রহস্যময়ী লেডি কিলার পর্ব-২২

0
300

#রহস্যময়ী_লেডি_কিলার
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_২২

“মুহূর্তের মধ্যেই অবনীর এই মিরজাফরি রূপ দেখে আকাশ এবং বাকি সবার হুঁশ উড়ে যায়! সবাই অবাক দৃষ্টিতে অবনীর দিকে তাকিয়ে আছে! তখনি অবনী আবার হাসতে হাসতে আকাশকে বলে,

–কিরে মাস্তান কেমন দিলাম তোকে?
সেই ছিলো না ব্যাপার টা? আমার কাছে তো একদম সেই লেগেছে। জানিস এই দিনটার জন্য অনেক অপেক্ষা করেছি আমরা সবাই। কিন্তু তুই আমাদের লোকজনকেই তাড়া করে বেরিয়েছিস। আর আজ ফাইনালি সেই দিনটা এসেছে। আকাশ তুই চিন্তা করিস না। সরি মাফিয়া রবার্ট তুই চিন্তা করিস না। তোকে একদম শান্ত ভাবে মেরে মাটির নিচে পুঁতে দিব। বিশ্বাস কর কেউ তোর এবং তোর চেলাপেলাদের লাশ অব্দি খুঁজে পাবে না। দেশবাসীর কাছে তোদের এই বিষয়টা একদম মিস্ট্রিয়াস মনে হবে। কারন তোরা এক কালে শহরে অনেক রাজ করেছিস। কিন্তু হুট করেই তোদের নাম নিশানা সহ গায়েব হয়ে গেছে। কেউ তোদের বিষয়ে কিছু জানে না। কেউ তোদের গায়েব হতেও দেখেনি। তাই জাতির কাছে তোদের এই ঘটনাটা আজীবন রহস্যজনক হয়ে থাকবে।

–অবনীর মুখে এমন কথাবার্তা শুনে আমার সারা শরীর পাথরের মতন হয়ে গেছে! কারন হুট করেই একটা মানুষ এভাবে নিজের রূপ পরিবর্তন করে নিবে, তা আমি কোনোদিন কল্পনাতেও ভাবিনি! অবনীর এই ভয়ানক রং বদল দেখে মনে হচ্ছে পুরো গিরগিটি জাতি মিলেও তার সাথে রং বদল করে পেরে উঠবে না। কারন শুরুতে এই মেয়ে আমার একদম ঘনিষ্ঠ হয়ে গেছে। আমার সাথে নিজেকে মিশিয়ে নিয়েছে। তার চালচলন দেখে আমি কখনো আন্দাজ ও করতে পারিনি, যে সে এমনধারা করবে ভবিষ্যতে আমার সাথে। অবশ্য আমি আন্দাজ না করলেও কি হয়েছে, সে তো তার আসল রূপ দেখিয়ে দিয়েছে। যেটা তার আগে পরে কখনো না কখনো দেখানোর ছিলো। আর তাছাড়া কলিজায় ছুরি মারার ক্ষমতা সবার থাকে না। কাছের মানুষজন এবং সাথে সেই সকল মানুষ গুলোই কলিজায় ছুরি মারার ক্ষমতা রাখে, যারা কিনা সেই ব্যক্তিটার সাথে খুব ঘনিষ্ঠ ভাবে মিশেছে। আর তাঁদের কাতারে অবনীও একজন। মেয়েটাকে ভালোবেসে আপন করে নিলাম। আর শেষমেশ মেয়েটা আমার হৃদয়ে ছুরি মেরে রক্তক্ষরণ করে দিলো। যাক ভালোই হয়েছে। তবে আমি হার মানবার মতন মানুষ নয়। আমি অবশ্যই অবনীর এই আচরণের প্রতিবাদ করবো। দেখি সে আমার প্রতিবাদ কি ভাবে ঠেকায়। মনে মনে অবনীর জন্য হিংস্রতার আগুন জ্বলছে। তখনি সে আবার আমায় বলে উঠলো,

–এই মাস্তান এতো কি ভাবছিস রে? একটু পর আমাদের হাতে মরবি। কই নিজের জীবনের শেষটুকু সময় একটু ভালো করে কাটাবি। কিন্তু সেখানে তুই কিনা আজেবাজে চিন্তা-ভাবনা করে সময় অতিক্রম করছিস।

–অবনীর কথা শুনে হিংস্রতা আরো বেড়ে গেলো। কারন সে আমার সাথে ধোঁকাবাজি করেছে। তাই তাকে কয়েকটা কথা বলতে খুব ইচ্ছে করছে। তাই ইচ্ছে পূরনের জন্য তাকে বললাম, অবনী হতে পারে আজরাইল আমার প্রাণ নেওয়ার বদলে তোর এবং তোর সাথীদের জান কবজ করে নিয়ে চলে গেছে।

–হা হা আমার জান নিবে আজরাইল?
তোর কথা শুনে না খুব হাসি পাচ্ছে বিশ্বাস কর। ইচ্ছে করছে মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে কতক্ষণ সজোড়ে হাসি।

–হেঁসে নে ভালো করে। কারন কিছুক্ষণ পর তোদের সবার কাঁদতে হবে।

–আমরা কাঁদবো সেই দূর দিন কোনোদিন ও আসবে না। কারন আমাদের সবার কাছে সুপারন্যাচারাল শক্তি আছে। তোরা আমাদের কিছুই করতে পারবি না। বরং তোরা সব কয়টা আমাদের হাতে মারা পড়বি। আর সব চাইতে মজার বিষয় হলো তোর মৃত্যুটা সবার থেকে আলাদা হবে। তোকে শুরুতে আধমরা করে মেরে তোর গলার মধ্যে পাড়া দিয়ে জিহ্বা সহ বের করে ফেলবো। তখন জবাই করে দেওয়া মুরগীর মতন দফাদফি করতে করতে মরবি।
.
আকাশ অবনীর কথা শুনে এবার হেঁসে দেয়।
যদিও তার ভিতরে ঐশ্বর্যের হিংস্রতা এসে হানা দিয়েছে। কিন্তু অবনীর কথা শুনে সে আর হাসি আঁটকে রাখতে পারে না। তাই সে হাসতে হাসতে অবনীকে বলে,

–অবনী তুই হয়তো ভুলে গেছিস আমি কে। তাই তোকে আবার পূনরায় মনে করিয়ে দিচ্ছি আমি কে। শোন আমি হলাম সেই রবার্ট, যে কিনা ময়দানে নামার আগে একান্তই নিজের মাইন্ডে কয়েকটা প্ল্যান সেট করে রাখে। যেই প্ল্যান সম্পর্কে তার মন ছাড়া তার দেহ পর্যন্ত আভাস পায় না। আমার প্ল্যান তোর কারনে ফ্লপ হয়েছে বা এক্সিট করতে হচ্ছে তাতে আমার কোনো লোম’ও ছেঁড়া যাবে না। কারন ঠাকুমার ঝুলির মতন মাথার ভিতরে এক্সট্রা করে যেই প্ল্যান সাজিয়ে রেখেছি, এবার সেটা মোতাবেক কাজ হবে। দেখি তোদের ক্ষমতা থাকলে তোরা আমাকে আঁটকে দেখা।

–তুই রবার্ট না ফবার্ট, আর তোর মাথায় কি প্ল্যান আছে সেটা তুই নিজের ভিতরেই রাখ। তোর কোনো প্ল্যান এই কাজে আসবে না। কারন প্রথমত এটা আমাদের এলাকা। আর দ্বিতীয়ত তোদের মতন সাধারণ মানুষকে পায়ের নিচে ফেলে পিষে মারতে আমাদের সেকেন্ড কয়েক লাগবে।

–বাহ তোদের তো দেখছি সেই কনফিডেন্স রে।
তোরা আমাদেরকে পায়ের নিচে পিষে মারবি। আমরা তোদের কোনো কিছুই করতে পারবে না। কারন এটা তোদের বাপ-দাদার এলাকা। তার উপরে আবার আমরা সাধারণ মানুষ। আচ্ছা শোন আমরা কি করতে পারি তোদেরকে একটু ডেমো দেখাচ্ছি। এই মুজাহিদ আর রাজ। তোরা ওদেরকে একটু ডেমো টা দেখিয়ে দে তো।
.
আকাশের কথা শুনে রাজ আর মুজাহিদ দু’জন সজোড়ে হাসতে হাসতে নিজেদের জ্যাকেট ওপেন করে। যার ভিতরে কিনা বোম রয়েছে। যেটা দেখে ড্রয়িডের লোকজন সবাই ভয় পেয়ে যায়। তখনি আকাশ অবনী এবং বাকি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে।

–অবনী এই যে রাজ আর মুজাহিদের শরীরে যেসব দেখছিস, সেসব কিন্তু লাড্ডু। যেসব লাড্ডু আমি ড্রয়িডবাসী জন্য এনেছিলাম। আর এই লাড্ডুর কামাল সম্পর্কে আমি তোদেরকে বলছি। শোন মানুষ যত বড় নরখাদক এই হোক না কেন, সে যদি এক বারে একটা লাড্ডু চাবানো ছাড়া গিলে খায়, তখন সেই লাড্ডু তার টাকরায় লেগে যায়। আর তোদের ও কিন্তু একই দশা হবে। তোদের কিন্তু এসব লাড্ডু আমি চিবিয়ে খেতে দিব না। আর এই লাড্ডু কিন্তু বাকি সবার থেকে একদম ভিন্ন। কারন এই লাড্ডুকে একবার হাত দিয়ে চাপ দিলে তোদের এই ড্রয়িড এবং ড্রয়িডের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটা জঙ্গল মাটির নিচে চলে যাবে। আর এর থেকে কাকপক্ষী,কীটপতঙ্গ কেউ কিন্তু ছাড় পাবে না।
.
আকাশের কথা শুনে ড্রয়িডের লোকজন ব্যাপক ভাবে ভয় পেয়ে যায়। তবে অবনী এখনো আগের ন্যায় রয়ে গেছে। তার চোখে-মুখে ভয়ভীতির কোনো ছাপ নেই। তাই আকাশ আবারো তাকে বলে,

–সুইটহার্ট তুই হয়তো ভাবছিস টেলিপোর্টের সাহায্যে গায়েব হয়ে যাবি। এই বোমের কারনে তোর কোনো ক্ষতিই হবে না। যার কারনে তোর কোনো ভয় লাগছে না। তাহলে শোন এই বোম তোর টেলিপোর্ট মেলিপোর্ট কিছুই মানবে না। কারন তুই অতিজোর টেলিপোর্ট হয়ে এখান থেকে পালিয়ে অন্য কোথাও চলে যেতে পারবি। কিন্তু এই বোম মুহুর্তের মধ্যেই সমস্ত কিছুকে নড়ক বানিয়ে দিবে। তুই টেলিপোর্ট হয়ে যেখানেই যাস না কেন, তুই এটা থেকে বাঁচতে পারবি না। আর তাছাড়া এই বোম তোর রক্ত থেকেই বানানো হয়েছে। আমি যেদিন ড্রয়িডে হামলা করবো বলে ভেবেছি, সেদিন এই তোর শরীর থেকে লুকিয়ে ব্লাড নিয়ে জায়গা মতন পাঠিয়ে দিয়েছি। আর তারা সেই মোতাবেক বোম তৈরী করে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে। কি ভেবেছিস তুই? আমি কোনো প্রিপারেশন ছাড়াই এখানে চলে এসেছি? তাহলে তোদের চিন্তা-ভাবনা ভুল। আমি মরলে তোদের সব কয়টাকে সঙ্গে নিয়ে মরবো। এবার দেখি সামনে আগা তোদের বুকেরপাটা থাকলে।
.
এবার অবনীও ভয় পেয়ে যায় আকাশের কথা শুনে! কারন আকাশ যেটা শুনিয়েছে এখন তাকে, সেটা সে কোনোদিন কল্পনাতেও ভাবে নাই। সে ভেবেছে আকাশ হয়তো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করবে। কিন্তু আকাশ যে সবাইকে মুহুর্তের মধ্যে মেরে বালিচাপা দেওয়ার অস্ত্রকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছে, সেটা সে ভাবতেও পারে নাই। তাই সে একদম চুপসে গেছে। কিন্তু সে চুপসে গেলেও আকাশ চুপসে নাই। কারন তার মন নিয়ে খেলার প্রতিশোধ সে অবনীর উপরে তুলবেই। তাই সে রাজ আর মুজাহিদ বাদে সাইকে বলে,

–এই তোরা অবনীকে ছাড়া বাকি সব কয়টাকে গুলি করে তাঁদের শরীর ঝাঁঝরা করে ফেল। আর রাজ আর মুজাহিদ, তোরা দু’জন প্রস্তুতি নিয়ে রাখ ভালো করে। কমিনার বাচ্চা গুলা কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলেই ট্রিগার চেপে দিবি।

–ঠিক আছে ভাই।
.
আকাশের কথা মতন আকাশের লোকজন সবাই ড্রয়িডের লোকদের দিকে আন্ধাধুন গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে করে ড্রয়িডের অনেক কয়জন সদস্য জায়গায় মধ্যে নিজের প্রাণ হারায়। কিন্তু কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয় না। কারন উপর থেকে বহু আগেই একটা আদেশ জারি করে দিয়েছে তাঁদের উপরে। কেউ যদি ড্রয়িডের উপরে কখনো হামলা করে, তাহলে নিজেদের প্রাণ দিয়ে হলেও ড্রয়িডকে তারা যেনো রক্ষা করে। কারন একটা ড্রয়িড স্থাপন করতে তাঁদের অনেক পরিশ্রম হয়েছে। তার উপরে প্রতিটা ড্রয়িডেই তাঁদের অনেক গোপন জিনিস রয়েছে। তাই সবাই যেনো নিজের প্রাণ দিয়ে হলেও ড্রয়িডকে রক্ষা করে। তাই তারা সেটাই করছে। কেউ আকাশদের দিকে হামলা করছে না। কারন আকাশদের দিকে হামলা করলেই পুরো শহর গায়েব হয়ে মাটির নিচে ঢুকে যাবে। দেখতে দেখতে সবাইকেই মেরে ফেলেছে আকাশের লোকজন। হাতে গুনা খালি অবনী আর সাথে দু’জন বেঁচে আছে। আর সেই ব্যক্তিটাও এখনো বেঁচে আছে, যার শরীর থেকে কিনা উজ্জ্বল কোনো রশ্মির ন্যায় জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। আর অবনীর সাথে যেই দু’জন বেঁচে আছে, তাঁদের এখনো বেঁচে থাকার একমাত্র কারন হচ্ছে অবনী। কারন আকাশের লোকজন অবনীর দিকে গুলি ছুঁড়েনি। আর সেই দু’জন অবনীর কাছাকাছিই ছিলো। যার কারনে তারাও বেঁচে গিয়েছে। সবার অন্তিম দেখে আকাশ সবাইকে আদেশ করে থামবার জন্য। সবাই আকাশের কথা মতন থেমে গিয়ে গুলি ছুঁড়া বন্ধ করে দেয়। সবাই থেমে যেতেই আকাশ কোনো কথাবার্তা ছাড়া গিয়ে অবনীর সাথে বেঁচে থাকা দু’জনকেও গুলি করে মেরে ফেলে। এবার হয়তো অবনীর পালা। আর সেই লোকটাও চুপচাপ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। আকাশ কোনো চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই পিস্তলটা খুলে নিয়ে পিস্তলের ডাট দিয়ে ধ্রামম করে একটা বাড়ি মেরে দেয় অবনীর মাথায়। যার ফলে অবনীর মাথা ফেটে রক্ত বের হতে আরম্ভ করে। কিন্তু অবনী এক ফোঁটা শব্দ ও করে না। “এদিকে অবনীর রক্ত দেখে আকাশের ভিতরটা কেমন যেনো মোচড়ে উঠে। কিন্তু সে থামে না। কারন বেঈমানকে ছাড় দিতে নেই। না হয় সে আবার সুযোগ পেলেই বেঈমানী করে বসবে। যার কারনে আকাশ আবারো পিস্তলের ডাট ডিয়ে অবনীর মাথায় মারবে বলে হাত উত্তলন করে, তখনি সেই লোকটা অবনীকে সঙ্গে নিয়ে হুট করে কোথায় যেনো গায়েব হয়ে যায়। যেটা দেখে আকাশের মাথায় রক্ত চোটে উঠে। কারন সে প্রতিশোধ নিতে পারেনি। তখনি রাজ পাশ থেকে এসে বলে,

–ভাই বেঈমান টাকে নিয়ে তো সেই লোকটা গায়েব হয়ে গেছে। এখন কি করবেন?

–কি আর করবো, সবাই মিলে তাঁদের ড্রয়িডের ভিতরে ঢুকবো। তারপর হাঙ্গামা মাচাবো।

–ঠিক আছে ভাই চলেন। আর একটা জিনিস কিন্তু সেই ছিলো। আপনি হুট করেই বোম দেখিয়ে সবাইকে ভয় পাইয়ে দিয়েছেন। তার উপরে বেঈমান টাকে বলেছেন তার রক্ত দিয়েই নাকি বোম তৈরী করা হয়েছে। ভাই বিশ্বাস করেন এই কথাটা শুনে আমার চরম হাসি পাচ্ছিলো এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও।

–টেকনিক না খাটালে আজ তাঁদের বদলে আমরা শেষ হতাম। তাই টেকনিক খাটিয়েছি। আচ্ছা শোন এখন এসব কথাবার্তা বাদ দিয়ে রেখে সবাই সামনে আগা ওদের ড্রয়িডের ভিতরে যাবো।

–আচ্ছা ভাই।
.
আকাশের কথা মতন সবাই ড্রয়িডের ভিতরে চলে যায়। ড্রয়িডে ভিতরে গিয়ে সর্বপ্রথম তারা পুরো ড্রয়িডের তল্লাশি নেয়। কিন্তু তারা ড্রয়িডের ভিতরে কাউকেই দেখতে পায়না। কিন্তু রাজ তল্লাশি করতে করতে একটা গোপন দরজা খুঁজে পায়। যেটার কড়ায় তালা লাগানো ছিলো। আর দরজার উপরে লিখা প্রবেশ নিষেধ। রাজ এই খবর এসে আকাশকে দেয়। আকাশ সবাইকে নিয়ে দরজার সামনে আসে। তারপর একজনকে বলে দরজা ভেঙ্গে ফেলতে। আকাশের কথা মতন একজন পিস্তলের ডাট দিয়ে তালায় বাড়ি মেরে দরজা ভেঙ্গে ফেলে। দরজাটা ভাংতেই দেখে বিশাল বড় সুরঙ্গের মতন রাস্তা। আর সেই রাস্তার মাঝপথে কিনা অবনী পাগলের মতন শুয়ে আছে। যেটা দেখে আকাশ সবাইকে সাথে নিয়ে জলদি করে অবনীর কাছে যায়। অবনীর কাছে যেতেই আকাশ দেখতে পায়, অবনীর মাথা থেকে রক্তক্ষরণ হতে হতে আশেপাশের অনেকটা জায়গা রক্তে লাল হয়ে আছে। যেটা দেখে আকাশের মাথা ঘুরে উঠে! কারন রক্তের পরিমাণটা অনেক বেশি। আকাশ অবনীর মাথা থেকে এমন রক্ত পড়তে দেখে মুহূর্তের জন্য সে ভুলে যায়, অবনী একটা বেঈমান। তাই সে অবনীকে হাত দিয়ে নাড়িতে ডাকতে আরম্ভ করে। তখনি আকাশ অনুভব করে অবনী মরে গেছে…

চলবে….

ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।