you are only mine Part-21+22

0
5821

#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)

#Maishara_Jahan
Part………….21

আরাব রুমে ডুকে মুনের দিকে তাকায়, মুনও নেশা ভরা চোখে আরাবের দিকে তাকিয়ে আছে।

কিছু ক্ষন পর আবার দুজনে উল্টো দিকে ফিরে।

আরাব,,,,,,,,(এমন ভুল কারা যাবে না, শালা রিমান আর ফারহান)

মুন,,,,,,,,(ছিঃ ছিঃ মুন নিজের মনকে সামলা, কি ভাবছিস) আরাব আমার হঠাৎ করে কেমন জেনো লাগছে, ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। কিছু একটা করেন।

আরাব,,,,,,,, হেহহ কি করবো (মুনের দিকে ফিরে)

মুন,,,,,,,, দূররর, মানে এমন যাতে আর না লাগে তার কিছু করেন অদ্ভুত।

আরাব,,,,,,,,, জানি না কি করবো,আমার ও একি রকম লাগছে। (ছটফট করতে করতে)

মুন,,,,,,,, নিশ্চয়ই কেও কিছু খায়িয়েছে। উফফ গায়ের কাপড় জেনো শরীরে কামড় দিচ্ছে, সব খুলে ফেলতে ইচ্ছে করছে। (গায়ের কাপড় টান দিয়ে ধরে)

আরাব গিয়ে মুনের হাতে ধরে বলে,,,,,, কি করছো, কাপড় খুলো না।

আরাব আর মুন দুজনার দিকে তাকিয়ে আছে, মুন আরাবের হাত খামচে ধরে। মুন আরাবের দিকে তাকিয়ে তার ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়, কিস করতে থাকে। আরাব ও কন্ট্রোল হারিয়ে মুনকে কিস করতে থাকে।

দুজনে পাগলের মতো কিস করতে থাকে। কিস করতে করতে টেবিলের সাথে ধাক্কা খায়। তারপর বিছানায় পড়ে যায়। দুজন দুজনকে চোখ বন্ধ করে কিস করছে। আরাব মুনের গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয়, মুন আরাবের পিঠ খামচে ধরে।

তারপর আরাব চোখ খুলে উঠে বসে, নিজের গালে কয়েকটা থাপ্পড় দিয়ে বলে,,,,,,, কন্ট্রোল আরাব কন্ট্রোল।

মুন আবার আরাবকে নিজের কাছে টানে। আরাব মুখের কাছে গিয়ে নিজের চোখ বন্ধ করে বলে,,,,,,, মুন কন্ট্রোল করো পিল্জ। নাহলে কালকে আফসোস করবে। আমি তোমার অমতে কিছু করতে চাই না।

মুন,,,,,,,,,, আমার পুরো মত আছে।

আরাব,,,,,,, এটা তুমি না ঔষধে বলছে।

আরাব মুনকে ছাড়িয়ে, তাড়াতাড়ি ওয়াশ রুমে চলে যায়। নিজের গেনজি খুলে গোসল করতে থাকে। ঐদিকে মুন ছটফট করতে থাকে।

বেশ কিছু ক্ষন পর গোসলের পর।

আরাব,,,,,,,, অফফ এখন ঠিক লাগছে, শালা তদের খবর আছে।

আরাব জামা কাপড় পাল্টে বাহিরে বের হয়। বেরিয়ে দেখে মুন একটা ছোট নাইট ড্রেস পড়ে বিছানায় অর্ধেক শোয়া অবস্থায় আছে। আরাব কয়েকটা ডোগ গিলে।

আরাব,,,,,,,, তোমার না এই নাইট ড্রেস একদম পছন্দ হয়নি, যে গিফট করেছে তাকে কতো গুলো গালি দিয়ে। তাহলে আবার পড়লে যে।

মুন,,,,,,,,, অনেক গরম লাগছিলো আমার, আর তুমি না বলেছিলে এই ড্রেসে আমাকে ভালো লাগবে না৷ এখন বলো কেমন লাগছে। (কথার ধরন, গায়ের অঙ্গি ভঙ্গি পাল্টে বলে কথাটা,আরাবের দিকে অন্য রকম ভাবে তাকিয়ে আছে)

আরাব,,,,,,,, একে এভাবে দেখলে ঔষধের কোনো প্রয়োজনী নেয়। না এখানে থাকা যাবে না।

আরাব তাড়াতাড়ি দরজা খুলে বের হতে নেয়, কিন্তু দরজা খুলে না। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।

আরাব,,,,,,, দরজা বাহিরে থেকে কে বন্ধ করলো,,রিমান ফারহান তদের আমি ছাড়বো না, শালা কুত্তা, হারামি। (জোরে)

মুন আরাবের কাছে এসে, পিছন থেকে তার শার্ট ধরে সামনে ফিরায়, আর ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয়। মুন গিয়ে আরাবের উপরে উঠে বসে।

আরাব,,,,,,, একে এখন কিভাবে গোসল করাবো, দেখো এমন করলে নিজেকে সামলানো অনেক কষ্ট হয়ে যাবে। তাছাড়া,,,

আর কিছু বলার আগে মুন আরাবকে কিস করতে থাকে। আরাব অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে, মুনের কাঁধে হাত দিয়ে মুনকে উপরে দিকে ধাক্কা দেয়। মুন তাড়াহুড়ো করে আরাবের শার্টে বোতাম খুলতে থাকে।।

আরাব,,,,,,,, এ কোন বিপদে পড়লাম মনে তো চাচ্ছে,,, থাক না বলাই ভালো।

আরাব মুনের হাত ধরে তাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে। পাশে থাকা ওড়না দিয়ে মুনের হাত বেঁধে দেয়। মুনের হাত বেঁধে তাকে শুয়িয়ে দেয়। মুন পা, এক পায়ের সাথে অন্য পা ঘষছে। আরাব মুনের পায়েদিকে তাকিয়ে, দুই তিনটা এক্সট্রা ডোগ গিলে। তাড়াতাড়ি চাদর নিয়ে মুনের পুরো শরীর প্যাচিয়ে ফেলে। নড়াচড়া করার কোনো উপায় নেয়।

মুনকে শুয়িয়ে আরাব হয়রান হয়ে মুনের পাশে শুয়ে থাকে।

মুন,,,,,,,, আরাব তোমাকে দেখে আমার খারাপ খারাপ খেয়াল আসছে।(আরাবের দিকে মাথা ঘুরিয়ে)

আরাব ও মুনের দিকে মাথা ঘুরিয়ে বলে,,,,,, আমারো,,, এক কাজ করো, আমার দিকে তাকিও না।

,,,,,,, আমি কি করবো চোখ চলে যাচ্ছে।

আরাব মুনকে ধরে অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেয়। আরাব মুনকে যেভাবে প্যাকেট করেছে, তাতে অন্য দিকে ঘুরা তো দূরের কথা নড়তেও পারবে না।

আরাব,,,,,,,,,(খালি সকালটা হোক, রিমান, ফারহান তদের আমি কি যে করমু বুঝে পাচ্ছি না)

,,,,,,,

রিমান আর ফারহান রাতে খালি রাস্তায় গাড়ির উপরে শুয়ে আছে।

রিমান,,,,,,, আজ নিজের প্রতি গর্ববোধ হচ্ছে।

,,,,,,,,,, কেনো

,,,,,,, আরে আমি নিজের বন্ধুর ঘর বসিয়ে দিয়েছি।

,,,,,,,, আমি না আমরা।

,,,,,,,, এহহ তুই কি করছস, প্ল্যান তো আমার ছিলো।

,,,,,,,, তো কি হয়েছে ঔষধ তো আমি এনে দিয়েছি। কাল আরাবের হাতে মার না খেলে হলো, আরকি।

,,,,,,,,,, আরে দূরর ওদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসা হলে, এসে উল্টো ধন্যবাদ জানাবে আমাদের।

,,,,,,,,,, হ্যাঁ আর যদি কিছু না হয়ে থাকে তখন।

,,,,,,,, তখন আর কি মার খাওয়ার জন্য রেডি থাকিস তুই।

,,,,,,,,, আমি কেনো, তুই কেনো না।।

,,,,,,, কারন ঔষধ তো তুই এনে দিয়েছিস।

,,,,,,,,,,, হ্যাঁ কিন্তু প্ল্যান তো তোর ছিলো।

,,,,,,, আচ্ছা এখন কেনো আমরা ঝগড়া করছি,,, আমাদের প্ল্যান অবশ্যই কাজে দিবে। ইশশ আমাদের বিয়ে কবে হবে।

,,,,,,,,, তুই রাজি থাকলে আমার বিয়ে তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে।

,,,,,,,,,দূরে গিয়া মর।

,,,,,,,,, আমি মরলে তোর বোন বিধবা হয়ে যাবে।

,,,,,,,, সমস্যা নেয় কিছু দিন পরে আবার বিয়ে দিয়ে দিবো।

,,,,,,,,,, শালা হারামি।

সকালে,,,,,,,,

মুন নড়াচড়া করার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না। আস্তে আস্তে চোখ খুলে, নিজেকে এমন চাদরে প্যাচানো অবস্থায় দেখে মুন অবাক হয়ে যায়। রিমি ছটফট করতে করতে আরাব আরাব ডাকছে।

মুন,,,,,,,, আরাব আরাব,,আমাকে তাড়াতাড়ি ছুটাও আমি ওয়াশ রুমে যাবো জরুরি। আরাব আরাব কোথায় তুমি।

আরাব আস্তে আস্তে চোখ খুলে, ভালো করে তাকিয়ে দেখে, মুন ঐদিক ফিরে ছুটার চেষ্টা করছে। আরাব হেঁসে দেয়।

মুন,,,,,,,, আরাব আপনি কি এখানে আছেন নাকি নেয়,আমি ওয়াশ রুমে যাবো, পিল্জ হেল্প, যে আমাকে এভাবে বেঁধেছে তার খবর আছে।

আরাব,,,,,,,,, আস্তে আমি ছুটিয়ে দিচ্ছি।

,,,,, তাড়াতাড়ি।

আরাব মুনকে ধরে উঠিয়ে দাঁড় করায়, তারপর চাদরের প্যাচঁ খুলতে থাকে।

,,,,,,, অফফ তাড়াতাড়ি।

,,,,,, আরে বাবা দাঁড়াও খুলছি তো।

আরাব চাদরের প্যাঁচ খুলে, মুনের দিকে তাকিয়ে, তার চোখ আবার অন্য দিকে ঘুরায়।

মুন,,,,,,,, কি হলো

মুন নিজের দিকে তাকিয়ে একটা চিৎকার দিয়ে বলে,,,,এই ড্রেস তাকে কে পড়িয়েছে। খবরদার এদিকে তাকাবে না।

বলে মুন দৌড় দিয়ে ওয়াশ রুমে ঢুকে যায়৷ নিজেকে আয়নায় দেখে তার কাল রাতের কথা সব মনে পড়ে। কাল রাতের ঘটনা সব মনে পড়ার পর মুন তার মুখ দুই হাত দিয়ে ঢেকে রাখে, আর কান্নার মতো আওয়াজ বের করতে থাকে।

মুন,,,,,,,, আআআ এখন আমি কি করবো,, এই মুখ নিয়ে আমি আরাবের সামনে কিভাবে দাঁড়াবো। আমার মান সম্মান সব শেষ। এখন আরাব আমার বিষয়ে কি ভাববে। আআআ কি করবে,, আল্লাহ মাটি ফাঁক করে দাও ঢুকে যায়। কোন হারামি এমন দুষ্টমি করেছে আমাদের সাথে তার উপড় ঠাডা পরুক। (নেকা কান্না কেধে)

মুন ফ্রেশ হয়ে, ড্রেস চেঞ্জ করে, ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে আরাবের দিকে তাকায়ও না, সোজা তাড়াতাড়ি নিচে চলে যায়।

আরাব,,,,,,,,, তো মিস বকবকের সব মনে পড়ে গেছে, আর সে লজ্জা পাচ্ছে। (লম্বা একটা নিশ্বাস নিয়ে ওয়াশ রুমে চলে যায়)

নিচে গিয়ে দেখে আজ সবাই অনেক ভালে মুডে আছে। মুন সোফায় কফির কাপ নিয়ে বসে আছে। শুধু কালকের ঘটনা মাথায় ঘুরছে, আর লজ্জায় লাল, গোলাপি, বেগুনি হয়ে যাচ্ছে।

ভাবি,,,,,,, কি ননদীনি কি এমন ভেবে ভেবে লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছো। (টিটকারি মেরে)

ভাবির কথায় মুনের হুশ ফিরে,আর কফির এক চুমুক নিয়ে বলে,,,, কি যে বলো ভাবি, কি আর ভাববো, কিছু না।

তখনি আরাব পকেটে হাত ঢুকিয়ে সিরি দিয়ে নিচে নামতে থাকে, মুন আরাবের দিকে তাকায় আর তাদের চোখে চোখ পড়ে যায়।মুন তাড়াতাড়ি চোখ সরিয়ে ফেলে। আরাব এসে সোফায় বসে, আর মুন সাথে সাথে উঠে যায়। আরাব মুনের দিকে তাকায়, মুন সোজা রান্না ঘরে চলে যায়। কোনো কাজ নেয় তাও এমনি এমন ভাব করে জেনো কতো কাজ।

আরাব একটু হলেও বুঝতে পেরেছে। আশেপাশে কেও নেয় দেখে আরাব রান্না ঘরে যায়, গিয়ে মুনের কাছে এক গ্লাস পানি চায়। মুন মাথা নিচু করে গ্লাসটা এগিয়ে দেয়। আরাব পানির গ্লাসটা নিয়ে টেবিলে রেখে দেয়।

আরাব,,,,,,,,, মুন দেখো কাল যা হয়েছে, তা হয়েছে এখন সেটা ভেবে লজ্জা পাওয়ার বা মন খারাপ করার কোনো দরকার নেয়।

মুন,,,,,,,,, কাল কি হয়েছে, যার জন্য আমাকে লজ্জা পেতে হবে। এমন তো আমার কিছু মনে পড়ছে না। কিছু হয়েছে কি কালকে।

,,,,,,,, তোমার কিছু মনে নেয়।

,,,,,,,,,, কি মনে নেয়।

,,,,,,,,,, কাল রাতের কোনো কথা মনে নেয়।

,,,,,,,,,, না, আমার শুধু মনে আছে, আমার খারাপ লাগছিলো, তাই আমি রুমে চলে যায়,এরপরে আর কিছু মনে নেয়, হয়তো গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি।

,,,,,,,,, আচ্ছা,,, তাহলে কথা গুলো আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলো। চোখ লুকাচ্ছো কেনো আমার থেকে।

,,,,,,,,,, আপনার সব ফালতু কথা, সরেন দেখি আমার অনেক কাজ আছে।

মুন আরাবকে টপকিয়ে তার বাবার সাথে গিয়ে বসে।

আরাব,,,,,, বোকা পেয়েছো নাকি আমাকে,কাল তুমি নেশায় ছিলে না যে, সকালে সব ভুলে যাবে। আচ্ছা মনে যখন পড়ছেই না, তাহলে মনে পড়ানোর দায়িত্ব আমার।

বলে একটা ভিলেন হাসি দিয়ে, সেও সোফায় গিয়ে বসে। মুন নিউস পেপার ধরে তার দিকে তাকিয়ে আছে।

বাবা,,,,,, মুন মা তুমি কি করছো।

মুন,,,,,, কেনো বাবা দেখছো না, নিউস পেপার পড়ছি।

বাবা,,,,,,, হ্যাঁ মা, কিন্তু নিউজ পেপারটা আগে সোজা করে তো নে।

আরাব হেঁসে দেয়। মুন তাকিয়ে দেখে নিউস পেপার উল্টো ধরে আছে। মুন তাড়াতাড়ি নিউস পেপারটা সোজা করে ফেলে।

মুন,আরাব নাস্তা করে বাসায় যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়ে। মুন গাড়িতে বসে, মোবাইল টিপতে থাকে জেনো, মোবাইলে কতো জরুরি জিনিস দেখাচ্ছে।

আরাব গাড়ি ড্রাইভ করছে আর কিছু ক্ষন পর পর মুনের দিকে তাকাচ্ছে। মুন সব খেয়াল করছে কিন্তু এমন একটা ভাব করছে জেনো সে কিছুই জানে না।

মুন,,,,,,,(অফফ বার বার আমার দিকে তাকানোর কি আছে, এমনি কাল রাতের কথা ভুলতে পারছি না,এমন অর্ধেক ঝুলে থাকার থেকে ভালো ছিলো সব হয়ে যেতো, তাহলে লজ্জাটা তো ভেঙে যেতো)

এসব ভাবতে ভাবতে তাদের বাসা এসে পড়ে।বাড়ি আসতেই মুন লাফ দিয়ে উঠে দৌড়ে বাড়ির ভিতরে যায়।

আরাব ও ভিতরে যায়, গিয়ে আরাব আর ফারহানকে গ্রুপ কল দেয়।

রিমান,,,,,,,,, কি অবস্থা।

আরাব,,,,,, আরে আমার অবস্থা তো অনেক ভালো। তোরা কোথায়।

ফারহান +রিমান,,,,,,, আমরা তো বাসায়।

আরাব,,,,,, তাহলে আমার বাসায় এসে পড়, তোদের ধন্যবাদ জানানোর আছে,, ইশশ কি কাজ করেছিস তোরা (হেসে হেসে)

রিমান +ফারহান,,,,,, এখনি আসছি, আজ তো তুই পার্টি দিবি।

আরাব,,,,,,,, আরে দুম ধারাকা পার্টি দিবো। তোরা আয় তো।

,,,,, এখনি আসছি, টু মিনিট ব্রো।

কিছু ক্ষন পর রিমান আর ফারহান আসে। এসে দেখে আরাব সোফায় হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর তাদের দেখে হাসছে।

রিমান,,,,,,,,, কি অবস্থা ব্রো, মজায় আছো। ধন্যবাদ দিলে আমাকে দে কারন এসব প্ল্যান আমার ছিলো।

আরাব,,,,,,, আচ্ছা তাহলে সবচেয়ে বড়টা তোর।

ফারহান,,,,,,,,, ও হ্যালো ঔষধ তো আমি এনে দিয়েছিলাম। আমি না এনে দিলে হতো নাকি।

আরাব,,,,,,, ওহহ তাহলে তো দুজনে সমান প্রাপ্ত। (পিছন থেকে একটা বড় মোটা লাঠি বের করে) এটা দিয়ে তোদের আমি পুরস্কৃত করবো।

ফারহান,,,,,,,,, আব্বে কেনো আমরা তো তোর ভালোর জন্য করেছি।

আরাব,,,,,,, শালা তোদের ভালো করতে বলছে কে। জানিস কালকে আমার কেমন লাগছিল।

রিমান,,,,,,,, কেমন লাগছিলো।

আরাব,,,,,,,, হারামি আবার জিজ্ঞেস করছে। মনে হচ্ছিলো আমি এক বছর ধরে কিছু খায়নি, আর আমার সামনে খাবার রাখা আছে কিন্তু আমি খেতে পারছি না।

রিমান,,,,,,, কিরে ফারহান তুই ভুলে খিধে লাগার ঔষধ নিয়ে এসেছিলি নাকি।

ফারহান,,,,,,,, আব্বে গাধা ও এক্সযামপাল দিচ্ছে।

রিমান,,,,,,, শালা তার মানে এতো কিছু করার পরেও তুই কিছু করতে পারলি, এখন আমি নিশ্চিত হালার সমস্যা আছে,আগে একে ধরে বেঁধে হসপিটালে নিয়ে যা।

বলার সাথে সাথে আরাব রিমানের পিছনে একটা দেয়।রিমান চিৎকার করে উঠে। এটা দেখে ফারহান পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অনেক আগেই।

রিমান,,,,,,,,, আব্বে ব্যাথা লাগে আস্তে মার।

আরাব,,,,,, আস্তে মারার জন্য ডেকেছি না। শালা কালকে রাতে আমি কতোটা ছটফট করেছি সেটা আমিই জানি। (রিমানকে আরেকটা মেরে)

রিমান,,,,,,, ঐ আমাকে একা কেনো মারছিস, ফারহান কেও মার, ও ঔষধ না আনলে এসব হতোই না।

ফারহান,,,,,,, আব্বে শালা তুই প্ল্যান না করলে আমি আনতামি না।

আরাব গিয়ে ফারহানকে দুটো দেয়। আরাব দুজোনকে দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে পিটায়।

রিমান,,,,,,, হালা পাগল হয়ে গেছে, এভাবে কেও মারে।

ফারহান,,,,,,,, বন্ধু হয় আমরা তোর, একটু আস্তে মার।

আরাব,,,,,, তোদের আজ হাড় গোড় ভেঙে তারপর ছাড়বো।

আরাব ইচ্ছে মতে পিটায়।

রিমান,,,,,,, আল্লাহ রছতে এবার থাম।

আরাব হয়রান হয়ে সোফায় বসে,ফারহান আর রিমান ও বসে।

আরাব,,,,,,, বন্ধু বলে মাফ করে দিলাম।

রিমান,,,,,,,, এহহহ এতো মার দেওয়ার পর কচুর বন্ধু বলে,,,

আরাব রিমানকে একটা লাথি মারে, ফারহান হাসতে থাকে, রিমান ফারহানকে একটা লাথি মারে।

রিমান,,,,,,,, আচ্ছা একটা কথা বল, তুই কি মুনকে ভালোবাসিস না।

আরাব,,,,,,, হয়তো বা ভাসি।

ফারহান,,,,,,,, আরে হয়তো বা কি, ভাসিস আমরা দেখেছি।

রিমান,,,,,, কালকের রাতটা এতোটাই খারাপ ছিলো।

আরাব,,,,,,, না এতোটাও খারাপ ছিলো না (অন্য দিকে তাকিয়ে মুশকি মুশকি হেঁসে)

রিমান,,,,,,,, যাক একটু হলেও তো কাজে দিয়েছে।

তখন রিমানের মোবাইলে ফোন আসে,,

রিমান,,,,,,, হ্যাঁ বাবা বলো।৷ কিহহহ,,, হোয়াট দ্যা ফাও কথা বাবা।

আরাব,,,,,,, কি হলো।

আরাব ফারহানের সাইড থেকে উঠে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়ায়।

ফারহান,,,,,,,, কি হলো বল।

রিমান,,,,,,, তোর জন্য গুড নিউজ,বাবা রিমির বিয়ে অন্য জায়গায় টিক করে ফেলেছে।

ফারহান কিছু ক্ষন রিমানের দিকে তাকিয়ে থাকে, রিমান ফারহানের দিকে। তারপর আরাবের লাঠি নিয়ে রিমানের দিকে দৌড়ে যায় ফারহান। আর রিমান উল্টা পাল্টা দৌড় দেয়।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,

#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)

#Maishara_Jahan
Part………….22

ফারহান কিছু ক্ষন রিমানের দিকে তাকিয়ে থাকে, রিমান ফারহানের দিকে। তারপর আরাবের লাঠি নিয়ে রিমানের দিকে দৌড়ে যায় ফারহান। আর রিমান উল্টা পাল্টা দৌড় দেয়।

রিমান,,,,,,,,,, আরে আমি কি করছি, বিয়ে আমি ঠিক করছি নাকি। বিয়ে তো বাবা ঠিক করছে।(দৌড়াতে দৌড়াতে)

ফারহান,,,,,,,,,, শালা তুই থাকতে ওরা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসলো কিভাবে,আর ঠিক বা কিভাবে হলো।(লাঠি নিয়ে দৌড়ানি দিতে দিতে)

রিমান,,,,,,,,,, আরে আমি কি করে জানবো, আমি কিছু জানি না সত্যি।

ফারহান,,,,,,,, সেটাই তো কথা তুই কিছু কেনো জানিস না, তোর বোনের ব্যাপারে কোনো খেয়াল নেয়।

আরাব,,,,,,,,,, থামবি তোরা,, আগে গিয়ে খালুর সাথে কথা বলেতো দেখি।

ফারহান,,,,,,,, ঠিক আছে,,,, শুনে রাখ রিমান যদি তুই এই বিয়েটা আটকাতে না পারিস, তাহলে তোর জান আমি কবজ করবো।

রিমান,,,,,,,,,, এভাবে তুই আমাকে ভয় দেখাতে পারিস না।

আরাব,,,,,,,,, চুপচাপ আগে রিমানের বাসায় গিয়ে দেখি কি অবস্থা। রিমি হয়তো কান্না করছে।

ফারহান,,,,,,,, হুম চল চল,, রিমি হয়তো কান্নায় ভেঙে পড়ছে।

সবাই বাসায় যায়, গিয়ে দেখে শুধু রিমানের মা সোফায় বসে আছে।

রিমান,,,,,,,,,, মা বাবা কোথায়।

মা,,,,,,,, তোর বাবা তো কাজে বাহিরে গেছে।

ফারহান,,,,,,,,,, আন্টি রিমি কোথায়।

মা,,,,,,,,, ভার্সিটিতে গেছে।

আরাব,,,,,,,,, কিন্তু এতো ক্ষনে তো রিমির চলে আসার কথা।

মা,,,,,,, হুমম ভার্সিটির পর ওর বাবার সাথে কোথায় যাবে বললো ভালো করে শুনেনি।

রিমান,,,,,,,,,, কে কান্না করছে,,ও তো মজা নিয়ে ঘুড়ছে। (হেঁসে হেঁসে)

ফারহান রিমানের দিকে রাগী ভাবে তাকায়, রিমান চুপ হয়ে যায়।

আরাব,,,,,,,, খালা কি শুনলাম রিমির নাকি বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে।

মা,,,,,,,, হুমম ঠিক শুনেছিস,,আমি তোদের বলতেই নিয়েছিলাম।

ফারহান,,,,,,,, এমন হঠাৎ করে,, কখন ঠিক হলো বিয়ে(ব্যস্ত হয়ে)

মা,,,,,,, কাল থেকে কথা ভার্তা চলছিলো, আজ ঠিক হয়ে গেছে।

রিমান,,,,,,,, মা আমাকে কিছু কেনো বললা না,, আর রিমি এখন ছোট এতো তাড়াতাড়ি কেনো বিয়ে দেওয়া লাগবে ওর।

মা,,,,,,,, আমি কিছু জানি না, তোর বাবা আর বোন আসলে জিজ্ঞেস করিস।

আরাব,,,,,,, রিমি জানে বিয়ের কথা।

মা,,,,,,,,,, হ্যাঁ জানে।

ফারহান,,,,,,,, নিশ্চয়ই মেয়েটার মন খারাপ,, কি জানি এখন কেমন অবস্থায় আছে। রিমান আমার সাথে বাহিরে আয়। (হেঁসে)

রিমান,,,,,,৷ যা বলার এখানেই বলনা।

ফারহান,,,,,,, এখানে বলা যাবে না।

ফারহান রিমানকে জোর করে নিয়ে যায়। সাথে আরাব ও যায়।

ফারহান,,,,,,,, তোরা দুজন শুনে রাখ রিমির বিয়ে অন্য কোথাও হলে তোদের দুজনের জান নিয়ে নিবো আমি।

আরাব,,,,,,,, আমি কি করলাম।

ফারহান,,,,,, তোদের মতো বন্ধু থাকতে যদি, নিজের ভালোবাসাকে হাড়াতে হয়, তাহলে কি কচুর বন্ধু তোরা।

রিমান,,,,,,,, আরে তুই একটু বেশি ভাবছিস,রিমি এই বিয়েতে রাজি হবে না, আর রিমি রাজি না হলে বাবা জীবনে রিমির বিয়ে দিবে না।

ফারহান,,,,,, ঠিক,,, আর তোর বাবার চোখে কি দূরবীন লাগানো নাকি,,কাছে ছেলে থাকতে, দূরে বিয়ে ঠিক করছে। তোর বাবার চোখে আমি পড়ি নাই। আমি কি দেখতে খারাপ।

রিমান,,,,,,,,, কিছু করার নেয়,বাবারা হয়ি ভালোবাসার দুষমন। আচ্ছা যা বাসায় যা,,বাবা আসলে কথা বলবো। এই ছোট একটা বিষয় নিয়ে টেনশন করিস না।

ফারহান,,,,,,, ঠিক আছে।

সবাই যার যার বাসায় চলে যায়।

আরাব তার রুমে যায়, মুন আয়নার সামনে বসে আছে। গভীর মনোযোগ দিয়ে কিছু একটা ভাবছে আর নিজের চুল আঁচড়াচ্ছে।

আরাব,,,,,,,, আমার কথা ভাবছো।

মুন,,,,,,, হুমম (অন্য দিকে মন দিয়ে) না মানে, আপনার কথা কেনো ভাববো (জোরে জোরে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে)

,,,,,,,,, কালকের রাতের কথা তো ভাবছো না (মুনের পিছনে দাঁড়িয়ে)

,,,,,,,,,,,, কা কা কাল রাতে আবার কি হয়েছে। (উঠে যেতে নিয়ে)

আরাব মুনের সামনে এসে দাঁড়ায়, মুন ডেসিন টেবিল এর সাথে লেগে যায়।

,,,,,,,,, সত্যি মনে পড়ছে না,কালকের কথা।

,,,,,,,,,, না,, একটু ও মনে নেয়।

,,,,,,,,, তাহলে আমি আছি তো মনে করিয়ে দেওয়ার মতো (হাসি দিয়ে)

,,,,,,,,, আমার কিছু মনে করার দরকার নেয়।

,,,,,,,,, আছে আমার আছে। (মুনের আরো কাছে গিয়ে, আরাব টেবিলের দুপাশে হাত রাখে মাঝখানে মুন)

,,,,,,,,, কি হচ্ছে কি।

,,,,,,, সেটাই তো কাল অনেক কিছু হতে নিয়েও হয়নি। আচ্ছা যেহেতু তোমার মনে নেয়, তাহলে আমি একটা একটা করে মনে করাচ্ছি। রুমে ঢুকতেই তুমি আমাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরেছো।

,,,,,,, কিহহ মোটেও না,,, মানে এমন হতেই পারে না।

,,,,,, হয়েছে, এমন হয়েছে,,,তারপর আমাকে জোর করে কিস করছিলে। আমি কতো মানা করলাম।কিন্তু তুমি আমাকে বার বার বলছিলে, আরাব আমি তোমাকে ভালোবাসি,, তোমাকে ছাড়া আর থাকতে পারছি না,, প্রতিদিন তোমার কাছে যেতে আমার অনেক ইচ্ছে করে।

,,,,,,,, স্টপ,, মুখ বন্ধ করুন আপনার কাল রাতে এমন এমন কিছু বলিনি, সব মনে আছে আমার। (আরাবের মুখে হাত দিয়ে, তাড়াতাড়ি বলে কথাটা)

আরাব মুনের হাতে কিস করে, মুন তাড়াতাড়ি হাত সরিয়ে নেয়।

মুন,,,,,,, কি করছেন এটা।

,,,,,,,,,, কালকে এতো কিছু হলো,তাও কিছু হলো না, এখন শুধু হাতে একটু কিস করেছি এটাতে অনেক প্রবলেম।

মুন লজ্জায় আরাবের দিকে তাকাতে পারছে না। চোখ দুটো শুধু এদিক সেদিক করছে।

,,,,,,,,, কি হলো লজ্জা পাচ্ছো নাকি,, কিন্তু কালকে তোমার লজ্জা ছাড়া অনেক কিছুই দে,,

,,,,,,, চুপ করবেন আপনি,,, বার বার কালকে কালকে লাগিয়ে দিয়েছেন,,,কালকের কথা ভুলে যান না।

,,,,,,,, কি করে ভুলবো,, পারছি না তো, কালকের সব কিছু মাথায় ঘুরছে। (নিজের ঠোঁটে হাত দিয়ে)

,,,,,,,,,, অফফ দয়া করে আর কালকের ঢোল বাঝাবেন না। দয়া করে আজকের দিকে ফকার্স করুন।

,,,,,,,, ইশশ পারছি না,,,একবার ভাবো কাল যদি আমি কন্ট্রোল না করতাম তাহলে তো (দুষ্টু হাসি দিয়ে)

,,,,,,,,,,, কে বলেছিলো কন্ট্রোল করতে,, অর্ধেক ঝুলিয়ে রাখা থেকে ভালো পুরোটাই হয়ে যেতো (অন্য দিকে তাকিয়ে)

,,,,,,,,,,,, কি, কি বললে, হয়ে গেলে ভালো হতো।

,,,,,,,,,,, আর নয়তো কি, অন্তত এই লজ্জা থেকে তো বাঁচা যেতো।

,,,,,,,,, তুমি চাইলে কালকের অসম্পূর্ণ কাজ আজ করতে পারি।

,,,,,,,,, তোমার স্বপ্নে। কাল হুশে ছিলাম না কিন্তু আজ আছি। সরো, আর হ্যাঁ কালকের বিষয়ে আমাকে আর কিছু বললে খবর আছে।

বলে আরাবকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে চলে যায়।

আরাব,,,,,,,, শুধু শুধু কাল কন্ট্রোল করলাম তাহলে। ইশশ এখন আফসোস হচ্ছে।

মুন,,,,,,,, ইশশ আরেকটু হলেই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতো। মুন তোর কি হয়েছে আরাবের সামনে যেতেই তোর হার্ট বির্ড বেড়ে যায় কেনো। আর অদ্ভুত একটা ফিলিং আসে। কিন্তু কেনো,,,

,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,,(ফোনে) আমার জানু এখন কি করে।

রাইহান খান,,,,,,,,,, তোমার জানু এখন গোসল করে।

,,,,,,, ক কে

,,,,,,,,, তোমার জানুর বাবা বলছি।

,,,,,,,,, ও বাবাই, না মানে আংকেল, কেমন আছেন, মানে সরি। (তাড়াহুরো করে)

,,,,,,,,,,আস্তে আস্তে ,, আমি ভালো আছি। তো তোমাদের মধ্যে সব ঠিক ঠাক।

,,,,,,,,, হুমম আংকেল।

মাহুয়া,,,,,,,,, বাবাই কার সাথে কথা বলছো আমার ফোন দিয়ে।

,,,,,,,,, তোর জানু ফোন করেছে।

,,,,,,,, কিহহ কে করেছে।।

,,,,,, নে কথা বলে দেখ,, আমি আসি।

মাহুয়ার হাতে ফোনটা দিয়ে মাহুয়ার বাবা চলে যায়।

,,,,,,হ্যালো কে।

,,,,,,,,, আরে আমি।

,,,,,,,,,ও কেনো ফোন করেছো।।

,,,,,,,, এটা আবার কেমন কথা,, গার্লফ্রেন্ডকে মানুষ কেনো ফোন করে,, আর আমি কি দেখি না মানুষ তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে সারা দিন রাত কথা বলে, আমার আবার ওমন কপাল কোথায়,, হায়রে জীবন।

,,,,,,,,, হয়েছে ড্রামা করা। আল্লাহ তুমি আর তোমার নাটক। আচ্ছা একটা কথা বলো, রিমির কি হয়েছে কাল থেকে মন খারাপ করে বসে আছে, কি জেনো চিন্তা করছে।

,,,,,,, আরে বাবা ওর বিয়ে অন্য কোথাও ঠিক করে ফেলেছে।

,,,,,,,,, কি বলছো,,তুমি না ভাই কিছু একটা করো।

,,,,,,, আরে হ্যাঁ চিন্তা করোনা কিছু না কিছু ঠিক করবো।

,,,,,,,, রিমির যদি আরেক বার মন খারাপ দেখি না তাহলে খবর আছে তোমার।

,,,,,,,,,, আরে সাব্বাশ যাকে দেখি শুধু আমাকে হুমকি দেয়।

সন্ধ্যায় রিমি আর তার বাবা বাসায় আসে। রিমান ফারহান আর আরাবকে ফোন দিয়ে ডাকে। সবাই তাড়াতাড়ি আসে। ফারহান রিমানের পাশে বসে, রিমান উঠে যেতে চাইলে ফারহান জোর করে বসায়। ফারহান আরাব আর রিমানকের মাঝখানে বসে।

রিমান,,,,,,,, বাবা এটা কি ঠিক হলো, আমাকে না বলে বিয়ে ঠিক করে ফেললে। কার সাথে বিয়ে ঠিক করলে কি।

বাবা,,,,,,,, আরে ছেলের অনেক বড়ো বিসনেজ আছে, ছেলে দেখতে হেন্সাম, ভালো ভদ্র আর কি লাগে।

ফারহান এই সব কথা শুনে দুই সাইডে রিমান চর আরাবের হাত চেপে ধরেছে। দুজনে না কিছু বলতে পারছে না ব্যাথায় চিৎকার করতে পারছে।

রিমান,,,,,,, এতো দূরে দেখার কি দরকার ছিলো, আশেপাশে কতো হেন্সাম, বিসনেজ ম্যান ভদ্র ছেলে আছে তাদের ছেড়ে, কি কার সাথে বিয়ে দিচ্ছো।

বাবা,,,,,,,,,আরে আমার মেয়ের জন্য ঐ ছেলে নাম্বার ওয়ান।

ফারহান আরো জোরে দুজনের হাত চেপে ধরে রাগে। দুজনি আউউ করে উঠে।

বাবা,,,,,,,কি হলো।

রিমান,,,,,,, বেশি কিছু না শুধু তোমার কথার ভার নিতে পারছি না।

আরাব,,,,,,, কিন্তু খালু রিমি এখনো ছোট।

বাবা,,,,,,,,, জানি কিন্তু ছেলে মেয়ে রাজি তো কি করবে কাজি।

ফারহান,,,,,,,, মানে,,,আর রিমি হয়তো এই বিয়েতে মত নেয়।

বাবা,,,,,,,, ওর মতেই তো এসব কিছু হচ্ছে। আমি তো রাজি ছিলাম না,, এখন রিমির ঐ ছেলেকে পছন্দ হয়েছে তো আমি কি করবো। ও নিজে আমাকে এসে বলেছে যে ও অন্তিকে সে বিয়ে করতে চাই।

ফারহান,,,,,,,,,, কিহহ এটা হতে পারে না (উঠে দাঁড়িয়ে)

বাবা,,,,,,,,, তোর আবার কি হলো,,

রিমান,,,,,,, কিছু না কিছু না,, দাঁড়া একবার রিমিকে ডাক দিয়ে শুনি কি বলে। রিমি রিমি (জোরে ডাক দিয়ে)

রিমি রুম থেকে বেরিয়ে সিরি দিকে এসে, দেখে সবাই এখানে আছে, ফারহানের দিকে তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নেয়।

আরাব,,,,,,, নিচে আয় তোর সাথে কথা আছে।

রিমি নিচে এসে সবার সামনে দাঁড়ায়। ফারহান রিমির দিকে প্রশ্ন ভরা চোখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু রিমি নিচের দিকে মাথা করে আছে।

রিমান,,,,,,, রিমি কি শুনছি,,তুই নাকি বিয়ের জন্য রাজি। তোর নাকি ঐ অন্তিককে পছন্দ।

ফারহান,,,,,,,,, এটা মিথ্যা কথা তাই না রিমি।

রিমি,,,,,,,,, সত্যি কথা,, এখানে কিছুই মিথ্যা না (নিচের দিকে তাকিয়ে)

ফারহান,,,,,,,,, আমার বিশ্বাস হয় না, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কেনো বলছিস না। সত্যি হলে চোখের দিকে তাকিয়ে বল।

রিমি ফারহানের দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে, শক্ত গলায় বলে,,,,,, এটাই সত্যি, আমি অন্তিককে ভালোবাসি। আর তাকেই বিয়ে করতে চাই।

ফারহান,,,,,,, মিথ্যা বলছিস,,,তাহলে এই অন্তিক এতো দিন কোথাই ছিলো।

রিমি,,,,,,,, ও অনেক আগে থেকেই ছিলো। আমরা ফোনে কথা বলতাম,,কিন্তু এখন আমি তার জন্য ফিল করি।

রিমান,,,,,,,, ওয়াট দ্যা ফাও কথা,, এটা তোকে বাবা বলতে বলেছে তাই না।

বাবা,,,,,,,, ঐ চুপ আমি কেনো বলবো,,উল্টো রিমি আগে আগে বিয়ের কথা বলছে,,অন্তিক এর ফেমেলি বাকি বিয়ের জন্য জোর করছে তাই রিমি তাড়াতাড়ি বিয়ে করে ফেলতে চাইছে।

ফারহানের রাগে চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে, সে রিমির দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে কিন্তু রিমি চুপচাপ অন্য দিকে চোখ ফিরিয়ে তাকিয়ে আছে। ফারহান রাগে সেখান থেকে চলে যায়।

বাবা,,,,,,, এর আবার কি হলো।

আরাব,,,,,,, কিছু না একটা কাজ মনে পড়ে গেলো,, আমরা এখনি আসছি।

আরাব আর রিমান ফারহানের পিছনে যায়। ফারহান বাসায় গিয়ে সব কিছু ভেঙে ফেলছে রাগে টেবিল লাথি দিয়ে ফেলে দেয়,ফুলের টপ সব কিছু ভেঙে ফেলছে।আরাব আর রিমান ফারহানকে আটকায়।

আরাব,,,,,, কি করছিস।

রিমান,,,,,,, শান্ত হ

ফারহান,,,,,,,, কিভাবে শান্ত হবো,, তোর বোনের সমস্যাটা কি,, ও নাকও অন্য কাওকে ভালোবাসে,, এটা কি করে সম্ভব। (চিৎকার করে)

রিমান,,,,,,,, বুঝতে পারছি না,, আমি রিমিকে বুঝাচ্ছি।

ফারহান,,,,,,, বুঝা ওকে ভালো করে বুঝা,, ও শুধু আমার শুধু আমার, only mine..চিৎকার করে।

আরাব,,,,,, আমরা রিমিকে বুঝাচ্ছি তুই শান্ত হ

ফারহান,,,,,,,, আমাকে একটু একা থাকতে দে,, যা এখান থেকে।

রিমান,,,,, শুন তুই,,

,,,,,, বল্লাম না যা,,আমাকে একা থাকতে দে (চিৎকার করে)

আরাব,,,,,,, চল রিমান,,,ওকে একটু একা থাকতে দে,, আমরা গিয়ে রিমির সাথে কথা বলি।

আরাব আর রিমান রিমির কাছে যায়।

রিমান,,,,,,, রিমি এসব কি হচ্ছে, তুই ফারহানকে ভালোবাসিস না।

রিমি,,,,,,, না ভাসি না।

আরাব,,,,,, তহলে এতো দিন কি ছিলো এসব।

রিমি,,,,,,,, ফারহান আমাকে বাধ্য করেছিলো ভালোবাসতে তাই। আমি শুধু অন্তিককে ভালোবাসি।

আরাব,,,,,,, মিথ্যা বলিস না,, আমি তোর চোখে ভালোবাসা দেখেছি।

রিমি,,,,,,, ভুল দেখেছো।

রিমান,,,,,,,, একটা থাপ্পড় দিয়ে তোর সব ড্রামা বের করে দিবো। চুপচাপ বাবাকে গিয়ে বল তুই বিয়েটা করবি ন।

রিমি,,,,,,,, বিয়েটা তো আমি করবো,,আর যদি তোমরা আমাকে আটকাও তাহলে আমি আমার জান দিয়ে দিবো, আর তোমরা জানো এটা আমি করতে পারি।

রিমি এটা বলে চলে যায়।

রিমান,,,,,, রিমিহহ,,,আরাব এই মেয়ে পাগল হয়ে গেছে নাকি।

আরাব,,,, জানি না কি হচ্ছে।

রাত ১ টা,,,,

ফারহান লুকিয়ে বারান্দা দিয়ে রিমির রুমে ঢুকে। ঢুকে দেখে রিমি একটা বালিশ কোলে নিয়ে অর্ধেক শোয়া অবস্থায় আছে। অন্য দিকে তাকিয়ে আছে।

,,,,,,, কি ঘুম আসছে না।

রিমি ফারহানের দিকে তাকিয়ে, দাঁড়িয়ে যায়।

,,,,,,,,,,,, তুমি এখানে,,,এতো রাতে কি করছো এখানে।

,,,,,,,তোর সাথে কথা বলতে এসেছি।

,,,,,,,,, আমরা কাল কথা বলবো, এখন যাও।

,,,,,,, এই চুপ,, আমি এখনি কথা বলবো (জোরে,রাগে)

,,,,,,,,,, বল এসব কেনো করছিস,, আমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য। (রাগে চোখ লাল হয়ে গেছে,চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে)

,,,,,,,,, তোমাকে কষ্ট দেওয়ার আমার কোনো ইচ্ছে নেয়।

,,,,,,, রিমি আমার সাথে নাটক করিস না, আমাকে ভালো করে জানিস,এটা তোর জন্য ভালো হবে না। তোর নাটক বন্ধ কর।

,,,,,,,, এটা কোনো নাটক না,, আমি ভালোবাসি অন্তিককে।

ফারহান রিমির দুগালে চাপ দিয়ে ধরে বলে,,,,,,কাকে ভালোবাসিস হুম,, কাকে,, তাহলে এতোদিন আমার সাথে কি করছিলি হুমম।

রিমি ফারহানের হাত এক ঝটকায় সরিয়ে নিয়ে বলে,,,,তুমি জোর করেছো তাই ভালোবাসার নাটক করেছি,,তুমি শুধু ব্যাথা দিতে যানো,,অন্তিক আমাকে অনেক ভালোবাসে, আর আমি তাকেই বিয়ে করবো।

ফারহান রিমির গলা চেপে ধরে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে বলে,,,,,,,আমাকে ছেড়ে অন্য কারো হওয়ার চিন্তা করলেও তোকে আমি মেরে ফেলবো,,তুই শুধু আমার,,Only mine.. You Are Only mine,, Do you understand. (রাগে চিৎকার করে)

রিমি,,,,,,, আস্তে কথা বলো,, আর এই জন্যই আমি তোমাকে ভালোবাসি না,,,আমাকে ছাড়ো ব্যাথা লাগছে।

ফারহান আরো জোরে চেপে ধরে বলে,,,,,,, লাগুক,, সত্যি করে বল,, না হলে কিন্তু আমি,,

রিমি ফারহানের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে, রিমির চোখ দিয়ে পানি পড়ছে,, ফারহান রিমির চোখের পানি দেখে ছেড়ে দেয়। রিমি লম্বা কয়েকটা শ্বাস নেয়।

রিমি,,,,,,,,, কি করবে হুমম

,,,,,,,,, তোর অন্তিককে জানে মেরে দিবো।

,,,,,,,, এটা করার কল্পনাও করবে না,, যদি অন্তিকের কিছু করার কথা ভাবো তাহলে আমি আমার জান দিয়ে, দিবো বলে দিলাম।

,,,,,,,,,,হুমকি দিচ্ছিস আমাকে,,, এতো ভালোবাসা ওর প্রতি।( বলে ফারহান দেওয়াকে অনেক জোরে ঘুষি দেয়,হাত দিয়ে রক্ত পড়ছে)

,,,,,,,,ফারহান কি করছো,হাত থেকে রক্ত পড়ছে।।

,,,,,,,, তাতে তোর কি হুমম (রিমির দু বাহুতে শক্ত করে ধরে)

,,,,,,,ঠিক বলেছো,,এখন পিল্জ তুমি এখান থেকে যাও।

,,,,,,,,,,, ঠিক আছে যাচ্ছি,, বিয়ে করার শক তোর তাই না, শক মিটাবো।

বলে খাটে একটা লাথি দিয়ে চলে যায়।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,