#হঠাৎ_তুমি_এলে
#লেখিকা-শারমিন আঁচল নিপা
#পর্ব-১৮
– এটা ঠিক যে তুর্জের আগে তিনটা বিয়ে হয়েছে আর প্রতিবারেই গর্ভবতীকালীন সময়ে তুর্জের আগের স্ত্রীদের মৃত্যু হয়েছে।কিন্তু সবাই বিষয়টা অভিশপ্ত বললেও আমার কাছে মোটেও অভিশপ্ত মনে হচ্ছে না।এর পিছনে কোন না কোন রহস্য তো আছেই।আর তুর্জ সবসময় অসহায় মেয়েদের ধরে এনেই বা কেন বিয়ে করছে।তিনটা বিয়ের বিষয় গোপন করেছে আর কাউকে বুঝতেও দেয় নি।তারা বিয়ের ব্যপারটা এমন ভাবে এগিয়েছে যে খুঁজ খবর নেওয়ার সময় দেন নি।তবে এটা খুঁজ নিয়ে জানতে পারি প্রথম স্ত্রী এর মৃত্যুর পর হুট করে তুর্জদের আর্থিক অবস্থা অনেক ভালো হয়ে যায়।এটা কি করে সম্ভব?তুর্জ তো কোন ব্যবস্যা করে না।চাকুরির টাকায় এত বড়লোক একবারে হওয়া অনেক কঠিন ব্যপার।তার উপর প্রথম বউ এর আর্থিক অবস্থা এত ভালো ছিল না।আমার কাছে ব্যপারটা খুব সহজ দেখা গেলেও বেশ ঘাপলা লাগছে।এর পিছনে অবশ্যই কোন কারণ আছে।
– কি কারণ থাকতে পারে বল?
– এখন তো কিছু বলতে পারছি না।তবে ধীরে ধীরে জেনে যাব।তোকে শুধু আমার কথামত কাজ করতে হবে।
– সব করতে রাজি।কি করতে হবে বল।
– তুর্জ কোথায় কি রাখে সব খুঁজ নিবি।আর বাড়ির প্রতিটা লকারের চাবি তুই বুদ্ধি করে এ সবানে ছাপ দিয়ে নিবি।সাবধানে নিবি যাতে কেউ টের না পাই।আমি বাইরে থেকে চাবি বানিয়ে নিব।তারপর সুযোগ মত সব কাজ করব।পারবি না?
– হ্যাঁ পারব।এ আর কষ্ট কি।
এর মধ্যে মা দরজা নক করল আমি দরজা খুলে দিলাম ।তোরাকে মা অন্য রুম দেখিয়ে দিয়ে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য বলল। তোরাও ঐ রুমে চলে গেল।রাতে তুর্জ আসার পর তুর্জ, আমি, তোরা, আম্মু, নানীমা মিলে খেতে বসলাম।মা সবার সামনে বলল-
– নিরা তোমার তো দুই মাস চলতেছে মনে হয়।ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার। কালকে প্রস্তুত থেক।তুর্জ বিকেল দিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে কারণ ঐ ডাক্তার সন্ধ্যায় বসে।
আমি মাথা নেড়ে বললাম-
— আচ্ছা মা।
রাতে ঘুমাতে আসলাম।তুর্জ ঘুমিয়ে পড়ল।আমিও ঘুমানোর চেষ্টা করতে নিলাম।হঠাৎ মনে হল কোন একটা আওয়াজ আমার কানে আসল।সরাসরি জানালা দিয়ে একটা আলো আসল।আর আমি তাকিয়ে একটা বিভৎস বাচ্চার মুখ দেখে চিল্লানি দিয়ে উঠলাম।তোরা আমার রুমে দৌঁড়ে আসল।আম্মু ও আসল।তুর্জ ঘুম থেকে উঠল।সবাই বলতে লাগল কি হয়েছে?আমি ভয়ে ভয়ে বললাম-
– জানালা দিয়ে কি জানি দেখলাম।
আম্মু বলল-
– ও কিছু না।ঘুমিয়ে পড়ো।হয়ত দুঃস্বপ্ন দেখেছ।
তোরাও একটু শাত্ত্বণা দিয়ে চলে গেল।তারপর তুর্জকে ঝাপটে ধরে কোনরকমে রাতটা পার করলাম।
সকালে তোরা আমার কাছে এসে বলল-
– রাতে কি সত্যিই এমন কিছু দেখেছিলি নাকি দুঃস্বপ্ন?
– সত্যিই দেখেছিরে।
তখন তোরা একটু হাঁপাতে হাঁপাতে বলল-
– আমার সাথেও এমন ঘটেছে তবে আমি ঐ চেহারায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে দিয়েছিলাম।তারপর মনে হল কেউ একজন মাথায় হালকা আঘাত করল।কিছু একটার গন্ধ পেলাম আর তীব্র ঘুম হল আমার।সত্যিই কি এ বাড়ি অভিশপ্ত কি না বুঝতেছি না।
আমি তোরাকে চেঁপে ধরে বললাম-
–ল তাহলে কি ঐ মহিলার কথা ঠিক?
– জানি না রে আমি মঙ্গলবার চলে যাব।বিষয়টা নিয়ে আরও ভাববো।তুই একটু সাবধানে থাকিস।
– নাহ তোরা যাস না তুই।তুই গেলে আরও অসহায় লাগবে।
– আরে বোকা মেয়ে আমি এক মাস পর আবার আসব।এর মধ্যে ফোনে যোগাযোগ হবে।
অপরদিকে সন্ধ্যায় তুর্জ আমাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেল।ডাক্তার সব চেক করে বলল সবকিছু ঠিক আছে।এক মাস পর যেন আবার যাই।ডাক্তার দেখানো শেষে তুর্জকে নিয়ে বাসায় আসলাম। অপরদিকে তোরা মোট পাঁচদিন থেকে চলে গেল।তোরা যাওয়ার পর অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় গুলো আরও বেশি ঘটতে লাগল।ঐ চেহারাটা বারবার ভেসে আসত।কেন এমন হত বুঝতাম না।মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলছিলাম আমি।আমার কাছে এবার বিশ্বাস হতে লাগল এটা একটা অভিশপ্ত বাড়ি।না হয় এমন কাহিনী কেন ঘটবে?
একদিন রুমে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম।খেয়াল করলাম সেই বিভৎস চেহারাটা আমার উপরে এসে পড়ল।আমি ভয়ে সেটা ঢিল মেরে চিল্লাতে লাগলাম।ঢিল মারার সাথে সাথে ঐটা থেকে রক্ত বের হতে লাগল।আমি আম্মুকে ডাক দিলাম আম্মু এসে বলল-
– কি হয়েছে এমন করছো যে?
আমি পুতুলটাকে ঈশারা করে বললাম
– এই যে দেখুন আম্মু পুতুল থেকে রক্ত বের হচ্ছে।
আম্মু আমার হাতের ঈশারা বরাবর তাকিয়ে বলল
– কোথায় বউ মা আমি তো কিছু দেখছি না।
আম্মুকে বারবার দেখানোর চেষ্টা করলাম আম্মু একই কথা বলল।এক পর্যায়ে আম্মু আমাকে নিয়ে নানীমার ঘরে গেল।আর নানীমার সাথে শুয়ে থাকতে বলল।আমি নানীমার সাথে শুয়ে রইলাম কিছুক্ষণ ।
খানিকক্ষণ পর সাহস করে আমার রুমে গিয়ে অবাক হলাম কারণ কোন পুতুলেই সেখানে ছিল না রক্তও না।তোরাকে কল দিয়ে সবটা বলার পর তোরা বলল-
– চিন্তা করিস না আমি কিছুদিনের মধ্যে আবার আসব।তুই সাবধানে থাক একটু৷ ঐ বাড়িতে কিছু তো একটা রহস্য আছে।
এক মাস কেটে যাওয়ার পর তোরা আবার আসলো।তোরা আসার পর অদ্ভুত কাহিনীগুলো ঘটা একদম বন্ধ হয়ে গেল।তোরা এসেছে দুইদিন হলো এর মধ্যে কোন অদ্ভুত ঘটনা ঘটল না। এর কারণটা মিলাতে পারছিলাম না।তোরাকে বলার পর তোরাও কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারল না।
তোরার মন মানছিল না যে এটা অভিশপ্ত বাড়ি।তবে আমার সাথে যা ঘটেছে তার জন্য তোরার একটু বিশ্বাস হলেও একদিনের একটা ঘটনায় সে বিশ্বাসটা ভেঙ্গে যায়।কারণ তোরা একদিন আম্মুর রুমে গিয়ে আম্মুর সাথে গল্প করতেছিল।আম্মুর সাথে কথা বলতে বলতে হঠাৎ তোরার ফোনটা হাত থেকে নীচে পড়ে যায়।তোরা ফোনটা তুলে আম্মুর রুম থেকে কথা শেষ করে বের হয়ে যায়।কিছুক্ষণ পর আম্মু বাজার করতে বের হলে তোরা আমাকে নিয়ে আম্মুর রুমে গিয়ে খাটের নীচে থেকে একটা পুতুল বের করে বলল-
– এ বিভৎস পুতুল তোর শ্বাশুড়ির খাটের তলায় কেন?
পুতুল টা দেখে আমার একদম চিনতে ভুল হয় নি।এ পুতুলটাকেই তো আমি দেখতাম বারবার।তোরাকে বললাম।
– এটাই তো সেই পুতুলটা।
তোরা আমার কথা শুনে পুতুলটা ভালো করে দেখে বলল-
– এই দেখ এ পুতুলটাকে আমি ছুরি দিয়ে আঘাত করেছিলাম সে দাগটা এখানে আছে।তাহলে ঐদিন আমিও এ পুতুলটাই দেখেছিলাম।এটা কোন ভৌতিক কাহিনী না তোকে ভয় দেখানো হচ্ছে। এর পিছনে বড় কোন রহস্য রয়েছে।তুই এখন স্বাভাবিক ভাবে থাক আমি বিষয়টা দেখছি।
সেদিনের পর থেকে আমার ও একটু সন্দেহ আসলো মনে।আমিও বুঝতে পারলছিলাম না আমাকে ভয় দেখিয়ে আম্মুর কি লাভ?সবকিছু যেন মাথার উপর দিয়ে যেতে লাগল।এর মধ্যে তোরা আমাকে ইশারা দিয়ে বলল-
– তুই নানীমার সাথে কথা বল আমি একটু ঐ কর্ণারের রুমে যাই ঐটা স্টোর রুম ঐখানে কিছু তো অবশ্যই পাব।
আমি তোরার কথা শুনে নানীমার রুমে গিয়ে নানীমাকে বিভিন্ন কথায় ব্যস্ত রাখলাম।আধা ঘন্টা পর তোরাও নানীমার রুমে আসলো।নানীমার রুমে এসে নানীমাকে বলল-
– আরে নানীমা এবার তো নাতিন বউকে ছাড়ুন।ও একটু বিশ্রাম নিক।আন্টিও এখন আসলো না
নানীমা হাসতে হাসতে বলল
– হ্যাঁ নিয়ে যাও তোমার বান্ধবীকে।আর তোমার আন্টির আসতে একটু দেড়ি হবে।নিরার ডাক্তারের সিরিয়াল দিয়ে আসবে তো তাই।
– আচ্ছা নানীমা গেলাম।
বলেই তোরা আর আমি নানীমার রুম থেকে বের হলাম।রুম থেকে বের হওয়ার পর আমি কিছু বলতে নিলে তোরা হাত চেপে ইশারা দিল রুমে গিয়ে সব কথা হবে।আমিও আর কথা বাড়ালাম না।সরাসরি রুমে চলে আসলাম।রুমে আসার পর তোরা দরজা লক করে আমাকে বলল-
– এই দেখ দুইটা গর্ভপাতের কাগজ পেয়েছি।আর দুইটাই তুর্জের আগের স্ত্রীদের।
তার মানে তুর্জের বউ ছিল সেটা ভালোভাবে নিশ্চিত হলাম।ভিতরটা কষ্টে কাপঁতেছিল।আরও অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত জিনিস শুনতে হবে বুঝতেই পারছিলাম।কারণ তোরার অভ্যাস আছে এরকম কাহিনী ঘেটে বের করার।আমার মুখ ভার দেখে তোরা বলল-
– তুই এভাবে মন খারাপ করে থাকলে কিন্তু কিছুই বলব না।
মুখে জোর করে হাসি এনে তোরাকে বললাম
– আরে মন খারাপ করি নি বল।
তোরা চমার হাতটা ধরে হালকা ভরসা দিল। তারপর বলল
– গর্ভপাতের কাগজটা দেখে মনে হচ্ছে বাচ্চার পাঁচ মাসের সময় লিঙ্গ পরীক্ষা করানো হয়েছে।তবে এখানে বাচ্চার লিঙ্গ কি ছিল সেটা বুঝতে পারছি না।কারণ দুইটাতে নাইন লিখা।এদিকে আমার যাওয়ার সময়ও হয়ে গিয়েছে।পরপর দুইবার আসলাম তোর এখানে।বারবার আসলেও ব্যাপারটা খারাপ দেখায়।আর তুই যে সাবানে চাবির ছাপ দিয়েছিস আগেরবার তা দিয়ে চাবিগুলো বানিয়ে এনেছি।তুই এটা রেখে দে কখনও কাজে লাগলে আমি বলব।আপাতত কালকে চলে যাব।
আমি তোরাকে জড়িয়ে ধরে বললাম-
– এখনি যাস না।খুব গোলমেলে আর ভয় লাগছে ।নিজেকে স্থির রাখতে পারব না।কি হচ্ছে কিছুই বুঝছি না।
তোরা অসহায় গলায় জাবাব দিল-
– দেখ নিরা তোর দুলাভাই ডিটেকটিভ এর কাজ পছন্দ করে না বলে ছেড়ে দিয়েছিলাম।এখন যদি শুনে আমি এসব করছি রাগ করে বসবে।তার উপর আমার যাওয়ার তারিখ চলে এসেছে।আমি কাগজ গুলো সাথে নিয়ে যাব।ফোনে তো আমাদের কথা হবেই। তোকে মনে সাহস রাখতে হবে।আমার ফ্লাইট আর পনেরদিন পর।বিদেশ গেলেও তোর সাথে মেসেন্জারে যোগাযোগ হবে।
আমি তোরাকে জড়িয়ে ধরে বললাম-
– আমি সব করব।তবে তুই আমার পাশে থাকিস।
তোরাও আমাকে শক্ত করে ধরে বলল
– সেটা নিয়ে ভাবিস না।আমি তোর পাশেই আছি আর সবসময় থাকব।
এর মধ্যে আম্মু বাজার থেকে এসে আমাকে বলল-
– নিরা সন্ধ্যায় তৈরী থেক।একমাস তো হয়ে গেল।ডাক্তারের সিরিয়াল দিয়ে এসেছি।তুর্জ নিয়ে যাবে সন্ধ্যায়।
আমি বাধ্য মেয়ের মত জবাব দিলাম-
– আচ্ছা আম্মু।
সন্ধ্যায় তুর্জ ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল।ডাক্তার সবকিছু দেখে আগেরবারের মতই বলল সব ঠিক আছে।বসায় চলে আসার জন্য রওনা দিলাম।মাঝপথে আইসক্রিম দেখে চেয়ে রইলাম।তুর্জ আমার চাহুনি দেখে বলল
– আইসক্রিম খেতে মন চাচ্ছে বুঝি।
আমি আমতা আমতা করে বললাম
– নাহ মানে?
তুর্জ গাড়ি থেকে নেমে বলল-
– তুমি বসো আমি আইসক্রিম কিনে নিয়ে আসছি।
এ বলে তুর্জ দুইটা কোণ আইসক্রিম কিনে এনে বলল-
– এই নাও এবার মন ভরে খাও।
আমি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম
– দুইটা আনার কি দরকার ছিল?
তুর্জ হাসতে হাসতে ভালোবাসার সুরে বলল
– আমি জানি তোমার খেতে ইচ্ছা করছে। তোমার চোখ দেখেই মনে হচ্ছে।নাও তো ধরো।এবার আয়েশ করে খাও।না খেতে পারলে তো আমি আছিই বোকা মেয়ে।
আমি তুর্জের হাত থেকে আইসক্রিম নিতে নিতে ভাবলাম তুর্জের মত স্বামী পাওয়া ভাগ্যের ব্যপার।বলার আগেই সব বুঝে ফেলে।তুর্জ আমাকে ঠকাতে পারে বিশ্বাসেই হচ্ছে না।এসব ভেবে আনমনা হয়ে গেলাম।তুর্জ আমাকে আনমনা হতে দেখে একটু ধাক্কা দিয়ে বলল-
– কি হয়েছে খাচ্ছ না যে?
আমি ভাবনার জগৎ থেকে বের হয়ে আইসক্রিম খেতে খেতে বাসায় আসলাম। বাসায় আসার পর তোরা ডাক্তারের ঠিকানাটা নিয়ে নিল।
পরদিন তোরা চলে যাওয়ার পর মনটা বেশ বিষন্ন হয়ে গেল।সেই সাথে আরও বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় ঘটতে লাগল।মনে মনে ভীষণ ভেঙ্গে পড়ছিলাম।তবে তোরা কল দিয়ে সাহস জুগাত।সবসময় একটা অশান্তিতে ভুগতাম।একদিন বারান্দায় গিয়ে পুনরায় ঐ মহিলাকে পেলাম। মহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম –
– এর আগে কি তুর্জের কোন স্ত্রী এর সাথে আপনার কথা হয়েছে?প্রেগন্যান্ট এর সময় কি কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা বলেছে।
মহিলা একটু আস্তে করে বলল-
– প্রথম দুই বউ এর সাথে কথা হয় নি।তারা ঠিক করে বরান্দায় আসত না।কথা বলতে চাইলেও বলত না।তোমার আগে যে বউ ছিল সে বলেছিল এ বাড়িতে নাকি বিভিন্ন ভৌতিক বিষয় ঘটত।
মহিলার কথাটা শুনে মনে হল আমিই প্রথম না,তারমানে এর আগের বউদের সাথেও এমন ঘটেছে।আমি তোরাকে কল দিয়ে সব বলতাম।সে সময় তোরায় আমার ভরসা ছিল।কাউকে বিশ্বাস করতে পারতাম না।মা ফোন দিলেও তেমন কিছু বলতাম না কারণ চিন্তা করবে বেশি।
এসব দেখতে দেখতে কেটে গেল আরও দুটা মাস।একদিন তোরা কল দিয়ে যা বলল তা শুনে আমার হাঁত পা কাঁপতে লাগল।মনের ভিতরটা ভয়ে কুকরে যেতে লাগল।নিমিষেই বিশ্বাসের চাঁদরটা সরে গেল।মুখোশের আড়ালে থাকা মানুষ গুলোকে চিনা শুরু করলাম।মানুষ এত বড় প্রতরণা আর নাটক করতে পারে তা যেন ভাবতে পারছিলাম না।মনের গহীনে একটা বড় ধাক্কা লাগল।এখান থেকে কিভাবে বের হব সেটাও একটা বড় বিষয় ছিল।এমন একটা জালে ফেঁসে যাব কে জানত।এত বড় নোংরা খেলার গুটি হব সেটাই বা কে জানত?
চলবে?