ভুলিনি তোমায় পর্ব-২৭

0
3303

#ভুলিনি_তোমায়?
#Nishat_Tasnim
#পর্ব :২৭

হঠাৎ কিছুর টুংটাং শব্দ শুনে আমি মাথা তুলে বিছানার দিকে তাকালাম।উনার ল্যাপটপ থেকে শব্দ টা এসেছে।তার মানে ঘরে কোনো চোর আসে নি,কারন চোর আসলে তো সবকিছুই নিতো,শুধু শুধু কয়েকটা জামা ই বা কেনো নিবে?আমি ভেবেছিলাম হয়তো চোর এসেছিলো। ফ্লোর থেকে কোনোরকম উঠে গিয়ে ল্যাপটপের কাছে গেলাম।

ল্যাপটপ টা খুলতেই দেখলাম মেসেজ অপশনে ছোট্ট একটা মেসেজে দেওয়া।
.
–” আমি চলে যাচ্ছি,ভালো থেকো।”

মেসেজ টা দেখতেই আমার হার্টবিট বন্ধ হয়ে গেলো।কয়েক মুহূর্ত অনুভূতিহীন হয়ে তাকিয়ে রইলাম।কলিজা টা ধক করে উঠলো।আমার কান্না পাচ্ছে,খুব কান্না পাচ্ছে।চোখের পানি ধরে রাখতে পারতেছিলাম না,হু হু করে কেঁদে দিলাম। এতদিন তো এ ভয় টা ই পাচ্ছিলাম।আমার মনের কথা তাহলে আজ সত্যি হয়ে গেলো। জানতাম সব পুরুষ এক রকম হয়,দেখিয়ে দিলো তো আসল রুপ। যখন ছেড়েই দিবে তাহলে কেনো আমাকে বাধ্য করেছে উনাকে ভালোবাসতে। উনি নিজেই তো সব করেছিলেন তাহলে এখন কেনো ছেড়ে দিয়েছেন?

আচ্ছা আমাকে কেনো ছেড়ে দিয়েছেন?উনি তো আমার বয়ফ্রেন্ড নয় স্বামী ছিলেন।তাহলে এমন কেনো করলেন? খুব ঠান্ডা মাথায় নিজেকেই প্রশ্ন করতে লাগলাম।

চুপচাপ হাটু গেড়ে মুখ গুজে কান্না করতে লাগলাম।এ জীবনে বোধ হয় কান্না ছাড়া আর কিছুই নেই।ভেবেছিলাম আজকে আমি উনার সাথে সম্পর্কটা স্বাভাবিক করে নিবো।কিন্তুু তার আগেই তো উনি…

হঠাৎ পিছন থেকে কারো স্পর্শ পেতেই চমকে উঠলাম।উনার কথা ভেবেই দ্রুত চোখ মুখ মুছে মুখ তুলে তাকালাম।সাথে সাথে আমার হাসিমাখা মুখ চুপসে গেলো,কারন মানুষটি আমার উনি নয়, রেশমি আপু।

–“কী হয়েছে?”

–“আ পু,,আ পু..!!”

–“হ্যা,বলো।”

–“আপু উনি আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন।”
কথাটা বলেই আমি আপুকে জড়িয়ে হাউমাউ করে কান্না করতে লাগলাম। আপি কিছুটা অবাক হন,,উনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন,,”তো কী হয়েছে?”

আপুর কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম,,আমি গর্জে উঠে বললাম,,”তো কী হয়েছে মানে?উনি কেনো আমাকে রেখে চলে যাবেন?’কথা নেই,বার্তা নেই আমি চলে যাচ্ছি ভালো থেকো’ হোয়াট দ্যা হেল?চলে যাচ্ছেন মানে,কই চলে যাচ্ছেন?আর আমাকে এভাবে রেখে কই চলে যাবেন? আমি উনার ওয়াইফ হই,এটলিস্ট আমাকে তো সব বলবে..!!আর আমাকে কেনো ছেড়ে দিবেন?আমি কি কোনো পুতুল যে যার যখন ইচ্ছা ছেড়ে দিবে?”

–“তোমাদের বিয়ে টা তো এক্সিডেন্ট ছিলো,,তাছাড়া তুমি তো এহসানকে মানতেই পারো নি।তুমি তো কবুল টাও বলো নি আর না তোমাদের মধ্যে ভালোবাসো ছিলো।তাহলে প্রবলেম টা কই?”

–“প্রবলেম কই মানে?কে বলেছে আমি বিয়ে মানি না? কবুল বলি নি মানে,,আপনি জানেন উনি সেদিন রাতে কৌশলে আমার থেকে সাতবার কবুল বলিয়েছিলো।আমাদের মধ্যে তো সব নরমাল ই ছিলো,তাহলে কেনো উনি এমন করলেন?”

কথাগুলো বলে আমি আবারো ফুফিয়ে ফুফিয়ে কান্না করতে লাগলাম। কেনো সবাই এমন করে?

–“ওকে কী ভালোবাসো?”

আপুর কথা কানে পর্যন্ত পৌঁছাতেই থমকে গেলাম।উনি চলে যাওয়া তে আমি কেনো মেনে নিতে পারছি না?আমার কেনো কষ্ট হচ্ছে?আমি কি তাহলে উনাকে সত্যিই ভালোবেসে ফেলেছি? এখন আর কী লাভ?উনি তো চলেই গিয়েছেন।

আপুর কথার কোনো জবাব দিলাম না।আমি আমার মতো কান্না করতে লাগলাম,,শেষ পর্যন্ত উনিও এমন করলেন? অনেক্ষণ কেঁদে মনটাকে একটু হালকা করে নিলাম। চুপচাপ রুম থেকে ওঠে ব্যালকনিতে চলে আসলাম। আপুও আমার পিছন পিছন আসলেন।

–“আচ্ছা আপু সবাই কেনো আমাকে ছেড়ে চলে যায়?”

আমার কথা টা শুনতেই আপু চুপ করে গেলো।আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম। হয়তো আমার প্রশ্নের জবাব কারো কাছেই নেই।

–“জানো আপু আমার যখন চার বছর বয়স তখন আমার মা আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন,,আমি তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না সেটা আমার জন্য কত টা কষ্টের ছিলো?আবার যখন ১৭ বছর বয়স তখন আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ আমাকে ছেড়ে দেয়,সেদিন একসাথে দুজন মানুষকে হারিয়েছিলাম। আজও আমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলি না,সেদিন ওর সাথেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলি। তখনকার কষ্টগুলোর কথা আর না ই বললাম। যখন ১৮ বছর বয়স তখন আবার চলে গেলেন আমার বাবা,যে ছিলেন আমার সবকিছু।এখন আবার ছেড়ে চলে গেলেন আমার উনি। আচ্ছা সবাই কেনো আসে আবার চলে যায়?জানো প্রত্যেকবার মনে হতো এর আগে এখনকার মতো কষ্ট পাই নি,,প্রত্যেকবার অন্যরকম যন্ত্রনার শিকার হতে হয়েছে?আমি কী কোনো মানুষ নই,সবাই কেনো মায়া বাড়িয়ে ছেড়ে দেয়। আমার তো বাঁচার কোনো কারন দেখতেছি না,আমি আর নিতে পারতেছি না।মুক্তি চাই,,এসব থেকে মুক্তি চাই। আমার তো আর কেউ রইলো না, তাহলে তো কারো কোনো সমস্যা হবে না,তাই না?”

–“সব না হয় মানলাম।কিন্তুু এহসান চলে গিয়েছে তা তে কী হয়েছে?সবার মতো ওকে তো আর ভালোবাসতে না,তাই না?”

আপুর কথা শুনে আমি মৃদু হাসলাম,মাথা গুরিয়ে উনার দিকে গাড়ো দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম। তাচ্ছিল্যের সুরেই বললাম,,”হাজার বার মুখে ভালোবাসি বললেই ভালোবাসা হয়ে যায়?উনি কী কখনও আমার কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন যে আমি উনাকে ভালোবাসি কি না?আচ্ছা উনিও তো কখনও আমাকে মুখ ফুটে সরাসরি বলেন নি যে ভালোবাসে,,কিন্তুু আমি তো ঠিকই মনে করতাম। জানেন আজ পর্যন্ত কারো চলে যাওয়া মেনে নিতে পারি নি,প্রত্যেকবার কোনো না কোনো ভুল কাজ করেই ফেলেছিলাম।কারন আমি খুব দূর্বল ছিলাম,কোনো কিছু মেনে নিতে পারতাম না। অথচ আজ আমার সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে, ভেতর থেকে একদম গুড়িয়ে গিয়েছি তবুও কোনোরকম ভুল স্টেপ নিচ্ছি না, কেনো জানেন?কারন আজ আমি বাহিরে থেকে একদম স্ট্রং,আর আমাকে এমন বানিয়েছে কে জানেন?শুধু সে ব্যক্তি যে আজ আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে।আমি হয়তো আর আগের মতো মরে যেতে চাইবো না।হয়তো শুধু বেঁচে থাকবো জীবন্ত লাশের মতো।”

–“আচ্ছা,আমি যখনই তোমাকে প্রশ্ন করলাম যে তুমি এহসানকে ভালোবাসো কি না তখনই কেনো ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে জবাব দেও?”

–“কারন আমি চাই না শেষ সময়ে এ বিষয়টা এক্সসেপ্ট করে কষ্ট পেতে।আমি সবসময় নিজেকে এটা বলে শান্তনা দিবো যে আমি তো আর উনাকে ভালোবাসতাম না।আর এখন তো উনি নেই তো এসব বলেও লাভ হবে না।”

–“উনি যদি এখন চলে আসে তাহলে কী স্বীকার করবে?”

–“উনার চলে আসা টা আমার কাছে অমাবশ্যার চাঁদের মতো। এ পর্যন্ত যে একবার আমাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে সে দ্বিতীয়বার আর আমার কাছে আসে নি।”

কথাগুলো বলে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম।আবারো নিরবতা চলে আসলো।বাতাসের গতির আওয়াজ আর মাঝে মাঝে দু-তিন টা গাড়ীর হর্নের আওয়াজ ছাড়া কিছুই আসছে না।নিরবতা ভেঙ্গে আপিই প্রশ্ন করলেন,

–“তাহলে,এখন কী করবে??”

আমি কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বলে উঠলাম,,”আপাতত কয়েকটা ঘুমের ঔষধ খেয়ে লম্বা ঘুমের ব্যবস্থা করবো।”

আপি কিছুক্ষণ আমার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন।একটুপর আমাকে বললো,,”চলো,তোমাকে কিছু দেখাবো।”

আপির কথা শুনে আমি প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকালাম।আপি আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলেন।আমি অবাক হয়ে আপির সাথে যেতে লাগলাম। কেনো জানি কোনো কিছু ফিল হচ্ছে না, নিজেকে রোবটের মতো লাগছে।
.
আপি আমাকে নিয়ে ছাদের নিয়ে আসতেই আমি নাক টেনে আপিকে বারবার বলত লাগলাম এখানে কেনো নিয়ে আসতেছে?আপি শুধু বলেছে গেলেই নাকি দেখতে পাবো।আমি আর কিছু বললাম না। চোখের পানিগুলোর ওপর রাগ লাগতেছে,এত চেষ্টা করতেছি আটকে রাখার তবুও বেহায়ার মতো পড়তেছে। আপি ছাদের দরজা পর্যন্ত নিয়ে এসে আমাকে বললেন,,”ভেতরে যাও।” আমি অবাক হয়ে আপির দিকে তাকালাম,,আপির কী মাথা ঠিক আছে?উনি কী আমার অবস্থা বুঝতেছে? এত রাতে উনি আমাকে ছাদে যেতে বলছেন।আমি ঠাই দাড়িয়ে আপির দিকে বিরক্তকর দৃষ্টি নিক্ষেেপ করলাম।আপি হয়তো বুঝতে পেরেছে যে এখন আমি হাজার প্রশ্ন করবো,উনি কিছু না বলে আমাকে ঠেলে ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলেন। এদিকে আমি বারবার আপি কী করছো বলতে লাগলাম।

পিছনে ঘুরে তাকাতেই আমি থমকে গেলাম। একদম রোবট হয়ে গেলাম,কেমন যেনো সব ধোয়াশা লাগতে লাগলো। মাথাটা চক্কর দিয়ে উঠলো,আমি কোনো রকম নিজেকে সামলে নিলাম। পুরো ছাদ ডেকোরেট করা,,ছাদের একটা পাশে দুটো চেয়ার আর একটা টেবিল রাখা ,টেবিলের উপর খাবার সাজিয়ে রাখা,পাশেই কয়েকটা ক্যান্ডেল রাখা। ছাদের মাঝে অসংখ্য ছোট ছোট মোমবাতি সাজিয়ে রাখা। কতধরনের অসংখ্য বেলুন,আর ফুল। এাব দেখে আমি তো পুরো শকড!

যখন এসব দেখতেছি তখনই কেউ পিছন থেকে আমার কানে কানে বললো,,”পছন্দ হয়েছে?”

আমি চমকে পিছনে তাকাতেই দেখলাম উনি ঠোঁট কামড়ে হেসে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।এবার যেনো আমার চোখ বেরিয়ে আসার উপক্রম। আমার যেনো কিছু বিশ্বাস ই হচ্ছে না, সব কিছু স্বপ্নের মতো লাগছে। স্বপ্নের কথা ভাবতেই, ভাবলাম হয়তো সত্যিই স্বপ্ন দেখছি।কারন এসব শুধু আমার কল্পনাতেই সত্য। আমি জানি একটুপর এসব গায়েব হয়ে যাবে, ইশশ কী হতো যদি এসব স্বপ্ন না হয়ে সত্যি হতো? মনটা একদম বিষিয়ে গেলো।মুখ কালো করে মাথা নিচু করে রইলাম।

–“কী হলো?খারাপ হয়েছে?পছন্দ হয় নি?”

নিচের দিকে তাকিয়ে পায়ের নখ দিয়ে চাদের মেঝেতে খোঁচাচ্ছিলাম, তখনই আবার উনার কন্ঠ শুনতে পেলাম।আমি সাথে সাথে মাথা তুলে উপরের দিকে তাকাতেই দেকলাম উনি আগ্রহ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। উনাকে আবারো আমার সামনে দেখে আমি চমকে গেলাম। খুশিতে আমার চোখ দুটো ভরে আসলো,কোনো কিছু না ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়লাম উনার বুকে।উনাকে জড়িয়ে ধরে সেই কী কান্না জুড়ে দিলাম।আমি ফিকরে কান্না করতে করতে অভিযোগের সুরেই বললাম,,

–“আপনি খুব খারাপ,আপনি আমাকে শুধু কষ্ট দেন। আমি কতটা কষ্ট পেয়েছি আপনি জানেন,আমি থাকবো না আপনার সাথে, আপনি পঁচা।”

উনি কিছু না বলে পরম আবেশে আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। প্রায় কয়েকমিনিট আমরা এভাবেই ছিলাম,আচমকা আমি উনাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম।

আমি বাম হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখের পানি মুছে ফেললাম,কর্কশ গলায় উনাকে প্রশ্ন করলাম,,”এসব কী?”

উনি প্রথমে কিছুটা অবাক হয়েছেন তাও নিজেকে সামলিয়ে হাসিমুখে বললেন,,”সারপ্রাইজ..!!”

উনার কথা শুনে কেনো যেনো রাগ টা আরো বেড়ে গেলো।থমথমে গলায় বলে উঠলাম,,” হোয়াটট?”

উনি মেকি হাসলেন,কোনো রকম আমতা আমতা করে বললেন,,”একচুয়েলী,,তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম।”

রাগ যেনো নাকের ডগায় চলে এসেছে,,নাক ফুলিয়ে কপালে কিঞ্চিৎ ভাজ ফেলে চোখ ট্যারা করে উনার দিকে তাকালাম।উনি দাত বের করে শব্দবিহীন হাসি দিলেন,এবার যেনো আমার রাগ আরো বেড়ে গেলো।

উনি সামান্য ঢুক গিলে বললেন,,”এমনভাবে তাকাচ্ছো কেনো?দেখো এসবে কিন্তু আমার কোনো হাত নেই,রেশমি আমাকে এই আইডিয়া টা দিয়েছে।মেয়েরা নাকি সারপ্রাইজ খুব ভালোবাসে,তাই আমি এ ব্যবস্থা করলাম। ”

উনার কথা শুনে আমার কোনো ভাবান্তর হলো না, আমি আগের ন্যায় উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম।এবার উনি অসহায় ভাবে আমার দিকে তাকালেন।

উনি বাচ্চাদের মতো ঠোঁট উল্টে বললেন,,”একদম এভাবে তাকাবে না।তুমি জানো কত ভয়ংকর লাগছে,চোখগুলো এত বড় বড় কেনো করেছো?আমি ভয় পাচ্ছি তো। দেখো তুমি যদি এভাবে তাকিয়ে থাকো তাহলে আমি কান্না করে দিবো।অলরেডি আমার কান্না আসতেছে।তুমি জানো আমি কত কষ্ট করে সারাদিনে এসব করেছি? তোমার উচিত আমাকে জড়িয়ে দরে পাপ্পি দেওয়া অথচ তা না করে তুমি মধ্য রাতে ভূতের মতো তাকিয়ে আছো। এদিকে আমি মাসুম বাচ্চা যে ভয় পাচ্ছি তোমার খবর আছে?মনে হচ্ছে তুমি ডাইনীর মতো আমাকে খেয়ে ফেলবে।”

উনার কথা শুনতেই রাগে আমার মাথায় আগুন জ্বলে উঠলো। ফালতু লোক,,কী মনে করে উনি নিজেকে?এসব কোনো কতা হলো?আজব,,আমি কী বাচ্চা নাকী যে এসব বললে আমি হেসে দিয়ে উনার সাথে লুতুপুতু করবো? সিরিয়াস মুহূর্তে এমন ফালতু কতা শুনতেই মেজাজ তুঙ্গে উঠে গেলো।
.
.
.
চলবে??