প্রীতিলতা আসবে বলে
লেখিকা:আফরিন ইসলাম
সিজন :৪
পার্ট :৬
চারটা কাটা মাথা পুলিশ স্টেশনের পাশে পাওয়া গেছে ৷খুন হওয়া চারটা ছেলের মধ্যে এক জনের বাবা কমিশনার ৷বাকি সবার বাবা উচ্চ পদে চাকরি করেন ৷ছেলে চারটা কে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে ৷তাদের দেহ পাওয়া যায় নি ৷কিন্তু মাথা দেখে পুলিশ লাশ গুলোকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় ৷ পুলিশ সেই গরিব বৃদ্ধ আর বৃদ্ধার বাড়ীতে যায় ৷কেননা তারাই এই ছেলে গুলোর নামে হত্যা মামলা করতে গিয়ে ছিল ৷কিন্তু ছেলে গুলোর বাবা অনেক দাপট সম্পন্ন লোক ৷তাই পুলিশ চেয়েও কেস নিতে পারে নি ৷ অন্য দিকে বৃদ্ধ মানুষ দুটো যখন জানতে পারলো ৷তাদের কলিজার টুকরাকে খুন করা ঐ জানোয়ার গুলো আর বেচেঁ নেই ৷তখন তারা দুই হাত তুলে কেদেঁছেন ৷নিজেদের একমাত্র অবলম্বনকে হারিয়ে তারা যেমন কষ্ট পেয়েছেন ৷এখন তাদের মা বাবাও বুঝবে সন্তান হারানোর কষ্ট ৷
সেই দিনের পর চারমাস পার হয়ে যায় ৷কিন্তু অদ্ভুত হলেও সত্য তার কিছু দিন পর শুধু মানুষ খুন হতে লাগলো ৷আর যারা নির্মম ভাবে খুন হতো তারা সবাই ক্রিমিনাল ছিল ৷ এই তো কিছু দিন আগেও একটা স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ৷ অতিরিক্ত পড়ানোর নাম করে শিক্ষক ধর্ষন করে ৷ মেয়েটার বাবা রিকশা চালক ৷পুলিশ ধর্ষককে এরেস্ট করলো ৷কিন্তু কিছু দিন পরে মোটা অংকের টাকা দিয়ে জেল থেকে বের হয়ে যায় ধর্ষক ৷অপর দিকে ধর্ষন হওয়া মেয়েটা সমাজের মানুষের কথা শুনতে শুনতে গলায় দড়ি দিয়ে দেয় ৷কি হলো কোনো বিচার হলো না ৷মেয়েটাকে দিনের পর দিন কিভাবে ধর্ষন করা হলো ৷কোথায় কোথায় হাত দেওয়া হয়েছে ৷শিক্ষকের সাথে তার আগে সম্পর্ক ছিল কি না ৷ তাকে আগেও ছুয়ে দিয়েছে কি না ৷এমন হাজারো প্রশ্নে বারবার ধর্ষন করা হয় মেয়েটাকে ৷তার দুই দিন পরেই ঐ শিক্ষকের বস্তা বন্দী লাশ পাওয়া যায় ৷
এভাবেই দিন যেতে লাগলো ৷প্রীতিলতা নিজের পালিত মা বাবাকে ছেড়ে নতুন বাসায় উঠে যায় ৷যেদিন সে চলে আসে ঐ দিন জাহানারা বেগম অনেক কেদেঁ ছিলেন ৷কিন্তু তার কান্নায় প্রীতি এতটুকু নরম হয় নি ৷ সে নিজের সব কিছু নিয়ে বাড়ী থেকে চলে আসে ৷ এরপর থেকে কয়েক মাসের মধ্যে চল্লিশের কাছাকাছি লোক গায়েব হয়ে গেল ৷ পুলিশ হাজার খুজেও তাদের পেল না ৷
প্রীতিলতা নিজের বাড়ীতে তাড়াতাড়ি চলে এসেছে ৷কয়েকমাস আগেই সিআইডি তে তার চাকরি হয়েছে ৷একের পর এক প্রমোশন তাকে একটু একটু করে বড় পদে নিয়ে যাচ্ছে ৷বিভিন্ন জটিল কেসের সমাধান অতি কম সময়ে বের করার জন্য সিআইডিতে প্রীতির নাম ছড়িয়ে গেল ৷সারা দিনের ক্লান্ত শরীরটা প্রীতি বিছানায় এলিয়ে দিল ৷শরীরটা ঘামে ভেজা থাকলেও মুখে তার হাসি ৷প্রীতি ফ্যানের দিকে তাকিয়ে রইলো ৷তারপর বলল
তোর বড় ভাই আজ তোর নামে কেস করতে এসে ছিল ৷কেস করেও গেছে ৷কাল থেকে পুলিশ তোকে খুজবে ৷কিন্তু তোকে কোথায় পাবে বলতো ৷প্রীতি নিজের পাশে দড়ি দিয়ে বাধা লোকটার দিকে তাকালো ৷লোকটা নিষ্প্রান চোখে প্রীতির দিকে তাকিয়ে আছে ৷প্রীতি তার পাশের টেবিলে থাকা প্লাস টা হাতে নিল ৷তারপর আবারো বলল
একটা পাচঁ বছরের মেয়েকে দেখে লোভ সামলাতে পারলি না ৷বাচ্চার মাকে তো ধর্ষন করলি ৷সাথে ঐ ছোট মেয়েটাকেও ৷এত টাকার দরকার ছিল ৷তাহলে ডাকাতি করে চলে আসতি ৷কেন ধর্ষন করে নিরপরাধ মানুষ দুটোকে মারলি ৷তোদের জন্য একটা নিরপরাধ মানুষ নিজের স্ত্রী সন্তান হারিয়ে পাগল প্রায় ৷তোর সাথের কেউ আর বেচেঁ নেই ৷কাল রাতেই ওদের শেষ করে দিয়েছি ৷লাশ গলেও গেছে প্রায় ৷আর কিছুক্ষন পর ওদের আর অস্তিত্ব থাকবে না ৷কেন যেন তোকে মারতে ইচ্ছে করলো না ৷তোর জন্যই তো সব হলো ৷তবে হ্যা তোকে আমি মারবো ৷ যেভাবে মারলে নিজের মৃত্যুর থেকেও আমাকে বেশি ভয় পাবি ৷ঠিক ঐ ভাবে তোকে মারবো ৷প্রীতি এক এক করে লোকটার হাতের নখ তুলে নিল ৷তার চিৎকার ঘরের বাইরে গেল না ৷সাউন্ড প্রুফ ঘরে একটু একটু করে নিজের প্রান হারালো সে ৷ আর প্রীতি তাকিয়ে রইলো সেই প্রানহীন দেহটার দিকে ৷
আজ তোকে দিয়ে নিজের পঞ্চাশ টা খুন শেষ করলাম ৷আর যাই হোক মানুষ রূপে থাকা জানোয়ারদের বাচিঁয়ে রাখতে নেই ৷
এভাবে দিন যেতে লাগলো ৷প্রীতি দিনকে দিন একা থাকতে শুরু করলো ৷আগে শরীফের বাড়ী থাকতে সারাদিনে একবার হলেও সবার সাথে কথা হতো ৷কিন্তু এখন সে আরো কথা বলা ছেড়ে দিল ৷সারাদিন কাজ আর পড়াশোনা করতো ৷আর রাত হলে অন্ধকার ঘরে একা বসে থাকতো ৷পুরো বাড়ী আলোহীন অবস্থায় পরে থাকতো ৷সারা রাত একা একা কথা বলে পার করে দিত সে ৷
এক সপ্তাহ পরের কথা ৷আজ আর প্রীতি অফিসে যায় নি ৷ভার্সিটিতে ক্লাস ছিল ৷তাই সেখানে গেছে ৷ শরীফ একটা কেস নিয়ে পুলিশের সাথে আলোচনা করছিল ৷হঠাৎ তার মোবাইলে একটা কল আসে ৷শরীফ ওপাশের কথা শুনে পাগলের মতো দৌড়ে যায় ৷প্রীতির ভার্সিটি থেকে কল এসেছে ৷কিছুক্ষন আগে প্রীতি নাকি অজ্ঞান হয়ে পরে গেছে ৷প্রীতিকে ভার্সিটির লোকেরা হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷শরীফ হাসপাতালে যেয়ে দেখে প্রীতি আইসিইউ তে ভর্তি ৷ ডাক্তার প্রীতির চিকিৎসা করছে ৷ ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করেন কি হয়েছে তার মেয়ের ৷কিন্তু ডাক্তার তখন কিছু বলে নি ৷জাহানারা বেগম মেয়ের অসুস্থ হওয়ার কথা শুনে সারা রাস্তা কাদঁতে কাদঁতে আসেন ৷
ডাক্তারের চেম্বারে শরীফ বসে আছে ৷ডাক্তার প্রীতির রিপোর্ট দেখে বললেন
দেখুন আপনার মেয়ের মানসিক অবস্থা খুব একটা ভালো না ৷ওনাকে যতটা স্বাভাবিক মনে হয় ৷আসলে উনি তার ধারে কাছেও স্বাভাবিক নন ৷ওনার ফুসফুসে পানি জমে গেছে ৷অতিরিক্ত ধুমপান এবং রাত জাগার জন্য উনি ডিপ্রেশনে ভুগছেন ৷রোগীর ব্রেনের সমস্যা গুলো জটিল আকার ধারন করছে ৷ যত দ্রুত সম্ভব ওনার চিকিৎসা শুরু করতে হবে ৷
আপনার কথা অনুযায়ী আমার মেয়ে ধুমপান করে ৷কিন্তু আমি কখনো তাকে সিগারেট ধরতে দেখি নি ৷আপনি বলছেন আমার মেয়ে স্বাভাবিক নয় ৷কিন্তু ওর সব কাজ তো স্বাভাবিক মানুষের মতো ৷
দেখুন রোগী কোনো না কোনো ব্যাপার নিয়ে হতাশায় ভুগছেন দীর্ঘদিন ধরে ৷ আর হ্যা রিপোর্টে স্পষ্ট লেখা আছে উনি ধুমপান করেন ৷ রিপোর্ট অনুযায়ী উনি একজন মানসিক রোগী ৷যার দীর্ঘ দিন চিকিৎসার দরকার ৷এখন আপনাদের যা ইচ্ছা ৷
শরীফ এবার বেশ রেগেই বলল তখন থেকে আমার মেয়ের নামে উল্টা পাল্টা কথা বলছেন ৷আমার মেয়ে পাগল হলে পুলিশ অফিসার হতে পারতো না ৷আর হ্যা আমি অনেক ভালো জায়গায় মেয়েকে চিকিৎসা করাবো ৷শরীফ বেশ রাগ হয়ে চেম্বার থেকে বের হয়ে যায় ৷
তার দুই দিন পর প্রীতিকে বাড়িতে আনা হয় ৷বেশ অসুস্থ তখন সে ৷হঠাৎ করে বাসায় এসেই প্রীতি শরীফকে বলে ঢাকাতে তার বদলি করতে ৷শরীফ প্রীতির এমন কথায় একদম রাজী হয় না ৷ কেননা তখন তিনি প্রীতির চিকিৎসার কথা ভাবছেন ৷কিন্তু প্রীতি বারবার রিকোয়েস্ট করতে থাকে ৷একটা সময় প্রীতি রেগে গিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে ৷ সেই দিন অনেক কষ্টে শরীফ প্রীতিকে বাচিঁয়ে নেয় ৷ মেয়েকে জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কেদেঁ ওঠে জাহানারা বেগম ৷ প্রীতি কিছু বলে নি ৷জাহানারা বেগমকে ধরে এক শয়তানি হাসি সে হেসে ছিল সেই দিন শুধু ৷কেননা সে জানতো শরীফ এবার তার কথা শুনবে ৷ অতঃপর বাধ্য হয়ে প্রীতিকে ঢাকায় বদলি করেন শরীফ ৷প্রীতিকে ঢাকায় বদলি করা হবে এমন কথা শুনেই ৷ঢাকার নারী পাচারকারী জটিল কেসটা প্রীতিকে দেওয়া হয় ৷ আর প্রীতিও রাজি হয়ে যায় ৷
বর্তমানে
প্রীতি কাঠগড়ায় দাড়িয়ে আছে নিজের চোখে পানি মুছে প্রীতি বলল
হ্যা স্যার আমি খুনী ৷এই হাতে আটান্ন টা খুন করেছি ৷একটা প্লান অনুযায়ী পুলিশকে দিয়ে করিয়েছি ৷সর্বমোট ঊনষাট টা খুন আমি করেছি ৷কি ভাবছেন কেন এতগুলো খুনের কথা শিকার করলাম ৷এগুলো যদি আমি শিকার না করতাম ৷তাহলে কেউ জানতো না স্যার ৷কিন্তু আমি চাই সবাই এই হিংস্র মানুষটাকে চিনুক ৷তাইতো ইচ্ছে করে পুলিশের হাতে ধরা দিয়েছি ৷ইচ্ছে করে এখানে সাংবাদিক ডেকেছি ৷ইচ্ছে করে নিজের দোষ কবুল করেছি ৷প্রীতিলতা নিজের শার্টের ভেতর থেকে একটা চেইন বের করলো ৷চেইনটাতে দুটো চুমু খেল ৷তারপর চোখের পানি মুছতে মুছতে বলল এটা আমার মায়ের চেইন স্যার ৷যেই চেইনটা বাবা মাকে দিয়ে ছিল ৷প্রীতি লকেট থেকে একটা ছোট মেমোরী কার্ড বের করে দিল ৷তারপর বলল
এই কার্ডের ভেতর আমার বাবার সাথে করা সব অন্যায়ের প্রমান আছে ৷এই কার্ডের ভেতরে নারী পাচারের সাথে কারা জরিত তার সব প্রমান আছে ৷ শুধু তাই নয় স্যার আমি এই পর্যন্ত যাদের খুন করেছি ৷তাদের খুনের প্রমান আছে ৷আমার মা বাবা যেই দিন মারা যায় ৷সেই দিনের কিছু ছবি আছে স্যার ৷আমি শুধু খুন নয় ৷ হ্যাক করে আমি বিপুল পরিমান টাকা আত্মসাৎ করেছি ৷ এমপি সাঈদের টাকাও আমি হ্যাক করেছি ৷তার প্রমান আমার কাছে আছে ৷প্রীতি নিজের ডান পায়ের জুতোটা খুললো ৷নিচের শক্ত সোলটা হাত দিয়ে ঘোড়াতেই সরে গেল ৷প্রীতি ভেতর থেকে একটা পেনড্রাইভ বের করলো ৷উপস্থিত সবাই অবাক চোখে প্রীতিকে দেখছে ৷প্রীতি বিচারকের কাছে পেনড্রাইভ টা দিল ৷তারপর বলল
এখানে হ্যাকিং এর তথ্য আছে ৷ আমার করা সব পাপের প্রমান ৷আর আমার পরিবারের সাথে হওয়া সকল অন্যায়ের প্রমান এখানে আছে ৷
সমস্ত ছবি গুলো বিচারক বড় পর্দায় দেখানোর আদেশ দিলেন ৷এক এক করে সব কিছু দেখানো হলো ৷ প্রীতিলতা মাথা নিচু করে দাড়িয়ে রইলো পুরোটা সময় ৷ আবেশ কাদঁছে ৷দিহান মাথা নিচু করে কাদঁছে ৷বিচারক নিজের চোখের পানি মুছে বললেন
মিস প্রীতি আপনি সব জেনেও কেন পুলিশের হাতে ধরা দিলেন ৷আপনি তো চাইলেই সব প্রমান শেষ করতে পারতেন ৷ আপনি কি করে জানতেন আপনাকে পুলিশ এরেস্ট করতে যাচ্ছে ৷আর যখন জানতেন তাহলে পালিয়ে কেন গেলেন না ৷
প্রীতি বাম হাতে চোখের পানি মুছে বলল
স্যার আমি কোনো ভালো মানুষ নই ৷আমি কারো সাথে যেমন ন্যায় করেছি ৷ ঠিক তেমনি অন্যায় করেছি ৷কাউকে প্রিয়জন হারানোর বিচার দিতে গিয়ে ৷অন্য জনের প্রিয়জন কেড়ে নিয়েছি ৷এর জন্য হয়তো জীবনের শেষ সময় গুলোতে আমি আমার কাছের মানুষদের আর পেলাম না ৷ আমি ইচ্ছে করে ধরা দিয়েছি ৷যেন মুখোশের আড়ালে থাকা আমার আসল রূপটা সবাই দেখতে পায় ৷আমার ভয়ংকর রুপটা দুনিয়া দেখেনি ৷তাই নিজের আসল চেহারাটা তাদের দেখালাম ৷ এটা না করলে কেউ বিশ্বাস করতো না ৷আর কে আপনাদের খবর দিয়েছে তাকেও আমি চিনি ৷ সে কখন কি করেছে সব খবর আমার কাছে আছে ৷কেনান আমার পরবর্তী শিকার সে ছিল ৷
আবেশ চৌধুরী ছেলে মেয়েকে কেন কিডন্যাপ করলেন ৷
আমি ওদের কিডন্যাপ করতে চাই নি ৷মিহান চৌধুরী ওদের মারতে চেয়ে ছিল ৷তাই প্রথমে জেসিকা নামে একটা ভাড়াটে সিরিয়াল কিলার ভাড়া করে ৷কিন্তু আমি ওকে এরেস্ট করে ফেলি ৷তারপর প্লান অনুযায়ী ওর শরীর পটাশিয়াম সায়ানাইড দিয়ে দেই ৷আর নাম পরে জেসিকা আত্মহত্যা করেছে ৷তারপর মিহান ওদের আবারো কিডন্যাপ করার সিদ্ধান্ত নেয় ৷তার প্লানে দিহান আর তার মা ডায়না ছিল ৷ওরা কিছু করার আগেই আমি ছেলে মেয়ে দুটোকে আমার কাছে নিয়ে যাই ৷বিশ্বাস না হলে দিহানকে জিজ্ঞাসা করুন ৷দিহানকে দাড় করাতেই সে নিজেদের দোষ কবুল করে নেয় ৷
বিচারক প্রীতির দিকে তাকিয়ে বলল
সাংবাদিক কেন ডাকলে আজকের বিচারে ৷
আমি চাই পুরো দুনিয়া আমার মতো জঘন্য মানুষটাকে দেখুক ৷আমার মতো খারাপ মেয়েকে যেন সবাই চিনে রাখে ৷আর আমার অমানুষ হওয়ার গল্পটা যেন সবাই. জানে ৷ আমি আমার মা ,বাবা,ভাইয়ের খুন হওয়ার সত্যিটা জানাতে চেয়েছিলাম ৷যেটা এতদিন দূর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
পুরো দেশের মানুষ তোমার ফাসিঁ চায় ৷তুমিও কি তাই চাও ৷
বিচারকের দিকে তাকিয়ে প্রীতি হাসে ৷তারপর বলে
পুরো দুনিয়ার কথা আমি জানি না স্যার ৷তবে আমার প্রিয়জনেরা যদি আমার ফাসিঁতে খুশি থাকে ৷ তবে আমি সেই ফাসিঁ একবার নয় হাজার বার গলায় পড়তে রাজি ৷ আর এখন তারাও আমার ফাসিঁ চায় ৷আপনি আমাকে ফাসিঁ দিন স্যার ৷আমি আমার ফাসিঁ চাই ৷ ফাসিঁ চাই আমি নিজের ৷ প্রীতি কথা গুলো বলতে বলতে কাঠগড়ার ভেতরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো ৷
চলবে……