স্বপ্নের_crush ? (in reality)
Part-27 +28
writer : Borno ☺
ছদ্দনামঃ Samiya Arohi
.
আরোহিদের কলেজ থেকে ২৯ ডিসেম্বর পিকনিকে নিয়ে যাওয়ার হবে৷৷ এটা ৫ দিনের ট্যুর,, বান্দরবান স্পটেই নিউ ইয়ার উদযাপন করা হবে ,,, আর ওদের সাথে ৩জন টিচার যাবে,,২ জানুয়ারি ওরা ব্যাক করবে।
২৯ তারিখ,
আজ আরোহির কলেজের সবাই বান্দরবানের জন্য রওনা দিবে,, রওনা দেওয়ার সময় হলো ভোর ৪ টা, সবাই তো জানেনই আরোহি ঘুমাতে কত্ত পছন্দ করে,, তাই আজকে আরোহি সবাই থেকে লেট,, অলরেডি ভোর ৪ টা ১০ বাজে,, সবাই চলে এসেছে,, কিন্তু আরোহি নেই,, আহান তো প্রচন্ড টেনশনে পড়ে গেছে আরোহি আসবে কি না ভেবে ভেবে,,
অবশেষে ৪ঃ১৮ মিনিটে আরোহি পৌঁছালো,, লেট আসার জন্য স্যারদের কাছে অনেক বকা খেলো,,,, বাসে উঠে দেখে একমাত্র আহানের পাশের সীটটাই ফাঁকা,, দেখেই আরোহির রাগ উঠে যায়,, তাই আরোহি গিয়ে নিহাকে বলে আহানের পাশে বসতে,, নিহা তো সেদিন থাপ্পড় খেয়ে আর আহানের সামনে যাওয়ার সাহস করেনি,, তারপরও আরোহির কথা শুনে যেই আহানের পাশে বসার জন্য উঠতে যায় আহান নিহার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে দেখেই ভয়ে নিজের সীটে বসে পড়ে,, পরে আরোহিকে বাধ্য হয়ে আহানের পাশেই বসতে হয়,, কারণ আরোহি আবার সীট নিয়ে সমস্যা করলে স্যার ওকেই বকবে,, অলরেডি স্যাররা ওকে একবার বকেছে,, তাই বাধ্য হয়ে আহানের পাশে বসে পড়লো,, আরোহি জানালার পাশে বসলো।
বাস নিজের মতো চলতে শুরু করে,, সবাই অনেক আনন্দ করছে ৷৷ আরোহিরও ইচ্ছা করছে সবার সাথে মজা করতে কিন্তু আহানের পাশে বসেছে তাই ওদের সাথে তাল দিতেও পারছে না,, তাই রেগে মিতু, নিশা আর আহানকে কয়েক দফা গালি দিয়ে দিলো, অরনিরই বোন,, তাহলে ভাবুন গালিগুলো কেমন হবে,,
আরোহিকে চুপ থাকতে দেখে আহান বুঝতে পারলো আহানের পাশে ও কমফোর্টেবল না,, তাই উঠে সামনের সীটের সাথে হেলান দিয়ে অন্যদের সাথে দাঁড়ায়,,
আরোহিঃ ( একটা নিশ্চিন্তের প্রশ্বাস ছেড়ে,, উফফ এতক্ষনে একটু দম নিতে পারলাম,, আহান পাশে বসার কারনে আমার হার্ট বিট যতো জোরে লাফাচ্ছিলো,, তার উপর ওর উপর রাগ দেখাতে গিয়ে আমার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে)
আহানঃ ( আরোহিকে দেখে মনে মনে) কি ব্যাপার ম্যাডাম এতো দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন কেন? তার মানে আমি পাশে থাকায় নিশ্চয় কিছু হয় ? তার মানে আমার জন্য এখনও ফিল করে
সবাই একসাথে হাত তালি দিয়ে গান করছে ,,, আরোহিও এনজয় করছে,, আহান ফ্রেন্ডদের সাথে দাড়ানোর কারনে আরোহি দুই সীটে একাই রাজ করছে,, সবার সাথে এনজয় করতে আরোহি সরে এসে আহানের সীটে বসে,,
সবাই এক এক করে গান করছে, এবার আহানকে গান গাইতে বলা হলো,, আহান ওর গিটার নিয়ে এসেছিলো,, আহান গীটার নিয়ে একটা সীটের হ্যান্ডেলে বসলো,, গীটার টুং..টাং বাজাতে বাজাতে জাস্টিন বিবারের ‘বয়ফ্রেন্ড ‘ গান ধরলো,, আরোহির প্রিয় সিংগার জাস্টিন বিবার,, এটা অরনি আহানকে আগেই বলে দিয়েছিলো ,, আহান গান শুরু করতেই সবাই একসাথে র্যাপ করে শুরু করলো,
If I was your boyfriend, I’d never let you go
I can take you places you ain’t never been before
Baby, take a chance or you’ll never ever know
I got money in my hands that I’d really like to blow
Swag, swag, swag, on you
Chillin’ by the fire while we eatin’ fondue
I don’t know about me but I know about you
So say hello to falsetto in three, two, swag
এবার আহান আরোহির দিকে তাকিয়ে একা গাইতে লাগলো,
I’d like to be everything you want
Hey girl, let me talk to you
If I was your boyfriend, never let you go
Keep you on my arm girl, you’d never be alone
I can be a gentleman, anything you want
If I was your boyfriend, I’d never let you go, I’d never let you go
আরোহি এই প্রথম আহানকে সামনাসামনি গাইতে শুনছে তার উপর ওর ফেভারিট গান,, এক দিকে যেমন আরোহির ভালো লাগছে অন্যদিকে ওর গা শিউরে উঠছে,, লোমগুলো সোজা হয়ে গেছে,, যেন লোম কূপ থেকে ছুটে যাবে,, একদিকে আহানের গান অন্যদিকে গানের লিরিক্স গুলো,, আরোহি পুরো জমে গেছে,, গান শেষ হতেই সবার হাত তালিতে আরোহির ধ্যান ভাঙ্গে,, আরোহি আহানের দিকে এভাবে চেয়ে ছিলো ভাবতেই নিজেই লজ্জা পায়,, আহানের সীট থেকে সরে এসে নিজের সীটে বসে,, আহানও নিজের সীটে ফিরে আসে,,
আরোহি মুখটা জানালার দিকে ঘুরিয়ে রেখেছে,, নিজের কাজে বড্ড লজ্জা পেয়েছে ও,, আহান একটা ছোট্ট মুচকি হাসি দিয়ে কানে ইয়ার ফোন গুজে সীটে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে গান শুনতে থাকে,, বাসে প্রায় সবাই নিজের নিজের সীটে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করছে
একটুপর আরোহি হুট করে আহানের হাত জাপটে ধরে,,,
আহানঃ (হঠাৎ করে আমার হাত ধরায় চমকে উঠি,, চোখ খুলে দেখি আরোহি আমার হাত ধরে চোখ বন্ধ করে আছে) আরোহি,৷ আর ইউ অলরাইট?
আরোহিঃ (অনেক কষ্টে বললো) আ..আমার উচুতে ভ..ভহ লাগে
আহানঃ আরে এটা তো সামান্য উচু,, এক্ষুনি আবার নিচুতে নেমে যাবো
আরোহিঃ উচুতে উঠতে না উচু থেকে নামতে ভয় লাগে,, মনে হয় এই বুঝি পড়ে যাবো,, প্লিজ,, কিছু মনে কোরো না, তোমার হাতটা একটু ধরে রাখি
আহানঃ ওকে (আমি তো চাই তুমি সারাজীবন আমার হাতটা ধরে রাখো)
আরোহি সারা রাস্তা আহানের হাত ধরে রেখেছে,, যখন উঁচু রাস্তায় উঠে তখন মজা পায় কিন্তু যখনই উঁচু থেকে নিচে নামতে যায় তখনই আরোহি আহানের হাতটা শক্ত করে ধরে ফেলে,,, এভাবে হঠাৎ আরোহি আহানের কাধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ে,, আর আহান মুগ্ধ হয়ে আরোহিকে দেখতে থাকে আর আফসোস করে,, ” যদি আরোহিকে আগেই সব বলে দিতো তাহলে আজ আরোহি ওর থেকে দূরে থাকতো না ”
অবশেষে সবাই বান্দরবান পৌঁছায়,, আহান আরোহিকে ঘুম থেকে উঠায়,, আরোহি ঘুম থেকে উঠে নিজেকে আহানের হাত জড়িয়ে থাকতে আবিষ্কার করে,, লজ্জায় তো বেচারির মাটির নিচে ঢুকে যেতে ইচ্ছা করছে,, আহানের দিকে অনেক কষ্টে মুখ তুলে তাকাতেই আহান আরোহির দিকে একটা টেডি স্মাইল দিয়ে বাস থেকে নেমে যায়,, এরপর আরোহিও বাস থেকে নেমে যায়,,,
আহানঃ [বাস থেকে নেমে একটুপর পেছনে ঘুরে দেখি আরোহি একটা ছেলের সাথে বেশ হেসে কথা বলছে, ভালো করে খেয়াল করে দেখি এটা সেদিনের ছেলেটা যে আরোহিকে কলেজ গেট থেকে গাড়িতে করে নিয়ে গেছিলো, আরোহিকে অন্য ছেলের সাথে কথা বলতে দেখে আমার রাগ উঠে যায়, কিন্তু আরোহিকে এদিকে নিয়ে আসবো কিভাবে? ] ??
আরোহিঃ [বাস থেকে নামতেই তৌহিদের সাথে দেখা হয়,, তৌহিদ আমার কাজিন,, আমার থেকে জাস্ট ৭মাসের বড়,, কিন্তু ক্লাসের দিক থেকে ১ বছরের বড়। আমরা অনেক ভালো ফ্রেন্ডও হয়,, আহানকে ঠিক করতে তৌহিদ আমাকে সাহায্য করবে বলেছে তাই এখানে এসেছে,,]
তৌহিদঃ আরোহি,, তোর ক্রাশ তো আমাকে তোর সাথে দেখে রেগে গেছে,, মনে হয় জেলাস
আরোহিঃ (হেসে হেসে) ভালো হয়েছে,, এটা তো কেবল শুরু, ,, ওকে নিহার সাথে দেখে আমার কেমন লাগতো ওর ও বোঝা উচিত
তৌহিদঃ হুম,, সব ঠিক আছে কিন্তু তুই এমন ব্যাক্কলের মতো অযথা হাসছিস কেন? ?
আরোহিঃ আরে ছাগলের ঠ্যাং,, আমাকে তোর সাথে হাসতে দেখলে ও আরও বেশি জেলাস ফিল করবে,, আরও হাস আরও হাস ??
তৌহিদঃ ?? তা তো ঠিক আছে হাসছি, কিন্তু অযথা এতো হাসতে গিয়ে আমার মাড়ি ব্যাথা করছে ? এখন তো হাসির সাথে কাদতেও ইচ্ছা করছে ????
আরোহিঃ হুহ তুই কোনো কাজেরই না,, থাক তুই (বলেই চলে যেতে নিলে তৌহিদ আমার হাত ধরে নিলো)
তৌহিদঃ আরে বোন দাঁড়া, সরি আর হবে না, যা বলবি তাই শুনবো
আহানঃ ( হঠাৎ ছেলেটা আরোহির হাত ধরলো, দেখেই আমার মেজাজটা চরম পর্যায়ে চলে গেলো,, তার আর থাকতে না পেরে ওদের দিকে এগোতে লাগলাম)
আরোহিঃ এই এখানে বোন বলে ডাকিস না,, আহান শুনে ফেলতে পারে,, জানু বলে ডাকবি
তৌহিদঃ ওকে জানু
আহান শুধু “ওকে জানু” কথাটা শুনলো ,, শুনে তো আহান মনে হয় এখনই তৌহিদকে মেরে ফেলবে ?,, হাত শক্ত করে মুট বেধে আরোহির পাশে দাঁড়িয়ে বললো,
আহানঃ আরোহি স্যার আমাদের ডাকছে
আরোহিঃ [আমাকে আর তৌহিদ কে দেখিয়ে] আমাদের?? ?
আহানঃ [ দাঁতে দাঁত চেপে ] আমাদের মানে আমরা স্টুডেন্টদের
আরোহিঃ ওহ,, (তৌহিদকে) ওকে জানু, বাই উম্মম্মাহ (ফ্লাইং কিস দিয়ে)
তৌহিদঃ ??? বা..বাই
আহানঃ ? ??[ আরোহির হাত ধরে টেনে নিয়ে আসলাম, এসব আর সহ্য হচ্ছে না]
তৌহিদঃ ( বোন আজ তো তুই শেষ ? তোর ৪০শা তে দাওয়াত দিস)
.
to be continued…… ?
স্বপ্নের_crush ? (in reality)
Part-28
writer : Borno ☺
ছদ্দনামঃ Samiya Arohi
.
আহান আরোহির এক হাত ধরে আরোহিকে টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে,, আর আরোহি নিজেকে ছাড়াতে আহানের হাতে চিমটি দিচ্ছে আরও কত কী! কিন্তু আরোহি শত চেষ্টা করেও নিজেকে ছাড়াতে পারছে না, সবই বৃথা। আহানের ঐ বিশাল স্টিল মত বডির সাথে আরোহি নিজের পাটকাঠির মতো শরীরের শক্তি দিয়ে থামাতে পারছে না,, অবশেষে আরোহি সামনে একটা গাছ দেখতে পেয়ে এক হাত দিয়ে গাছটাকে আকড়ে ধরলো,, এবার আহান একটু থেমে পেছনে তাকিয়ে দেখে, আরোহি সব শক্তি দিয়ে গাছকে আকড়ে ধরে আছে,,
আহানঃ (রেগে) ?? গাছ ধরে আছো কেন?
আরোহিঃ (একটা শান্তির নিশ্বাস ফেলে) ? নয়তো কি করব??? সেইইইই কখন থেকে হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছি কিন্তু আপনার সাথে পারাই মুশকিল
[আহান এবার রেগে আরোহির হাত চেপে ধরে ওকে নিজের দিকে টান দিয়ে আরোহির হাত পেছনে ঘুরিয়ে নিজের সাথে চেপে ধরলো]
আহানঃ কেন? আমি তোমার হাত ধরলে সমস্যা কিসের? ঐ ছেলেটা যখন ধরলো তখন সমস্যা হয়নি তো! ?
[এটা শুনে আরোহি রেগে আহানকে ধাক্কা দিলো,, যদিও আরোহির ধাক্কায় আহানকে সেভাবে নড়াতে পারেনি]
আরোহিঃ তুমি নিহার সাথে ঘেষে ঘুরাঘুরি করার সময় কোনো সমস্যা যখন ছিলো না, তাহলে আমিও তৌহিদের সাথে হাত ধরাধরি করলে সমস্যা হওয়ার কথা না মি.আহান ?
(আহান আরোহির হাত চেপে ধরার কারনে ব্যাথায় আরোহির চোখটা ছলছল করে উঠলো,, কিন্তু আরোহির আপ্রাণ চেষ্টায় চোখের পানি গড়িয়ে নিচে পড়লো না)
আহানঃ (এবার আরোহির হাতটা সামনে এনে হাতে একটা ? দিয়ে আরোহির হাতটা নিজের দুই হাত দিয়ে আলতো করে ধরলো,, হয়তো আরোহির চোখ দেখে ওর কষ্ট টা বুঝতে পেরেছে) দেখো আরোহি নিহার সাথে আমার কখনও কোনো রকম সম্পর্ক ছিলো না,, আমি তো তোমাকে জেলাস করতে নাটক করেছিলাম,, আম সরি প্লিজ
আরোহিঃ তাহলে এখন প্রায়শ্চিত্ত করেন
আহানঃ (খুশি হয়ে) তার মানে তুমি আমায় ক্ষমা করে দিয়েছো!!? ?
আরোহিঃ (হতবম্ভ হয়ে) ? আমি সেটা কখন বললাম!! আজিব তো হুহ সরুন আমার সামনে থেকে [বলেই এবার আহানকে জোরে ধাক্কা দিয়ে হোটেলের দিকে চলে আসলাম ] (মনে মনে) আহান তোমাকে এতো তাড়াতাড়ি মাফ করবো না,, তুমি আমায় অনেক কষ্ট দিয়েছো,, আমিও তোমাকে তেমন কষ্ট দিবো তবে বেশি না, কারণ আমি জানি প্রিয় মানুষের এমন কাজে কেমন কষ্ট হয়, তোমায় শুধু একটু করে ফিল করাবো আমি কেমন কষ্ট পেয়েছি ]
আহানঃ (আরোহির চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে মনে মনে) জানি অভিমান করেছো, এই অভিমান আমি ভাঙাবো,, কিন্তু প্লিজ সবার মতো আমাকে ছেড়ে চলে যেও না
___________________
হোটেলে,
হোটেলে প্রতিটা রুমে ৪ জন করে থাকবে,, আরোহিদের রুমে রয়েছে, আরোহি, মিতু, নিশা আর মাহি,,, এই মাহি মেয়েটা আহানের উপর অনেক আগে থেকেই ক্রাশড,, এমনকি অর্ণবের উপরেও, আহানের আগে মাহি গুণে গুণে আরো ২৬ জনের উপর ক্রাশ খেয়েছিলো ??? মাহির ইচ্ছা সে বিয়ের আগে এ বিষয়ে হাফ সেঞ্চুরি করবে ??
আরোহিদের পাশের রুমেই আহান আর অর্ণব সাথে ওদের আরও ২ জন ফ্রেন্ড উঠছে,,, আপাতত আরোহি সেটা জানে না (জানার বিষয় গুলোই জানতে পারে না এটা জানা তো দূরের কথা ??)
রাতে,
আরোহিঃ ( অনেক্ষণ ধরে দেখছি মাহি বারান্দায় দাঁড়িয়ে পাশের বারান্দায় উঁকি দিয়ে কিছু দেখার চেষ্টা করছে, কেন যেন বিষয়টা দেখতে ইচ্ছা করলো তাই মাহির কাছে গেলাম) মাহি!
মাহিঃ (চমকে) ? ওহ তুমি! ?
আরোহিঃ কি করছিলে?
মাহিঃ আমার ক্রাশদের দেখার চেষ্টা করছিলাম
আরোহিঃ ক্রাশদের!!
মাহিঃ (লজ্জা পেয়ে) ?? হুম আসলে ওরা বেস্ট ফ্রেন্ড তো,, আমার একটাকে পেলেই চলবে
আরোহিঃ (মজা করে) বাব্বাহ!! মেয়ে তো দেখ লজ্জা পাচ্ছে,, তা আমাকেও দেখাও কে সে
মাহিঃ আরে তোমাকে দেখালে তুমিও ক্রাশ খাবে,, তখন যদি তোমার পছন্দ হয়! মেইবি চেনো তুমি
আরোহিঃ [(মনে মনে) আমার তো একজনকেই পছন্দ] আরে ডোন্ট ওয়ারি, তোমার ক্রাশ তোমারই থাকবে,, তুমি যেন তোমার ক্রাশকে পাও আমি দুয়া করে দিবো
মাহিঃ owww so sweet of you
[? আরোহি ভুলেও এই দোয়া করিস না পাগলি ??]
আরোহিঃ তা কে সে?
মাহিঃ ঐ যে দেখো, বারান্দায় এসেছে
আরোহিঃ [পাশের বারান্দায় তাকাতেই আরোহি অবাক ?] আ..আহ..হান
মাহিঃ বলেছিলাম না তুমিও নিশ্চয় চেনো
আহানঃ (আমি ফোনে কথা বলতে বলতে বারান্দায় এসে দেখি আরোহি আর সাথে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে, আমি আরোহিকে দেখে হাত নাড়িয়ে হাই ?দিলাম ]
মাহিঃ (খুশি হয়ে ফিসফিস করে) আরোহি মনে হয় তোমার দোয়া কবুল হয়েছে,, দেখো আহান আমাকে হা..হাই দিলো ??
এদিকে আরোহি তো রেগে বোম্ব
আরোহিঃ ??? (আহানের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে মনে মনে) বেটা বজ্জাত, চোর বিড়াল, বানরের মালিক, বদের হাড্ডি আমার সামনে অন্য মেয়ের সাথে ফ্লার্ট করা!! ? তুই জীবনে ঠিক হবি না ? ( মাহির দিকে তাকিয়ে আরোহি তো রেগে মনে হয় এবার ফেটেই যাবে) লুচ্চু মাইয়া, আমার হবু বর উপর নজর দেয় ? আর আমি কি না কি সব দোয়া করবো বলছি!! ?? লুচু মাইয়া তোর বর জুটবে না হুহ ( মাহির হাত ধরে টেনে ঘরে নিয়ে এলাম)
মাহিঃ কি ব্যাপার এভাবে নিয়ে এলে কেন?
আরোহিঃ ???? তুমি আহানের সামনে যাবা না
মাহিঃ কেন? ??
আরোহিঃ ওর বিয়ে ঠিক হয়েছে
মাহিঃ তো? ওর তো আর বিয়ে হয়নি এখনও, আর তুমি কিভাবে জানো?
আরোহিঃ আ..আমার পরিচিতার সাথে বিয়ে
মাহিঃ ওহ
আরোহিঃ তোমার না আর একটা ক্রাশ আছে,, ওকে নিয়ে এগিয়ে যাও
মাহিঃ ওহ অর্ণব
আরোহিঃ (অবাক হয়ে) অ..অর্ণব!! ?
মাহিঃ হুম, ডোন্ট টেল মি যে এবার অর্ণবেরও বিয়ে ঠিক হয়েছে
আরোহিঃ আ..আসলে..
মাহিঃ যাই হোক অর্ণব বা আহান আমার তো একজনকে হলেই চলবে,, আহানের বিয়ে হলেও সমস্যা নাই। আচ্ছা আমার ঘুম পেয়েছে,, বাই (বলেই মাহি কিছু না শুনে ঘুমাতে চলে গেলো)
আরোহিঃ ??? (মনে মনে) লুচু মাইয়া আমার আহান রে কাইরা নিতে চায় ?? OMG!! এই মেয়ে তো অর্ণবের পিছনেও পরেছে,, অরনিকে বলা লাগবে এ বিষয়ে,,,
___________________
আরোহির মনটা খারাপ হয়ে আছে,, তাই উপরে হোটেলের বড় বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে রাতের ঠান্ডা বাতায় উপভোগ করছে,, বারান্দাটা ১২ তলায়,, এটা অনেক বড় বারান্দা,, সবার জন্য,, হোটেলের একটা সাইড জুড়ে বারান্দাটা,,,
আরোহিঃ (হঠাৎ কাধে কারও ছোয়া পেয়ে ভয়ে চিৎকার দিয়ে উঠতে নিলেই কেউ একজন মুখ চেওএ ধরলো)
কেউ একজন ফিসফিসিয়ে বললো,
– ভয় পেয়ো না, আমিই তো (বলেই মুখ থেকে হাত সরাতেই)
আরোহিঃ আহান!
আহানঃ হুম,, আর কে হবে?
আরোহিঃ হুহ, এখানে কি করছেন? যান মাহির কাছে গিয়ে ওর সাথে ফ্লার্ট করেন
আহানঃ মাহি কে?
আরোহিঃ কে মানে? একটু আগেই যাকে হাই দিলেন আমার সামনে ?
আহানঃ আরেএ আমি তো তোমাকে হাই দিয়েছি
আরোহিঃ মিথ্যা কথা
আহানঃ মিথ্যা কেন বলবো?
আরোহিঃ (ফুপিয়ে ফুপিয়ে) কা..কারণ আমি ভুল করে প্রে ক..করে ফেলেছি মাহি যেন ওর ক্রাশকে পায়, আর ওর ক্রাশ আপনি, আর আমার ভুল প্রেয়ার কবুল হয়ে গেছে আমি বুঝতে পারছি ???? ( বলেই কাদতে লাগলো)
আহানঃ (ওর কথা শুনে এতো হাসি পাচ্ছে কিন্তু অনেক কষ্টে হাসি ধরে রেখে ওর চোখে পানি মুছে বললাম) আরে পাগলি আমি তো তোমারই আছি,, আর তোমারই থাকবো,, ভয় পেয় না,, আর আমি অনলি আরোহির।
আরোহিঃ ??
লজ্জায় আরোহির গাল দুটো লাল হয়ে গেছে,, এই চাদের আলো সাথে এই লজ্জা মাখা চেহারা দেখে আহান মুগ্ধ হয়ে আরোহির দিকে তাকিয়ে আছে,, হঠাৎ আরোহির কি যেন মনে হতেই আহানকে ধাক্কা দিয়ে দৌড় দিয়ে চলে গেলো,,
আহানঃ (একটা নিশ্বাস ফেলে পকেটে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে চাদের দিকে তাকিয়ে) আরোহি আমি জানি তুমি আমায় অনেক ভালোবাস কিন্তু আমি ভুলে তোমায় অনেক কষ্ট দিয়েছি তাই তুমি আমায় এতো তাড়াতাড়ি ক্ষমা করতে পারছো না,, ইটস ওকে,, আ’ম ওয়েট ফর দ্যা ডে হোয়েন ইউ উইল ফরগিভ মি
To be continue……