#এক্স_গার্লফ্রেন্ড_বেয়াইন
#পর্ব_১৩
#লেখক_মোঃ_আঃ_আজিজ
.
জান্নাত অনবরত কেঁদেই চলেছে। জান্নাত এর চোখের পানি তার গাল বেয়ে গড়িয়ে আজিজ মুখের এসে পড়ছে। জান্নাত এর চোখের পানি এক ফোটা আজিজ এর চোখের উপর পরতেই আজিজ চোখ টিপুন দিয়ে ওঠে সাথে হাত টাও হালকা নাড়িয়ে ওঠে। জান্নাত এর চোখ আজিজ এর চোখের দিকে পড়তেই জান্নাত এর মুখে হাসি ফুটে ওঠে,,,,,
জান্নাত– এই বর তুমি তোমার চোখ টা মাত্রই নাড়ালে তাই না। তার মানে তুমি আমার কথা শুনতে পাচ্ছো তাই না? কি হলো কথা বলছো না কেনো। আমি জানি তো তুমি আমার কান্না একদমই সয্য করতে পারো না। তাইতো চোখের ইশারা করে আমাকে কান্না করতে বাড়ুন করছো তাই না বর।
ডাক্তার ডাক্তার কোথায় আপনারা প্লিজ তারাতাড়ি আসুন ডাক্তার(জান্নাত এর চিল্লা চিল্লি তে সকলে কেবিনের মধ্যে প্রবেশ করে।)
ডাক্তার– কি হয়েছে এমন উত্তেজিত হচ্ছেন কেনো?
জান্নাত– দেখুন না আমার বর টা একবার চোখ নাড়ানোর পরে আর নাড়াচ্ছে না।
ডাক্তার– আপনি প্লিজ উত্তেজিত হবেন না আমাদের দেখতে দিন।
ডাক্তার আজিজ কে দেখার পর,,,,,,,,,,,
ডাক্তার– how is possible?😱
বুলবুল– মানে তুই কি বলতে চাচ্ছিস ক্লিয়ার করে বলতো দোস্ত।
ডাক্তার– that’s miracle dost. আজিজ এর nerve ধীরে ধীরে সজাগ হয়ে উঠছে দোস্ত। আমরা এর থেকে এখন ভালো কিছু আাশা করতে পাড়ি। মিসেস জান্নাত আপনি যদি চান তাহেলে আজকেই আমরা একটা রিক্স নিতে চাই। ইনশাআল্লাহ এতে কাজে দিতে পারে।
জান্নাত এর মুখের ভাষা যেনো হারিয়ে ফেলেছে। কি বলবে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না। ধীরে ধীরে জান্নাত ফ্লোরে বসে পরে। অতি সুখে আর অতি দুঃখে এই দুই সময়ে যেনো মুখের ভাষা হারিয়ে যায়। জান্নাত এরও তাই হয়েছে। তবে এটা দুঃখের জন্য না এটা অতি সুখের জন্য।
!
!
!
!
**২ ঘন্টা পড়ে**
আইসিইউ এর দরজার সামনে ফ্লোরে বসে মুচকি মুচকি হাসছে জান্নাত। তার আজিজ এর সাথে যে দিন প্রথম দেখা হয় সেই দিনের কথা মনে হতেই জান্নাত এর হাসি পাচ্ছে বার বার।
সে দিন ছিলো ২১শে জুলাই। নাবিলার (জান্নাত এর বেস্ট ফ্রেন্ড, বুলবুল এর বোন) জন্মদিন।
একটা ছেলে হ্যবলার মতো জান্নাত এর দিকে তাকিয়ে ছিলো। জান্নাত এর দিকে ওভাবে তাকিয়ে থাকা দেখতেই জান্নাত ছেলেটির সামনে গিয়ে,,,,,,
জান্নাত– এই ছেলে সমস্যা কি আপনার?
আজিজ– জ্বি আমাকে বলছেন?
জান্নাত– আপনাকে নয়তো এখানে আর কে আছে শুনি? আমার দিকে অমন হেবলার মতো তাকিয়ে আছেন কেনো?
আজিজ–(চার পাশে তাকিয়ে) আ,,,,, আম,,, আমি কখ কখন আ আপনার দিকে তাক তাকালাম? (ভয়ে ভয়ে সাথে তোতলিয়ে)
আজিজ এর এমন চেহারা দেখে জান্নাত এর হাসি পেয়ে গেলো। একটা কিউট ছেলে ভয় পেয়ে গেলে যে তাকে আরো কতটা কিউট লাগে তা জান্নাত আজিজ কে না দেখলে যেনো বুঝতেই পারতো না। তারপরও জান্নাত হাসি লুকিয়ে মুখে আবারো রাগী ভাব এনে আজিজ কে বললো,,,,,,
জান্নাত– দেখুন একদম মিথ্যা বলার শ্রেষ্ঠা করবেন না। এত সময় ধরে আমার দিকে তাকিয়ে থেকে এখন বলছেন তাকাইনি। আপনি ছেলেটাতো খুবই ফাজিল।
আজিজ– সচ স সরি।
জান্নাত– ওহ এখন ধরা পরে গেছেন জন্যে সরি বলা হচ্ছে না। মেয়েদের দিকে হেবলার মতো তাকিয়ে থাকতে লজ্জা করে না।
আজিজ– আমি আপনার দিকে মোটেও ওভাবে তাকিয়ে ছিলাম না। আর তারপরেও সরি তো বললাম।
জান্নাত– তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন আমি মিথ্যা বলছি। আর সরি বললেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায় নাকি
আজিজ– দেখুন মিস আপনি কিন্তু এমনি এমনি ঝগড়া করছেন আমার সাথে।
জান্নাত– কি বললেন আপনি, আমি ঝগরুটে? আমি আপনার সাথে ঝগড়া করছি?
আজিজ– আমি আপনাকে কখন ঝগড়ুটে বললাম।
জান্নাত– মাত্রই বললেন আমি নাকি আপনার সাথে ঝগড়া করছি? এখন আবার বলছেন কখন বললাম।
আজিজ– ধুর আপনার সাথে কথা বলা টাই ভুল(বলেই রাগতে রাগতে সেখান থেকে অন্য জায়গায় চলে যায় আজিজ)
আর এদিকে জান্নাত হাসতে হাসতে যেনো শেষ।
জান্নাত– কি ভীতু ছেলেরে বাবা।একটুতেই কেমন ভয় পেয়ে গেলো। কিন্তু সত্যি কথা বলতে ছেলেটা ভয় পেলে অনেক কিউট লাগে। একদম যেনো কিউরেটর ডিব্বা। এরকম একটা কিউট ছেলেকেই তো খুজছিলাম এত দিন। এমন কিউট একটা একটা বিএফ যদি আমার থাকতো,,,,,, উফ ভাবতেই কেমন কেমন লাগে। এখন যাই ছেলেটা কে নাবিলার কাছে থেকে শুনে আসি।।(মনে মনে)
আর এদিকে আজিজ– কি ঝগড়ুটে মেয়েরে বাবা। একটু না-ই তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম তাই বলে কি এভাবে পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করবে নাকি? আমার জন্য সব মেয়েরা পাগল আর এর দিকে তাকাতেই বাপরে বাপ। ভাগ্য ভালো এমন কোনো গার্লফ্রেন্ড আমার নেই থাকলে তো জীবন টা তেনা তেনা বানিয়ে ছাড়তো। তবে গার্লফ্রেন্ড হলেও মন্দ হতো না cause she is very cute girl.
জান্নাত–(নাবিলার কাছে এসে) দোস্ত এদিকে একটু শোন তো।
নাবিলা– হুম বল
জান্নাত– দোস্ত ওই ছেলেটা কেরে?
নাবিলা– কোন ছেলেটা কে?
জান্নাত– ওই যে বুলবুল ভাইয়ার সাথে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা সেই ছেলেটা। (হাত দিয়ে দেখিয়ে
নাবিলা– ওহ,, ওইটাতো আজিজ ভাইয়া। ভাইয়ার বেস্ট ফ্রেন্ড। কেনো রে প্রেমে টেমে পড়ে গেলি নাকি আজিজ ভাইয়ার।
জান্নাত– ধুর কি যে বলিস না। ছেলেটা আমার দিকে কেমন ড্যব ড্যব করে তাকিয়ে ছিলো তাই বললাম।
নাবিলা–(অবাক হয়ে) কিহ আজিজ ভাইয়া তাকিয়ে ছিলো তোর দিকে আমার বিশ্বাস হয় না। ভাইয়া কে দেখে পছন্দ হয়ে গেছে আর এখন আমার কাছে এসে ঢব মারছিস তাই না।
জান্নাত– তুই কি বলতে চাচ্ছিস আমি দেখতে সুন্দরী না। আমার দিকে ছেলেরা তাকায় না তাইতো।
নাবিলা– আমি কখন তোরে বললাম তুই সুন্দরী না। আমিতো বলছি আজিজ ভাইয়া কোনো মেয়ের দিকে ফিরেও তাকায় না। কিন্তু ভাইয়ার জন্য তো তাদের ভার্সিটির মেয়েরা আজিজ বলতে পাগল।
জান্নাত– ওহ তাই বল।
নাবিলা– কিহ প্রেমে পড়ে গেলি নাকি রে দোস্ত?
জান্নাত– তাতো একটু আকটু পড়ে গেছিরে দোস্ত। হেল্প কর না দোস্ত।
নাবিলা– ওকে ডান বাট ট্রিট কিন্তু দিতে হবে দোস্ত।
জান্নাত– ওকে ট্রিট দিবো যা। কিন্তু এমন কিছু করবি যাতে তোর আজিজ ভাইয়া নিজে এসে আমাকে প্রপোজ করে। আমি কিন্তু প্রপোজ করতে পারবো না।
নাবিলা– ওকে দোস্ত তাই হবে। তুই শুধু দেখ কি করি।
তারপর নাবিলা তার ভই বুলবুল কে সব কিছু বুঝিয়ে বলে। বুলবুল প্রথমে রাজি না হতে চাইলেও পড়ে জান্নাত এর রিকুয়েষ্টে আর বোনের মুখের দিকে তাকিয়ে রাজি হয়ে যায়। তারপর বুলবুল আজিজ কে কি যেনো বলে সব ম্যনেজ করে নেয়। কিন্তু তা আর জান্নাত ও নাবিলা কে কিছু বলে না। আর সেই দিনেই আজিজ জান্নাতকে প্রপোজ করে। কি রোমান্টিক ভাবেই না প্রপোজ করেছিলো সে দিন আজিজ জান্নাত কে।
— জান্নাত এই জান্নাত! এত কি ভাবছিস বোন হাসছিস কেনো (আপুর ডাকে জান্নাত এর ভাবনার মাঝে ছেদ ঘটে)
জান্নাত– আরে আপু তুমি কখন এলে? আজিজ এর অপারেশন কি হয়ে গেছে? (চমকে উঠে)
আপু– নাহ এখনো হয় নাই রে বোন,, অপারেশন চলছেই। তবে আল্লাহর উপর ভরসা রাখ এইবার তিনি আমাদের ওপর মুখ তুলে তাকাবেন রে বোন ইনশাআল্লাহ।
জান্নাত– হুম আপু।
কিছু সময় পড়ে ডাক্তার ডাক্তার আইসিইউ থেকে বেরিয়ে আসলেন
ডাক্তার কে দেখে সবাই তার সামনে এসে দাঁড়ালেন।
আম্মু– বাবা আমার ছেলেটা ঠিক হয়ে গেছে তাই না?
বুলবুল– দোস্ত,,,,,,,,, আজিজ?
জান্নাত– স্যার আমার বর? (আবেগি কন্ঠে)
ডাক্তার–,,,,,,,,,,,,?
চলবে,,,,,,,,,,,,,,?
বিঃদ্রঃ ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।