#লাভ_গেম
#ফাবিহা_নওশীন
১৩.
রুশা ল্যাপটপ খুলে বসেছে। গভীর মনোযোগ দিয়ে কিছু করছে। আদ্রিশের অফিস থেকে আসার সময় হয়ে গেছে। রুশা এতটাই ব্যস্ত যে অন্যদিকে খেয়াল নেই। আদ্রিশ ঘরের বাইরে থেকে রুশাকে ডাকতে ডাকতে ভেতরে আসছে। রুশা থতমত খেয়ে দ্রুত ল্যাপটপ বন্ধ করে মোবাইল হাতে নিয়ে দরজার দিকে এগিয়ে গেল। আদ্রিশকে দেখে বলল,
“হ্যা, বলো।”
আদ্রিশ কিছু বলতে গিয়ে থেমে গেল। রুশা আদ্রিশের মুখের দিকে চেয়ে আছে। আদ্রিশ কিছু বলতে গিয়ে চুপ করে কেন গেল সেটা বুঝতে পারছে না। ও কি তরি ঘটি করতে গিয়ে ভুল কিছু বলে ফেলেছে। গোপন কিছু? কিন্তু আদ্রিশের মুখ দেখে তো তেমন মনে হচ্ছে না।
যদি ভুল কিছু বলতো ওর চোখ মুখ এত কোমল থাকতো না।
রুশা দৃষ্টি নামাচ্ছে আর উঠাচ্ছে।
“কিছু বলছেন না কেন? আমি কি ভুল কিছু বলেছি? আমি ঠিক বুঝতে পারছি না।”
আদ্রিশ ওর দু’হাত ধরে হেঁচকা টান দিল। রুশা ওর বুকে গিয়ে পড়ল। আদ্রিশ ওর কোমড় জড়িয়ে ধরতেই রুশা সোজা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। আদ্রিশ আরো শক্ত করে ধরতেই রুশার দুহাত ওর বুকে গিয়ে পড়ল। আদ্রিশের চোখে মুখে কিছু খেলা করছে। রুশা দৃষ্টি নামিয়ে নিল। রুশার আজকাল অন্য রকম অনুভূতি হয়। আদ্রিশ ওর কাছে এলে নিজেকে সামলাতে পারে না। আদ্রিশ ওকে ছুয়ে দিলে কি যেন হয়ে যায়। নিজেকে পাগল পাগল লাগে।
“তোমার মুখে তুমিটা বেশ মিষ্টি লাগে।”
রুশা চমকে ওর দিকে তাকায়। তুমি করে কখন বলল?
“আমি তুমি কখন বললাম?”
“মাত্রই। বললে না হ্যা,বলো।”
রুশা চোখ বড়বড় করে তাকাল। বেখেয়ালি ভাবে হয়তো বলে ফেলেছে। আদ্রিশ নিশ্চয়ই মিথ্যা বলছে না।
“জানি না। হয়তো কোনো ভাবে বলে ফেলেছি।”
“তুমি আমাকে এখন থেকে তুমি করেই বলবে।”
“আমি পারব না।”
“কেন পারবে না?”
“জানি না। তবে পারব না।”
আদ্রিশ রুশার চুলের ভেতরে হাত দিয়ে ওর একদম কাছে চলে গেল। রুশার দম আঁটকে যাচ্ছে। চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে।
আদ্রিশ রুশার নাকের সাথে নাক ঠেকিয়ে বলল,
“তুমি বলবে না?”
রুশা আদ্রিশের নিশ্বাসের উষ্ণতায় হারিয়ে যাচ্ছে। ঢোক গিলে বলল,
“বলব, একটু সময় দিন।”
আদ্রিশ রুশার ঠোঁটে আলতো করে চুমু খেয়ে ছেড়ে দিল। রুশা দ্রুত অন্যদিকে ঘুরে বুকে হাত দিয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে। আর ঘন ঘন ঢোক গিলছে। রুশা বেশ বুঝতে পারছে আদ্রিশ দিন দিন ওকে কাবু করে ফেলছে। রুশা আদ্রিশের দিকে না তাকিয়ে দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল। আদ্রিশ ওকে দৌড়ে পালাতে দেখে মুচকি হাসল। রুশা নিচে গিয়ে লনের পাশে গিয়ে দাঁড়ায়। নিজের ঠোঁটে হাত বুলিয়ে মনে মনে বলছে,
“এ-সব কি হচ্ছে? উনি আমার এত কাছে এলো আমার রাগ হচ্ছে না কেন? কেন আমি স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছি? না স্বাভাবিক না, আমি ভালোভাবে নিচ্ছি, ভালোলাগায় নিচ্ছি। কি হচ্ছে আমার? উফফ, আদ্রিশের থেকে দূরত্ব বজায় থাকতে হবে। আমি কি কাজে এসেছি ভুলে গেলে চলবে না।”
।
মাগরিবের আজান পড়ছে। হালকা অন্ধকার নেমে এসেছে ধরণীর বুকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঝুম অন্ধকার নেমে আসবে। আঁধারে ছেয়ে যাবে পৃথিবী। কথা ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। যখন নিজেকে খুব একা লাগে, মন খারাপ হয় তখনই এখানে এসে দাঁড়িয়ে থাকে। মাথার উপর খোলা আকাশ, পায়ের নিচে পানি আর পানি, বেপরোয়া হাওয়া, এলোমেলো চুল সব মিলিয়ে নিজেকে মুক্ত লাগে। সব দুঃখ,কষ্ট থেকে মুক্ত লাগে।
প্রাণভরে নিশ্বাস নেয়।
সেজান ড্রাইভে এসেছে। মাঝেমধ্যেই ড্রাইভে বের হয়। এ সময়টা ওর ভীষণ ভালো লাগে। কথার মতো একটা মেয়েকে দেখে সেজান গাড়ি থামায়। গাড়ি থেকে নেমে সানগ্লাস খুলে বোঝার চেষ্টা করছে কথা কি-না। ওকে দেখে কথাই মনে হচ্ছে। সেজান ওর পাশে গিয়ে দাঁড়াল। কথা পাশে কারো অস্তিত্ব অনুভব করে ভয় পেয়ে যায়। দ্রুত ঘুরে চমকে উঠে। চোখ বড়বড় করে বলল,
“আপনি! আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।”
“এখানে একা একা কি করছো?”
“যখন হাঁপিয়ে যাই এখানে এসে প্রাণভরে নিশ্বাস নেই।”
“হাঁপিয়ে যাও? জবটা কি খুব পরিশ্রমের? আমাকে বলতে পারো আমি তোমার জন্য ভালো একটা জব ম্যানেজ করে দিতে পারি।”
কথা মৃদু হেসে বলল,
“জবের পরিশ্রমের কথা বলছি না, জীবনের সাথে চলতে চলতে যখন হাঁপিয়ে যাই। এছাড়া আমি এখানে ভালোই আছি। আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা জানেন? এই যোগ্যতায় আপনি আমাকে এর চেয়ে ভালো জব দিতে পারবেন না।”
“পড়াশোনা কতদূর তোমার?”
“এইচএসসি পাশ।”
“তারপর আর পড়োনি কেন?”
“ছোট থেকেই অনাথ আশ্রমে বড় হয়েছি। আঠারো বছর পর্যন্ত ওরা আমার দায়িত্ব নিয়েছে। এইচএসসি পাশ করেছি। তারপর এখানে থাকা,খাওয়া ফ্রি সমেত একটা জব পেয়ে গেলাম।”
“তবুও আমি তোমার জন্য একটা জব খুঁজে দিতে পারি।”
“অন্য কোনো জব করলে যে আমি একা হয়ে পড়ব। এখানে এতগুলো মানুষের সাথে থাকছি পরিবারের মতো। অন্য জায়গায় জব করলে কি সে পরিবার পাব? দম বন্ধ হয়ে মরে যাব। একা আমি থাকতে পারি না। পরিবারের সাথে থাকতে ভালোবাসি।”
“তাহলে বিয়ে করে নিলেই পারো। একটা পরিবার পাবে।”
কথা আবারও মৃদু হাসল। সে হাসিতে সেজান ব্যথা খুঁজে পাচ্ছে। কিন্তু পরিমাপ করতে পারছে না।
“কোন পরিবার তার ছেলের জন্য বাবা-মা ছাড়া, সামাজিক পরিচয়হীন একটা মেয়েকে বউ করবে? মেয়ের কি অভাব?”
সেজান মাথা চুলকে বলল,
“তাহলে অনাথ কোনো ছেলেকে বিয়ে করে নেও। তার সাথে পরিবার গড়বে।”
“তাহলে তো চাকরি ছেড়ে ছেলের সন্ধানে সন্ধানে ঘুরতে হবে।”
বলেই খিলখিল করে হেসে উঠল। তারপর আবার বলল,
“আমার তো আর আপনার মতো সোর্স নেই। অতি সাধারণ মানুষ আমি।”
“তাহলে আমি খুঁজি। আমার ভালো সোর্স আছে।”
কথা হেসে ফেলল। তারপর বলল,
“দূরর! মজা করছিলাম। আমি যাই রাত হয়ে যাচ্ছে।”
“চলো, আমি তোমাকে পৌঁছে দেই।”
“না, দরকার নেই। রিকশা ঠিক করে রেখেছি। আমি যেতে পারব। ভালো থাকবেন।”
কথা চুল, ওড়না জামা হাওয়ায় উড়িয়ে হেঁটে যাচ্ছে রিকশার কাছে। সেজান নিজের চুল এলোমেলো করে মুচকি হেসে ব্রিজের নিচে তাকাল।
.
রুশা আদ্রিশের জন্য ঘরে যেতে পারছে না।
অস্বস্তি লাগছে। আজকাল আদ্রিশ উদ্ভট ব্যবহার করে। আর রুশারও কেমন লাগে। রুশা দরজার দিকে বারবার উঁকি দিচ্ছে। আদ্রিশ এখনো ঘুমায়নি। ল্যাপটপে কাজ করছে। রুশা বিরক্তি নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। দরজার দিকে আরেকবার উঁকি দিতেই আদ্রিশ ওর হাত ধরে এক টানে ভেতরে নিয়ে এল। রুশা নির্বাক ও ভীত হয়ে গেল।
“কি বারবার উঁকি দিচ্ছো কেন?”
“দেখছিলাম ঘুমিয়েছেন কি-না।”
“ঘুমালে কি করতে?”
“কি আর করতাম? ঘুমিয়ে পড়তাম।”
“এখন তো জেগে আছি। তাহলে কি করবে?”
রুশা আদ্রিশের দিকে চেয়ে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল। ওর দৃষ্টিতে দুষ্টুমি।
“না, মানে, ঘুমাবো।”
রুশা বিছানার কাছে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই আদ্রিশ ওকে দরজার সাথে চেপে ধরল।
“সত্যি করে বলো তো কেন উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছিলে?”
আদ্রিশ ভ্রু কুঁচকে চেয়ে আছে।
“এমনি, আসলে,,।”
আদ্রিশ মুচকি হেসে ওর ঠোঁটে আঙুল রাখতেই রুশা মুখটা পেছনে নিয়ে গেল। তারপর নিজের হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে বলল,
“এইজন্যই! এইজন্যই আমি ঘরে আসছি না। আমার সত্যিই খুব ঘুম পেয়েছে।”
আদ্রিশ বাকা হেসে ওর হাতের উপর ঠোঁট ছুয়ালো। ওকে ছেড়ে দিয়ে শুয়ে পড়ল। রুশা লাইট অফ করে আদ্রিশের পাশে শুয়ে পড়ল অন্যদিকে ঘুরে। রুশা চোখ বন্ধ করে ভাবছে,
“এ-সব কি হচ্ছে আমার সাথে? ও আমার কাছে এলেই হার্টবিট এত ফার্স্ট হয়ে যায় কেন? মুখে যতই বলি দূরে যেতে মন কেন কাছে চায়? কেন চায়?”
রুশা চোখ খিঁচে বন্ধ করল। আর এসব ভাবতে চায় না।
.
দুপুর বেলা। রুশা বিছানায় হাত পা ছড়িয়ে শুয়ে আছে। ওর মাথায় কোনো প্লান আসছে না। মনে হচ্ছে মাথাটা হ্যাং হয়ে গেছে। কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। এভাবে হাত-পা গুটিয়ে তো বসে থাকলে চলবে না। কিছু একটা ভাবতে হবে। রুশার মোবাইল বাজছে। রকি ফোন করেছে। রুশা কল রিসিভ করে বলল,
“কি খবর?”
“তোমার কি সেটা বলো।”
“ভালো। আপাতত রিলেক্সে আছি।”
“পিউ! আর কতদিন?”
“ভাইয়ার কথায় আমাকে কল করেছো তাই না? সব বুঝতে পারছি।”
“না তেমন নয়। এতদিন আমি তোমাকে সাপোর্ট করেছি। কিন্তু এখন আমি তোমাকে এসব বলছি তার নিশ্চয়ই একটা কারণ আছে। পিউ, তুমি বিপদে আছো। তুমি ওখানে আছো আদ্রিশকে বরবাদ করতে আর ওদিকে আদ্রিশের শত্রু জারিফ প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তোমার পেছনে পরে আছে। একদিকে জারিফ আরেকদিকে আদ্রিশ। না জানি কবে কার ট্রাপে ফেঁসে যাও।”
“আমাকে ফাঁসানো এত সহজ না। আর জারিফের সম্পর্কে তুমি কিছু জানো? ওর ব্যাপারে আমি জানতে ইচ্ছুক।”
“ও আদ্রিশের চেয়ে বিপদজনক লোক।”
“আমার তা মনে হয় না। যদি তাই হত তবে বিদেশে লুকিয়ে থাকতো না। বিদেশে বসে বসে আদ্রিশের উপর মানে আমার উপর হামলা করত না।”
“ওহ! পিউ। ও ইন্টারন্যাশনাল মাফিয়া। সাধারণ লোক নয়। বাংলাদেশে বসে থেকে কি করবে?”
“বাহ! তাহলে তো ডেঞ্জারাস।”
“পিউ, তোমার জন্য আমার খুব চিন্তা হয়।”
“চিন্তা করতে হবে না।”
“কেন করব না? আমি তোমাকে ভালোবাসি।”
রুশা শোয়া থেকে উঠে বসে রাগান্বিত হয়ে বলল,
“রকি, প্রেম ভালোবাসার কথা বলো না। তোমার মুখে প্রেম ভালোবাসার কথা শুনলে আমার রাগ উঠে যায়। জেনেও কেন বলো? বন্ধু হয়ে কথা বলার হলে বলো নয়তো আমাকে আর কল করো না।”
“আচ্ছা, ঠিক আছে সরি। সরি।”
দুজনেই কিছুক্ষণ চুপ। নীরবতা ভেঙে রকি বলল,
“তাহলে তুমি আসবে না?”
“না, কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমি ফিরছি না।”
রকি জানে ও বড্ড জেদি তাই ওকে বুঝিয়ে লাভ নেই।
.
সকাল সকাল আদ্রিশ বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে। রুশা ফ্রেশ হয়ে নিচে গিয়ে দেখে বাড়ির চেহারা পালটে গেছে। বাড়িতে তোরজোর আয়োজন চলছে। কিন্তু কিসের? এত মানুষ কেন এসেছে? রুশা মিজান চাচার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল,
“কি হচ্ছে চাচা?”
“আদ্রিশ বাবা কিছু বলেনি?”
“না তো বলেনি।”
“আজকে ওর বাবার মৃত্যুবার্ষিকী। তারই আয়োজন চলছে।”
রুশা মনে মনে ভাবছে আদ্রিশ ওকে একটা বারের জন্য কিছু জানালো না কেন?
এরই মধ্যে মিজান চাচা ইতস্তত করে বলল,
“একটা কথা বলি। তুমি আজকে আদ্রিশ বাবার থেকে একটু দূরে দূরে থেকো।”
রুশা অবাকের সাথে চমকে গিয়ে প্রশ্ন করল,
“কেন?”
“প্রতি বছর আজকের দিনে আদ্রিশ অস্থির হয়ে পড়ে। নিজের মধ্যে থাকে না। নিজের কন্ট্রোল রাখতে পারেনা। পাগলের মতো উদ্ভট আচরণ করে। গম্ভীর হয়ে থাকে। তাই তোমাকে জানিয়ে দিলাম।”
“কিন্তু এমন করে কেন?”
“আস্তে আস্তে সব জানবে।”
মিজান চাচা চলে গেলেও রুশা দাঁড়িয়ে রইল। ওর মাথায় ভাবনারা পাক খাচ্ছে।
.
সারাদিন ব্যস্ততার মাঝে রুশা আদ্রিশকে একবারো দেখেনি। আদ্রিশ রাতে ফিরে ওর ঘরেও যায়নি। নিজের ঘরে চলে গেছে। রুশার বেশ কৌতূহল লাগছে। আদ্রিশ নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করলেই রুশাও ঘরে গিয়ে দরজা লক করে ল্যাপটপ নিয়ে বসল। আদ্রিশের ঘরের সামনে সিসি ক্যামেরা ফিট করা তাই রুশা সেদিন রাতে হুডি পরে আদ্রিশের ঘরে গিয়ে একটা হিডেন ক্যামেরা লাগিয়ে আসে। আর সেদিনই আদ্রিশের সামনাসামনি পড়ে। লুকিয়ে পরবর্তীতে নিজের ঘরে গিয়ে হুডি খুলে লুকিয়ে রেখে ঘুমের ভান ধরে থাকে। আদ্রিশ ভাবে রুশা ঘুমাচ্ছে। পরের দিন সকালে ওই হুডি বাগানে রাখে আর ও নিজেই হুডি নিয়ে আদ্রিশের কাছে এসে দেখিয়ে বলে বাগানে পেয়েছে। এ-সব রুশার প্লান ছিল।
রুশা ল্যাপটপের স্কিনে আদ্রিশকে দেখতে পাচ্ছে। ও ড্রিংক করছে আর টি টেবিলের উপরে একটা ছুরি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। বিরবির করে কিছু বলছে। কি বলছে আর কেনই বা আঘাত করছে রুশার মাথায় কিছুই ঢুকছে না।
চলবে…..