#আমার_আসক্তি_যে_তুমি
#Part_46
#Writer_Asfiya_Islam_Jannat
.
?
রিয়ান আকাশের পানে তাকিয়ে আছে। আকাশটা আজ একদম নিস্তেজ। আকাশে নেই কোন তারার মেলা। নেই কোন চাঁদ মামার স্নিগ্ধ হাসি। মেঘেরাও ক্লান্ত হয়ে স্থির হয়ে ঝিমুচ্ছে। বাতাস যেন আজ আলসামি করে একটি কোনায় গিয়ে বসে আছে। যার জন্য ঝাপসা গরমটা একদম ঝেঁকে ধরেছে।
ইতি মধ্যে রিয়ানের মাথায় বিন্দু বিন্দু ঘাম এসে ভীড়ও জমিয়ে দিয়েছে। গেঞ্জির সাইডে হাল্কা ঘামে ভিজে গিয়েছে। কিন্তু তাতে রিয়ানের ভ্রু ক্ষেপ নেই। সে আনমনে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। মনের কথাগুলো চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে। কিন্তু প্রতিবার ব্যর্থ হচ্ছে। সে মনে মনে বলতে থাকে,
.
— আমার ভালবাসা যে সকল হতে আলাদা তা তুমি কেন বুঝো না? নিজেকে তোমার মাঝে বিলীন করে যে আমি শান্তি পাই তা তুমি কখনো বুঝবে না। তুমি শুধু লেখার পিছে কষ্টটাই দেখলে আমার ভালবাসা দেখলে না। তোমাকে আমি নিজের জন্য আঘাত করার অনুমতি দেই নি কিন্তু নিজের বেলায় ঠিকই নিয়েছি। কেন না তোমার আর আমার ভালবাসা এক না। যদি কখনো তুমি ঠিক আমার মত করে ভালবাসতে পারো, আমার মত ভালবাসায় আসক্ত হতে পারো তখন বুঝবে এই পাগলামোর মানে কি। তখন তুমিও বলবে তোমার আসক্তি যে আমি। কিন্তু আদো কি সেই দিন আসবে? শেষের প্রশ্নটা করে রিয়ান এক দীর্ঘ শ্বাস নিলো।
তারপর রিয়ান পিছে ঘুরতে নিলেই আমি এসে তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরি আর বলে,
.
— আমি জানি রিয়ান আপনার ভালবাসা মাত্রাতিরিক্ত। অনেক বেশি ভালবাসেন আমায়। সকলে নিজের ভালবাসার যা না করে তার চেয়ে দ্বীগুন করেন আপনি শুধু মাত্র আমার জন্য। কতজনই বা পারে নিজের ভালবাসার মানুষের নাম নিজের হাতে লিখতে? আমি কৃতজ্ঞ আপনাকে পেয়ে৷
কিন্তু জানেন কি? ভালবাসার মানুষটা যদি নিম্নতম আঘাতও পায় না তাহলে একদম হৃদয়ে গিয়ে লাগে। আমার বেলায়ও ঠিক তাই হয়েছে। তাই তখন এমন রিয়েক্ট করেছিলাম। আপনার ভালবাসার গভীরতা ঠিকই বুঝেছি কিন্তু তখন প্রকাশ করতে পারি নি। তাই এখন তা প্রকাশ করছি।
.
এই বলে আমি রিয়ানকে ঘুরিয়ে তার বাম হাতটা টেনে নিজের সামনে ধরি। তারপর আমার নামের সেই জায়গাটিতে আলতো করে ঠোঁট ছুঁয়ে দেই। তারপর ঠোঁটের কোনে মিষ্টি এক হাসি ঝুলিয়ে বলি,
.
— আপনাকে আপনার মত না হলেও অনেক বেশি ভালবাসি। জানি হয়তো অভিমান করে আছেন। তাই এখন দেখুন আমি তার জন্য কিউট করে সরি বলছি। আ’ম সরি রিয়ান। প্লিজ মাফ করে দিন। আর হ্যাঁ আজ কিন্তু আমি ঘুষ দিতেও রাজি। তো তারাতারি অভিমান দূর করেন। মিষ্টি সুরে।
.
রিয়ান রিয়ানার এমন ব্যবহার দেখে বেশ হাসি পাচ্ছে। কিন্তু তাও কোন মতে ঠোঁট চেপে হাসি দমিয়ে রেখেছে। তারপর মুখে এক গাম্ভীর্য ভাব এনে বলে,
— কি ঘুষ দিবে শুনি?
.
এই কথা শুনে আমি কিছুক্ষণ রিয়ানের দিকে তাকিয়ে থাকি। তারপর টুপ করে রিয়ানের ঠোঁটে আলতো করে ঠোঁট ছুঁয়ে দিয়ে দূরে সরে আসি। আমার বেশ লজ্জা লাগছিল বলে পিছে ঘুরে যাই। তারপর লজ্জা মাখা কণ্ঠেই বলি,
— এই নেন ঘুষ। এখন খারুসগিরি না করে সুন্দরমত মাফ করে দিয়েন আর রুমে চলে এসেন। আমি ঘুমাতে যাচ্ছি। বাই! টাটা! আল্লাহ হাফেজ!
.
এই বলে আমি আর দেরি না করে দ্রুত পায়ে রুমে চলে আসি। কেন না লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছিল। সেখানে আর একমিনিট থাকলে বোধহয় আমি লজ্জায় মরেই যেতাম।
.
রিয়ান আমার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হেসে দেয়। তারপর বলে,
.
— পাগলি একটা।
.
.
?
.
আজ আমার রিয়ানের বৌভাত। তার জন্য আজ সকাল সকালই উঠে পড়েছে সবাই। রিয়ান তো সেই সকাল হতেই কাজে লেগে পড়েছে। রিয়ানের অভিমানটা রাতের আধারেই কেটে গিয়েছে। সকাল থেকে প্রায় কয়েকবার রুমে এসে আমার খোঁজ নিয়ে গিয়েছে। খেয়েছি কিনা, সব কিছু গুছিয়েছি কিনা।
মেকাপ আর্টিস্টরাও এসে পড়েছে আর এসেই আমাকে সাজানোর কাজে লেগে পড়েছে।
.
কিছুক্ষণ আগেই মেকাপ আর্টিস্টরা আমাকে সাজিয়ে চলে গিয়েছে। তারা সম্পূর্ণ সাজিয়ে দিয়ে গেলেও হাতে চুড়িটা পড়িয়ে দিতে ভুলে গিয়েছিল। তাই আমি খাটের উপর বসে হাতে চুড়ি গুলো পড়তে থাকি।
রিয়ান সকল কাজ শেষে ক্লান্ত হয়ে রুমে আসে রেডি হওয়ার জন্য। রুমে এসে রিয়ান রিয়ানাকে দেখে থমকে যায়। রিয়ান এক পলকে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
আজ আমি ডার্ক ব্রাউন কালারের একটা হেভি লেহেঙ্গা পড়েছি। তার সাথে মিডিয়াম বেসড মেকাপ। ঠোঁটে ডার্ক ব্রাউন কালার লিপস্টিক। সাথে মেচিং অর্নামেন্টস। চুল গুলো কার্ল করে একপাশে এসে রেখেছি। তার মধ্যে তিনটে সাদা গোলাপ। মাথায় ঘুমটা দেওয়া।
চুড়ি গুলো পড়া শেষে আমি উপরে তাকাতেই রিয়ানকে দেখতে পাই। সে আমার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তা দেখে আমার ভ্রু দুটো কুচকিয়ে আসে। আমি ধীর পায়ে তার দিকে এগিয়ে যাই। তারপর তার সামনে গিয়ে ভ্রু নাচিয়ে বলি,
.
— এই ভাবে টুকুর টুকুর করে কি দেখছেন?
.
— তোমাকে! আনমনে।
.
— তা আমাকে নতুন করে দেখার কি হলো?
.
— তোমাকে আজ পুরা অন্যরকম লাগছে। এই রঙ কখনো তোমাকে পড়তে দেখি নি যার জন্য বুঝতেই পারি নি রঙটাতে তোমায় এত মানায়।
.
— আপনার বউ সুন্দরী। সে রঙ এই পড়ে তাকে সেই রঙই সুন্দর লাগে। ইউ হ্যাভ টু বুঝতে হবে। ভাব নিয়ে।
.
— ইউ আর জাস্ট রেইলি ইম্পসিবল। কেউ তোমার তারিফ করছে তাকে তুমি থ্যাংকস বলার জায়গায় তার সাথেই নিজের তারিফ শুরু করা দিয়েছ। বাহ!
.
— তাতে কি? আর এই যে মি. খারুস সাহেব তারাতারি রেডি হতে যান। অলরেডি ১ টা বেজে গিয়েছে। আমাদের আবার যাওয়াও লাগবে।
.
— হু যাচ্ছি। তার আগে একটা কাজ বাকি আছে। রহস্যময় হাসি দিয়ে।
.
— কি? কৌতূহলী কন্ঠে।
.
রিয়ান কিছু না বলে টুপ করে আমার গালে চুমু গিয়ে বসে তারপর শিস বাজাতে বাজাতে কাবার্ড থেকে জামা কাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় চেঞ্জ করতে। আর আমি রিয়ানের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকি। ওয়াশরুমের দরজা বন্ধ হতেই আমার জ্ঞান ফিরে আর আমি বলি,
— অসভ্য! প্রচন্ড পরিমাণে অসভ্য!
.
তখনই রিয়ান ওয়াশরুমের দরজা খুলে উঁকি মেরে বলে,
— তাহলে তুমি প্রচন্ড পরিমাণে অসভ্য ম্যাক্স প্রো। মনে আছে তো কালকে রাতের কথা। কালকে.. রিয়ানকে বলতে না দিয়ে বলি,
.
— হ্যাঁ দীদা আসছি। দীদা আমায় ডাকছে বাই। এই বলে দ্রুত পায়ে রুম থেকে বেড়িয়ে আসি।
.
আর এই দিকে রিয়ান হাসিতে গড়াগড়ি খেতে থাকে।
.
.
?
.
স্টেজের মধ্যে আছি। একেক করে সকলেই এসে দেখা করে যাচ্ছে। একটু আগে রিংকি আর আরিশা এসেও দেখা করে গিয়েছে। দুইজনে তো এসে একদম আমার উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। তারপর তাদের বিশ্ব আড্ডাবাজিও শুরু করে যায়৷ কিন্তু মেহমানদের আনাগনার জ্বালায় তা বেশিক্ষণ ক্ষণস্থায়ী হয় নি। তাই তারা আপাতত দৃষ্টিতে আড্ডাকে “টু বি কান্টিনিউ” এর ট্যাগ লাগিয়ে ছবি তুলতে চলে যায়।
রিয়ান আমার পাশে দাড়িয়েই কিছু লোকজনের সাথে কথা বলছে। আমি আর চোখে তাকে দেখছি। পড়নে তার ডার্ক ব্রাউন কালারের ব্লেজার এন্ড পেন্ট। ভিতরে সাদা শার্ট। হাতে ব্ল্যাক চেইনের ঘড়ি। চুল গুলো স্পাইক করা। ঠোঁটের কোনে মিষ্টি এক হাসি। দেখতে বেশ ভালোই লাগছে।
রিয়ান আমার দিকে তাকাতেই চোখে চোখ পড়ে যায়। সাথে সাথে আমি চোখ নামিয়ে নেই। একটু পর রিয়ান আমার কাছে এসে নিচু গলায় বলে,
.
— দেখবেই যখন ভালো মত দেখ। এত লুকিয়ে দেখার কি আছে? বর কিন্তু আমি তোমারই। যখন যেভাবে ইচ্ছা দেখতে পারো। আমি মাইন্ড করবো না। দুষ্টু হাসি দিয়ে।
.
— ওই আপনি যান তো। সব সময় আমাকে লজ্জায় ফেলতে আপনার ভালো লাগে তাই না? লজ্জামাখা নিচু গলায়।
.
— হাইরে আমার লজ্জাবতীরে। থাক লজ্জা পেতে হবে না৷ এখন আমাদের ফটোসেশান হবে সো চল।
.
— হুহ!
.
.
?
.
আরিশা এক কোনে দাড়িয়ে বিভিন্ন পোজে ছবি তুলতে থাকে। তখন কেউ একজন এসে ওর হাত ধরে টান দেয়। তখন আরিশা চেঁচিয়ে উঠে,
.
— এই কেরে!
অতঃপর পাশে তাকিয়ে সিয়ামকে দেখে চুপসে যায়। সিয়াম অগ্নি দৃষ্টিতে আরিশার দিকে তাকিয়ে আছে৷ তা দেখে আরিশা ভয়ে এক ঢোক নিয়ে জোরপূর্বক হাসি টেনে বলে,
.
— হে হে আপনি! তা আপনি এইখানে কি করছেন?
.
— তোমাকে সেই কখন থেকে খুঁজছি আর তুমি এইখানে দাড়িয়ে মনে সুখে ছবি তুলছো। বাহ!
.
— আমাকে দাড়া কি ঝাড়ু দেওয়াবেন নাকি যে এতক্ষন ধরে খুঁজছিলেন? সন্দেহ চোখে।
.
— আমার মাথা! রেগে গিয়ে।
.
— ইয়ে মানে বলছিলাম কি কেন খুঁজছিলেন? সিয়াম রাগ দেখে চুপসে গিয়ে।
.
— বাইরে পার্কিং এরিয়াতে চল বলছি। গম্ভীর গলায়।
.
আরিশা আর সিয়ামের মুখের উপর কথ বলার সাহস পেল না। তাই সিয়ামের পিছু পিছু চলে গেল পার্কিং এরিয়াতে চলে যায়। পার্কিং এরিয়াতে এসে আরিশা বলে,
— বলেন কি বলবেন?
.
— আমার ঠিক জানা নেই কিভাবে এইসব বলতে হয় বা করতে হয়। যতটুকু জানি আর দেখেছি সেই অনুযায়ী করার চেষ্টা করছি৷ এই বলে এক দীর্ঘ শ্বাস নিয়ে নিজের ব্লেজারের পকেট থেকে একটা রিং বের করে হাটু গেড়ে বসে বলে,
.
— তোমাকে কখন কিভাবে ভালবেসে ফেলেছি জানি না। কিন্তু এতটুকু জানি এখন তোমার ছাড়া আমি আর এক মিনিটও পারবো না। তোমাকে আমি নিজের অভ্যাসের পরিনত করতে চাই। জীবনের প্রত্যেকটা মূহুর্তে তোমাকে পাশে চাই। নিজের নিত্যদিনের সঙ্গী হিসাবে তোমাকে চাই। তোমাকে সকলের চেয়ে সবচেয়ে বেশি ভালবাসার অধিকার চাই।
দিবে কি আমায় সেই অধিকারটা? হবে কি তুমি আমার? উইল ইউ মেরি মি?
.
এইসব শুনে আরিশার চোখ ছলমল করতে থাকে। খুশির যেন সকল বাধ ভেঙে যায়। তার বিশ্বাসই হচ্ছে না যে সিয়াম তাকে প্রাপস করেছে। সে এইবার কোনমতে নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে বলে,
.
— ইয়েস আই উইল। হাত এগিয়ে দিয়ে৷
.
সিয়াম আরিশার হ্যাঁ শুনার সাথে সাথে ওর অনামিকা পড়িয়ে দেয়। আর উঠে আরিশাকে জড়িয়ে ধরে বলে,
— আই লাভ ইউ আ লোট আরু।
.
আরিশাও সিয়ামকে জড়িয়ে ধরে বলে,
— আই লাভ ইউ টু।
.
.
?
.
রিংকি সুন্দর এক জায়গায় দেখে দাড়িয়ে মনের সুখে টিকটোক করছে,
.
— তু খিচ মেরি ফটো, তু খিচ মেরি ফটো প্রিয়া। আয়ায়ায়া!
.
— হেই মিস বকবক হোয়াই আর ইউ স্ক্রিমিং? কানের পর্দা ফাটিয়ে দিলে তো। কানে হাত দিয়ে।
.
রিংকি এইবার তেরে এসে বলে,
— ওই মি ব্রিটিশ বান্দর। তোমার জন্য আমার কি সুন্দর টিকটোক ভিডিওটা নষ্ট হয়ে গেল। একদম পার্ফেক্ট হচ্ছিল তুমি এসে সব শেষ করে দিলে। আল্লাহ এই অবিচার সইতো না। আল্লাহ যাতে গজব দেয় তোমার উপর। মেরা টিকটোক! ন্যাকা কান্না করে।
.
— ড্রামা কুইন! বিরবির করে।
.
— ওই কি বললেন? আবার বলেন!
.
— কিছু না। বাই দ্যা ওয়ে তুমি চাইলে আমার ফোল দিয়ে টিকটোক করতে পারো। আমার ফোনের ক্যামেরা কোয়ালিটি অনেক ভালো। টিকটোক ভালো হবে।
.
— তোমার ফোন কোন ব্রেন্ডের? আড়চোখে তাকিয়ে।
.
— এপেল এর। দিব?
.
— আবার জিগায়। এখনই দাও। শ’খানেক সুন্দর সুন্দর টিকটোক করি। দাঁত কেলিয়ে।
.
— বাট আই হ্যাভ আ কান্ডিশন।
.
— কিতা? তারাতারি বলো টিকটোক আমার ওয়েট করছে।
.
— সো নাই কান্ডিশন ইজ– তোমাকে আমার সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে আর আমি আর যেই কয়েকদিন ঢাকাতে আছি সেই কয়েকদিন আমায় পুরো ঢাকা সিটি ঘুরাতে হবে।
.
— কান্ডিশনটা শাড়ির মত লম্বা আর পেঁচানো হয়ে গেল না। এত বড় কান্ডিশন কেউ দেয়?
.
— আমি দেই। এখন বলো কান্ডিশনে রাজী কিনা। রাজী হলে ফোন পাবে নাহলে না।
.
রিংকি কিছুক্ষণ ভাবতে থাকে। তখন ইশান ইচ্ছে করেই ফোন বের করে টিকটোক ইউস করতে থাকে। তা দেখে রিংকি নিজের লোভ সামলাতে না পেরে বলে উঠে,
— আচ্ছা যান রাজী।
.
ইশান এইটা শুনে মুচকি হেসে হাত এগিয়ে দিয়ে বলে,
— ফ্রেন্ডস!
.
রিংকি এইবার সালাম দিয়ে বলে,
— আসসালামু আলাইকুম, ইয়েস ফ্রেন্ডস! এখন মোবাইল প্লিজ। কিউট ফেস করে।
.
ইশান এইবার নিজে মাথায় হাত দিয়ে মনে মনে বলে,
— এই মেয়ে যে আস্তো এক পাগল তা তুই বার বার ভুলে যাস কেন। সি ইজ এলিয়ান ইয়ার।
.
— ইউ যে মিস্টার ব্রিটিশ বান্দর ফোন প্লিজ।
.
ইশান এইবার ভাবনার জগৎ থেকে বেড়িয়ে এসে রিংকির হাতে ফোন দিয়ে দেয়। রিংকিকে আর পায় কে? ফোন পেয়ে শুরু হয়ে যায় তার ভিডিও শুটিং।
.
.
?
.
গাড়ি ছুটে চলেছে আপন গতিতে। গাড়িটির গন্তব্য হচ্ছে আমার বাসা। নিয়ম অনুযায়ী আজ রিয়ানকে আমার বাসায় থাকতে হবে। সেই জন্য আরিশা আর রিংকি আগে থেকেই বাসা সাজিয়ে এসেছে। আর সেখানে আমাদের আপায়ন করার জন্য রিংকি আর আরিশার আম্মু আগে থেকেই প্রস্তুত রয়েছে।
আমি রিয়ানের ঘাড়ে মাথা ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছি। রিয়ান এক হাত দিয়ে আমায় আগলে রেখেছে। আমি বেশ নিশ্চিন্তেই শুয়ে আছি ঠিক তখনই গাড়িতে এক বিকট শব্দ হয় আর গাড়ি সাইডে ইলেক্ট্রিক পোলের সাথে গিয়ে বারি খায়। সাথে সাথে গাড়ির হেডলাইট ভেঙ্গে গিয়ে সাইলেন বাজা শুরু হয়ে যায়।
.
.
#চলবে