মেঘবৃত্ত পর্ব-২৪+২৫

0
578

#মেঘবৃত্ত
#পর্ব_২৪
#আভা_ইসলাম_রাত্রি

গতকাল ঝুম বৃষ্টিতে ভেজার ফলস্বরূপ, আজ বৃত্তের সর্দি হয়েছে। কিছুটা জ্বর জ্বর ভাবও আছে। ফর্সা নাকটা লাল টকটকে। চোখ মুখ একদম শুকিয়ে গেছে। অসুস্থতার লক্ষণ সারা দেহ জুড়ে। মেঘা বৃত্তের এই অবস্থা দেখে হন্তদন্ত হয়ে উঠছে। ক্ষণে ক্ষণে বৃত্তের মাথা মুছে দিচ্ছে, ঔষুধ খাওয়াচ্ছে, গরম পানি এগিয়ে দিচ্ছে। সবমিলিয়ে, মেঘার ব্যস্থতার শেষ নেই। তটস্থ হয়ে ভাবছে, সামান্য বৃষ্টিতে ভিজে কি এক অবস্থা হয়ে গেছে ছেলেটার। মুখের দিকে তাকানো অব্দি যাচ্ছে না। বৃত্ত বরাবরই ছোঁয়াচে ধরনের। অসুখ বিসুখ লেগেই থাকে তার। এ আর নতুন কি?

বৃত্ত বিছানায় বসে হালকা গরম পানি খাচ্ছে। মেঘা পাশে বসে বৃত্তের মেডিসিন দেখছে। বৃত্ত একসময় বিরক্ত হলো। ঘনঘন গরম পানি খাওয়ার বিষয়টা তার মোটেও পছন্দ হচ্ছে না। উল্টো, রাগ বাড়ছে। নিজের অসুস্থতা নিয়ে বৃত্ত কখনোই সচেতন ছিলো না। এমনকি তুমুল জ্বর নিয়েই বৃত্ত ঘরে থাকতো না। সেই বন্ধু বান্ধবের আড্ডাই কাটাতো সারাটা দিন। বৃত্তের মায়ের এ নিয়ে আফসোসের শেষ ছিলো না। তবে, আজকের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন! সকাল থেকে মেঘার এসব অতি মাত্রায় সেবা তার বিরক্ত লাগছে। একবার প্লেট ভর্তি ফল এনে দেয়, আরেকবার দুধ তো আবার গরম পানি। এসব অত্যাচার সইতে সইতে বৃত্ত তিক্ত-বিরক্ত! বৃত্ত এবার ধাম করে গ্লাসটা টেবিলে রেখে দিলো। গ্লাস রাখার আওয়াজ শুনে মেঘা চোখ তুলে বৃত্তের দিকে তাকালো। বৃত্ত রাগ দেখিয়ে বললো,
— অনেক হয়েছে! আই অ্যাম ডান। আমি আর ওসব ছাইপাঁশ খেতে পারবো না। যা ইচ্ছে বলে নে। বাট, আই ও’ন্ট মিনস আই ও’ন্ট।

মেঘা কয়েক পল বৃত্তের দিকে তাকালো। বৃত্ত কথা বলতে বলতে দুবার হাঁচিও দিলো। নাকটা ফুলে গেছে এবার। তবুও, কি জেদ তার। যা বলবে, অপরপাশের মানুষটার ঠিক তাই তাই করতে হবে। এই যেনো বৃত্তের শাশ্বত নিয়ম! মেঘা মুচকি হাসলো। বললো,
— ঠিক আছে, খাস না। রেখে দে ওটা।
বৃত্ত যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচলো। মেঘা দুটো ঔষুধ এনে বৃত্তের সামনে ধরলো। এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিয়ে বললো,
— ঔষুধ খেতে তো আর সমস্যা নেই, তাইনা?
বৃত্ত কিছু বললো না। চুপচাপ ঔষুধ হাতে নিয়ে খেয়ে ফেললো।
মেঘা সবকিছু গুছিয়ে লাইট নিভিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো। যাওয়ার আগে বৃত্তকে বারবার করে বলে গেলো,
‘ ঔষুধটা খেলে ঘুম পাবে। তাই, কোনো ঝামেলা না করে, চুপচাপ ঘুমিয়ে পড়তে। ‘
______________________________
মেঘা শাশুড়ির সাথে রান্নার কাজে সাহায্য করছে। আজ বৃত্তের জন্যে সাতকরা দিয়ে মাছের ঝোল রান্না করা হচ্ছে। স্বাধহীন মুখে খেতে ভালো লাগবে তাই। মেঘা সেটাই শিখছে বৃত্তের মায়ের থেকে। রান্নার ফাঁকে ফাঁকে বৃত্তের মা বললেন,
— মেঘা, বৃত্ত ঔষুধ খেয়েছে তো?
মেঘা ছুরি দিয়ে পেঁয়াজ কাটতে কাটতে বললো,
— হ্যাঁ,মা। খাইয়ে দিয়েছি আমি। ঘুমাচ্ছে এখন।
— ওহ। আচ্ছা শোন, তাক থেকে লবণের কৌটাটা দাও তো। তরকারিতে লবণ কম হয়ে গেছে। আরেকটু দিতে হবে মনে হচ্ছে।

— মা, মা?
বৃত্তের গলা শুনে মেঘা চমকে তাকালো সামনে। বৃত্ত জ্যাকেট গায়ে দিতে দিতে রান্নাঘরের দিকেই এগিয়ে আসছে। এই হাঁটার তালে আরো তিনবার হাঁচিও দিয়েছে। মেঘা ভাবলো, এত অসুস্থতার মধ্যে কোথায় যাচ্ছে সে? বৃত্ত রান্নাঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে মেঘা আর মায়ের উদ্দেশ্যে বললো,
— আমি একটু বেরুচ্ছি। রাতুল অ্যাক্সিডেন্ট করেছে হসপিটাল তাকে দেখতে যাবো। ফিরতে লেইট হতে পারে।

বৃত্তের কথা শুনে তার মা তেঁতে উঠলেন। বললেন,
— খবরদার এক পা বাড়ির বাইরে বের করবি তো! ঘরে যা আর ঘুমা। এত পরোপকারী হতে হবে না তোর। যা, নিজের ঘরে যা।

বৃত্ত শুনলো না। বরং, মৃদু হেসে মায়ের কাছে আসলো। মাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললো,
— ইটস আর্জেন্ট। যেতেই হবে! প্লিজ বুঝার চেষ্টা করা করো। অ্যান্ড আই অ্যাম কমপ্লিটলি ফাইন, মা!
কথাটা বলতে বলতে বৃত্ত আরো দুবার হাঁচি দিলো। বৃত্তের মা এবার যেনো জ্বলে পুড়ে উঠলেন। নিজের থেকে বৃত্তকে ছাড়িয়ে নিয়ে রেগেমেগে বললেন,
— তোর ফাইনের গোষ্ঠী কিলাই আমি। আমার চোখ নেই? আমি দেখি না তুই কেমন ফাইন আছিস? ঘরে যা বলছি। নাহলে আজ তোর একদিন কি আমার একদিন। যা বলছি।

মায়ের এমন রণচন্ডি রূপ দেখে বৃত্ত চুপ হয়ে গেলো। আর কথা বলার জো রইলো না। মেঘা দূরে দাঁড়িয়ে থেকে মা ছেলের এমন অদ্ভুত কাণ্ড দেখতে লাগলো। যখন বৃত্তের মন খারাপ করা মুখটা সে দেখলো, তার বুকটা ছেৎ করে উঠলো। বৃত্তের মন খারাপ করা চেহারা দেখতে মেঘার একটুও ভালো লাগে না। মনে হয়, মেঘার সবকিছু নিঃশেষ হয়ে গেছে। মেঘা এগিয়ে গেলো শাশুড়ির দিকে। জড়তা নিয়ে বললো,
— এত করে যখন বলছে যেতে দিন না, মা। বন্ধু অসুস্থ, দেখতে না গেলে খারাপ লাগা স্বাভাবিক। যেতে দিন ওকে।

বৃত্ত এবার একটু লাই পেলো। মায়ের গালে চুমু দিয়ে অনুনয়ের সুরে বললো,
— বেশি দেরি করবো না, প্রমিজ। যাবো আর ঝটপট আসবো। যাই?

অবশেষে, বৃত্তের মা রাজি হলেন। বৃত্ত সদর দরজার দিকে এগিয়ে গেলো। মেঘা দরজা লাগাতে গেল বৃত্ত হাত দিয়ে দরজা আটকে নিলো। মেঘা অবাক হয়ে বললো,
— কি?
বৃত্ত মুচকি হেসে বললো,
— থ্যাংকস!
— কিসের জন্যে?
— মাকে রাজি করাতে হেল্প করার জন্যে।
— একবার করেছি তার মানে এই নয় যে বারবার করবো। দ্রুত ফিরে আসবি। নাহলে কিন্তু, খবর আছে তোর।
— সে পরে দেখা যাবে। ওকে, বাই। দেরি হচ্ছে।
— বাই।
বৃত্ত চলে গেলো। মেঘা দরজা লাগালো না। বরং, তাকিয়ে রইলো বৃত্তের যাওয়ার পানে। চোখ স্থির, নিশ্চল। মনে মনে ভাবলো, তোর মুখের এই হাসি দেখতে আমি সব করতে পারি বৃত্ত! সব মানে সব। তুই এভাবেই হাসিস আর আমি সে হাসিতে এভাবেই বারবার মরে যেতে চাই। মরে মরে, ক্ষয় হয়ে যেতে চাই।

#চলবে

#মেঘবৃত্ত
#পর্ব_২৫
#আভা_ইসলাম_রাত্রি

সেদিনের পর অবলীলায় পরপর পাঁচটি দিন কেটে গেছে। আর দশ দিন পরেই মেঘবৃত্তের লাস্ট সেমিস্টারের ফাইনাল এক্সাম শুরু হবে। তার রেশ ধরেই দুজনই পড়াশোনা নিয়ে মহাব্যস্ত। তবে, অন্যবারের মত মেঘা নোটের জন্যে বৃত্তকে একের পর এক কল দিয়ে জ্বালালো না। বরং, বৃত্তের কাছে থেকেই বৃত্তের কান দুটো জ্বালাপালা করে ফেললো। আর বৃত্ত বরাবরের মতোই চুপটি করে মেঘার এসব সহ্য করে নিলো।
রাত ঠিক দশটা। রাতের খাবার-দাবার শেষ করে বৃত্ত নিজের রুমে এসেছে। ঘরে এসেই পড়তে বসে গেছে সে। তবে, মেঘার সবকিছু গুছিয়ে আসতে আসতে বেশ সময় লেগে গেলো। অতঃপর, মেঘঘা ক্লান্ত-শ্রান্ত দেহ নিয়ে নিজ ঘরে এলো। ঘরে প্রবেশ করতেই পড়ার টেবিলে বৃত্তকে চোখে পড়লো। চোখে চশমা, টেবিলের উপর ছড়ানো-ছেটানো তিনখানা বই, হাতে কলম। সবমিলিয়ে বৃত্তকে দেখে মেঘা আরো একটুখানি তার প্রেমে পড়লো। এই মুহূর্তে বৃত্তকে কি সুন্দর লাগছে দেখতে, মেঘা বলে বুঝাতে পারবে না। শুধু অপলক চেয়ে রইলো তার একান্ত প্রেমিক পুরুষটার পানে!
ঘরে মেঘার উপস্থিতি লক্ষ্য করতেই বৃত্ত বইয়ে মুখ গুঁজে বললো,
— হাবলার মত দাঁড়িয়ে না থেকে পড়তে আয়। দশদিন পর এক্সাম! ভুলে খেয়ে ফেলেছিস, নাকি?

মেঘা হুট করেই অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। বৃত্তের দিকে ওমন করে তাকিয়ে ছিল ভেবেই আড়ষ্টতায় ছেয়ে যেতে লাগলো তার সর্বাঙ্গ! বৃত্তের দিকে চেয়ে বোকার মত চাওনি নিক্ষেপ করে বললো,
— দাড়া, ফ্রেশ হয়ে আসছি।
কালবিলম্ব না করে, মেঘা চটজলদি বাথরুমে চলে গেল।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছে মেঘা। চুল চিরুনি দিচ্ছে সে। আজকাল চুল আঁচড়ানোর ইচ্ছে বা সময়, দুটোই সে পায়না। তার ফলস্বরূপ, বেশ জট হয়েছে চুলে। সেই জট ভাঙতে বেশ জোর জবরদস্তি করতে হচ্ছে তাকে।

বৃত্ত পড়ছিল। পড়ার ফাঁকে চোখ গেলো মেঘার দিকে। অতঃপর, সহসা চোখ গেলো মেঘার উন্মুক্ত উদরের দিকে। চুল আঁচড়ানোর তালে পাতলা শাড়ীর আঁচল সরে দেখা যাচ্ছে মেঘার শ্যামা রঙের উদর। এই প্রথম মেঘার শরীরের কোনো অংশে দিকে চোখ গেল বৃত্তের। সঙ্গেসঙ্গে বৃত্তের গলা শুকিয়ে গেলো। তার পরপরই জন্মালো নিজের প্রতি ঘৃনা, ক্ষোভ। হুট করেই বৃত্তের মনে হলো, এভাবে মেঘার উন্মুক্ত উদরের প্রতি চেয়ে থাকা ঘোর পাপ! যতই সে তার স্ত্রী হোক, দিনশেষে তারা শুধুই দুজন বন্ধুর মতন। বৃত্ত চোখ সরালো। পুনরায় মুখ গুজলো বইয়ের ভাজে।

মেঘা ঠিকঠাক ফ্রেশ হয়ে বৃত্তের পাশে চেয়ার টেনে বসলো। বৃত্তের পড়ুয়া চেহারার দিকে ক্ষণকাল চেয়ে নিজেও এক বিশাল আকারের বই খুলে বসলো। কিছুক্ষণ বইটা নেড়েচেড়ে দেখে চোখ উল্টালো সে। এই পড়াশোনা মেঘার কোনো কালেই ভালো লাগতো না। মাঝেমধ্যে মনে হতো, যে এই পড়াশোনা নামক প্যারাটার আবিষ্কার করেছে তাকে হাতের কাছে পেলে তার গালে দু দুটো চাটা বসানো উচিত! তবেবআফসোস, মেঘা সেই লোকটাকে পেলেও না আর তার গালে চটাস চটাস থাপ্পড় মারাও হলো না।
মেঘাকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখে বৃত্ত পড়া ছেড়ে তার দিকে তাকালো। মেঘা ঠোঁট উল্টে বসে আছে। বৃত্ত দীর্ঘশ্বাস ফেললো। এ আর নতুন কি? মেঘা সদা করে এমন। বৃত্ত নিজের বইটা বন্ধ করে মেঘার দিকে ফিরলো। নাকের ডগায় থাকা চশমাটা চোখের উপরে তুলে বললো,
— কি সমস্যা বল, সলভ করে দিচ্ছি।
মেঘা মুখ ফুলিয়ে শ্বাস ফেললো। বন্ধকৃত বইটা পুনরায় খুলে একের পর এক প্রবলেম বের করতে লাগলো। বৃত্তও খুব ধৈর্যসহকারে মেঘার সমস্ত প্রবলেম সলভ করে দিলো।

চোখের পলকে রাত দুটো বেজে গেছে। মেঘা বইয়ে মুখে গুজে ঘুমিয়ে ছিলো এতক্ষণ। খানিক পর ঘুম ভাঙলো তার। এখন বাথরুম ব্যবহার করতে হবে তার। মেঘা বই থেকে মাথা তুললো। সহসা চোখ গেলো বৃত্তের দিকে। বৃত্ত বইয়ে মুখ গুজে ঘুমিয়ে পড়েছে। সুবিধার জন্যে তার এক হাত মাথার নিচে রাখা। হয়তো এই হাতকেই সে বালিশরূপে ব্যবহার করেছে। মেঘা হাসলো। চশমাটাও খুলেনি অব্দি। মেঘা একট ঝুঁকে অতি সাবধানে বৃত্তের চোখের চশমা খুলে নিলো। চশমা টেবিলের এক পাশে রেখে বিছানা থেকে একটা ছোট কুশন এনে বৃত্তের মাথার নিচে রাখলো। এতে আরো একটু আরাম পেতেই বৃত্ত লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে নড়েচড়ে উঠলো। অতঃপর, পুনরায় পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়লো। মেঘা কিছুক্ষণ বৃত্তের দিকে চেয়ে রইলো। ইশ, মানুষটাকে ঘুমালেও কি যে সুন্দর লাগে! মেঘা আরো এক দফা এক ঘুমন্ত মানবের প্রেমে পড়লো। এই মেঘাও না! আস্ত এক পাগল প্রেমিকা! তার যত প্রেম সবই এই বৃত্ত নামক পুরুষকে ঘিরে, এই পুরুষকেই আঁকড়ে! এক পুরুষে এত সুখ, এত প্রেম!
____________________________
সকালের কাঁচা আলো বৃত্তের চোখে পড়তেই চোখ খিঁচলো সে। ঘনঘন নিঃশ্বাসের বহর ফেলে পিটপিট করে চোখ খুলে তাকালো বৃত্ত। ঘুমের ভাবটা একটু কেটে যেতেই মনে পড়লো, সে তো কাল টেবিলেই ঘুমিয়ে পড়েছিলো। বৃত্ত টেবিল থেকে মাথা তুললো। মাথা নাড়ানোর তালে ঘাড়ে অনুভব হলো, সূক্ষ এক ব্যথার। বৃত্ত ঘাড়ের ব্যথায় কাহিল হয়ে পড়লো। ঘাড়ে হাত গলিয়ে খানিক মালিশ করলো সে। হঠাৎ চোখ গেলো, টেবিলের উপর রাখা এক কুশনের দিকে। বৃত্ত অবাক হলো। এই কুশন এলো কোথা থেকে? কাল রাতে তো সে হাতে মাথা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েছিল। তাহলে, এই কুশন? পাশে মেঘাকে টেবিলে মাথা রেখে ঘুমাতে দেখে মনে পড়লো তার, হয়তো মেঘাই কাল রাতে কুশন এনে দিয়েছিল। বৃত্ত ফিচেল হাসলো। মেঘার এসব ছোটখাটো বিষয়ে খেয়াল রাখা, তা তো অতি সাধারণ। সদা করে সে এমন। বৃত্ত হাসলো আবার। নিজের কুশনটা চুপচাপ মেঘার মাথার নিচে রেখে দিলো। এবার মেঘা আরামে ঘুমাক! মাথার নিচে নরম কিছুর অস্তিত্ব পেতেই মেঘা গুটিসুটি মেরে আবারও ঘুমিয়ে পড়লো। বৃত্ত আর দেরি করলো না। আজ একবার ভার্সিটি যেতে হবে তার। পরীক্ষার জন্যে কিছু কাজ আছে। সেটা শেষ করতে হবে। তাই সে চেয়ার ছেড়ে উঠে বাথরুমে চলে গেলো।

#চলবে।