#ভালোবাসি_বুঝে_নাও🍁🍁
#পর্ব_২৮ (বিয়ে_স্পেশাল😍)
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
.
সারাবাড়ী সাজানো হয়েছে নানা রকমের ফুল আর মরিচ বাতি দিয়ে,,, বাড়িতে মানুষ ভর্তি যে যার মতো কাজে ব্যাস্ত প্রায় বিকেল হতে চলল,,
এতো ছটফট করছিস কেনো?? চুপচাপ বস কাজল টা পরাতে দে(ইশিতা)
আচ্ছা আপু বর আসছে না কেনো?? কখন আসবে??(মাহি)
বাবা এ মেয়েতো দেখি বিয়ে করার জন্য একেবারে মরিয়া হয়ে উঠেছে (পাশ থেকে এক মেয়ে বলে উঠল)
দেখেছিস সবাই কি বলছে চুপচাপ বসে থাক (ইশিতা)
মাহি মুখ ফুলিয়ে বসে থাকল,,, ভারী লেহেঙ্গা আর এতো ভারি ভারি গহনার ভারে আমি কাত,,
বাহ মাহি তোকে এই লাল লেহেঙ্গা তে তো একদম বলিউডের নায়িকাদের মতো লাগছে,, আম শিওর আজকে মেহরাব ভাই তোকে দেখলে নির্ঘাত ভিমরি খাবে।
আমাকে দেখে ভিমরি খাবে এটা তো আমি জানি কিন্তু আজকে আমি যা করবো না সেটা দেখে সবার চোখ একেবারে টেরা হয়ে যাবে (মনে মনে বলল মাহি)
ওরা কথা বলছিলো তখনি বাইরে সবাই বলে উঠলো বর আইছে বর আইছে।
নে তোর অপেক্ষার অবসান হলো মেহরাব ভাই এসে গেছে।
হ্যাঁ দাখ গিয়ে আমার ভাইকে একেবারে রাজ কুমারের মতো লাগছে,,যেনো ঘোড়ায় চড়ে তার রাজ কন্যা কে জয় করে নিয়ে যেতে এসেছে,, হায় নাজর না লাগ যায়ে (রুমে আসতে আসতে বলল মেঘলা)
এই মেয়ে এতো জোরে জোরে হাঁটো কেনো?? একটু আস্তে হাঁটা যায় না??(মেঘলার পিছু পিছু আসতে আসতে বলল মেঘ)
এই আপনি এখানে কেনো??যান বাইরে যান ভাইয়ার কাছে যান(মেঘলা)
না আমি এখানেই থাকি তোমাকে নিয়ে আমার একটু বিশ্বাস নেই যদি পরে যাও এমনি তেই হাটতে পারো না তার উপর আজকে শাড়ি পরেছো, আমার তো টেনসনে ঘাম বেরিয়ে যাচ্ছে (মেঘ)
কি বলো সত্যি মেহরাব ভাই চলে এসেছে??(ওদের কথার মাঝে বলে উঠল মাহি)
হুম,, আর তুই নিজের বরকে ভাই বলা ছাড় তো(মেঘলা)
ওফ ওসব বাদ দাও,, এবার তাহলে আমার ক্যালমা শুরু করি??(মাহি)
কি করবি তুই??(মেঘলা)
হ্যাঁ উল্টা পাল্টা কিছু করিস না চুপচাপ এখানে বসে থাক(ইশিতা)
কিছুতো করবোই এতোদিন ধরে ভেবে রেখেছি যে আজকে কি করবো আর সেই দিনটা আসলো আর আমি না করে বসে থাকবো?? না না তা তো হতে পারে না (মাহি)
কি করবে তুমি শালি সাহেবা? (মেঘ)
আমার সাথে আসলেই বুঝতে পারবেন ভাইয়া(এই বলে মাহি বিছানা থেকে উঠে নিচে নেমে,, লেহেঙ্গা টা দুহাত দিয়ে ধরে মেঘের কাছে গেলো তারপর মেঘের বুক থেকে সানগ্লাস টা নিজের হাতে নিয়ে মেঘকে বলল)
ফলো মি মিস্টার (এই বলে মাহি বাইরে চলে গেলো,,,আর মেঘ তো হাবলার মতো মাহির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো)
আরে মেয়েটা কোথায় চলে গেলো, আর আপনি এখানে ওমন করে দাড়িয়ে না থেকে চলুন বাইরে যাই দেখি ও আবার কি ধামাকা করে (মেঘলা)
তারপর মেঘ মেঘলা ইশিতা সহ ঘরের মধ্যে থাকা সব মেয়ে বাইরে চলে আাসলো।
বাইরে মেহরাব এখনো ঘোড়ার উপর বসে আছে আর ওর একপাশে ব্যান্ড পার্টি আর দুপাশে মহিলারা হাতে ফুলের থালা নিয়ে ফুল ছিটাচ্ছে,,আর সামনে সবাই নাচা নাচি করছে,,,
মাহি আর মেহরাব এর বিয়ের জন্য অনেক বড় একটা স্টেজ সাজানো হয়েছে একটু উঁচু করে অনেকটা জায়গা নিয়ে, এখানেই ওদের বিয়ে হবে
(গল্পের লেখিকা ;সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী),,, সবাই যখন এসব নিয়ে ব্যাস্ত তখনি মাহি লেহেঙ্গার দুপাশে হাত দিয়ে ধরে স্টেজ উঠে জোরে করে বলল।
স্টপ (একটু চেঁচিয়ে)
মাহির কথা শুনে সব কিছু থেকে গেলো আর মেহরাব অবাক নয়নে মাহির দিকে তাকিয়ে আছে৷
আরে মাহি এখানে কেনো??(মাহির বাবা)
হ্যাঁ আমি ও তাই ভাবছি ও এখানে কি করছে??(ছোট মামা)
মেয়েটা যে কি করতে চাইছে আল্লাহ জানে (মেঘলা)
আল্লাহ ও যেনো ভুলভাল কিছু না করে (ইশিতা)
সবাই উৎসুক দৃষ্টি তে মাহির দিকে তাকিয়ে আছে,, তখনি মাহি হাতে থাকে সানগ্লাস টা চোখে দিয়ে ব্যান্ড পার্টির উদ্দেশ্য বলল।
বাজাও(আর সাথে সাথে ব্যান্ড পার্টিরা বাজাতে শুরু করলো আর তার সাথে মাহি গান বলতে লাগলো আর নাচতে লাগল)
,,,,Hai wa Handsome sona sabsa,,
,,,mera dil ko gaya le kar,,meri neend chare li usne,
,,,,Aur khwab gaya dekar,,,
,,,Ab ye nalna bole yaar,, bole yehi lagataar.
,,,koi chaahe kitna roka karingi pyar,,
,,,,,mera saiyaan superstar,,
,o,,,mera saiyaan superstar,, (মেহরাব এর চার পাশে ঘুরে নাচতে নাচতে বলল)
,,,main fan hui unki.
,,,o mera saiyaan superstar.
,,,main fan hui unki.
,,, mera saiyaan superstar.
Filmy Style se jab usne,,
,,kal raat mujhe propose kiya.
,,,Daayein na dekha,, baayein na dekha
Usko dil ka rose diya,, have charche chaar hazaar.
Photo chhap a gayi in akhbaar,, lajhko parwah nahi koi i,m with the star.
,,,mera saiyaan superstar,,
mera saiyaan superstar,,
main fan hui unki.
o mera saiyaan superstar. (মেহরাব ও ঘোড়ার উপর বসেই ঘাড় ঝাঁকাচ্ছে যতই হোক নতুন জামাই বলে কথা বেশি লাফালাফি করলে মানুষ কি বলবে)
এটাই তাহলে আমাদের মাহির আজকের ধামাকা(মেঘ)
হুম সেটাই তো দেখছি পাগলি একটা(মেঘলা)
বিয়ে শেষ হতে হতে প্রায় অনেক রাতই হয়ে গেলো,,, মাহির বিয়েতে প্রথমে যতই খুশি লাগোক না কেনো বিদায় এর সময় খুবি কান্না পাচ্ছিলো,, যতই কাছে বিয়ে হোক তবুও বুকের ভিতর কেমন যেনো খালি খালি লাগছিলো,, ছোট বেলা থেকে যাদের সাথে থেকে অভ্যাস তাদের ছেড়ে থাকতে হবে এই কথাটা ভাবলেই চোখ ভয়ে কান্না আসছে।
এতো কেঁদো না মেকাপ খারাপ হয়ে যাবে তো,,, তখন তো ভালো কমর দুলিয়ে দুলিয়ে নাচলে এখন আবার কি হলো হুম (মেহরাব মাহির কানে ফিসফিস করে বলল)
তখন খুশিতে নাচলেও এখন তখনকার কথা মনে পড়লে ভীষন লজ্জা লাগছে,, আল্লাহ কীভাবে তখন নাচলাম তাও আবার নিজের বিয়েতেই।
সবাই থেকে বিদায় নিয়ে অনেক কান্না কাটির পরে অবশেষে কণে বিদায় হলো,, মেহরাব ঘোড়ায় আর মাহি পালকিতে।
,,,,ওবাড়িতে,,,,,
ইম্পসিবল মাহি তুমি এসব কি বলো আমি এমনটা করতে কখনো পারবো না (মেঘ)
প্লিজ ভাইয়া আপনাকে আমার কথাটা রাখতেই হবে (মাহি)
কখোনোই না,, আমি মেহরাব এর সাথে এমনটা করতে পারবো না (মেঘ)
চলবে,,,,,,??
#ভালোবাসি_বুঝে_নাও🍁🍁
#পর্ব_২৯
#সুমাইয়া_সুলতানা _সুমী(writer)
.
ইম্পসিবল মাহি তুমি এসব কি বলো আমি এমনটা করতে কখনো পারবো না (মেঘ)
প্লিজ ভাইয়া আপনাকে আমার কথাটা রাখতেই হবে (মাহি)
কখোনোই না,, আমি মেহরাব এর সাথে এমনটা করতে পারবো না (মেঘ)
কিন্তু কেনো??(মাহি)
আরে ভাই তোমরা বুঝো না কেনো মেহরাব যদি একবার বুঝতে পারে যে বাসর ঘরে ওর বউয়ের জায়গায় আমি বসে আছি তাহলে তোমরা তো ফাঁসবেই সাথে আমিও, না বাবা আমি পারবো না (মেঘ)
দেখুন আপনাকে পারতেই হবে, না করলে কিন্তু ডিভোর্স দিয়ে দেবো (মেঘলা)
এ কিরে এই তুমি কি সত্যি আমার বউ?? নাকি আমার বউয়ের ছদ্দবেশে অন্য কেউ,, নিজের একমাএ বরকে এভাবে আগুনে ঝাপ দিতে বলছো?? কি নিষ্ঠুর গো তুমি (মেঘ)
ভাইয়া প্লিজ রাজি হয়ে যান দেখবেন অনেক মজা হবে (মাহি)
হ্যাঁ তোমরা মজা নেবে আর আমি বাঁশ,, কি আর করা যাবে সবি কপাল (মেঘ)..
,,,
ফুলে সাজানো ঘর চারিদিকে মিটিমিটি আলো জ্বলছে সারা ঘর জুড়ে এক অদ্ভুত মাতাল করা সুবাস, মেহরাব রুমে এসে দেখলো তার প্রাণ হরনি বিছানার উপর বসে তারি জন্য অপেক্ষা করছে তাই আস্তে করে দরজা টা লাগিয়ে বিছানায় এসে বসলো তারপর মাহির মুখ থেকে ঘোমটা টা যেই উঠাবে তখনি কি মনে করে একটু মুচকি হেসে উঠালো না আরাম করে মাহির পাশে বসলো,, তারপর বলল।
তোমাকে তো অনেক সুন্দর লাগছে বিয়ের ভারি পোশাকের নিচে পড়া জিন্স এ আরো বেশি আর্কষণিয় লাগছে। তা তুমি জিন্স পরা শুরু করলে কবে থেকে??(মেহরাব)
এই যাহ ধরা পড়ে গেলাম নাকি,,??(ব্যালকণি থেকে মাহি আর মেঘলা বলল)
আরে না বুঝতে পারিনি এখনো আগে দাখোই না কি হয় (মাহি)
তা বেশ জিন্স পরা খুবি ভালো তবে বাসর ঘরে এটা না পরলেও পারতে এতো কিছু খুলতে তো সময় লাগবে তাই না?? তাহলে চলো শুরু করি যতই হোক বাসর রাত বলে কথা এভাবে বসে বসে সময় নষ্ট করলে তো হবে না তাইনা??(এই বলে যেই মেহরাব মেঘকে ধরবে তখনি মেঘ খপ করে বিছানা থেকে এক লাফে নেমে বলল)
ভাই আমি জানি তুই প্রথমেই বুঝতে পেরে গেছিস বিশ্বাস কর এখানে আমার কোনো দোষ নেই(মেঘ)
কি হলো সোনা আসো বাসর করবে নাহ?? (মেহরাব)
ওরে ভাই মাফ কইরা দে,, সব দোষ তোর বউয়ের আমার কোনো দোষ নেই আমি এক মাসুম বাচ্চা আমি শুধু মাএ পরিস্থিতির শিকার..
হুম তা কোথায় নাটের গুরু আমি জানি ওনারা এই রুমেই কোথাও আছে।
এই যাহ ধরা পড়ে গেলাম,, মেঘ ভাইয়া আপনার জন্য ধরা পড়ে গেলাম জিন্স কেনো পড়তে গেলেন?(ব্যালকণি থেকে বলল মাহি)
তো পরবো না??? বলে কি এই মেয়ে।
আমি তিন গুনবো তার আগে যদি সব গুলা রুম থেকে বার না হস তাহলে তোদের এরদিন আমার যেই কয়দিন লাগে। (মেহরাব)
এখনো দাড়িয়ে আছো কেনো ওদের বাসর করা দেখবে নাকি পালাও শীঘ্রই (এই বলে মেঘ মেঘলার হাত ধরে দৌড়ে বেরিয়ে গেলো,, আর ওরা যাওয়ার সাথে সাথে মেহরাব রুমের সিটকিনি আটকে দিলো)
তো এই প্ল্যানের মাস্টার মাইন্ড তাহলে আপনি??(মাহির দিকে আগাতে আগাতে বলল মেহরাব)
দ,,দ,দেখুন আমি কিছু করিনি এখানে আমার কোনো দোষ নেই (পিছাতে পিছাতে বলল মাহি)
ওহ তাই?? তাহলে ওমন ভয় পাচ্ছিস কেনো?? আর পিচ্ছাছিস কেনো?? পিছনে তো আর যাওয়ার জায়গা নেই (মাহির কাছে এসে বলল মেহরাব)
আপনি আগাচ্ছেন তাই,,, দেখুন (মাহি আরো কিছু বলার আগেই মেহরাব ওকে ফট করে কোলে তুলে নিলো,, আর ওদিকে মাহির তো কোনো হুসই নেই সে নিজেকে নির্দোষ প্রামান করতে ব্যাস্ত মেহরাব ওকে কোলে নিয়ে রুমের দিকে যাচ্ছে আর মাহি কোলে থেকেই বলে যাচ্ছে,, আমি কিছু করিনি সব দোষ ওদের আমার কোনো দোষ নেই,,, মেহরাব ওকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে ওর উপর আধোশোয়া হয়ে মাহির ঠোঁটের উপর আঙুল দিয়ে বলল)
চুপ কোনো কথা নয় আমি কি কিছু বলতে বলছি, তা তুই যে এতো ভালো নাচতে পারিস সেটা তো জানতাম না,, তাও আবার নিজের বিয়েতেই, খুব খুশি লাগছিলো বুঝি???
মাহি পারছেনা ওখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে,, ইস কি লজ্জা তখন ঝুলে ঝুলে নাচলেও এখন ভীষণ লজ্জা করছে, তার উপর আবার না পারছে এপাশ হতে না পারছে ওপাশ হতে আর না পারছে নিজের দুহাত দিয়ে মুখটা ঢাকতে,, কেননা মেহরাব মাহির হাত দুটো বিছানার সাথে চেপে ধরে ওর উপর আধশোয়া হয়ে আছে।
মেহরাব দেখলো মাহি লজ্জায় গাল দুটো লাল হয়ে গেছে, তাই টুপ করে মাহির কপালে দু চোখের পাতায় আর গালে কিস করে দিলো আর মাহি চোখ বুজে মেহরাব এর স্পর্শ উপোভোগ করছে,, মেহরাব আস্তে আস্তে মাহির কানের কাছে গিয়ে ওখানে চুমো দিয়ে বলল।
ভালোবাসি বউ,, আজকে শুধু ভালোবাসি বলবো না সাথে ভালোবাসতেও চাই তা আমি কি পাবো সেই অনুমতি?(ফিসফিস করে মাহির কানে বলল মেহরাব)
মাহি কিছু বললো না শুধু মেহেরাব এর কাছ থেকে নিজের হাত দুটো ছাড়িয়ে ওর আস্তে করে মেহরাব এর পিট আঁকরে ধরলো।আর মেহরাব ও তার জবাব পেয়ে গেলো।
আর মাহিকে নিজের করে নিলো,, ওর ভালোবাসার রঙে রঙ্গিন করতে ব্যাস্ত হয়ে গেলো,, মাহিকে নিয়ে পাড়ি দিলো ভালোবাসার এক নতুন রাজ্যে,, অবশেষে দুজন প্রেমিক প্রেমিকার অপেক্ষার অবসান হলো।
,,,,,সকালে,,,,
সূর্যের আলো জানালার পর্দা ভেদ করে রুমে এসে পরতেই মেহরাব এর ঘুম ভেঙে গেলো,, আড়মোড়া ভেঙে চোখ খুলতেই দেখলো ওর অবুঝ পরী টা ওর বুকের সাথে লেপ্টে শুয়ে আছে,,, গায়ের থেকে চাদরটা সরে গিয়ে মাহির সাদা পিটটা দেখা যাচ্ছে,, মেহরাব মুচকি হেসে চাদরটা গলা পযন্ত টেনে মাহির কপালে একটা চুমো দিয়ে অস্পষ্ট সরে বলল।
ভালোবাসি বউ,
(এই বলে মাহিকে দেখতে লাগল, তারপর দেখতে দেখতে কখন যে ঘুমায় গেলো নিজেই জানে না,, প্রায় অনেকক্ষণ পর মাহির ঘুম ভেঙে গেলো চোখ খুলে নিজেকে মেহরাব এর বুকে পেলো,, মেহরাব এর দিকে তাকিয়ে দেখলো যে মেহরাব হা করে ঘুমাচ্ছে,, মাহি (গল্পের লেখিকা;সুমাইয়া_সুলতানা_সুমী) মুচকি হেসে হাত দিয়ে মেহরাব এর হা করা মুখটা বন্ধ করে দিলো তারপর চাদরটা বুকে নিয়েই আশে পাশে হাতরে নিজের কাপড় খুজতে লাগলো, কিন্তু কোথাও পেলো না তাই বাধ্য হয়েই মেহরাব এর শার্টটা পড়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।)
ওয়াশরুম থেকে মগে পানি নিয়ে ওয়াশরুমের দরজাটা হালকা খুলে মগের পানিটা বিছানায় শুয়ে থাকা মেহরাব এর দিকে ছুড়ে দিলো।
সকাল সকাল গায়ে ঠান্ডা পানি পেয়ে মেহরাব ধরফরিয়ে উঠে বসল। তারপর মাহি ওয়াশরুম থেকেই মেহরাব এর উদ্দেশ্য বলল।
গুড মরনিং বর (এই বলে খটাস করে ওয়াশরুমের দরজা আটকে দিলো)
মেহরাব তো হা করে বিছানার উপর বসে আছে গা প্রায় অর্ধেক ভিজে গেছে তারপর নিজে নিজেই বলল।
মাহি??? আমি তো ভুলেই গিছিলাম আমি একটা বাচ্চা কে বিয়ে করেছি যে শুধু হাতে পায়েই বড় হয়েছে বুদ্ধিতে নয়,, ওহ আল্লাহ বাঁচাও এটা বলেই আধভেজা চাদর টা গায়ে দিয়ে আবার ও শুয়ে পড়ল।
ইস ওনি কি খারাপ কি অবস্থা করছে আমার সারা গায়ে দাগ বসিয়ে দিয়েছে,, গায়ের দাগ গুলো না হয় কাপড় দিয়ে ঢাকলাম কিন্তু ঠোঁট কি করবো,, কেমন লাল আর ফুলে আছে,, আরে বেটা আমার ঠোঁট কি খাওয়ার জিনিস নাকি?? কামড়ে কি অবস্থা করছে বেটা খবিশ (ওয়াশরুমের আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখে বলল মাহি)
তারপর শাড়ি পড়ে রেডি হয়ে মাথায় ভালো করে ঘোমটা দিয়ে বেরিয়ে আসলো,, রুমে এসে দেখলো মেহরাব কমোড় পযন্ত চাদর নিয়ে খালি গায়ে উপর হয়ে ঘুমাচ্ছে।
আহা কি শান্তুি দাড়াও দেখাচ্ছি মজা এই বলে যেই মাহি মেহরাব এর দিকে যাবে তখনি বাইরে থেকে মেঘলা ডেকে উঠল।
থাক এনাকে পরে দেখা যাবে এই বলে মাহি নিজের ঠোঁট টা মুখের মধ্যে পুরে নিয়ে দরজা খুলে বাইরে চলে গেলো।
কিরে মুখটা ওমন করে রেখেছিস কেনো?? আর ঠোঁট গুলো ওমন মুখের ভিতর রেখেছিস কেনো??(ভ্রু কুঁচকে জিগাস করলো মেঘলা)
চলবে,,,,,,??