#সাইকো লাভার❤
#লেখিকাঃ নাবিলা আহমেদ রোজ
#পর্ব- ১৩
এনকে গার্ডের কথা শুনে বাঁকা হেসে বললো।”
—-” আর কি জানিস?”
গার্ডও হেসে বললো,
—-” ২দিন পর শুভ্র চৌধুরীর শালা। ওর নাম রোদ্দুর আহমেদ রোদ। তো ওই রোদ নাকি আমেরিকা যাবে। আর ফিরবে ১মাস পর!”
এনকে কিছু একটা ভেবে বললো,
—-” ১মাস পরই আসল খেলা হবে। খোজ রাখ রোদ কবে ফেরে। এবার শুভ্র চৌধুরী শেষ হবে। ওদের সবার উপর নজর রাখ।”
সকালে তামান্না ঘুম থেকে উঠে। নিজেকে ঠিকঠাক করে রোদকে ডেকে ওঠালো। রোদ তামান্নাকে দেখে ভ্রু কুঁচকে বললো,
—-” তোমার গোসল শেষ?”
তামান্না দাত কেলিয়ে বললো!”
—-” ইয়েস বেবি,
রোদ গাল ফুলিয়ে বললো।”
—-” এটা একদম ঠিক করোনি,
তামান্না রোদের গাল টেনে বললো!”
—-” ওলে, ওলে কিউট বেবি গাল ফুলিয়েছে? সো কিউট বেবি গাল ফোলানো হলে। এবার আপনি গিয়ে গোসল সেরে আসুন। আমাদের নিচে যেতে হবে তো নাকি?”
রোদ ভেংচি কেটে চলে গেলো। তামান্না হাসলো, এরপর আয়নার সামনে গেলো। একটুপর রোজ রুমে এসে তামান্নাকে বললো,
—-” আহা ভাবী গোসল শেষ?”
তামান্না বেশ বুঝতে পারছে। রোজ ওকে পচাতেই এসেছে। তামান্না মিনমিন করে বললো।”
—-” রোজ তুই কানা হলি কবে থেকে?”
রোজ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললো,
—-” মানে? আমি কেন কানা হবো?”
তামান্না মিটমিট করে হেসে বললো!”
—-” তাহলে তো দেখছিসই তাই না? যে আমি গোসল করেছি। আর সবাই তো গোসল করে তাই না?”
রোজ এবার মুখ বাঁকিয়ে বললো,
—-” রাতে কি, কি করলি রে?”
তামান্না চোখ বড়, বড় করে বললো।”
—-” ছিঃ তোর লজ্জা করে না? তোর বড় ভাইয়া হয় রোদ,
রোজ অবাক হয়ে বললো!”
—-” আমি ভাইয়াকে না কুত্তি তোকে জিগ্যেস করেছি। আর ভাবী হওয়ার আগে তুই আমার বেস্টু,
এরমাঝে রোদ বেরিয়ে এসে বললো।”
—-” কি রে ব্লাক রোজ? নতুন বর, বউয়ের রুমে কি চাই তোর?”
রোজ ছোট চোখ করে বললো,
—-” এত ঢং কোথায় পাস তুই? আমি বুঝি নতুন বউ ছিলাম না? হু ঢং দেখলে গা জ্বলে যায়। নিচে আয় তোদের সবাই ডাকছে ঢংয়ের ডিব্বা!”
বলে ভেংচি কেটে বেরিয়ে গেলো। রোদ হা করে তাকিয়ে আছে। তামান্না হাসতে, হাসতে লুটোপুটি খাচ্ছে। রোদ তামান্নার হাসি দেখে বললো,
—-” খুব হাসি পাচ্ছে তাই না?”
তামান্না হাসতে, হাসতেই বললো।”
—-” কি দরকার ছিলো একটা বলার? একটা বলে এতগুলো শুনলে,
রোদ আমতা, আমতা করে বললো!”
—-” আসলেই মাঝে, মাঝে ভুলে যাই। যে এটা আমার ব্লাক রোজ বোন। এখন চলো নিচে যাই,
এরপর দুজনে নিচে নেমে এলো। রোদের মা তামান্নাকে শাড়ি আর জুয়েলারি দিয়ে বললো।”
—-” আজ রিসেপশনে তুই এগুলো পড়বি,
তামান্না মুচকি হেসে বললো!”
—-” ওকে আম্মু,
সবাই মিলে অনেক কথা বললো। শুভ্রর রাগ লাগছে এখন। বেচারা সকাল থেকে রোজকে কাছে পায়নি। তাই এবার সবার সামনেই বললো।”
—-” রোজ রুমে চলো তো,
সবাই হো, হো করে হেসে দিলো। রোজ চোখ গরম করে তাকালো। শুভ্র ভেজা বিড়াল হয়ে বসে রইলো। দুপুর ১২টা বাজার মধ্যেই বাড়ি সাজানো হয়ে গেলো। এবার সবাই রেডি হতে চলে গিয়েছে। পার্লারের মেয়েরা তামান্নাকে সাজিয়ে দিচ্ছে। রোজ নিজের রুমে নিজেই সাজছে। আজকে পিংক কালার একটা শাড়ি পড়েছে। সাথে সব পিংক কালার জুয়েলারি। চোখে হালকা করে কাজল দিয়েছে। ঠোটে পিংক কালার হালকা লিপস্টিক। এরমাঝে শুভ্রও রেডি হয়ে গিয়েছে। শুভ্র ব্লাক কালার শার্ট পড়েছে। ব্লাক কালার জিন্স প্যান্ট। শার্টের উপর ব্লু কালার সুট। হাতে ব্লু কালারের ঘড়ি। চোখে ব্লু এন্ড ব্লাক সাইন গ্লাস। দুজনে রেডি হয়ে একসাথে নিচে নেমে এলো। রোদ আর তামান্না আগেই চলে এসেছে। দুজনকে একসাথে দারুন মানিয়েছে। আর দুজনেই কিউটের বস্তা। শুভ্র নিচে আসতেই সব শালীরা এসে হাজির হলো। সাথে শালারাও আছে ইশান আর রিক। শুভ্র ওদের একসাথে দেখে ভ্রু কুঁচকে বললো!”
—-” কি ব্যাপার সবাই একসাথে?”
রোজের কাজিন নুসরাত বললো,
—-” জিজু আমাদের রিকোয়েস্ট আছে তোমার কাছে।”
শুভ্র সামান্য হেসে বললো,
—-” কি রিকোয়েস্ট শুনি?”
এবার রিক বললো!”
—-” আগে বলো রাখবে,
শুভ্র কতক্ষণ ভেবে বললো।”
—-” ওকে রাখবো,
সবাই একসাথে বলে উঠলো!”
—-” তোমাকে আর রোজকে একসাথে। কাপল ডান্স করতে হবে এখনি,
_____________________
রোজ আর শুভ্র একসাথে বললো।”
—-” হোয়াট? ইম্পসিবল,
সবাই মুখ কালো করে বললো!”
—-” কেন?”
রোজ আমতা, আমতা করে বললো,
—-” পারবো না।”
শুভ্র ওদের মুখের রিয়েকশন দেখে বললো,
—-” ওকে ডান!”
রোজ কপাল কুঁচকে বললো,
—-” আমি পারবো না।”
শুভ্র মুখ বাঁকিয়ে বললো,
—-” শুভ্র চৌধুরীর বউ হয়ে ডান্স পারো না?”
রোজ রেগে বললো!”
—-” তুমি জানো?”
শুভ্র ভাব নিয়ে বললো,
—-” তাহলে দেখাও।”
রোজও একটা ভাব নিয়ে বললো,
—-” ওকে চলো!”
এরপর দুজনে একসাথে ডান্স ফ্লোরে এলো। সবাই সিটি বাজাচ্ছে, শুভ্র সুট খুলে তামান্নার কাছে দিয়ে বললো,
—-” হেই বয়েস মিউজিক।”
বলতেই ইশান গান প্লে করলো। গান শুনে রোজ আর শুভ্রর চোখ কপালে। তবুও মান সম্মানের ব্যাপার আছে। তাই দুজনেই ডান্স করতে লাগলো। গানের তালে দুজনেই ঠোট মিলাচ্ছে,
?লেট ইট বি, লেট ইট বি এ সাইন?
?লেট মি নো ইউআর মাইন্ড?
?ওন্ট ইউ গিভ মি এ লিটল লাভ টুনাইট?২
রোজ এতটুকুতে ঠোট মিলিয়ে। এই গানের এক্টিংয়ের মতোই এক্টিং করলো। এবার শুভ্র রোজকে হ্যাচকা টান মারলো!”
?ইশারে তেরে কাঙনে দে?
?তেরে কে দিল মাঙনে দে?
?মেরা ভি দিল চোরি কিত্তা?
?ফ্যান তেরে বারগায়া ইয়ে?২
রোজ শুভ্রর কলার ধরে কাছে আনলো,
?সাইয়া তেরী হার গাল ঝুটিয়া?
?তেরে হাত ভিচ কিসদে আঙুটিয়া?
?হার কুরি নালভে তু গাল কারদা?
?যা, যাভে ম্যা তেরে নাল রুঠিয়া?
এতটুকুতে ঠোট মিলিয়ে। শুভ্রকে হালকা ধাক্কায় সরিয়ে দিলো। তখনি শুভ্র ঠোট মেলালো।”
?ইশারে তেরে?
এরপর মিউজিকের তালে দুজনে ডান্স করতে লাগলো,
?ইশারে তেরে?
শুভ্র আবার রোজকে কাছে নিয়ে এলো। রোজ শুভ্রকে সরিয়ে ঠোট মেলালো!”
?ফলোয়িং মাই এভরি মুভ?
?ডাজেন্ট ম্যাটার হোয়াট আই ডু?
?গট মে কামিং ব্যাক অন লুপ?
?নাউ আই এম ফেলিং ফর ইউ?
শুভ্র রোজের কোমরে হাত দিয়ে ঠোট মেলালো,
?বেবি তেরী স্মাইল প্রিসলেচ?
?বেবি তেরী ড্রেস ব্যাকলেস?
?লেখানা ইয়ে তেরী নেকলেস?
?কারদা ইয়া মেনু ইমপ্রেস?২
রোজের কোমর থেকে হাত সরিয়ে ঠোট মেলালো।”
?ম্যা তেরাহি দিওয়ানাইয়া?
?ইয়ে জানদা জামানায়া?
?তু মেরী বেবি গার্ল বান যা?
?পিয়ার কারকে দিখানায়া?
রোজ দুরে সরে ঠোট মেলালো,
?ম্যা তেরে বারে সাব জানতি?
?তু চিড়ে হার কুড়ি হানদি?
?তু মেরে পিছে গিড় মাঙদা?
?তেরে হাত নাই আনা?
এবার দুজনে হাত তালি দিতে, দিতে কাছে এসে একতালে ডান্স করলো। আর সেই সাথে শুভ্র ঠোট মেলালো!”
?আখিয়া মিলাকে ইগনোর কারদে?
?ক্যান্দি ম্যানু গাল্লা তেরী বোর কারদি?
?ছোটি, ছোটি গাল উট্টে শোর কারদি?
?শোর কারদি, ইশারে তেরে?
?ইশারে তেরে?
দুজনে হাতে, হাত মিলিয়ে। এরপর দুরে সরে ডান্স করলো। আর শুভ্র ঠোট মেলাচ্ছে,
?ইশারে তেরে কাঙনে দে?
?তেরেকে দিল মাঙনে দে?
?মেরা ভি দিল চোরি কিত্তা?
?ফ্যান তেরা বারগায়া ইয়ে?
এটলাস্ট রোজ ঠোট মেলালো।”
?ফলোয়িং মাই এভরি মুভ?
?ডাজেন্ট ম্যাটার হোয়াট আই ডু?
?গট মে কামিং ব্যাক আপ লুপ?
?নাউ আই এম ফেলিং ফর ইউ?
?ইশারে তেরে কাঙনে দে?
সবাই হা করে ওদের ডান্স দেখেছে। ডান্স শেষ হতেই হাত তালির বন্যা বয়ে যাচ্ছে। রোজ আর শুভ্র এসির মধ্যেও ঘেমেছে। সবাই এগিয়ে আসতেই শুভ্র বললো,
—-” কেমন দিলাম বলো?”
______________________
তামান্না এগিয়ে এসে বললো!”
—-” জাস্ট ওয়াও দাভাই। আই কান্ট বিলিভ। যেমন তুমি তেমন এই রজনীগন্ধা। আমিতো ভাবতেই পারছি না। তোমরা এত ভাল ডান্স করতে পারো। এখনো সবটা চোখের সামনে ভাসছে,
রোদও এগিয়ে এসে বললো।”
—-” আমিও ভাবতে পারছি না। আমাদের ব্লাক রোজের এত ট্যালেন্ট আছে,
রোজ ভেংচি কেটে বললো!”
—-” তা জানবি কি করে? তোর চোখে তো আমার ভাল কোনকিছু পড়ে না হু,
রোদ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। বেচারী রোজ ডান্স করে ক্লান্ত। যদিও সবাই প্রশংসা করছে। তবুও রোজের এখন বিরক্ত লাগছে। রিসেপশন শেষ হতেই সবাই রুমে চলে গেলো। তামান্নার আর রোদের আজ ওদের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিলো। বাট আগামীকাল রোদের ফ্লাইট তাই যায়নি। রাতটা সবাই ঘুমিয়ে পাড় করে দিলো। সকাল থেকে তামান্না গাল ফুলিয়ে আছে। রোদ কোনভাবে তামান্নার মুখে হাসি ফুটিয়েছে। তবুও তামান্নার মন খারাপ হয়ে আছে। বাট সেটা রোদকে বুঝতে দিচ্ছেনা। বিকেল ৩টা বাজতেই রোদ বেরিয়ে গেলো। কারন জাস্ট ৪টায় ওর ফ্লাইট। রোদের সাথে শুভ্র, রিক আর ইশান গিয়েছে। রোদকে প্লেনে উঠিয়ে রোজকে নিয়ে শুভ্র বাড়ি গেলো। সাথে তামান্নাকে আনতে চেয়েছিলো। কারন একা থাকলে ওর মুড অফ হবে। বাট তামান্নার এক কথা রোদ না আসার আগে সে কোথাও যাবে না। এভাবেই দিন কাটতে লাগলো ওদের। রোজ এখনো জানতে পারেনি শুভ্র একজন মাফিয়া। শুভ্র নিজেই ভেবেছে রোজকে বলে দেবে। তবে রোজ খেয়াল করেছে। ইদানিং শুভ্রকে কেমন টেন্স দেখায়। কি যেন ভাবে মনে হয়। রোজ শুভ্রর জন্য কফি নিয়ে এসে শুনলো। শুভ্র নিজে, নিজেই বলছে।”
—-” না, না এটা আমি হতে দেবো না। কালই তো রোদ আসবে। যা করার কালই করতে হবে,
রোজ ভ্রু কুঁচকে বললো!”
—-” কি করবে?”
শুভ্র আমতা, আমতা করে বললো,
—-” কিছু না।”
রোজও আর মাথা ঘামালো না। ১মাস কেটে গিয়েছে দেখতে, দেখতে। সকাল থেকে শুভ্র বাড়ি নেই। রাত ৮টায় রোদ আসবে তামান্না আজকে অনেক খুশী। রোজ রোদকে সারপ্রাইজ দিতে চাইলো। তাই গাড়ি নিয়ে নিজেই বেরিয়ে গেলো। রাস্তায় জ্যামের কারনে ৯টা বেজে গিয়েছে। রোজের গাড়ি ওভার ব্রিজের নিচে থেমে গেলো। রোজ বিরক্তি নিয়ে বেরিয়ে বললো,
—-” শিট এখন কি করবো? শুভ্রকে একটা ফোন দেই!”
এটা বলে উপড়ে তাকাতেই থমকে গেলো। রোজ দৌড়ে উপরে চলে এলো। ওর থেকে অনেকটা দুরে রোদ দাড়িয়ে আছে। আর রোদের দিকে গান তাক করে শুভ্র দাড়িয়ে আছে। রোজ দৌড়ে আসতে, আসতে শুনলো রোদ বলছে,
—-” নো শুভ্র তুই এটা করতে পারিস না।”
শুভ্র বাঁকা হেসে বললো,
—-” আমি যে মাফিয়া এটা তুই জেনে গিয়েছিস। আর তাই তোকে মরতে হবে গুড বাই!”
রোজ আসতে, আসতে শুভ্র রোদের ঠিক বুক বরাবর। দুটো গুলি চালিয়ে দিলো। ব্রিজের রেলিংয়ের পাশে থাকায়। রোদ ব্রিজের নিচে পড়ে গেলো,
—-” ভাইয়ায়ায়ায়া।”
রোজ ভাইয়া বলে একটা চিৎকার দিয়ে সেন্সলেস হয়ে গেলো। রোজ এসব মেনে নিতে পারলো না। কারন এই সেই ভাই যার কোলে, পিঠে রোজ বড় হয়েছে। রোজকে কখনো কাঁদায়নি রোদ। ভাই-বোনের এমন বন্ডিং খুব কম দেখা যায়। সেন্স আসার পর রোজ নিজেকে ওদের বাড়ি পেলো। কান্না শুনে রোজ দৌড়ে নিচে গেলো। সবাই একটা লাশ ঘিড়ে কান্না করছে। রোজ দৌড়ে সামনে গিয়ে থমকে গেলো। রোজ চিৎকার করে বসে পড়ে বললো,
—-” ভাইয়া ওঠ না প্লিজ। এভাবে আমাদের ছেড়ে যাস না প্লিজ। এই ভাইয়া একবার আমাকে ব্লাক রোজ বলে ডাক না রে!”
তামান্নাকে দেখে রোজ পুরোপুরি ভেঙে পড়লো। তামান্না পাথরের মতো বসে আছে। যেন তার কোন প্রান নেই। রোজ মনে, মনে একটা কথাই বললো,
—-” আমি তোমাকে ছাড়বো না শুভ্র চৌধুরী। তুমি যা করেছো তার কোন ক্ষমা নেই। তাই আমিও তোমাকে ক্ষমা করবো না।”
৭দিন পর, এই ৭দিনে শুভ্র রোজের খোজ নেয়নি। তবে রোজ নিজেই শুভ্রকে দেখা করতে বলেছে সেই ব্রিজে। শুভ্র খুশি হয়ে সেখানে এলো। এসে হা হয়ে গেলো ব্রিজটা সাজানো হয়েছে। ব্রিজের রেলিংয়ের পাশে রোজ দাড়িয়ে আছে। শুভ্র দৌড়ে গিয়ে রোজকে জড়িয়ে ধরে বললো,
—-” থ্যাংকস গড তুমি এখনো আমাকে মনে রেখেছো। আমিতো ভেবেছি ওই ঘটনার পর!”
এতটুকু বলতেই শুভ্র পেটে ব্যথা অনুভব করলো। আহ করে শব্দ করে উঠলো। রোজ ধাক্কা দিয়ে শুভ্রকে সরিয়ে দিলো। শুভ্রর পেট থেকে গলগল করে রক্ত পড়ছে। রোজ একটানে শুভ্রকে ব্রিজের রেলিংয়ে দাড় করিয়ে দিলো। এরপর একটু দুরে গিয়ে শুভ্রর বুকে গুলি চালিয়ে দিলো। আবারো শুভ্রর কাছে এসে টেনে পেটে ঢুকিয়ে দেয়া ছুড়িটা বের করে বললো,
—-” আমার ভাইয়াকে মেরে ফেলার শাস্তি। তুমি আমাদের পরিবারকে শেষ করে দিয়েছো। আমার ভাবীকে করেছো বিধবা। সেদিন না বুঝে তোমাকে আঘাত করেছিলাম। আর আজ জেনে, বুঝে ইচ্ছে করে করলাম। আলবিদা মিস্টার শুভ্র চৌধুরী।”
বলে ধাক্কা দিলো শুভ্র নিচে পড়ে গেলো। নিচে পড়ে যাওয়ার আগে ভাবলো,
—-” যার জন্য এতকিছু করলাম। আজ সেই আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলো!”
শুভ্র নিচে পড়ে যাওয়ার পর। রোজ ধপ করে বসে পড়লো। রাত বেশী হওয়ায় দু একটা গাড়ি যাচ্ছে আবার আসছে। মাএ কয়েকদিনের ব্যবধানে সবটা পাল্টে গেলো। নিয়তি কোথায় নিয়ে দাড় করাবে ওদের?”
২বছর পর,
#চলবে…