#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….19
ফারহান,,,,,,,, আরে না, রিমান মজা করছে।
রিমান,,,,,,,, এমন কিছু হলে আমি জীবনে ফারহানের বাসায় যেতাম না।
বিকেলে,,,,,,,,,
ফারহান রিমিকে ফোন দেয়, নিচে আসার জন্য, রিমিও রেডি হয় যাওয়ার জন্য। দরজার সামনে যেতেই।
রিমান,,,,,,,, কিরে এতো সেজেগুজে কোথায় যাওয়া হচ্ছে।
রিমি,,,,,,, (যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়)কোথায় এতো সাজলাম জাস্ট লিপস্টিক লাগিয়েছি,আর নতুন একটা টপ পড়েছি, এইতো।
রিমান,,,,,,,,, আচ্চা যাচ্ছিস কোথায় সেটা জিজ্ঞেস করেছি।
রিমি,,,,,,, ও ও ও
রিমান,,,,,,, তোর ও ও শুনে আমার ও বেহুলা গান মনে পড়ে গেছে। মনে যখন পড়ছে গানটা গেয়েই ফেলি,,,,
ও মাহুয়াআআআ আমি মরলে আমায় নিয়া বাসায়ইও ভেলা। ও মাহুয়াআআ (গান গেয়ে)
রিমি,,,,,,, তোমার হয়লে আমি এখন যাবো।
রিমান,,,,,,,, যাবি ঠিক আছে, কিন্তু কোথায়।
রিমি,,,,,,,,,, বা বা বান্ধবীর বাসায় যাবো নোট আনতে
রিমান,,,,,, কোন বা বা বান্ধবীর বাসায় সেটা বল।
রিমি,,,,,,, ঐ দিপ্তির বাসায় যাবো।
রিমান,,,,,,,,, বাসায় যাওয়ার কি দরকার, ওকে নিয়ে আসতে বল।
রিমি,,,,,,, কাজটা আমার ওর না। তাই আমিই যাবো। আর কিছু পড়াও বুঝার আছে তাই একটু দেড়ি হবে।
রিমান,,,,,,, ঠিক আছে চল আমি দিয়ে আসি।
রিমি,,,,,,, কেনো আমি কি একা যেতে পারি না, আমি এখন বড় হয়েছি একা যেতে পাড়বো। (ধমক দিয়ে)
রিমান,,,,,,,, ওরে আমার বড়রে, যা একা আমার কি, কিছু হয়লে আবার আমাকে বলিস না।
রিমি,,,,,,,, বলবো না,, গেলাম আমি।
বলে রিমি বেরিয়ে চলে যায়।
রিমান,,,,,,,,, আহারে বিচারা রিমান কি দিন আসলো ছোট বোনের ধমক খাওয়া লাগে। তোর জন্য আমার বড়ো কষ্ট হয়,জীবনটাই বেদনাদায়ক।
রিমি দৌড়ে যায়। বাসা থেকে একটু দূরে গিয়ে, ফারহানের গাড়িতে গিয়ে বসে।
ফারহান,,,,,,,,, এতো লেইট করছস কেনো।
রিমি,,,,,,, আরে রিমান ভাইয়া প্রশ্ন করা শুরু করলো তাই।
ফারহান,,,,,,,, হ্যাঁ তো বলে দিতি ফারহানের সাথে যাচ্ছি, তাহলেই হতো।
রিমি,,,,,,, আমি বলেছি বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছি, সত্যিটা বললে ভাইয়া কি মনে করতো।
ফারহান,,,,,,,, কিছু মনে করতো না, এর আগেও গিয়েছি আমরা তাই না।
,,,,,, এর আগে তো প্রেম করতাম না। আর লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করার মজাটাই আলাদা।
,,,,,,, দেখিস মজা করতে গিয়ে আবার আমাকে ফাঁসিয়ে দিস না।
বলে ফারহান গাড়ি চালানো শুরু করে।
,,,,,,,
মুন সোফায় মুখ ভার করে বসে আছে। টিভি ছেড়ে অন্য দিকে তাকিয়ে আছে। আরাব এসে বসে, একবার মুনের দিকে তাকায় একবার টিভির দিকে।
আরাব,,,,,,,, কি হয়েছে এমন পেঁচার মতো মুখ করে কেনো বসে আছেন, জানতে পারি।
মুন,,,,,,,,, বিয়ে তো শেষ সেই কবে, তাহলে এখনো মেহমান যায় না কেনো, কিছু ক্ষন পর পর মুরুব্বিরা আসে আর ফাও কামে কতো গুলো জ্ঞান দিয়ে যায়। আর এমন ভাব দেখায় যেনো হিরে মতি দিচ্ছে আমাকে। কেও কোনো কাজ করতে দিচ্ছে না। সারা দিন শুধু বসে বসে তাদের কথা শুনছি। আর কিছু ক্ষন থাকলে আমি পাগল হয়ে যাবো। (কান্না ভাব নিয়ে)
আরাব,,,,,, এতো দেখি গভীর সমস্যা।
আরাবের মা,,,,,, মেয়েটার এখানে ভালো লাগছে না, যাতো মুনকে নিয়ে একটু ঘুরে আয় ভালো লাগবে৷
মুন,,,,,,,, পিল্জ আমাকে এখান থেকে নিয়ে চলুন,,আর এরা না যাওয়া পর্যন্ত আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন না।
আরাব,,,,,,,, চলো,দেখি কোথায় যাওয়া যায়।
মুন তাড়াতাড়ি লাফাতে লাফাতে বাহিরে চলে যায়। আরাব ও যায় গিয়ে গাড়িতে বসে।
আরাব,,,,,,,, বলো কোথায় যাবে।
মুন,,,,,,,,,, একটা নতুন পার্ক হয়েছে চলো সেখানে যাই, শুনেছি অনেক বড় পার্কটা।
আরাব,,,,,,,,, হঠাৎ তুমি করে ডাকছো যে।
,,,,,,,, এখন আপনি করে ডাকলে লোকে কি বলবে, আর তাছাড়া মানি আর না মানি স্বামী তো। আর আমার স্বামীকে নিয়ে কতো স্বপ্ন ছিলো। সে কথায় না যায়। এখন আপনি করে ডাকলে মনে হবে অন্যের স্বামির সাথে গুড়ছি।
,,,,,,,, আচ্ছা কি কি শক ছিলো তোমার স্বামীকে নিয়ে। (গাড়ি চালাতে চালাতে)
,,,,,,,,, অনেক কিছু ছিলো, থাক সে বিষয়ে কথা না বলি।
,,,,,,,, বলে দেখো, আমি পূরণ করলেও করতে পারি। (মুনের দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হাসি দিয়ে)
,,,,,,,,,চুপচাপ গাড়ি চালান। ( বাহিরে তাকিয়ে মুশকি হাসে)
,,,,,,,,,,,
মাহুয়া,,,,,,,,(ফোনে) হ্যালো রিমান
রিমান,,,,,,, হ্যাঁ জান বলো।
,,,,,,,, ফ্রি আছো নাকি।
,,,,,,,, তোমার জন্য আমি সবসময় ফ্রি। বলো কি করতে হবে।
,,,,,,,,, চলো না কোথাও ঘুরতে যায়।
,,,,,,,, কি ব্যাপার হঠাৎ আজ তুমি ঘুরতে যাওয়ার কথা বলছো।
,,,,,,,, আর বলো না, বাবাই কাজে দেশের বাহিরে গেছে, আমার একা একা ঘরে ভালো লাগছে না।
,,,,,,,,, চলো এখনি, যাই।
,,,,,,ঠিক আছে, আমাকে নিতে আসো। আমি অপেক্ষা করছি৷
,,,,,,, আমি এখনি বের হচ্ছি।
রিমান ও মাহুয়াকে নিয়ে বের হয়।
ফারহান রিমিকে নিয়ে একটা পার্কে যায়। রিমি ফারহানের হাত জরিয়ে টানতে থাকে রাইডে উঠার জন্য। ফারহান রিমিকে কম বেশি সব বাচ্চাদের রাইডে বসায়। দোলনা, চরকি,গাড়ি এসব এ উঠায়৷ রিমি ফারহানকে ট্রেন রাইডের সামনে নিয়ে যায়।
রিমি,,,,,,,, আমি এটাতে উঠবো।
ফারহান,,,,,,,, এটা বড়োদের জন্য, তুই উঠতে পারবি না, চল।
,,,,,,, আমাকে কোন দিক দিয়ে ছোট মনে হয়।
,,,,,,,, শুধু শরীর বড় হলেই মানুষ বড় হয়ে যায় না, তুই এটাতে উঠতে পারবি না।
,,,,,,,,, কেনো, দেখতে কি ভালো লাগছে।
,,,,,,,,,, এটা দেখতেই ভালো লাগে, উঠার জন্য কলিজা লাগে।
,,,,,,,,, তোমার কি মনে হয় আমি ভয় পায়।
,,,,,,,, বাচ্চাদের রাইডে উঠিয়েছি তাতেই আমাকে শক্ত করে ধরে বসে ছিলি, এটা তোর জন্য না, চল এখান থেকে।
রিমি সোজা গিয়ে ট্রেনে বসে যায়। ফারহান কিছু ক্ষন দাঁড়িয়ে ডাকে৷
,,,,,, রিমি চুপচাপ উঠে চলে আয়, আমাকে রাগাস না।
,,,,,,,, আমি উঠবো না (ঠোঁট বেকিয়ে)
,,,,,,,,, ঠিক আছে, যা এই রাইডে আমি কিছু বলবো না।
ফারহান ও রিমির সাথে গিয়ে বসে। ফারহান সিট বেল বেঁধে দেয়৷
ফারহান,,,,,,, এখনো সময় আছে নেমে যা, এটা চলা শুরু হয়ে গেলে কিন্তু মাঝখানে আর থামবে না বলে দিলাম।
,,,,,,,, আরে দূরর এতো ভয় পাওয়ার কি আছে, চিল কিছু হবে না।
,,,,,, আচ্ছা একটু পড় দেখা যাবে।
ফারহান রিমির হাত শক্ত করে ধরে, ট্রেন চলা শুরু হয়, রিমির এখন হালকা হালকা ভয় লাগছে। ট্রেন যখন পুরো স্প্রিরিটে যাওয়া শুরু করে, তখন শুরু হয় রিমির চিৎকার। ট্রেন তো একিয়ে বেকিয়ে, উল্টিয়ে পাল্টিয়ে যাচ্ছে। প্রচন্ড বাতাস মুখে এসে বারি খাচ্ছে।
সবাই চিৎকার করছে, রিমি তো গলা ফাটিয়ে চিৎকার করছে। ফারহান রিমির হাত ধরে রিমির দিকে তাকিয়ে আছে। আর খুব জোরে বলছে,,,,,, ভয় পাস না আমি আছি তো।
ট্রেন থামতেই, রিমি দুম মেরে বসে থাকে। ফারহান সিট বেল খুলে রিমিকে বাহিরে নিয়ে আসে। রিমি ঠিক মতো দাড়াতেও পারছে না।
ফারহান,,,,,,,,, কেমন লাগলো।
এটা বলতেই রিমি বাচ্চাদের মতো কান্না করে দেয়। ঠোঁট বেকিয়ে কান্না করে নাক টানতে টানতে বলে,,,,, এটা যে এতো ভয়ানক রাইড আগে বলবা না, আমি অনেক ভয় পায়ছি, মনে হচ্ছিল এখনি পড়ে যাবো। আআআআ
ফারহান রিমির চোখের পানি মুছে দেয়। রিমিকে জরিয়ে ধরে, মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে সান্ত্বনা দেয়।
,,,,,,,,,, আমার কথা না শুনলে এমনি হবে। আচ্ছা আর কান্না করতে হবে না, চল আমরা কিছু ক্ষন হাঁটি তারপর তোকে আইসক্রিম খাওয়াবো।
,,,,,,,,,
রিমান পার্কে এসে প্রায় সব রাইডে উঠে। না, উঠে না মাহুয়া জোর করে উঠায়। রাইডে উঠতে উঠতে রিমানের অবস্থা প্রায় খারাপ।
রিমান,,,,,,,, দেখো তুমি যদি বিয়ের আগে বিধবা হতে না চাও তাহলে দয়া করে আর কোনো রাইডে উঠিয়ো না, চলো কথাও বসে কথা বলি।
,,,,,,,,, ঠিক আছে, চলো।
রিমান মাহুয়া বসে বসে কথা বলতে থাকে। মাহুয়া রিমানের কথা শুনে হাসতে হাসতে শেষ।
মাহুয়া,,,,,,,, তোমার সাথে থাকলে আমি এতো হাসি বলার মতো না, আমি আমার জীবনে এতো হাসি না, যতোটা না তুমি একদিনে হাসাও।
রিমান,,,,,,, এতোটা ফ্রি আমি আমার বন্ধুদের সাথে আর তোমার সাথে হয়েছি।
তুমি বসো আমি আইসক্রিম নিয়ে আসছি।
,,,,,,,,
আরাব আর মুন বিভিন্ন খেলায় ব্যস্থ। বিভিন্ন খেলায় আরাব জিতেছে। আর তার জন্য মুনের কাছে অনেক গুলো টেডিবিয়ার জমা হয়ে গেছে।
এবার আরাব বন্ধুক দিয়ে বোতলে টার্গেট করবে।
মুন,,,,,,,, তিনটা বোতলে গুলি লাগলে এই বড় টেডিবিয়ারটা আমার হবে। পিল্জ মিস করবেন না।
আরাব,,,,,,,,, চিন্তা করো না, এটাও আমাদের হবে। জাস্ট ওয়েট এন্ড সি।
মুন আরাবের দিকে তাকিয়ে আছে, আরাব পর পর দুটো গুলি করে দুটো বোতল ভেঙে ফেলে। মুন খুশিতে লাফাতে থাকে। আরাব মুনের দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে।
মুন,,,,,,, আর মাত্র একটা আছে,তাহলেই টেডিবিয়ার আমার।
আরাব,,,,,,,,, লাস্টেরটা তুমি গুলি করবে।
মুন,,,,,,,, আমি তো বন্ধুক চালাতেই পারি না, আবার বোতল ভাঙবো কিভাবে।
আরাব,,,,,,, আসো আমি শিখিয়ে দিচ্ছি।
মুন আরাবের সামনে আসে, আরাব মুনের পিছনে দাঁড়িয়ে মুনের সামনে বন্ধুক ধরে। মুন বন্ধুক ধরে, আরাব মুনের হাতের উপর হাত রেখে সোজা করে ধরে। আরাব তার মাথা মুনের কাঁধের কাছে রাখে। আরাবের নিশ্বাস মুনের গলা, গাঢ়ে পড়ছে। যার কারনে মুনের শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। মুন তার মাথাটা ঘুরিয়ে আরাবের দিকে তাকায়, আরাব ও তাকায়।
মুন তাড়াতাড়ি সামনে তার চোখ নেয়। আরাব মুনের হাত ধরে গুলি চালায়, আর নিশানা একদম ঠিক লাগে। মুন খুশিতে আরাবকে জরিয়ে ধরে। সবাই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে, তাই আরাব কয়েকটা কাশি দেয়, মুন তাড়াতাড়ি আরাবকে ছেড়ে দেয়।
আরাব,,,,,,,, আমি সব টেডিবিয়ার গুলো গাড়িতে রেখে আসি। দাও আমাকে দাও।
মুন,,,,,, হুমম
আরাব সব গুলো টেডিবিয়ার গাড়িতে রাখতে যায়।
,,,,,,,
ফারহান আইসক্রিম নিয়ে আসে, রিমি একটা বড় গাছের নিচে বসে আছে। ফারহান এসে বসে। রিমিকে আইসক্রিম এনে দেয়।
রিমি খেতে থাকে আর ফারহান বসে বসে দেখছে।
ফারহান,,,,,,,, আস্তে খা, তোর আইসক্রিম কেও নিয়ে যাবে না।
রিমি,,,,,,,,, আস্তে খেলে গলে যাবে, তুমি খাবে না, তেমারটা কোথায়।
,,,,,,,,, না আমি খাবো না, তুই খেলেই হবে। আর এভাবে কে আইসক্রিম খায় মুখের চারপাশে মাখিয়ে।
,,,,,,,, লেগে গেলে আমি কি করবো,, তুমি খেয়ে দেখো ভালো লাগবে (আইসক্রিমটা আগে বাড়িয়ে)
,,,,,,,, না খাবো না, তুই খা।
,,,,,, আরে একটু টেস্ট করে তো দেখো।
ফারহান রিমির দিকে তাকিয়ে, রিমির ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়। রিমি শুধু তাকিয়ে আছে। ফারহান কিস করতে থাকে রিমি তার আগের অবস্থায় আছে। হাতে আইসক্রিম নিয়ে আগে বাড়িয়ে আছে।
ফারহান রিমিকে ছেড়ে, তার ঠোঁট মুছতে মুছতে বলে,,,, হুমম সুইট।
রিমি ফারহানের দিকে তাকিয়ে আছে। ফারহান রিমির দিকে তাকিয়ে বলে,,,,, আইসক্রিমটা এভাবে ধরে না রেখে খেয়ে ফেল না হলে গলে যাবে।
রিমি অন্য দিক তাকিয়ে আইসক্রিম খেতে থাকে। ফারহান মুশকি মুশকি হাসতে থাকে।
,,,,,,,,
আরাব টেডিবিয়ার গুলো গাড়িতে রেখে আসে।
আরাব,,,,,,, আমার মনে হলো, আমি ফারহানকে যেতে দেখেছি।
মুন,,,,,,, আমিও এই মাত্র রিমান ভাইয়াকে দেখলাম। আইসক্রিম নিয়ে যাচ্ছিলো মেবি।
আরাব,,,,,, কিহহ ওরা দুজনে আমাকে রেখে একা একা ঘুরতে এসেছে।
মুন,,,,,,,, দুজন একা একা কিভাবে হয়।
আরাব,,,,,,,,,, আমার বিয়ে হয়ে গেছে বলে এতোটা পর করে দিলো, দুজনে ঘুরতে এসেছে আর আমাকে বলেও নি। দেখাচ্ছি মজা। বলো রিমান কোন দিক গেছে।
মুন,,,,,,,, সামনের দিকে।
আরাব,,,,,,, চলো, আজ ওদের খবর আছে।
আরাব আর মুন সামনে যায়, রিমান আর ফারহানকে খুঁজতে খুঁজতে। কিছু ক্ষন হাঁটার পর আরাব রিমানকে দেখতে পায়, রিমান গোলাপ কিনছে। আরাব রিমানের কাঁধে ধরে তার দিকে ফিরায়।
রিমান,,,,,,,,, ও তুই,, আমার কান ঠিক আছে, ডাক দিলেই শুনতাম,এভাবে ঘুরানোর কি আছে।
আরাব,,,,,,,, তোরা আমাকে রেখে ঘুরতে চলে এসেছিস।
রিমান,,,,,,, তোর মাথা ঠিক আছে তো, গার্লফ্রেন্ডের সাথে ডেটে গেলে কেও কি তার বন্ধুকে নিয়ে যায়।
আরাব,,,,,,,, ফারহান তোর গার্লফ্রেন্ড হলো কবে থেকে।
রিমান,,,,,,,, বিয়ের দুদিন ও হলো না আর পাগল হয়ে গেলি,,, আমি মাহুয়াকে নিয়ে এসেছি। ঐদেখ মাহুয়া বসে আছে। (মাহুওওও, জোরে ডাক দিয়ে)
মাহুয়া পিছনে তাকিয়ে সবাইকে দেখে দৌড়ে আসে।
মাহুয়া,,,,,,,, আরে তোমরা কেমন আছো।
মুন,,,,,,, ভালো ভালো।
রিমান,,,,,,, তুই ফারহান কোথা থেকে পেলি।
আরাব,,,,,, আমি আসার সময় ফারহান কে দেখলাম মনে হলো।
রিমান,,,,,,, ফারহান এখানে কি করবে, চল তো দেখি।
সবাই ফারহানের খোঁজে যেতে থাকে।
রিমান,,,,,,, তুই আর আমি আলাদা আলাদা খুঁজতে থাকি, তাহলে তাড়াতাড়ি পাবো।
কিছু ক্ষন পরে ফারহান আরাবকে আসতে দেখে রিমিকে নিয়ে গাছের পিছনে লুকায়।
রিমি,,,,,, কি হলো।
,,,,,সামনে আরাব আসছে, দেখে ফেললে রিমানকে নিশ্চিত বললে, আর তুই তো আবার রিমানকে মিথ্যা বলে এসেছিস।
,,,,,,,এখন কি হবে। (ভয়ে)
পালাতে হবে আর কি হবে। চল এখান থেকে। ফারহান রিমিকে নিয়ে পিছনে যেতে থাকে,যেই দৌড় দিবে,ওমনি রিমান সামনে এসে পড়ে।
রিমান,,,,, কোথায় যাচ্ছো বাবু।
রিমানকে দেখে রিমি ফারহানের পিছনে লুকায় আর ফারহান বড় করে একটা হাসি দেয়।
রিমান,,,,,,, লুকিয়ে লাভ নেয়, বেরিয়ে আসো, দেখে ফেলেছি।
রিমি ভয়ে বেরিয়ে আসে, আরাব ও চলে আসে।
রিমান,,,,,,, রিমি তোর বান্ধবীর বাসা তো দেখি অনেক বড়ো। আর তোর বান্ধবী এমন ছেলেদের মতো দেখতে কেনো, তাও আবার ফারহানের মতো। ফারহানের হাড়ানো বোন হবে হয়তো তাই না (শান্ত গলায়, হেঁসে)
ফারহান,,,,,,,, আসলে রিমান,,
রিমান,,,,,,,, তোর নাম রিমি। কি হলো বল রিমি।
মুন,,,,,, লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করতে এসেছো বুঝি(খুশি হয়ে)
হঠাৎ মুনের এমন কথায় সবাই মুনের দিকে তাকায়। সবার তাকানো দেখে মুন চুপ হয়ে যায়।
রিমান,,,,,,,, আমাকে যদি বলতি তাহলে কি আমি যেতে মানা করতাম, মিথ্যা বলার কি দরকার ছিলো। (ধমক দিয়ে)
রিমি,,,,,,,, আমি তো বলতেই চেয়েছিলাম ফারহানি না করলো, ববলো রিমান নাকি না করে দিবে।
ফারহান,,,,,,, মিথ্যাবাদী আমি কখন না করলাম।
আরাব,,,,,,,, ফারহান এতো অবিশ্বাস করিস রিমানকে।
ফারহান,,,,,, ভাই বিশ্বাস কর, আমি রিমিকে বলতে না করিনি, সে উল্টো মিথ্যা বলে এসেছে, আর দোষ আমার উপরে চাপাচ্ছে।
রিমি,,,,,,,, না ভাইয়া বিশ্বাস কর।
রিমান,,,,,,,, রাখ তোর বিশ্বাস,, তোকে আমি হাড়ে হাড়ে চিনি। কি যেনো বলেছিলি পড়াশুনো করবো তাই লেইট হবে। এই তোর পড়াশোনা। আর যেনো কি বলেছিলি।
রিমি,,,,,, আর কিছু বলিনি।
রিমান,,,,,,,, হুমম মনে পড়ছে, আমি বড় হয়ে গেছি,, দেখতেই পারছি কতো বড় হয়েছিস।মিথ্যাুক।
মাহুয়া,,,,,,, আচ্ছা এখন বাদ দাও চলো সবাই গুড়ে বাসায় চলে যায়।
আরাব,,,,,, হুমম।
ফারহান,,,,,,, এক মিনিট তুই আর মুন ঘুরতে এসেছিস, বাবাহহহ।
রিমান,,,,,,,,, আক্কেল আসলো তাহলে।
মুন,,,,,,, চলো আমরা সবাই ঐদিক ঘুরতে যায়।
ফারহান,,,,,,,,, চলো।
রিমান ফারহানের দিকে চোখ ছোট করে তাকায়। ফারহান একটা ইনোসেন্ট হাসি দেয়।সবাই অনেক ঘুরে, সবাই মিলে অনেক অনেক আনন্দ করে। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। চারপাশে অন্ধকার হয়ে গেছে।
রিমান,,,,, তোরা সবাই যা, আমি মাহুয়াকে বাসায় দিয়ে আসি। আর ফারহান বাসায় মানপ বাসায় যাবে ওকে (একটা হাসি দিয়ে)
ফারহান,,,,,, হুমম(চোখ ছোট করে)
সবাই গাড়ি নিয়ে চলে যায়, মাঝ রাস্তায় ফারহান গাড়ি থামায়।
রিমি,,,,,,, কি হলো গাড়ি থামালেন কেনো।
ফারহান,,,,,,, এতো সুন্দর করে সব দোষ আমার গাঢ়ে দিয়ে দিলি, এর শাস্তি তো পেতে হবে।
,,,,,,,, কিসের শাস্তি, ঐটা তো পরিস্থিতিতে বেড়িয়ে গেছিলো, সরি (হাসি দিয়ে)
,,,,, তোর সরি আমার লাগবে না। যা বাহিরে বের হয়ে কান ধরে বল আর করবি না।
,,,,,,,, কিহহ কেও দেখে ফেললে।
,,,,,,,এখানে কেও নেয়, যা তাড়াতাড়ি কর।
,,,,,,,, ফারহান আই লাভ ইউ(মুশকি হেঁসে)
,,,,,,,,,,, কাজ হবে না জানি,,যাও চুপচাপ গাড়ি থেকে বের হও।
রিমি সিট বেলটা খুলে, যাবে কি যাবে না ভাবছে।
,,,,,, তাড়াতাড়ি যা।
রিমি পিছনে ফিরে, ফারহানের দুগালে ধরে ঠোঁটে ছোট করে একটা কিস করে দিয়ে আবার নিজের জায়গা এসে বসে।হঠাৎ করে এমন হওয়ায় ফারহান শক খায়।
ফারহান,,,,,,, এবারের মতো মাফ করে দিলাম।
রিমি ফারহানের দিকে তাকিয়ে হাসি দেয়।
,,,,,,,,
রিমান মাহুয়াকে বাসায় পৌঁছে দেয়।
মাহুয়া,,,,,,, ভিতরে আসো কফি খেয়ে পড়ে যাও।
,,,,,,,, তুমি ডাকবে আর আমি আসবো না।
রিমান আর মাহুয়া ভিতরে যায়। রিমান বসে মাহুয়া কফি বানিয়ে আনে। কফি খেতে খেতে দুজনে গল্প করে।
রিমান,,,,,,, এবার আমার যেতে হবে। অনেক লেইট হয়ে গেছে।
,,,,,,,,, এতো টাও লেইট হয়নি।
,,,,,,,, এতো রাতে তোমার সাথে একা থাকাটা ঠিক হবেনা।
মাহুয়া রিমানের কাছে এসে বসে, বসে রিমানের হাত জরিয়ে ধরে বলে,,,,, কেনো হবে না,, আজ বাবাই আসবে বলে মনে হয় না, তো তুমি আজ, আমার, সাথে থেকে যাও (রোমান্টিক লুক দিয়ে,রিমানের কাছে মুখ এনে)
রিমান মাহুয়ার দিকে অন্য রকম ভাবে তাকিয়ে আছে। মাহুয়া রিমানের দিকে তাকায়, রিমানের তাকানো দেখে মাহুয়া বলে,,,,,, রি রি রিমান তুমি যা যাবে, আমি তো এমনি মজা করছিলাম।
,,,,,,,,, অনেক বেশি বলে ফেলেছো (মাহুয়া ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে)
রিমান মাহুয়াকে সোফার সাথে লাগিয়ে কিস করতে থাকে। মাহুয়া উঠতে চায়, রিমান শক্ত করে ধরে রেখে কিস করতে থাকে।কিছু ক্ষন পর দরজার বেল বাঝে।
আর দুজন দুজনকে ছেড়ে দিয়ে বসে।দরজার অপর পাশ থেকে তার বাবার আওয়াজ আসছে।
,,,,,, বাবাই এসে গেছে, এখন কি হবে, রাতে আমাদের একসাথে ঘরে দেখলে কি না কি মনে করবে।
,,,,,,,,এখন কি করবো।
,,,,,,,, কি করবো, কি করবো,এক কাজ করো তুমি আমার রুমে গিয়ে লুকাও আমি আসছি, তাড়াতাড়ি যাও।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,