ভুলিনি তোমায় পর্ব :২৫(দ্বিতীয় অংশ)

0
3230

#ভুলিনি_তোমায়?
#Nishat_Tasnim
#পর্ব :২৫(দ্বিতীয় অংশ)

টানা ৪ ঘন্টা পর পরীক্ষার হল থেকে বের হতেই দেখলাম আমার উনি দাড়িয়ে দাড়িয়ে কয়েকটা মেয়ের সাথে কথা বলতেছে।এবার রাগ যেনো মাথা চড়ে বসলো।ধুপধাপ পা ফেলে আমি উনার কাছে গিয়ে দাড়ালাম। উনি আমাকে দেখে ইশারায় গাড়ির কাছে যেতে বললেন,আমি কিছু বললাম না চুপচাপ চলে গেলাম।

উনি মেয়েগুলোর সাথে কথা শেষ করেই আসতেই আমি শব্দ করে উনার বাইকে উঠলাম।উনি ভ্রু কুচকে আমার দিকে একপলক তাকিয়ে বাইক চালাতে লাগলেন।

হঠাৎ দেখলাম উনি অন্য রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেমন। কিছুসময় পর বুঝলাম এটা বাড়ীর রাস্তা নয়,অন্য রাস্তা।এটা দেখে আপনাআপনি আমার ভ্রুযুগল কুচকে এলো,কপালে কিঞ্চিৎ ভাজ ফেলে থমথমে গলায় বলে উঠলাম,,”এটা তো বাসায় যাওয়ার রাস্তা না আপনি কই নিয়ে যাচ্ছেন?”

উনি কোনো জবাব দিলেন না।বারবার প্রশ্ন করে যখন হতাশ হলাম তখন আর কিছু বললাম না।রাগে গা রি রি করতে লাগলো।সকাল থেকেই উনার উপর আমার রাগ হচ্ছে, ধীরে ধীরে উনার ওপর রাগের পরিমান টা বেড়ে যাচ্ছে।

প্রায় ঘন্টাখানেক পর দেখলাম গ্রামের সরু পথ দিয়ে যাচ্ছি।চারপাশে গাছপালা আর গাছপালা,রাস্তাটা অনেকটা পাহাড়ী টাইপ। বাইকের স্পীডের সাথে বাতাসের গতিও বাড়তে লাগলো। এদিকে আমি হাসফাস করতেছি,কারন উনি আমার সাথে একটা কথাও বলছে না।হোয়াট দ্যা হেল?যেখানে আমার উনার সাথে কথা না বলা উচিত সেখানে উনি বলছেন না। প্রচন্ড রাগ লাগতে লাগলো।

প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে এমন সময় উনি একটা জায়গাতে বাইক থামালেন। উনি নেমে আমাকে নামতে বললেন আমিও বিনাবাক্যে নেমে গেলাম। আমি চারপাশ চোখ বুলাতেই আমার চোখগুলো আটকে গেলো।এত সুন্দর চোখ ধাঁধানো সুন্দর জায়গা আমি আগে কখনো দেখি নি।আমি বিমুগ্ধ হয়ে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। সব কিছু এত সুন্দর কেনো?
চারপাশে পানি আর পানি।আশেপাশে গাছপালায় ভরপুর,দেখতে অনেকটা পাহাড়ি এলাকার মতো। তখন সূর্য ডুবিডুবি অবস্থা, পশ্চিম আকাশে লাল আভা গুলো পদ্মার পানিতে ভেসে উঠলো,ওয়াও,কী অপরূপ দৃশ্য! এক কদম এগুতেই দক্ষিনা বাতাস বইতে লাগলো। বাতাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমিও বইতে লাগলাম। এত সুন্দর জায়গা দেখে আমার কথা বন্ধ হয়ে গেলো,আমি মুগ্ধ হয়ে এদিক-ওদিকে দৌড়ে হাটতে লাগলাম।
এদিকে উনি আমার কান্ড দেখে মুচকি হাসতে লাগলেন।

জায়গা টা যে আমার বেশ পছন্দ হয়েছে উনি তা বেশ বুঝতে পেরেছেন।আমি দৌড়াতে দৌড়াতে নদীর পাড়ে চলে আসলাম। দুই হাত মেলে চোখ বন্ধ করে পরিবেশটা উপভোগ করতে লাগলাম। প্রায় কিছুক্ষন পর অনুভব করলাম আমার ঘাড়ে কারো গরম নিশ্বাস পড়ছে,আমি ধীরে চোখ খুলতেই দেখলাম উনি কেমন ঘোর লাগা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। দুজনে চোখাচোখি হতেই দুজনেই থমকে গেলাম।হটাৎ উনি আমার সামনে থেকে সরে পিছিয়ে গেলেন,এতে যেনো আমার হুশ ফিরে এলো।কতক্ষন যে দুজনের দিকে দুজন এভাবে তাকিয়ে ছিলাম জানা নেই। মুহূর্তেই আমার ভেতর একরাশ লজ্জা এসে ভর করলো।

মানুষের জীবনে বোধ হয় মানসিক প্রশান্তিই প্রধান বিষয়। তাই তো এত টেনশন,মানসিক চাপ আর কষ্টের ভেতর একটু প্রশান্তি পেতেই মন টা ভালো হয়ে গেলো। সারদিনের এত চাপ আর রাগ সব যেনো মুহূর্তেই গায়েব হয়ে গেলো।ঠিক এমন একটা মুহূর্তই প্রয়োজন ছিলো।আচ্ছা উনি কীভাবে বুঝলেন যে আমার এখন মাইন্ড ফ্রেশ করা দরকার আর তার জন্য এমন একটা মুহূর্ত প্রয়োজন?যাই হোক, নিজেকে এখন অনেক হালকা লাগছে।

নদীর পাড়ে বসে পানিতে পা ভিজিয়ে আনমনে এসব ভাবতেছি তখনই উনি এসে আমার পাশে বসলেন। উনি আমার দিকে এক পলক তাকিয়ে দৃষ্টি ঘুরিয়ে নিলেন।সামনের দিকে তাকিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বললেন,,”জানো,এ জায়গা টা না আমার খুব প্রিয়। আমার যখন অনেক বেশি মন খারাপ থাকে তখনই এখানে চলে আসি।ইদানীং আমি নিজের ভেতর অনেক কিছু পরিবর্তন হতে দেখেছি।আমি দিনদিন কেমন তোমাকে নিয়ে ইনসিকিউর ফিল করতেছি,আগে এমন টা ফিল করি নি।সেদিন মধ্যরাতে স্বপ্নে দেখেছিলাম তুমি কার হাত ধরে চলে যাচ্ছো,আর আমি পিছন থেকে তোমাকে ডাকতেছি আর কান্না করতেছি।সাথে সাথে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়,আমি উঠে বসে পড়ি,দরদর করে ঘামতে ছিলাম।
তখন থেকেই সবসময় তোমাকে হারানোর ভয় হয়,কেনো যেনো মনে হয় তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। জানো সেদিন যখন সালমান, ওই যে তোমাকে বাজে কথা বলেছিলো না আমার একটা ফ্রেন্ড,ও। সেদিন যে আমার এত রাগ হয়েছিলো যা আমি তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না,তাই তো ওকে তখন কিছু করতে না পেরে রাগ টা তোমার উপর ঝেরে ফেলেছিলাম। জানো লাইফে কখনও মারামারি করিও নি আর না ওসবে জড়াইছি।কিন্তুু সেদিন সালমানকে ইচ্ছা মতো মেরেছিলাম,শুধুমাত্র তোমাকে ওসব বলার জন্য।ও কে দুইদিন বেড রেস্ট করতে হয়েছিলো। দিনদিন কেমন আমার ভেতর হিংস্রতা চলে আসছিলো।আর আজকে তুমি যখন বলেছিলে যে তুমি ওই জামা টা পরে কোন ছেলের কাছে যাবে তখন যেনো আমার মাথায় আগুন জ্বলে উঠলো।তারউপর তুমি বারবার বলেছিলে যে ওই জামা টা তোমার প্রিয়।আমি ভেবেছিলাম,হতে পারে ও্ ওটা তোমায় সৌ..সৌরভ দি্ দিয়েছে।”

শেষের কথাটা উনি কাপা কাপা কন্ঠেই বলেছেন।কথাটা শুনতেই আমার খুব খারাপ লাগলো।আমি পানি থেকে দৃষ্টি সরিয়ে উনার দিকে করুনভাবে তাকালাম।

উনি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,,”জানি না,কে এই সৌরভ।কেনো জানি ওকে ননিয়ে আমি ইনসিকিউর ফিল করছি। সেদিনের স্বপ্নের পর আমার তোমাকে নিয়ে খুব ভয় হয়।আমি জানি না আমি তোমাকে ভালোবাসি কি না?তবে তোমার জন্য আমি খুব স্ট্রং কিছু ফিল করি।তোমাকে হাসিখুশি না দেখলে আমার দম বন্ধ হয়ে যায়।তোমাকে না হলে আমার চলবে না,তোমাকে আমার চাই। তুমি যে আমাকে ভালোবাসো না তা আমি জানি,আমি তোমার স্বামী বলেই টান অনুভব করো। কিন্তুু ট্রাস্ট মি আমার এতে কোনো প্রবলেম নেই, শুধু তুমি আমার সাথে থাকলেই চলবে। সোজাসুজিভাবে বলতে গেলে,’আমি তোমাকে চাই,খুব করে চাই।’ ”

উনার কথাগুলো মন দিয়ে শুনেছিলাম,কিন্তু কোনো জবাব দেই নি।আচ্ছা,উনি সবসময় এ কথা কেনো বলে আমি উনাকে ভালোবাসি না, স্বামী বলে টান অনুভব করি। উনার পরিবর্তে অন্য কেউ হলে নিশ্চয় বলতো, “তুমি আমাকে ভালোবাসো,তাই অন্যকাউকে আমার সাথে সহ্য করতে পারো না।” উনি এমন কেনো?উনি কি জানেন উনার এদিকগুলোর কারনে আমি উনার উপর অতিমাত্রায় দূর্বল হয়ে পড়ছি। হ্যা,উনার প্রতি আমি দূর্বল,অনেক দূর্বল। একটা মানুষ যে রাত দিন এক করে ফেলে আমাকে সুস্থ করার জন্য।আমার কিছু হলে নিজের নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে আমার পিছনে পরে থাকে। আমার জন্য মানুষের কাছ থেকে ধার-দেনা করে,আবার নিজে দিনরাত খেটে তা পুষিয়ে দেয়। আমাকে একটু হাসানোর জন্য কত কিছু করে,আমাকে বাজে কথা বলার জন্য নিজের বন্ধুকেও ছাড় দেয় নি।আমার কোনো দিক না থাকা স্বত্তেও আমাকে বিয়ে করেছে।
এত কিছুর পরেও কখনো একবারও জোর করে নি তাকে ভালোবাসার জন্য,আর না বলে ভালোবাসতে।
তাহলে আমি কেনো যে কোনো মেয়ে ই উনার প্রতি দূর্বল হয়ে যাবে। আর এখন তো উনার প্রতি আরো দূর্বল হয়ে পড়েছি,জানি না উনাকে ভালোবাসি কি না?তবে আমি শিউর উনার প্রতি আমার ফিলিংস স্বামীর টান নয় তার থেকেও বেশি কিছু।

কিছুসময় আগেই সন্ধ্যা নেমেছে,চারদিকে ঝিঁঝিঁ পোকারা ঝি ঝি করছে।আকাশে গুড়ুম গুড়ুম মেঘ ডাকতেছে।চারদিকে হিম বাতাস বইছে।কেমন শীত শীত করছে আর এদিকে আমার বোরকা ভিজে একাকার। পুররো টা বিকেল নিজের মতো উপভোগ করেছি,পানিতে নামতেই পুরো বোরকা ভিজে গিয়েছিলো।আমি উনাকে বলতেও পারছি আবার সইতেও পারছি না।কারন আমাকে উনি বারবার বলেছে আমি যেনো পানিতে না নামি। আমি জানি এখন উনাকে বললে আমি এক ধমক দিয়ে বসবেন। তাও মনে সাহস জুটিয়ে উনার কাছে গিয়ে মিনমিন গলায় বললাম,,”শুনছেন?”

উনি আমার দিকে এমনভাবে তাকালেন যেনো ভূত দেখেছেন।

আমি আবারো মিনমিন গলায় বললাম,,”শুনেন না।”

উনি হকচকিয়ে বললেন,,”হ্যা,হ্যা,,বলো।”

বেচারার মুখ দেখেই বুঝতে পারছি উনি শকড হয়ে আছেন।আমি বাচ্চাদের মতো ঠোট ফুলিয়ে বললাম,,,
–“আমি ভিজে গেছি,ঠান্ডা লাগছে।তাছাড়া সন্ধ্যা হয়ে গেছে বাড়ী যাবেন না?আকাশের অবস্থাও বেশ ভালো না,, যেকোনো সময় বৃষ্টি নামতে পারে।”

উনি একবার চারপাশ তাকিয়ে বললেন,চলো। আমরা একটু এগুতেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়তে লাগলো।উনি জোরে হাটতে লাগলেন।বাইকের কাছে প্রায় পৌঁছেই গিয়েছিলাম কিন্তু তার আগেই বৃষ্টি বড় বড় ফোটা আকারে পড়তে লাগলো।উনি আমার হাত ধরে দৌড় দিতে লাগলেন।প্রায় মিনিট খানেক পর একটা ভাঙ্গা টিনের ঘর দেখতে পেলাম,উনি একপলক আশপাশ তাকিয়ে ওই ঘরেই আশ্রয় নিলেন। এদিকে বৃষ্টির পানিতে আমি প্রায় ভিজে চুপসে গিয়েছি।

ঘরের ভেতর প্রবেশ করতেই ঘরের অবস্থা দেখে ঘরটির প্রতি আমার দয়া হলো।কি বেহাল অবস্থা।উনি পুরো ঘর ঘুরে মানুষকে ডাকতে লাগলেন,কিন্তুু কারো কোনো সাড়া পেলেন না।বুঝতেই পারলাম ঘরে কেউ থাকে না।উনি পুরো ঘর খুজে একটা ভাঙ্গা হারিকেন পেলেন।ঘরের চাল ফুটো হয়ে আছে তাই জায়গা জায়গা পানি পড়তেছে। হঠাৎ দেখলাম উনি পকেট থেকে লাইটার বের করে হারিকেন জ্বালাচ্ছেন।উনার কাছে লাইটার দেখে আমার কপালে কিঞ্চিৎ ভাজ পড়লো। উনার কাছে লাইটার আসলো কই থেকে? এদিকে উনার হাতে লাইটার দেখে মনে মনে আওড়াতে লাগলাম,,
লাইটার তো তাদের কাছেই থাকে যারা সিগারেট খায়,তার মানে কী উনি সিগারেট খায়? কথাটা ভাবতেই চোখ বড়বড় করে উনার দিকে তাকালাম।

এদিকে উনি হারিকেন জ্বালিয়ে পুরো ঘর তন্নতন্ন করে খুজতে লাগলেন।প্রায় মিনিট খানেক পর উনি দুটো ছেঁড়া কাঁথা আবিষ্কার করলেন।উনি ওগুলো নিয়ে আমার কাছে এসে আমার উপর থেকে নিচ পর্যন্ত একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন।উনি একটা কাঁথা আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে ভ্রু কুচকে বললেন,, “জামাকাপড় বদলে এটা পরে নাও।যেভাবে কাপঁতেছো মনে তো হচ্ছে একটুপর অজ্ঞান হয়ে যাবে।”

উনার কথা শুনে আমি হ্যাবলার মতো উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম।আমি যে শীতে কাঁপতেছি উনি এটাও খেয়াল করেছেন?

উনি আমাকে একটা ধমক দিয়ে বললেন,,”কী সমস্যা,এমন স্ট্যাচু হয়ে আছো কেনো?জ্বর বাঁধাতে চাও নাকি?”

উনি আমার হাতে দিয়ে ঘরের বাহিরে গিয়ে দাড়ালেন।জামা কাপড় বদলাতে গিয়ে দেখলাম এটা কাঁথা নয় বেডশিট।বেডশিট টা পড়তে গিয়ে দেখলাম এটা অনেকটা পাতলা।

ওদিকে উনি হাঁক ছেড়ে বললেন,,”হয়েছে?আর কত সময় লাগবে?আমি তো পুরো ভিজে যাচ্ছি।”

আমি কী করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না,উনার আওয়াজ শুনে কোনোরকম পেঁচিয়ে নিলাম।

চাদরটা গায়ে জড়িয়ে আস্তে করে বললাম,,”এখন আসতে পারেন।”

আমার কথাটা শেষ হতেই উনি ভেতরে ডুকতে ডুকতে বললেন,,”মেয়ে মানুষদের সামান্য একটা কাপড় বদলাতেও কত,,”

এটুকু বলতেই আমার দিকে উনার চোখ পড়তেই উনি থেমে গেলেন।উনি কেমন একদৃষ্টিতে ঘোর লাগা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন।এদিকে উনার এমন চাহনী দেখে আমার কেমন অদ্ভুদ লাগতে লাগলো।আমি আরেকবার চোখ তুলে তাকাতেই দেখলাম উনি আগের মতোই তাকিয়ে আছেন।একবারের জন্যও চোখের পলক ফেলছেন না। এটা দেখে আমার লজ্জা লাগতে লাগলো।মুহূর্তেই পুরো গাল লজ্জায় লাল, নীল হতে লাগলো। উনি ধীরে ধীরে আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলেন,উনার এমন এগোনো দেখে আমি উনার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে মাটির দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম। একটুপর অনুভব করলাম ঘাড়ে কারো গরম নিশ্বাস পরছে,,আমি ভালো করেই বুঝতে পারলাম যে এটা কে?

কিছুসময় পর উনি হটাৎ আমার কানে ফিসফিস করে কিছু বলতেই লজ্জায় আমার কানের লতি লাল হতে লাগলো।
.
.
.
চলবে?