তুই আমার জানপাখি পর্ব-১৯

0
3402

তুই আমার জানপাখি
Faria Siddique
Part 19

আমি ঢুকতেই দেখি মিরাজ ভাইয়া বসে আছে।।।।।আমাকে দেখে এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরল।।।।
আমিও জড়িয়ে ধরলাম।। কারন অনেক বছর পর ভাইয়াকে দেখলাম।।।
ভাইয়া আমাকে কোন সময় আমার নাম ধরে ডাকে নি।।সব সময় আমাকে মেঘমালা বলে ডেকেছে।।।।
মিরাজ ভাইয়াঃকেমন আছিস মেঘমালা????
আমিঃভালো।।।। তুমি কেমন আছ???
মিরাজ ভাইয়াঃআমিও ভালো আছি।।।।।
ঠিক এমন সময় সায়মার মা বাবা এলো।। সায়মার মাকে আমি বউমা আর সায়মার বাবাকে buddy বলে ডাকি।।।।।
কারন জানি না।।।।এমনিতেই ডাকি।।।।
বউমা আমার সাথে রাগ করে আছে।।।
আমিঃও বউমা আর রাগ করে থেক না।।।।প্লিজ।।।
বউমাঃনা তোর সাথে আমার কোন কথা নাই।।।।।
আমিঃআরে বাবা সরি।।।আর কখনও এমন হবে না।।।।।।
বউমাঃ sorry is not accepted…..
আমিঃশুধু আমার সাথেই রাগ করা হচ্ছে তাই না।।।।।কই আরও দুই কুত্তা যে আসছে তাদের সাথে তো রাগ দেখাও নাই।।।।খালি আমার সাথেই রাগ দেখানো হচ্ছে।।।।।।
ঠিক তখনি আমার দুই কুত্তা ভাই সিড়ি দিয়ে নামছে।।।।।
বড়ভাইয়াঃদুইটা কুত্তা কে কে রে????
ছোটভাইয়া ঃ তুই কি আমাদের বললি????
আমিঃতো আর কাদের বলব……
ছোটভাইয়া ঃতবে রে দাঁড়া।।।।।
আমাকে আর পায় কে আমি এক দৌড়ে বউমার পিছনে।।।।।
আমিঃও বউমা আমাকে বাচাও।।।।
বউমাঃকি শুরু করলি তোরা???? তোরা আর বড় হলি না।।।।
ছোটভাইয়া ঃবউমার জন্য আজকে পার পেয়ে গেলি।।।।।
আমিঃহইছে।।।।।এমন একটা ভাব করতাছস যেন আমারে মাইরা লাইতি।।।।।।হু হু।।।
ছোট ভাইয়াঃ ফারহান হেতিরে থামতে ক।।।।
বড়ভাইয়া ঃতোরা থামবি।।।।।।
বউমাঃযাও সবাই ফ্রেশ হয়ে আস।।।আমি খেতে দিচ্ছি।।।আর মিরাজ তোর ফ্রেন্ডরা কখন আসবে?????
মিরাজ ভাইয়াঃএই এক্ষুনি চলে আসবে।।।।।
বড়ভাইয়াঃসবই বুঝলাম তা টুকু তুই কোথায় গিয়েছিলি?????
আমিঃশপিং এ গিয়েছিলাম।।।। তোর জন্য শপিং করতে।।।।
বড়ভাইয়াঃবা আমার বোনটা কত বড় হয়ে গেছে,।।।।
ছোটভাইয়া ঃআর আমার জন্য কিছু আনিস নাই?????
আমিঃতোর জন্য ও এনেছি।।।।
বউমাঃআচ্ছা এসব পরে হবে আগে যা ফ্রেশ হয়ে খেতে আয়।।।।।।
আমিঃওকে জানু।,।।
আমি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।।।
এর মধ্যে মিরাজ ভাইয়ার ফ্রেন্ডরাও চলে এসেছে।।
আমি ফ্রেশ হয়ে একটা কালো টি-শার্ট তার ওপর কালো জ্যাকেট আর কালো কালারের টাউজার পরে নিলাম।।।।
চুল গুলা ছেড়ে দিলাম।।।।।
আমি নিচে নামতেই দেখি কতগুলা ছেলে আর মেয়ে বসে আছে।।।।।
তাদের মধ্যে একজন আমার দিকে রাগি এবং অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।।।।। আমি সেই একজনকে দেখে আমার কলিজার পানি শুকিয়ে গেলো।।।।।।
হা তিনি আর কেউ নন আমার জহির রুদ্র খান।।।।।।।
আমিঃএই কালা হাতি এখানে কি করে এলো।।।।।(মনে মনে)
আমি এসব ভাবতে ভাবতেই বিশাল আর জন এসে আমার পাশে দাড়ল।।।।।।
বিশালঃ কি রে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?????
জনঃএটা রু রু রুদরো ভাইয়া না????
বিশালঃহে তাই তো।।।
রুদ্র কিছু না বলে আমার দিকে চোখ লাল করে বসে আছে।।।।।
আমি গিয়ে বসার জায়গা খুজতেই দেখলাম রুদ্রের পাশে ছাড়া আর কোথায় ও জায়গা নাই।।।।
ভাইয়ারা ইশারা করল তারাতারি বসতে।।।।আমি আর উপায় না পেয়ে রুদ্রের সাথেই বসলাম।।।
আমি বসতেই রুদ্র আমার হাত চেপে ধরল।।।।
রুদ্রঃএসব কি পরে আসেছো এখানে????(রেগে)
আমিঃ কি পরে এসেছি????
রুদ্রঃ সবাইকে তোমার সুন্দর ফিগার দেখাতে চাও নাকি????
আমি কিছু বলতে যাব তার আগেই বউমা এসে আমাদের খেতে ডাকল।।।।
আমি খেয়ে দেয়ে ওপরে চলে গেলাম।।।।

in Siddique vila

বাবাঃএসব কি বলছ তুমি আব্বা????
দাদাভাইঃ আমি যা বলছি ঠিকই বলছি।।।।
দাদিমাঃফারহান যখন একবার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে তখন সেটা আর কখনও পরিবর্তন হবে না তা তুই ভাল করেই জানিস।।।।
বাবাঃকিন্তু তুমি ভুলে যেও না মা মেহেক এ বাড়ির আশ্রিতা।।।।
ছোটমিমিঃছি ভাইয়া।।।। মেহেক এ বাড়ির মেয়ের মতো আর তুমি তাকে আশ্রিতা বলছ।।।।আমার মতে ফারহান একদম ঠিক কাজ করেছে।।।।।।
বাবাঃতোমাদের যা ইচ্ছা তোমরা তাই করো।।।
দাদাভাইঃ আমি চাই এ বাড়ির প্রথম ছেলের বিয়ে দুমদাম করে হোক।।।।
দাদিমাঃ আবার তাই ইচ্ছা।।।।।
মিম আপুঃযাক এতদিনে মেহেকের একটা গতি হল।।।।।।
বড়মিমিঃহুম্মম্ম।।।।।আমি জানি আমাদের শুদ্ধ মেহেককে খুব খুশি রাখবে।।।।।
মিম আপুঃমা জনি ভাইয়া কবে আসবে????ফারিয়ারা যাওয়ার পর যে জনি ভাইয়াও অনুতপ্ত হয়ে বিদেশ চলে গেল আর আমাদের সাথে দেখা করতে আসে নি।।।।
দাদাভাইঃতোদের জন্যই আমাদের নাতি নাতনিরা আমাদের কাছে নেই।।।
বড় মিমি আর কিছু না বলে কান্না করতে করতে চলে গেল।।।।।।।

চলবে………..