তুমিময় আসক্তি পর্ব-২৪

0
1151

#তুমিময়_আসক্তি
#কলমে_আলো_ইসলাম

-“২৪”

–“” এই মেয়ে তুমি কি বলেছো আমার ভাইজান কে। আমার ভাইজানের চোখে পানি কেনো বলো? গরম চোখে তাকিয়ে বলে জেসমিন চৌধুরী। কিন্তু দোলার হাতের দিকে চোখ যেতেই চমকে উঠে সে। স্থীর হয়ে যায় তার চাহনি। অবাক হয়ে দোলার মুখের দিকে তাকায় সে। দোলা কৌতুহল ভরা চোখে তাকিয়ে আছে জেসমিন চৌধুরীর দিকে। আর জাহির চৌধুরী এখনো কান্না করে যাচ্ছেন৷ অনেক দিনের ক্ষত জাগ্রত হলে যা হয়। তাছাড়া মনের মধ্যে জমে থাকা না বলা কথা গুলো যদি প্রকাশ করা যায় তাহলে ভেতরে শান্তি অনুভব হয় সাথে মন প্রাণ উজার করে কান্না করতেও ইচ্ছে করে। যাতে করে মনটা পরে অনেকটা হাল্কা অনুভব হতে পারে। জাহির চৌধুরীও একই হচ্ছে।

–” একি তুমি এই ছবি কোথায় পেলে? চমকানো চোখে তাকিয়ে জোর গলায় বলে জেসমিন চৌধুরী। দোলা মৃদু কেঁপে উঠে তার কথায়।

–” তুমি ওই মহিলার ছবি কেনো এনেছো? কোথায় পেয়েছো ছবি। এই জন্য ভাইজান কষ্ট পেয়েছে৷ তুমি এই নোংরা মানুষের ছবি দেখিয়ে আমার ভাইজানকে কষ্ট দিয়েছো এত বড় সাহস তোমার। জেসমিন চৌধুরী অহেতুক চিৎকার করে বলেন কথা গুলো। দোলা তো শঙ্কিত চোখে দাঁড়িয়ে জেসমিন চৌধুরীর কান্ড দেখছেন।

–” জেসু ওকে কিছু বলিস না প্লিজ। ছবিটা… বাকিটা বলার আগেই জেসমিন চৌধুরী হুংকার ছেড়ে বলে তুমি চুপ থাকো ভাইজান৷ আজ তোমার আশকারা পেয়ে এই মেয়ে মাথায় চরে বসেছে। ওই কলঙ্কিনী অপয়া, বাজে মহিলার ছবি এই বাড়িতে প্রবেশ করিয়েছে। যে একবারও তোমার কথা ভাবিনি। আমার এত সুন্দর ভাইপোটার কথাও ভাবিনি। আমি একদম সহ্য করবো না এইসব। ওই মহিলার কোনো কিছু এই বাড়িতে থাকবে না৷ আর তোমাকে তো আমি পরে দেখে নিচ্ছি বলে জেসমিন চৌধুরী দোলার হাত থেকে ছবিটি নিয়ে নেয়। এর মধ্যে রুদ্র প্রবেশ করে জাহির চৌধুরীর ঘরে । সে ঘরেই ছিলো। জেসমিন চৌধুরীর চিৎকার শুনে নিচে নেমে আসে।

–‘ কি হয়েছে পিপি৷ এমন চিৎকার করছো কেনো ঘরে প্রবেশ করতে করতে বলে রুদ্র। রুদ্রকে দেখে দোলা আর জাহির চৌধুরী অবাক হয়ে তাকায়। ভয়ের ছাপ দুজনের মধ্যে বিদ্যমান।
— রুদ্রকে দেখে জেসমিন চৌধুরী একটা সার্থক হাসি দেয়। এরপর ন্যাকা কান্না জুড়ে বলে দেখ রুদ্র বাবা তোর বউয়ের কান্ড দেখ৷ এই মহিলা যে আমাদের সংসারকে তছনছ করে দিয়ে গেছে। ভাইজানকে একলা রেখে চলে গেছে তার ছবি তোর বউ ভাইজান কে দেখিয়ে কষ্ট দিয়েছে আজ৷ ভাইজানের মুখের দিকে একবার তাকিয়ে দেখ রুদ্র৷ ভাইজান কতটা কষ্ট পেয়েছে আজ আহাজারি করে বলেন তিনি।

–‘ রুদ্র তার মায়ের ছবি জেসমিন চৌধুরীর হাতে দেখে চোখ লাল করে তাকায়৷ রাগে মুখের বর্ণ বদলিয়ে যায়। হাতের রগ গুলো ফুলে ফেঁপে উঠে। রুদ্র এবার অগ্নি চোখে দোলার দিকে তাকায়৷ দোলা ভয়ার্ত চেহারায় তাকিয়ে থাকে রুদ্রর দিকে।

–‘ রুদ্র আমার কথাটা শুন। দোলার কোনো দোষ নেই এখানে। ব্যস্ত কন্ঠে বলে উঠেন জাহির চৌধুরী। কিন্তু রুদ্র এখন কারো কথায় কর্ণপাত করে না।

–‘ তোমার সাহস হলো কি করে এই ছবিটা এই বাড়িতে নিয়ে আসার। এই মহিলার কোনো চিহ্ন আমি এই বাড়িতে দেখতে চাইনা। আমার ড্যাডি ওই মানুষটার জন্য কোনো কষ্ট পাক সেটাও চাইনা। সব সময় আগলে আগলে রেখেছি ড্যাডকে। আর তুমি আমার ড্যাডকে ওই মানুষটার জন্য কষ্ট দিলে। তোমাকে এত বড় সাহস কে দিয়েছে বলো। আন্সার মি ড্যামিট চিৎকার করে বলে রুদ্র। দোলা কেঁপে উঠে রুদ্রর ধমকে। ভয়ে দুই পাশের ওড়না চেপে ধরে। জেসমিন চৌধুরীর মুখে তৃৃপ্তিকর হাসি৷

–” কি হলো চুপ করে আছো কেনো? বলো কেনো এই ছবিটা নিয়ে এসেছো? আমার বাবাকে কষ্ট দেওয়ার অধিকার কে দিয়েছে তোমাকে?

-‘ রুদ্রর কথায় দোলা একটা ঢোক গিলে বলে আমার কথাটা একবার শুনুন ছোট সাহেব। কিন্তু দোলাকে আর কিছু বলতে দেয় না রুদ্র৷ দোলার হাতের কব্জি ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যায়। জাহির চৌধুরী পিছু ডাকলেও শুনে না রুদ্র৷ আর এইদিকে জেসমিন চৌধুরী সে মহাখুশি রুদ্রর এমন রুপ দেখে।

–‘ আজ তো তুমি শেষ দোলা রানী। রুদ্র তোমার উড়ন্ত পাখা গুলো যত্নসহকারে ছেটে দেবে৷ এরপর বাকি কাজটা আমি করবো৷ তারপর হাসতে হাসতে বেরিয়ে যায় সে।

–” ছোট সাহেব আমার কথাটা শুনুন একবার প্লিজ। আমি কিছু করিনি প্লিজ একবার বোঝার চেষ্টা করুন৷ কিন্তু রুদ্র দোলার কোনো কথায় কান দেয়না। হাত চেপে ধরে টেনে নিয়ে যায় সিঁড়ি দিয়ে। তানিয়া রুদ্রর এমন রুপ দেখে চমকে উঠে। রুদ্র প্রচন্ড রেগে আছে বুঝতে পারছে৷ তানিয়া দোলার মুখের দিকে তাকিয়ে একটা হতাশার দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। দোলার চোখ মুখে ভয় বিরাজ করছে।

ব্রো কি করছো৷ ছাড়ো বউমনিকে লেগে যাবে তো সামনে দাঁড়িয়ে বলে তানিয়া। কিন্তু তানিয়ার মধ্যেও ভয় কাজ করছে রুদ্রর এমন আচরণ দেখে। তানিয়ার কথায় রুদ্র তানিয়ার দিকে তাকায়। রুদ্র রক্তবর্ণ চোখ দেখে তানিয়া সামনে থেকে সরে যায়। আর কিছু বলার সাহস রাখে না তানিয়া।

–”’ রুদ্র দোলাকে ঘরে নিয়ে এসে খাটের উপর ছুড়ে মারে৷ দোলা খাটের উপর পড়ে কান্না শুরু করে দেয়। রুদ্র রাগ কন্ট্রোল করতে পারছে না কোনো ভাবে। তার মায়ের ছবি দেখার পর থেকে তার মধ্যে সে অতীত গুলো নাড়া দিতে শুরু করেছে। যার ফলে তাকে স্থীর হতে দিচ্ছে না।
–‘ কেনো করলে এমন? কেনো স্মৃতি গুলো কে সামনে এনে দিলে। আমি তো ওই মহিলার মুখটাও দেখতে চাইনা কোনোদিন তাহলে কেনো আবার সামনে নিয়ে আসলে। এত কিসের কৌতুহল তোমার হ্যাঁ? কেনো করেছ এইসব উত্তর দাও দ্বিগুণ স্বরে চিৎকার করে বলে রুদ্র৷

–“” দোলা ঘাবড়ে যাওয়া চোখে তাকিয়ে থাকে রুদ্রর দিকে। রুদ্রকে অদ্ভুত লাগছে দোলার আজ। ভীষণ ভয় করছে রুদ্রকে তার এই মুহূর্তে। রুদ্রর রাগী লুক দেখেছে দোলা কিন্তু আজকের রুদ্রকে দেখেনি সে৷ দোলা তারপরও ভেতরে সাহস নিয়ে আসার চেষ্টা করে৷ রুদ্রকে শান্ত করতে হবে তারই। তাই দোলার ভয় পেলে চলবে না৷ দোলা নিজেকে স্বাভাবিক করে উঠে দাঁড়ায়। রুদ্রর সামনে দাঁড়িয়ে হাত জোড় করে বলে দয়া করে আমাকে বলতে দিন৷ আমার কথাটা একবার শুনুন আপনি। আমার কথা শোনার পর যদি মনে হয় আমি ভুল করেছি তাহলে আমাকে যা খুশি শাস্তি দিন কিন্তু আমাকে বলতে দিন একবার প্লিজ বলে কান্না করে দেয় দোলা আবারও।

–“” দোলার কান্নামাখা মুখটা দেখে আজ রুদ্রর যেনো কোনো মায়া হচ্ছে না৷ বরং আরো বিরক্ত হয়ে উঠে সে। রুদ্র দোলার কোনো কথায় পাত্তা না দিয়ে রেগে ধাক্কা মারে দোলাকে।

–‘ কোনো কথা শুনতে চাইনা আমি। আর না কোনো কথা তুমি বলবে। আসলে তোমাদের মাথায় তুলতে নেই। তোমরা একটু সুযোগ পেলে মাথায় চড়ে বসো। আমি এই জন্যই ঘৃণা করতাম তোমাদের। তোমরা সম্মান পাওয়ার যোগ্যই না। সুযোগ পেলেই আঘাত দিয়ে বসো তোমরা, কথা গুলো এক নিশ্বাসে বলে থামে রুদ্র। এদিকে দোলা রুদ্রর ধাক্কা সামলাতে না পেরে পড়ে যায় নিচে৷ পড়ে যাওয়ার ফলে টেবিলের কোণে লেগে কপাল কেটে যায় দোলার৷ দোলার কপালের ক্ষতটা সেরে উঠলেও পরিপূর্ণ ভাবে এখনো সেরে উঠেনি৷ সেখানে আবার ঘুরে লাগায় দোলা অনেক ব্যথা পায়। সে ব্যথা সহ্য করতে না পেরে দোলা জোরে আর্তনাদ করে উঠে। দোলার আর্তনাদে রুদ্র চমকে তাকায় দোলার দিকে।

–” দোলা এক হাতে কপাল ধরে আছে। কপাল দিয়ে রক্ত পড়ছে অনেক। ছলছল চোখে রুদ্রর দিকে তাকায়। দোলার কপাল থেকে রক্ত ঝরতে দেখে রুদ্রর বুকের মধ্যে ধক করে উঠে। ধাক্কাটা এমন ভাবে লেগে যাবে ভাবিনি রুদ্র৷ কিন্তু এরপরও রুদ্রর মধ্যে খারাপ লাগা আসছে না একটুও। যখনই তার মায়ের ছবিটা সামনে ভেসে উঠছে রুদ্র হিংস্র হয়ে উঠছে৷ তাই দোলার রক্তও আজ রুদ্রর মন গলাতে পারিনি।

— দোলা উঠে দাঁড়িয়ে রুদ্রর দিকে করুণ চাহনি নিয়ে তাকায়। রুদ্র চোখ ফিরিয়ে নেয় দোলার দিক থেকে। দোলার কপালে অনেক ব্যথা করছে। রক্ত ঝরাও থামছে না৷ রুদ্র আর কিছু না বলে হনহন করে বেরিয়ে যায়৷ রুদ্র বেরিয়ে যেতেই দোলা বসে পড়ে শব্দ করে কান্না করে উঠে। তানিয়া ছুটে আসে রুদ্র বের হতেই।

–” দোলাকে দেখে তানিয়া আঁতকে উঠে। ফার্স্টেড বক্স নিয়ে এসে রক্তগুলো মুছে আবার নতুন করে ব্যান্ডেজ করে দেয়। দোলা নিরব হয়ে বসে আছে৷ তানিয়া তাকে ব্যান্ডেজ করে দিচ্ছে তাতে কোনো রিয়াকশন নেই৷ একটা মুর্তি হয়ে বসে আছে৷ দোলার মধ্যে অনেক অভিমান জমা হয়েছে রুদ্রর প্রতি। কোনো কিছু না শুনে না বুঝে দোলার সাথে এমন বিহেভ দোলা মানতে পারছে না। তাই অভিমান গুলো দল বেধে জেঁকে বসেছে তার মধ্যে।

–“‘ জাহির চৌধুরী অনুতপ্ত রুদ্রর কাজে। তার জন্য দোলা আজ এমন শাস্তি পেলো অহেতুক। রুদ্র কারো কথা না শুনে দোলার সাথে এমন করা ঠিক হয়নি। জাহির চৌধুরী দোলার কাছে মাফ চেয়েছেন রুদ্রর হয়ে। দোলা শুধু ফ্যালফ্যালে চোখে তাকিয়ে থেকেছে। কোনো জবাব দেয়নি। দোলা একদম চুপচাপ হয়ে গেছে। কারো সাথে একটা টু শব্দ করিনি রুদ্র যাওয়ার পর থেকে। তানিয়া অনেক কিছু জিজ্ঞেস করেছে তাও কিছু বলিনি৷ তানিয়া হতাশ হয়ে ফিরে যায়।

–” রাত ১১ টা। ঘড়ির কাটা আস্তে আস্তে পাড়ি দিচ্ছে ১১র ঘরকে। দোলা বারান্দায় স্থীর চাহনি নিয়ে তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। গায়ে ধুম জ্বর চলছে তার৷ তারপর ভ্রুক্ষেপ নেই। আঘাতের উপর আঘাত লাগায় কপালটা টনটন করছে ব্যথায়। আর সেই ব্যথা থেকেই জ্বরের প্রপাত।

–“” চোখ জ্বালা করছে দোলার ভীষণ। শরীরের উত্তাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বসে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। মাথাটা ভাড় হয়ে আসছে। রুদ্রর প্রতি দোলার অভিমানটা সময়ের সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দোলা রুদ্রর মুখোমুখি হতে চাইনা৷ তাই সে ঘরে যাবে না৷ এখানে থাকবে যতখন রুদ্র থাকবে ঘরে। কিন্তু রুদ্র তো এখনো ফিরেনি।

–” দোলার পক্ষে আর বসে থাকা সম্ভব হয়না। চোখ জুড়ে অন্ধকার নেমে আসে। মাথার মধ্যে ঘুরতে শুরু করে দেয়। দোলা ওইখানে শুয়ে পড়ে কিছুখনের মধ্যে। বাইরের ঠান্ডা হাওয়া এসে দোলার মধ্যে শিহরণ জাগিয়ে দেয় আরো।

–” রাত ১২ টা বাজতেই রুদ্র বাড়ি ফিরে৷ ঘরে ঢুকতেই দেখে পুরো ঘর অন্ধকারে ডুবে আছে। আলো দিতেই দোলাকে দেখতে না পেয়ে ভ্রু কুচকে উঠে তার। এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে দোলা কোথাও নেই। রুদ্র বাথরুমের সামনে গিয়ে দেখে দরজা ভেজানো। হাল্কা হাত দিতেই খুলে যায় সেটা৷ রুদ্রর মধ্যে ভয় চলে আসে। দোলা কি রাগ করে চলে গেছে তাহলে।

–‘ রুদ্র ঘাবড়ে যাওয়া চোখে এদিক ওদিক তাকাতেই দোলা শাড়ির আঁচল দেখতে পাই বারান্দায়। দোলাকে দেখে একটা স্বস্তির দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে রুদ্র। রুদ্র দোলার কাছে না গিয়ে টাওয়াল নিয়ে ফ্রেস হতে যায়। প্রায় আধা ঘণ্টা পর ওয়াসরুম থেকে এসে দেখে দোলা এখনো একই ভাবে আছে। রুদ্র কিছুখন তাকিয়ে থেকে বলে আমি যাবনা একদম৷ যা ইচ্ছে করুক। আমার দেখার বিষয় নয়। অনেক হয়েছে আর না৷ এরপর আলো নিভিয়ে শুয়ে পড়ে রুদ্র।

–“” মিনিট ১০ যেতে রুদ্র উঠে বসে। ভালো লাগছে না তার৷ একবার ভাবে দোলার কাছে যাবে আরেকবার বলে যা ইচ্ছে করুক। ইগোতে বাধা দিচ্ছে বারবার রুদ্রকে। কিন্তু এটা বেশিখন জমিয়ে রাখতে পারে না। উঠে বারান্দার সামনে গিয়ে বলে সারারাত কি এখানে বসে কাটিয়ে দেওয়ার চিন্তা আছে তোমার। সকালে উঠে বলবা রুদ্রনীল চৌধুরী তার বউকে সারারাত বারান্দায় রেখেছে। অনেক হয়েছে নাটক৷ এবার ঘরে এসো। কথাটা বলে রুদ্র দরজার পাশ থেকে ফিরে আসে দোলাকে না দেখে।

–“” রুদ্রর ঘরে আসা ৫ মিনিট হয়ে যাচ্ছে তবুও দোলা ঘরে আসেনা। রুদ্রর রাগ হয় এবার। ষ্টুপিড একটা। এখনো জেদ নিয়ে বসে আছে। রুদ্র রেগে বারান্দায় গিয়ে দেখে দোলা ফ্লোরে শুয়েই ঘুমাচ্ছে৷ দোলাকে এমন ভাবে দেখে রুদ্র অবাক হয়ে যায়।
-” এই জন্য বলি ইডিয়ট। এইভাবে কেউ ঘুমাতে পারে এই মেয়েকে না দেখলে জানতামই না৷ ষ্টুপিড একটা। এই মেয়ে উঠো। এইভাবে ফ্লোরে ঘুমিয়েছো কেনো?

-‘ রুদ্রর ডাকে সাড়া দেয়না দোলা। রুদ্রর প্রচন্ড রাগ হয় এবার৷ রুদ্র হাঁটুমুড়ে বসে দোলার শরীরে হাত রাখতেই চমকে উঠে। দোলার শরীর জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। রুদ্র দোলার কপালে গলায় হাত দিয়ে দেখে দোলার প্রচন্ড জ্বর। রুদ্র এবার আলতো স্বরে দোলাকে ডাকে। কিন্তু দোলা সাড়া দেয়না কোনো।

–” রুদ্র ঘাবড়ে যায় অনেক। দোলাকে কোলে তুলে নিয়ে ঘরে আসে তারপর বিসানায় শুয়ে দেয়।

–” চলবে…