ইষ্ক ইবাদাত পর্ব-৪২+৪৩+৪৪

0
4894

#ইষ্ক_ইবাদাত
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৪২

বাড়ি ফেরার পর থেকেই রেয়ান্স এর ঠান্ডা শীতল আচরণের কোনো মাথা মুন্ডু বোধগম্য হচ্ছে না তোড়ার কাছে। হটাৎ করে রেয়ান্স এর কি হলো যে এমন শান্ত হয়ে গেছে। সেটাই মেলাতে পারছে না তোড়া। বাড়ি ফেরার পর থেকে কেমন চুপচাপ হয়ে গেছে। একটাও কথা বলেনি আর তোড়া তাকে কিছু বললেও ইগনোর করে যাচ্ছে হু হা করে। তাই তোড়া ভাবতে বসেছে যে হয়েছে টা কি।

এই যে রুমের মধ্যেই তোড়া বিছানার উপর বসে এক মনে ভেবে যাচ্ছে। সকাল থেকে সে হিসাব মেলানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। সকাল থেকেই তো রেয়ান্স ঠিক ছিল তারা পুলিশ স্টেশনে থেকে ঘুরে আসার পর থেকেই রেয়ান্স চুপচাপ হয়ে গেছে। কিন্তু কেনো। ধুর বসে বসে ভাবতে থেকে তার মাথা ফেটে যাচ্ছে। তোড়া বিছানা থেকে উঠে সোজা স্টাডি রুমের দিকে পা বাড়ায়।

স্টাডি রুমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে দেখে রেয়ান্স এক মনে তার ফাইল চেক করে যাচ্ছে। এটা দেখেই যেনো তোড়ার রাগ টা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। তাকে চিন্তায় ফেলে সে এখানে ফাইল দেখতে মন দিয়েছে। তোড়া দপাদপ পা ফেলে এগিয়ে যায় ভিতরে। সোজা গিয়ে রেয়ান্স এর হাতের থেকে ফাইল টেবিলে রেখে রেয়ান্স কোলে চড়ে বসে। দু হাত দিয়ে রেয়ান্স এর গলা জড়িয়ে ধরেই রেয়ান্স এর ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেয়।

এদিকে হুট করে তোড়ার এমনি আক্রমণে রেয়ান্স কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে গেলেও নিজেকে সামলে নেয়। সে চুপ করে আছে। না কোনো রেসপন্স করছে আর না তোড়া কে নিজের থেকে সরিয়ে দিচ্ছে। তোড়ার উপস্থিতি টা কিছু মুহূর্ত আগে বুঝতে পারলেও সে কোনো রকম রিয়েক্ট করেনি কিন্তু ভাবেইনি তোড়া এমনি করবে।

রেয়ান্স এর কোনো রকম রেসপন্স না পেয়ে রাগে তোড়া এবার রেয়ান্স এর ঠোঁটে কামড় দিতে থাকে। সে এসে তাকে নিজের থেকে আদর করছে আর এদিকে রেয়ান্স চুপ করে আছে তাই রেগে গিয়ে রেয়ান্স এর ঠোঁটের উপর তার এতক্ষণের চিন্তা রাগ সব কিছুই ঝাড়তে থাকে। রেয়ান্স এর ব্যথা লাগলে ও সে চুপ করে আছে।

তোড়া প্রায় আধঘন্টার কাছাকাছি রেয়ান্স এর ঠোঁটে কামড় দেয়ার পর যখন রেয়ান্স এর কোনো রেসপন্স পায়না তখন নিজেই সরে আসে রেয়ান্স এর ঠোঁট ছেড়ে। চোখ তুলে রেয়ান্স এর দিকে তাকাতেই দেখে সে তার দিকেই তাকিয়ে আছে। তোড়া এবার রেয়ান্স এর ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে দেখে ঠোঁট কেটে রক্ত চুইয়ে পড়ছে।এটা দেখেই তোড়া আবারো তার ঠোঁট ডুবিয়ে দেয় শুষে নেয় রেয়ান্স এর ঠোঁটের রক্ত গুলো। তার নিজেরই এখন রাগ লাগছে এই ভাবে কামড় দেয়ার জন্য। আর রেয়ান্স চুপ করে বসে থেকে তোড়ার কাজ দেখে যাচ্ছে। তোড়া এক পলক রেয়ান্স এর মুখের দিকে তাকিয়ে রেয়ান্স এর বাম গালে কানের কাছের তিল এর ওপর ছোটো ছোটো কামড় দিতে থাকে আর তার সাথে চুমুর বর্ষন করায়। রেয়ান্স গাল পুরো ভিজে গেছে তোড়ার চুমুতে।

এর পরেও রেয়ান্স কে এমনি ফ্রিজ হয়ে বসে থাকে দেখে তোড়া রেয়ান্স এর কাঁধে কামড় দিয়ে নিজের মুখ ডুবিয়ে দেয়। এক হাত দিয়ে রেয়ান্স এর শার্ট এর উপরের দুটো বাটান খুলে রেয়ান্স উন্মুক্ত লোম হীন বুকেই আঙুল দিয়ে স্লাইড করতে থাকে।

-“তুমি কি রাগ করেছো আমার ওপর? তোড়া রেয়ান্স এর কাঁধে মুখ ডুবিয়ে রেখেই বলে ওঠে।

রেয়ান্স কোনো কথা বলে না চুপ করে আছে তার হাত দুটো এখনও তোড়া কে জড়িয়ে ধরেনি সেই আগের মত এক হাত টেবিলের ওপর রাখা ও অন্য হাত চেয়ারের হাতলে রাখা।

-” মিস্টার রাওয়াত আপনি এখন জ্যালাসিতে ভুগছেন।

তোড়ার বলতে দেরি রেয়ান্স এর মুভ করতে দেরি নেই। রেয়ান্স এক হাত তোড়ার কোমরে শক্ত করে পেচিয়ে ধরে আর এক হাত ঘাড়ের পিছনে রেখে চুল মুঠো করে ধরে তোড়ার মুখ নিজের মুখের সমান করে। তোড়ার চোখে চোখ রাখে মনে হচ্ছে চোখ দিয়েই তাকে আজকে ঘায়েল করে ফেলবে।

-“এতক্ষণ পর তাহলে তুমি বুঝতে পেরেছ আমার কি হয়েছে। রেয়ান্স বলে ওঠে।

তোড়া রেয়ান্স এর দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলে সে টুপ করে আবারও রেয়ান্স এর ঠোঁটে একটা আলতো কামড় দিয়ে সরে আসে।

-” আয় হায়ে রাওয়াত সাহেব ও তাহলে জ্যালাসিতে ভোগে। তোড়া রেয়ান্স এর গলার চারিদিকে নিজের হাত জড়িয়ে ধরে বলে ওঠে।

-” বউ তুমি আমার কোনো প্রেমিকা নয় তোমার সব কিছুতেই আমার অধিকার আছে সেটা তোমাকে নিয়ে জ্যালাসি হোক না কেনো। রেয়ান্স তোড়ার থুতনি আলতো করে কামড় দিয়ে বলে ওঠে।

-” হুম তো আমি কখন বললাম আমি তোমার প্রেমিকা। আমি তো জানি আমি তোমার বউ। তোড়া রেয়ান্স কে জ্বালাতন করতে বলে ওঠে।

রেয়ান্স তোড়ার দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঁচকে ফেলে ।আজকে তোড়ার ব্যবহার অন্য দিনের থেকে কিছুটা আলাদা

-“তুমি কেনো অভির ওপরে রহম করবে কেনো ও তোমাকে ভালোবাসে বলে? রেয়ান্স কিছুটা অভিমানী হয়ে বলে ওঠে।

তোড়া রেয়ান্স এর কথায় সশব্দে হেসে ওঠে। কিছু না বলেই রেয়ান্স এর ঠোঁট জোড়া দখল করে নেয়। এইবার রেয়ান্স ও চুপ থাকে না। তোড়া কিছু ক্ষণ পরে সরে এসে রেয়ান্স নাকের সাথে নাক ঘোষে দেয়।

-“আমি তোমাকে ভালোবাসি। তাই কে আমাকে ভালোবাসে কি বাসে না সেটা নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। তুমি শুধু আমাকে ভালোবাসলে হবে বুঝলে।

-” আর কে বললো আমাকে ভালোবাসে বলে অভির উপর রহম করেছি? আমি এতটা ও দয়াবান নই যে আমি ওকে ছেড়ে দেবো। তোড়া বলে ওঠে।

-“তোমাকে কেউ ভালোবাসার কথা বললে আমি সহ্য করতে পারিনা আর ওই অভি যখন তোমাকে ভালোবাসার কথা বলছিলো তখন মনে হচ্ছিলো ওর নাক ঘুষি মেরে ফাটিয়ে দেই। রেয়ান্স মুখ কঠিন করে বলে ওঠে।

-” আচ্ছা এটাই কি সেই অ্যাটিটিউড ওয়ালা খারুশ মিস্টার রেয়ান্স রাওয়াত যে মেয়েদের থেকে সব সময়ে দূরে দূরে থাকতো। তোড়া রেয়ান্স কে টিজ করে বলে ওঠে।

-” বাইরে সবার কাছে ওমনই। এখনও সব মেয়েদের থেকেই দূরে থাকি শুধু নিজের বউ ছাড়া। তুমি যেহেতু আমার ওয়াইফ তাই তুমি আমার ভিতরের রূপ টা ও জানবে। রেয়ান্স বলে ওঠে।

-” আমি তো জানি। তোড়া বলে ওঠে।

-“বাই দ্য ওয়ে ওয়াইফি দেখছি আজকে বেশ আদর করার মুডে আছে। হুম তাহলে আমার মুখ ফুলিয়ে থাকাটা কাজে দিয়েছে। রেয়ান্স দুষ্টুমি করে বলে ওঠে।

তোড়া রেয়ান্স কে কিছু বলতে নিলেই তোড়ার মুখ আটকে দেয় রেয়ান্স নিজের ঠোঁট দিয়ে। ডুবে যায় তোড়ার রসালো ঠোঁটে। ভরিয়ে দিতে থাকে ছোট্ট ছোট্টো চুমু আর আদুরে কামড়ে। তোড়া ও সমান তালে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে এক সময়ে এই স্পর্শ গভীর থেকে আরো গভীর হতে থাকে। তোড়া এক হাত দিয়ে রেয়ান্স চুল খামছে ধরে ও অন্য হাত রেয়ান্স এর গলা জড়িয়ে রাখে। দুজনেই প্যাশনেট ভাবে একে অপরের ঠোঁটের মাঝে ডুবে থাকে। রেয়ান্স এর হাত তোড়ার কোমরে থেকে সরে টপ এর ভিতরে নিয়ে উন্মুক্ত পেটে স্লাইড করতে থাকে। কিছুক্ষণ পরে দুজনই সরে আসে। বড় বড় নিঃশ্বাস নিতে থাকে। একে অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে নিজেদের মনের ভাব আদান প্রদান করে বুঝে নেয় একে অপরের মনের ইচ্ছা। রেয়ান্স তোড়ার গলায় মুখ ডুবিয়ে দেয় ছোটো ছোটো স্পর্শে ভরিয়ে দিতে থাকে তোড়া কে। স্পর্শ গভীর হতে হতে ডুবে যায় একে অপরের ভালোবাসার মধ্যে। রাঙ্গিয়ে দেয় একে অপরের ভালোবাসার রং। মিশে যায় নিজেদের ভালোবাসার সাগরে।
.
.
.
. ❤️❤️❤️
. চলবে…..

ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন…..।

#ইষ্ক_ইবাদাত
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৪৩

সকালে ঘুম ভেঙ্গে নিজেকে রেয়ান্স এর বুকে আবিষ্কার করে তোড়া। পিট পিট করে চোখ খুলে তাকাতেই রেয়ান্স এর চোখে চোখ পড়ে যায় তার দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রেয়ান্স। আগের রাতে রেয়ান্স তোড়া কে তুলে নিয়ে রুমে আসে। দুজন একে অপরের ভালোবাসার রঙে রঙিন হওয়ার পর পরই তোড়া ঘুমিয়ে যায়।

-“গুড মর্নিং ওয়াইফি । রেয়ান্স তোড়ার কপালে উষ্ণ স্পর্শ দিয়ে বলে ওঠে।

-” হুমমম। গুড মর্নিং। তোড়া তার ঘুম ঘুম কন্ঠে রেয়ান্স কে আরো একটু শক্ত করে জড়িয়ে বলে ওঠে।

রেয়ান্স তোড়ার কাজে মিট মিট করে হাসে। কিছু বলে না। তোড়ার রেয়ান্স এর বুকে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে। রেয়ান্স তোড়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে ওঠে।

-“আজকে কি আমাকে ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করছে না।

-“উমমম।

-“চলো ওঠো ব্রেকফাস্ট করে নিবে। আমি তোমাকে কত গুলো ফাইল দিয়েছি চেক করে নেবে কেমন। রেয়ান্স বলে ওঠে।

-” কিসের ফাইল?

-“কোম্পানী জয়েন এর জন্য। স্টার অকেশন গ্রুপ তো আর কোনো কাজের নেই। ওখানে তোমার কন্ট্রাক্টড ক্যানশিলেশন লেটার পাঠিয়ে দিয়েছি আজকে লয়ার গিয়ে বাকিটা সামলে নেবে। আর তোমাকে কয়েকটা কোম্পানির ফাইল দিয়েছি দেখে নিও কেমন। রেয়ান্স তোড়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে ওঠে।

-“হুম ।

-” আরে আবারো ও হুম! রেয়ান্স বলে ওঠে ।

তোড়া আর কোনো জবাব না দিয়ে চুপ করে থাকে। রেয়ান্স তোড়ার এমন নিরুত্তাপ দেখে তার মাথায় দুষ্টুমি খেলে যায়। সে তোড়া কে জড়িয়ে রাখা অবস্থায় নিজেদের কে ভালো করে চাদরে মুড়ে নিয়ে তোড়া কে কোলে তুলে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ায়। তোড়া তখনও রেয়ান্স এর বুকে চুপটি করে ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পর চোখ তাকিয়ে নিজের অবস্থা বুঝে কিছু বলতে নিলেই রেয়ান্স তার ঠোঁট দ্বারা তোড়ার ঠোঁট আটকে দেয়।।

ড্রেসিংটেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে রেয়ান্স প্যান্ট পরে আদুল গায়ে। আর তার ঠিক সামনে আছে তোড়া সে কিছুক্ষণ ঘোর লাগা দৃষ্টিতে রেয়ান্স এর দিকে দেখছে। এটা এখন তার নিত্যদিনের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রেয়ান্স সাওয়ার নেওয়ার পর রুমে এসে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে আর তোড়া কিছুক্ষণ তার দিকে ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। আর তারপর তাকে একে একে নিজের হাতে রেডি করে দেয়।

তোড়া রেয়ান্স এর বুকের দিকে দেখতে দেখে রেয়ান্স এর বুকের ওপর রয়েছে তার দেয়া ক্ষতের চিহ্ন। সে হাত দিয়ে ক্ষতের ওপর আসতে আসতে স্লাইড করে কয়েকটা ছোটো ছোটো চুমু বসিয়ে দিয়ে সরে যায়। একে একে রেয়ান্স এর শার্ট কোট টাই পরিয়ে দেয়। আর রেয়ান্স এক ধ্যানে তোড়ার কাজ দেখছে। রেয়ান্স কে রেডি করে দেয়ার পর পর রেয়ান্স তোড়ার কোমর টেনে ধরে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে তোড়ার ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর সরে এসে তোড়ার কপালে চুমু দিয়ে তোড়া কে ছেড়ে দেয়। তোড়ার রেয়ান্স এর দিকে এক পলক তাকিয়ে নিয়েই পায়ের পাতা উঁচু করে রেয়ান্স এর কাঁধে কামড় বসায় আর রেয়ান্স মুচকি হেসে তোড়া কে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

তোড়া রেয়ান্স যাওয়ার পরেই লিভিং রুমে বসে রেয়ান্স এর দেয় ফাইল চেক করছিলো এক মনে। বাড়িতে কেউ নেই তার মম লেখা বাপি আবারো লোনাওয়ালা ফিরে গেছে। তার বাপি ফিরে যাওয়ার টাইম ছিল তাই কয়েকদিন তাদের সাথে সময় কাটিয়ে চলে গেছে সাথে তার মম লেখা আর রেয়ান্স এর দাদু রাগিব রাওয়াত গেছেন। তারা এখন এখানে মাঝে মাঝেই আসেন আবার ফিরে যান রেয়ান্স তোড়া কে নিজের মত করে সময় কাটানোর জন্য আর নিজেও তার মেয়ে ও নাতনীর সাথে সময়ে কাটাতে চলে যায়।

মোবাইল বাজার শব্দে তোড়ার ঘোর কেটে যায়। সে এতক্ষণ তার কাজের মধ্যে ডুবে ছিল তাই কোনো খেয়াল ছিল না। ফোন হাতে নিতেই দেখে অফিসারের কল।

-“ম্যাডাম মিস তানিয়া এখন অ্যাসাইলাম এর একজন পেশেন্ট। কালকেই তানিয়া কে অ্যাসাইলামে শিফট করা হয়েছে। আর বাকি সমস্ত কাজ ও আমাদের আন্ডারে আছে। অভি কে আপাততঃ সেলে রাখা আছে ওর বিরুদ্ধে সমস্ত চার্জশিট জমা পড়ে গেছে পরশু কোটে তোলা হবে।

-” ওকে থ্যাঙ্কিউ অফিসার।

তোড়া ফোন রাখার পর ওর মুখে ফুটে ওঠে একটা বাঁকা হাসি। হ্যাঁ সে তানিয়া কে মেন্টাল অ্যাসাইলামে পাঠিয়েছে। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হওয়ার কারণে তাকে অ্যাসাইলামে পাঠানো হয়েছে পুলিশের রিপোর্টে এটাই বলা হয়েছে। তোড়া তানিয়া কে তিলে তিলে শেষ করার জন্য অ্যাসাইলামের থেকে আর ভালো কোনো অপশন পাইনি এটাই তার কাছে বেস্ট মনে হয়েছে। একজন সুস্থ সবল মানুষ কে পাগল খানার মত জায়গা পাঠিয়ে দিয়ে তার মানসিক ভারসাম্য বিপর্যস্ত করা এর থেকে বড় শাস্তি মনে হয় হওয়া। মেরে ফেললে কষ্ট তখনকার মতো শেষ হয়ে যেতো আর তার থেকেও বড় কথা সে তানিয়া কে মারতে চাইনি শুধু তাকে কষ্ট দিয়ে তিলে তিলে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছে। যাতে সে বাঁচে থেকে ও মরার মত থাকে এতেই হয়তো তার পাপ কিছুটা কম হবে।

আর অভি তাকে নিয়ে তো কোনো কিছুই করেনি তার অপরাধ কম কিছু নয়। সম্পর্কে থাকা কালীন সে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছে। তাকে বিক্রি করার মত একটা ঘোর অপরাধে জড়িয়েছে আর তার সাথে তোড়া ও কিছু অ্যাড করে দিয়েছে ব্যাস কাজ শেষ এরপর যা কিছু হবে তার রায় কোট শোনাবে। সে শুধু তার কাজ করে দিয়েছে। সে একজন ওয়ার্ল্ড টপ ওয়ান বিজনেসম্যানের ওয়াইফ এটুকু পাওয়ার সে তো ইউজ করতেই পারে তাইনা। তবে সে কোনো খারাপ কাজে নিজের পাওয়ার এর ব্যবহার করেনি দু জন অপরাধী কে শাস্তি দেয়ার জন্য সে তার পাওয়ার ইউজ করেছে এতে তো কোনো দোষ নেই।

আবারো ফোন বেজে উঠতেই তোড়ার ঘোর কেটে যায়। সে এতক্ষণ নিজের ভাবনার মধ্যে ডুবে ছিলো। ফোন বাজতে সে বাস্তবে ফিরে আসে।কে ফোন করেছে না দেখেই ফোন রিসিভ করে নেয়।

-“কংগ্রাচুলেশন তোড়া । রাই বলে ওঠে।

-“রাই?

-“ইয়েস মেরি জান । উফ আজকে আমি বহুত খুশি। রাই উৎফুল্ল হয়ে বলে ওঠে।

-” কেনো আজকে কি এমন হল যে এত খুশির মেলা বয়ে যাচ্ছে। আর কিসের জন্য বা কংগ্রাচুলেট করলি? তোড়া বলে ওঠে।

-“লাইক সিরিয়াসলি? তুই আবারো ভুলে মেরে দিয়েছিস? মানে আমি না ঠিক বুঝতে পারিনা তোর নিজের ব্যাপারে কি করে ভুলে যাস। রাই কিছুটা ঝনঝনিয়ে বলে ওঠে।

-“আরে মেরি মা কি হয়েছে সেটা কি বলবি? কি ভুলে গেছি আমি? তোড়া বলে ওঠে।

-“আজকে যে তোর অ্যাড শুট রিলিজ হওয়ার কথা ছিল সেটা কি তুই ভুলে গেছিস?রাই বলে ওঠে।

-“ওপশ । মাথা থেকে একদম বেরিয়ে গেছিলো। তোড়া জিভ কেটে বলে ওঠে।

-” হুম সেই তুই আর তোর মাথা। রাই বলে ওঠে।

-” আচ্ছা ঠিক ঠিক আছে। তোড়া হেসে বলে ওঠে।

-“উফ তোর অ্যাড শুট পুরো দেশে ধুম মাচিয়ে দিয়েছে এখন সোস্যাল মিডিয়া জুড়েই তুই ছেয়ে আছিস। এতদিন পর তোর স্বপ্নের পথে কয়েক কদম এগিয়ে গেছিস এখন আর কেউ তোকে দমিয়ে দিতে পারবে না। আমি যে আজ কি খুশি কি বলবো। রাই বলে ওঠে।

-” ওকে তুই খুশিতে নাচতে থাক। তোড়া হেসে ফোন কেটে দেয়।

তোড়ার মুখে ও একটা হাসির ঝিলিক খেলে যায়। এতদিন পর সে সত্যি তার স্বপ্ন পূরণের পথে কয়েক কদম এগিয়েছে। সে কখনো ভাবতেও পারিনি আবারো সে এই জগতে ফিরে আসবে। সে তার এই ক্যারিয়ার তানিয়ার জন্য ছেড়ে ছিল আর আজ তানিয়া কে ছেড়ে সে তার স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আবারও ফোন বেজে উঠতেই দেখে রেয়ান্স ফোন করেছে। এটা দেখে তার মুখের হাসি আরো কিছুটা বেড়ে যায়। ফোন কানে নিতেই রেয়ান্স এর উত্তেজিত কন্ঠ শুনতে পায়।

-“কংগ্রাচুলেশন ওয়াইফি ।

-” ধন্যবাদ জনাব। তোড়া হেসে বলে ওঠে।

-“আজ আমি খুব খুশি হয়েছি। তোমার অ্যাড শুট আমি দেখে নিয়েছি। আর তোমাকে ও যা লাগছে না এতে বলার মত মন চাইছে শুধু তাকিয়ে থাকি। রেয়ান্স বলে ওঠে।

-” তোমার আর কোনো কাজ নেই। কাজ করো আর জলদি ফিরে এসো। আমি অপেক্ষা করব। তোড়া বলে ওঠে।

-“জো হুকুম বেগম সাহেবা। হেসে ফোন কেটে দেয় রেয়ান্স।
.
.
.
. ❤️❤️❤️
. চলবে……

#ইষ্ক_ইবাদাত
#Sabiya_Sabu_Sultana(Saba)
#পর্ব_৪৪

রেয়ান্স বাড়িতে ঢুকতে দেখতে পায় তোড়ার লিভিং রুমের সোফায় বসেই ঘুমিয়ে গেছে। রেয়ান্স আসতে আসতে এগিয়ে এসে গায়ের থেকে কোট খুলে পাশে রেখে দিয়ে তোড়ার পাশে বসে পড়ে। তোড়ার গুঁজে থাকা মাথাটা আসতে আসতে নিজের বুকের ওপর নিয়ে নেয়। তোড়া ও উষ্ণ স্পর্শ পেয়ে আরো ভালো ভাবে গভীর ঘুমে তলিয়ে যায়। রেয়ান্স তোড়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে এক দৃষ্টিতে তোড়ার দিকে চেয়ে আছে। কিছুক্ষণ পরই তোড়ার কপালে উষ্ণ স্পর্শ বুলিয়ে দেয়। টেবিলের দিকে চোখ যেতে দেখে ওখানে ডকুমেন্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে চারিদিকে।

রেয়ান্স তোড়া কে এক হাতে জড়িয়ে রেখেই অন্য হাত দিয়ে ডকুমেন্ট তুলে নিয়ে পড়তে থাকে। এখানে সব গুলোই তোড়ার জন্য বিভিন্ন কোম্পানি জয়েন এর ডকুমেন্ট আছে যেগুলো রেয়ান্স দিয়েছিলো। রেয়ান্স তার নিজের কোম্পানিতে তোড়ার জয়েন করার কথা বলে না। সে চায়না তোড়া এর থেকে কোনও কষ্ট পাক। সে যদি এখনই তার কোম্পানি জয়েন করার কথা বলে সেটা তোড়া সঙ্গে সঙ্গে নাকচ করে দেবে। তোড়া আগের থেকেই জানিয়ে দিয়েছিল সে তার নিজের দ্বারা কিছু করতে চায়। তাই রেয়ান্স তার কোম্পানী ছাড়া অন্যান্য কোম্পানির ডকুমেন্ট তোড়া কে দেখার জন্য দিয়েছে যাতে সে এর মধ্যে একটা সিলেক্ট করতে পারে। আর তারপরে তো সে আছেই।

তোড়া ঘুম ভেঙ্গে যেতেই চোখ বুজে অনুভব করে সে কারোর বুকের মধ্যে আছে। আর এটা যে কে হতে পারে সেটা তোড়া জানে। তোড়া পিট পিট করে চোখ খুলে তাকাতেই দেখে রেয়ান্স তার দিকে তাকিয়ে আছে।

-“ঘুম হয়ে গেছে। রেয়ান্স তোড়ার কপালে একটা চুমু দিয়ে বলে ওঠে।

-” তুমি কি করে জানলে আমি জেগে গেছি? তুমি কি সারাক্ষণ আমার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলে? তোড়া জিজ্ঞেস করে ওঠে।

-“উহু। তোমার ঘুমানো আর জেগে থাকা আমি না দেখে ও বুঝতে পারি তার জন্য তাকিয়ে থাকতে হয় না। তোমার নিঃশ্বাসের শব্দে বুঝে যাই।

-“কখন এসেছ? তোড়া কয়েক মুহূর্ত রেয়ান্স এর মুখের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে ওঠে।

-“মাত্র এক ঘন্টা আগে। রেয়ান্স একবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে ওঠে।

-“আরে আমাকে ডাকলে না কেনো? তোড়া মুখ বেজার করে বলে ওঠে।

-” তুমি ঘুমিয়ে ছিলে আমি কেনো ডাকতাম। তোমার ওই মুখের দিকে তাকালে আমার সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায় আর সেখানে তোমার ওই ঘুমন্ত মুখ। তোমার ঘুমিয়ে থাকা মুখ দেখে আমি বরাবর মায়ার রাজ্যে হারিয়ে যাই। তাহলে বল আমি কি করে তোমাকে ডেকে দিতাম। রেয়ান্স তোড়ার নাকে নাক ঘোষে বলে ওঠে।

-“আচ্ছা তুমি এসে ফ্রেশ না হয়ে বসে গেছো ডকুমেন্ট দেখতে? সারাদিনে অফিস করে এসে আবারো কাজে লেগে পড়েছ বলি তোমার কি একটু ও ক্লান্তি লাগে না? তোড়া গাল ফুলিয়ে বলে ওঠে।

-” আমি সব সময়ই সব রকম অবস্থায় তোমার জন্য প্রস্তুত । তোমার জন্য কিছু করতে গেলে আমার ক্লান্তি আসেনা তখন আরো নতুন করে এনার্জি আসে ভিতরে। আর তাছাড়া এখুনি তো বললাম যে তোমার এই মুখটা দেখলেই আমার সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। রেয়ান্স তোড়ার টেনে দিয়ে বলে ওঠে।

-” হুম ।

-” আচ্ছা শোনো এখান থেকে কি তুমি সব ডকুমেন্ট দেখে নিয়েছ? ঠিক করেছো কিছু? রেয়ান্স তোড়া কে বলে ওঠে।

-“উহু। দেখেছি কিন্তু ঠিক করতে পারিনি। তোড়া মাথা নাড়িয়ে বলে ওঠে।

-” ওকে । তো তুমি ওশিয়ান স্টার গ্রুপ জয়েন করো। এটা সব দিক দিয়েই পারফেক্ট এবং তোমার স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে কাজ করবে। রেয়ান্স সিরিয়াসলি বলে ওঠে।

-“ওকে। তোড়া হেসে বলে ওঠে।

-“তুমি জানতে চাইলে না কিছু আমি কেনো এতো গ্রুপ থাকতে এখানে জয়েন করতে বললাম? রেয়ান্স জিজ্ঞেস করে ওঠে।

-“উহুম । আমি জানি যেটা আমার জন্য বেস্ট হবে তুমি সেটাই করবে। আমার তোমার ওপরে নিজের থেকেও বেশি বিশ্বাস আছে। এই জন্য আমি কিছু সিলেক্ট করিনি। তোড়া রেয়ান্স এর গলা জড়িয়ে ধরে বলে ওঠে।

রেয়ান্স এক মুহুর্ত তোড়ার মুখের দিকে চেয়ে থাকে। তোড়ার কথা গুলো শুনে তার মনের মধ্যে ও ভালোলাগা রেস ছড়িয়ে গেছে।

-“ওকে তো ওখানে তোমার পোর্টফলিও পাঠিয়ে দেবো। ওখানে ফেয়ার জাজমেন্ট হয় তাই কোনো চিন্তা নেই। আমি জানি তুমি ওদের কোম্পানীতে ঠিক নিজের নাম লিখিয়ে নেবে। রেয়ান্স বলে ওঠে।

-” আমি কখনই তোমাকে নিরাশ করবো না। তোড়া বলে ওঠে।

রেয়ান্স তোড়ার কোমরে টেনে নিজের কাছে এনে জড়িয়ে ধরে। কপালে একটা চুমু খেয়ে আবেশে তোড়া কে নিজের বুকের মাঝে আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে নেয় রেয়ান্স।

————–

তোড়া ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে রেডি হচ্ছে। আজ তার ওশিয়ান স্টার গ্রুপ এর থেকে ওডিশন আছে। একটু পরেই রাই তাকে নিতে আসবে। স্টার অকেশন গ্রুপে রাই ম্যানেজার হিসাবে ছিল তোড়া নিজের কন্ট্রাক্টড ক্যানশেল করানোর সময়ে রাই এর টা করিয়ে নিয়েছে সাথে রাই কে তার পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট বানিয়ে নিয়েছে। তাই এখন থেকে সব জায়গাতেই তোড়ার সাথে সাথে থাকবে।

তোড়া নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে ঘড়ি পরছে। সেই মুহূর্তেই পিছনে থেকে দুটো হাত এগিয়ে এসে তার কোমরের চারপাশে জড়িয়ে ধরে। তোড়া কোনো রিয়েক্ট না করেই নিজের কাজ করতে থাকে। রেয়ান্স তোড়ার কাঁধে নিজের থুতনি রেখেই তোড়ার কানের পাতায় নিজের ঠোঁট দ্বারা আলতো করে ঠোঁটের স্পর্শ বুলিয়ে দিতে থাকে। রেয়ান্স এর এমন কাজে তোড়া স্থির হয়ে যায় সাথে রেয়ান্স স্পর্শের সাথে সাথে কেঁপে ওঠে।

-“আমাকে রেডি হতে দাও বেরোতে হবে। তোড়া আমতা আমতা করে কোনো মতে বলে ওঠে।

-” হুম তো কে বারণ করলো! রেয়ান্স তার কাজে মগ্ন থেকেই হালকা আওয়াজে বলে ওঠে।

-“তোমার করা কাজ গুলো আমাকে বাধা দিচ্ছে। তোড়া বড় করে নিঃশ্বাস নিয়ে বলে ওঠে।

-” হুম তো তাতে আমি কি করতে পারি। তুমি ওদের বারণ করো। রেয়ান্স কানের পাতায় আলতো করে কামড়ে বলে ওঠে।

তোড়া আর কিছু না বলে স্টিল দাঁড়িয়ে থাকে। সে জানে রেয়ান্স এখন নিজের কাজ হাসিল করা না পর্যন্ত তাকে ছেড়ে দেবে না তাই চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। তার সারা শরীর কেঁপে কেঁপে উঠছে রেয়ান্স এর প্রত্যেকটা স্পর্শের জন্য। রেয়ান্স তোড়ার ঘাড়ে নিজের ঠোঁট দিয়ে স্লাইড করতে করতে তোড়া কে চুপ করে দাঁড়িয়ে যেতে দেখেই বাঁকা হাসে। তোড়ার ঘাড়ে নাক ডুবিয়ে দিয়ে তোড়ার শরীরের স্মেল নিতে থাকে। তোড়ার শরীরের এই নেশা ধরানো স্মেলে সে পাগলপ্রায় হয়ে যায় চম্বুকের মত আকর্ষণ করে তাকে।

রেয়ান্স তোড়া কে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে তোড়ার মুখের দিকে চেয়ে থাকে। ঠোঁটের দিকে চোখ যেতেই রেয়ান্স এর চোখ জোড়া নেশায় বুঁদ হয়ে যায়। সে এক হাতে তোড়ার কোমরে শক্ত করে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিয়েই তোড়ার ঠোঁটে ডুব দেয়। তোড়া সাথে সাথেই আকড়ে ধরে রেয়ান্স কে ।রেয়ান্স এই পাগলামি এর সাথে সে খুব ভালো ভাবে পরিচিত হয়ে গেছে। সে ঠোঁটে লিপস্টিক লাগালে রেয়ান্স তার এই পাগলামি শুরু করে দেয়। প্রায় কিছুক্ষণ রেয়ান্স তোড়ার ঠোঁট থেকে সরে আসে। দুজনই বড় বড় করে শ্বাস নিতে থাকে।

-“লিপস্টিক লাগালে তোমার এমন পাগলামি শুরু হয়ে যায় কেনো? তোড়া বলে ওঠে।

-” তোমার এই রসালো ঠোঁট এমনিতেই আমাকে পাগল করে দেয়। আর যখন তুমি লিপস্টিক লাগাও তখন আর নিজেকে আটকে রাখতে পারিনা তোমার লাল লাল ঠোঁট জোড়া আমাকে চুম্বকের মত টেনে নেয় নিজের মাঝে। রেয়ান্স বলে ওঠে।

-” হুম বিড়াল চোখ ওয়ালা। তোড়া নিজের মনে মনে বলে ওঠে।

তোড়া হাত বাড়িয়ে টিস্যু দিয়ে রেয়ান্স এর ঠোঁটের চারপাশে ক্লিন করে দিয়ে একসাথে বেরিয়ে পড়ে বাড়ি থেকে গেটের বাইরে রাই কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে রেয়ান্স কে বাই করে গাড়িতে করে উঠে বেরিয়ে যায়। রেয়ান্স তোড়ার চলে যেতে দেখে নিজের গাড়ির দিকে এগিয়ে যায়। পকেট থেকে ফোন বের করে কানে ধরে।

-” ওর ওপর থেকে এক সেকেন্ড এর জন্য ও নজর না সরে। ওকে প্রতি টা মুহূর্ত চোখে চোখে রাখবে।

রেয়ান্স কথাটা বলেই নিজের গাড়িতে উঠেই বেরিয়ে যায়।
.
.
.
. ❤️❤️❤️
. চলবে……

ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন……. ।