#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….31
ফারহান,,,,,,,, কিছু তো একটা হয়েছে। (সন্দেহর নজরে)
রিমান,,,,,,,, ও এসিপির ছোট ভাই, হয়তো আমার সাথে এসে শুয়ে পড় না হলে তোর বাসায় যা।
সকালে,,,,,,,,,,, আরাব, রিমান,ফারহান বাগানে দাঁড়িয়ে আছে। তিনজন একদম চুপচাপ। নিরবতা ভেঙে আরাব বলে,,,,,, তোরা দুজন বিয়ে করবি ভালো কথা, তো তোদের বাবা মাকে বল, আমাকে বলে কি লাভ।
ফারহান,,,,,,,,,, আমার বিয়ের কথা রিমান বলবে।
রিমান,,,,,,,,,, কেনো তোর মুখ নায়।
ফারহান,,,,,,,, একটা লজ্জার বেপার আছে না।
রিমান,,,,,,,,, এহেহহ প্রেম করতে লজ্জা লাগে নাই, বিয়ের কথা বলতে লজ্জা লাগে। ঠিক আছে যা,তোর বিয়ের কথা আমি বলবো। কিন্তু আমার বিয়ের কথা তোরা বলবি।
আরাব,,,,,,,,, কেনো তোর মুখ নাই। তোর তো লজ্জাও নাই তাহলে, তোর নিজের বলতে সমস্যা কি।
রিমান,,,,,,,, আরে আমার বাপেরে জানস না, আমার বিয়ের কথা আমি নিজে বললে কতো গুলো কথা শুনিয়ে দিবে।
আরাব,,,,,,,,,,,,ঠিক আছে চল, কথা বলবো।
তিনজনে রিমানের বাড়িতে ড্রয়িং রুমে যায়। সেখানে রিয়াদ খান বসে ছিলো। তার সামনের সোফাতে তারা তিনজন বসে, শুধু রিয়াদ খানের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছু বলে না। ফারহান রিমানকে খোঁচা দেয়, রিমান আরাবকে৷ কিন্তু কেও কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না।
রিয়াদ খান এটা খেয়াল করে, তার হাত থেকে চায়ের কাপটা টেবিলে রেখে, তিনজনের দিকে তাকায়।
রিয়াদ খান,,,,,,,,, কিছু বলার থাকলে বলে ফেলো। এমনি তেও রিমির মা আমাকে অনেক কথা শুনিয়েছে, এখন তোমাদের ও যদি আমাকে কথা শুনাতে মন চাই তাহলে শুনাও।
রিমান,,,,,,,,, মা তোমাকে ঠিক কোন বিষয়ে কথা শুনিয়েছে।
বাবা,,,,,,,,, রিমির বিয়ে অনি সাথে ঠিক করার আগে দেখে নিলাম না কেনো, এই জন্য আমাকে ইচ্ছে মতো দুলায় করেছে।
ফারহান,,,,,,,,, একদম ঠিক করেছে (আস্তে)
বাবা,,,,,,,, ফারহান কিছু বললা।
ফারহান,,,,,,,,, এটাই বলছিলাম, এতে আপনার কি দোষ আপনি কি জানতেন নাকি যে, অনি এতো হারামি হবে। আপনি ভালো তাই সবাইকে ভালো মনে করেন।
বাবা,,,,,,,,, তুমিই একমাত্র বুঝতে পারছো আমার কষ্টটা।
আরাব,,,,,,,, তেল মারা বন্ধ কর। (আস্তে আস্তে)
রিমান,,,,,,,, বাবা বলছিলাম কি, বাড়ি তো সাজানো হয়েই গেছে, টাকা গুলো শুধু শুধু নষ্ট না করে কাজে লাগালে ভালো হলো।
বাাব,,,,,,,, হারামযাদা আমার মেয়ের জীবনটা শেষ হতে হতে বেঁচে গেলো আর তুই আছিস টাকা নিয়ে।
রিমান,,,,,,,,,, আরে আমি রিমির ভালোর কথায় বলছি, শুনো সবাই জেনে গেছে যে রিমির বিয়ে হতে যাচ্ছে। এখন যদি রিমির বিয়ে না হয় তাহলে আমার বোনের বদনাম হবে। তার সাথে ভালো রিমির এই পাঁচ দিনের মধ্যেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া।
বাবা,,,,,,,,, হেহহ বিয়ে কি কোনো ছেলে খেলা নাকি যে বললেই হয়ে যাবে। এতো তাড়াতাড়ি ভালো ছেলে পাবো কোথা থেকে।
রিমান,,,,,,,,,, আছে তো আমাদের ফারহান,ওর মতো ভালো ছেলে কোথায় পাবে।
বাবা,,,,,,,,,, ও যে ভালো ছেলে তার প্রমান কি।
রিমান,,,,,,,,,, হেহহ বাবা ও আমার বন্ধু।
বাবা,,,,,,,, আমি তো তোকেই বিশ্বাস করি না তোদ বন্ধুকে করবো কিভাবে।
আরাব,,,,,,,,,, খালু ও তোমার বেস্ট ফ্রেন্ডের ছেলে।
বাবা,,,,,,,, হ্যাঁ তাহলে বিশ্বাস করা যায়। কিন্তু আমার মেয়ে এখনো ছোট, এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে,,,,
রিমান,,,,,,,,, যখন অনির সাথে বিয়ে ঠিক করেছিলে তখন ওর বয়স চল্লিশ ছিলো নাকি যে এখন হঠাৎ করে কমে গেছে।
বাবা,,,,,,,, এটা তো রিমি জোর দিয়ে বলছিলো তাই রাজি হয়ে ছিলাম।
মা,,,,,,,,,, এখন আমি জোর দিয়ে বলছি রাজি হয়ে যাও,, আমার মেয়ের কপাল খারাপ তাই এমন একটা বদনাম হলো। এখন যদি মেয়ের বিয়ে না দাও পরে লোকে অনেক কথা বলবে। আর ফারহানের মধ্যে খারাপ কি আছে। ওকে তো ছোট থেকে দেখছি।
বাবা,,,,,,,, সব ঠিক আছে, কিন্তু আমার মেয়ে বেশি হয়ে যায়নি। ফারহান রিমিকে এই জন্য বিয়ে করছে যাতে রিমি আর রিমানের সম্মান বাঁচে। ও আমার মেয়েকে ভালো তো আর বাসে না।
আরাব,,,,,,,,, কে বলেছে খালু,, ফারহান রিমিকে অনেক ভালোবাসে।
বাবা,,,,,,,, ও এই জন্য আমাকে এতো তেল মাখানো হচ্ছিল। আর ফারহান যদি রিমিকে ভালোবেস থাকে তাহলে রিমির বিয়ে ঠিক করার সময় কিছু বললো না কেনো।
ফারহান,,,,,,,,, বলেছিলাম রিমিকে কিন্তু সে বুঝেনি।
রিমান,,,,,,, আরে বাবা ফারহান আমাদের সম্মানে কথা ভেবে কিছু বলে নি, আমি তো ওকে রিমিকে উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করার কথা বলে ছিলাম কিন্তু সে তাও রাজি হয়নি।
বাবা,,,,,,,, তুই তোর বোনকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরমর্শ দিয়েছিলে। হারামযাদা।
বলে রিমানকে দৌড়ানো শুরু করে। রিমান ও উড়াধুড়া দৌড়াতে থাকে।
রিমান,,,,,,,,, বাবা আমি তো এমনি বলেছিলাম (দৌড়াতে দৌড়াতে)
বাবা,,,,,,,, তোরে হাতের কাছে পেয়ে নিয়, পড়ে বুঝাচ্ছি এমনি না হেমনি।
আরাব,,,,,,,, আরে খালু রিমও ফারহানকে ভালোবাসে তাই রিমান এটা বলেছে।
এই কথা শুনে রিয়াদ খান দাঁড়িয়ে যায় আর হাঁপাতে হাঁপাতে বলে,,,,,,,, কিহহহ সত্যি।
আরাব,,,,,,, হ্যাঁ খালু।
বাবা,,,,,,,,,,, বার বার খালু খালু বলিস না তো নিজেকে বুড়ো বুড়ো লাগে।
রিমান,,,,,,,, এই ভাই ডাক।
রিয়াদ খান রিমানের দিকে কটমট করে তাকায়।
রিমান,,,,,,,,, সরি (ইনোসেন্ট হাসি দিয়ে)
বাবা,,,,,,,,, আচ্ছা সবাই যখন রাজি তোখন আর কি করবো। আমিও রাজি। ফারহান তোমার মা বাবাকে পাঠিয়ে দাও এখানে সব ঠিক ঠাক করে রাখি।
ফারহান,,,,,,,,,,, আমি এখনি ফোন করছি। (খুশি হয়ে)
ফারহান তার মা বাবাকে ফোন করে আসতে বলে। আর রিমান আরাবকে গুতাচ্ছে বলার জন্য।
আরাব,,,,,,,, খালু সবারি বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, তাহলে রিমান আর বাকি থাকবে কেনো, ফারহান আর রিমানের বিয়ে এক সাথে করালে ভালো হতো।
তখনি রিমি উপর থেকে জোরে বলে,,,,, না।
এটা বলে তাড়াতাড়ি নিচে আসে।
রিমান,,,,,, কেনো না।
রিমি,,,,,,, আমার কতো শখ ভায়ের বিয়ে খাবো। এখন যদি তোর আর আমার বিয়ে এক সাথে হয় তাহলে তুই আমাকে বিদায় করবি নাকি ভাবিকো আনতে যাবি। আমি তোর বিয়ে দেখবো নাকি নিজে বিয়ে করবো।
রিমান,,,,,,, তাও ঠিক,, এক কাজ করি, আমি আগে বিয়ে করি পড়ে তোরা করিস।
ফারহান,,,,,,,,, আমরা আগে করবো পড়ে তোরা করিস।
রিমান,,,,, বেশি কথা বলিস না, আগে আমার বিয়ে হবে।
ফারহান,,,,,, আগে বোনের বিয়ে দিয়ে পড়ে ভাই বিয়ে করে।
আরাব,,,,,,,, তোরা চুপ কর।দুজনের বিয়ে একসাথে হবে। আমরা বড় একটা বাংলো বুক করবো সেখানে তোদের দুজনের বিয়ে হবে। আমরা সবাই ছয় সাত দিন সেখানেই থাকবো।তাহলেই সবাই সবার বিয়ে দেখতে পাবে।
ফারহান +রিমান,,,,,,, গ্রেট।
বাবা,,,,,,,,, কেও একটু আমার দিকে খেয়াল করো। হুহহ বিয়েতে এখনো মত দিলাম না আর সব প্লেনিং শুরু।
রিমান,,,,,,, কেনো আমাকে বিয়ে দিতে কি সমস্যা তোমার।
বাবা,,,,,,, বিয়ে করে বউকে খাওয়াবি কি।
রিমান,,,,,,,, এক্সকিউজ মি, বাবা আমি এখন টাকা উপার্জন করি। আর যে টাকা রোজগার করি সেটা দিয়ে শুধু আমার বউ কেনো তার চৌদ্দ গুষ্টি খাওয়াতে পারবো।
বাবা,,,,,,,,, ও আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম, কি করবো এখনো ছেছরার মতো আমার কাছ থেকে টাকা নেস।
রিমান,,,,,,, তুমি যদি কিপটা না হতে তাহলে এমন করতাম না।
বাবা,,,,,,,, তোর বাপ কিপটা (রাগে)
রিমান,,,,,,,,,,, আমিও তো সেটাই বলছি।
বাবা,,,,,,,,, তোকে মেয়ে দিবে কে হুহহ।
রিমান,,,,,,,,, আজকে বিকেলে তাদের বাসায় কথা বলতে যেতে হবে। আমি মাহুয়াকে বলে দিয়েছি যে, আমরা আজ তাকে দেখতে যাবো।
বাবা,,,,,,,, আমার আগেই সন্দেহ হয়ে ছিলো।
রিমান,,,,,,, তাহলে আমি কি এখন সব ঠিক ঠাক মেনে নিবো।
মা,,,,,,,,,, তুই মেনে নে,, তোর বাবাকে অন্য ভাবে বুঝাতে হবে।
বাবা,,,,,, আমি বুঝে গেছি আমাকে আর বুঝাতে হবে না। আমি রাজি।
রিমান,,,,,,,, আরে বা।
তিন বন্ধু বাগানে গিয়ে উড়া দুড়া নাচ লাগিয়ে দিছে।
আরাব,,,,,,, আচ্ছা আমি এখন আসি।
রিমান,,,,,,, কি করবি গিয়ে,, আমাদের সাথে যাবি আমরা পার্টি করবো৷
আরাব,,,,,,, এখন মুড নায়,, আমি যায়।
ফারহান,,,,,,, তোর মিড না থাকোক আমাদের তো আছে, তুই যাবি না তোর ঘাড় যাবে। চল রিমান উঠা হালারে।
আরাব,,,,,,,,,, ইটস্ ওকে, আমি যাবো।
তিন বন্ধু পার্টি করে, বিকালে এসে ফটাফট গোসল করে রেডি হয়ে যায়। মাহুয়ার বাসায় যেতে হবে।
সবাই রেডি হয়ে নিচে আসে। আরাব আসে, এসে দেখে মুন সরার সাথে দাঁড়িয়ে আছে।
আরাব,,,,,,,, তুমি এখানে, আর আমি সারা বাড়ি খুঁজে মরি। সারা দিন আজ কই ছিলে দেখলাম না। সকালে ঘুম থেকে উঠেও দেখলাম না।
মুন,,,,,,,, এখানেই ছিলাম তুমিই দেখো নি।
রিমান,,,,,,,,, ফারহান ওদের ব্যাপারটা তো ঠিক বুঝা যাচ্ছে না। (আস্তে)
ফারহান,,,,,,,, হঠাৎ দুজনের মুখে এতো মধু কোথা থেকে আসলো।
রিয়াদ খান,,,,,,,, চলো চলো সবই গাড়িতে বসো, লেইট হয়ে যাচ্ছে।
মুন তাড়াতাড়ি গিয়ে রিমির সাথে বসে পড়ে। আরাব তাকিয়ে আছে, কিছু বলতেও পারছে না।
রিমান,,,,,,,৷ চল বন্ধু তোর কপালে আমরাই আছি।
সবাই মাহুয়ার বাসায় যায়। মাহুয়ার বাবা সবাইকে ভিতরে এনে বসায়। সবাই কথা ভার্তা বলছে। সবার কথার মাঝখানে রিমা৷ বলে উঠে,,,,,,,,,, বাবাই মাহু কোথায়।
সবাই রিমানের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।
রিমান,,,,,,,, না মানে, মা দেখতে চেয়েছিলো আরকি।
মা,,,,,,,, হ্যাঁ,, মাহুয়াকে একটু আনেন দেখি।
মুন,,,,,,, আমি নিয়ে আসছি।
আরাব,,,,,,,, সাথে আমিও যায়।
ফারহান,,,,,,, কোনো দরকার নেয়, রিমি তুই যা।
আরাব ফারহানের দিকে চোখ ছোট ছোট করে তাকায়। রিমি আর মুন মাহুয়াকে নিচে নিয়ে আসে। মাহুয়া একটা জাম রং এর জর্জেট শাড়ী পড়ে। মাহুয়াকে দেখে রিমান হা করে থাকে, ফারহান রিমানকে হাত দিয়ে খোঁচা দেয়। তারপর রিমান মুখ বন্ধ করে। মাহুয়া সবার আড়ালে রিমানকে চোখ মারে, রিমান বুকে হাত দিয়ে ফারহান গায়ে শরীর হেলিয়ে দেয়।
ফারহান,,,,,,,, কও হয়ছে।
রিমান,,,,,,, তুই বুঝবি নারে পাগল (সোজা হয়ে)
সবাই বিয়ের কথা ভার্তা বলছে। মাহুয়া আর রিমান আলাদা রুমে যায়।
রিমান,,,,,,,,,, সো মিস্ মাহুয়া, আপনি কি মিসেস্ রিমান খান হওয়ার জন্য রেডি।
মাহুয়া,,,,,,,, ইয়েস্, আমি রেডি
রিমান মাহুয়াকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে দুলছে।
,,,,,,,,,, কি হলো, আনেক খুশি দেখা যায়।
,,,,,,,,, তোমাকে কি বলবো আমি কতো খুশি। আমার তো ভাবতেই লজ্জা লজ্জা লাগছে।
,,,,,,,,,, এখন আমাকে ছাড়ো, কেও দেখে ফেললে।
,,,,,,, ছাড়বো আগে কালকের অসম্পূর্ণ কিসটা দাও। কালকে তো হঠাৎ করেই ফারহান চলে এসেছিলো। কালকের টা এখন দাও।
,,,,,,,, জ্বি না,, এই সব বিয়ের পড়ে হবে। ছাড়ো আমাকে।
,,,,,,,, ছাড়বো না। আগে কিস তারপর।
মাহুয়া রিমানের দুটো গাল ধরে ছোট করে একটা কিস দেয়।
রিমান,,,,,,,,, এতো ছোট।
,,,,,,,এখন এটা দিয়ে কাজ চালাও,, আর ছাড়ো আমাকে না হলে আমি চিৎকার করবো।
,,,,,,,,,ঠিক আছে করো।
মাহুয়াও চিৎকার করতে নেয় আর রিমান মুখ চেপে ধরে রাখে।
,,,,,,এই মেয়ে দেখি আমাকে মেরে ছাড়বে। এভাবে চিৎকার করলে আমার বাপ আর তোমার বাপ মিলে আমাকে পিটাবে।
,,,,,,,,,,, আচ্ছা এখন দয়া করে চলো।
,,,,,,,হুমম চলো, আমার জান বেরিয়ে গেলো হলে।
দুজনে নিচে যায়। সবাই কথা ভার্তা বলতে বলতে রাত হয়ে যায়।সবাই খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়ে।
মুন আবারো রিমির সাথে বসতে নেয়, আরাব মুনের হাত ধরপ তার গাড়িতে বসায়।
রিমান,,,,,,,,, দেখ ফারহান দেখ,,, ঢাল মে কুছ তো কালা হে।
ফারহান,,,,,,,, সন্দেহ জনক।
সবাই গাড়িতে বসে। আরাব গাড়ি ড্রাইভ করছে। মুন বাহিরে তাকিয়ে আছে।
আরাব,,,,,,, কি হয়েছে একটু বলবে।
মুন,,,,,,,, কিছু না (অন্য দিকে তাকিয়ে)
আরাব,,,,,,,, সারা দিন আমার থেকে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছো, আমার চোখে চোখ রাখছো না, কিছু হয়েছে নাকি।
মুন,,,,,,,,,, কিছুই হয়নি।
,,,,,,,,এবার আমি বুঝতে পেরেছি কি হয়েছে তোমার। (গাড়ি থামিয়ে)
,,,,,,,,,,কি হয়েছে।
,,,,,,,,,, কালকে তোমার এতো কাছে যাওয়া আমার ঠিক হয়নি। তুমি হয়তো আমাকে এখনো মন থেকে মানতে পারো নি। সরি আমি তোমার মনের কথা বুঝতে পারিনি। তোমার খারাপ লেগেছে।
,,,,,,,, আমার একটু খারাপ লাগেনি (আরাবের দিকে তাকিয়ে)
আরাব ও মুনের চোখের দিকে তাকাতেই মুন চোখ শরিয়ে নেয়।
,,,,,,,,, আমার খারাপ লাগছে না,, লজ্জা লাগছে। সকালে উঠে নিজেকে দেখে লজ্জা লাগছিলো, তোমার সামনে দাড়াতাম কি করে। মাথার মধ্যে শুধু কালকের কথায় ঘুড়ছিলো। (লজ্জায় লাল হয়ে)
,,,,,,,,,,,,, লজ্জা লাগছিলো (হালকা হেঁসে) চিন্তা করো না তোমার লজ্জা দূর করার দায়িত্ব আমার। আজ রাতেই লজ্জা গায়েব করে দিবো।
,,,,,,,,,,, ইশশ চুপ করো।
,,,,,,,,,, এই লজ্জা মাখা মুখটা এতো দিন কোথায় ছিলো। আর হ্যাঁ কাল সকালে উঠে জেনো দেখি তুমি আমার পাশেই শুয়ে আছো (গাড়ি ইস্টাট দিতে দিতে)
সবাই বাসায় এসে পৌঁছায়। সবাই এক সাথে বসে বিয়ের আলোচনা করছে। আরাব মুনকে ইশারা দিয়ে চলো যায় বলছে। মুন আরাবকে ইশারা দিয়ে চুপচাপ থাকতে বলছে। দুজন ইশারায় কথা বলছে।
রিমান,,,,,,,,,, ফারহান আমি যা দেখছি তুই কি তাই দেখছিস।
ফারহান,,,,,,,,,, আমার তো নিজের চোখকে বিশ্বাস হচ্ছে না।
রিমান,,,,,,,,, শালা ওদের মধ্যে সব কিছু ঠিক হয়ে গেছে আর আমাদের কিছু বললো না।
ফারহান,,,,,, যাক মাফ করে দে,, ঠিক হয়ছে এটাই বেশি।
রিমান,,,,, হুমম,,,,,আরাব তুই তোর বাসায় গিয়ে শুয়ে পড়,,, তের অনেক ঘুম পাচ্ছে আমরা বুঝতে পারছি।
ফারহান,,,,,,,,, হুমম বিচারা অনেক ক্লান্ত হয়ে গেছে। মুন ভাবি তুমিও যাও।
আরাব ওদের দিকে এক ব্রু উঠিয়ে তাকিয়ে আছে।
রিমান,,,,,,, হালা কিছু কইলি না, এর প্রতিশোধ অন্য দিন নিবো, আজ সুযোগ করে দিলাম।
আরাব,,,,,,, তোরাই আমার আসল বন্ধু। চলো মুন আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে।
মুন যেতে চাচ্ছিলো না, আরাব জোর করে নিয়ে যায়।রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা আটকিয়ে দেয়।
আরাব,,,,,,,,, শাড়িতে তোমাকে বেশ সুন্দর লাগে। ইচ্ছে করে। (মুনের কাছে গিয়ে)
মুন,,,,,,,,, ক কি (হাত দুটো নিজের বুকের সামনে রেখে)
আরাব মুনকে কোলে উঠিয়ে বিছানায় শুয়িয়ে দেয়। আরাব মুনকে দেখছে, মুন অন্য পাশে মুখ ঘুরিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখে। আরাব আস্তে আস্তে মুনের কাছে যেতে থাকে। মুনের নিশ্বাস ভাড়ি হতে থাকে।
আরাব হালকা করে তার ঠোঁট মুনের গলায় ছুঁয়ে যেতে লাগে। মুন আরাবকে খামছে ধরে। আরাব মুনের মুখ নিজের দিকে ফিরিয়ে তার ঠোঁটে কিস করতে থাকে।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,
#you_are_only_mine (ভালোবাসার গল্প)
#Maishara_Jahan
Part………….32
আরাব মুনকে কোলে উঠিয়ে বিছানায় শুয়িয়ে দেয়। আরাব মুনকে দেখছে, মুন অন্য পাশে মুখ ঘুরিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখে। আরাব আস্তে আস্তে মুনের কাছে যেতে থাকে। মুনের নিশ্বাস ভাড়ি হতে থাকে।
আরাব হালকা করে তার ঠোঁট মুনের গলায় ছুঁয়ে যেতে লাগে। মুন আরাবকে খামছে ধরে। আরাব মুনের মুখ নিজের দিকে ফিরিয়ে তার ঠোঁটে কিস করতে থাকে।
সকালে,,,,,,,,,,
সবাই রেডি হয়ে যায় বাংলোতে যাওয়ার জন্য। বিয়েটা সেখানেই হবে।
ফারহান,,,,,,,,,, আমরা কোন বাংলোতে যাচ্ছি সেটা তো বল।
আরাব,,,,,,,,,,, এখান থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে একটা বড় বাংলো আছে। এই বাংলোর মালিক বিদেশ থাকে, তাই সে বাংলো ভাড়া দিয়ে থাকে।
রিমান,,,,,,,,, এতো মেহমান যাবে, সবার জন্য জায়গা হবে তো।
আরাব,,,,,,,,, হবে মানে, বিশাল বড় বাংলো, আমরা যেতে যেতে বাংলো পরিষ্কার করে রাখবে চিন্তার কোনো কারন নেয়।
রিয়াদ খান,,,,,,,,, ও গর্ধবের দল আপনারা গাড়িতে উঠবেন নাকি উঠানোর জন্য লোক নিয়ে আসতে হবে।
রিমান,,,,,,,,,,, বাবা আমরা যতোই পরে বের হয়, তোমার আগেই বাংলোতে পৌঁছাবো৷
রিয়াদ খান,,,,,,,, তুই কি আমাকে চেলেন্জ করছিস।
রিমান,,,,,,,,,, তোমাকে কি চেলেন্জ করা যায়। তার জন্য ও একটা লেভেল লাগে।
রিয়াদ খান,,,,,,,, তুই কি বলতে চাস আমার কোনো লেভেল নাই।
মা,,,,,,,, দূররর চুপ করো। রিমান চুপচাপ গাড়িতে বস, আর রিমানের বাবা তুমিও গাড়িতে গিয়ে বসো, না হলে তোমাদের খবর আছে। (রাগে)
দুজনে চুপচাপ গাড়িতে গিয়ে বসে পড়ে। রিয়াদ খান গাড়ি থেকে মাথা বের করে বলে,,,,,,, রিমি চুপচাপ আমার গাড়িতে এসে বসো, আর মাহুয়া তুমি ইচ্ছে করলে রিমির সাথে বসতে পারো না হলে তোমার বাবার সাথে বসো৷
রিমান,,,,,,,,,, হোয়াট এ ফাও কথা।
ফারহান,,,,,,,,, ব্রো এটা কোনো কথা।
রিমি আর মাহুয়া এক সাথে বসে। রিমান আর ফারহান বেরিয়ে আরাবের গাড়িতে উঠে বসে।
আরাব,,,,,,,,, তোরা এই গাড়িতে কেনো, মুন কোথায় বসবে।
রিমান,,,,,,,,, আমরা একা একা যাবো আর তুমি মজায় মজায় যাবা এটা কি হতে পারে।
ফারহান,,,,,,,,,, সরি দোস্ত আমরা এতো ভালো না, তোরে যে আমাদের আগে বিয়ে করতে দিছি এটা তোর ভাগ্য।
আরাব,,,,,,,,, ইশশ এতো ভালো ভাগ্য আমার।
মুন গিয়ে রিমিদের সাথে বসে৷ সবাই গাড়ি স্টাট দেয়। সবাই গাড়িতে গান বাজিয়ে বাজিয়ে যাচ্ছে। কয়েক ঘন্টা পড়ে সবাই বাংলোর সামনে এসে পৌঁছায়। গাড়ি থেকে নেমেই সবাই হা করে থাকে।
রিমি,,,,,,,,,,, কি সুন্দর বাংলো। আমাদের এখানে বিয়ে হবে ওয়াও।
রিমান,,,,,,,,, এই বাংলো যেমন সুন্দর তেমন ভয়ানক (রিমিকে ভয়, দেখিয়ে)
রিমি,,,,,,,, মানে।
রিমান,,,,,,, এটা একটা অভিশপ্ত বাংলো, অনেক বছর আগে এখানে পুরো একটা পরিবার ফাশি টাঙিয়ে মরে যায়। এর পর থেকে এখানে অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটে থাকে।(ভয়ানক আওয়াজে)
রিমি,,,,,,,, তোমাকে দেখে আমার ভয় লাগছে, এভাবে বলবে না। এতোই যখন সমস্যা তাহলে এই বাংলো বুক কেনো করেছো।
রিমান,,,,,,,,, এই জায়গা সুন্দর তাই।
মাহুয়া,,,,,,,,, ভালোই আমার ভুত দেখার অনেক শখ।
মুন,,,,,,, বলে কি, আমার ভয় করছে।
আরাব,,,,,,,, আরে দূরর আমি আছি না ভয় কিসের। চলো চলো সবাই ভিতরে যাও।
সবাই একটু ভয়ে ভয়ে ভিতরে যেতে থাকে। রিমান দাঁড়িয়ে হাসছে৷ ফারহান আর আরাব রিমানের কাঁধে হাত রাখে।
আরাব,,,,,,,,, তুই জানলি কিভাবে এই বাংলোর আসল কাহিনি কারন আমি তো তোকে বলিনি।
রিমান,,,,,, আসল কাহিনি মানে, এই ঘটনা সত্যি সত্যি এই বাংলোতে হয়েছে। (ভয়ে)
আরাব,,,,,,, হুমম। দেখস না এই বাংলোর আশেপাশে কোনো বাড়ি ঘর নেয়,সবাই এই জায়গা ছেড়ে চলে গেছে।
রিমান,,,,,,,, তাহলে এই বাংলো বুক কেনো করেছিস।
ফারহান,,,,,,,,,, সুন্দর তাই।
বলে ফারহান আর আরাব যেতে থাকে। রিমান সাথে সাথে দৌড় দিয়ে তাদের কাছে যায়, গিয়ে বলে,,,,,,, হালারা আমাকে একা একা ফেলে আসছিস কেনো।
ফারহান,,,,,,,,, কেনো ভয় লাগে।
রিমান,,,,,,,, আরে দূরররর কিসের ভয়, আমি ভয় পায় না।
আরাব,,,,,,, সে তো দেখায় যাচ্ছে।
সবাই বাড়ির ভিতরে গিয়ে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে আছে। বাংলোটা বিশাল বড় আর সুন্দর।
মাহুয়া,,,,,,,, ওয়াও কি সুন্দর, এই বাংলোটা বানাতে নিশ্চয়ই অনেক টাকা লেগেছে।
আরাব,,,,, আচ্ছা সবাই সবার রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি সবার রুম দেখিয়ে দিচ্ছি।
আরাব সবাইকে সবার রুম দেখিয়ে দেয়। রিমি আর মাহুয়া এক রুমে, রিমান আর ফারহান এক রুমে আর আরাব মুন আরেক রুমে। সবাই সবার রুমে যায়।
রিমি,,,,,,, ভাবি দেখছো কতো বড় রুম।
মাহুয়া,,,,,,, একদম আমার স্বপ্নের মতো। আমি একদিন না একদিন এমন রুমে থাকতে চাইতাম।
রিমি,,,,,,,, হুমম কিন্তু এখানে নাকি ভুত আছে।
মাহুয়া,,,,,,,, আরে দূরর ভুত টুত কিছু নেয়,এটা রিমান তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য বলছে।
রিমি,,,,,,, সত্যি।
,,,,,,হুমম,,তুমি এক কাজ করো, তুমি আগে ফ্রেশ হয়ে আসো, পড়ে আমি যাচ্ছি।
,,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,,,,,,, আচ্ছা ফারহান আমাদের বাসর রাত ও কি এখানে হবে।
ফারহান,,,,,,,,,, হুমম,,,, তোর মাথায় খালি এটাই ঘুরে নাকি।
রিমান,,,,,,,, যদের নতুন নতুন বিয়ে হতে নেয় তাদের মাথায় এটাই ঘুরে। বিয়ের পরে আমরা সবাই সুইজারল্যান্ড যাবো হানিমুনে, ভাবছি।
,,,,,,,,,,,,, এটা খুব ভালো ভেবেছিস। সুইজারল্যান্ড রিমির খুব পছন্দের একটা জায়গা।
,,,,,,,,,,,
মুন,,,,,,,,,, আরাব জায়গাটা কিন্তু অনেক সুন্দর তাই না।
,,,,,,,,,, এদিকে আসো আমি তোমাকে আরো সুন্দর জায়গা দেখায়।
আরাব মুনকে নিয়ে বারান্দায় যায়। আর বাহিরের দৃশ্য দেখায়৷ পুরো বাগান ফুলে ছেয়ে আছে। নানা ধরনের ফুল। চারপাশে প্রজাতি অশেষ মেলা।
মুন,,,,,,,,,, ওয়াও এতো সুন্দর, আমি এখনি বাহিরে যাবো।
আরাব,,,,,,,,, এখন না, দেখছো না কি রোদ। তুমি ফ্রেশ হয়ে খেয়ে নাও তারপর রোদটা কমলে নিয়ে যাবো।
,,,,,,,,, কিন্তু আমার এখনি যেতে ইচ্ছে করছে। আর এখন কি গরম কাল নাকি এখন তো শীত কাল।
,,,,,,,,,, হুমম কিন্তু এখন রোদ উঠেছে এতে আমি কি করবো। ঠিক আছে চলো, কিছু দিন পর বিয়ে, এই রোদে অসুস্থ না হলেও কালো ঠিকি হয়ে যাবে। পরে ছবিতে সবাইকে সুন্দর লাগবে আর তোমাকে কালো। চলো চলো (মুনের হাত ধরে)
,,,,,,,,,, না থাক পরে যাবো। আমার অনেক গরম লাগছে আগে ফ্রেশ হয়ে নিয়।
,,,,,,,,,,,,হুমমম, ঠিক আছে।
সবাই ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেতে বসে।
মাহুয়া,,,,,,,,,, আমি শুনেছি, এখানে নাকি চার পাঁচ জন লোক থাকতো, তাহলে এই বিশান বড় ডায়িং টেবিলের কি দরকার ছিলে।
আরাব,,,,,,,,,,, মাঝে মাঝে তাদের গ্রেন্ট পার্টি হতো। এতে যাতে জায়গার অভাব না পড়ে তাই এতো বড় টেবিল রাখতো।
মাহুয়া,,,,,,,, ওও।
সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে। বিয়ের কাজে লেগে পড়ে। আরাব প্রচুট বিজি। আরাব তাড়াহুড়োই রিমানের কাছে যায় আর বলে,,,,,,,, লাইটিং মেনেজার কে একটু ফোন দিয়ে দেখ তো এখনো কেনো আসে নি। আর এই নে লিস্ট কি কি লাগবে তা আনতে বল।
রিমান,,,,,,,,, সরি ব্রো। তুই কোনো দিন শুনেছিস বর নিজের বিয়েতে কাজ করে।
আরাব,,,,,,,,, ফারহান তুই কর।
ফারহান,,,,,,,,, ভুলে চাস না আমারো কিন্তু বিয়ে।
আরাব,,,,,,,, কতো কাজ আছে আর তোরা বিয়ে বিয়ে করছিস।
রিমান,,,,,,,,,,,, ভুলে গেছিস নিজের বিয়ের তুই কোনো কাজ করিসনি।
আরাব,,,,,,,,,,, তখন তোরা দুজন ছিলি আর আমার একার বিয়ে হচ্ছিলো। আর এখানে তো দুটো বিয়ে হচ্ছে।
রিমান + ফারহান,,,,,,,,,, সরি ব্রো। (বলে চলে যায়)
আরাব,,,,,,,,,,তোর সরির তো। (রাগে)
আরাব অনেক কষ্টে আর তাড়াহুড়ো করে সব সামলায়। অনেক ক্ষন পরে আরাব তার নিজের রুমে যায়।
মুন,,,,,,,,, কি হলো তুমি না বলেছিলে বাগানে নিয়ে যাবে, এখন আরেকটু পরে সন্ধ্যা হয়ে যাবে।
আরাব,,,,,,,,, আমি তো দেখলাম তুমি রিমিদের সাথে কয়েক বার ঘুরে এসেছো।
মুন,,,,,,,,,, কিন্তু আমার তো তোমার সাথে দেখার ইচ্ছে আছে।
আরাব,,,,,,,,,,,, ঠিক আছে, আমি সাওয়ারটা নিয়ে নেয় তারপর যাচ্ছি।
মুন,,,,,,,,, ঠিক আছে লেইট করবা না কিন্তু।
,,,,,,,,ওকে৷
আরাব তাড়াতাড়ি গোসল করে বেরিয়ে আসে। মুন দরজার সামনে জামা কাপড় নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। আরাব হাসতে থাকে এটা দেখে। আরাব তাড়াতাড়ি জামা কাপড় পড়ে নিলে, মুন হাত ধরে তাড়াতাড়ি নিয়ে যেতে থাকে।
আরাব,,,,,,,,, আস্তে বা বা আস্তে।
,,,,,,,একটু পর সূর্য ডুবে যাবে।( আরাব আর মুন বাহিরে এসে হাত ধরে হাঁটতে থাকে।)
,,,,,,, আচ্ছা তোমরা কি বাংলোর পিছনে গিয়েছো।
,,,,,,,,,, না, সেখানে যাওয়া হয়নি।
,,,,,,,চলো নিয়ে যায়।
আরাব মুনকে নিয়ে দৌড়াতে থাকে। বাগানটা বেশ বড়।
কিছু ক্ষন পরে তারা পৌঁছে যায়। মুন খুশিতে লাফাতে থাকে। বাগনে বেশ বড় বড় এগারোটা শিউলি ফুল গাছ, আর পুরো গাছে শুধু ফুল ছাড়া অন্য কিছু দেখা যাচ্ছে না। নিচে শিউলি ফুলে ছেয়ে আছে। মুন শিউলি ফুলের গাছের নিচে দাঁড়িয়ে লাফাতে থাকে। আরাব গাছ নাড়ায়৷ আর অসংখ্য ফুল মুনের উপর পড়ে।
মুন,,,,,,,,,, আমার যে ভালো লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না,, ঠান্ডা বাতাস, হালকা হালকা শীত শীত ভাব, চারপাশে ফুলের গ্রান আর সাথে তুমি আর কি লাগে। (পা উঁচু করে আরাবের কাঁধে দুটো হাত রেখে বলে)
আরাব মুনকে জরিয়ে ধরে, মুনের পা মাটিতে স্পর্শ করছে না। মুন ও আরাবকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে। দুজনে চোখ বন্ধ করে ছিলো। হাত তালির আওয়াজ পেয়ে দুজনে চোখ খুলে রিমান আর মাহুয়াকে সামনে দেখে দুজন দুজনকে ছেড়ে দিয়ে দূরে গিয়ে দাঁড়ায়।
রিমান,,,,,,, হোয়াট এ সিন। এতো ভালোবাসা কবে থেকে হলো। ফারহান মিস করে গেলো।
মুন লজ্জায় মাহুয়ার সাথে দাঁড়ায়।
আরাব,,,,,,, তুই এখানে কেনো এসেছিস।
রিমান,,,,,,,, তোরা যেটা করতে এসেছিলি রোমান্স।
মাহুয়া রিমানকে হাত দিয়ে একটা খুঁচা দেয়।
আরাব,,,,,,,, তাহলে আমাদের কেনো ডিস্টার্ব করছিস, অন্য কোথাও যা।
রিমান,,,,,,,, বউকে পেয়ে বন্ধুকে ভুলে গেলা ভালো। যাচ্ছি হুহহ। চলো মাহু (মাহুয়ার হাত ধরে)
রিমান চলে যেতে নিয়ে আবার থেমে যায়। আরাবকে ইশারা দিয়ে ডাক দেয়। আরাব আসে।
আরাব,,,,,,,, কি হয়েছে।
রিমান,,,,,,,, করো হাসির আওয়াজ শুনলাম।
আরাব,,,,,,,,, সর।
তখন দুজনের হাসির আওয়াজ আসে। রিমান আরাবের এক হাতের বাহু শক্ত করে ধরে।
রিমান,,,,,,,,, ভুতের হাসি।
আরাব,,,,,,,,, হাসিটা চিনা চিনা লাগছে।
রিমান,,,,,,,,,, হহ ভুত তো তোর চাচা ছিলো,,, শুনেছি ফুল গাছে পরী থাকে।
আরাব,,,,,,,চুপ থাক,, আওয়াজটা ঐদিক থেকে আসছে। চল দেখি।
রিমান,,,,,,,,,,,,,, তুই আগে যা।
আরাব,,,,,,,,, ভিতু।
রিমান,,,,,,,, তোর বাপ ভিতু। চল এখন।
মুন মাহুয়াকে ধরে ধরে হাঁটছে, রিমান আরাবকে ধরে ধরে হাঁটছে। আস্তে আস্তে গিয়ে দেখে ফারহান আর রিমি একটা গাছের নিচে বসে আছে। দুজন ওদের দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে।
রিমান,,,,,,,,, খুড়লাম পাহাড় পেলাম পেলাম দুটো ইঁদুরের বাচ্চা। তা আপনারা এখানে কি করেন।
ফারহান,,,,,,,,,, বুঝলাম না আমিই কেনো সব সময় ধরা পড়ে যায়। শালা তোদের কারনে লুকিয়ে প্রেম করে শান্তি পেলাম না। দুদিন পড়ে বিয়ে এখন তো শান্তিতে কথা বলতে দে।
আরাব,,,,,,,,, রিলেক্স রিলেক্স,রিমানের কাজি হলো সবাইকে ডিস্টার্ব করা।
রিমান,,,,,,,,, ঐ সাব্বাশ,, এখন সব দোষ আমার,,, ঠিক আছে কর তোরা প্রেম আমি মাহুয়াকে নিয়ে গেলাম।
আরাব,,,,,,,,, কোথায় বাংলোতে।
রিমান,,,,,,,,, আব্বে না, অন্য দিকে, এতো বড় বড় গাছ আছে কোথাও না কোথাও তো জায়গা হয়েই যাবে।
রাতে,,,,,,,,,,
সবাই ছাদে গিয়ে গোল করে বসে। ছাদটা বেশ বড় আর সাজানো। অনেক বড় হওয়ায় একটু ভয়ানক দেখা যায়। চারপাশে বড় বড় গাছ এই জন্য। সবাই ভুতের গল্প করছে। একেক জন একেক ভুতের গল্প করছে।
রিমান ভয়ে আস্তে আস্তে মাহুয়ার কাছে চলে যায়। সবাই একটু দূরে দূরে বসে ছিলো কয়েকটা গল্প বলার পরে কারো মাঝে আর কোনো ফাঁকা জায়গা নেয়।
আরাব,,,,,,,,, সবার ভুতের গল্প শুনলাম,, এখন আমার টা শুনো, আমি এই বাড়ির গল্প শুনাবো (একটু ভাড়ি আওয়াজে)
রিয়াদ খান,,,,,,,,, একটু ভালো কন্ঠে বল। ভুতের গল্প বলতে নিলে সবার কন্ঠ কেনো চেঞ্জ হয়ে যায় এটাই বুঝি না। (ভয়ে)
আরাব,,,,,,,, আরে শুনো আগে,,,,, অনেক বছর আগের কথা। এখানে একটা পরিবার থাকতো। ওরা হঠাৎ একদিন এই ছাদে ঐ সামনের রেলিং এর সাথে ফাশ টাঙিয়ে মরে যায়৷
ফারহান,,,,,,, সবাই এক সাথে মরে।
আরাব,,,,,,,, আরে না,,, প্রথমে পরিবারের সদস্য মহিলা মরে, তার পর এক এক করে সবাই এখানেই এসে আত্যহত্যা করে। আর কেনো করে সেটা এখনো জানা যায়নি। তারপর থেকে এখানে অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটে।
সবাই একটু শান্ত হয়ে যায়। রিমান তখনি সবাইকে ভয় দেখানোর জন্য জোরে চিৎকার করে। রিমানের চিৎকার শুনে সবাই এক সাথে জোরে চিৎকার করা শুরু করে। ওদের চিৎকার শুনে রিমান ও ভয়ে চিৎকার করা শুরু করে।
সবার চিৎকার থামলে সবাই রিমানকে মারা শুরু করে। ফারহান দূর থেকে বসে লাথি দেয়।
রিয়াদ খান,,,,,,,, এখনি আমার কলিজা বেরিয়ে গেলো হলে। এই কচুর জায়গায় আর থাকা লাগবো না, আমি রুমে গেলাম।
রিয়াদ খান উঠে দাঁড়ায়, যেতে নিয়ে আবার পিছনে তাকায়, দেখে সবাই বসে তার দিকে তাকিয়ে আছে।
রিয়াদ খান,,,,,,,, তোরা কেও যাবি না,, আমি একা একা যাবো কিভাবে।
রিমান,,,,,,, কেনো ভয় করে।
রিয়াদ খান,,,,,,,, ঐ কিসের ভয় করে হুমম,, কতো রাত হয়েছে দেখেছিস,উঠ সবাই।
রিয়াদ খান সবাইকে জোর করে নিয়ে যায়। সবাই বাড়ির ভিতরে যায়।
আরাব,,,,,,,, সব প্ল্যান রেডি তো হুমম।
ফারহান,,,,,, হুমম,,শুধু সবার ঘুমানোর পালা।
আরাব,,,,,,,,, রিমান এখন তোর কি হবে (শয়তানি হাসি দিয়ে)
ফারহান,,,,,,,,, ওরে আজকে এতো ভয় দেখাবো যে বলার বাহিরে হিহিহি।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,