#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….23
,,,,,,,ঠিক বলেছো,,এখন পিল্জ তুমি এখান থেকে যাও।
,,,,,,,,,,, ঠিক আছে যাচ্ছি,, বিয়ে করার শক তোর তাই না, শক মিটাবো।
বলে খাটে একটা লাথি দিয়ে চলে যায়।
দুপুরে ,,,,,
ফারহান রিমানের বাসায় যেতে নেয়, আরাব ডাক দেয়।ফারহান পিছনে তাকিয়ে দাঁড়ায়। আরাব ফারহানের কাছে আসে।
আরাব,,,,,,,,, ফারহান তুই ঠিক আছিস।
,,,,,,, দেখে কি মনে হচ্ছে,, আমি একদম ঠিক আছি। চল ভিতরে যায়।
,,,,,,,, না,, তোর ভিতরে যাওয়া লাগবে, চল আমরা অন্য কোথায় যায়,গিয়ে একটু ঘুরে আসি।
,,,,,,,,,,, কেনো, ভিতরে গেলে কি প্রবলেম।
,,,,,,,, না,, মানে
,,,,,,,, জানি আমি অন্তিক তার মা বাবা আসছে, আংকেল আমাকে সে জন্যই ডেকেছে।
,,,,,,,,,,, তাহলে কেনো যাচ্ছিস, এসব দেখে তোর কষ্ট হবে।
,,,,,,, কষ্টের কারনটাই দেখতে আসছি। আমিও তো দেখি কে এই অন্তিক যার নামও আজ পর্যন্ত শুনি নি সে হঠাৎ করে আমার জীবনে এমন করে কিভাবে এসে গেলো। চল গিয়ে দেখি।
ফারহান আরাবের কাঁধে হাত দিয়ে নিয়ে যায়। ভিতরে যেতেই ফারহান উপরে রিমির রুমের দরজার দিকে তাকায়।
রিমান,,,,,,,,, ফারহান তুই (মুখ মলিন করে)
ফারহান,,,,,,,, কেনো আসতে মানা আছে নাকি। এখন তুই ও বলে যে,তোদের বাসায় আসা যাবে না (রাগে)
রিমান,,,,,,,,,, আমি সেটা কখন বললাম। বস তোরা।
ফারহান,,,,,,,,, কাল তোরা রিমিকে বুঝাবি বলেছিলি, কি বলেছে ও।
আরাব,,,,,,,, কালকের কথা ছাড় না,, শান্তি বস।
ফারহান,,,,,,,,, কি বলেছে সেটা বল।
রিমান,,,,,,, তেমন কিছু না।
ফারহান,,,,,,,, আমার কছম সত্যিটা বল।
আরাব,,,,,,, ফারহান (ধমক দিয়ে)
ফারহান,,,,,,,,, বল
রিমান ফারহানকে সব কিছু বলে,, সেটা শুনার পর ফারহান দুম মেরে নিচের দিকে মাথা দিয়ে বসে আছে।
আরাব,,,,,,,, ফারহান তুই ঠিক আছিস তো।
ফারহান,,,,,,,,, yeah I am fine. তোর বোন দেখা যায় কয়েক দিনে ঐ ছেলেকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছে। আর এতো বছরেও আমি তোর বোনের মনে একটু জায়গা করে নিতে পারিনি। ছেলেটাকে তো এখন দেখতেই হচ্ছে। তা কখন আসবে তারা।
রিমান,,,,,,,, কিছু ক্ষন পরেই হয়তো এসে যাবে।
আরাব,,,,,,,, হঠাৎ করেই রিমির এমন আচরণ আমি কিছু বুঝতে পারছি না। খালু কোনো জোরাজোরি করে নি তো।
রিমান,,,,,,, হতেই পারে না,, বাবার কাছে রিমি যেটা বলবে সেটাই,, যেটাতে ওর মেয়ে খুশি না এটা জীবনেও করবে না।
কিছু ক্ষন পর, রিমির মা বাবা সবাই এসে বসে। অন্তিক এর বিষয়ে কথা বলছে। ফারহান কোনো রকমে তার রাগটা কন্ট্রোল করছে। একটু পর অন্তিক তার ফেমেলি সবাই চলে আসে। সবাই দাঁড়িয়ে তাদের ওয়েলকাম জানাচ্ছে। ফারহান মাথা নিচু করে বসে আছে।
একটু পর অন্তিক ফারহানের ঠিক সামনে বসে, তখন ফারহান মাথা তুলে অন্তিকের দিকে তাকায়। ফারহানের চোখে স্পষ্ট রাগ দেখা যাচ্ছে। অন্তিক ফারহানের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়।ফারহান কিছু ক্ষন ওর দিকে তাকিয়ে থেকে, হাত মিলায়, ফারহান জোরে অন্তিকের হাত চেপে ধরে।
ফারহান রাগী চোখ আর ঠোঁটে হাসি নিয়ে অন্তিকের দিকে তাকায়। অন্তিক ও তীর্ক্ষ চোখে তাকিয়ে ফারহানের সাথে হেন শেখ করে।
রিমান,,,,,,,,,, একটা মাত্র বোন আমার সে এখনও ছোট। বিয়েটা এতো তাড়াতাড়ি না করলে হয়না।
অন্তিক,,,,,,,, বাবা, মা মানছে না। তাছাড়া ভালোবাসার মানুষের থেকে বেশি দূরে থাকা যায় না। আমি আর রিমি দুজন দুজনকে ভালোবাসি তাই লেইট করে লাভ কি (ফারহানের দিকে তাকিয়ে)
ফারহান,,,,,,,,, আচ্ছা অন্তিক রিমির সাথে তোমার কখন দেখা হয়,,মানে কবে হয়েছিলো।
অন্তিক,,,,,,,, আমার ডাক নাম অনি,, সবাই আমাকে অনি বলেই ডাকবেন। আর আমাদের দেখা হয়নি, শুধু মোবাইলে কথা হয়েছে, ভিডিও কলে দেখেছি।
ফারহান,,,,,,,, শুধু এভাবেই প্রেমে পড়ে গেলে।
অনি,,,,,,, ভালোবাসায় এসব মেটার করে না।
তখনি রিমির মা রিমিকে নিচে নিয়ে আসে। রিমি মিষ্টি গোলাপি রঙের জর্জেট শাড়ী পড়েছে। চুল ছাড়া, হালকা সাজ,মুখে কোনো হাসি নেয়।
ফারহানের রাগ এখন প্রচুর বেড়ে যায়। কাঁচের গ্লাসটা চেপে ধরে। কারন অনি রিমির দিকে অদ্ভুত নেশা ভরা চোখে তাকিয়ে ছিলো। ফারহান তার হাতের গ্লাসটা জোরে টেবিলে রাখে। তার আওয়াজে সবাই ফারহানের দিকে তাকায়। রিমি ও ফারহানের দিকে তাকিয়ে আছে।
ফারহান,,,,,,,,, ও সরি বুঝতে পারিনি এতো আওয়াজ হবে। (আজ এতো সাজ কার জন্য। এই দিনটিও আমাকে দেখতে হবে জীবনে ভাবিনি)
অনি,,,,,,, হায় রিমি,, কেমন আছো।
রিমি,,,,,,,, আমি ভালো আছি,অন্তিক তুমি কেমন আছো।
অনি,,,,,,,, তুমি আসার পরে সুপার ভালো। (চোখ টিপ দিয়ে)
ফারহান,,,,,,,,, রিমি অন্তিক না অনি বলে ডাক।তার নিক নেম, সবাই ভালোবেসে ডাকে।
রিমি ফারহানের চোখের দিকে তাকাতে পারছে না। একবার তাকিয়ে আবার সরিয়ে ফেলে। রিমিকে অনির পাশে বসানো হয়।
অনি,,,,,,, আমি ভাবতাম আজ কাল শাড়ি কে পড়ে, কিন্তু তোমাকে শাড়িতে দেখার পর মনে হচ্ছে এখনি বিয়ে করে নিয়। সুপার হট লাগছো,একদম মালাই কুলফি (রিমিকে ভালোভাবে দেখে)
রিমি বার বার নিজের শাড়ি ঠিক করছে, বার বার আশেপাশে তাকাচ্ছে, সে অনেক অস্তি ফিল করছে। ফারহানের এসব দেখে রাগে গলার হাতের রগ সব ফুলে গেছে।
অনি,,,,,,, আংকেল আন্টি, আপনারা অনুমতি দিলে আমরা একটু আলাদা কথা বলি।
রিয়াদ খান,,,,,,, হুম যাও,,,রিমি তোর রুমে নিয়ে যা।
রিমি ফারহানের দিকে তাকায়, ওর চোখে রাগের আগুন দেখে আবার সরিয়ে ফেলে।
অনি,,,,,,, চলো তোমার রুমে।
রিমি,,,,,,,,,, হুমম চলো।
অনি আর রিমি যাচ্ছে, ফারহান তাদের দিকে তাকিয়ে তাদের যাওয়া দেখছে।
অনি,,,,,, তাহলে এটা তোমার রুম,,একটা কথা বলবো।
,,,,,,,, বলেন।
,,,,,,,,,, আমি তো জানতামি না যে, আমার হবু বউ এতো সুন্দর। জানলে আরো আগে চলে আসতাম। তোমাকে দেখার পর তোমার প্রেমে পড়ে গেছি। একটু হাসলে আরো সুন্দর লাগবে। একটু হাসো পিল্জ।
,,,,,,,, কি করবো বলুন, আমি তো আর অভিনেত্রী নয়, তাই ওতো ভালো অভিনয় পারিনা। তাই চেষ্টা করেও হাসতে পারছি না।
,,,,,,,,,এরকম জ্বাজালো মেয়ে আমার খুব ভালো লাগে।এখান থেকে যখন নিচে যাবো তখন তেমার মুখে যেনো হাসি থাকে। আর ঐ ফারহান তোমার এক্স হয় তাই তো, দেখে বুঝা যায়। আচ্ছা এখন সব এক্স ফেক্স ভুলে যাও, আর শুধু আমাকে মনে রাখো। তোমাকে জরিয়ে ধরতে আমার অনেক মন চাইছে, একটু ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে, মে আই।
রিমি,,,,,,,, নো, পিল্জ। আম নোট রেডি। (দূরে সরে গিয়ে)
,,,,,,,, ঠিক আছে, এখন জোরা জোরি করবো না,, কিন্তু বিয়ের পরে বলতে পারবো না।
কিছু ক্ষন পর রিমি আর অনি নিচে আসে, ফারহান তাদের দিকে তাকায়, রিমি আর অনির মুখে হাসি দেখে গা জ্বলে যাচ্ছে। বিয়ের তারিখ ঠিক করে সবাই চলে যেতে নেয়। সবাই তাদের এগিয়ে দিতে যায়।
রিমি উপরে উঠে তার রুমের দিকে যেতে নেয়,ফারহান রিমির হাত ধরে এক কোনায় এনে চেপে ধরে।
রিমি,,,,,,,, ফারহান কি হচ্ছে ছাড়ো আমাকে।
,,,,,,,,,, কার জন্য এতে সেজেছিস তুই হুমম। (রাগে)
,,,,,,,,,, বুঝতে পারছো না, কার জন্য।
,,,,,,,,,, না বুঝতে চাই না,,, তুই শুধু আমার জন্য সাজবি,, সাহস কি করে হলো তোর অন্য কারো জন্য সাজার হুমম (রিমির মুখ চেপে ধরে) তোর এই রুম এই সব কিছু শুধু ফারহানের নামে লেখা। অন্য কারো হতে দিবো না।
,,,,,,,,, ছাড়ো, আমার লাগছে।
,,,,,,,,, তোর মুখে ব্যাথা লাগছে, আমার এই জায়গায় লাগছে। (বুকের দিকে ইশারা করে)
,,,,,,,, যেতে দাও আমাকে।
,,,,,,, যেটা তো যাবি, আগে বল রুমে একা গিয়ে এতো ক্ষন কি করলি যে হাসি ঠোঁট থেকে যাচ্ছিলোই না।
,,,,,,,, তোমার সাথে কথা বলার ইচ্ছে নেয় আমার, ছাড়ো আমাকে।
,,,,,,,,,, কিস করেছে তোকে হুমম (রিমির মুখের কাছে গিয়ে, ফারহানের চোখ লাল হয়ে গেছে, চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে)
,,,,,,,,,, কি আবল তাবল বকছো।
,,,,,,,,,,,, না বল আমাকে, আমি শুনতে চাই, কিস করেছে তোকে, ছুয়েছে তোকে, কোথায় ছুয়েছে (পাগলের করে)
,,,,,,,, ফারহান থামো এবার (রাগে জোরে)
,,,,,,,,,, (ফারহান রিমির গলায় চেপে ধরে) ঐ পশুটা তোর দিকে যেভাবে তাকিয়ে ছিলো না, মনে হচ্ছিলো চোখ দিয়ে তোর শরীর ছুয়ে যাচ্ছে।
,,,,,,,, ছিঃ চুপ করো পিল্জ।
,,,,,,,,, কি শুনতে ভালো লাগছে না,, যাকে দুদিন পরে বিয়ে করবি, তার ছুঁয়ার নামে এতো ঘৃণা। একটা কথা কান দিয়ে শুনে রাখ তুই শুধু আমার, Only mine. দরকার পড়লে তোকে উঠিয়ে বিয়ে করবো।
রিমি ফারহানের হাতটা তার গলা থেকে ছাড়িয়ে বলে,,,, পারবে না,, কেনো জানো, যদি আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যাও তাহলে তোমার বন্ধু, আমার ভাই আর আমার বাবার সম্মানের কি হবে। আমারটা নাহয় ছেড়েই দিলাম। ইন্টারনেটে দেখো রিমান খানের বোনের বিয়ের খবর ছড়িয়ে গেছে।এখন উঠিয়ে নিয়ে গেলে তোমার বন্ধুর সম্মান তো মাটিতে মিশে যাবে।
ফারহান রাগে দেওয়ালে সো জোরে একটা ঘুষি মেরে বলে,,,,,, যেকোনো একটা রাস্তা তো বের করেই নিবো তাও তোকে অন্য কারো হতে দিবো না। আর এই সাজ শুধু আমার জন্য হওয়া চাই।
বলে ফারহান রিমির মুখ ধরে সব লেপটে দেয়।
,,,,,,, ছাড়ো ফারহান।
,,,,,,,,, নে ছেড়ে দিলাম।
বলে চলে যায়। রিমি দৌড়ে তার রুমে গিয়ে কান্না করতে থাকে।
রিমি,,,,,,,,, পিল্জ ফারহান এটা আমার জন্য এতো কঠিন করে দিয়ো না, অনেক কষ্টে নিজেকে বুঝিয়েছি।আমাকে এই ভাবে দুর্বল করে দিয়ো না। আমাকে শত আঘাত করো কিন্তু নিজেকে এভাবে আঘাত করো না। আমার কাছে আর কোনো উপায় নেয়। (কান্না করতে করতে)
ফারহান রাগে হন হন করতে করতে বাহিরে যায়। গিয়ে দেখে আরাব আর রিমান দাঁড়িয়ে কথা বলছে। ফারহানকে দেখতে পেয়ে তারা ফারহানের কাছে আছে।
ফারহান,,,,,,, কংগ্রাচুলেশনস ভাই তোর বোনের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। মিষ্টি কোথায়, উপসস সরি মিষ্টি তো ভিতরেই রেখে চলে এসেছি, তোদের জন্য আনতে মনে ছিলো না। কয়েকদিনের মধ্যে বিয়ে, সব কিছুর জন্য আয়োজন কর।
রিমান,,,,,,,, ফা ফারহান শান্ত হ পিল্জ।
আরাব,,,,,,,,, চিন্তা করিস না, আমরা কিছু একটা ভেবে নিবো।
ফারহান,,,,,,,, কি ভাববি তো হুমম কি ভাববি,,, রিমান সব শয়তানি বুদ্ধি তোর মাথায় থাকে, তুই বল কি করবো (রিমানের কলার ধরে)
রিমান,,,,,,,,,, বাবাকে গিয়ে সব বলে দে,, আমরা তোর সাথে আছি।
আরাব,,,,,,, রিমিই তো রাজি না, তোর বাবা কি করবে।
ফারহান,,,,,,,, শালা ভাই হয়ে না, বন্ধু হয়ে বুদ্ধি দে।
রিমান,,,,,,,,, জোর করে উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে কর।
ফারহান,,,,,,,, অন্য কিছু বল।
রিমান,,,,,,,,, বিয়ের দিন আমরা অনিকে কিটনাপ করে ফেলবো তার জায়গা তুই বিয়ে করে নিস।
ফারহান,,,,,,,,, এটা সম্ভব না।
রিমান,,,,,,,,, তাহলে তুই রিমিকে রাজি করা,, ওর বিয়ের এক সেকেন্ড আগেও যদি তোকে বিয়ে করতে রাজি হয়, তাহলে আই প্রমিজ তোদের বিয়ে কেও আটকাতে পারবে না।
আরাব,,,,,,,, রিমিকে রাজি করানোর চেষ্টা কর।
ফারহান,,,,,,,,, মনে তো হচ্ছে না তোর বোন রাজি হবে।
আরাব,,,,,,,,, তুই চেষ্টা তো কর।
ফারহান,,,,,,,, জানি না আমি,, শুধু এটা জেনে রাখ তোর বোনের বিয়ে অন্য কোথাও হলে আমি আমি সব কিছু তছনছ করে দিবো।
বলে রাগে চলে যায়।
রিমান,,,,,,,, আমার ফারহানের জন্য অনেক টেনশন হচ্ছে। ও পাগলামো করে কিছু করে না বসে।
আরাব,,,,,,,,, বুঝতে পারছি না আমাদের জীবনে এই অনি কোথা থেকে আসলো। রিমির বিয়ে হয়ে গেলে ফারহান নিজেকে শেষ করে দিবে।
রিমান,,,,,,,, এমন কিছু হতে দিবো না।
সন্ধ্যায়,,,,,,,,
মুন,,,,,,,,, কি হলো আরাব মন খারাপ করে বসে আছো যে।
আরাব,,,,,,,,, আমার ফারহানের জন্য অনেক টেনশন হচ্ছে। বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে।
,,,,,,,, চিন্তা করো না, সব ঠিক হয়ে যাবে।
,,,,,,,,,,, কিন্তু এখানে ঠিক হওয়ার মতো কিছু দেখছি না। তুমি এক কাজ করো রিমিকে গিয়ে জিজ্ঞেস করো হঠাৎ এমন কি হলো, হয়তো তোমার কাছে বলে দিবে।
,,,,,,, ঠিক আছে আমি গিয়ে, কথা বলে দেখছি।
তখনি আরাবের মেবাইল বেঝে উঠে। আরাব ফোন উঠায়।
,,,,, হ্যালো নিধি,, কেমন আছিস, হঠাৎ এতো দিন পরে ফোন করলি।
,,,,,,, ভালো আছি,, আমি কাল বাংলাদেশে আসছি,তাই ফোন দিয়ে জানিয়ে দিলাম।
,,,,,,, ওয়াও that’s great. তুই এখানে আসলে অনেক মজা হবে। তাড়াতাড়ি চলে আয়, আমরা তোকে অনেক মিস করি।
,,,,,,হুমম এখন রাখি আমাকে প্যাকিং করতে হবে।
,,,,,, ওকে বাই কালকে দেখা হচ্ছে তাহলে।
,,,,,,,হুমম।
আরাব ফোন রেখে দেখে মুন তার দিকে সন্দেহর নজরে তাকিয়ে আছে।
মুন,,,,,,,, রিধিটা আবার কে।
,,,,,, আমার ফ্রেন্ড, মানে আমাদের সবার ফ্রেন্ড।
,,,,,,,,,, অনেক মিস করছেন বুঝি ওনাকে (এক ব্রু উঠিয়ে, ঠোঁট বেকিয়ে)
,,,,,,,,,, না মানে হ্যাঁ।
,,,,,,,, ভালো কাল আসবে ভালো করে দেখে নিয়েন, অনেক দিন ধরে দেখেন না আহারে।
বলে রাগে চলে যায়, আরাব মুনের দিকে শুধু তাকিয়ে থাকে।
আরাব,,,,,,,, মিস্ বকবকের জেলাস ফিল হচ্ছে নাকি,,ভালো আমার জন্য খুব ভালো খবর, রিধি তুই তাড়াতাড়ি দেশে আয়।( হাসি দিয়ে)
মুন রিমির রুমে গিয়ে দেখে মাহুয়া বসে আছে।
মাহুয়া,,,,,, আরে ভাবি কেমন আছো।
মুন,,,,, ভালো তুমি।
মাহুয়া,,,,,,, ভালো।
মুন,,,, তুমি কি শুরু করেছো একটু বলবে পিল্জ।
মাহুয়া,,,,,, হুমম তোমার মনে যদি কোনো কথা থাকে তাহলে আমাদের বলো।কোনে চাপে এমন করছো না তো।
রিমি,,,,,,,, ভাবি আমি কখন ধরে বলছি,এমন কিছুই না, আমি সব নিজের ইচ্ছেই করছি।
মুন,,,,,,, কিন্তু তুমি তো ফারহানকে ভালোবাসো।
রিমি,,,,,,,, এখন বাসি না।
মাহুয়া,,,,, ভালোবাসা এতো তাড়াতাড়ি ভুলা যায় না। কিছু হয়ে থাকলে বলো আমাদের।
রিমি,,,,,,, আমি এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না। আমি অনিকে বিয়ে করবো এটাই ফাইনাল। আর যদি তোমারা বেশি জোরা জোরি করো তাহলে আমি এখান থেকে চলে যাবো, একাই বিয়ে করে নিবো। (দাঁড়িয়ে জোরে বলে)
মাহুয়া,,,,,,, কিন্তু রিমি।
রিমান এসে বলে,,,,,,, আর কিছু বলা লাগবে না ওকে। ও অনেক বড় হয়ে গেছে, আমাদের কথা কেনো শুনবে। তোর যা ইচ্ছে তাই কর শুধু একটা কথা মনে রাখিস তোর কারনে যাদি আমার বন্ধুর কিছু হয় তাহলে কোনো দিন তোকে ক্ষমা করবো না। চলো মাহুয়া,আর মুন তুমিও যাও, এখানে শুধু শুধু নিজের সময় নষ্ট করো না।(রাগে)
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….24
রিমান এসে বলে,,,,,,, আর কিছু বলা লাগবে না ওকে। ও অনেক বড় হয়ে গেছে, আমাদের কথা কেনো শুনবে। তোর যা ইচ্ছে তাই কর শুধু একটা কথা মনে রাখিস তোর কারনে যাদি আমার বন্ধুর কিছু হয় তাহলে কোনো দিন তোকে ক্ষমা করবো না। চলো মাহুয়া,আর মুন তুমিও যাও, এখানে শুধু শুধু নিজের সময় নষ্ট করো না।(রাগে)
রিমান মাহুয়াকে বাসায় ছাড়তে যায়। রিমান ড্রাইভ করছে মাহুয়া বসে আছে।
মাহুয়া,,,,,,, তুমি আমাকে রিমির সাথে কথা বলতে ডেকেছিলে কিন্তু রিমি তো আমাকে কিছুই বলে নি।
রিমান,,,,,,,,,, সরি শুধু শুধু তোমাকে কষ্ট দিলাম।
,,,,,,,,,, শুধু শুধু সরি বলো না। আমার মনে হয় রিমির কিছু একটা হয়েছে, আর না হলে ওর মন পাল্টে গেছে।
,,,,,,,,,, আমার ফারহানকে নিয়ে টেনশন হচ্ছে। আর রিমির আচরণ আমায় চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। (মন খারাপ করে)
,,,,,,,,,, রিমান পিল্জ মন খারাপ করো না, সময়ের সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে। আর আমি তোমার মতো ফানি কথা বলে কাওকে হাসাতেও পারি না। তোমাকে হাসাতে হলে আমাদের বিয়ে করতে হবে।
,,,,,,,, হেহ মানে,
,,,,,,,,,, দেখো তুমি সবাইকে হাসাও, আর তোমার মন খারাপ থাকলে, তোমাকে হাসাতে দ্বিতীয় রিমান লাগবে। আর দ্বিতীয় রিমান তো আমাদের বিয়ের পরেই আসতে পারবে, তাই না।
এ কথা শুনে রিমান হালকা হাসে,সাথে মাহুয়াও।
,,,,,,, এভাবেই হাসি মুখে থাকবে,তোমাকে হাসি মুখেই মানায়। আর মুখটা ভার করে রাখলে একটুও ভালো লাগে না। মনে হয় কোনো পেঁচা বসে আছে।
,,,,,,,,,,,, পেঁচা,, তুমি আমাকে পেঁচা বললে
,,,,,,,, হুমম বললাম কি করবে।
,,,,,,,,, কি করবো, ঠিক আছে, পেঁচা তো সারা দিন ঘুমায়, তাই আমিও এখানে ঘুমিয়ে থাকবো, গাড়ি চালাবো না, বসে থাকো এখানে, যতো ক্ষন না এই পেঁচার ঘুম ভাঙছে। (গাড়ি থামিয়ে চোখ বন্ধ করে)
,,,,,,,,,, মিঃ পেঁচা এখন রাত, আর রাতে পেঁচা ঘুমিয়ে থাকেনা বরং জেগে থাকে। তাই চুপচাপ ড্রামা ছেড়ে গাড়ি চালান।
,,,,,,,, ঠিক আছে, আরেক বার আমাকে পেঁচা বলতে হলে দিনে বলবে পড়ে দেখাবে পেঁচা কাকে বলে।
,,,,,,,ঠিক আছে,এখন গাড়ি চালাও। আমার ক্রেজি বয়ফ্রেন্ড।
,,,,,,,,,,, ঠিক আছে এবারের মতো মাফ করে দিলাম।
রিমান মাহুয়াকে বাসায় পৌঁছে দেয়।
সকালে অনেক আওয়াজের সাথে রিমানের ঘুম ভাঙে।
বিরক্তি ভাব নিয়ে রুম থেকে বের হয়।
রিমান,,,,,,, সকাল সকাল ঘর বাড়ি সব ভেঙে ফেলছে নাকি, এতো আওয়াজ কিসের।
রিয়াদ খান,,,,,,,,, আমার গাধাটা উঠে গেছে। (নিচ থেকে)
রিমান,,,,,,,,, বাবা এসব কি হচ্ছে,, এখন তুমি আমার ঘুম ভাঙানোর জন্য লোক ভাড়া করেছো নাকি। (উপর থেকে)
রিয়াদ খান,,,,,,,, এটাই তো আমার কাজ, আর কোনো কাজ তো নেয়,,আরে গাধা তোর বোনের বিয়ে ৫ দিন এর মধ্যে। কতো কাজ আছে, অন্য সব ভাইরা বোনের বিয়েতে কাজের জন্য রাতে ঘুমাতে পারে না আর তুই এতো সকালে ঘুমাচ্ছিস।(রাতে)
রিমান,,,,,,,,, বিয়ে সবে নাকি সন্দেহ, তার আবার কাজ শুধু শুধু টাকা নষ্ট। (আস্তে)
,,,,,,,কি বললি।
,,,,,,,কিছু না বাবা,তুমি একটু অপেক্ষা করো, আমি রেডি হয়ে তিন-চার ঘন্টা পড়ে আসছি। (বলে নিজের রুমে চলে যায়)
,,,,,,,,, আল্লাহ কেমন অকর্ম ছেলে দিয়েছো আমাকে। তোমার কাছে আমার জন্য কোনো ভালো কোয়ালেটির ছেলে ছিলো না।
রিমি সোফায় বসে আছে, রিমান আর আরাব শুধু দাঁড়িয়ে আছে, বাড়ি সাজানোর কাজ দেখছে। ওদের এই বিয়ের কাজের প্রতি কোনো আগ্রহ নেয়। কিছু ক্ষন পর ফারহান আসে।
ফারহান,,,,,,,, হেই গাইস কি অবস্থা (দরজায় দাঁড়িয়ে হাসি মুখে)
রিমি ফারহানের দিকে তাকায়, ফারহান রিমির দিকে তাকাতেই রিমি চোখ সরিয়ে নেয়। ফারহান রিমান আর আরাবের কাছে যায়।
ফারহান,,,,,,,, বোনের বিয়ের ব্যবস্থা তো দেখা যায় অনেক জোরদার চলছে। আমার জন্য কোনো কাজ আছে নাকি সব নিজেরাই ভাগাভাগি করে নিয়েছিস।(হাসি মুখে)
আরাব,,,,,,,,,,, ফারহান তুই ঠিক আছিস তো।
ফারহান,,,,,,,,,, হুমম একদম ঠিক আছি।
রিমান,,,,,,,,, তোকে কোনো কাজ করতে হবে না, আরাব নিয়ে যা ওকে।
ফারহান,,,,,,,, কি বলছিস কাজ করবো না মানে, তোর বোন মানে তো আমারো বোন লাগে, আর বোনের বিয়েতে কাজ করবো না।
একথা বলার সাথে সাথে রিমি পিছনে ফিরে তাকায়, ফারহান ও অভিমান ভরা চোখ নিয়ে রিমির দিকে তাকায়। রিমি সামনে তাকিয়ে নিজের চোখের পানি মুছছে।
রিমান,,,,,,,, তোর মাথা ঠিক আছে তো।
ফারহান,,,,,,, আগে ছিলো না এখন আছে। চল চল এখানে বসে থাকলে হবে নাকি কতো কাজ আছে।
আরাব আর রিমান দাঁড়িয়ে আছে, ফারহান সবার কাজে সাহায্য করছে, এটা ঐটা ঠিক করতে বলছে। রিমি নিজের কোল থেকে বালিশটা রাগে সোফায় ফেলে উপরে তার রুমে চলে যায়।ফারহান তার যাওয়া দেখে।
আরাব,,,,,,,, ফারহান তোর মাথায় কি চলছে, একটু বলবি।
ফারহান,,,,,,,,,, অনেক বিয়ে করার শক তোর বোনের, করুক বিয়ে, আমিও দেখবো আমাকে ছেড়ে অন্য কাওকে কিভাবে বিয়ে করে।
কিছু ক্ষন পর অনি আসে। অনি আসার পর আরাব, রিমান ফারহান এমন ভাবে তাকায় যেনো খেয়েই ফেলবে। অনি ওদের চেহেরা দেখে কথা বলবে না বলবে না সেটা ভাবছে।
অনি,,,,,,, আআ হ্যালো। (ফেক হাসি নিয়ে)
অনিকে কেও পাত্তা না দিয়ে যে যার মতো কাছে লেগে যায়। অনি একটু অস্থি বোধ করে রিমানকে ডাক দেয়। রিমান এমন ভাব করে জেনো শুনেইনি।
রিমান,,,,,,, আরাব দেখ ঐ দিকের ডেকোরেশনটা ভালো লাগছে না,চল তো দেখি।
অনি মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে, কি বলবে সেটাই ভাবছে। তখনি রিমির বাবা আসে।
রিয়াদ খান,,,,,,,,,, আরে অনি তুমি। এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেনো কেও তোমাকে বসতে বলেনি। রিমান (জোরে ডাক দিয়ে)
রিমান,,,,,,, কি হয়েছে।
রিয়াদ খান,,,,,,,,, অনি এসেছে তুই বসতে বলিস নি।
রিমান,,,,,,, আরে অনি তুমি,, কখন এলে দেখতেই পেলাম না। এতো কাজের চাপ যে তোমাকে খেয়ালি করি নি। আরাব তুই দেখেছিস।
আরাব,,,,,,,,, এতো কাজের চাপে অন্য দিকে তাকানোর খেয়াল আছে নাকি।
অনি,,,,,,,, ইটস ওকে, তোমরা তো আমার আর রিমির বিয়ের জন্যই কাজ করছো (ফারহানের দিকে তাকিয়ে)
ফারহান,,,,,,,, হুমম,,তাইতো,, বসো কি খাবে বলো।
অনি,,,,,,,, এখন বসার সময় নেয়, আমি রিমিকে নিতে এসেছি।
ফারহান,,,,,,,,, মানে, রিমিকে নিতে মানে কি এটার (রাগী চোখে তাকিয়ে)
অনি,,,,,,,, আরে মানে হলো রিমির জন্য গহনা কিনতে হবে, তাই ওকে নিয়ে গিয়ে কিনবো। ওর পছন্দের একটা ব্যাপার আছে না।
ফারহান,,,,,,,,,, রিমিকে নিয়ে যাওয়ার কোনো দরকার নেয়,ওকে যা দিবে তাই ওর পছন্দ হবে।
অনি,,,,,,,,, দরকার আছে ব্রো,, ওর পছন্দ অপছন্দ আমার জন্য অনেক জানা আমার জন্য অনেক জরুরী।
রিয়াদ খান,,,,,,, আমার মেয়ে তার জন্য একটা ঠিক ছেলে খুঁজেছে। আমার মেয়েকে এতো ভালো আর কে ভাসবে।
অনি,,,,,,,, আংকেল আমার থেকে বেশি ভালো আপনার মেয়ে আমাকে বাসে, তাই তো বিয়ে করছে। তাই না ফারহান।
ফারহান,,,,,,,,, হুমম ( রাগে হাত মোট করে রেখেছে)
অনি,,,,,,, আংকেল একটু রিমিকে যদি ডেকে দিতেন।
রিয়াদ খান,,,,,,,, রিমান রিমিকে ডাক দে।
রিমান,,,,,,,,৷ রিমি (আস্তে, বিরক্তি ভাব নিয়ে)
রিয়াদ খান,,,,,,,, কি আজকে কেও তোকে খাবার দেয় নি। জোরে ডাক।
রিমান,,,,,,,, রিমি (এবার ও আস্তে)
ফারহান,,,,,,,,,, রিমি (রাগে জোরে ডাক দেয়)
রিমি ধরফরিয়ে নিজের রুম থেকে বের হয়, আর তাড়াতাড়ি বলে,,,, কি হয়েছে, কি হয়েছে। (ভয়ে)
রিমি তাকিয়ে দেখে এখানে সবাই দাঁড়িয়ে আছে।
রিয়াদ খান,,,,,,,, আওয়াজটা একটু বেশি হয়ে গেলো না ফারহান।
আরাব,,,,,,,, ও আজ বেশি খেয়েছে, তাই আওয়াজে দম বেশি।
ফারহান,,,,,,,, দেখ তোর জন্য কে এসেছি,,অনি শপিং করতে যাবি না,যা রেডি হয়ে আয়।
রিমি,,,,,,,, আমি রেডি।
ফারহান,,,,,,,,, বাহহ মনের কি মিল, একজনে দূর থেকে ভেবেছে অন্য জন রেডি হয়ে গেছে।
রিমি,,,,,,,, অনি আমাকে আগেই ফোন করে বলেছে রেডি হয়ে থাকতে।
অনি,,,,,,, আংকেল আমি রিমিকে নিয়ে যায়।
রিয়াদ খান,,,,,,,, হুমম যাও।
ফারহান,,,,,,, সাথে আমিও যাবো,কিছুদিন আছে বিয়ের, আর বিয়ের আগে ছেলে মেয়ে দেখা করা ভালো না। ওর সাথে কেও একজন যাওয়া উচিত।
অনি,,,,,,,, তোমার হয়তো অনেক কাজ আছে,এক কাজ করো রিমান বা আরাব এদের মধ্যে কেও যাক।
রিমান,,,,,,,, ইশশ কি যে বলবো আমার এতো কাজ, বসার মতো সময় নেয়। ফারহান তুই যা।
আরাব,,,,,,,,, আমার তো শ্বাস নেওয়ার সময় নেয়। বড় ভাই বলে কথা,কতো কাজ। ফারহানের তেমন কোনো কাজ নেয়, ফারহান তুই যা।
ফারহান আগে আগে গিয়ে গাড়িতে সামনে বসে পড়ে।
অনি এসে ফারহানকে সামনের সিটে বসতে দেখে, ফারহানের হাতে গাড়ির চাবি ধরিয়ে দেয়।
অনি,,,,,,,, গাড়িটা তুমি চালাবে পিল্জ।
ফারহান,,,,,, ওকে
ফারহান ড্রাইভারের সিটে বসে। রিমি পিছনে বসে আর অনি তার সাথে। এটা দেখে ফারহানের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়।
ফারহান,,,,,,,,, এক্সকিউজ মি,, আমি ড্রাইভার নয়, কেও একজন সামনে এসে বসো।
অনি বিরক্তি ভাব নিয়ে সামনে এসে বসে। রিমি পিছনে বসে আছে৷
অনি,,,,,,,, রিমি তোমাকে নীল থ্রি পিজ এ কিন্তু দারুণ লাগছে, আমার ফেবারিট কালার। এই জন্যই পড়েছো বুঝি।
ফারহান রাগে জোরে গাড়ি চালাচ্ছে। রিমি ভয়ে চুপচাপ বসে আছে।
অনি,,,,,,,,হেই ফারহান আস্তে, প্লেন ছুটে যাচ্ছে না।
ফারহান,,,,,,, আমি আস্তে গাড়ি চালাতে পারি না।
অনি,,,,,,, ও,,, আচ্ছা বেবি বিয়ের পরে কোথায় ঘুরতে যাবে, মানে হানিমুনে।
এটা শুনার পর ফারহান অনির দিকে যেভাবে তাকায়, জেনো খেয়ে ফেলবে। ফারহানের তাকানো দেখে রিমি ভয় পেয়ে যায়।
রিমি,,,,,,, এসব কথা না হয় পরে বলবো, এখন বলার কি দরকার।
অনি,,,,,,,, ওও ভায়ের সামনে লজ্জা পাচ্ছো। ঠিক আছে এই বিষয়ে আমি তোমাকে রাতে ফোন দিয়ে কথা বলবো।
ফারহান রাগে জোরে গাড়ি থামায়। সবাই সিট বেলের জন্য মাথায় আঘাত পায় না।
অনি,,,,,,, ও আস্তে ব্রো।
ফারহান,,,,,,,, এসে গেছি আমরা।
বাহিরে বের হয়ে অনি রিমির হাত ধরে ভিতরে নিয়ে যায়, ফারহান এটা দেখে পিলারে জোরে একটা লাফি দেয়। ভিতরে গিয়ে ওর আর সহ্য হচ্ছে না। অনি গলার সেট ধরার বাহানায় রিমির গলায় টাচ করছে।
ফারহান এসব আর দেখতে না পেরে, এসে কয়েকটা সেট বের করে রিমির গলায় ধরে, আর সব প্যাকেট করতে বলে।
অনি,,,,,,, রিমির পছন্দ হয়েছে কিনা সেটা তো জিজ্ঞেস করো।
ফারহান,,,,,,, রিমির এসব অনেক পছন্দ হয়েছে তাই না রিমি। (রিমির দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে)
রিমি ভয়ে হ্যাঁ করে দেয়। আরো কিছু মার্কেট করে বাসায় আসে। রিমি আর ফারহান গাড়ি থেকে বের হয়। অনি রিমিকে ডাক দিয়ে বলে,,,, রিমি আই লাভ ইউ।
রিমি,,,,,, হুমম
অনি,,,,,, হুমম কি তুমিও বলো।
রিমি ফারহানের দিকে তাকায়, ফারহান ওর দিকেই তাকিয়ে আছে।
রিমি,,,,,,, আই লাভ ইউ টু।
বলে নিচের দিকে তাকিয়ে সোজা বাসার ভিতরে চলে যায়।ফারহান ও রাগে গাড়িতে উঠে, ফুল স্প্রিডে কোথাও চলে যায়।
,,,,,,,
বিকেলে,,,,,,
দরজার বেল পড়তেই, মুন দরজা খুলে,দেখে একটা মেয়ে মডান ড্রেস পড়ে, চশমা পড়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মুন,,,,,,, কে আপনি,কাকে চাই।
রিধি,,,,,, আমি রিধি আরাব কোথায়।
তখনি আরাব সিরি থেকে নিচে নামতে থাকে,রিধি মুনকে সরিয়ে ভিতরে চলে যায়। আর চিৎকার করে বলে,,,, আরারারাব
আরাব,,,,,,,, আরে রিধি।
রিধি গিয়ে আরাবকে জরিয়ে ধরে, পারে না শুধু কোলে
উঠে যেতে। মুন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে আর ফুলছে। মুন গিয়ে তাদের জোর করে ছাড়িয়ে দেয়,আর রিধিকে জোরে জরিয়ে ধরে বলে,,,,,, আরে রিধি তোমাকে দেখার কতো ইচ্ছে ছিলো, আরাবের মুখে তোমার কতো কথা শুনেছি। রিধি মুনকে ছাড়ায়।
রিধি,,,,,,,,, তুমি কে।
মুন,,,,,,,, আমি,, আমি আরাবের বউ (একটা হাসি দিয়ে)
রিধি,,,,,,,,, ওয়াট তুই বিয়ে করে নিয়েছিস।
আরাব,,,,,,,, সরি তোকে বলতে ভুলে গেছি,,আসলে বিয়েটা এতো তাড়াহুড়াই হয়েছে, যে বেশি কাওকে বলতে পারিনি।
রিধি,,,,,,,,, বিয়ে করবি ভালো কথা, আমাকে চোখে দেখিস নি।
মুন,,,,,,,, (আরে যা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে নে।)
আরাব,,,,,,,, তুই আমাকে বিয়ে করবি আগে বললেই হতো, এখন বলে আর কি লাভ।
মুন,,,,,,,(আগে বললে আমাকে বিয়ে করতো কেনো,এখন যাও গিয়ে বিয়ে করে নাও, হেহহ যেভাবে গায়ে মিশে যাচ্ছে, বিয়ে করতে বিশে দেড়ি হবে না)
রিধি,,,,,,,, তুমি আবার মন খারাপ করো না, আমরা এমনি মজা করছি।
মুন,,,,,, না না (হেঁসে) (দেখায় যাচ্ছে কতো মজায় আছো)
আরাব,,,,,,, মুন তুমি রিধির জন্য খারাব রেডি করো,রিধি তুই যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে।
মুন,,,,,, হুমম (আমি আছিই তো তোমার গার্লফ্রেন্ডের দেখা শুনা করার জন্য)
রাতে,,,,,,,
রিমান দৌড়ে আসে আরাবের কাছে।
আরাব,,,,,, কি হলো।
রিমান,,,,,,, ফারহান কি জামেলা করেছে বলে,,পুলিশ আমাকে কল করেছে, রাস্তায় আছে চল।
আরাব,,,,,,,,, চল, তাড়াতাড়ি।
আরাব আর রিমান যায়। গিয়ে দেখে ফারহানকে দুজন ধরে রেখেছে। ওরা গাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
আরাব,,,,,,,, কি হয়েছে অফিসার।
,,,,,,, এনি ড্রিংক করে মারামারি করেছেন,,আপনাদের আমি চিনি তাই থানায় নিয়ে যায়নি,, কল করে ডেকেছি।
রিমান,,,,,,,,, ধন্যবাদ অফিসার। আর এমন হবে না।
অফিসার চলে যায়।আরাব আর রিমান ফারহানকে ধরে।
রিমান,,,,,,,, তুই ড্রিংকস করেছিস।
ফারহান,,,,,,, বেশি না একটু,, যাস্ট ট্রায় করেছি (মাতালো অবস্থায়)
আরাব,,,,,,,,, সে তো দেখায় যাচ্ছে। চল।
ফারহান,,,,,,,,, না যাবো না, আমি কোথাও যাবো না।
রিমান,,,,,,, পাগলামো করিস না।
ফারহান,,,,,,,,, পাগলামো আমি না, পাগলামো তো তোর বোন করছে। পিল্জ ওকে বুঝা না, আমাকে ছেড়ে না যেতে (মাতাল অবস্থায় কান্না করে)
আরাব,,,,,,,, আমরা বুঝাবো।
ফারহান,,,,,,, তদের কথা শুনলে কবেই শুনে নিতো। ও এমন কেনো করছে। বলে দে ওকে ও শুধু আমার, শুধু এই ফারহানের।
রিমান,,,,,,, হ্যাঁ শুধু তোর,এবার চল। (চোখে পানি নিয়ে)
ফারহান,,,,,,, কিছু দিন পর অন্য কারো হয়ে যাবে।আমার সামনে ও ঐ অনিকে আই লাভ ইউ বলেছে।ভাই ওকে বুঝা না, আমি ওকে অনেক ভালোবাসি, ওকে ছাড়া বাঁচবো না। ওকে জিজ্ঞেস কর কি চাই ওর, আমি সব, সব এনে দিবো, তাও যেনো আমাকে ছেড়ে না যায়। (কান্না করে)
আরাব,,,,,,, বুঝাবো ওকে আমরা চল (চোখ দিয়ে পানি পড়ছে)
ফারহান,,,,,,,,আরাব, রিমান আর অনেক কষ্ট হচ্ছে, অনেক অনেক। পিল্জ তোর বোনকে বলবি আমাকে ছেড়ে না যেতে। আমাকে ছেড়ে গেলে আমি মরেই যাবো। বল বলবি তো ওকে।
রিমান,,,,,,,, হুমম বলবো,,
রিমান আর আরাব ফারহানকে গাড়িতে বাসায়।পুরো রাস্তায় ফারহান শুধু রিমি রিমি করেছে।
আরাব রিমান, ফারহানকে ধরে তার রুমে শুয়িয়ে দিয়ে আসে।
রিমান,,,,, , আমি ঠিক এটারি ভয় পাচ্ছিলাম।
আরাব,,,,,,, সকালে ফারহানের সাথে কথা বলবো, এখন রিমিকে গিয়ে কিছু বলিস না,, ওকে বকা বকি করার কোনো দরকার নেয়।
কিছু ক্ষন পর ফারহান উঠে মাতালো অবস্থায় রিমির রুমের সামনে পাইপ দিয়ে বারান্দায় উঠে। উঠে রিমির রুমে প্রবেশ করে। রিমি রুমে শুয়ে ছিলো, ফারহানকে দেখে লাফ দিয়ে উঠে।
রিমি,,,,,,,,, ফা ফা ফারহান, তুমি আবার এতো রাতে কি করতে এসেছো।
,,,,,,,,,,, তুই আবার নীল গেনজি পড়েছিস,ওই অনির পছন্দের কালার,, খুল তুই (রিমির কাছে গিয়ে ওর গেনজি ধরে টানাটানি করে)
,,,,,,,,,,, কি করছো ছাড়ো,,তুমি ড্রিংক করেছো।
,,,,,,,,,, তুই আগে খুল, নীল কিছু পড়বি না তুই,, খুল
রিমির জামা নিয়ে টানাটানি করলে রিমি ফারহানকে ধাক্কা দেয়। ফারহান একটু সরে যায়।
,,,,,,,, কি বলছো কিছু বুঝছো,,, ফারহান তুমি ড্রাংক এখন এইখান থেকে যাও।
,,,,,,,, যাবো না আমি,, ঐ অনি তোকে রাতে ফোন করেছিলো বুঝি কি কি বলেছে ফোন করে, হানিমুনে কোথায় যাবে কি করবে।এগুলো বলেছে। (রিমির কাছে গিয়ে ওর মুখ চেপে ধরে)
রিমি,,,,,,,, কি বলছো ফারহান,পিল্জ যাও এখান থেকে এখন তুমি হুশে নেয়।
ফারহান রিমির গলার দিকে তাকিয়ে বলে,,,, ও যখন তোর এখানে টাচ করছিলো তখন ভালো লাগছিলো হুমম। আমি টাচ করলে কেমন লাগে হুমম। (রিমির গলায় মুখ ডুবিয়ে দিয়ে)
রিমি ছাড়ানোর চেষ্টা করছে আর বলছে,,,,,, ছাড়ো আমাকে ফারহান, নাহলে আমি চিৎকার করবো।
ফারহান,,,,,,,, কর চিৎকার,, সবাই জানোক আমি তোকে ভালোবাসি।
রিমি,,,,,,,,, কিন্তু আমি ভাসি না। (জোরে)
ফারহান এটা শুনে সরে যায়,আর কান্না করে বলে,,,,, কেনো ভাসিস না,, এই জন্য তুই ওই অনিকে আমার সামনে ভালোবাসিস বলেছিস,, জানিস আমার কতো কষ্ট হয়েছিল। এর থেকে ভালো আমাকে মেরে ফেলতি।
,,,,,,,, পিল্জ চুপ করো।
,,,,,,,,, বল না কেনো ওকে ভালোবাসিস আমাকে নয়।আমার থেকে বেশি ভালো বাসে। তুই বলনা আমার কোথায় কোন জায়গায় দোষ আছে আমি সব ঠিক করে নিবো প্রমিজ। (নিচে হাঁটু গেড়ে বসে, কান্না করতে করতে)
,,,,,,,,তোমার কোনো দোষ নেয়,পিল্জ ফারহান চলে যাও (জোরে কান্না করে)
ফারহান এসে রিমিকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে কান্না করে বলে,,,,পিল্জ আমাকে ছেড়ে যাস না, অনেক ভালোবাসি তোকে। তোকে ছাড়া থাকতে পারবো না, তোকে অন্য কারো হতে দেখতে পারবো না। পিল্জ ডোন্ট লিভ মি। আই লাভ ইউ। তকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না। এমন করিস না আমার খুব কষ্ট হয়।
রিমি জোর করে ফারহানকে ছুটায়, ফারহান খাটে পড়ে যায়। সেখানেই শুয়ে থাকে। রিমি রিমানকে ফোন করে।রিমান আসে, ফারহানকে উঠায়, ফারহান কোনো মতে চলে, চোখ বন্ধ করে বলছে,,,,রিমান তোর বোনকে বল আমাকে আমার দোষ ধরিয়ে দিতে আমি প্রমিজ করছি,আমি আর করবো না। পিল্জ বলনা।
রিমান ফারহানকে ধরে তার রুমে নিয়ে যায়।রিমি দরজা বন্ধ করে, কান্না করতে থাকে। আর বলতে থাকে,,সরি ফারহান আমার আর কোনো উপায় নেয়। তোমাকে কিছু বলতে পারবো না। আমি কি করবো বুঝতাছিনা। পিল্জ এটা আমার জন্য এতোটা কঠিন বানিয়ে দিয়ো না।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
like, comment করতে ভুলবেন না, ধন্যবাদ।