#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….4
সুমি,,,,,,,, শান্ত হ,,,,, পিল্জ কোনো জামেলা করিস না। চুপচাপ পার্টি ইনজয় কর না।
মাহুয়া,,,,,,,,, আপনাকে আমি পড়ে দেখে নিবো।
সবাই পার্টিতে আসে,, সবার সামনে রিমানের গান লঞ্চ করা হয়। রিমান ও তার পরিবার সবার ছবি তুলা হয়। যখন তিন জনে এক সাথে ছবি তুলার জন্য স্টেজে যায় তখন মেয়েদের আওয়াজের গতিটা একটু বেড়ে যায়। তিনজনকে বন্ধু মনেই হচ্ছে না। মনে হচ্ছে তিনজন ভাই। ছবি তুলা শেষে রিমানকে গান গায়তে বলা হয়।
রিমান মাহুয়ার দিকে তাকায়, যেখানে ড্রিংকস করা হয় সেখানে গিয়ে হেলার দিয়ে দাঁড়িয়ে পুরো একটা বোতল দিয়ে ড্রিংকস করছে। অন্য কিছু না কলড্রিংক খাচ্ছে।
রিমান মাহুয়ার দিকে তাকিয়ে রোমান্টিক একটা গান গায়। গানটা ছিলো “মহাবত ছে নেহি বাকিফ, বহোত আনজান লাগতি হো ”
গান গায়তে গায়তে রিমান মাহুয়ার সাইডে এসে দাঁড়ায়, সবার চোখের আড়ালে মাহুয়াকে একটা চোখ টিপ দেয়।
মাহুয়া,,,,,,,,, বান্দর একটা, তবে গানের কন্ঠ আছে বলতে হবে৷ এক মিনিট আমি যদি ওর বউ হয়, তারপর যদি ও আমাকে কোনো বড় একটা সো তে নিয়ে যায় আর ঐখানে যদি আমাকে গান গায়তে বলা হয় তখন। আমার যে কন্ঠ শুনে সবাই দৌড়ে পালাবে। দূররর কি ভাবছি ওকে বিয়ে করলে তো।
ফারহান দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলছে। একজন দূর থেকে ফারহানকে পর্যবেক্ষণ করছে।
রাইসা,,,,,,,,, ঐ ছেলেটা কে।
,,,,,,,,,,, মেম ও রিমান স্যার এর বন্ধু, ফারহান খান। কিছু দিন পরে রোহান খানের অফিসের নতুন সিও হবে। রোহান খানের এক মাত্র ছেলে।
রাইসা,,,,,,,,, ওকেই,,, ওর সম্পত্তির উপর আমার কোনো লোভ নেয়, আমার কি কম আছে। তবে ওর উপর আছে। হেন্সাম বয়।
রাইসা ফারহানের কাছে যায়।
রাইসা,,,,,,,,,, ও হ্যালো মিঃ,,,,(হাত বাড়িয়ে)
ফারহান,,,,,,,, ফারহান (হেন শেখ করে)
,,,,,,,, আমি রাইসা। আপনার সাথে কিছু কথা ছিলো, বিসনেজ এর বিষয়ে।
,,,,,,,,,,,, কি কথা।
,,,,,,,,,, রাইসা কোম্পানি তো চিনেন তাই না। আর আমি সে কোম্পানির সিও, আমরা আপনার প্রডাক্ট এ ইনভেস্ট করতে চায়। আর আমার মনে হয় না এখানে কথা বলা ঠিক হবে।
,,,,,,,,,, অন্য দিন অন্য কোথাও মিটিং করলে ভালো হয়।
,,,,,,, ওয়াও দেস গ্রেট। ইউর নাম্বার।
ফারহান রাইসাকে তার নাম্বার দেয়। তারা কথা বলতে থাকে, ঐ দিকে একজনে জ্বলে পুরে ছাই হয়ে যাচ্ছে।
রিমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু তামাশা দেখছে। তখন একটা ছেলে আসে, ড্রিংক নিয়ে।
,,,,,,,,,, হ্যালো মিস্ রিমি। এটা আপনার জন্য। (গ্লাসটা আগে বাড়িয়ে)
,,,,,,,,,,,, সরি বাট আমি ড্রিংক করি না।
,,,,,,,,,, ডোন্ট ওয়ারি,, এটা জাস্ট জুস।
,,,,,,,, ও ওকে,, থেংস। (গ্লাসটা নিয়ে)
,,,,,,,,, ইউ লুক বিউটিফুল টু ডে।
,,,,,,,,,, থেংস।
,,,,,,,,,, ও আই এম রনি (হাত বাড়িয়ে)
রিমি হাত বাড়াতে নেয়, পিছন থেকে ফারহান হাত বাড়িয়ে, ঐ ছেলের সাথে হাত মিলায়।
ফারহান,,,,,,,,,, হ্যালো৷ আই আম ফারহান।
ফারহান রনির হাত জোরে শক্ত করে ধরে। ছেলেটা ছাড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। রিমি ফারহানের হাতটা ধরে ছুটিয়ে নেয়।
রিমি,,,,,,,,, ও বুঝে গেছে, আপনি ফারহান, হাতটা ছাড়ুন পিল্জ।
হাত ছাড়তেই রনি চলে যায়। ফারহান রিমির হাত থেকে জুসটা নিয়ে, খেয়ে টেবিলে রেখে দেয়।
ফারহান,,,,,,,,, কতো বার বলেছিনা, অচিনা কারো সাথে কথা না বলতে।
রিমি,,,,,,,,,,,, আচ্ছা ঐ মেয়েটা কে।
,,,,,,,,, কোন মেয়েটা।
,,,,,,,,, কিছু ক্ষন আগে যে মেয়েটার সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলছিলেন।
,,,,,,,,, ওওও ওনি রাইসা।
,,,,,,,,,, চিনেন নাকি।
,,,,,,,,,, না,,,, কেনো।
,,,,,,,,, ঐ মেয়ে থেকে একটু দূরে থাকবেন, মেয়েটার মতলব ভালো না।
,,,,,,,,,,, তুই জানলি কি করে (মুশকি হেঁসে)
,,,,,,,,,, দেখে বুঝা যায়।
,,,,,,,,,,, মতলব খারাপ হলেই বা কি। কথা বলতে তো কোনো আপত্তি নেয় আমার।
,,,,,,,,, আমার আছে,, (জোরে বলে,, তবে মনে মনে)
,,,,,,,,,, কিরে বল ।
,,,,,,,,,, আপনার আপত্তি না থাকলে আমার কি।। আমি কারো সাথে কথা বললে তো জোর খাটান আমার উপর। এখন আমি বলছি না শুনলে কি আর করার।
,,,,,,,,,,(আমি চাই তুই আমার উপর জোর খাটাক। আমার উপর তোর অধিকার দেখাস। আমি চাই এগুলো কবে বুঝবি) আচ্ছা এখানে চুপচাপ আমার সাথে বসে থাক।
,,,,,,,,,,,
আরাব সবার সাথে কথা বলছে। কিন্তু তার চোখ বার বার একি জায়গায় যাচ্ছে। মুন তার ড্রেসের জন্য অনেক আন কম্ফোটেবাল ফিল করছে। ড্রেসটা অনেক টাইট হওয়াতে কিছু ছেলেরা তার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে।
মুন একবার এদিক যাচ্ছে আরেক বার ঐদিক যাচ্ছে। আরাব শুধু ওকে লক্ষ করছে।
মুন,,,,,,,,,,দূররর মাকে বলেছিলাম এই ড্রেসটা পড়বো না, কে শুনে কার কথা। আমার কথার তো কোনো মূল্যই নেই। ভালো লাগছে না আর এখানে থাকতে। সব গুলোর শকুনের নজর।
বলে পিছনে ফিরে আর আরাব তার একদম মুনের সামনে এসে পড়ে, মুন চমকে যায়।
মুন,,,,,,,,,, আপনি।
আরাব মুনকে ধরে পিছনে ফিরিয়ে দেয়। মুন সামনে ফিরতে নেয়, আরাব শক্ত করে ধরে রাখে মুনকে।
মুন,,,,,,,,, কি করছেন আপনি।
আরাব,,,,,,,, চুপচাপ আমার কথা শুনো, পিছনে তোমার জামার চেইনটা ছিরে গেছে।
মুন,,,,,,,কিহহহ।
মুন আবার পিছনে ফিরতে নেয়, আরাব আবার ধরে সামনে দিকে ধরে।
আরাব,,,,,,,,, তোমার পিঠটা কি সবাইকে দেখাতে চাও নাকি।
মুন,,,,,,,,,, দাঁড়িয়ে দেখছেন কি, চেইনটা উপরে তুলে দিন।
আরাব মুনের পিছের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নেয়।
আরাব,,,,,,, ছিড়ে গেছে চেইনটা।
মুন,,,,,,,,,, এখন কি হবে (কান্না কান্না ভাব নিয়ে)
আরাব তার কোটটা খুলে, মুনের পিঠটা ঢেকে দেয়।
মুন সামনে ফিরে, হালকা হাসি দিয়ে আরাবকে থেংস বলে।
আরাব,,,,,,,,,, এভাবে হাসি দিয়ে বলার কিছু হয়নি। তোমার জায়গা অন্য কেও থাকলে আমি এটাই করতাম।
মুন,,,,,,, হুহহহ আপনার জায়গা অন্য কেও থাকলে আমিও এভাবেই বলতাম। (মুখ ভেঙিয়ে)
আরাব,,,,,,,,, চলেন এখন আপনাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বটা পালন করি।
মুন,,,,,,,,,, চলেন।
,,,,,,,,,,,
অনিক,,,,,,,, রিমান ইয়ার, মেয়েটাকে দেখ ড্রিংক করছে যেনো এটা কোন্ড ড্রিংক না অন্য কিছু। দেখ কি এটেটিউড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যাবো, একবার ট্রাই করে দেখা যাক। হতে পারে আজকের রাতটা আমার জন্য রঙিল হয়ে যাবে৷ যাবো।
রিমান,,,,,,,,, পিল্জ গো।
রিমান তাকিয়ে আছে, আনিক একটা ভাব নিয়ে মাহুয়ার কাছে যায়।
অনিক,,,,,,,,, হ্যালো মিস্ (হাত বাড়িয়ে)
মাহুয়া,,,,,,,,,, হ্যালো (অন্য দিকে তাকিয়ে)
রিমান হেসে দেয়, আনিক আস্তে করে নিজের হাতটা নামিয়ে দেয়।
আনিক,,,,,,,,,, আপনি এখানে একা দাঁড়িয়ে আছেন,, পার্টিতে একা নাকি।
মাহুয়া,,,,,,,,, হুমম, কোনো সমস্যা।
অনিক,,,,,,,,, সমস্যা থাকবে কেনো, আমার জন্য তো আরো ভালো।
মাহুয়া,,,,,,,,, মানে।
অনিক,,,,,,, আপনি ও একা আমিও একা,,, আপনি চাইলে আমরা কেও একা থাকবো না আজ। আর আমার টাকার কোনো অভাব নেয়।
মাহুয়া,,,,,,,, আমার হাতে এই বোতলটা দেখতে পারছেন, এটা আমি আপনার এমন জায়গা মারবো না যে, কোটি টাকা খরচ করেও সারাতে পারবেন না। চুপচাপ সামনে হাঁটেন। না হলে হাঁটার অবস্থায় রাখবো না।
অনিক চুপচাপ হেঁটে চলে আসে। রিমান হাসতে থাকে। হাসতে হাসতে মাহুয়ার কাছে আসে।
রিমান,,,,,,, একা একা দাঁড়িয়ে আছো যে।
মাহুয়া,,,,,,,, সবাই চলে গেছে,,
রিমান,,,,,,,,, বুঝতে পেরেছি,, রাত অনেক হয়েছে চলো তোমাকে দিয়ে আসি।
মাহুয়া,,,,,,, তাড়াতাড়ি চলেন, আমার আর এখানে ভালো লাগছে না।
রিমান,,,,,,,, তুমি দাঁড়াও আমি সবাইকে বলে আসি।
রিমান সবাইকে বলে বেরিয়ে পড়ে। বেশ কিছু ক্ষন পরে।
রিমান,,,,,,,,, একটা ছেলের সাথে এতো রাতে যাচ্ছো ভয় করছে না৷।
মাহুয়া,,,,,,,,, উল্টো পাল্টে কিছু ভাবলেও না মেরে ফেলবো।
,,,,,,,,, ওরে বাপরে আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম। যায় হোক আমার সাথে তুমি একদম সেফ।
একটু পর মাহুয়া ছটফট করতে থাকে। পা দুটোকে চেপে একবার এদিক করতে থাকে আরেক বার ঐদিক।
রিমান,,,,,,,, কি হয়েছে।
মাহুয়া,,,,,,,, বাসায় পৌঁছাতে আর কতো দূররর।
রিমান,,,,,,,, আরো আধা ঘণ্টা লাগবে।
,,,,,,,,, কিহহহ,,,, এতো ক্ষন কন্ট্রোল করা সম্ভব না।
,,,,,,,,,,, মানে।
,,,,,,,,,, আমি ওয়াস রুমে যাবো,, এক্ষুনি।
,,,,,,,, এখন আমি ওয়াস রুম কোথায় পাবো।
,,,,,,,,,,,, আমি জানি না,,, পিল্জ তাড়াতাড়ি (কান্নার মতো আওয়াজ বের করে)
রিমান জোরে গাড়ি চালায় আর আশেপাশে দেখতে থাকে।
রিমান,,,,,,,,,, এতো কোল্ড ড্রিংক পান করতে কে বলেছিলো। আচ্ছা এক কাজ করি, এখানে আশেপাশে কেও নেয়, এখানে গাড়ি দাঁড় করায়।
মাহুয়া কিছু ক্ষন রিমানের দিকে তাকিয়ে, তাকে মারতে থাকে।
,,,,,,,,,, ইস্টুপিট। এখানে দেখো কোনো হোটেল আছে কিনা।
রিমান হাই স্পিডে গাড়ি চালায়।
মাহুয়া,,,,,,,,, আআয়ায়া তাড়াতাড়ি করো।
রিমান মাহুয়ার দিকে একটা বোতল এগিয়ে দেয়।
রিমান,,,,,,,,, এটা ট্রায় করতে পারো।
মাহুয়া বোতলটা নিয়ে রিমানকে মারতে থাকে।
মাহুয়া,,,,,,,, স্টুপিট,, এরা দিয়ে আমি কি করবো।
রিমান,,,,,,,,, ওকে ওকে সরি সরি,,,
,,,,,,, চুপচাপ মুখ বন্ধ রেখে গাড়ি চালাও।
রিমান তাড়াতাড়ি একটা হোটেলের সামনে এসে গাড়ি দাঁড় করায়। রিমান কিছু বলার আগেই মাহুয়া দরজা খুলে দৌড় দেয়।
রিমান,,,,,,,,,, আস্তে আস্তে।
রিমান বাহিরে বসে অপেক্ষা করতে থাকে। কিছু খন পর মাহুয়া আসে।
মাহুয়া,,,,,,,,, চলো এবার।
রিমান মাহুয়াকে বাসায় পৌঁছে দেয়। মাহুয়া ও ঘুম ঘুম চোখে কিছু না বলে চলে যায় ভিতরে।
রিমান,,,,,,,, গুড নাইট বেবি।
মাহুয়া,,,,,,, সেটাপ (ঘুম ঘুম চোখে)
,,,,,,,,,,,
আরাব মুনকে বাসায় পৌঁছে দেয়।
আরাব,,,,,,, আপনার বাসা এসে গেছে মিস্।
মুন,,,,,,,, আমার চোখ আছে আমি দেখতে পারছি।
মুন গাড়ি থেকে নেমে, আরাবের কোর্টটা খুলে হাতে দিয়ে, চুল গুলো পিছনে দেয়।
আরাব,,,,,,, এটা অন্য দিন দিলেও চলতো।
মুন,,,,,,,, এটা নিয়ে বাসায় গেলে, সবাই অন্য কিছু ভাবতে পারে। ওকে বাই, থেংস ফর এভরিথিং।
আরাব,,,,,,,,, চাঁদ আজ কোন দিক দিয়ে উঠলো। যাই হোক ইউর ওয়েলকাম।
মুন চলে যাচ্ছে, আরাব গাড়ির ভিতর থেকে মুনের যাওয়া দেখছে। অন্ধকারে একদম চাঁদের মতোই লাগছে। আরাব চোখ ফিরিয়ে চলে যায়।
,,,,,,,,,,
ফারহান গাড়ি ড্রাইভ করছে রিমি ঘুমিয়ে শেষ। রিমি ফারহানের কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে, ফারহান এক হাত দিয়ে রিমির মাথায় হাত দিয়ে ধরে রেখেছে আর অন্য হাত দিয়ে ড্রাইভ করছে।
ফারহান রিমিকে নিয়ে বাসার সামনে এসে, রিমিকে ডাকছে, তার কোনো পাত্তাও নেয়। ফারহান গাড়ি থেকে বেরিয়ে রিমিকে কোলে নিয়ে বাসার ভিতরে যাবার পরিকল্পনা করে।
দরজার সামনে দাঁড়ায়, দরজা খুলার শব্দ পেয়ে তাড়াতাড়ি রিমিকে নামিয়ে দেয়। রিমি চমকে ঘুম থেকে উঠে।
রিমি,,,,,,,, আমি এখানে আসলাম কিভাবে,, কখন আসলাম। (এটা বলে সে আবার ঘুমিয়ে যাচ্ছে)
রিমির মা দরজা খুলে।
মা,,,,,,, গাড়ি শব্দ পেয়েই বুঝেছি তুমি অথবা রিমান এসেছে।
ফারহান,,,,,,,, জ্বী আন্টি,, রিমিকে ভিতরে নিয়ে যান না হলে সে এখানেই ঘুমিয়ে পড়বে।
সকালে,,,,,,,,,,
সবাই ভার্সিটিতে উপস্থিত হয়। আজকের আলোচনার বিষয় অনার্স প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের স্টুডেন্টদের তিনদিনের জন্য পিকনিক এ নিয়ে যাবে। এটা শুনে সবাই লাফালাফি করছে।
রিমি,,,,,,,,, আমিও যাবো। (ফারহানের দিকে তাকিয়ে)
ফারহান রিমির দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দেয়। যার মানে রিমি বুঝে যায়। মন খারাপ করে রিমানের দিকে তাকিয়ে থাকে।
রিমান,,,,,,,,,, রিমি তুই ও যাবি পিকনিকে।
ফারহান,,,,,,,, ও যাবে না।
আরাব,,,,,,, পাগল তুই রিমিকে একা পাঠাবো, কখনো না।
রিমান,,,,,,,, কে বলেছে রিমি একা যাবে, তার সাথে তার ভাই রিমান যাবে।
রিমি,,,,,,,,,৷ প্রিন্সিপাল মানবে।
রিমান,,,,,,,, সেটা আমি দেখে নিবো।
ফারহান,,,,,,,,, তাহলে আমিও যাবো।
আরাব,,,,,,,,, তোরা দুজন গেলে আমি একা থেকে কি করবো। আমিও যাবো। আর আমি প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলে নিবো।
রিমান,,,,,,,,, ওও একটা খবর দিতে ভুলে গেছি, আরাব তোমার বেন বাঝতে চলেছে।
আরাব,,,,,,,,, মানে।
রিমান,,,,,,,,, তোর মা বাবা তোর বিয়ে ঠিক করেছে, আজ বিকালে, মেয়ে দেখতে যাবে তাই তোকে তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে বলেছে।
আরাব,,,,,, পাগল তুই আমি এখন বিয়ে করবো না, ওরা বললেই হলো।
রিমান,,,,,,,, যেতে বলেছে।
ফারহান,,,,,,,, মেয়েটাকে।
রিমান,,,,,,,, সেটা তো জানি না, আচ্ছা তোরা বায়াস যা, আমার কাজ আছে।
আরাব,,,,,,,,, চুপচাপ আমার সাথে চল।
আরাব জোর করে রিমানকে বাসায় নিয়ে যায়। রিমান,ফারহান বসে বসে খাচ্ছে।
আরাব,,,,,,, মা আমি বিয়ে করবো না, তোমরা আমার উপর জোর করতে পারো না।
রিমান,,,,,,,,, মামনি একটু সোস এনে দাও না, শুধু সিঙারা ভালো লাগছে না।
মা,,,,,, দাঁড়া দিচ্ছি।
আরাব,,,,,,,, মানে আমি এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছি।
মা,,,,,,, আমি তো এটা বুঝছি না, তোর বিয়ে করতে সমস্যাটা কি,, মেয়ে সুন্দর আছে। আর তোর ও তো বিয়ের বসয় হয়েছে।
আরাব,,,,,,,,, কিসের বিয়ের বয়স হয়েছে,, বাবা কোথায় বাবার সাথে কথা বলবো।
মা,,,,,,, তোর বাবা একটা কাজে গেছে।
আরাব,,,,,, কিন্তু মা,,,,
রিমান,,,,,,,, মামনি আরো কয়েকটা সিঙ্গাড়া দাও তো।
আরাব,,,,,,,, রিমান চুপ কর, তোকে কিন্তু আমি জন্মের খাওয়া খাওয়াবো।
রিমান ,,,,,,,,, আচ্ছা মামনি মেয়েটা কে। (পানি খেতে খেতে)
মা,,,,,,,,, মুন
সাথে সাথে রিমানের মুখের পানি বেরিয়ে যায়। কাশতে কাশতে বলে,,,
রিমান,,,,,,,, কোন মুন।
মা,,,,,,,, আরে আমাদের মুন।
রিমান আর ফারহান হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
ফারহান,,,,,,,,,, একদম পার্ফেট জুটি। ওদের তো এখনি জামাই বউ লাগে। বিয়ের না জানি কি লাগবে।
আরাব,,,,,,,, তোরা চুপ করবি। মা আমি ঐ মুনকে বিয়ে করতে পারবো না৷
মা,,,,,,,, কেনো পারবি না, কি মিষ্টি একটা মেয়ে। ওর বাবা অসুস্থ তাই মেয়ের বিয়ে দিতে চাই তাড়াতাড়ি।
আরাব,,,,,,,,, আমি বিয়ে করবো না বেস।
মা,,,,,,,, বড়ো হয়েছিস এখন তো তোকে আর জোর করতে পারবো না। তুই বিয়ে না করলে কি আর করার। মুনের জন্য আরো জায়গা থেকে প্রস্তাব এসেছে। তাদের মধ্যে থেকে কারো সাথে বিয়ে দিবে।
এ কথা শুনে আরাব কিছুটা স্থীর হয়।সে আর কিছু না ভেবেই হ্যাঁ বলে দেয়।
আরাব,,,,,,,, কি আর করবো, তোমাদের কথা তো ফেলতে পারিনা, তাই বিয়েটা করা ছাড়া উপায় নেয়।
আরাবের এমন জবাবে রিমান আর ফারহান অভাক হয়ে তাকিয়ে থাকে।
আরাব,,,,,, আচ্ছা মুন কি জানে ওর সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে।
মা,,,,,,, না,, জানিয়ে দিবো।
আরাব,,,,,,,, জানানোর কোনো দরকার নেয়, বিকেলে গিয়ে ওকে একটা সারপ্রাইজ দিবো। হিহিহহ (একটা বেকা হাসি দিয়ে)
ফারহান,,,,,,,,, এবার কি হবে।
রিমান,,,,,,,, এক বার বিয়েটা হতে দে,, এইসব ঝগড়া কোথায় চলে যাবে, যখন রোমান্স উঠবে।
ফারহান,,,,,,,৷ যদি না উঠে।
রিমান,,,,,,,,, আমরা আছি কি করতে। এখন পিকনিক এর কথা ভাব।এখানে যা হওয়ার তো হয়েই গেছে। আমি শুধু মুনের চেহেরাটা কেমন হবে তর হবু বরকে দেখে সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,