#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….11
রিমি,,,,,,,,,, তুমি কিন্তু যাবে না, আমার হাত ধরে রাখবে। না হলে আমি কান্না করে দিবো।
ফারহান,,,,,,,,,, আমি কোথাও যাবো না (মনে হয় জ্বর মাথায় চড়ে গেছে)
রিমি ঘুম ঘুম অবস্থা , কিন্তু ঘুমাচ্ছে কিনা সেটা ঠিক বলা যাচ্ছে না। চোখ বন্ধ করে আছে, কিছু ক্ষন পর পর মুখ দিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করার মতো আওয়াজ করছে। বেশ কিছু ক্ষন পর রিমান আসে দৌড়ে। রুমে ডুকেই অভাক হয়ে যায়। তার বাবা চেয়ারে বসে আছে, আর ফারহান রিমির হাত ধরে আছে, তাও রিয়াদ খান কিছু বলছে না।
রিমান,,,,,,,, শুনলাম রিমির জ্বর নাকি বেড়েছে। এখন কেমন আছে।
রিয়াদ খান,,,,,,,, এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না, কিছু ক্ষন পরেই ডক্টর আসবে।
রিমান,,,,,,, ওওহহ
রিমান একবার ফারহানের দিকে তাকায় এক বার তার বাবার দিকে। তারপর সে ফারহানের কাছে যায়, গিয়ে কাঁধে হাত রেখে হাসতে হাসতে বলে
রিমান,,,,,,,, আমরা জানি তুই রিমিকে নিয়ে বেশ চিন্তা করিস, ওকে ছোট থেকেই আদর করিস, কিন্তু রিমি এখন বড় হয়েছে, এখন আর আদর করে হাত ধরা যাবে না। ছেড়ে দে। (বাবার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে)
ফারহান,,,,,,,,, ছাড়তে পারবো না।
রিমান,,,,,,,,,, কেনো পারবি না,,, তুই কি চাস হুমম,বাবা তোকে লাথি মেরে বাড়ি থেকে বের করে দিক। আরে বেশরম আমার কথা না হয় বাদ দিলাম বাবার সামনে হাত ধরে আছিস। (ফারহানের কানের কাছে গিয়ে)
ফারহান,,,,,,,, আরে আমি হাত ছাড়লেই তোর বোন কান্না শুরু করে দেয়।
রিমান,,,,,,,,,,এই সব ফাপর আমাকে দিয়ো না, হাত ছাড়।
ফারহান,,,,,,,, নে ছাড়লাম (রিমির হাত ছেড়ে)
সাথে সাথে রিমি চোখ বন্ধ করে কান্না শুরু করে দেয়।
রিমান,,,,,,,,,,,, আরে বাপরে,,, এতে কি হয়ছে আমি হাত ধরছি।
রিমান রিমির হাত ধরে সাথে সাথে রিমি রিমানের হাত ছুড়ে মারে৷ কিছু ক্ষন রিমান তার হাতের দিকে তাকিয়ে থাকে। ফারহান হাত ধরতেই আবার চুপ হয়ে যায়।
রিমান,,,,,,,,, এতো বড়ো আপমান,, চুন্নি আমি তোর ভাই হয়। খালি কিছু চাস আমার থেকে।
ফারহান,,,,,,,,,, আস্তে,, এভাবে কিছু ক্ষন আগে আংকেল ও ধরছিলো, রিমি এমনি করছে।
রিমান,,,,,,,,, যাক শুনে ভালো লাগলো যে, আমি একা অপমানিত হয় নি।
রিয়াদ খান,,,,,,,,,,, ফারহান এটা বলা জরুরি ছিলো।
রিমান,,,,,,,,,,বাবা দেখো শুধু মেয়ে মেয়ে করো না। একমিনিট রিমিকি সত্যি অসুস্থ আমার তো সন্দেহ হচ্ছে।দাঁড়া চেক করে দেখি।
রিমান রিমির কপালে হাত রাখে। তারপর সরিয়ে নেয়।
রিমান,,,,,,,, জ্বর তো ঠিকি আছে,, তবে জ্বর হলে মানুষ মায়ের হাত ধরে বসে সাথে, এখানে তো কাহিনি অন্যটা।,,, রিমি ফারহানের হাত ছাড় না হলে কিন্তু শরীরে তেলাপোকা ছেড়ে দিবো। এখনি নিয়ে আসছি।
এটা বলে রিমান রিমির মুখের কাছে যায়, রিমির রিয়াকশন দেখার জন্য, কিন্তু কিছুই জানা যায়নি। রিয়াদ খান রিমানের মাথা মেরে বলে,,,,তুই আমার মেয়েকে সন্দেহ করোছ।
রিমান,,,,,,,, বাবা আমার হেয়ার স্টাইল নষ্ট হয়ে যাবে। আর সন্দেহর কাজ করলে সন্দেহ করবো না।
তখনি আরাব আসে। আরাব তাড়াহুড়ো করে রুমে ডুকে।
আরাব,,,,,,,, রিমির অবস্থা বলে ভালো না। ডক্টর আসছে।
রিমান,,,,,,, আসতাছে।
আরাব ফারহান আর রিমির দিকে তাকিয়ে, রিমান আর রিয়াদ খানের দিকে তাকায়। আরাব ফারহানের কাছে গিয়ে বলে,,
আরাব,,,,,,, ফারহান কি করছিস, খালু আছে এখানে। হাত ছাড়।
ফারহান,,,,,,,,, অফফ একথা শুনতে শুনতে আর ভালো লাগে না৷ ভাই রিমান কিছু বল।
রিমান আরাবকে সব বলে।
আরাব,,,,,,,,,, দূরর ফাজলামো করোস। এমন আবার হয় নাকি। রিমি ইচ্ছে করে করছে নাতো।
রিমান,,,,,,,, আরে না, আমি পরীক্ষা করছি।
রিয়াদ খান,,,,,,,,,, এই মরার ডক্টর এখনো আসে না কেনো।
রিয়াদ খান পিছনে তাকিয়ে দেখে ডক্টর দাঁড়িয়ে আছে, আর ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
রিয়াদ খান,,,,,,,,, মানে ভালো ডক্টর। পিল্জ আসেন, বসেন, দেখেন।
ডক্টর এসে রিমিকে চেক করছে। আর বার বার ফারহানের দিকে তাকাচ্ছে।
রিমান,,,,,,,,, দেখিস এই টাকলা নিশ্চয়ই কিছু বলবে (আরাবের কানে কানে)
ডক্টর,,,,,,,,,, আপনার ওয়াইফ হয় বুঝি (ফারহানকে উদ্দেশ্য করে)
ফারহান মুশকি হেসে হেঁসে বলছে না, মানে।
রিমান,,,,,,,,, আরে না ভাই হয়।
একথা বলাতে ফারহান রিমানের দিকে কটমট করে তাকিয়ে আছে। রিমান ফারহানের রিয়াকশন দেখে কয়েকটা কাশি দেয়।
রিমান,,,,,,,, আমি, আমি ভাই হয় রিমির,এটাই বলছিলাম।
আরাব,,,,,,,,, আরে ডক্টর পরিচয় পরে দিবো, এখন রিমিকে দেখেন।
ডক্টর রিমিকে চেক করে ইনজেকশন দেয়।
ডক্টর,,,,,,,,, রিমিকে হেভি ডোস দিয়েছি, কাল সকাল পর্যন্ত একদম ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
বলে ডক্টর চলে যায়।
আরাব,,,,,,, রাত অনেক হয়েছে, ফারহান কি এখানেই থাকবে রাত ভর এভাবে।
ফারহান,,,,,,,,, আমার কোনো সমস্যা নেয়।
রিয়াদ খান,,,,,,,,, আমার সমস্যা আছে।
রিমান,,,,,,,,, আমারো।
আরাব,,,,,,, ভাবলি কিভাবে তোকে এই রুমে সারা রাত একা থাকতে দিবো।
ফারহান,,,,,,, তোরা আমাকে বিশ্বাস করোছ না।
কেও কোনো কথা বলে না, শুধু ফারহানের দিকে চোখ ছোট করে তাকিয়ে থাকে।
ফারহান,,,,,,,,, শালা শয়তান, বন্ধু নামে কলঙ্ক।
রিয়াদ খান,,,,,,,, রিমান সারা রাত তুই এ রুমে থাকবি। এই সোফায় বসে শুয়ে থাকবি কিন্তু চোখ বন্ধ করতে পারবি না।
রিমান,,,,,,,, ঠিক আছে আমার সাথে আরাব ও থাকবে।
আরাব,,,,,,, এখানে কি পার্টি হচ্ছে। আমার কাজ আছে আমি যাচ্ছি, তুই থাক আর কোনো প্রবলেম হলে আমাকে সাথে ফোন করবি। আরেকটা কথা, রিমির কোনো প্রবলেম হলেই ডাক দিস, আর তোরা মরে গেলেও আমাকে ডাকতে আসবি না বলে দিলাম।
রিমান,,,,,,,,,, হাড়ামি।
আরাব এসব বলে চলে যায়। রিমান সোফায় বসে। কিছু ক্ষন পর শুয়ে পড়ে।
রিমান,,,,,,,, ফারহান এভাবে বসে থাকতে মাঝা আর কাঁধ ব্যাথা করছে৷
ফারহান,,,,,,,, হুমম,, কিন্তু কিছু করার নেয়৷
রিমান,,,,,,,,,, কাঁধ টিপে দিলে ভালো লাগবে।
ফারহান,,,,,,,,, হুম হুম (রিমানের দিকে হাসি মুখ করে তাকিয়ে)
রিমান,,,,,,,,, আহারে কিন্তু এখানে টিপে দেওয়ার মতো কেও নেয়।
ফারহান,,,,,,,,,, শালা, চুপচাপ ঘুমা।
রিমান,,,,,,,, কেনো ঘুমাবো,, আমি আজ সারা রাত ঘুমাবো না, তোর দিকে এমন ডেব ডেব করে তাকিয়ে থাকবো৷।
পাঁচ মিনিট পড়েই রিমান গভীর ঘুমে চলে যায়৷
ফারহান বসে বসে ঝিমাচ্ছে। তারপর সে চেয়ার থেকে উঠে নিচে বসে। বসে রিমির হাতে একটা কিস করে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে যায়।
ঐ দিকে সমস্যা হচ্ছে আরাব আর মুনের সারা রাত গড়াগড়ি করেও ঘুম হচ্ছে না।
মুন,,,,,,,,, মুন এইসব আলতু ফালতু কথা মাথা থেকে বের করে দে৷ লজ্জা করে না এইসব ভাবতে ছিঃ ছিঃ। কিন্তু এটা আমার ফাস্ট কিস ছিলো, আর এভাবে হয়ে গেলো। আরে দূরর কি ভাবছি,, চোখ বন্ধ করলেই এটা চোখের সামনে ভেসে উঠে। অফফ কি যে করি। আল্লাহ এই কথা মনে হলেই এমন লাগে কেন। তবা তবা মুন তুই চুপচাপ ঘুমা।
মুন জোর করে চোখ বন্ধ করে আছে,কোলবালিশ একটা শক্ত করে ধরে আছে। কোলবালিশের মাথায় মুনের ঠোঁট লাগছে তাই সে কোলবালিশ লাথি মেরে শুয়ে থাকে৷
,,,,,,,
আরাব,,,,,,,,, মনে হয় না আজ আর ঘুম হবে বলে। কেনো হবে না, শুধু একটা কিস তো করেছি এটা আবার এমন কি। আরাব তুই তো এমন ভাবে বলছিস যেনো আরো কতো মেয়েকে কিস করেছিস (নিজেই প্রশ্ন করছে নিজেই উওর দিচ্ছে) অফফ ঘুম কেনো আসে না। আর এটা হয়ে গেছে ইচ্ছে করে তো আর করিনি। মুন না জানি কি ভাবছে। সব দোষ ঐ রিমানের সকালে এক বার উঠে নিয়। দূররর মনে হয়না আজ আর ঘুম হবে, তার থেকে ভালো লেপটপে কাজ করি।
আরাব লেটপটে কাজ করতে থাকে যদিও মন চাইছে না। কিন্তু কোনো মতে রাতটা তো পাড় করতে হবে।
সকালে,,,,,,,
রিমি ঘুম থেকে একটা টামা মেরে উঠে। চোখ খুলে দেখে ফারহান তার হাত ধরে ঘুমিয়ে আছে। এটা দেখে রিমি বেশ অভাক হয়।
রিমি,,,,,,,,,, ফারহান এখানে কি করে, সকাল সকাল বাবা ফারহানকে আমার রুমে এভাবে দেখলে গজব হয়ে যাবে।,, ফারহান,, ফারহান উঠো।
ফারহানকে ডাক দেয়,,ফারহান ঘুম থেকে লাফ দিয়ে উঠে।
ফারহান,,,,,,,, কি হয়েছে, কি হয়েছে। খারাপ লাগছে ডক্টর ডাকবো।
রিমি,,,,,,,,, আরে না আমি একদম ঠিক আছি, আস্তে কথা বলো।
ফারহান,,,,,,,,, কেনো।
,,,,,, সবাই তোমার কথা শুনে চলে আসলে।
,,,,,, আসুক,, দাঁড়া আগে তোর জ্বরটা চেক করি।
ফারহান রিমির কপালে হাত দিয়ে দেখে।
,,,,,,, যাক জ্বরটা আর নেয় তাহলে।
,,,,,,,,,, তুমি সারা রাত এখানে আমার ধরে ছিলে কেও দেখলে কি ভাবতো।
,,,,,,, হেএএ আমি ধরে ছিলাম। শুনবি কি কান্ড করেছিস তুই কালকে।
,,,,,,,, কি করেছি আমি তো চুপচাপ ঘুমাচ্ছিলাম।
,,,,,,,, আহারে আমার ভালো মানুষটা,, শুন কি কি করেছিস।
ফারহান রিমিকে সব বলে।
রিমি,,,,,,,,, কিহহহ আমি এই সব করেছি। নাউজুবিল্লাহ বাবা কি ভাবলো। সবাইকে কতো বিরক্ত করেছি।
,,,,,,,,, সবার কথা ছাড় আমার কথা ভাব, আমার হাতটা দেখ লাল হয়ে গেছে। বসে থাকতে থাকতে মাঝা ব্যাথা হয়ে গেছে।
,,,,,,,, ইশশশ,, সরি (ফারহানের হাতে হাত বুলাতে বুলাতে)
ফারহান উঠে রিমির পাশে বসে।
ফারহান,,,,,,,, আচ্ছা একটা কথা বল, তুই কি এসব ইচ্ছে করে করেছিস।
,,,,,,,,,,, হেহহ পাগল নাকি ইচ্ছে করে এমন তো আমি আমার বিয়ের পরেও করবো ন, বিয়ের আগে তো দূরের কথা।
,,,,,,,, হুমম, তাও ঠিক, তুই এতো রোমান্টিক হতেই পারিস না।
,,,,,,,,,, হেহহ কেনো হতে পারবো না (কপাল কুঁচকিয়ে)
,,,,,,,,,, আচ্ছা তুই রোমান্টিক বুঝি।
ফারহানের কথায় বেশ লজ্জা পায়, লজ্জা ভরা মুখে ফারহানের দিকে রিমি ডেব ডেব করে তাকিয়ে আছে।
রিমি,,,,,,,, আমাকে ছাড়েন নিজেকে দেখেন, রোমান্টিক এর র ও বুঝেন। সারাক্ষণ তো নাকের উপর রাগ বসে থাকে।
ফারহান রিমির দিকে তাকিয়ে আছে, একটা বেকা ডেবিল হাসি দিয়ে। রিমি ফারহানের দিকে তাকিয়ে চুপ হয়ে যায়।
রিমি,,,,,,,, সরি, মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। হিহিহি
ফারহান রিমির মুখের কাছে যায়।
ফারহান,,,,,,,,,, আমি রোমান্টিক এর র ও বুঝিনা তাই না, তুই তো বুঝিস তাহলে এখন আমাকে বল রোমান্স কি করে করতে হয়৷
,,,,,,,,, আমি কি করে বলবো।
,,,,,,,,, যেভাবে একটু আগে কথা গুলো বললি, বল না হলে আমি বুঝাবো।
,,,,,,,,,,,,, বললাম তো আমার মুখ দিয়ে বেড়িয়ে গেছে। আমি কিভাবে,,,
আর কিছু বলার আগেই ফারহান রিমির ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়। রিমির চোখ বেড়িয়ে আসলো বলে। একটু পর ছেড়ে দিয়ে সোজা হয়ে বসে। ঐ দিকে রিমান সোফায় পড়ে ঘুমাচ্ছে।
রিমি,,,,,,, এটা আপনি কি করলেন।কাজটা ঠিক করেন নাই (ঠোঁটে ধরে)
ফারহান,,,,,,,, বেবি এটা তো মাত্র টেইলার ছিলো।
,,,,,,,,,,, আপনি ভালো লোক না। আমার অনুমতি ছাড়া।
,,,,,,,,,, তুমি থেকে সোজা আপনি,,, আচ্ছা বিয়ের পর কিস করার আগে অনুমতি নিবো।
,,,,,,, আর বিয়ের আগে।
,,,,,,,,,, ও তার মানে তোর কিস করতে কোনো আপত্তি নেয়। আর কিস করতে মন চাইলে অনুমতি চেয়ে টাইম নষ্ট কে করবে৷ এক কাজ কর তুই সারা জীবনের অনুমতি আজ এক সাথে দিয়ে দে।
,,,,,,,,,, না দিবো না।
,,,,,,,,,, না দিলে নাই,,, তোর কি মনে হয় আমি তোর অনুমতির আপেক্ষায় বসে থাকবো৷
,,,,,,,,,,, আপনার সাথে আমি আর কথা বলবো না।
,,,,,,,,, সত্যি,,, তুই আমার সাথে কথা না বললে আমার কি হবে, কি নিয়ে বেঁচে থাকবো। (একটি ঢং করে)
রিমি হেঁসে দিয়ে বলে,,,,,, আপনার এই দিকটা আমি কখনো দেখিনি।
রিমান,,,,,,,,,, হয়ছে তোদের,, সকাল সকাল কাহিনি শুরু করে দিয়েছিস। এখানে একটা মনুষ ঘুমাচ্ছে। (ঘুম ঘুম চোখে)
ফারহান রিমি, রিমানের দিকে চোখ বড়ো বড়ো করে ভয়ে তাকিয়ে থাকে।
ফারহান,,,,,,,,, ভুলেই তো গিয়েছিলাম যে,রিমান ও এখানে আছে।
রিমি,,,,,,,, ভাইয়া তুই কোথা থেকে এলি।
রিমান,,,,,,,,,, উড়ে উড়ে,,,,, কাল সারা রাত ধরে এখানেই তো ছিলাম, দূরর কাঁধ পিঠ ব্যাথা করছে।
রিমি,,,,,,,, মা মা মানে।
ফারহান,,,,,,,, আমাদের কথা কতোটুক আগে থেকে শুনছিলি৷
রিমান,,,,,,,, কিছু একটা চাইছিলি,,,, কি চাইছিলি।
ফারহান,,,,,,, কিছু না, আমার একটা জিনিস রিমির কাছে আছে, সেটাই চাইছিলাম।
রিমান,,,,,,, ও ছেছড়া একটা জিনিস নেওয়ার পর জীবনে ফিরত দিবো না। কি জিনিস সেটা আমাকে বলিস আমি তোকে দিয়ে দিবো।
রিমি ফেক করে হেঁসে দেয়।
রিমি,,,,,,,,,, ভাইয়া দিয়ে দিবে,, ওর কাছে চাও।
ফারহান,,,,,,,, লাগবে না। আচ্ছা তুই কিছু দেখিস নি তো।
রিমান,,,, কি দেখবো,,, একমিনিট আমার দেখা উচিত ছিলো এমন কিছু হয়নি তো এখানে (সন্দেহর নজরে তাকিয়ে)
ফারহান,,,,,,,,, তোর দেখা উচিত এমন কিছু এখানে হয়নি।
রিমান,,,,,,,,, তাহলে ঠিক আছে। রিমিকে দেখে তো এখন সুস্থ মনে হচ্ছে। চল ফারহান নিচে যাবি। কাল রাতে খাবার খেতে মনেই নেয়,এখন মনে পড়লো।
ফারহান আর রিমান নিচে চলে যায়। বেশ অনেক ক্ষন পর সবাই রেডি হয়ে, নাস্তা করে নেয়। আজকের টপিক আরাবের বিয়ে কিছুদিন পড়েই হবে। আর লেইট করতে চাই না। কারন মুনের বাবার শরীর বেশিই খারাপ।তাই আজ থেকে বিয়ের আয়োজন শুরু হবে।
রিমান আরাবের বাসায় যায়। আরাব রিমানকে দেখতেই কয়েকটা মার বসিয়ে দেয়।
রিমান,,,,,,,,, আমাকে মারার কোনো বিশেষ কারন। (চোখ ছোট ছোট করে)
আরাব,,,,,,,,,,, সেটা তোকে আমি বলতে পারবো না। কিন্তু তোর জন্য সারা রাত আমি ঘুমাতে পারিনি।
রিমান,,,,,,,,, আমার জন্য ঘুমাতে পারিস নি মানে।দেখ কিছু দিন পর তোর বিয়ে এইসব উল্টা পাল্টা ভাবনা বাদ দে, আমি সব সময় তোকে আমার ভাইয়ের নজরে দেখছি। আমার দিকে খারাপ নজর দিস না৷
এটা শুনে আরাব টেবিল থেকে ফুলের টপ নেয় মারার জন্য।
রিমান,,,,,,, এক মিনিট এক মিনিট,,, এটা দিয়ে মারলে অনেক বেশি ব্যাথা পাবো, অন্য কিছু নে।
আরাব ফুলের টপ রেখে সোফা থেকে বালিশ উঠায়৷
রিমান,,,,,,, হ্যাঁ এটা ঠিক আছে,রেডি।
আরাব এটা দিয়ে রিমানকে মারা শুরু করে। কিছুক্ষণ পর দু’জনেই সোফায় বসে পড়ে।
রিমান,,,,,,,, চল ভাই আমাকে যেতে হবে, অনেক কাজ কাছে, মাত্র কিছু দিনের মধ্যে বিয়ে। কালকে বিয়ের শপিং করতে হবে৷ কারন এর পরের দিন গায়ের হলুদ। আল্লাহ আল্লাহ করে তোর বিয়েটা তাড়াতাড়ি হয়ে গেলে হয়৷
আরাব,,,,,,, আমার বিয়ের তোর এতো তাড়া কেনো।
রিমান,,,,,,, কারন তোর বিয়ের পরে আমাদের পালা তাই।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,