Mental Lover Part-32 and Last Part

0
827

#Mental_Lover
পর্ব:৩২(অন্তিম পর্ব)
#লেখিকা_ফারহানা_নিঝুম
___________________________
মহিনি: কি হয়েছে তোর, কাঁ’দ’ছি’স কেন,বল আমাকে,,,।

ইশিতা এক মনে কেঁ’দে’ই চলেছে ।
মহিনি:আরে কি হয়েছে বলবি তো, আচ্ছা আরিয়ান কিছু করেছ,বল।এই মেয়ে বলবি তো।

ইশিতা: তুমি ঠিক ছিলে,মনি, আরিয়ান কিছু করেনি, আমি আরিয়ান কে বুঝতে এবং চিনতে ভু’ল করেছি
উনি কিছু করেনি,সব কিছু ইকবাল হোসেন আর নেত্রা করেছে (কাঁ’দ’তে কাঁ’দ’তে)।
ইশিতা সব কিছু খুলে বলল, মহিনি কে।

মহিনি: আমি বলেছিলাম যে তুই ভালো করে ভেবে দেখ, সত্যি আরিয়ান কিছু করেছে কী না। ছেলেটার কথা শুনে আমার মনে হয়েছিল যে ও কী এমন কিছু করতে পারে।

ইশিতা: এখন আমি কী করব,মনি। আমি আরিয়ান কে ছাড়তে পারব না, কিন্তু,, কিন্তু আরিয়ান তো এখন আর আমাকে ভালোবাসবে না, ছেড়ে দেবে আমাকে, আমি ওনাকে চাই,।কি করব এখন আমি,মনি। আরিয়ান আমাকে চলে যেতে বলল।

মহিনি:দেখ আরিয়ান যা বলেছে সব তোর উপর রাগ তাই বলে তুই চলে আসবি,এটা কোনো কথা।
তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে যা, না হলে দেখবি অন্য কেউ এসে আরিয়ান কে নিয়ে চলে যাবে।

ইশিতা: কিন্তু,,,,,।
মহিনি:আর কিছু পা’গ’লী, কোনো কিন্তু না, আমি যা বলছি তাই কর,দেরি করিস না যা।
ইশিতা: ঠিক আছে।
_______________________________
নিস্তব্ধ রাতে আকাশের নিচে একা একা ছাদে দাঁড়িয়ে আছে আরিয়ান, কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না সে,যে ইশিতা তাকে এত টা খা’রা”প ভাবত।ওর বাবার মৃ’ত্যু’র কারণ দা’য়ী করত।সে কি এতটা খারাপ কারো বিশ্বাসের যোগ্য নয়।মা বাবা চলে যাওয়া, ইশিতার অবি’শ্বা’স, ইকবাল হোসেন এর মি’থ্যা’চা’র সব কিছু যে আরিয়ান কে চে’পে ধরেছে। খুব একা লাগছে নিজেকে, এখন একজন ভালোবাসার মানুষের হাত চাইছে যে আরিয়ানের হাত শ”ক্ত করে ধরে বলবে, আমি আছি তো , কিন্তু যাকে চাইছে আরিয়ান সে তো তাকে ছেড়ে চলে গেছে।এসব কথা ভাবছে একা একা।

দৌড়ে বাড়িতে এসে বেল বাজাতে শুরু করে ইশিতা,নিশা এসে দরজা খুলে দেয়,।
নিশা:ভাবী,,, তুমি কোথায় ছিলে,।
ইশিতা: তোমার ভাই কোথায়?
নিশা: ভাইয়া তো উপরে আমি তো ভেবেছিলাম তুমি ও উপরে, কিন্তু তুমি তো,,, আচ্ছা কোথায় ছিলে আর এত হাঁ’পা’চ্ছ কেন।।

ইশিতা:সব পরে বলব,আগে তোমার ভাইয়ের সাথে কথা বলে আসি।

নিশা: ঠিক আছে,,,,,,।
ইশিতা দৌড়ে উপরে চলে যায়,সব গুলো রুম চেক করে কিন্তু আরিয়ান নেই শে’ষে ছাদে যায়, গিয়ে দেখে আরিয়ান রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে, ইশিতা গিয়ে পিছন থেকে জ’ড়ি’য়ে ধরে আরিয়ান কে, আরিয়ান একটু চ’মকে উঠে,তার পর দেখে ইশিতা ।

আরিয়ান: ইশিতা,,,,, তুমি।

ইশিতা: হ্যা, আমি। কেনো অন্য কাউকে আশা করছেন নাকি।
আরিয়ান নিজেকে ছা’ড়ি’য়ে নিয়ে বলল।

আরিয়ান: তুমি এখানে এখনও কী করছ তোমাকে তো বললাম চলে যেতে।
ইশিতা:যাব না,,কী করবেন।
আরিয়ান: কেনো যাবে না, তুমি তো আমার সাথে থাকতে চাও না, তাহলে।

ইশিতা: আমার যা ইচ্ছে তাই করবো, এখন যাব না বলেছি তো যাব না।
আরিয়ান: সবসময় তোমার ইচ্ছে চলবে না।
ইশিতা: চু’প,, (চি’ৎ’কা’র করে)। আমি যা বলছি তাই হবে।
আরিয়ান: না হবে না। তোমার যা ইচ্ছে কর, শুধু আমার থেকে দূরে থাক।
ইশিতা:আরে,,,,।
আরিয়ান আর কিছু না বলে রুমে চলে গেল। গিয়ে দরজা ব’ন্ধ করে দেয়।
ইশিতা: আরে আমাকে ভেতরে তো আসতে দিন।
আরিয়ান: অন্য রুম আছে সেখানে যাও,,।
ইশিতা: অন্য রুমে যাব কেন।

আরিয়ান:যেতে হলে যাও না হলে এখানে দাঁড়িয়ে থাক।
ইশিতা: নিজের রুম ছেড়ে আমি অন্য রুমে যাব না। এখানেই থাকব।
আরিয়ান আর একটাও শব্দ করে না। ইশিতা ওখানেই দাঁড়িয়ে আছে।
সারা রাত ধরে ইশিতা বাইরে বসে আছে,তো আছেই,। এদিকে আরিয়ানের চোখে ঘুম নেই। একবার ভাবছে বাইরে গিয়ে দেখবে ইশিতা এখনো আছে না গেছে। আবার বলে যাওয়ার দরকার নেই,,এসব ভাবতে ভাবতে, শেষ পর্যন্ত ঠিক করেই নিল বাইরে যাবে। আরিয়ান দরজা খুলে দেখে, ইশিতা বাইরের চেয়ারে বসে বসে ঘুমিয়ে গেছে, আরিয়ানের ওর উপর খুব রা’গ হয় তবুও নিজেকে সংযত করে, ইশিতা কে কোলে তুলে নেয়, নিয়ে গিয়ে রুমে বিছানায় শুইয়ে দিল,আর নিজে সোফায় শুয়ে পড়ল।
_______________________
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে, ইশিতা বিছানায়।
ইশিতা:তার মানে উনিই আমাকে এখানে এনেছেন,চালি যা ইশিতা আরিয়ান বাবুর মন গ’লা’তে হবে।

ইশিতা তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে যায়, সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে দেখে আরিয়ান একটা মেয়ে কে জড়িয়ে ধরেছে।

আরিয়ান:হেই, আনিকা।
আনিকা: আরিয়ান,,,,। baby .
ইশিতা দু’জনকে এত কা’ছা’কা’ছি দেখে হত’বা’ক। একবার আনিকা কে দেখছে একবার আরিয়ান কে।

আরিয়ান: কেমন আছ।
আনিকা:তুমি তো আমাকে ভুলেই গেছ।
আরিয়ান:আরে না, একটু বিজি ছিলাম তাই আর কি।
আনিকা: ওকে, আমি অনেক ভালো আছি, তুমি বল তুমি কেমন আছ।

আরিয়ান: আমি অনেক ভালো আছি।
ইশিতা নিচে নেমে আসে।
আনিকা ইশিতা কে দেখে বলল।
আনিকা: আরিয়ান আমি তো তোমার ফ্যামেলির সবাই কে চিনি,বাট এ কে চিনতে পারলাম না।

আরিয়ান:ও,ও তো নিরবের বোন হয়।
আরিয়ান এর কথা শুনে, ইশিতার মাথায় আকাশ ভে’ঙ্গে পড়ল।

ইশিতা: কি?
আনিকা:ও আচ্ছা, আমি ভাবলাম তুমি বিয়ে করছে ।
আরিয়ান:আরে না, আমার মত হ্যান্ডসাম ছেলে,ওর মত মেয়ে কে বিয়ে করবে,no way.
আনিকা: I know. যাই হোক আমি কিছু দিন তোমার এখানে থাকবো,যদি কোনো সমস্যা না হয়।
আরিয়ান:আরে কোনো সমস্যা নেই।
আনিকা: okay dear, thank you so much. যাই হোক একটা পার্টি আছে,যদি তোমার আপত্তি না থাকে,যাওয়া যাক।
আরিয়ান: of course, let’s go.
আরিয়ান আর আনিকা ইশিতার সামনে দিয়ে চলে গেল। ইশিতা ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে।

নিশা: এটা কি হল ভাবী। ভাইয়া এসব কি বলল।
ইশিতা: আমি কিছু বুঝতে পারছি না।





ইশিতা সারা দিন শুধু আরিয়ানের বলা কথা গুলো ভাবছিল।
অনেক রাতে আরিয়ান আর আনিকা বাড়িতে ফিরে আসে।
ইশিতা উপর থেকে দুজন কে দেখছে।

আরিয়ান: আজকে দারুন সময় কা’টা’লাম।
আনিকা: আমিও,, তোমাকে ছেড়ে থাকতে মন চাইছে না।

ইশিতা নিচে নেমে আসে।বড় বড় চোখ করে দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে।এখনি আনিকা কে কাঁ’চা চি’বি’য়ে খাবে মন হচ্ছে । আনিকা ইশিতা কে দেখে বলল।
আনিকা: baby ,কাল সকালে কথা হবে,। খুব ঘুম পাচ্ছে।
আরিয়ান:বেবি এখনি চলে যাবে , তোমাকে ছা’ড়া, রাতে থাকব কী করে।
আনিকা: সত্যি, আমি ও তোমাকে খুব মিস করব।
আনিকা রুমে চলে গেল, ইশিতা আরিয়ান এর গলার ধরে রুমে নিয়ে যায়।
আরিয়ান:আরে কী করছ।
ইশিতা আরিয়ান কে ধা’ক্কা দিয়ে বিছানায় ফেলে দেয়,আর দরজা বন্ধ করে দেয় ।
আরিয়ান: কি হয়েছে তোমার, বিছানায় হেলান দিয়ে।
ইশিতা: আমি কে, আমি নিরব ভাইয়ের বোন। আচ্ছা ঠিক আছে, কিন্তু আপনার কী হই,, আপনি এখনও বিয়ে করেননি।
আরিয়ান: হ্যা, কোনো সমস্যা।
ইশিতা: হ্যা, সমস্যা, আমি না আপনার বউ হই, বউ থাকতে অন্য মেয়েদের সাথে বাইরে গেছেন,তাও আবার বলছেন কী আমি আপনার কেউ না।
আরিয়ান:যা বলছি বেশ করেছি।
ইশিতা: আপনার ওকে ছাড়া রাত কা’ট’বে না তাই তো।
আরিয়ান: হুম।
ইশিতা: আমি আছি তো।
আরিয়ান: মানে?
ইশিতা নিজের ওরনা, খু’লে ফে’লে, আরিয়ান ইশিতার এমন কান্ড দেখে হত’ভ’ম্ব হয়ে যায়।
আরিয়ান:এই এই,কি করছ তুমি।
ইশিতা:ওইটাই যেটা আপনি সেদিন রাতে করেছিলেন আমার সাথে।
আরিয়ান: আমি পুরুষ ছিলাম,আর তুমি নারী। তোমার ল’জ্জা করছে না
ইশিতা:তো কি হয়েছে, ল’জ্জা করবে কেন, আপনি না আমার স্বামী।
আরিয়ান ইশিতার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকায়।
আরিয়ান:এই, তুমি আমার কাছে আসবে না,যাও যাও।
ইশিতা:ওরে বাবা রে,কি আ’জ’ব মানুষ ,। আমি অন্য কোনো ছেলের কাছে যাই।

আরিয়ান ইশিতার মুখে এমন কথা শুনে খুব রে’গে গিয়ে ওকে দেয়ালের সাথে চে’পে ধরে বলল। অন্যদের কাছে যাওয়ার খুব ইচ্ছে।
ইশিতা: আপনি তো কাছে টেনে নিচ্ছেন না,তাই ।
আরিয়ান: একটা চ’ড় দেব,সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
ইশিতা ভ’য়ে নিজের গা’লে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছে ।
আরিয়ান ওড়না তু’লে ওর ওকে পড়িয়ে দেয়।
আরিয়ান: চু’প”চা’প গিয়ে ঘুমিয়ে পড়।





সকালে, সবাই একসাথে নাস্তা খেতে বসলো, কিন্তু ইশিতার চেয়ারে, অনিকা বসে পড়ে।
নিশা:আরে তুমি এখানে কেন বসলে।
আনিকা: কেনো কি হয়েছে।
ইশিতা, কিছু বলছে না, ওদের কথা গুলো মনযোগ দিয়ে শুনছে।

নিশা:এটা তো ইশিতা ভাবীর চেয়ার।
আনিকা:তো কি হয়েছে, এখন আমি বসেছি।আরে ভাবী মানে, এমন ভাবে বলছ যেন তোমার ভাই মানে আরিয়ানের বউ। baby আমি এখানে বসলে কোনো স’ম’স্যা।
আরিয়ান:আরে না, কোনো সমস্যা নেই।
ইশিতা এ কথা শুনতেই ইশিতা টেবিলে রাখা সব খাবার ধা’ক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, সবাই ইশিতার এমন কা”ন্ড দেখে অবাক , কিছু না বলে উপরে চলে গেল।

আরিয়ান বুঝতে পারে যে ইশিতা অনেক বেশি রে’গে গেছে ।

আরিয়ান:বে’বি, তুমি চিন্তা করো না চল বাইরে খাবো।
নিশা: ভাইয়া।
আরিয়ান: তুই ও চল আমাদের সাথে।
নিশা: না, আমি যাব না।
আনিকা:চল আমরা যাই।
_______________________________
সন্ধ্যা বেলা ফিরে আসে অনিকা আর আরিয়ান।
নিশা: ভাইয়া,,,।
আরিয়ান: হুঁ,,।
আনিকা: আমি রেস্ট নিব, খুব ক্লা”ন্ত লাগতেছে ।
আরিয়ান: আচ্ছা।
অনিকা চলে যায়।
নিশা: তুমি জানো,ভাবী সকাল থেকে কিছু খাইনি।
আরিয়ান:কী?
নিশা: হ্যা, আমি অনেক বার বলেছি।আর এদিকে তুমি ওই আপুর সাথে,কি করছ।
আরিয়ান: তুই ওর খাবার টা একটু দিয়ে যা, আমি কথা বলছি ।

আরিয়ান: ইশিতা।
ইশিতা চুপচাপ বসে আছে বিছানায়।
আরিয়ান: আমি ,ডাকছি শুনতে পাচ্ছ না।
ইশিতা: না পাচ্ছি না।
আরিয়ান: সমস্যা কি তোমার , খাওয়া দাওয়া করছো না কেনো।

ইশিতা: আপনাকে বলব কেন,।
আরিয়ান:বলতে হবে।
ইশিতা:বলব না,,,।
আরিয়ান পাশে থাকা,সব কিছু ছু’ড়ে ফেলে দেয় ।
আরিয়ান: তোমার সমস্যা কী,,,,।
ইশিতা: আপনি বুঝেন না আমার কি স’ম”স্যা।
অবশ্য বুঝবেন ই বা কেন। আপনি তো আর আমাকে ভালোবাসবেন না।
আরিয়ান:কী বুঝি না আমি
ইশিতা: কিছুই বুঝেন না আপনি,,।
বলে ইশিতা চলে যেতে চায়, কিন্তু আরিয়ান জা’প’টে ধরে ওকে।

আরিয়ান: কোথায় যাচ্ছ।
ইশিতা: ছাড়ুন আমায়,, নিজের আনিকা কে এভাবে ধরুন আমাকে না।
আরিয়ান:হুস,,,।
ইশিতা: ছাড়ুন, না
আরিয়ান:চু’প,,।এত কথা বলিস কেন।
ইশিতা: বেশ করেছি,, আপনি এসব করেছেন আমি যাতে এখন থেকে চলে যাই, ঠিক আছে চলে যাব, খুশি।
বলে ইশিতা, বাইরে চলে যায়।
আরিয়ান:এই মেয়ে টা।
আনিকা: আরিয়ান,।
আরিয়ান পিছনে তাকিয়ে দেখে অনিক।
আরিয়ান: হ্যা বল।
আনিকা:এসব ঠিক হচ্ছে না, তুমি আমাকে এখানে এনেছ যাতে ইশিতা তোমাকে বুঝতে পারে, হারানোর ভ’য় পায়, তাই আমি তোমার কথায় এসব কিছু করেছি,যাতে ও জে’লা’স ফি’ল করে কিন্তু এখানে তো ইশিতা ভু’ল বুঝচ্ছে ।এসব বাদ দাও, না হলে এবার সত্যি ইশিতা চলে যাবে।
আরিয়ান: হুম,, thanks আনিকা অনেক হেল্প করেছ,।
আরিয়ান:আরে ধন্যবাদ দেওয়ার কিছু নেই, আমি তোমার ফ্রেন্ড এটুকু তো করতেই পারি।
আরিয়ান: তবুও, অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আনিকা: আচ্ছা ঠিক আছে।
_______________________________________
সন্ধ্যা বেলা, ইশিতা নিজের ব্যাগ গুছিয়ে নিয়েছে চলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু হঠাৎ দেখে আনিকা আর দাঁড়িয়ে আছে ওর সামনে।
ইশিতা: তুমি,।
আনিকা: আমার তোমার সাথে কিছু কথা বলার আছে।
ইশিতা: তাড়াতাড়ি বল।
আনিকা: তুমি আরিয়ানের ওয়াইফ, আমি জানি ও তোমাকে খুব ভালোবাসে এটাও জানি।
ইশিতা:আরে বাহ তুমি তো দেখছি সব কিছু জানো কিন্তু তবুও ওর সাথে চি’প’কে থাকা।যাই হোক,ভালো থাক দুজনে, আমি চলে যাচ্ছি।
আনিকা: আরিয়ান ঠিকই বলে।
ইশিতা: মানে?
আনিকা: তুমি আসলে একটা বোকা ,।
ইশিতা: কি?
আনিকা: তুমি জানো ও তোমাকে কতটা ভালোবাসে,ও তোমাকে কখনো ছাড়তে পারবে না যেই আসুক। তুমি সেদিন ফিরে আসার পর ও তোমাকে ফিল করাতে চেয়েছিল যে ওর তোমার । কিন্তু তুমি ওর গুরুত্ব বুঝতে পারলে না।

ইশিতা:কি?
আনিকা: এখন এসব বাদ দিয়ে ওকে একটু বুঝার চেষ্টা কর, খুব ভালোবাসে তোমাকে, পা’গ’লে’র মত।

ইশিতা কেঁ’দে দেয় আনিকার কথা শুনে।
ইশিতা: কোথায় আরিয়ান?
আনিকা:খুঁজে দেখ।( মুচকি হেসে)

ইশিতা একবার উপরে একবার রুমে একবার ছাদে সব জায়গায় আরিয়ান কে খুঁজতে লাগল, কিন্তু কোথায় খুঁজে পাচ্ছে না। অনেকক্ষণ ধরে খুঁজে ক্লান্ত হয়ে ইশিতা কান্না করে দেয় ।
ইশিতা: আরিয়ান,,কই আপনি।
হঠাৎ কেউ একজন ইশিতা কে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। ইশিতা তাকিয়ে দেখে আরিয়ান।
ইশিতা: আরিয়ান,।
ইশিতা আরিয়ান কে অনেক শ’ক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
ইশিতা:আই এম সরি আরিয়ান, আমি বুঝতে পারি নি,, আপনি আমাকে এত টা ভালোবাসেন আর আমি শুধু শুধু আপনার সাথে এমন করেছি।
আরিয়ান:আরে,এত কান্নাকাটি করছ কেন, আর আমি তো চেয়েছিলাম যে তুমি বুঝতে পার । তাই তো আনিকা কে এনেছিলাম।

ইশিতা অনেক গুলো কি’ল ঘু’ষি মেরে দেয় আরিয়ান কে।
আরিয়ান:আরে, ব্যা’থা লাগছে ।
ইশিতা: আপনি ইচ্ছে করলে ওইসব কিছু করেছেন।
আমি আপনার সাথে কথা বলব না,যান ‌।
আরিয়ান টু’ক করে ইশিতা কে কোলে তুলে নেয়,আর ধীরে ধীরে উপরে নিয়ে গিয়ে দরজা ব’ন্ধ করে দেয় ।
আরিয়ান: আজকে সব অভি’মা’ন রা’গ ভেঙে দেব।
ইশিতা: আপনি আমার কাছে আসবেন না,যান নিজের আনিকা কে নিয়ে।
আরিয়ান:তাই নাকি।
বলে আরিয়ান ইশিতাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিল,,একটু খানি, এরপর একটু একটু করে দুজনে মি’শে একাকার হয়ে যায়।
ইশিতা:আরে,,, (হাসতে হাসতে) ছাড়ুন কা’তু’কু’তু লাগছে।
এভাবেই একজন আরেকজনকে নিজেদের সব কিছু দিয়ে ভালোবেসে যায়।
*****************সমাপ্ত*****************