এক সমুদ্র ফুল পর্ব-১৬

0
3510

#এক_সমুদ্র_ফুল
#পর্ব_16
Writer::Shaanj Nahar Sanjida


বাসায় সবাই বসার রুমে বসে আছে।আলো সমুদ্রের কোলে বসে আছে। ও নাকি ওর ফুপাকে দেখবে।কিন্তু আলো অপরিচিত মানুষ দেখলে ভয় পায়।তাই শুধু দেখেই সমুদ্রের কোলে ঘাপটি মেরে বসে আছে।এদিকে সবাই ওর সাথে কথা বলার,ভাব করার চেষ্টা করছে।কিন্তু ও ওর মন চাইলে কথা বলছে না মন চাইলে চুপ করে বাবার বুকে গিয়ে মুখ লুকাচ্ছে। শাহাদাত আঙ্কেলরা এসে সবার সাথে কথা বার্তা বলছে।আমি গিয়ে চুপ করে উনার ছেলেকে দেখে আসলাম।দেখে আবার সোনালী আপুর রুমে ঢুকলাম।

আপু।ভাবী দেখে আসছি!(আমি রুমে ঢুকে)

কেমন দেখতে রে ফুল।(সোনালী কৌতূহল নিয়ে)

সোনালী!😏(আমি আর মিতু)

ওই এমনি একটু জানতে চেয়েছি।(সোনালী লজ্জা পেয়ে)

তাই নাকি!থাক আর লজ্জা পেতে হবে না।ফুল বল না ছেলেটা কেমন দেখতে!(মিতু)

একটুও ভালো না।কালো,খাটো,ইয়া বড় ভুরি ওলা।মুখ যেনো গলার সাথে লেগে আছে।তবে হ্যা গুলুমুলু কিউট ফেস।(আমি খুব সুন্দর করে মিথ্যা বললাম)

কিহ!(মিতু ভাবী আমার কথা বুঝে গেছে তাই আমার সাথে তালে তাল মিলিয়ে)সোনালী তুই তো শেষ।তবে ছেলে ভালো হলেই তো হলো।(মিতু)

কি ভালো হা!আমি ওই কালো,, খাটো, ইয়া বড় ভুরি ওলাকে কিছুতেই বিয়ে করবো না। হুঃ!(সোনালী কাদো কাদো হয়ে)

কেনো আপু?কালো,, খাটো উনারা কি মানুষ নয়!উনাদের কি মন নেই।ভালো চেহারার মানুষকে ভালোবেসে তো দেখেছো।কি হলো!এইবার না হয় উনাকে ভালবেসে দেখো।ভালো মানুষ মনের দিক থেকে হয় চেহারা তো শুধু বাহিরের আস্তরণ।(আমি সোনালী আপুর পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে)

বাহ!ফুল।সোনালীকে এইবার তুই ঠিকই ঠিক রাস্তায় আনবি।এইবার ও বুঝতে পারবে। মানুষের চেহারাকে নয় মানুষকে ভালোবাসতে হয়।(মিতু মনে মনে)

তাও ঠিক।তুই ঠিকই বলেছিস।মানুষের মনটাই আসল।উনার মন যদি ভালো হয় তাহলে সারা জীবন সুখে থাকা যাবে।চল এখন আমাকে নিয়ে চল।
বলেই সোনালী আপু উঠলো।

ফুল তুই পারিসও।(মিতু ফিসফিস করে)

আফটার অল আমি ফুল।(আমি প্রাউড ফিল করে)


নিচে
আমি আর মিতু ভাবী সোনালী আপুকে নিয়ে বসালাম।সোনালী আপু যতই বলুক উনি অ্যাকসেপ্ট করেছেন।কিন্তু মনে মনে উনার অনেক কষ্ট হচ্ছে।তাই তো উনি মাথা উচু করে একবারও উনার হবু বরের দিকে তাকিয়ে দেখছে না।যদি দেখতো সেখানেই অবাক হয়ে যেতো। যাই হোক উনি দেখে নি এটা উনার সমস্যা।আমার কি!😁

ভাবী মেয়ে তো আমাদের অনেক পছন্দ হয়েছে।(শাহনাজ বেগম– শাহাদাত আঙ্কেলের স্ত্রী)

উনারা তিনজন আর উনার দাদা দাদী এসেছেন মেয়েকে দেখতে।

আমাদেরও।ভারী মিষ্টি দেখতে।(দাদী মা)

তোমাদের পছন্দ হলে হবে। ছেলে মেয়েদেরও তো পছন্দ হতে হবে।(শাহাদত)

তাহলে আমরা বরং ওদের আলাদা কথা বলার জন্য সময় দেই।(আরমান)

ঠিক বলেছো বাবা।ফুল তুই সোনালী আর ওকে নিয়ে যা তো।(সমুদ্র)

ঠিক আছে।চলো আপু।
বলেই আমি সোনালী আপু আর তার হবু বরকে ছাদে নিয়ে গেলাম।

আর মিতু ভাবী তাদের খাবার দাবারের খেয়াল রাখছে।বাকি সবাই কথা বার্তা বলছে।

আমি উনাদের ছাদে দিয়েই চলে আসসালাম।এসেই আমি সমুদ্রের পাশে বসলাম।ওমনি আলো সমুদ্রের কাছ থেকে এসে আমার কোলে বসলো

মা।খাবার খেয়েছো?(আমি আলোর কপালের চুল গুলো কানের পিছে গুজে দিয়ে)

হুম আম্মু।আব্বু বাজার থেকে এসেই আমাকে খাইয়ে দিয়েছে।তুমি তো ফুপিকে নিয়ে ব্যাস্ত ছিলে।(আলো)

ধন্যবাদ।(আমি)

এমন ভাবে বলছিস যেনো ও অন্য কারো মেয়ে।আমার মেয়েকে আমি খাইয়ে দিয়েছি।এতে ধন্যবাদের কি হলো?(সমুদ্র মুচকি হেসে)

মেয়ে তাই না!সত্যিই একটা বাচ্চার জীবনে পরিবার খুব দরকার।কিন্তু আলোর প্রতি এতো মায়া থাকলে আমি কি করবো!এই টানাপোড়ন সংসারের কি হবে আমার!(আমি মনে মনে)


ছাদে
আচ্ছা।আপনি কি এই বিয়েতে রাজি না।(ছেলেটা)

না না।তেমন কিছু না।(সোনালী নিচের দিকে তাকিয়ে)

তাহলে আপনি আমার দিকে তাকিয়ে দেখছেন না কেনো?আসার পর থেকেই দেখলাম নিচের দিকে তাকিয়ে আছেন।আমি কি দেখতে এতটাই খারাপ!(ছেলেটা)

না।আসলে
বলেই সোনালী উপর দিকে তাকালো।আর তাকাতেই এক দফা ক্রাশ খেয়ে গেলো।ওর সামনে যে দাড়িয়ে আছে সে কোনো কালো,,খাটো ইয়া বড় ভুরি ওলা ব্যাক্তি না।উনি খুবই সুদর্শন একটা লোক।তাহলে ফুল!ফুল কি আমাকে মিথ্যা কথা বললো!ফুল আজ তোরে খাইছি!অসভ্য মেয়ে।(সোনালী মনে মনে ফুলকে একশোটা গালি দিয়ে)


একই সময়ে
আমি চা খাচ্ছি এমন সময় কাশি দিয়ে উঠলাম।

কি হয়েছে ফুল!তুই ঠিক আছিস তো!(সমুদ্র)

বড়রা বলে খাবারের সময় কেউ কাশি দিলে তাকে নাকি কেউ মনে মনে বকে।আম্মু তোমাকে কে বকছে?(আলো বিস্কুট খেতে খেতে)

কেউ না মা।তুমি খাও।আর এইসব কুসংস্কার।এসব বিশ্বাস করতে নেই।(আমি)

কে বকছে তাতো আমি ভালো করেই জানি।সোনালী আপু নির্ঘাত ছেলেটার চেহারা দেখে এখন মনে মনে আমাকে একশোটা গালি দিচ্ছে।(আমি মনে মনে)


ছাদের
আচ্ছা আমি তো আপনার নাম জানি।আপনি কি আমার নাম জানেন?(ছেলেটা)

সোনালী মাথা নেড়ে না বললো।

আমার নাম সায়ান হোসেন।(সায়ান)

ওহ!(সোনালী)

নামটা কি আপনার পছন্দ হয়নি!(সায়ান)

না না।অনেক সুন্দর নাম।(সোনালী)

জানেন আপনি আমার জীবনের প্রথম মেয়ে যাকে আমি ভালোবেসেছি।প্রথম দেখাতেই আপনাকে আমার ভালো লেগেছে।আপনার দুষ্টামি যেনো আমার মন কেড়ে নিয়েছে।আমি বুঝে গেলাম আপনিই আমার কাঙ্ক্ষিত জন।(সায়ান)

সোনালী অবাক হয়ে শুধু সায়ানের কথাগুলো শুনছে।

সায়ান!(সোনালী)

জ্বি।বলুন।(সায়ান)

আমি আপনাকে কিছু কথা বলতে চাই।হয়তো এইটা শুনলে আমার প্রতি থাকা আপনার সব ধারণা পাল্টে যাবে।হয়তো আপনি এই বিয়েটাও ভেঙ্গে দিতে চাইবেন।তবুও আমি সব সত্যিই আপনাকে বলতে চাই।
বলেই সোনালী রাকিবের ব্যাপারে সব সায়ানকে বললো।

সব শুনে সায়ান কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো
বাহ!আগে জানতাম আপনি দুষ্টু।এখন দেখছি আপনি সেই রাগী।বিয়ের পর না জানি আমার কি হাল করেন আপনি!(সায়ান হেসে)

বিয়ের পর?তার মানে আপনি আমাকে খারাপ ভাবেন নি?(সোনালী অবাক হয়ে)

সবার জীবনেই কম বেশি প্রাক্তন থাকে।তাই বলে কি সবাই খারাপ!তবে হ্যা আপনার প্রথম ভালোবাসা যদিও হতে পারিনি।শেষ ভালোবাসা হওয়ার একটা সুযোগ দিবেন।
বলেই সায়ান সোনালীর সামনে হাঁটু মুড়ে বসে বললো
মিস সোনালী!will you marry me?

ইয়েস।
বলেই সোনালী হেসে দিলো।

পরেই দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরলো।


নিচে
আমরা সবাই বসে আসি।এমন সময় সোনালী আপু আর তার হবু স্বামী নিচে নেমে এলো।দেখে খুব খুশিই মনে হলো দুজনকে।

আচ্ছা।ছেলেটার নাম কি?(আমি ফিসফিস করে)

তুই এখনও ছেলেটার নাম জানিস না!ওর নাম সায়ান।(সমুদ্র)

ও আচ্ছা।মনে হয় ওরা রাজি।(আমি)

আমারও মনে হয়।(সমুদ্র)

আমি আর মিতু ভাবী সোনালী আপুর কাছে গিয়ে দাড়ালাম।

কি হয়েছে?সব বলেছো?(আমি ফিসফিস করে)

হুম।আর উনি আমাকে ভুল বুঝে নি।(সোনালী লজ্জা পেয়ে)

বিয়ে এখনও ঠিক হয়নি।আর উনি নতুন বউয়ের মত লজ্জা পেয়ে বসে আছে।হইছে আর লজ্জা পেতে হবে না।(মিতু)

হয়নি তো কি হয়েছে?হয়ে যাবে।(সোনালী)

তুমি রাজি?(আমি অবাক হয়ে)

হ্যা রাজি?(মিতু)

সোনালী মাথা নেড়ে সম্মতি দিল।
ইয়েস!
বলেই আমি আর মিতু ভাবী আহ্লাদে উতলা হয়ে উঠলাম।পরেই বড়োদের সামনে নিজেকে সংযত করলাম।

বাবা দাদু।আমি বিয়েতে রাজি।(সায়ান উনাদের কাছে গিয়ে)

তাহলে তো এক ধাপ এগিয়ে গেলো।এখন মেয়ে কি রাজি!(শাহনাজ)

হ্যা হ্যা।মেয়ে রাজি!এক পায়ে রাজি।(মিতু)

এক পায়ে না হলে দুপায়েও রাজি।(আমি হাসতে হাসতে)

হ্যা হ্যা।(সবাই হেসে)

তাহলে তো কথাই নাই।দিন তারিখ ঠিক করা যাক।তাড়াতাড়ি আমরা বিয়ে করে মেয়েকে আমাকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাই।(দাদীমা)

বাবা।উনারা কি ফুপি কে নিয়ে যাবে!(আলো মুখ গোমড়া করে)

হুম মা।ঐযে ওই লোকটাকে(সায়ান) দেখছো!উনি তোমার ফুপি কে বিয়ে করে তাদের বাড়ি নিয়ে যাবে।(সমুদ্র)

কিন্তু উনি তো আমার ফুপা হোন।উনি আমার ফুপি কে নিয়ে যাবে?ফুপাতো ভালো মানুষ হয়,তাই না বাবা!(আলো)

যে তোমার ফুপি কে বিয়ে করবে সেই তোমার ফুপা হবে।আর সেই তোমার ফুপি কে নিয়ে যাবে!(সমুদ্র)

তার মানে ফুপা ভালো লোক না।উনি আমার ফুপি কে নিয়ে যাবে!আমি দেবো না আমার ফুপি কে।আমার ফুপি আমার কাছেই থাকবে।(আলো মনে মনে)

বিয়ের দিন তারিখ তো ঠিক হবেই।কিন্তু তার আগে হবে মিষ্টি মুখ।
বলেই মস্ত বড় এক মিষ্টির থালা নিয়ে আসলো মিতু।

খুব ভালো করেছিস।আগে মিষ্টি মুখ পরে বাকি কথা।
বলেই আয়শা একটা মিষ্টি নিয়ে শাহনাজের মুখে দিয়ে দিলো।

সবাই হাসি মজা করছে।এমন সময় সায়ান গিয়ে একটা মিষ্টি সমুদ্রকে খাইয়ে দিল। সমুদ্রও মিষ্টি এনে সায়ানকে খাইয়ে দিতে দিতে বললো
খেয়াল রেখো আমার পাগলী বোনটার!

পরেই একটা মিষ্টি নিয়ে আলোর কাছে গেলো সায়ান।

এই যে পিচ্ছি মামনি।এই নাও তোমার মিষ্টি
বলেই যেই আলোকে সায়ান মিষ্টি খাওয়াতে যাবে ওমনি আলো সায়ানের হাত হেচকা মেরে হাত থেকে মিষ্টিটা ফেলে দিলো।

আলো!এইসব কি বেয়াদবি!আমি কি তোমাকে এই শিক্ষা দিয়েছি!(আমি ধমক দিয়ে)

আমার ধমক শুনে আলো দৌড়ে গিয়ে সোনালী আপুর পিছে লুকিয়ে উনার শাড়ি খামছে ধরলো।

ফুপির পিছনে লুকিয়ে লাভ নেই।বাহিরে এসে ফুফাকে সরি বলো!(আমি রেগে)

না থাক বাচ্চা মানুষ ভুল করে ফেলেছি।(সায়ান আমাকে শান্ত করার চেষ্টা করে)

না ভাইয়া।শিক্ষা ছোটো থেকেই দেয়া উচিত।কি হলো আলো!কথা কি কানে যায় না!(আমি আরো জোড়ে ধমক দিয়ে)

না।আমি সরি বলবো না!উনি পঁচা আঙ্কেল!(আলো কাদতে কাদতে)

কেনো মা?উনি কি করেছে তোমার সাথে!(সমুদ্র আলোর কাছে গিয়ে)

আলো সমুদ্র থেকে দূরে সরে গিয়ে সোনালী আপুর শাড়ি আরো খামছে ধরলো।ধরেই কেঁদে দিলো।

আমরা সবাই আলোর কান্না দেখে অবাক হয়ে গেলাম।

উনি পঁচা আঙ্কেল।উনি আমার ফুপিকে কেনো নিয়ে যাবে?আমি দেবো না আমার ফুপিকে।ফুপি খালি আমার গাল ধরে টানে,,আমার সাথে খালি ঝগড়া করে,,আমার একটুও ভালো লাগে না।কিন্তু ফুপি আমাকে সব থেকে বেশি আদর করে।যখন আম্মু বকে তখন ফুপি আমাকে আম্মুর বকা থেকে বাঁচায়।আমার জন্য সব সময় স্কুল(সোনালীর ভার্সিটিকে আলো স্কুল বলে)থেকে আমার জন্য অনেক রকম,,এতো গুলো(হাত দিয়ে দেখিয়ে) চকোলেট নিয়ে আসত।আম্মু বরণ করলেও ফুপি চুপি চুপি আমাকে আইস ক্রিম কিনে দিতো।আমাকে নিয়ে বেড়াতে যায়,,পার্কে ঘুরতে নিয়ে যায়,,বাগানে আমার সাথে ঘর ঘর খেলে।আর উনি বলছেন উনি আমার ফুপি কে নিয়ে যাবে? আম্মু বলেছে ফুপা ভালো লোক হয়।কিন্তু উনি তো খারাপ উনি কিছুতেই আমার ফুপা না।আমি আমার ফুপিকে দেবো না।
বলেই আলো সোনালী আপুকে জড়িয়ে ধরে কাদতে শুরু করলো।

সোনালীও আলোকে কোলে নিয়ে কাদতে শুরু করলো।

আলোমনি।তুই আমাকে এতো ভালোবাসিস আগে বলিস নি কেনো?আমি ভাবতাম তুই আমাকে দেখতেই পারিস না।তুই চাস আমি যেনো চলে যাই।আর আজ যখন যাওয়ার কথা আসলো তখন তুই নিজের মুখ খুলে আমাকে দূর্বল করে দিলি!(সোনালী কাদতে কাদতে)

ফুপি তুমি যেও না।আমি তোমাকে আর বিরক্ত করবো না।তোমার সব কথা শুনবো।আর ঝগড়া করবো না।তোমাকে আমার গালও টানতে দেখবো।(আলো সোনালীকে জড়িয়ে ধরে)

সবার চোখেই ওদের দেখে জল।আমার চোখেও ওদের দেখে জল গড়িয়ে পরলো।
আমার মেয়েটা এই পরিবারের সবার সাথে জড়িয়ে গেছে।এইটাই তো ওর পরিবার। কারো বিচ্ছেদ ওর কাছে অনেক বড় ধাক্কার মত।যখন আমি ওকে নিয়ে এই পরিবার ছেড়ে চলে যাবো!তখন কি আলো আমাকে ক্ষমা করতে পারবে আমায়।আমি ওকে ওর এই পরিবার,,এই আদর থেকে বঞ্চিত করছি বলে।আমি কি করবো?এই পরিবারের সাথে থাকবো,,ভুলে যাবো সব?না আলোকে নিয়ে এক নতুন পৃথিবী শুরু করবো!কি করবো আমি?(আমি আলোর কান্না মাখা মুখের দিকে তাকিয়ে)


চলবে,,