তুমি আমার জিবন পর্ব-০২

0
400

#তুমি_আমার_জিবন
#লেখিকা_তৃষা_খাতুন
পর্ব ২

ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে দেখি আব্রাহাম বিছানায় বসে আছে। আমি তার দিকে তাকাতেই দেখি সেও আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

আরুকে দেখতে এক দম হুর পরির মত লাগছে। উজ্জল শ্যামলা গায়ে কালো টি শার্ট ভালোই মানাইছে। ট্রাউজার টা অনেক বড় তাই পায়ের কাছে ভাজ করে রেখেছে । কোমড় সমান চুল গুলো ছেড়ে দেওয়াই আরো সুন্দর লাগছে। আমি চোখ সরাতেই পারছিনা। বুকের ভেতর কেমন ধকধক করছে।

আব্রাহামের এভাবে তাকানো দেখে আমার অনেক লজ্জা লাগছে। আমি তাকে বললাম,

“ এই ভাবে কি দেখছেন।

আনমনেই আব্রাহাম বলে উঠে,

এক শ্যামা হুর পরী কে দেখি

আব্রাহাম এর কথা শুনে আমার বুকের ভিতর ধকধক করে উঠে, এক শ্যামা হুর পরী কে দেখি কথা টা শুনে আমার শরীর কেঁপে উঠল। গায়ের লোম খাড়া হয়ে আছে ।

____________________________

অনেকক্ষন ধরে চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। ঘুমে চোখ ধুলছে কিন্তু আব্রাহাম কে বলতে পারছেনা। আব্রাহাম অনেক ক্ষন ধরে মনোযোগ দিয়ে আরু কে পর্যবেক্ষন করে। সে খেয়াল করে আরু কেমন কাচুমাচু করছে কিছু বলার জন্য কি বলতে পারছেনা । সে কিছু টা বুঝতে পারছে আরুর ঘুম পাচ্ছে । এখন রাত তিনটা চল্লিশ ।

তোমার ঘুম পাচ্ছে বললেই পারো । এভাবে দাড়িয়ে না থেকে শুয়ে পরো বলেই আমি এক পাশে সরে গিয়ে তাকে শুয়ার জন্য জায়গা করে দিলাম।

আব্রাহাম এর পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লাম। আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে।

_______________লেখিকা_তৃষা_খাতুন

সকাল দশটা বাজে এখনো আরু আর আব্রাহাম ঘুমাচ্ছে। আজ হঠাৎ করে আব্রাহাম এর ফুফু আর ফুফাতো বোন বেড়াতে আসে। তাদের দেখে আব্রাহাম এর মায়ের মুখে আঁধার নেমে আসে। বাড়ির সবাই অবাক হয়ে যায় তাদের দেখে। আব্রাহাম এর বিয়ের খবর তারা জানে না । তারা মা মেয়ে এসেই আব্রাহামের খোঁজ করে। যখন শুনে আব্রাহাম ঘুমাচ্ছে। তখন তারা অবাক হয়ে যায়। কারন এতো বেলা করে আব্রাহাম ঘুমাই না । তাই আব্রাহাম এর ফুফাতো বোন রাইমা গিয়ে আব্রাহামের রুমের দরজায় নক করে। আব্রাহাম কে ডাকে।

আব্রাহাম ভাইয়া । আব্রাহাম ভাইয়া। আপনি কি এখনো ঘুমাচ্ছেন। কত বেলা হয়েছে উঠেন।

দরজা করা নাড়ায় আর রাইমার ডাকে আরু পিটপিট করে তাকায়। বাইরে থেকে এখনো ডেকে চলেছে রাইমা। রাইমার ডাকা ডাকিতে আব্রাহামের ও ঘুম ভেঙ্গে গেছে ।

কারো ডাকাডাকিতে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। কে ডাকছে বুঝতে পারছিনা। পাশে তাকাতেই দেখি আরু উঠে গেছে। আরুর দিকে তাকাতেই আমার হার্টবিট অনেক ফাস্ট চলছে। ফোলা ফোলা চোখ। চোখ মুখে এখনও ঘুমের লেশ লেগে আছে। আমার কেমন যেন লাগছে আরু কে এ অবস্থায় দেখে।

ঘুমে আমার চোখ দুটো খুলতে পারছিনা। আমি আব্রাহাম এর দিকে তাকিয়ে দেখি , সে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি তাকে বললাম,

দরজা খুলে দেখেন কে ডাকছে । আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে। আমি ঘুমাবো । বলেই আমার শুয়ে পড়লাম।

আমি আরুর কথা মতো দরজা খুলে দেখি রাইমা দাঁড়িয়ে আছে। তাকে দেখে বলে উঠলাম,

কেমন আছো রাইমা

ভালো আছি আপনি কেমন আছেন। আপনার কি শরীর খারাপ এতো বেলা করে ঘুমাচ্ছেন।

ভালো আছি।আরে না শরীর খারাপ না কাল রাতে অনেক দেরি করে ঘুমাইছি তাই উঠতে দেরি। তা তুমি কখন আসছো।

আসছি আধাঘণ্টা মতো হলো ।

আচ্ছা থাকো আমি ফ্রেশ হবো। আর আহি তুই আমার রুমে আয় তো বলেই রুমে চলে আসলাম।

রুমে এসে দেখি এখনো আরু ঘুমাচ্ছে। ট্রাউজার আর টি শার্ট পড়া অবস্থায় আরুকে একটা পুতুল পুতুল লাগছে। আসি এসে রুমের দরজায় নক করে,

“”আসবো ভাইয়া।

“”হুম আয়।

“” বলো ডাকছিলে কেন

“” তোর একটা ড্রেস দিয়ে তা তো । আরুর এখানে কোনো ড্রেস নেই।

“” ওকে দিয়ে যাচ্ছি , বলেই বিছানায় শুয়ে থাকা আরুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

কিছু ক্ষন পর আহি একটা থ্রিপিস এনে আব্রাহাম এর কাছে এনে দেয় । আব্রাহাম রুমের দরজা লক করে । ফ্রেস হয়ে বের হয়ে আরুর পাশে বসে আরুকে আস্তে আস্তে ডাকছে,

আরু এই আরু উঠো। আর কত ঘুমাবা। এগারোটা বাজতে গেলো। উঠো এতো ঘুমালে শরীর খারাপ করবে তো। উঠো নাস্তা করতে হবে ।

হুম, বলেই উঠে বসি । আব্রাহাম এর থেকে ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে শাওয়ার নিয়ে বের হয়। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল মুছছে আরু পিছন থেকে কেউ একজন বলে উঠে

এই মেয়ে কে তুমি

চলবে