🖤#কালোবউ🖤
লেখিকাঃ Tahmina Toma
পর্বঃ ৩৩
মাহিনঃ এটাতো মেঘলার শশুর বাড়ি আমরা এখানে কেন এসেছি??
মেঘলাঃ চাঁদ আমাদের সাথে যাবে তাই,,,,,,
মাহিনঃ কীহ্ ,,,,,,,,,
মেঘলাঃ জী ,,,,,,,,,
মাহিনঃ (এই বাড়ির ড্রয়িংরুমে বসে আছি। কী হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না। যে যার মতো গল্প করছে। কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করার সুযোগ ও পাচ্ছি না। মেঘটা এসেই কোথায় ওধাও হয়ে গেছে। আর আমি বসে বসে হাতের আঙ্গুল মুচড়িয়ে যাচ্ছি।)
,,,,,,,,,
মেঘলাঃ চাঁদ এমন কেউ করে??? যদি কিছু হয়ে যেতো তোমার ভাইয়া আর মায়ের কী হতো??
চাঁদঃ জানি না,,,,,
মেঘলাঃ আর কখনো এমন পাগলামি করো না।
চাঁদঃ হুম,,,,,
মেঘলাঃ তোমার ভাইয়া কোথায়??
চাঁদঃ গতরাতে কখন এসেছে তাও জানি না আর আজ সকালে কখন বেড়িয়েছে তাও বলতে পারবো না। তোমার সাথে কিছু কী হয়েছে??
মেঘলাঃ ন,,,,না আমার সাথে কী হবে??
চাঁদঃ তোমার মুখের এই দশা কেন??
মেঘলাঃ এ,,এলার্জি,,,,, এলার্জির প্রবলেম হয়েছে।
চাঁদঃ(এদের কোন ঝামেলা হয়েছে নিশ্চিত)
মেঘলাঃ তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও,,,,, আমার ভাইয়ের মনে হয় গলায় দম আটকে আছে,,, হিহিহি
চাঁদঃ থাকতে দাও,,,,
মেঘলাঃ (চাঁদকে রেডি করিয়ে নিয়ে নিচে গেলাম। )
মাহিনঃ (চাঁদকে দেখে আমার মুখ হা হয়ে গেছে। এ কোন চাঁদ?? চকলেট কালার একটা শাড়ী পড়েছে,, মাথায় ঘোমটা দেওয়া। একদম বউ বউ লাগছে। এখন একদম পিচ্চি পিচ্চি লাগছে না। কিন্তু চাঁদকে এই সাজে আনার মানে কী??)
আবিদাঃ মা এসো আমার পাশে বসো,,,,,
মেঘলাঃ (মায়ের পাশে বসিয়ে দিলাম)
আবিদাঃ বাহ্ খুব মিষ্টি লাগছে। একদম সত্যিকার চাঁদ। এই চাঁদ আমার ভাঙা ঘরে কীভাবে রাখবো??
মাহিনঃ(সব মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে,, মা এসব কী বলছে???)
আবিদঃ বেয়াইন(আকাশের মা) চাঁদের বয়স তো এখনো ১৮ হয়নি। এখন নাহয় এনগেজমেন্ট করে রাখি ১৮ হলে বিয়ের কথা ভাবা যাবে।
আকাশের মাঃ আমিও তাই বলতে চাইছিলাম,,, কিন্তু আপনারা কী মনে করেন,,, সেটা ভেবে বলার সাহস পাচ্ছিলাম না।
আবিদঃ কী যে বলেন? মনে করার কী আছে?? তাহলে রিয়াদ আর মাহিনের এনগেজমেন্ট একসাথেই হোক। মাহিন আর চাঁদের বিয়ে নাহয় পরে হবে।
আকাশকে মাঃ ঠিক আছে,,,,,
মাহিনঃ (মনে হলো ১২০০ ভোল্টের ঝটকা খেলাম। আমার আর চাঁদের বিয়ে হচ্ছে???)
মেঘলাঃ ঝটকা কেমন লাগলো??(মাহিনের পাশে বসে ফিসফিস করে)
মাহিনঃ এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না। কী করে এসব হলো রে মেঘ??
মেঘলাঃ (ভাইকে সব খোলে বললাম।)
মাহিনঃ ধন্যবাদ রে বোন।
মেঘলাঃ আমার জন্য সব হয়েছিলো তাই আমি-ই ঠিক করে দিলাম।
মাহিনঃ (মেঘের দিকে তাকিয়ে শুধু মুচকি হাসলাম। চাঁদের দিকে তাকালাম। নিচের দিকে তাকিয়ে আছে অন্য কোনদিকে তাকাচ্ছে না। কী হলো ব্যাপারটা আজকে একবারও আমার দিকে তাকালোই না। মনে হচ্ছে কপালে দুঃখ আছে আমার। এতদিন ওকে রিজেক্ট করার ফল ভুগতে হবে)
চাঁদঃ(এবার বুঝাবো মিস্টার মাহিন কত গমে কত আটা)
মেঘলাঃ(এই মহারাজ গেছে কোথায়?? একমাত্র বোনের বিয়ের কথা হচ্ছে সে ওধাও। যে বিয়ের জন্য এতো কষ্ট করলো এখন তারই দেখা নেই। সারাদিন না খাওয়ার জন্য মাথাও ঘুরছে। নাস্তা করে সবাই চলে গেছে। আমি আজ এখানে থাকবো বলে রয়ে গেছি। ভাই চাঁদের সাথে কথা বলতে চেয়েছিলো চাঁদ পাত্তা দেয়নি। ভাইয়ের মুখটা দেখে আমার কষ্টের মধ্যেও সেই হাসি পেয়েছিলো। ওরা চলে যেতেই রুমে গিয়ে শুয়ে পরলাম।)
আকাশঃ (সকালে ওঠে অফিস চলে গিয়েছিলাম। গতরাতে ফোনটা গাড়িতেই রয়ে গিয়েছিলো। সকালে ফোন খোঁজে পায়নি পরে গাড়িতে গিয়ে দেখি চার্জ শেষ অফ হয়ে পরে আছে। অফিসে গিয়ে চার্জ দিয়ে খোলে দেখি মেঘলার অনেক কল আর ম্যাসেজ। তাও ব্যাক করতে ইচ্ছে করেনি। অফিস শেষে সোজা বাসায় চলে এলাম। রুমে এসে চোখ চড়কগাছ। এ এখানে কী করছে?? যা ইচ্ছে করুক আমার কী?? ওয়াশরুম থেকে ফ্রেস হয়ে ডিনার করতে গেলাম)
মাঃ বৌমা কোথায়??
আকাশঃ ঘুমিয়ে আছে??
মাঃ এসেছে পর থেকে এখনো কিছু খায়নি,, তুই ডাকলি না,,,??
আকাশঃ ক্ষিদে পেলে একাই আসতো।
মাঃ আকাশ এটা কেমন কথা??
চাঁদঃ(ডালমে কোছ কালা হে)
আকাশঃ খাবার দেবে??
মাঃ দিচ্ছি তো,,, খেয়ে বৌমার খাবার নিয়ে যা।
আকাশঃ পারবো না,,,,
মাঃ কী বললি??
আকাশঃ ওকে,,,,,নিয়ে যাবো,,(খেয়ে মেঘলার খাবার নিয়ে রুমে এলাম। কাহিনিটা কী হলো?? ওর ঘুমতো এতো গাড় না। রুমে এলেই ওর ঘুম ভেঙে যাওয়ার কথা। কিছু গড়বড় আছে) মেঘলা,,,,,, এই মেঘলা,,,,
(ও মাই গড এতো সেন্সলেস হয়ে গেছে। কখন থেকে সেন্সলেস হয়ে আছে আল্লাহ জানে। পানির ছিটা দিলাম তাও জ্ঞান ফিরছে না। তাড়াতাড়ি ডক্টরকে কল দিলাম। কল দিয়ে নিজেই জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করছি। একটু পরই ডক্টর চলে এলো। মা আর চাঁদও চলে এসেছে।)
ডক্টরঃ কখন হয়েছে??
আকাশঃ জানি না আমি অফিস থেকে এসে মনে করেছি ঘুমিয়ে আছে। এখন খাবার জন্য ডাকতে গিয়ে দেখি সেন্সলেস হয়ে আছে।
ডক্টরঃ বিপি একদম লো,,,, মনে হয়না সারাদিনে কিছু খেয়েছে।
আকাশঃ কীহ্ ,,,,,
ডক্টরঃ হুম,,,,,,,শরীর একদম দূর্বল তার ওপর না খেয়ে থাকায় বিপি লো হয়ে সেন্সলেস হয়ে গেছে। উনার খাওয়া দাওয়ার ওপর খেয়াল রাখবেন। আমি ইনজেকশন দিয়ে দিয়েছি কিছুক্ষণের মধ্যে জ্ঞান ফিরবে। জ্ঞান ফিরলে কিছু খাইয়ে এই ঔষধ খাইয়ে দিবেন।
আকাশঃ ওকে ডক্টর,,, (ডক্টর চলে গেলো)
মাঃ তুই কী কিছু বলেছিস???
আকাশঃ নাহ্
মাঃ তাহলে এমন কেন করবে ও?? আর তুইও কেমন তেরা তেরা কথা বলছিলি তখন।
চাঁদঃ মা চলোতো ওদের ঝামেলা ওদের বুঝতে দাও।(মাকে জোর করে নিয়ে এলাম। এরা নিশ্চিত ঝগড়া করেছে। ভাবির চোখ মুখ এলার্জির জন্য এমন হয়নি বরং কান্নার জন্য হয়েছে)
আকাশঃ আমারই ভুল হয়েছে। ফোনটা ধরা উচিত ছিলো। আমারতো মনেই ছিলো না এটা একটু বেশি ইমোশনাল।
মেঘলাঃ(চোখ খোলতে ইচ্ছে করছে না। এত দূর্বল লাগছে কেন?)
আকাশঃ (হয়তো জ্ঞান ফিরছে,, নড়াচড়া করছে) মেঘলা শুনতে পাচ্ছো??
মেঘলাঃ কে,,,??
আকাশঃ আমি,,,
মেঘলাঃ( চোখ খোলে আকাশকে দেখে তাড়াতাড়ি ওঠে বসতেই মাথা ঘুরে ওঠলো পড়ে যাওয়ার আগেই আকাশ ধরে ফেললো। আকাশের বুকে গিয়ে পড়লাম। জড়িয়ে ধরলাম আকাশকে)
আকাশঃ এখনই আবার পরে যাচ্ছিলে। সেন্সলেস হও কিভাবে??
মেঘলাঃ আমিতো ঘুমিয়েছিলাম।
আকাশঃ ঘুমিয়ে ছিলো,,, সারাদিনে কিছু খাওনি কেন??
মেঘলাঃ আপনি আমার ফোন রিসিভ করেননি কেন??
আকাশঃ চলো ফ্রেস হয়ে খেয়ে নিবে(কোন কথা বলতে না দিয়ে কোলে তোলে ওয়াশরুম নিয়ে হাতমুখ ধুয়ে আনলাম। খাবার খাইয়ে দিতে নিলাম) হা করো,,,
মেঘলাঃ আপনি আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলছেন না কেন??
আকাশঃ ওর দিকে তাকালাম (কী হাল হয়েছে একদিনে?? এখনো চোখমুখ ফুলে আছে। মনে হচ্ছে জামাই মরছে আর মরা কান্না কাঁদছে) তাকিয়ে বলছি হয়েছে এখন হা করো।
মেঘলাঃ (খাবার মুখে নিলাম) আসলে আমি,,,
আকাশঃ আগে খাওয়া শেষ করো পরে কথা বলো,,
মেঘলাঃ(চুপচাপ খেতে লাগলাম। খাওয়া শেষে মেডিসিন খাইয়ে উনি চলে যেতে নিলে হাত টেনে ধরলাম) কোথায় যাচ্ছেন??
আকাশঃ তুমি শুয়ে পরো আমি প্লেট নিচে রেখে আসছি।(আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে নিচে চলে এলাম। ফিরে এসে দেখি সেভাবেই বসে আছে) কী হলো শুয়ে পড়ো??
মেঘলাঃ আসলে গতকাল আমি ইচ্ছা করে এমন করিনি তখন আমার কী,,,,,,,
আকাশঃ সরি,,,,, ভুলটা আমার ছিলো তোমার অনুমতি ছাড়া এত কাছে যাওয়া ঠিক হয়নি। সরি,,,, আর কখনো এমন ভুল হবে না।
মেঘলাঃ(উনার হাত টান দিলাম। উনি আমার ওপর এসে পরলেন আর আমি বেডে।) বললামতো আমি ইচ্ছে করে এমন করিনি। কী হয়েছিলো আমি নিজেই জানি না। আমিওতো,,,,,,,
আকাশঃ তুমিওতো কী??
মেঘলাঃ(আমিও তো ভালোবাসি আপনাকে,,, নিজের করে পেতে চাই। সেটা কিভাবে বলবো??)
আকাশঃ কী হলো বলো??
মেঘলাঃ কিছু না,,,,,,
আকাশঃ ঠিক আছে ঘুমিয়ে পড়ো।
মেঘলাঃ(উনি ওঠে চলে যেতে নিলে উনার শার্টের কলার ধরে উনার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলাম)
আকাশঃ(আমার চোখ একেকটা রসগোল্লার মতো হয়ে গেছে। এটা কী মেঘলা নাকি অন্যকেউ?? কেমন পাগলের মতো কিস করছে। আমি আর কতক্ষণ নিজেকে সামলে রাখতে পারবো। আমিও কিস করতে লাগলাম।)
মেঘলাঃ( অনেক সময় পর ছেড়ে দিলাম আর উনি ওঠে চলে যাচ্ছিলেন আবার হাত টেনে ধরলাম) এখনো রেগে আছেন??(অসহায়ভাবে তাকিয়ে)
আকাশঃ নাহ্ (আবার ওর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিলাম।)
মেঘলাঃ(অনেকসময় পর ছাড়িয়ে নিতে চাইলাম কিন্তু উনি ছাড়ছে না। কিছুক্ষণ পর নিজেই ছেড়ে দিলেন)
আকাশঃ এমন মিষ্টি পেলে কেউ রাগ করে থাকতে পারে??(দুষ্ট হাসি দিয়ে)
মেঘলাঃ(উনার কথা শুনে মাথা নিচু করে ফেললাম লজ্জায়। এটা আমি করেছি বিশ্বাসই হচ্ছে না)
আকাশঃ(ওর কপালে একটা কিস করে বুকে নিয়ে শুয়ে পড়লাম) এখন ঘুমিয়ে পড়ো তোমার শরীর অনেক দূর্বল।
মেঘলাঃ ঘুমাবো না,,,,,,।
আকাশঃ কীহ্ ,,, (মাথা উচু করে ওর দিকে তাকালাম) তাহলে কী করবে??
মেঘলাঃ আপনি গল্প বলবেন আমি শুনবো।
আকাশঃ তুমি কী বাচ্চা,,,??
মেঘলাঃ আপনার বয়স কতো???
আকাশঃ ২৮,,,,,, কেন??
মেঘলাঃ আর আমার ২০ বছর। আপনার থেকে ৮ বছরের ছোট,,,,, তাহলে আমি আপনার সামনে বাচ্চাই।
আকাশঃ আসছে,,, বাচ্চা,,, ঠিক সময়ে বিয়ে দিলে তোমার ৪-৫ বাচ্চা থাকতো।
মেঘলাঃ কীহ্ ,,,,,,,
আকাশঃ কীহ না জী ,,,,,,,,, এখন ঘুমাবে নাকি বাচ্চা নেওয়ার,,,,,,,,,,,,
মেঘলাঃ আপনি খুব পঁচা,,,,,
আকাশঃ আমি জানি এখন ঘুমাও,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,
(দেখতে দেখতে রিয়াদ-লিজা আর মাহিন -চাঁদের এনগেজমেন্ট হয়ে গেলো। মাহিন আর রবিন নিজেদের হাফ-বউ(মাহিনের) আর বউকে (রবিনের) প্রতিনিয়ত মানানোর চেষ্টা করছে। আর রিয়াদ আর আকাশ চুটিয়ে প্রেম করছে। চাঁদ মাহিনের সাথে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলে না। আর রুপ রবিনের সাথে স্বাভাবিক থাকলেও শুধু নিজেই দ্বায়িত্ব পালন করছে এর বাইরে কিছু না। রবিন প্রতিটা মুহূর্তে রুপের খেয়াল রাখছে। আজ রিয়াদ আর লিজার বউভাত ছিলো। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো রিয়াদ আর লিজাকে,,, লিজাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য গাড়িতে তুলে দিয়েই আকাশ-মেঘলা, মাহিন-চাঁদ সবগুলো ওধাও। আকাশের সাথে রবিনের সম্পর্ক অনেকটা আগের মতো হয়ে গেছে।)
চাঁদঃ কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন বলুনতো?? ওদের যেতেও দিলেন না আগে,,,,,
মাহিনঃ,,,,,,,,,,,,।
চাঁদঃ যতসব ঢং,,,,
মাহিনঃ(ওর চোখ বেধে দিলাম।)
চাঁদঃ আরে চোখ কেন বাঁধছেন??
মাহিনঃ একটু পরই বুঝতে পারবে।
চাঁদঃ (চোখ খোলে দিতেই আস্তে আস্তে সামনে তাকালাম। একটা খোলা মাঠের মাঝখানে ফুল আর বেলুন দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো ছোট একটা ঘরের মতো,,,,,, ঘরের চারপাশ খোলা,,,, শুধু ওপরে টিনের চালা। সারা মাঠে জোনাকি পোকা উড়ছে। এত সুন্দর জায়গা কখনো দেখিনি আমি। দৌড়ে ঐ ঘরের কাছে গেলাম। ঘরের ভেতরে পা রাখতেই ওপর থেকে ফুল ঝরে পড়লো মাথায়। ঘরের মাঝে টেবিলে একটা কেক রাখা। সারাটা ঘর অসংখ্য মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখা,,,, কোন বৈদ্যুতিক লাইট নেই তাই আরো সুন্দর লাগছে। এত সৌন্দর্য দেখে মাহিনের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। ওকে খোঁজতে পিছনে ফিরতেই মাহিন আমার সামনে একগুচ্ছ লাল গোলাপ নিয়ে হাটু গেঁড়ে বসে পড়লো।)
মাহিনঃ তোমাকে প্রথম যেদিন আমাদের বাড়িতে দেখেছিলাম মনে হয়েছিলো আকাশের চাঁদ আমাদের ভাঙা ঘরে নেমে এসেছে। ভালো লেগেছিলো। কিন্তু যত তোমাকে কাছ দেখতে লাগলাম,,, তোমার বাচ্চামিগুলো দেখতে লাগলাম ,,,, কখন ভালোবেসে ফেলেছি বুঝতেই পারিনি। কিন্তু আমি যে তোমার যোগ্য নই তাই নিজের মনেই সব কবর দিয়ে দিয়েছিলাম। যখন জানলাম তুমিও আমাকে ভালোবাসো কষ্টটা বেড়ে গেলো হাজার গুনে কিন্তু আমার করার কিছুই ছিলো না। তাই কষ্ট দিয়েছি তোমাকে দূরে চলে যেতে চেয়েছি। এই ভুলটা কী মাফ করা যায়না চাঁদ। ভালোবাসি তোমাকে কতটা বলে বুঝাতে পারবো না।
চাঁদঃ (আমি মনে করেছিলাম উনি আমাকে ভালোবাসে না। কিন্তু উনিতো আমার আগে থেকেই,,,,,,,,। ফুলগুলো নিয়ে জড়িয়ে ধরলাম উনাকে) ভালোবাসি,,,,
মাহিনঃ(অনেকটা সময় এভাবেই কাটলো।) চলো তোমার ফেবারিট চকলেট কেক কাটি।
চাঁদঃ হুম,,,,,
মাহিনঃ(কেক কেটে আমি ওকে খাইয়ে দিলাম আর ও আমাকে। ওর ঠোঁটের কোণে লেগে থাকা চকলেট আঙ্গুল দিয়ে নিয়ে খেয়ে নিলাম। লজ্জা পেয়ে জড়িয়ে ধরলো আমাকে) তোমাকে বুকে নিয়ে বাকি জীবন কাটাতে চাই,,,,
চাঁদঃ আমিও এই বুক মাথা রেখেই বাকি জীবন কাটাতে চাই।
,,,,,,,,
মেঘলাঃ এখনই বাসায় চলে আসলেন কেন?? একটুপর সবার সাথেই আসতে পারতাম।
আকাশঃ (ওর কথার কোন উত্তর না দিয়ে বাসার ভিতরে আসলাম)
মেঘলাঃ বাসা অন্ধকার কেন?? শুনছেন,,, (লাইট জ্বলে ওঠতেই আমি অবাক হয়ে গেলাম সামনে তাকিয়ে। পাশে তাকিয়ে দেখি আকাশ নেই)
চলবে,,,,,,,,