#মন_পিঞ্জর
#লেখিকা_আরোহী_নুর
#পর্ব_৩২
আয়ান আঁখিকে কোলে নেবে তখনি আদৃত এসে ওর হাত ধরে নেয়।
সাহস কি করে হলো আপনার ওকে নিয়ে আসার?আর আপনি এখানে কি করছেন?
দেখুন ড.আদৃত এসব কথা বলার সময় এখন নেই,আঁখি অজ্ঞান হয়ে গেছে কখন থেকে চেষ্টা করছি ওর জ্ঞান ফিরছে না ওকে হাসপাতালে নিতে হবে।
আমি থাকতে ওর চিন্তা আপনাকে করতে হবে না,সরেন সামনে থেকে।
আয়ানকে সাইড কাটিয়ে আদৃত আঁখির পাশে গেলো।
মিস আঁখি,কি হয়েছে আপনার চোখ খুলুন?
তারপর সব রকম চেষ্টা করে আদৃত আঁখির জ্ঞান ফিরাতে পারলো না,আয়ান দুঃশ্চিন্তা ভরা চাহনিতে তাকিয়ে আছে আঁখির পানে।
দেখেন ড.আদৃত আমাদের ওকে পাশের কোনো হাসপাতালে নেওয়া উচিত, ওখানে নিয়ে বুঝা যাবে ওর কি হয়েছে।
তার কোনো দরকার নেই,আমি থাকতে মিস আঁখির কিছুই হবে না।
আদৃত আঁখিকে কোলে নিয়ে নিলো তারপর নিজের রুমের দিকে গেলো,আয়ানও পিছু গেলো।আদৃত আঁখিকে বেডে শুইয়ে নিজের ব্যাগ থেকে একটা ইনজেকশন বের করে আঁখির হাতে পুশ করলো,আয়ান হতবাক হয়ে দেখছে শুধু, আদৃত ইনজেকশনটা দিয়ে আঁখির মাথার পাশে গিয়ে বসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে নরম কন্ঠে বললো।
আপনার কিছুই হবে না মিস আঁখি আমি আছি তো।
আদৃতের কান্ডে আয়ানের গা জ্বলে উঠলো, কটমট কন্ঠে আদৃতকে প্রশ্ন করলো।
আপনি আঁখিকে কি ইনজেকশন পুশ করলেন ড.আদৃত?কি হয়েছে আঁখির?ওর জ্ঞান কেনো ফিরছে না?
সেটা আমি আপনাকে বলা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না,আপনি এখানে এসেছেন কেনো আগে সেটা বলুন?
আগে বলেন ইনজেকশনটা কিসের ছিলো।……..
ওকে না বললেও সমস্যা নেই আমি দেখে নিচ্ছি।
আয়ান ইনজেকশনটা দেখতে ডাস্টবিনের দিকে গেলে আদৃত ওকে আটকে নেয়।
আপনার ওটা দেখতে হবে না,আঁখি এখন একদম ঠিক আছে আপনি যেতে পারেন।
আমি যাবো না আমি আগে দেখবো আঁখিকে আপনি কি ইনজেকশন দিয়েছেন,আঁখির কি হয়েছে তা জানার যথেষ্ট অধিকার আছে আমার।
আর ইউ সিরিয়াস?অধিকার,কিসের অধিকারের কথা বলছেন আপনি?একটা মেয়েকে ইচ্ছেমতো ছুঁড়ে ফেললেন অন্য কারো মোহে পড়ে,তখন তো ওর খোঁজ নেন নি আর এখন আসছেন মিথ্যে অধিকার খাটিয়ে করুনা দেখাতে,ওর উপর আপনার কোনো অধিকার নেই ড.আয়ান কারন ওকে আপনি স্বজ্ঞানে ডিভোর্স দিয়েছেন,ও আপনার কেউ না,তাই অধিকার খাটাতে আসবেন না,আর আরেকটা কথা আজকে ওর যা খারাপ অবস্থা সব আপনার জন্য তাই নিজের বিবেক খাটিয়ে একবার ভেবে দেখবেন আপনি কি আদোও ওর উপর অধিকার খাটানোর যোগ্য,আশা করি আপনি আর যাই হোন বিবেকহীন হবেন না,তাই নিজেকে বিবেকবান পরিচয় দিয়ে আপনি এখন এই রুমটা ত্যাগ করলে খুশি হবো,আঁখির কি হয়েছে তা আপনাকে জানতে হবে না,আপনি যদি ওর জন্য কিছু করতে চান তবে এখনি রুমটা ত্যাগ করুন কারন ওর এখন কোলাহলমুক্ত পরিবেশে বিশ্রাম দরকার।
আয়ান আর কিছু না বলে আঁখির দিকে অসহায়ের মতো একটা চাহনিতে তাকিয়ে চলে যায় সেখান থেকে।
আয়েশা আর নোমান একসাথে হাঁটছিলো,দুজনই নানা গল্পে মশগুল,পিলু পায়ে হাঁটছে দুজন ভালোই লাগছে সুন্দর এই পরিবেশটা,পরিবেশটা যেনো প্রেমাক্ত হৃদয়কে আরও নেশাক্ত করে তুলতে সক্ষম ,কথাটা আয়েশার ক্ষেত্রে সত্য মিলে গেলেও নোমানের ক্ষেত্রে তা কি আদোও মিলে যায় তার অনুমান করা উপস্থিত মুহুর্তে অনেক দূরুহ,হঠাৎ নোমানের একটা ফোন আসলো আয়েশার চোখে গেলো সেইব করা সেই নামে, পুষ্প নামে সেইব করা নাম্বারটা, ফোনটা আসতেই নোমান আয়েশাকে ইমপোর্টেন্ট ফোন বলে পাশে গেলো কথা বলতে যাতে আয়েশা মনে অনেক জ্বালাতন অনুভব করতে পারলো,মনে উকি দিলো সব ব্যাথার্থ অনুভুতি
কে এই পুষ্প,কতো সুন্দর করে কতো কথাই না বলছিলেন তাজবীর সাহেব আমার সাথে হঠাৎ ফোনটা আসতেই আড়ালে চলে গেলেন কথা বলতে,তবে কি উনার জীবনে সত্যিই অন্য কেউ আছে।
আয়ান বসে আছে রুমে তবে মনে শান্তি পাচ্ছে না,তখন আদৃত কি ইনজেকশন দিলো আঁখিকে তা যে জানতে হবে ওকে,আঁখির বড় কিছু হলো না তো চিন্তাটা চেপে বসেছে ওর মাথায়,এদিকে আদৃতের বলা কথাগুলোও ওকে বড্ড জ্বালাতন করছে,আদৃত কতো সুন্দর করে আঁখির উপর অধিকার খাঁটিয়ে নিলো যা আয়ান চাইলেও এখন পারে না,কারন সে নিজের হাতেই সেই অধিকার ছেঁড়ে দিয়েছে,তবে আবার যে তার সে অধিকারটা পেতে বড্ড লোভ হচ্ছে ওর।
আদৃত আঁখির মাথার পাশে বসে হাত বুলাচ্ছে,আঁখি শুয়ে আছে শান্তিতে।অপলকে দেখছে ওকে আদৃত,একটুর জন্য আদৃতের মনে হয়েছিলো ও আঁখিকে হারিয়ে ফেলেছে,আঁখিকে যে হারাতে চায় না আদৃত,ওর চেহারার দিকে তাকিয়ে আদৃতের বার বার মনে পড়ছে আঁখির বলা কথাগুলো,আঁখি বলেছিলো জীবনকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দিতে,জীবনে এগিয়ে যেতে,আর আদৃত যেনো নিজের অজান্তেই সেই এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমটা আঁখিকেই বানাতে চাইছে এবার।
আমি জানি না মিস আঁখি আমার মনে চলা আপনাকে নিয়ে এই অনুভুতির নাম কি,তবে যেনো জীবনে আমি নতুন আলোর ছোঁয়া অনুভব করতে পারছি ,সাথে একরাশ অন্ধকারও,তবে সে অন্ধকার আমি থাকতে দিবো না বেশিদিন,আপনাকে আমি কিছুই হতে দিবো না,আর যেখানে কথা আয়ানের ওকে আমি আর আপনাকে কোনো আঘাত করতে দিবো না।কথা দিলাম।
সায়েদা দিদুদের সাথে ছিলো এবার আয়েশা আর আঁখির খোঁজে একা হাঁটছিলো হঠাৎ পাশের ঝোঁপ থেকে কিছু নড়ে উঠার শব্দ পেলো,সায়েদা এতে কর্ণপাত না করে এগুতে থাকলো,এখান বার বার এখান ওখান থেকে কি না কি সব আজগুবি শব্দ কানে আসতে লাগলো ওর,হঠাৎ শুনতে পেলো শেয়াল ডাকার শব্দ তবে আশেপাশে কোনো শেয়াল দেখতে পেলো না,এবার সায়েদা খনিক ভয় পেলো,বার বার কে বলো জিজ্ঞেস করতে লাগলো তবে কারো উত্তর পেলো না,হঠাৎ শুনলো কেউ একজন মৃদ্যু কন্ঠে সায়েদা বলে ডাকছে বার বার,সায়েদা প্রচুর ভয় পেয়ে গেলো আর ভুত বলে রিসোর্টের দিকে দৌঁড়ালো।
__________________
পরদিন সকালে……..
সবাই রাতে এসে যার যার মতো শুয়ে গেছে,সায়েদা দিদু এক রুমে, এক রুমে আয়েশা আর ওর মা, ইশা চৌধুরী আর আমির চৌধুরী আলাদা এক রুমে।নোমান একা এক রুমে উঠেছে।
আঁখি সকালে ঘুম থেকে উঠেই আদৃতকে ওর মাথার পাশে বিছানার সাথে হেলান দেওয়া অবস্থায় ঘুমন্ত পায়,আদৃতের ঘুমন্ত চেহারা দেখে আবারও খনিক ভালোলাগা কাজ করলো আঁখির মনে,ঠোঁটের কোনে মৃদ্যু হাসি ঝুলিয়ে উঠে চলে গেলো ফ্রেস হতে,তবে রাতের কথা ওর কিছুই মনে নেই আদৃত ওকে পেলো কি করে,তাই ভাবলো আদৃত উঠলে জেনে নেবে, আর অতিরিক্ত কিছু না ভেবে সকালের মন মাতানো শীতল হাওয়া উপভোগের লোভে বাইরের দিকে চলে গেলো,অনেক ভালো লাগছে পার্বত্য এই অঞ্চলটা,প্রায় সকাল ৫ টা বাজে তাই কাউকে আর ডাকতে গেলো না আঁখি সকালের সুন্দর পরিবেশ একাই ধিদ্বার করতে বেড়িয়ে গেলো,হাঁটতে হাঁটতে বেশ বড় একটা টিলার উপর চলে আসলো,তখনি টিলার এক প্রান্তে আয়ানকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পেলো আঁখি,হতবাক হলো অনেক,আয়ান এখানে কি করছে?আয়ান আপন মনে প্রকৃতির ধিদ্বার করছে তখনি পিছন থেকে বললো আঁখি।
আমার পিছু করতে করতে এখানেও চলে এসেছেন?
আঁখিকেই যেনো মন টানছিলো এতোক্ষণ, তাই হঠাৎ ওর মধুর কন্ঠ শুনে মনে তৃপ্তি এলো আয়ানের,পিছন মুড়ে তাকিয়ে নরম কন্ঠে বললো এবার।
হ্যাঁ পিছু এসেছি তোমার,তবে অনেক জরুরি কাজ ছিলো তোমার সাথে,একটু কথা বলতে চাই শুধু,যদি তুমি বলতে চাও।
বলেন কি কথা?
আয়ান ওর পানে এগিয়ে এসে ওর হাতজোড়া ধরলো তারপর মৃদ্যু কন্ঠে বললো।
আমায় ক্ষমা করে দাও,আমি নিজের টা ভেবে তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে,কখনো এটা বুঝে উঠতে পারি নি যে আমার ব্যবহার তোমাকে কতোটা কষ্ট দিচ্ছে,শুধু সেখানে নিজের সুখটাই খুঁজেছি,তবে তুমি চলে আসার পর বুঝতে পারলাম আমি হয়তো অনেক ভুল করেছি তোমার সাথে যার অনেকটা নিজের সাথে হওয়ার পর মেনে নিতে পারলাম না,তাই ক্ষমা চাইতে এসেছি তোমার কাছে।
আঁখি নিজের হাতটা ছাঁড়িয়ে নিলো তারপর স্বাভাবিক স্বরে বললো।
আপনি আপনার ভুলটা একটু হলেও বুঝতে পেরেছেন এটাই বড়, তবে আমি আপনাকে অনেক আগেই ক্ষমা করে দিয়েছি তাই আপনাকে আলাদা করে ক্ষমা চাইতে হবে না আমার কাছে আর,আপনি আজ থেকে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন।
আঁখি চলে যেতে নিলে আঁখিকে পিছু ডেকে একটা কথা বললো আয়ান যাতে আঁখি থমকে দাঁড়ালো।
আদৃতকে সত্যিই ভালোবাসো?যতোটা আমাকে বাসতে তার থেকেও বেশি?
আঁখি ফিরে এবার সোজা জবাব দিলো।
জানিনা,তবে এটা জানি আমরা একে অপরের যথেষ্ট সম্মান করি,একে অপরকে বিশ্বাস করি,একে ওপরের পরিপুরক,আর যে সম্পর্কে বিশ্বাস আর সম্মান বজায় থাকে সে সম্পর্ক কখনো দূর্বল হয় না,আর ভালোবাসার কি এক ছাঁদের নিচে থাকতে গেলে সেটা এমনিতেই জীবনে উঁকি দেয়।
আঁখি চলে গেলো কথাটা বলে,তবে এখন যেনো আয়ানের মনের জ্বালাতনটা আরও বেড়ে গেলো।
তবে কি আদৃত কেঁড়ে নিলো আঁখিকে,আয়ান হারিয়ে ফেললো ওকে, আয়ানের যেনো মনে হচ্ছে ও আঁখিকে হারায় নি হারিয়েছে সবকিছু, এখানে এসেছিলো মনের শান্তির খোঁজে, চোখে স্পষ্ট ধরা দিয়েছিলো আঁখির সাথে করা অন্যায়গুলো যার অনুশোচনায় রাতে শান্তিতে ঘুম হচ্ছিলো না আয়ানের ,মাহি ওর সাথে খারাপ ব্যবহার না করলে হয়তো তা কখনোই বুঝতে সক্ষম হতো না,একাকিত্বে ভোগতে গিয়ে অনেককিছু অনুশোচনায় এসে গেছে ওর তাই আঁখির কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছিলো এই আশায় হয়তো মনে কিছু শান্তি নিয়ে আসতে পারবে তবে তা যে আর পেরে উঠলো না,আয়ানের মন যেনো এখন অন্য কিছু চাইছে তবে তা বুঝে উঠতে সক্ষম হতে পারছে না।
_____________________
আয়ান নিজের রুম থেকে খেয়াল রাখছে কখন ক্লিনার কেউ একজন এসে আদৃতের রুম ক্লিন করবে,অবশেষে একজন ক্লিনারকে রুম ক্লিন করে রুমের সব ময়লা ডাস্টবিনে করে নিয়ে যেতে দেখলে ওকে ডেকে আনলো,তারপর ওর কাছ থেকে ডাস্টবিনটা নিয়ে ওতে আদৃতের ফেলা ইনজেকশনটা খুঁজতে শুরু করে তবে তাতে আর তা খুঁজে পেতে ব্যার্থ হয়।আয়ান তাজ্জব হয়ে যায় ইনজেকশনটা যে আদৃত এখানেই ফেলেছিলো তবে গেলো কোথায়।
এদিকে বেশ খনিক দূর আড়ালে দাঁড়িয়ে আদৃত মুচকি হাসলো আর মনে মনে বলতে লাগলো।
আমি আপনাকে কোনো মতেই আঁখির জীবনে হস্তক্ষেপ করতে দিবো না ড.আয়ান,আপনার আর আঁখির মাঝে যে দেয়াল এখন আদৃত চৌধুরী ,যা চাইলেও আপনি কখনো ভাঙতে পারবেন না।আমার আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে ভালোই জানা হয়ে গেছে তাই ইনজেকশনটা আমিই সরিয়ে দিয়েছি।
সায়েদা রাতে ভয় পেয়ে এসে যে ঘুমিয়েছিলো এই এখন উঠলো মাত্র,তবে এখন কোনো ভয়ের রেশ নেই ওর মধ্যে।
আয়েশা সকাল সকাল আজ গোসল সেরেছে,রুমের বারান্দাতে মৃদ্যু বাতাসের সম্মুখীন দাঁড়িয়ে ভিজা চুল ঝাড়তে ব্যস্ত রমনি,বেগুনী কালারের একটা কামিজ পড়েছে,সাদা সালোয়ার ওড়নার সাথে যাচ্ছে ভালো,চুলের আগা দিয়ে পড়ছে পানি,মুছতে ব্যস্ত সে,কিছু ভেজা চুল ওর নরম গালের সাথে লেপ্টে আছে, বড়ই যেনো মোহিত লাগছিলো ওকে দেখতে ঠিক অনেকটা সামনে দাঁড়িয়ে থাকা যুবকের,নোমান তখন পরিবেশের ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলো হঠাৎ ওর নজর গেলো আয়েশার দিকে চোখ আটকে গেলো যেনো আয়েশাতেই,আর কখনো যে এভাবে কাউকে দেখে মোহিত হয় নি নোমান,কারন ছাড়াই কোনোদিক বিবেচনায় না নিয়ে একটা ছবি আয়েশারও নিয়ে নিলো সে।
সবাই মিলে হৈহুল্লোর করতে শুরু করেছে,আঁখি সবার আগে,আর আদৃত ওকে আটকাতে ব্যস্ত,রাতের কথাটা জানার পর ওটা নিয়ে অনেক বকেছে আদৃত আঁখিকে,এখন আদৃতের সাথে কথাই বলছে না আর,ওর কথা না বলা যেমনটা আদৃতের মন পোড়াচ্ছে ততোটাই জ্বালাতন করছে আঁখির দৌঁড় ঝাপ,এসব যে এই মুহুর্তে আঁখির জন্য বিপদজনক যা আদৃতের মন পিঞ্জরখানা অশান্ত হয়ে থাকার কারন হয়ে উঠেছে।
আঁখি আয়েশা সায়েদার সাথে ছুটাছুটি করছে, হাসি মসকরা করছে তখনি আদৃত এগিয়ে গিয়ে ওর হাত ধরে সেখান থেকে ওকে সরিয়ে নিয়ে এলো।
কি হয়েছে মি.কাকতাড়ুয়া আপনার?সারাদিন খবরদারি না করলে হয় না?
মুখে বেশ বিরক্তি ফুঁটিয়ে বললো আঁখি।
আমি কাকতাড়ুয়া?
না ওর নানু?হুহ
দেখন মিস আঁখি আমি জানি আমি আপনার সাথে বেশি কড়া বিহেইব করছি কিন্তু একবার বুঝার চেষ্টা করেন এভাবে দৌঁড় ঝাপ আপনার জন্য ক্ষতিকর,একবার আপনি সুস্থ হয়ে গেলে যা ইচ্ছা দৌঁড় ঝাপ করে নিবেন আমি আপনাকে কিছু বলবো না।
আর সে দৌঁড় ঝাপ করার জন্য যদি আমি আর না থাকি…..
কথাটা আঘাত করলো আদৃতের মনে বড্ড,কিছুই বললো না জবাবে,পাথরের ন্যায় ঠায় দাঁড়িয়ে থাকলো।
আঁখি বুঝতে সক্ষম হলো ওর এই কথাটা অল্প করে হলেও আদৃতকে আঘাত করেছে তাই এবার মুখে এক ফাঁলি হাসি টাঙিয়ে আদৃতের হাত ধরে বললো।
আচ্ছা ঠিক আছে দৌঁড় ঝাপ কম করবো আমি,এবার বাংলা পাঁচের মতো মলিন মুখটাকে একটু উজ্জ্বল করুন আর চলুন একটু বেড়িয়ে আসি,দেখুন না চারপাশটা কতো সুন্দর চোখ সরানোরই ইচ্ছে করে না।
আঁখি আদৃতের হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে নিজের সাথে করে,আদৃতও ওকে অনুসরণ করে হাঁটছে।
চলবে………..