#আপনিময়_তুমি?[ A unbearable Crazy love]
#Season: 02
#Written_By_Åriyâñà_Jâbiñ_Mêhèr[Mêhèr]
#Part: 11…
‘তোর পেটে কী সের বাচ্চা হবে? খালাম্মা তো কুত্তির মতো কামরাইছে। সে হিসেবে তোর পেটে একটা কুত্তা হবে।’
‘কুত্তা? আমি তো মানুষ।’ বলল আনহা।
‘হ্যাঁ, আনহা তো মানুষ।’
‘আরে বাল, আনহা তো মানুষ। কিন্তু কামর তো কুত্তার মতো দিসে। সেই হিসেবে তোর কুত্তার বাচ্চা হবে। আর তোর বাচ্চা তোকে বাবা ডাকবে না। বলবে ঘেউ ঘেউ। আর তা সব এই আনহার জন্য। আনহা আপনাকে অয়ন আর ওর সন্তানের দায়িত্ব নিতেই হবে…’
আনহা কিছুটা কনফিউজড হলো। জানতে চাইল, ‘সেসব সব তো ঠিক আছে। কিন্তু ছেলেরা কী করে প্রেগন্যান্ট হয়? আমি তো এটা বুঝতে পারছি না!’
‘আনহা মেয়েরা মা হয়। আর ছেলেরা বাবা?’ বলল ইহান।
মাথা নাড়ায় আনহা।
‘তাহলে আমার বাচ্চার দায়িত্ব যদি আপনি নেন, তাহলে আপনি হবেন আমার বাচ্চার মা।’
‘হ্যাঁ, কিন্তু… ‘
তখনি জিহাম উঠে বলল, ‘আরে কীসের কিন্তু তোমাদের যে বাচ্চাটা হবে তার বাবা অয়ন হবে। আর মা খালাম্মা হবে। এখন বাচ্চা মা-বাবা হওয়া নিয়ে কথা। কার পেট থেকে বাচ্চা বের হলো সেটায় কী আসে যায়?’
‘কিন্তু অয়ন কী করে বাচ্চা জন্ম দেবে?’ জানতে চায় আনহা?
বিরক্ত হয় জিহাম। বলে, ‘খালাম্মা কিচ্ছু বোঝে না। অয়নের কী দরকার বাচ্চা জন্ম দেওয়ার। ও প্রেগন্যান্ট হয়েছে। অয়ন আর বেবির দায়িত্ব নিয়ে না হয় আপনি অয়নের হয়ে বাচ্চাটা জন্ম দিয়ে দিয়েন। বাবা-মা এক হলেই হবে।’
‘ও তাইলে ঠিক আছে। আমি তো বেবি জন্ম…এই দাঁড়াও দাঁড়াও…’
‘আবার কী?’ বলল ইহান।
‘আমি তোমার বাচ্চা জন্ম কেন দিব?’
এ-কথায় কিছুটা লজ্জা পেল ইহান। ভ্রু-কুঁচকায় আনহা। ইহান আমতা আমতা করে লজ্জাবতী লতার মতো বলে, ‘ছি ছি আনহা, এটাও কী আপনাকে বলে দিতে হবে। আপনি না আমার বয়সে বড়। বুঝেন না।’
‘কী বুঝব?’
‘আপনার বাচ্চা মানেই তো আমার বাচ্চা। আর এইজন্যই তো আমার বাচ্চার মা আপনাকে করতে চাচ্ছি। এবার বাকিটা বুঝে নেন তাতে আপনার পদটা কী হতে পারে?’
‘কী!’ অবাক হয়ে ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে রইল আনহা।
‘
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
রাত ১০টা…
‘তুমি কোন সাহসে এতগুলো টাকা খরচ করে ঐ গাধাটাকে বাইক কিনে দিয়েছ? টাকা গুলো কী গাছে ধরে? আর ঐ গাধাটাই বা কই?’ রেগে গিয়ে ইহানের বাবা আসাদ বললেন কথাগুলো।
তাতে ইহানের মা অপর্ণার তেমন একটা ভাব প্রকাশ পেল না। শুধু হাই তুলল। আসাদ বললেন, ‘এই তোমার লাই পেয়ে পেয়ে ছেলেটা বিগড়েছে।’
‘এই চুপ করো তো। ছেলে আমার সোনার টুকরো। কত ভালো রেজাল্ট করে! কোনো বাজে অভ্যাস নেই। না কোনো মেয়েদের পিছনে ঘোরে। অন্যসব ছেলেদের গিয়ে দেখো কী করে? আমার এত ভালো ছেলেটা কিছু চাইল আর আমি দেব না!’
‘তা দিলা যে টাকা কি গাছ থেকে পড়ছে?’
‘এত কিপটা কেন তুমি? টাকা কী কবরে নিয়া যাবা? একমাত্র ছেলে আমার! একটা বাইকই তো চাইছে। দিতাম না বলো। আর বাপে যে তোমার মতো কিপটার সাথে আমাকে বিয়ে দিয়ে এইটাই অনেক। আর কী চাও?’
‘দেখো অপর্ণা ছেলেকে এত লাই দিয়ো না। তাহলে…’
তখনি ইহানের আগমন ঘটে। ‘মা ও মা… খিদে পাইছে।’ বলেই অপর্ণাকে জড়িয়ে ধরে ইহান। অপর্ণা কিছুটা আহ্লাদ করে বলে, ‘যা বাবা হাত-মুখ ধুয়ে আয়।’
‘এইতো আমার বেস্ট মা।’
চলে যেতে নেয়। তখনি ডাক পড়ে আসাদের। ‘অয়ন…’
‘কিছু বলবা?’
‘আজকে কোন মেয়েকে নিয়ে বাইকে উঠেছিল? বাইক কী মেয়েদের ঘুরানোর জন্য কিনেছিস?’
‘তো..মাকে এসব কে বলল?’
‘যেই বলুক সত্যি কি না বল?’
‘ওইটা মেয়ে ছিল না।’
‘তাইলে কি শুধু দেখতেই মেয়ে ছিল?’
‘আরে দূর… জিহামের বড় বোন ছিল। কোথাও যাওয়ার তাড়া ছিল তাই আগাই দিচ্ছিলাম।’
‘কিন্তু জিহামের তো কোনো বড় বোন নাই?’
‘আজব তো বোন কি শুধু মায়ের পেটের হয়? খালাত, মামাত হয় না।’
‘তাইলে জিহাম এটা কেন বলল, মেয়েটা ওর গার্লফ্রেন্ডের ছোট বোনের টিউটর ছিল। ওর কোনো এক রিলেটিভ এক্সিডেন্ট হইছিল, তাই তুই ওকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলি।’
বাবার এই কথায় জিভ কাটে অয়ন। আমতা আমতা করতে যাবে তখনি আসাদ বলে, ‘ভালো হইয়া যা। এখনো সময় আছে এইসব ছেড়ে ক্যারিয়ারে মন দে। আর মিথ্যা কথা কম বল। তোর বাপ তো আমি। সব খবরই রাখি।’
‘আরে বাবা আর কী করব বলত?’
‘এই নিয়ে কথা বাড়াতে চাই না। খাইয়া শুইয়া পড়। আর রাত জেগে ফোন টিপবি না। আর ভালো কথা মোবাইল তুই রাতের বেলা কী করছ?’
কথাটা শুনেই ইহানের মুখটা দেখার মতো হলো। রাতে মোবাইলে কী করে বাবা কেমনে জানল?
‘কিরে কথা কস না কেন?’
‘কী করব?’
‘তা তুই ভালো জানোস?’ বলেই চলে গেল আসাদ। স্বস্তির শ্বাস ছাড়ল। কিন্তু এটা বুঝল না এই খবরগুলো বাবাকে দিচ্ছে কে? আর মোবাইলে তো রাত জাইগা ফেসবুকে… কিন্তু বাপে কেমন জানে এসব?
.
.
.
.
.
.
.
.
সকালে ইহান একগুচ্ছ গোলাপের তোরা নিয়ে ভার্সিটিতে যায়। তবে বিশেষ কিছু করে না। শুধু নিজের মাঝে অন্য রকম একটা এটিটিউড রাখে। ওকে দেখে জিহাম জিজ্ঞেস করে, ‘কী মামা! হাতে গোলাপ, পকেট ভারী। সিংগেলোত্ব ছাইড়া হইবা নাকি কোনো নারীর… ‘
‘আর কত ইয়ার? এই বয়সে না করলে কবে করতাম?’
‘তা ও কী রাজি হবে?’
‘না হইয়া কই যাইব ক?’
‘ব্যাপারটা একটু তাড়াতাড়ি না…’
‘সেটা সময় হলেই বুঝবি। তবে আমি অন্য এক টেনশনে আছি?’
‘কী?’
‘আচ্ছা, আনহার এসবের পর আনহার রিয়েক্ট টা কেমন হবে?’
‘নো, আইডিয়া! তবে একটা জিনিস তোর লজ্জা করবে না।’
‘কেনো রে? আমি কী মাইয়া?’
‘ও তো তোর বয়সে বড়। ইসস আমি কেন যে এক ক্লাস সিনিয়র হইলাম না। ওর আর আমার বয়স সেইম। খালি আমি জুনিয়র। নাহলে কিন্তু… ‘
ভ্রু কুঁচকায় ইহান। ‘কী?’
‘কিছুনা বলেই আপন গতিতে হাঁটা দেয় জিহাম। তখনি দেখে আনহা আর অন্তি আসছে। ঠিক সেই সময় ওর কাঙ্ক্ষিত মানুষটিও চলে আসে। এবার শুধু তীর মারা বাকি…
.
.
.
.
.
.
.
.
[বাকিটা পরের পর্ব গুলোতে জানবেন ]