💔#Divorce💔
Writer: Tahmina Toma
Part: 26
হৃদয়ঃ বিজি কেন বলছে,,?? অন্তরার ফোন তো কখনো বিজি বলে না,,,?? কার সাথে কথা বলছে এতো রাতে,,,??
অন্তরাঃ ক,,,,,কে,,,??
আরিয়ানঃ এত তাড়াতাড়ি গলাটাও ভুলে গেছো অন্তরা,,,??
অন্তরাঃ (পুরনো স্মৃতিগুলো ভেসে ওঠলো চোখের সামনে ,,) ক,,কেন কল করেছেন আপনি,,,??
আরিয়ানঃ একটু কথা ছিলো তোমার সাথে,,,??
অন্তরাঃ আপনার সাথে আমার কোন কথা নেই,,। আর না আছে কথা বলার রুচি,,, বুঝতে পেরেছেন আপনি,,,?? (কল কেটে দিলাম,,,, চিৎকার করে কাঁদছি,,, আজ শুধু আপনার জন্য আমার জীবনটা এলোমেলো হয়ে গেছে,,,, সমাজের চোখে আমি ডিভোর্সি,,, বন্ধ্যা,,,। আমার সঙ্গে থেকে ভালো মেয়েও খারাপ হয়ে গেছে এমন অপবাদ মুখ বুজে সইতে হয়,,,, নিজের পরিবারের কাছে আজ আমি বোঝা,,,নিজের সম্মান বাঁচাতে ঘরবন্দী হয়ে থাকার ওয়াদা করেছি কারো কাছে,,, এই সবকিছুর জন্য শুধু আর শুধুমাত্র আপনি দায়ী,,,, কোনদিন মাফ করবো না আমি আপনাকে,,,, বারবার কল দিচ্ছে আর আমি কেটে দিচ্ছি,,,)
আরিয়ানঃ প্লিজ অন্তরা আর একটাবার ফোন রিসিভ করো,,,, মাফ চাওয়ার সুযোগটা অন্তত দাও,,,
হৃদয়ঃ অনেকবার চেষ্টা করার পর এবার রিং হচ্ছে,,,
অন্তরাঃ (বারবার কল দিয়েই যাচ্ছে,,, তাই রিসিভ করলাম,,,) এখন আবার কী চাই আপনার আমার কাছে,,,?? আর কিছু কেড়ে নেওয়ার বাকি আছে আপনার,,?? আমার কথা বুঝতে পারছেন না আপনি,,,?? আপনার কোন কথা শুনার ইচ্ছে নেই আমার,,,??(কাঁদতে কাঁদতে বললাম,,)
হৃদয়ঃ এসব কী বলছো অন্তরা,,,??
অন্তরাঃ(এটা তো আরিয়ান নয়,,?? ফোন সামনে নিয়ে দেখি হৃদয়ের নাম্বার,,) আ,,আপনি,,??
হৃদয়ঃ তুমি কাকে মনে করেছো,,??
অন্তরাঃ আ,,আরিয়ান,,, আরিয়ান,,,,
হৃদয়ঃ আরিয়ান,,(অবাক হয়ে)???
অন্তরাঃ না না,,, কিছু না,,, আপনি কেন ফোন দিয়েছেন,,??
হৃদয়ঃ তুমি কাঁদছো কেন,,??
অন্তরাঃ আ,,আমি কেন কাঁদবো,,, আমি কাঁদছি না তো,,,
হৃদয়ঃ কী হয়েছে অন্তরা,,,,, আমাকে বলো প্লিজ,,, আমার টেনশন হচ্ছে,,,??
অন্তরাঃ কেন টেনশন হবে আপনার আমার জন্য,,,??? কে হই আমি আপনার,,,?? কেউ না,,, বুঝতে পেরেছেন আপনি,,?? আমি আপনার কেউ হই না,,আর না আপনি আমার কেউ হন,,, কোন অধিকারে জানতে চান আপনি,,,, কিসের অধিকার খাটাচ্ছেন আমার ওপর,,,,,?? আপনার কোন অধিকার নেই আমার ওপর,,,, আর কখনো আমার সামনে আসবেন না আপনি,, (চিৎকার করে কথাগুলো বলে কেটে দিলাম,,, ফোন অফ করে রাখলাম,,, )
হৃদয়ঃ অন্তরা,,,,,, কেটে দিয়েছে,,, আমার কী রিয়াক্ট করা উচিত আমি বুঝতে পারছি না,,, এই আরিয়ান আবার কেন অন্তরাকে ফোন করেছিলো, ভেবেছিলাম আরিয়ান নিজের শাস্তির ব্যবস্থা নিজেই করেছে নিলাকে বিয়ে করে,,, কিন্তু এবার মনে হচ্ছে ওর শিক্ষা হয়নি,,, আমাকেই কিছু করতে হবে,,
★পরেরদিন★
রিয়াদঃ এত সকালে ওঠেছো কেন মা,,,??
মাঃ শুভ জন্মদিন সোনা,,, অনেক অনেক শুভকামনা,,,
রিয়াদঃ ওহ্ ,,,,, আমি আসছি,,,,
মাঃ অফিস তো ৯টায়,,, আজ একটু দেরিতে যা না,,,
রিয়াদঃ না মা,,, যেতে হবে,,, অফিসে যাওয়ার আগে একটা কাজ আছে ,,,
মাঃ কাজ ছাড়া আর কিছু বুঝো তুমি,,,?? পায়েসটা খেয়ে যাও,,,
রিয়াদঃ ভালো লাগছে না মা,,,
মাঃ আমি নিজের হাতে রান্না করেছি,,,
রিয়াদঃ ওকে খাচ্ছি,,,
(রিয়াদের মা রিয়াদকে নিজে হাতে খাইয়ে দিলো,,,)
হৃদয়ঃ শুভ জন্মদিন ভাইয়া,,
রিয়াদঃ ধন্যবাদ,,,(গম্ভীর গলায়,,)
হৃদয়ঃ মা আমি আসছি,,,
মাঃ তুই এতো সকালে কোথায় যাচ্ছিস,,,??
হৃদয়ঃ অন্তরার সাথে দেখা করতে,,,??
রিয়াদঃ অন্তরা,,,,,?? কোন অন্তরা,, তার সাথে তোর কী দরকার,,??
হৃদয়ঃ জ্যোতির ফ্রেন্ড অন্তরা,,,, তুই দেখেছিলি আমাদের সাথে,,,
রিয়াদঃ ওহ্ ,,,, কিন্তু তার সাথে তোর কী দরকার,,??
মাঃ সে অনেক কাহিনি,,, তুই তো বাড়ির খোঁজ খবর রাখিস না,,, তাই কিছু জানিস না,,,??
রিয়াদঃ ওহ্ ,,,, ঠিক আছে আমি আসছি,,,,।
মাঃ সাবধানে যাস,,,, আর তাড়াতাড়ি আছিস একটু,,, আজ একসাথে খাবো,,,
রিয়াদঃ চেষ্টা করবো,,,,
(রিয়াদ বের হয়ে গেলো আর রিয়াদের মা একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো কারন সে জানে রিয়াদ প্রতিদিনের থেকে দেরি করে ফিরবে আজ,,,)
হৃদয়ঃ কষ্ট পেয়ো না মা,,,, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে,,,
মাঃ আজকে বৌমার কথা বেশি মনে পরছে,,, বৌমা বেঁচে থাকলে আজ বাড়িতে কতো কিছু হতো,,, আমার ছেলেটা প্রাণ খোলে হাসতো,,,
(হৃদয় তার মাকে পেছন থেকে গলা জড়িয়ে ধরলো,,, দুজনের চোখেই পানি,,,)
হৃদয়ঃ সব ঠিক হয়ে যাবে,,,
মাঃ সেই দিনের অপেক্ষায় আছি,,,
হৃদয়ঃ আমি আসছি এখন,,,,,
মাঃ অন্তরা কী তোর সাথে দেখা করবে,,,??
হৃদয়ঃ তুমি কী সত্যি ওকে মেনে নিবে না মা,,,??
মাঃ আমাকে কী মনে হয় তোমার কাছে,,,,?? কোনো মাই পারবে না তার ছেলের জন্য এমন বউকে মানতে,,, তবে আমার আপত্তি নেই,,, কারণ আমিও অন্তরার মতোই এসব সয্য করেছি,,, ও হয়তো বেশি করেছে আর আমি কম,,, কিন্তু অন্তরার কষ্ট আমি বুঝি,,, তুমি যদি সত্যি ওকে ভালোবাসো তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই,, তবে যদি আমার সাথে যা হয়েছে অন্তরার সাথে তা হওয়ার সম্ভাবনা দেখি,,,,,
হৃদয়ঃ আমি তোমার ছেলে,,, এই লোকটার নয়,,,,
মাঃ মনে রেখো,,, এমন কিছু হলে আমি তোমার বিরুদ্ধে যেতে একবার ভাববো না,,,, অন্যায়কারী আমার নিজের ছেলে হলেও আমার কাছে তার ক্ষমা নেই,,,
হৃদয়ঃ মনে থাকবে,,, আসছি,,,
,,,,
রিয়াদঃ আজ সেই দিন,,, যেদিন সিয়া আমাকে প্রথম বলেছিলো ভালোবাসি রিয়াদ,,, অনেক ভালোবাসি,,, বিয়ের সাতদিন পর আমার জন্মদিন ছিলো,,, সেদিনই আমার রাগ ভাঙানোর জন্য সারপ্রাইজ দিয়েছিলো,,,, তারপর বিয়ের পাঁচটা বছর এই দিনটা খুব আনন্দে কেটেছে আমার আর সিয়ার,,, আজ তিন বছর হলো এই দিনে সিয়া আমার থেকে অনেক দূরে,,,, আমাদের পারিবারিক কবরস্থানেই শুয়ে আছে আমার সিয়া,,,, সেখানে গিয়ে কবর জিয়ারত করলাম,,, কেমন আছো সিয়া,,,?? তুমি ঠিকই বলেছিলে,,, তুমি খুব বেশি স্বার্থপর,,, আমাকে ছাড়া কত শান্তিতে ঘুমিয়ে আছো দেখো,,, কিন্তু আমি ঘুমাতে পারি না,,,, বুকটা ফাকা পড়ে আছে,,,, তোমার শূন্যতায় বুকটা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে,,,, একদম ছাই,,, তবু তোমার একটু কষ্ট হয়না আমার জন্য,,, এখানে এলে কষ্ট আরো বেশী হয়,,, তাইতো আসি না,,, জানো সিয়া তোমার ছেলে মা বলতে শিখেছে,,, কিন্তু মা ডাক শুনার জন্য তুমি নেই,,, বিয়ের চার বছরেও যখন বাচ্চা হচ্ছিল না তখন তুমি কোন বাচ্চা দেখলেই বলতে,,, আমাকে কী কেউ কখনো মা ডাকবে না রিয়াদ,,,?? আজ দেখো মা ডাকার মানুষ এসেছে কিন্তু তুমি আমাদের ফাঁকি দিয়েছো,,,তোমার ছেলে কিন্তু আমাকে বাবা ডাকে না,,, আমাকে চেনেই না,,, তার বাবা বলতে সে হৃদয়কে চেনে,,, আমার কিন্তু তাতে কষ্ট হয় না,,, বরং ও আমাকে বাবা ডাকলে কষ্ট হতো,,,, তোমার শূন্যতা আরো বেশী পুড়াতো,,, আমিও তোমার মতো স্বার্থপর হয়ে গেছি,,, তোমার আর নিজের ছাড়া কারো কথা ভাবি না,,, অনেক বেশি স্বার্থপর হয়ে গেছি,,,, আচ্ছা আসছি,,, ভালো থেকো,,,, খুব তাড়াতাড়ি তোমার কাছে চলে আসবো,,, অপেক্ষা করো একটু,,,,
অফিসে চলে এলাম,,,,,, কেবিনে এসে মাথা গরম হয়ে গেলো,,,, এই গোলাপ ফুল এখানে কে রাখলো,,?? ফুল ফেলে দেওয়ার জন্য হাতে নিতে গিয়ে দেখলাম একটা চিরকুট সাথে,,,একটা জায়গার ঠিকানা দেওয়া
শুভ জন্মদিন,,,, দয়া করে জায়গাটাতে চলে আসুন,,,, কিছু কথা বলার ছিলো,,,,ভালোবাসি,,,, সামনেই বলতে চেয়েছিলাম,,, কিন্তু বলে উঠতে পারবো কিনা জানি না,,,, তাই এখানেই বললাম,,, বাকিটা নাহয় সামনাসামনি বলবো,,,
রিয়াদঃ(কার এতোবড় সাহস সেটা দেখার জন্য হলেও এখানে যেতে হবে,,,, ফুল আর কাগজটা ডাস্টবিনে ছুড়ে মারলাম,,,) জ্যোতি,,,,, জ্যোতি,,,,
তিশাঃ কী হয়েছে স্যার,,,??
রিয়াদঃ তুমি জ্যোতি,,,??
তিশাঃ ন,,,না স্যার,,,
(রিয়াদকে দেখে ভয়ে কাপছে তিশা,,, রাগে পুরো চোখমুখ ভয়ংকর লাল হয়ে গেছে)
রিয়াদঃ জ্যোতি কোথায়,,(ধমক দিয়ে,,)
তিশাঃ জ,,,জানি না স্যার,,, বললো একটু কাজ আছে,,, এখনই চলে আসবে,,, আপনি খুঁজলে এটা বলতে,,,(ভয়ে কাঁদো কাঁদো গলায় বললো,,)
রিয়াদঃ What rubbish,,, get out of here,,,
(তিশা তাড়াতাড়ি বের হয়ে গেলো কেবিন থেকে,,, রিয়াদ আবার অফিস থেকে বের হয়ে গাড়ি নিয়ে জায়গাটাতে যেতে লাগলো,,,)
,,,,
হৃদয়ঃ আজকে এই জ্যোতির ফোন কেন অফ,,,?? অন্তরার সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না,,, এও ফোন অফ করে রেখেছে,,,, কী করবো এখন আমি,,??
অন্তরাঃ বের হবো না বাড়ি থেকে,,,,কারো সামনাসামনি হতে চাই না আমি,,, ছাদে গেলাম একটু,,,, রুমে দম বন্ধ লাগছিলো,,, ছাদের পেছনের দিকে গিয়ে আমার চোখ চড়কগাছ,,, হৃদয় দাঁড়িয়ে আছে রাস্তায়,,,, হয়তো আমার বেলকনির দিকে তাকিয়ে আছে,,,,
হৃদয়ঃ (অন্তরার বেলকনির দিকে তাকিয়ে আছি,,, যদি একবার বের হয়,,, হটাৎ ছাঁদে তাকাতেই অন্তরাকে দেখতে পেলাম,,, তাই জোরে ডাক দিলাম,,) অন্তরা,,,,,,,,
অন্তরাঃ(সরে আসার আগেই দেখে ফেলেছে,,, এখন কী হবে,,,??)
হৃদয়ঃ তুমি এখানে আসবে নাকি আমি তোমার বাসায় আসবো,,,??
অন্তরাঃ মাথা খারাপ হয়ে গেছে আপনার,,,, বাজে বকছেন,,, আপনি যান এখান থেকে,,,??
হৃদয়ঃ এখন আর কিছু বলবো না,,, যা করার করে দেখাবো,,, তুমি আসবে না তাই তো,,, ঠিক আছে আমি আসছি,,,,
অন্তরাঃ না না,,, দাঁড়ান,,, আমি আসছি,,,
,,,,,
আরিয়ানঃ আরাভ তোমার সাথে একটু কথা ছিলো,,,??
আরাভঃ আপনার সাথে আমার কোন কথা নেই,,, যা কথা ছিলো তা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে,,,
আরিয়ানঃ প্লিজ আরাভ,,,,, একবার শুনো আমার কথা,,,,
আরাভঃ এটা অফিস,,, আমি চাইছি না আমার আপনাকে অপমান করতে হয় এমন কোন আচরণ আপনি করুন,,,,
আরিয়ানঃ প্লিজ আরাভ,,,, আমি একবার শুধু অন্তরার সাথে কথা বলতে চাই,,, আমি ওকে ফোন দিয়েছিলাম,,, কিন্তু ও কথা বলেনি,,,,
আরাভঃ তোর সাহস হয় কীভাবে আবার আমার বোনের সাথে যোগাযোগ করার,,,,?? শুধু বোনের দিকে তাকিয়ে তোকে জেলের ভাত খাওয়াইনি,, অনেক কষ্টে আমার কলিজা টাকে সামলে নিয়েছি,,, ভুলেও যদি তুই আবার ওর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করিস এবার আর তোকে ছেড়ে দিবো না আমি,,,, আবার যদি তোর জন্য আমার বোনের চোখ থেকে এক ফোঁটা পানি বের হয় আমি খুন করে ফেলবো তোকে,,,(কলার ধরে কথাগুলো বলে ধাক্কা দিয়ে ছেড়ে দিলাম,,) get lost,,,,
(আরিয়ান চোখের পানি মুছে চলে গেলো আরাভের সামনে থেকে,,, মাথায় হাত দিয়ে চেয়ারে বসে পড়লো আরাভ)
,,,,,,
রিয়াদঃ(জায়গাটা সুন্দর,,, একটা নদীর পাড়,,, চারদিকে সবুজ,,,, আর নদীর পাড়ে সাদা কাশবন,,, একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে নদীর পাড়ে,,, নীল শাড়ীর আঁচল আর খোলা চুল বাতাসে উড়ছে,,,,। পেছনে থেকেই মনে হচ্ছে হয়তো কোন রুপকথার রাজকন্যা,,,, হয়তো যেকোনো ছেলে মুখ দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে যেতো,, কিন্তু এই মুহূর্তে আমার প্রচন্ড রাগ হচ্ছে,,, পেছনে গিয়ে দাড়ালাম,,,) How dare you,,,?? আপনার সাহস হলো কী করে,,,, আমার কেবিনে গিয়ে ফুল, চিরকুট রাখার আর ফালতু কথা লেখার,,,,।
জ্যোতিঃ ভালোবাসি,,,,, এটা তো কোনো ফালতু কথা নয়,,?? (রিয়াদের দিকে ঘুরে,,)
রিয়াদঃ জ্যোতি,,,, (চরম পর্যায়ের অবাক হয়ে) তুমি,,,,,????
চলবে,,