেঘলাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে চোখ বেঁধে দিলাম)
মেঘলাঃ কী হলো??? চোখ কেন বাঁধছেন??
আকাশঃ চুপচাপ চলো,,,,(মেঘলার হাটতে সমস্যা হচ্ছে তাই কোলে তুলে নিলাম। নামিয়ে দিয়ে ওর পিছনে দাড়ালাম। তারপর আস্তে করে চোখের বাঁধন খোলে দিলাম।) এবার আস্তে আস্তে সামনে তাকাও।
মেঘলাঃ (আস্তে করে চোখ খুললাম। সামনে তাকিয়ে আমার কথা বলার শক্তি হারিয়ে গেছে। ফানুস দিয়ে আকাশ যেন ভরে গেছে। অপূর্ব সুন্দর লাগছে দেখতে। আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম এটা একটা ছাঁদ,,, ফুল, বেলুন আর লাইটিং দিয়ে অসম্ভব সুন্দর করে সাজানো। একটা বাজি ফোঁটার শব্দে আবার আকাশের দিকে তাকালাম বাজিটা ফোটে আকাশের সৌন্দর্য আরো বেড়ে গেলো। পরের বাজিটা ফোটে যে লেখা ভেসে ওঠলো আমি অবাক হয়ে দেখছি,,,,,
I love you Megh pori ,,,, লেখাটা মিলিয়ে যেতেই হুঁশ ফিরলো। পিছনে ফিরে তাকালাম। হাঁটু গেড়ে বসে আছে আকাশ,,, হাতে অনেকগুলো নীলপদ্ম।)
আকাশঃ ভালোবাসি মেঘপরী,,,,,,, কতটা ভালোবাসি সেটা তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না। শুধু জানি এই জীবন থাকতে তোমার কোন ক্ষতি হতে দেবো না। জীবন দিয়ে হলেও তোমার সুখ কিনে দেবো। জানি অনেক কষ্ট দিয়েছি,,,,,,, বিশ্বাস করে একবার হাতটা ধরে দেখো আর কোনদিন তোমার চোখে পানি আসতে দেবো না। যদি কোনদিন তোমার চোখে পানি আসার কারণ হই তাহলে যেন তার আগে আমার মৃত্যু,,,,,,,,
মেঘলাঃ হুসসসসস( আকাশের ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে আটকে দিলাম) বাজে কথা বলবেন না একদম।
আকাশঃ(মেঘলার হাত সরিয়ে হাতে একটা কিস করলাম) বলতে দাও মেঘপরী,,,,,,, যদি তোমার মনে হয় আমার থেকে দূরে গেলে তুমি সুখে থাকবে তাহলে এই নাও গান এখানে (বুকের বা পাশে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে) একটা গুলি করে চলে যাও। কারণ আমি জীবিত থাকলে তোমার থেকে দূরে থাকতে পারবো না। এবার তোমার ইচ্ছে একহাতে আছে ফুল,,, মানে জীবন,,,,মানে তুমি,,, আর এক হাতে গান,,,,,, মানে মৃত্যু,,,,,, মানে মুক্তি। কোনটা বেসে নেবে তোমার ইচ্ছা।
মেঘলাঃ(আকাশের বাঁ’হাত থেকে গানটা তুলে হাতে নিলাম)
আকাশঃ(মেঘলা গান হাতে নিতেই চোখ বন্ধ করে নিলাম। চোখের কোন বেয়ে দুইবিন্দু পানি গড়িয়ে গেলেও ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসি রেখে অপেক্ষা করতে লাগলাম ভালোবাসার দেওয়া প্রথম আর শেষ উপহারের।)
মেঘলাঃ(গানটা দূরে ছুড়ে মারলাম। আকাশের হাতে থেকে ফুলগুলো নিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লাম আকাশের সামনে তারপর শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম আকাশকে।)
আকাশঃ(ঠোঁটের কোণের হাসিটা এবার আরো প্রশস্ত হলো। আমি পেরেছি আমার মেঘপরীর মনে জায়গা করে নিতে)
মেঘলাঃ আমাকে ছেড়ে যেতে চাইলে একদম খুন করে দিবো। কী ভেবেছেন সত্যি সত্যি আপনাকে ডিভোর্স দিয়ে মুক্তি দিবো। জীবনেও দিবো না,,, আপনার এই #কালোবউয়ের সাথেই বাকি জীবন কাটাতে হবে।
আকাশঃ আমার পুড়া কপাল,,,,
মেঘলাঃ কী বললেন???
আকাশঃ(মেঘলার কপালে একটা কিস করলাম তারপর কপালে কপাল ঠেকিয়ে বসলাম।) তুমি আমার চোখে পৃথিবীর সবচেয়ে সেরা সুন্দরী। তুমি জানো,,,, যখন তোমার ঐ কাজল কালো হরিণী চোখ দিয়ে তাকাও ইচ্ছে করে ঐ চোখে ডুবে যাই। কালো মেঘের মতো চুলগুলো থেকে যখন টপটপ পানি পড়ে মনে হয় ঐ চুলে লুকিয়ে যাই। ভেজা গলায় যখন তোমার এই তিলটা চোখে পড়ে ইচ্ছে করে গভীরভাবে ছুয়ে দেই। তোমার মুখে যখন বিন্দু বিন্দু পানি জমে থাকে তখন মনে হয় আমি পৃথিবীর সবচেয়ে তৃষ্ণার্ত ব্যক্তি ঐ পানি শুষে তৃষ্ণা মিটিয়ে নেই। তোমার চকলেট কালার ঠোঁটগুলিতে যখন হাসি ফোটে ইচ্ছে করে খেয়ে নেই। আর,,,,,
মেঘলাঃ (উনার মুখে হাত দিয়ে আটকে দিলাম। এভাবে কেউ বলে। জড়িয়ে ধরলাম উনাকে।)
আকাশঃ(হাত সরিয়ে আবার হাতে কিস করলাম) যখন শুধু ব্লাউজ আর পেটিকোট পড়ে সামনে দাড়িয়ে ছিলে ইচ্ছে করছিলো ডুবে যাই তোমার মাঝে। হারিয়ে যাই অজানা রাজ্যে(কানের কাছে ফিসফিস করে বললাম) প্রতিটা স্পর্শে যখন কেঁপে উঠছিলে ইচ্ছে করছিলো আরো গভীরভাবে ছুয়ে দেই।
মেঘলাঃ অসভ্য লোক কোথাকার ,,, মুখে কিছু আটকায় না। ( উনার বুকে মুখ লুকালাম)
আকাশঃ শুনেই এভাবে লজ্জাবতী পাতার মতো গুটিয়ে যাচ্ছো,,,,,, যখন সত্যি সত্যি এই সব ইচ্ছেগুলো পূরণ করবো তখন কী করবে??
মেঘলাঃ (আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।)
আকাশঃ আচ্ছা মেঘপরী আমাদের ছোট্ট রাজকন্যা কবে আসবে??
মেঘলাঃ রাজকন্যা কেন আসবে?? আমাদের রাজপুত্র আসবে।
আকাশঃ না রাজকন্যা,,,,
মেঘলাঃ না রাজপুত্র,,,,,,,
আকাশঃ ওকে রাজকন্যা বা রাজপুত্র কেউ একজন আসবে। কিন্তু তাকে তো আগে ডাকতে হবে। না ডাকলে আসবে নাকি?? চলো আগে তাকে আনার ব্যবস্থা করি।
মেঘলাঃ আবার অসভ্যের মতো কথা বলছে,,,,
আকাশঃ আমি কী অসভ্যতা করেছি তোমার সাথে?? না করেই যেহেতু নাম হয়ে গেছে তাহলে আগে একটু অসভ্যতা করেই নেই। তারপর অসভ্য বললে ঠিক আছে,,,,,
মেঘলাঃ মানে,,,,,,,,, উমমমমমমম(পুরোটা বলার আগেই আমার ঠোঁট আঁকড়ে ধরেছে আকাশ)
আকাশঃ(ওর পুরো কথা শেষ করার আগেই ওর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলাম। পৃথিবীর সব মিষ্টিকে হার মানাবে এই মিষ্টি। মেঘলা প্রথমে বাঁধা দিলেও পড়ে রেসপন্স করতে শুরু করেছে। দুজনেই পাগলের মতো একে অপরের ঠোঁট শুষে নিচ্ছি। যেন কতো দিনের তৃষ্ণা মিটিয়ে নিচ্ছি দুজনে)
,,,,,,,,,,,,,
আবিদাঃ এই যে শুনছো,,,,
মাহিদঃ হ্যা বলো,,,,,,
আবিদাঃ মেয়েটার জীবন এভাবে আর কতদিন ঝুলে থাকবে। একটা কিনারা করা দরকার।
মাহিদঃ মাহিনতো বলেই দিয়েছে মেঘলা সুস্থ হলে ডিভোর্সের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু বিয়ের বেশিদিন হয়নি এখন ডিভোর্স হবে না।
আবিদাঃ বলছিলাম কী ছেলেটাকে আর একটা সুযোগ দিলে হতো না??
মাহিদঃ তুমি আবার এই কথা বলছো??
আবিদাঃ হ্যা বলছি,,,,, কারণ বিয়ে একটা পবিত্র বন্ধন। সম্পর্ক ভাঙা অনেক সহজ কিন্তু একটা সম্পর্ক জুড়া অনেক কঠিন। আমাদেরই দেখো না,, মাত্র একদিনে ভাইয়ার সাথে সম্পর্কটা ভেঙে গিয়েছিলো আর জুড়তে ২৫ টা বছর সময় লাগলো। আর যখন কোন মুসলমান স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভাঙে খোদার আরশ কেঁপে ওঠে। তাই বলছি আকাশ আর মেঘলার সম্পর্কটাকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। আবারও যদি আকাশ কোন ভুল করে তখন আমরা আর ক্ষমা করবো না। অন্তত নিজেকে তো বুঝাতে পারবো আমরা চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু নিয়তি খারাপ ছিলো।
মাহিদঃ ঠিক আছে আগামীকাল সকালে আমি মাহিনের সাথে কথা বলবো।
আবিদাঃ ছেলেটাকেও এবার বিয়ে করাতে হবে।
মাহিদঃ ওর বয়স এখনও ২৩ বছর হয়নি এখনই বিয়ে করাবে?? জীবনটা আগে গুছিয়ে নিতে দাও।
আবিদাঃ হ্যা,,, আমি এখনই বিয়ে করাবো,,, জীবন দু’জনে মিলে গুছিয়ে নিবে। মেঘলা চলে যাবার পর আমার বড্ড একা লাগে। দম বন্ধ হয়ে আসে বাড়িতে একা থাকতে। ছেলের বউ এনে শাশুড়ী বৌমা একসাথে মা মেয়ের মতো থাকবো।
মাহিদঃ তাহলে কী এখন মেয়ে দেখতে হবে??
আবিদাঃ মেয়ে দেখতে হবে কেন?? মেয়েতো আমাদের সামনেই আছে তানহা,,, জামাল ভাইয়ের মেয়ে। তানহা মাহিনকে অনেক পছন্দও করে আর জামাল ভাইও।
মাহিদঃ আর মাহিন???
আবিদাঃ মাহিন পছন্দ করে এমন কিছু মনে হয়নি তবে তানহা অপছন্দ করার মতো মেয়ে নয়। সুন্দরী, শিক্ষিত, নম্র-ভদ্র, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, আর সবচেয়ে বড় কথা মাহিনকে ভালোবাসে,,, সুখে রাখবে।
মাহিদঃ ছেলের বউ যখন ঠিক করেই রেখেছো আমি আর কী বলবো?? মেঘলার একটা ব্যবস্থা হলে এদের চার হাতও এক করে দিবো।
আবিদাঃ হুমমম
,,,,,,,,,,,,,
চাঁদঃ কী অসভ্য এই লোকটা,,,, এতবার কল দিলাম ধরলোই না। দাড়ান আগামীকালই আমি ভাইয়া কাছে সব বলে দিবো। ভাইয়ার কাছে চেয়েছি আর সেটা এনে দেয়নি তা কখনো হয়নি। আপনাকেও আমারই হতে হবে মিস্টার মাহিন,,,
চলবে,,,,,,,,