#ভালোবাসা_অবিরাম
#পর্বঃ১৫
#আইরাত_বিনতে_হিমি
চৌধুরী বাড়ির গোধন কক্ষে মিটিং বসছে মিটিংয়ে উপস্থিত বাড়ির সবাই। সবাই বলতে ছোটরা নেহা নেহার husband সৌরভ রিসাদ (বড় ছেলে) রিসাদের বউ দিশা শাকিল ( মেজো ছেলে ) শাকিলের বউ রিয়া মিষ্টি এবং আদি মিটিং টা অবশ্য আদি আর মিষ্টির ঢাকা আসলে তাদের ২ বছরের রিলেশনশিপ কিন্তু বাসার কাউকে বলতে পারছে না বলে বিয়েটা হচ্ছে না তাই তারা ডিসিশন নিয়েছে নিলুকে দিয়ে আসফিকে রাজি করাবে আর এর জন্য প্রয়োজন তাদেল ভালো সম্পর্ক। সো তারা চাই তাদের সম্পর্কটা স্বাভাবিক হোক মূলত এই কারণেই এই মিটিং আসফি আর নিলুর সম্পর্ক স্বাভাবিক করা। এতগুলো মানুষের মাঝে বসে আছে আদি সেইখান থেকেই সে বলে উঠলো
শোনো সবাই আজকের এই শোভা শুধু মাত্র নিলু আর আসফিকে নিয়ে ওদের সম্পর্ক কীভাবে স্বাভাবিক করা যায় তা নিয়ে
সবাই এক সাথে বললো হুম বুঝলাম কিন্তু আমাদের কি করতে হবে
আমার কাছে একটা plan আছে আমরা সবাই যদি আসফি আর নিলুকে কোথাও ঘুরতে পাঠাতে পারি এই যেমন ধরো কক্সবাজার সিলেট রাঙ্গামাটি এইসব কোনো জায়গায় তাহলে প্রকৃতির প্রেম দেখে ওরা নিজেদের মধ্যে লুকানো ভালোবাসাকে বুঝতে পারবে
নেহা বলে উঠলো
idea টাহ খারাপ নয় কিন্তু প্রশ্ন হলো ওদের রাজি করাবে কে ভাই তো জীবনেও রাজি হবে না কারণ ওর এখন ভীষন কাজের hospital office সামলিয়ে ওহ শেষ আর নিলু নিলুকেও যেতে দেবে না কারণ নিলু সবে কলেজ জয়েন করছে আর আমার মনে হয় আসফি আমাদের কথা শুনবে না
আমি জানি তো আসফি রাজি হবে না আমার ফ্রেন্ড কিনা তাই তো আমার কাছে plan b আছে
শাকিল বলে উঠলো
তাহলে দেড়ি কেনো বলে ফেলো
আমি জানি আসফি বড় আন্টির কথা শুনবো তাই বড় আন্টিকে আমাদের দলে আনতে হবে
দিশা বলে উঠলো
ওরে বাবারে এত বড় dangerous কাজ আমি পারবো না
পারবো না বললে তো কাজ হবে না ভাবি পারতে হবে
মিষ্টি বলে ওঠলো
রাইট ভাবি be brave
ওকে
সৌরভ বলে উঠলো
আচ্ছা চলো তাহলে বড় আম্মুর রুমে যায়
চলো
সবাই রুমানা চৌধুরীর রুমের সামনে এসে দাড়িয়ে আছে কিন্তু কেউ রুমে ঢুকার সাহস পাচ্ছে না তাই তো মিস্টি বিরক্ত হয়ে সবাইকে দিলো এক ধাক্কা ধাক্কা খেয়ে সবাই হুমড়ি খেয়ে রুমের ভিতরে ঢুকলে তাদের এমন প্রবেশ দেখে রুমানা চৌধুরী কপট রাগ দেখিয়ে বললো
দিনে দিনে বড় হচ্ছো না ছোট এগুলো কেমন behavior এইভাবে কেউ কারো রুমে ঢুকে রুমে ঢুকার আগে নক করতে হয় জানো না
আদি বলে উঠলো
সরি বড় আন্টি আহলে আমরা না আপনাকে একটা কথা বলতে এসেছি
কি কথা
আদি সবার দিকে তাকিয়ে বললো
এই কি কথা যেনো
হাও ফানি আদি তুমি কি বলতে এসেছো তাই ভুলে গেছো
মিষ্টি পিছন থেকে রেগে গেলো আর রাগ দেখিয়ে বলল
ওফফ কি শুরু করছো এইভাবে তো বড় আম্মু বিরক্ত হচ্ছে আসলে বড় আম্মু আমি বলছি আমরা আসলে ভাইয়া আর ভাবিমণিকে নিয়ে কথা বলতে আসছি
জ্বি বললো
বড় আম্মু আমরা চাইছি তাদের সম্পর্কটা স্বাভাবিক হোক তাই আমরা একটা plan করছি তাদেরকে যদি কোথাও ঘুরতে পাঠানো যেতো এই যেমন ধরেন সিলেট বা কক্সবাজার
হুম good idea এইটা করা যেতে পারে তোমরা tension করো না আমি ওদেরকে রাজি করাবো
সবাই এক সাথে বলে উঠলো
Thank you বড় আম্মু
একটা বড় রেস্টুরেন্টের সামনে এসে দাড়ালো আসফির গাড়ি। গাড়িতে এখনো মুখ ফুলিয়ে বসে আছে নিলু। তার অবস্থা দেখে আসফি পেট ওরে হাসতে ইচ্ছে করছে তাও নিজের ভাবমূর্তি যথেষ্ট ঠিক রেখে বললো
কারও যদি ফুচকা খেতে ইচ্ছে করে তাহলে সে আসতে পারে
নিলু আসফির কথা শুনে মুখ ঘুরিয়ে বসলো। আসফি এইবাল মিটিমিটি হাসছে আর বলছে
ওকে ফাইন আমি একাই যাচ্ছি শুনেছি এই জায়গার ফুচকাটা অনেক মজা
নিলুর এইবার জিভে জল চলে আসলো তাই তো আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পেরে বলেই ফেললো
আমি কি বলছি আমি খাবো না
ওহ তুমি বলোনাই তুমি খাবেনা ঠিক আছে আমি ই মনে হয় ভাবছি
এই কথা শেষে দুজন গাড়ি থেকে বাহির হয়ে আসলো তারা দুজনে রেস্টুরেন্টের ভিতরে গিয়ে বসলো আর বললো
এই মামা এক প্লেট ফুচকা আর একটা ব্লাক কফি দেন তো
একি এক প্লেট কেন আপনি খাবেন না
নাহ আমি এইসব হাবিজাবি খাই না তুমিই খাও
কি আমার ফুচকা হাবিজাবি আপনার ব্লাক কফি হাবিজাবি ওয়াক কি তেতো
নিলু চুপ করে বসো
ওহ আমি বললেই দোষ আর আপনি বললেই গুণ
ধ্যাত
আসফি মোবাইল স্ক্রল করছে আর কফি খাচ্ছে। এমন সময় নিলুর মাথায় একটা দুষ্ট বুদ্ধি এলো তাই সে বললো
মি চৌধুরী চোখটা বন্ধ করুন তো
কেনো
আহ করুনই না
ওকে
এইবার হা করুন
কেনো করতে বলছি করুন আপনার জন্য গিফট আছে
ওকে
আসফি হা করার সাথে সাথে নিলু আসফির মুখে ফুচকা ডুকিয়ে দিলো
আসফি রাগে বোম এইটা তোমার সারপ্রাইজ ছিলো পাজি মেয়ে একটা
আপনি আমার ফুচকাকে হাবিজাবি বলছেন তাই এইটা আপনার শাস্তি হা হা হা হা
এইটা আমার শাস্তি না দাড়াও একবার বাসায় যায় তারপর তুমার মজা দেখাচ্ছি
আপনি আমার কচু করবেন হা হা হা হা
#চলবে