#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….9
রিমি, অনেক ক্ষন হাত পা নাড়াচ্ছে, জাহাজের শব্দের কারনে কিছু শুনা যাচ্ছে না। রিমির চোখ বন্ধ হয়ে আসে, আর সমুদ্রে তলিয়ে যেতে থাকে।
রিমান, ফারহান,আরাব উপরের তলায় এসে রাইসার কথা গুলো শুনতে পায়।
আরাব,,,,,, এ আবার কাকে ফেলে দিলো, চলতো দেখি।
আরাবের কথা শুনে রাইসা ভয়ে পিছনে তাকায়। রাইসা ভয়ে পিছনে সরে যায়। আরাব, রিমান, ফারহান তাড়াতাড়ি এসে জাহাজের নিচে তাকায়। কেওতো একজন ডুবছে তার চেহেরে দেখা যাচ্ছে না। তবে সাদা ওড়নার মধ্যে লাল লেন্স দেখে তিনজনেই বুঝে যায় এটা রিমি। কারন তাদের মধ্যে এমন রিমিই পড়েছিলো।
এটা রিমি বুঝার সাথে সাথে রিমি বলে তিনজন সমুদ্রে লাফিয়ে পড়ে। ওদের চিৎকার শুনে সবাই দৌড়ে আসে। তিনজনে লাফদিয়ে শুধু ওড়নাটা খুঁজে পায়। তিনজনে ভয়ে অবস্থা খারাপ।
তিনজনে পানির ভিতরে গিয়ে খুঁজছে। কিন্তু কোথাও পাচ্ছে না। রিমান কিছু না ভেবে পানির গভিরে চলে যাচ্ছে দেখার জন্য। তার সাথে সাথে ফারহান আর আরাব ও যায়।
রিমানের শ্বাস ফুরিয়ে আসছে তাও সে থামছে না। কিছু ক্ষন যাওয়ার পর একটা অস্পষ্ট হাত দেখতে পায়।রিমান হাতটা ধরে। উপরে উঠার চেষ্টা করছে। কিন্তু শরীর আর কাজ করছে না। তাও প্রানপন চেষ্টা করছে, ফারহান আর আরাব এসে দুজনের হাত ধরে উপরের দিকে যাচ্ছে।
পানির উপরে উঠতেই রিমান একটা লম্বা নিশ্বাস নেয়। রিমির দিকে তাকিয়ে দেখে ওর জ্ঞান নেয়। সবাই মিলে তাদের উপরে উঠায়। তিনজন রিমিকে ঘিরে আছে। সবাই আতংকে রিমি রিমি করছে। রিমান রিমির নাকের সামনে আঙুল দিয়ে শ্বাস চেক করছে।
রিমি নিশ্বাস নিচ্ছে না। রিমান রিমিকে জরিয়ে ধরে পাগলের মতো কান্না করছে। আরাব রিমির হাত ধরে চোখের পানি ফেলছে, ফারহান নিস্তব্ধে শুধু তাকিয়ে আছে, চোখের পানি বাধা মানছে না। মাহুয়া, মুন এসে পাশে বসে কান্না করছে।
রিমান,,,,,,,,, বোন আমার পিল্জ উঠে যা,তোর কিছু হয়ে গেলে আমি নিজেকে কিছুতেই ক্ষমা করতে পারবো না। পিল্জ উঠে যা, প্রমিজ আর কখনো ঝগড়া করবো না। তকে ছাড়া আমার পুরো বাড়ি মরে যাবে। (জোরে জোরে কান্না করে)
ফারহান,,,,,,,,, কি বলছিস এসব, রিমির কিছু হয়নি, এখনি উঠে যাবে। রিমি তুই আমার সব কথা শুনিস তাই না,, আমও বলছি এভাবে শুয়ে না থেকে উঠ বলছি। না হলে আমি রেগে যাবো। আর আমি রাগলে কি হয় জানিস তো। উ উ উঠ না পিল্জ। আমাকে ছেড়ে তুই কোথাও যেতে পাড়িস না। আমি যেতে দিবোই না।
আরাব,,,,,,,,, তোরা কি পাগল হয়ে গেছিস নাকি। রিমির কিছু হয়নি, আমি প্লেইনের টিকিট কাটছি, রিমিকে শহরের বেস্ট হসপিটালে নিয়ে যাবো। দরকার পড়লে বিদেশ নিয়ে যাবো।
তখনি একটা মেয়ে আসে।
,,,,,,,, আপনারা পিল্জ, এখানে ভিড় না করে, দূরে গিয়ে দাঁড়ান। আমাকে দেখতে দিন।
মুন,,,,,, কে আপনি।
,,,,,,, আমি ড.মাহি। পিল্জ সবাইকে এখান থেকে যেতে বলেন। শুধু রিমির কাছের লোকরা এখানে থাকেন।
সবাই উপরের তলায় চলে যায়। নিচে শুধু আরাব, ফারহান,রিমান,মুনআর মাহুয়া আছে।
রিমান,,,,,,,, পিল্জ দেখুন আমার বোনের কি হয়েছে।
মাহি,,,,,,,,, লেট মি চেক। আপনি ওনাকে ছেড়ে, সোজা করে শুয়িয়ে দেন।
রিমান মাহির কথা মতে সোজা করে শুয়িয়ে দেয়। মাহি রিমির প্লাস চেক করে। বুকে বার বার চাপ দিয়ে সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কিছু হচ্ছে না। মাহি তার হাতে দু আঙুল দিয়ে রিমির গলায় চাপ দিয়ে ধরে। তারপর রিমির বুকের কাপড় টান দিকে বেশ অনেক ছিড়ে ফেলে। সাথে সাথে সবাই চোখ ফিরিয়ে নেয়।
রিমান,,,,,,,,, কি করছেন।
মাহু,,,,,,,, ট্রাস্ মি। আমার একটা ছুরি বা চুখালো কিছু লাগবে। তাড়াতাড়ি বেশি সময় নেয়,কিন্তু হাতে।
সবাই দৌড়ে যায়, সবার কাছে ছুরি খুঁজতে। তখন একটা ছেলে ছোট একটা ছুরি দেয়, ফারহানের হাতে সেটা নিয়ে দৌড়ে এসে মাহিকে দেয়। মাহি ছুরিটা দিয়ে রিমির বুকে একটা ছিদ্র করে। রক্ত বেরিয়ে আসে। মাহি আঙুল দিয়ে ছিদ্র জায়গাটা একটু টেনে ধরতেই রিমি মুখ খুলে জোরে শ্বাস নেয়। সবাই আনন্দে হেঁসে দিয়ে রিমিকে জরিয়ে ধরে।
মাহি,,,,,,,, পিল্জ আস্তে আস্তে।
ফারহান,,,,,,,, ড. রিমি এখনো চোখ খুলছে না কেনো।
মাহি,,,,,,,, প্রচন্ড ভয়ের কারনে অজ্ঞান হয়ে গেছে, আর লবনাক্ত পানি পান করার কারনে, এখনো জ্ঞান ফিরছে না। একে হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে। বেশি সমুদ্র পানি পান করে থাকলে পেট ওয়াশ করাতে হবে।
আরাব,,,,,,,,, আমি আমাদের সবার জরুরি ফ্লাইট বুক করে ফেলেছি। এর পরে যে ফ্লাইটটা আছে সেটা দিয়ে যাবো। জাহাজ আর কিছু ক্ষন পরেই তীরে পৌঁছাবে, আমরা সোজা এয়ারপোর্টে যাবো।
রিমান ,,,,,,,,,,, আর কোনো ভয়ের বিষয় নেয় তো।
মাহি,,,,,,, না, আর কোনো ভয় নেয়।
রিমান,,,,,,,, thank you,, thank you so much.
মাহি,,,,,,, it’s ok এটা আমার কাজ।
আরাব,,,,,,,, রাইসা কোথায়।
মাহুয়া,,,,,,,, সবাই রাইসাকে উপরে ধরে রেখেছে।
ফারহান,,,,,,,,, একে তো আমি,, (প্রচন্ড রাগে)
আরাব,,,,,,,, তুই এখানে থাক রিমির কাছে আমরা গিয়ে দেখছি।
ফারহান রিমিকে তার বুকের সাথে ধরে রেখেছে তাই সে যেতে নড়তে পারছে না। রিমান রাগে দৌড়ে যায়, উপরে, আরাব তাড়াতাড়ি রিমানের পিছনে যায়।
রিমান গিয়েই রাইসাকে জোরে একটা থাপ্পড় মারে। আরাব তকে আটকায়।
রিমান,,,,,,,, ছাড় আমাকে, একে তো আমি আজ এই সমুদ্রেই ডুবিয়ে মারবো (রাগে ছটফট করে)
রাইসা,,,,,,,, হে ইউ, সাহস কি করে হলো আমার গায়ে হাত তুলার।
আরাব,,,,,,,,, ইচ্ছে তো করছে এখনি মেরে ফেলি (মুখ চেপে ধরে) কিন্তু আমি মেয়েদের গায়ে হাত উঠায় না। তোকে তো পুলিশ দেখবে।
মুন,,,,,,, আমি অলরেডি পুলিশকে কল করে দিয়েছি।
রাইসা,,,,,,,,,, হুহহ পুলিশ আমাকে কিছুই করতে পারবে না।
আরাব,,,,,,,,,,, তুমি কিভাবে ছুটো সেটা আমিও দেখবো।
রাইসা,,,,,,,,, আমার পাওয়ারের কোনো ধারনা নেয় তোমাদের।
আরাব,,,,,,,,, রাইসা কোম্পানি তাই না। এই কোম্পানি যদি আমি বরবাদ না করে দিয়েছি তাহলে আমার নামও আরাব না।
জাহাজ তীরে পৌঁছে যায়। তীরে পুলিশ অপেক্ষা করছে। এম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে আছে, একটু দূরে। ফারহান রিমিকে কোলে করে নিয়ে জাহাজের বাহিরে নামে। রাইসাকেও নামানো হয়। পুলিশ তাকে ধরে। ফারহান রিমিকে কোলে নিয়ে রাইসার কাছে যায়।
ফারহান,,,,,,, রিমির যদি কোনো ক্ষতি হয়, তাহলে তোমার এমন অবস্থা করবো যে, তোমার লাশ ও কেও খুঁজে পাবে না।
রাইসা,,,,,,,,, ফারহান আমি তোমাকে ভালোবাসি, তোমার জন্য করেছি।
ফারহান,,,,,,,,,, একবার রিমি সুস্থ হোক, তোমার আর তোমার কোম্পানির এমন অবস্থা করবো। আমার নাম শুনলেও তখন ভয়, করবে। রাস্তায় নামিয়ে দিবো, দেখে নিয়ো।
বলে চলে যায়, গিয়ে এম্বুলেন্সে রিমিকে শুয়ায়, তাড়া এম্বুলেন্সে বসে, এয়ারপোর্টে যায়। গিয়ে আরাব, রিমান,পারহান,মুন,মাহুয়া রিমিকে নিয়ে, সোজা ঢাকা এসে বড় একটা হসপিটালে ভর্তি করে।
রিমির কথা শুনে সবাই হসপিটালে আসে।
রিয়াদ খান,,,,,,,,, কি হয়েছে আমার মেয়ের।
রিমান,,,,,,,, বাবা চিন্তা করো না, রিমি এখন ঠিক আছে।
রিয়াদ খান,,,,,,,,, সত্যি আমার মেয়ের কিছু হয়নি তো।
রিমান,,,,,,,, না বাবা আমাদের রিমির কিছু হয়নি।
বেশ কিছুক্ষন বসে থাকার পরে রিমির জ্ঞান ফিরে। সবাই রিমিকে দেখতে ভিতরে যায়। রিমি চোখ খুলে সবাইকে দেখতে পায়। পাশে তার বাবা বসে আছে। রিমি উঠে তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে, আওয়াজ করে কান্না করে দেয়।
রিমি,,,,,,,, আআআহাহা বাবা আমি অনেক ভয় পেয়ে গেছিলাম৷ ভেবেছিলাম মরেই যাবো হয়তো। (জোরে জোরে কান্না করে)
রিয়াদ খান,,,,,,,, শান্ত হ মা,, তোর কিছু হতে দিবো না। কান্না থামা।
রিমি কান্না থামিয়ে নাক টেনে টেনে সবার দিকে তাকাচ্ছে।
রিমি,,,,,,,,,, আমি এখানে আসলাম কি করে।
রিমান,,,,,,,, এমন প্রশ্ন এই মূহুর্তে তুই করতে পারিস। এখানে এসেছিস তারমানে তোকে কেও বাঁচিয়ে নিয়ে এসেছে।
রিমি,,,,,,,, ছিঃ থু থু ( বার বার থু থু করছে)
রিমান,,,,,,, নিজের ভাইয়ের এতো বড় অপমান, শুধু অসুস্থ দেখে কিছু বললাম না।
রিমি,,,,,,,,, আরে দূরর আমার মুখ তেঁতো তেঁতো লাগছে।
আরাব,,,,,,,, লবন পানির জন্য,, এতো ক্ষন পর বুঝতে পারলি।
সবাই কথা বলছে ফারহান শুধু চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।
নার্স,,,,,,,,, এক রুমে এতো মানুষ কেনো, বের হোন সবাই। পেসেন্টকে রেস্ট নিতে দিন।
রিয়াদ খান,,,,,,, তুই শুয়ে থাক,, আমি দেখছি তোকে বাসায় নিয়ে যাওয়া যায় কিনা।
রিমি,,,,,,,, হুমম,, জানো তো আমার হসপিটাল একদম ভালো লাগে না।
সবাই আস্তে আস্তে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। ফারহান হাত বাজ করে মাথা নিচু করে দেওয়ালের সাথে মিশে দাঁড়িয়ে আছে। রিমি ফারহানকে দেখে, তাকিয়ে আছে।
রিমি,,,,,,,,, ফারহান,, আমার সাথে কথা বলবেন না। এমন মুখের বান করে রেখেছেন যেনো আমি মরেই গেছি।
ফারহান,,,,,,,, চুপ,, এসব কথা যেনো আর না শুনি।(রিমির কাছে গিয়ে তার হাত ধরে)
রিমি,,,,,,,,, আচ্ছা,, এখন তো মুখ ঠিক করেন, আমি তো ঠিক আছি। দেখেন একদম ঠিক। শুধু
,,,,,,,,, শুধু কি, কি সমস্যা হচ্ছে, কোথায় খারাপ লাগছে, ডাক্তার ডাকবো। (ব্যাস্থ হয়ে)
,,,,,,,,,, আরে না, শুধু মুখের ভিতরটা একটু তেতো তেঁতো লাগছে৷
,,,,,,,, ওওহহ
ফারহান এক গ্লাস পানি এনে দেয়। ফারহান পানি মুখে তুলে দেয়৷ রিমি পানিটা মুখে নিয়ে, কুলি করে আবার গ্লাসেই মুখের পানি বের করে। ফারহানের হাতে গ্লাসটা ছিলো। ফারহান চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকে।
রিমি,,,,,,,,,, আহহ এবার ভালো লাগছে।
ফারহান গ্লাসটা টেবিলে রেখে দেয়।
ফারহান,,,,,,,,,, সরি, এই সব কিছু আমার জন্য হয়েছে। আমার রাইসাকে এতো পাত্তা দেওয়া উচিতই ছিলো না। তোকে রাইসাকে দেখে জেলাস ফিল করতে দেখে আমি রাইসাকে আমার কাছে আসতে দিয়েছি। আম রেলি সরি।
রিমি,,,,,,,, কে রাইসাকে দেখে জেলাস ফিল করতো, হেহহহ আনতাজি।
,,,,,,,,,, আচ্ছা রাইসাকে আমার কাছে দেখে জেলাস ফিল হতো না বুঝি।
,,,,,,,,,, হুহহহ একদমি না,, আমি অন্যদের দেখে না অন্যরা আমাকে দেখে জেলাস ফিল করে হুহহহ।
,,,,,,,,,,,, এতো কিছু হওয়ার পরের মেডামের ভাব কমলো না।
,,,,,,,,অঅআআ (জিহ্বা বের করে ভেঙিয়ে)
ফারহান রিমির জিহবা দু আঙুল দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে ফেলে, রিমি চোখ বড় বড় করে, উম্ম উম্ম করছে।
ফারহান,,,,,,,, আরেকবার জিহবা বের করলে না, আর ছাড়বো না, টেনে ধরে রাখবো(রিমির জিহবা ছেড়ে দিয়ে)
রিমি,,,,,,,, একটা অসুস্থ মানুষের সাথে এমন করা ঠিক না।
ফারহান,,,,,,,,,, তোকে ওভাবে দেখে আমার জান বেরিয়ে গিয়েছিলো। বুঝাতে পারবো না ঠিক কেমন লাগছিলো৷ মনে হচ্ছে আমি মরে গেছি। তোকে হারানোর কষ্ট আমি হয়তে পারবো না। আরেকটু হলেই মরে যেতাম।
রিমি,,,,,,,,, এতো ভালোবাসেন আমাকে ।
ফারহান,,,,,,,,, সবচেয়ে বেশি।
রিমি,,,,,,,,,, আ আমিও (নিচের দিকে তাকিয়ে)
ফারহান,,,,,,,, কি আমিও (বুঝার চেষ্টা করে)
রিমি,,,,,,,,, আরে আমিও সেম।
,,,,,,,, কি সেম৷
,,,,,,,,, আরে আমিও ভালোবাসি আপনাকে। (দুহাত দিয়ে নাক মুখ ঢেকে)
,,,,,,,,, ওও,,,,,, কিহহ সত্যি
ফারহান রিমির হাত ধরে মুখ থেকে সরাতে নেয়,এই মূহুর্তে রিমান চলে আসে।
রিমান,,,,,,, কি হচ্ছে এখানে।
ফারহান রিমি রিমানের দিকে তাকিয়ে তাড়াতাড়ি সরে যায়।
রিমান,,,,,,,,, আরে আস্তে আস্তে। যা দেখার দেখেই ফেলেছি৷ এখন কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।রিমিকে বাসায় নিয়ে যেতে বলেছে। আমি রিমিকে নিয়ে যাচ্ছি।
ফারহান,,,,,, আমি নিয়ে যাচ্ছি, তুই মুন আর মাহুয়াকে দিয়ে আয়।
রিমান,,,,,,,, আমি ওদের আরাবের সাথে পাঠিয়ে দিয়েছি। আপনার চিন্তা করার কোনো দরকার নেয়।সরেন, আর বাসায় জান, ভিজা জামা কাপড় শরীরেই শুকিয়ে গেছে।
ফারহান,,,,,,,,, এক সাথেই তো যাবো।
রিমান,,,,,,, তোর কি মনে হয় বাবা আমাদের রিমির কাছে ঘেঁষতে দিবে। ওকে নিয়ে জরিয়ে ধরে বসে বাসায় নিয়ে যাবে, আমাকেই যেতে দেয় কিনা সন্দেহ আর তুই কোন খেতের মুলা।
ফারহান,,,,,,,, হয়ছে ভাই আর শুনতে পারবো না, যা নিয়ে যা।
রিমান রিমিকে বাহিরে নিয়ে যেতেই, তাদের বাবা এসে, রিমানকে ধাক্কা দিয়ে রিমিকে ধরে।
রিয়াদ খান,,,,,,,,, চল মা।
রিমান,,,,,,,, অদ্ভুত।
রিমিকে বাসায় নিয়ে যায়। রিমির মা রিমিকে গোসল করিয়ে দেয়। তারপর ঔষধ খায়িয়ে শুয়িয়ে দেয়।রাত হয়ে গেছে। ঔষধ খাওয়ার সাথে সাথে রিমি ঘুমিয়ে যায়।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,