অতিরিক্ত চাওয়া ?
নাবিলা ইষ্ক
পর্ব : ১
♥♥
তুমি আমার কি?
রিলেটিভস, বন্ধু, শত্রু, গার্লফ্রেন্ড, বউ?
নাহ তেমন কিছুই নও তুমি আমার।
তাহলে কে হও? ” তুমি শুধুই আমার এক ১৫ বয়সের স্টুডেন্ট আর আমি তোমার ২৮ বয়সের টিচার ”
তাহলে তো তুমি আমার স্টুডেন্ট আর আমি তোমার শিক্ষক। শুনেছি শিক্ষকের মাঝেই বাবার প্রতিচ্ছবি থাকে। আমার মাঝেও আছে! প্রত্যেকটি স্টুডেন্ট কে নিজের ছেলে_মেয়ের মতোই মনে করি। তাহলে তোমায় কেনো তা মনে করতে পারি না। কেনো পারি না? আমার কল্পনাতেও আমি তা ধারণ করতে পারি না!
কেনো?
কারন আমি যে তোমায় চাই! অতিরিক্ত চাই, আমার কাছে চাই, ঠিক আমার ডান পাশে চাই, আমার হাতে তোমার হাত চাই, আমার বুকের মাঝে তোমায় চাই।
লজ্জাজনক তাই না? জানি লজ্জাজনক! মানুষ জানলে থু থু দেবে আমার মুখে। কারন আমি এক নাবালিকা মেয়ে যে কিনা হয় আমার স্টুডেন্ট তাকে চাই। কি করার তাও যে তোমায় ই চাই? প্রতি সেকেন্ডে চাই! অনেক ভাবে চাই….!
মজনু যেমন চায় লাইলিকে, তেমনি আমি চাই তোমাকে..
ফারহাদ যেমন চায় শিরিনকে, তেমনি আমি চাই তোমাকে..
মুগ্ধ যেমন চায় তিতিরকে, তেমনি আমি চাই তোমাকে..
রোদ যেমন চায় ইতিকে, ঠিক তেমনি আমি চাই তোমাকে
রাহুল যেমন চায় স্নেহাকে, তেমনি আমি চাই তোমাকে!
তিথি যেমন চায় প্রহরকে, ঠিক তেমনি আমি চাই
তোমাকে..!
মেঘ যেমন চায় তারাকে, তেমনি আমি চাই তোমাকে..!
কাব্য যেমন চায় তানিশাকে তেমনি আমি চাই তোমাকে….! প্রিয় জুটি গুলি ❤❤]
মানুষ যেমন চায় অক্সিজেনকে, তেমনি চাই তোমাকে…!
পৃথিবী যেমন চায় আকাশকে, তেমনি চাই তোমাকে…!
মাছ যেমন চায় পানিকে, তেমনি চাই তোমাকে..!
শব্দ যেমন চায় বাক্যকে, ঠিক তেমনি আমি চাই তোমাকে..!
হুম ঠিক শুনেছো তোমায় চাই.. অতিরিক্ত চাই, পগলের মতো চাই। যদি প্রশ্ন করো কতটা চাও? আমার জবাব হবে ” তুমি যদি বলো আকাশের চাঁদটা এনে দাও, আমি সেই চাঁদ আনতে যাবো জেনেও যে ওটা কখনি আনতে পারবো না, ঠিক এতোটা চাই তোমায়।
” নেশা যেমন মাতাল করে মানুষকে, তেমনি তুমি মাতাল করেছো আমাকে.. ”
নেশা যেমন চড়ে বসে মস্তিষ্কে, তেমনি তুমি বসেছো আমার মস্তিষ্কে…! ”
ব্যহায়া আমি তাই না? হুম অনেক ব্যহায়া, তোমার জন্য ব্যহায়া। জানি না আমার এই ব্যহায়াপনা নিয়ে কতোদিন বেচে থাকতে পারবো? যেতোদিন বেচে থাকবো, তুমি থাকবে আমার বুকের মাঝে।
যখন বুঝতে পেড়েছিলাম তোমায় নিজের থেকে বেশি চাইতে শুরু করেছি? তখন ভেবেছিলাম তোমায় চাওয়ার থেকে মড়ে যাওয়াটা শ্রেয়! কিন্তু ফ্যামিলিকে ছেড়ে কিভাবে মড়বো! আমি ছাড়া যে তাদের কেউ নেই!
জানি কখনো পাবো না তোমায়! কখনো ছুতে পারবো না তোমায়! তাও তোমায় একনজর দেখতে পাই তাই আমার বাচার প্রদিপ।
তৃষ্ণার বাচার প্রদিপ…!
ডাইরীর প্রথম পৃষ্ঠার পড়ে ফুপিয়ে কাদছে বেলি। চোখ মুছে দ্বিতীয় পেজে যাবে তখনি কারোর পায়ের আওয়াজ শুনতে পেলো। তড়িঘড়ি করে ফ্লোর থেকে উঠে দাঁড়িয়ে গেলো। ডায়রিটা যেখান থেকে নিয়েছিলো সেখানেই ঢেকে রেখে দিলো। কানে আওয়াজ আসতেই সামনে তাকালো…
” ইয়েস স্যার?
” এখানে কি করছো? [ ধমকের শুরে ]
” কেউ আসে নি! তাই ভাবলাম একটা বই পড়ি!
” এতো তাড়াতাড়ি কেন এসেছো! কাল থেকে সবার সাথেই আসবে! যাও নিজের যায়গায়?
তাড়াতাড়ি সেখান থেকে এসে নিজের যায়গায় বসলো বেলি। যার ধমকে বেলি ভয় পেলো সে হলো বেলির বাসার এবং স্কুলের শিক্ষক তৃষ্ণা মানঞ্জিল। বেলি আনমনেই ভাবছে যে তৃষ্ণা স্যার কাউকে এতোটা ভালোবাসে। বাবাহ ভাবা যায়? তাও তার থেকে ১১ বছরের ছোট এক মেয়েকে! আবার কিনা সে তার স্টুডেন্ট! যাইহোক! মেয়েটা ভাগ্যবতী যে স্যারের এতোটা ভালোবাসা পাচ্ছে। স্যারের জন্য খারাপ ও লাগছে! তার এই ভালোবাসা কেউ ভালো চোখে দেখবে না। আর কেউ মানবেও না!
” বেলি?
আওয়াজ পেয়ে তাড়াতাড়ি উঠে দাঁড়িয়ে বলল…” জি স্যার!
” কালকের পড়া গুলো রিভিশান দাও। সবাই আসলে একসাথে টেষ্ট দিয়ো!
” ওকে স্যার!
স্যার আর একমুহূর্তও দাড়ালো না! চলে গেলো? ভাবতে লাগলো বেলি..” এই তৃষ্ণা স্যারটা না আমায় একদম সজ্য করতে পারে না। জানি না কেনো? আমি তো কখনো স্যারদের সাথে খারাপ বিহেব বা দুষ্টুমি করি না। তাই সকল স্যার_ম্যাম আমায় বেশ পছন্দ করেন। কিন্তু তৃষ্ণা স্যার আমায় একদম পছন্দ করেন না! কিন্তু আমার স্যারটাকে ভালোই লাগে! স্যার হিসেবে বললে হি ইজ আ ব্রিলিয়ান্ট টিচার। যেকোনো প্রশ্নের আন্সার আছে তার কাছে। উনার কথার স্টাইল, চলার স্টাইল, বিহেভ, সব চোখ ধাধানোর মতো। এবং সে নিজেও এক আইটেম। উপস কি যে বলি? মানে সে দেখতে যথেষ্ট সুপুরুষ! লম্বায় ৬ ফুট তো হবেই। চেহরার গঠন গোল। চোখ দুটো’ অসম্ভব সুন্দর। সিল্কি চুল গুলো বেশ বড় রেখেছে। স্যারের বয়স কেউ ধরতে পারবে না! সবার সাথে ভালোভাবে মিষ্টি ভাবে কথা বলে কিন্তু আমার সাথে রেগে কথা বলে। কখনো নরম শূরে বা হেসে কথা বলে নি!
স্যাররা যথেষ্ট বড়লোক। ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় তাদের নিজেদের বাড়ি আছে ৮ তালা। আরো আছে সেইটা অন্যান্য টিচারদের মুখ থেকে শুনেছি। গাড়ি ও আছে বাট কয়টা তা জানি না। কিন্তু.. একটা গাড়ি স্যার ইউস করে ডার্ক কালারের। মাঝে_মধ্যে গাড়িটা নিয়ে বের হয়।
এতোটা বড়লোক হওয়ার পর ও স্যারের সেই ব্যাপারে কোনো অহংকার নেই। সাদামাটা ভাবেই সে চলা_ফেরা করে। কিন্তু স্টাইল এর দিক থেকে নো নড়চড়। স্টাইল করা মে বি স্যারের রক্তে মিশে আছে। বাসায় ও কখনো অগছালো ভাবে দেখিনি স্যারকে।
ভাবতে ভাবতে নিজের জগতে চলে এসেছি। পাশে যে কয়েকটা মেয়েরা চলে এসেছে সেদিকে খেয়াল ই করি নি। কিছুক্ষণ পর স্যার এলো আমার দিকে তাকাতেই মুখটা ঘুড়িয়ে বাকি স্টুডেন্টসদের দিক মুচকি হেসে তাকালো। আমার না খুব কান্না পায় স্যারের এমন করা তে। অন্য স্টুডেন্টসদের মতো কি আমায় ট্রিট করা যায় না? এতোটা খারাপ আমি..?
চলবে…
[ ফাস্টলি আম সরি ফর দি কনসেপ্ট গাইস! এখানে আমি যাষ্ট একটা লাভ স্টোরি তুলে ধরতে চেয়েছি! সো স্টোরিটা পুরো ইমাজিনেশান করে পড়িয়ো! এন্ড আই হার্টলি রেস্পেক্ট ওল দি টিচার্স! এখানে কোনো টিচারকে ইনসাল্ট করা হচ্ছে না! যাষ্ট একটা আনবিলিভেবল লাভ স্টোরি তুলে ধরতে চেয়েছি! সো আই হোপ তোমরা বুঝতে পারবা! ভালোবাসা অকারণে অনেকভাবে হয়ে থাকে! ভালোবাসার পরিনাম কখনও কেউ ধরতে বা জানতে পারবে না! ]