গল্প : গ্যাংস্টার যখন রোমান্টিক প্রেমিক
লেখক : Farhan Ahmed Sajjad
পর্ব : ৬ ( তথা শেষ পার্ট)
আমাকে ভার্সিটির বাহিরে নিয়ে এসে বলল : তুই মেয়েটাকে কিছু বললি না কেনো!!
আমি কিছুক্ষন চুপ থেকে বললাম ”
ঐ মেয়েটাকে ভালো লাগে তাই!!
এমন কি অহনা কে ভালোবেসে ফেলেছি!!
আমার কথা শুনে ওরা সবাই অভাক হয়ে গেলো!!
আমি বাসায় চলে আসলাম!!
বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে খাবার খেয়ে গিটার নিয়ে ছাদে চলে গেলাম!!
ছোট বেলা থেকেই আমার গান করার অনেক শখ!
বাট কন্ঠ তেমন ভালো না তাই কোথাও গান করেনি!!
অনেক কষ্টে একটা গান লিখেছিলাম!!
সেই গান টা গাইতে শুরু করলাম!!
গান শেষ করে সিগারেট খেতে লাগলাম!!
অব্বু দেশে আসছে কিছুদিন আগেই!!
আর কত বাহিরে থাকবে ২২ বছর আমাদের জন্য বাহিরেই কাটিয়ে দিয়েছে!!
তাই এবার এসে পড়েছে!!
আব্বুর শরীর টাও তেমন একটা ভালো না!!
এখন সংসারে আয় করার মত তেমন কেও নেই আমি ছাড়া!!
সবশেষে রাতে ঘুমালাম ”
সকালে ভার্সিটির দিকে যাবো এমন সময় আব্বু পিছন থেকে আমাকে ডাক দিলো!!
আমি : জ্বি আব্বু বলেন ”
বাবা : তোর কাছে কিছু হবে,
এই প্রথম আব্বু আমার কাছে টাকা চাইলো!!
আব্বু যখন বাহিরে ছিলো!
তখন যদি আমি ১ হাজার টাকা চাইতাম তাহলে আমার বিকাশে ৫ হাজার টাকা জমা হতো!!
আমার ওয়ালেট খুলে দেখি ৫০০ শত টাকা রয়েছে আমি সব টাকা আব্বু কে দিয়ে দিলাম!!
বাবা : এত লাগবে না ১০০ টাকা হলেই আমার হয়ে যাবে!!
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আমি : আরে রেখে দাও কখন কোন দরকারে পড়বে তখন খচর করিয়ো!!
এইটুকু বলেই পিছন ফিরে চলে আসলাম!!
পকেটে নেই এক টাকা!!
কি করবো এখন আগের মত মারপিট করতেও ইচ্ছে হয় না নিরামিষ হয়ে গেছি কিছু ভালো লাগে নাহ্!!
এখনো যদি আগের মত পাগলামি করি তাও আমার পকেট ভর্তি টাকা থাকবে!!
ভার্সিটি গিয়ে এক ফ্রেন্ডকে বললাম একটা টিউশনি মেনেজ করে দিতে!!
ও বললো :- হ্যা এক মেয়ে আছে ক্লাস ১০ এর ”
আমিও রাজি হয়ে গেলাম ”
কারন আমার টাকা লাগবে!!
ভার্সিটি থেকে ঐ ফ্রেন্ড কে নিয়ে ছাত্রীর বাসায় গেলাম!
বাট কোন কাজ হলো নাহ্!!
হঠাৎ বাসা থেকে ফোন আসলো,
আব্বু নাকি স্টক করেছে!
কথাটা শুনা মাত্রই আমি দৌড়ে বাসায় গিয়ে আব্বুকে নিয়ে হসপিটালে গেলাম!!
হসপিটালে গিয়ে শুনলাম আব্বুর নাকি হার্ডব্লক
এমন কিছু একটা হয়েছে!!
অনেক টাকার প্রয়োজন কোথা থেকে আসবে এত টাকা মাথায় আসছে নাহ্!!
এর জন্য কি আমাকে আবার খুন খারাপের রাস্তায় নামতে হবে?
খুন খারাপের টাকা দিয়ে বাবার চিকিৎসা করাতে পারবো নাহ্!!
হসপিটালে জিসার বাবা, মা এসেছে ”
আপু আর জিসার সাথে!!
আমি আপু কে বললাম,
ওনাদের কিছু টা মেনেজ করে দিতে বলো বাকি টা আমি দেখছি!!
আপু ওনাদের সাথে কথা বললো ওনারা চিকিৎসার জন্য সব খরচ দিবে, আমাকেও ভালো একটা জব দিবে যদি তাদের একটা শর্ত রাখি!!
শর্তটা হলো তাদের মেয়ে জিসা কে আমার বিয়ে করতে হবে!!
এই কথা শুনে আপু থমকে গেলো!
কারন আপু যানতো আমি অহনা কে পছন্দ করি!!
আপু আমার কাছে এসে বলল : ওনাদের আশা বাদ দে অন্য উপায়ে টাকা মেনেজ করতে হবে!!
আমি : কেনো বাদ দিবো, মানে তারা কি কিছুই করতে পারবে না!!
আপু : তারা সব করতে রাজি কিন্ত তোকে যে জিসা কে বিয়ে করতে হবে !!
আর আমি যানি তুই অহনা কে পছন্দ করিছ তাই আর কিছু বলিনি!!
আমি : আরে রাখো তুমার পছন্দ তুমি তাদের বলে আসো আমি জিসা কে বিয়ে করতে রাজি!!
আপু : তাহলে তুই তোর ভালোবাসা মানুষ কে হারিয়ে ফেলবি!!
আমি : ভালোবাসার মানুষ তো সে যে কি’ না আমার সকল আবদার শখ পুরন করার জন্য বছরের পর বছর বাহিরের দেশে অন্যর কাজ করেছে!!
আমার জন্য এতকিছু করার জন্যই বাবার আজ এই অবস্থা!!
আর আমি তার জন্য সামান্য এই কাজ করতে পারবো নাহ্!!
তুমি ওনাদের বলে আসো আমি জিসা কে বিয়ে করবো!!
কিন্ত আমার বাবা যেনো ঠিক থাকে!!
যেই কথা সেই কাজ,
ওনারা টাকা দিলে আব্বু চিকিৎসা করলাম!!
হালকা সুস্থ হলে আব্বুকে বাসায় নিয়ে আসলাম!!
কাল জিসার সাথে আমার বিয়ে,
শর্ত ছিলো আব্বুকে বাসায় নিয়ে আসার পরদিন আমাকে বিয়ে করতে হবে!!
বাসায় আসার পর আব্বু আমাকে রুমে ডাকলো!!
আব্বু : শুনলাম তুই নাকি অহনা নামের কোন মেয়েকে পছন্দ করিছ!!
আমি : আরে নাহ্ সে রকম কিছু না!!
আব্বু : জিসার বাবা কে আমি বলবো : ওনার টাকা আমি ফিরিয়ে দিবো, কিন্ত বিয়েটা আমার ছেলের পছন্দের মেয়ের সাথে হবে!!
আমি : আরে না আমি জিসা কেই পছন্দ করি!
আর তুমি যে বললা টাকা ফিরিয়ে দেবে!!
অনেক টাকা লাগছে, এত টাকা কোথা থেকে আসবে!!
আব্বু : কোথা থেকে আসবে মানে আবার বাহিরে যাবো!!
আমি : তুমি কি পাগল হয়েছো নাকি!!
অনেক করেছো আর নাহ্!!
আর শুনো আমি কাল জিসা কেই বিয়ে করছি!!
এতে তুমাকে টাকা ফেরত দিতেও হবে নাহ্!!
আর আমি জব পাবো সেই টাকা সব তুমি খরচ করবা!!
আব্বু : কিছুদিন আগেও যখন বাহিরে ছিলাম তখন তুই ক্যামেরার জন্য বাচ্ছাদের মত করলি!
ক্যামেরা তো নিয়ে আসছি বাট আমি তোকে এখনো ছোট ভাবতাম কিন্তু তুই তো অনেক বড় হয়ে গিয়েছিস!!
আমি : আরে কি যে বলনা!!
এরপর জিসা কে বিয়ে করলাম ”
জিসা হয়তো অনেক খুশি,
চেহারা দেখেই বুঝতে পারছি!!
যাইহোক সব চোখ বুঝে মেনে নিলাম!!
ভালো একটা জব পেলাম!!
হ্যা এখনো অহনার সাথে দেখা হয় তবে অহনা আমাকে এখনো ভাইয়া বলেই ডাকে!!
তার মানে অহনার মনে আমি কখনো জায়গা করে নিতে পারেনি!!
কিন্তু আমার চিন্তা ভাবনা পুরো ভুল কারন জিসা কে বিয়ে করার কিছুদিন পর অহনা সুইসাইড করে!!
প্রথমে আমাকে বিয়ে করবে না বলে, নীলা সুইসাইড করেছে!!,
আর এখন আমাকে পেলো না বলে,অহনা সুইসাইড করেছে!!
আমার জন্য দুটা মেয়ের জিবন চলে গেলো,
অথচ আমি কিন্ত একদম ঠিক আছি!!
এজন্যই বলি, জিবন নাটকের চেয়েও বেশি নাটকীয়!!
অহনার সুইসাইড লেটারে রক্ত দিয়ে লেখা ছিলো!!
_ না পাওয়ার শূন্যতা + ডিপ্রেশন _
#সমাপ্ত!!