অনুভূতিহীন পর্ব-২৫ এবং শেষ পর্ব

0
1051

#অনুভূতিহীন (পর্ব ২৫ এবং শেষ)
#মেহেদী_হাসান_রিয়াদ

ক্লান্তিতে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া আরশিকে কোলে নিয়ে মেইন রোডের পাশে এসে দাড়ালো রিদ। সে নিজেও ক্লান্তিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পাচ্ছে না। নাক মুখ থেকে র/ক্ত গড়িয়ে কোলে নেওয়া আরশির গায়ে আছড়ে পরছে। পাশে মা ও হেলান দিয়ে বসে আছে রাস্তার পাশে একটা গাছের সাথে।
তখন ফজর পেরিয়ে হালকা আলো ফুটে উঠেছে। রাস্তায় তেমন গাড়িও চোখে পরছেনা তার।
কিছুক্ষন পর শুরু হলো সি’এন’জি এর ছুটা-ছুটি। সকাল সকাল তারা গাড়িতে গ্যাস নিতে যাচ্ছে। ওখান থেকে একটা সি’এন’জি নিয়ে মা ও আরশিকে তুলে হসপিটালের উদ্দেশ্যে ছুটলো সে।
,
,
রিদ ও তার ফ্যামিলির এমন অবস্থা দেখে হসপিটালের বাকি ডাক্তার টা উত্তেজিত হয়ে দ্রুত ভেতরে নিয়ে যাচ্ছে তাদের। আরশি আর মা,, দুজনের হাত নিজের দুই হাত দিয়ে ধরে রেখেছে রিদ। রিদের থেকে ছাড়িয়ে তাদের ভেতরে নিয়ে গেলো। কিছুক্ষন পর দুই চোখ বন্ধ করে ফ্লোরে ঢলে পরলো রিদ নিজেও।

জ্ঞান ফিরলে দেখে মাথায় বেন্ডেজ করা তার। একটু উঠতেই দেখে মাথাটা ভাড় হয়ে আছে। বেড থেকে নামতেই একটা নার্স এগিয়ে আসে। রিদ হাতের ইশারায় থামিয়ে দিয়ে বলে,
– আই এম ফাইন, তারা দুজন কোন কেবিনে? জ্ঞান ফিরেছে?
– জ্বি একটু আগে ফিরেছে। এখনো সেলাইন চলছে।
– আচ্ছা,,
বলেই তাদের কাছে চলে গেলো রিদ। দেখে মা চোখ বুজে শুয়ে আছে। তাকে দেখেই চোখ মেলে তাকায়। একটু করুন স্বরে বলে,
– তোর বাবা কোথায়? ঠিক আছে তো ও?

নিশ্চুপ হয়ে আছে রিদ। নির্জনের হাতে যেহেতু পরেছে খুজে পাওয়া যাবে না তাকে আর। মা কে কোনো উত্তর না দিয়ে চুপ করে আছে।
ছেলের এমন নিরবতা দেখে, কি বুঝে অন্য দিকে তাকিয়ে যায় সে। চোখ গড়িয়ে পরতে থাকে নোনা জল।

এর পর গেলো আরশির পাশে। দেখে আরশি ঘুমিয়ে আছে। রিদ তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেই চোখ মেলে তাকায় সে। রিদের মাথায় বেন্ডেজ দেখে হাত বাড়িয়ে তা ছুয়ে বললো,
– আপনি ঠিক আছেন?
– হুম আমরা সবাই ঠিক আছি।
– মামা কোথায়?(আরশির শান্ত গলা)
প্রশ্নটা আর নিতে পারছেনা রিদ। তারই তো বাবা। কষ্ট তো সবচেয়ে বেশি তারই হওয়ার কথা। আর এখন এমন পরিস্থিতিতে তারই সবাইকে শান্তনা দিতে হচ্ছে।

আরশি পেটে হাত রেখে বললো,
– আর আমার বাবু,, ও ঠিক আছে?
রিদ এক হাতে আরশির চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো,
– টেনশন করোনা, কিছু হয়নি।
রিদ বের হওয়ার আগে নার্সকে বললো,
– এখান থেকে কোথাও যাবেনা তুমি। ওদের খেয়ার রাখবে। আর কিছু হলেই আমায় ডাক দিবে।
– ওকে স্যার।

চোখ দিয়ে গড়িয়ে পরা অশ্রু কনা টিসু দিয়ে মুছে নিলো রিদ। এক দিনেই জীবনের সব এলোমেলো হয়ে গেলো তার। মা আর আরশির জন্য খাবার আনলেও কেউই খাচ্ছে না। তবুও খুব জোড় করে কিছু কেক আর জুস খাইয়ে আবার শুইয়ে রেখেছে। একটু সুস্থ হলেই বাড়িতে নিয়ে যাবে তাদের।
,
,
অনেক দিন কেটে গেলো। বাবার আর খোজ পায়নি রিদ। গুজব রটেছিলো, বিজনেসএ লস খাওয়ায়, সব কিছু বিক্রি করে সবাইকে রেখে দেশের বাইরে পালিয়ে গেলো সে।
রিদ চাইলেও কিছু করতে পারেনি। নির্জনের ছায়াও খুজে পাওয়া যায়নি তার। অফিস, ফেক্টোরি সব বন্ধ ছিলো প্রায় দুই বছর। এর পর কারা চালু করেছে, তাদের চিনেও না সে। তবে এটা বুঝতে পারছে এরা সবাই নির্জনের কথায় চলা লোক। নির্জনের যা ডোকোমেন্স ছিলো সবই ফেইক। এই নামের এমন কোনো মানুষই নেই।

রিদের ছেলের বয়স এখন তিন বছর পার হলো। গুটি গুটি পায়ে ছোটাছুটি করে সারা বাড়িতে। তবে এই বয়সেই অসম্বব বদ মেজাজি একটা ছেলে। যার কারণে আরশি মাঝে মাঝে রাগে চ/র থা/প্পরের উপর রাখে ছেলেকে। চ/র দিয়ে বলে, এই বয়সে এতো রাগ আসে কোথায় থেকে তোর?
ওই দিন তো আরিশা আপুর ছেলের সাথে মারামারি করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তার।
তবুও ছেলেকে যেমন শাসন করে তার চেয়েও বেশি আদরে রাখে তাকে। কারণ এই ছেলেটাই তার সব।
,
,
ঐ দিনের পর থেকে রিদকে আর তেমন একটা হাসতে দেখেনি আরশি। সারাক্ষন মন মরা হয়ে থাকতো। এখন ছেলে পেয়ে কিছুটা হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করে সে।

আরো এক বছর পার হলো। তার ছেলের বয়স এখন চার বছর। দাদির সাথে গল্প করছে সে। একটু পর বাবা মায়ের সাথে শপিংএ যাবে।
ওদিকে আরশিকে শাড়ি পরিয়ে দিচ্ছে রিদ। এতো বড় হয়েও ন্যাকামি একটুও কমেনি তার। মিঠি মিঠি হাসছে আরশি। রিদ আরশির পেটে ঠোঁট চুইয়ে দিলো। এখনো তার ছোঁয়াতে কেঁপে উঠে আরশি।
তার ধারণা সেই প্রথম থেকেই অনুভূতিহীন এই মানুষ টা। তবে মাঝে মধ্যে এমন এমন কান্ড করে বসে, মনে হয় পৃথিবীর সবচেয়ে রোমান্টির মানুষটা আরশির সামনে দাড়িয়ে।

ছেলেকে নিয়ে বেড়িয়ে গেলো তারা শপিং করার উদ্দেশ্যে। বাট ওখানে ঘটলো আরেক বিপত্তি। তাদের ছেলে সেই ছোট থেকেই জন্মের ঘার ত্যারা৷ শপিং করতে গিয়ে তার পছন্দের কয়েকটা জামা কিনেনি। যেগুলো রিদ আরশির কারোরই পছন্দ হয় নি।
পিচ্চি ছেলে ওখানে কিছু বলেনি। শুধু রাগে ফুলছিলো।
কিন্তু বাসায় এসে খুজে খুজে তার সব জামা বের করে ড্রয়িং রুমের মেঝেতে ফেলে আ/গুন লাগিয়ে পু/ড়িয়ে ফেলে।
ছেলের কান্ড দেখে কপালে হাত রেখে একটা নিশ্বাস ছারে রিদ। আরশি কিচেন থেকে বেড়িয়ে কোমরে হাত দিয়ে ছেলের কান্ড দেখে যাচ্ছে।

এর মাঝে আরিশা আপুর মেয়ে জন্ম নিলো। রিদ ও আরশির চাইতেও বেশি আগ্রহ ছিলো তাদের ছেলের। আরিশা আপুর মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললো,
– আম্মু আব্বু, বড় হলে আমি আন্টি মনির মেয়েকেই বিয়ে করবো। আর ওর নামটাও আমি রাখবো।
চেলের এমন কথায় একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে রিদ আরশি। বলে কি এই পিচ্চি ছেলে?
,
,
ছেলে এখন পড়ে ক্লাস সিক্স এ। নাস্তা নানিয়ে টিফিনের জন্য দিলো আরশি। পড়াশুনায় সব ক্লাসেই সবার থেকে এগিয়ে। যেমন দুষ্টু, পরাশুনায়ও তেমন মনোযোগি।

ওই দিন আরিশা আপুদের বাসায় গিয়েছিলাম। আরিশা আপুর মেয়েটার বয়স এখন সাত বছর৷ টু তে পড়ে। তাদের বাসায় একটা অনুষ্টান ছিলো। আরিশা আপুর মেয়ে ওখানে আসা একটা ছেলের সাথে খেলা করছিলো।
তখন আমার বদ মেজাজি ছেলেটা ওখানে গিয়ে ঠান্ডা মাথায় ছেলেটাকে বললো,
– ওর সাথে আর মিশবি না।
কিন্তু ছেলেটা তার কথায় কান না দিয়ে আরিশা আপুর মেয়ের হাত ধরে বললো,
– এই চলোতে আমরা অন্য কোথাও গিয়ে খেলবো।
ব্যাস আর কিছু বলা লাগেনি আমার ছেলেটাকে। পাশ দিয়ে একটা লোক কিছু কোকের বোতল নিয়ে যাচ্ছিলো। পকেট থেকে হাত বের করে ওখান থেকে একটা কাঁচের বোতল নিয়ে ছেলেটার মাথায় বা/রি বসিয়ে দেয় তার সর্ব শক্তি দিতে।
আরিশা আপুর মেয়েটা ভয়ে একপাশে সরে গিয়ে কাঁপতে লাগলো। আর ঐ ছেলেটা মাথা হাত দিয়ে চেপে ধরে ফ্লোরে শুয়ে চিৎকার করতে লাগলো। মাথা দিয়ে র/ক্ত ঝড়ছে অঝরে।
এমন একটা কান্ড ঘটিয়ে ওয়েটারের পকেট থেকে টান দিয়ে টিসু নিয়ে হাত মুছে আরিশা আপুর মেয়ের হাত ধরে সেখান থেকে কিচুটা দুড়ে এনে রাগি দৃষ্টিতে বলে,
– তোকে না বললাম, কোনো ছেলের সাথে মিশতে পারবি না?
আরিশা আপুর মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললো,
– আর কারো সাথে মিশবো না ভাইয়া।

আমার ১১ বচর বয়সি ছেলেটা এমন একটা কান্ড ঘটিয়ে ফেলায় সারা শরির কাপতে থাকলো আমার। কিন্তু আমার ছেলের চোখে মুখে একটুও ভয়ের ছাপ দেখিনি। মনে হচ্ছে এক সাথে অনেক গুলো যুবকের সাহস সে এই বয়সেই অর্জন করে নিয়েছে।

আমার ছেলেটা আপেল হাতে নিয়ে ছু/রি দিয়ে কে/টে কে/টে খাচ্ছে। একটু আগে যেই ছেলেটার মাথায় বারি দিয়েছিলো ওই ছেলেটার বড় ভাই এসে আমার ছেলের গালে চ/র বসিয়ে দিলো।
আমার খারাপ লাগলেও চুপ করে দাড়িয়ে আছি আমি। কারণ আমি জানি আমার কিছু বলতে হবে না, সে নিজেই এর পাল্টা জবাব দিয়ে দিবে।
বিপরিত ছেলেটা তার চেয়েও কয়েক বছরের বড় হবে। তবুও একটুও ভয় না পেয়ে আপেল ফেলে ছেলেটাকে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে গলায় ছু/রি বসিয়ে দেয়। তারপর উচ্চস্বরে বলে উঠে,
– কার গায়ে হাত তুলেছিস তুই? এখনই এখানে এক টানে জা/ন বের করে ফেলবো তোর।
আমি আর দাড়িয়ে না থেকে দৌড়ে গিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিলাম। কারণ ছোট থেকেই ওর যেই পরিমান রাগ, তাতে সত্যিই ওই ছেলেটার গলায় টা/ন দিতে দ্বিতীয় বার ভাববে না।

বাচ্চা একটা ছেলের এতোটা সাহস দেখে আশে পাশের মানুষ গুলো হা করে তাকিয়ে আছে। আমি আমার ছেলের গালে আজও একটা চ/র বসিয়ে দিয়ে বললাম। রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম।
– এগুলো কেমন আছরণ **?
(বিঃদ্রঃ রিদ আরশির ছেলের নাম হাইড করে রাখলাম, যার কারণ গল্পের শেষে বলে দিবো)

চর খেয়ে মাথা নিচু করে আমার সামনে দাড়িয়ে আছে আমার ছেলে। অন্যদের সাথে যাই করুক, আমার আর তার বাবার দিকে চোখ তুলেও তাকায় না সে। সে মাথা নিচু করে খুব শান্ত ভাবে বললো,
– আমার দিকে কেউ মাথা তুলে এগিয়ে আসলেও তার মাথা আ/লাদা করে দিবো আম্মু।

ছেলের কথা শুনে আবারও আমার সারা শরির জুড়ে কাঁপুনি শুরু হয়ে যায়। চুপচাপ মাথা নিচু করে সেখান থেকে চলে গেলো আমার ছেলে।

ওই দিন রাতে রিদ ভাইয়া আমার কড়া গলায় বললো,,
– ছেলের গায়ে আর কখনো হাত তুলবেনা তুমি?
আমি অবাক হয়ে বললাম,
– কেন? ছেলেকে ছোট থেকে শাসন না করলে,,,,
রিদ ভাইয়া আমায় থামিয়ে দিয়ে বললো,
– আমি বলছি তাই তুমি ওর গায়ে হাত তুলবে না। আমি চাই ওর সাহস সিংহের ন্যায় হোক। যার গর্জনে অতিতে পেছনে ছুরি বসানো বেঈমান গুলো পা যেন থর থর করে কাপে।
আমি এক দৃষ্টিতে রিদ ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে রইলাম। সে যেমন #অনুভূতিহীন, কারো প্রতি কোনো অনুভূতি নেই। ছেলেটাও হয়েছে তেমন, কারো প্রতি মায়া দয়া বলতে কিচ্ছু নেই। যত অন্যায়ই করুন, কেও কিছু বলেনা তাকে। তার দাদি তো তার কপালে চুমু দিয়ে বললো,
– আমার সিংহ এটা।
,
,
আমার ছেলের বয়স এখন ২২ বছর। থাকা চারাও তার আলাদা ব্যাক্তিগত একটা রুম আছে। যেখানে সে নিজের কাজ গুলো করে। রাতে আমি এক গ্লাস দুধ নিয়ে তার রুমের দরজার কাছে আসতেই দেখি, ঐ দিন আমার আঁকা নির্জনের ছবিটা সামনে নিয়ে দাড়িয়ে আছে সে। আর তার চার পাশে নির্জনের আরো অনেক গুলো ছবি। নির্জনকে এখন সারা দেশে এক নামে চিনে। তবে নির্জন নামে না। অন্য নামে।
এই ২৩-২৫ বছরে নিজের গ্যাং টা ছোট রাখেনি নির্জন। অনেক বড় সাম্রাজ্য তৈরি করে ফেলেছে।

আমার ছেলে এক হাতে কলম টা ফ্যান এর মতো করে ঘুরাচ্ছে আর র/ক্তবর্ণ চোখে তাকিয়ে আছে নির্জনের ছবিগুলোর দিকে।
তখনি তার পাশে টিভিতে ভেষে উঠে নির্জনকে অনেকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করছে৷
হটাৎই একটা গু/লির আওয়াজে আমার হাত থেকে গ্লাস টা পরে গেলো ভয়ে। সামনে তাকিয়ে দেখি আমার ছেলে গুলি করে চুর্ন বিচুর্ণ করে নিয়েছে টিভিটা। আমার এমন ভয় পাওয়া দেখে একটু হাসলো সে। ঠিক যেমন তার বাবা হাসে।
আমায় এসে জড়িয়ে ধরে বলে,
– ভয় পেয়েছো আম্মু? আমার আম্মু হয়ে তুমি এতো অল্পতে ভয় পাবে এটা কি হয়?

আমি কিছুক্ষন চুপ থেকে বললাম,
– আরিশা আপুর মেয়েকে নাকি তার ফ্রেন্ডদের সামনে থা/প্পর দিয়েছিস তুই? বাড়িতে গিয়ে শুধু কাঁদছে।
আমার কথায় সে একটু হেসে বললো,
– মারবো না কেন বলো আম্মু? ওকে এতো করে নিষেধ করেছি কোনো ছেলের সাথে না মিশতে। আর সে কলেজে উঠার সাথে সাথেই কয়েকটা ছেলে বন্ধু বানিয়ে নিলো। তো মারবো না তো কি আদর করবো?
বলেই রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো ছেলেটা। আমি সোজা হয়ে দাড়িয়ে তাকিয়ে আছি তার ভেঙে ফেলা টিভি টার দিকে। নির্জনের উপর কতোটা ক্ষোভ তার। যে টিভিতে তার চেহারা দেখতেই গুলি চালিয়ে দিলো। আমার ছেলে কখনো আমার চোখের দিকে তাকিয়ে উচু গলায় কথা বলেনি। তবুও তার রাগ গুলো তে আমারও সারা শরির কাঁপতে থাকে। ভয় হয় প্রচুর।

—-সমাপ্ত——