Devil & Secret Lover😍
লেখিকা – Shultana Akther
Part – 27+28
……
রুহান রিয়াকে দেখছে আর গাড়ি চালাচ্ছে।।
রিয়া এখনও কান্না করছে,,রুহান বলছে আবার আসবে তো,,এইভাবে কান্না করো না
রুহানরা বাসার সামনে চলে এলো,
দেখে রিয়া ঘুমিয়ে গেছে,রুহান বলল হাইরে মায়াপরী
,রিয়ারকে রুহান কোলে করে বাসায় ডুকলো,,,
রুহানের বাবা বলল রুহান বউমার কি হয়েছে
আসলে পাপা রিয়া ভিষন কান্না করছিল,,পরো কান্না করতে করতে পরে ঘুমিয়ে গেছে
রিয়াকে উপরে নিয়ে যাও
রুহানের মা বলল, রুহান পরে একটু আমার রুমে এসো কথা আছে,,
রুহান বলল ওকে মম
রুহান রিয়াকে সুন্দর করে শুয়ে দিলো,,
পরে তার মায়ের রুমে গেল
রুহান বলল মা আসবো
হুম আসো
রুহান কিছু কথা ছিলো,,
হুম মম বলো কি এতো ভাবার কি হলো
রুহানের মম বললো রিয়ার ব্যাপারে একটু চিন্তাত আমি,,আগে কি করেছে বা কই কেমন ছিল বা কেমন চলাফেরা করতো তুমি ভাল করে খোজ নিয়েছো তো??
রুহান বলল মম হঠাৎ এসব কথা কেন বলছো,,রিয়ার ব্যাপার আমি সিউর আর আমি সব তোমাকে বলেছি তো।
হুম তা ঠিক তাও তো ভুল হতে পারে
না মম এতো ভেবো না,,আমি আছি তো
রুহানের মা বলল ওকে বাবা,,
রুহান বলল মা রিয়াকে একটু দেখো,,আমি অফিস যাব কাজ আছে,, আসার সময় কান্না করছিল খুব,,
রুহানের মা বলল হুম রিয়া তো আমার মেয়ের মত থাকবে আমিও ওর আরেক মা
রুহান বলল এইতো আমার মিষ্টি মম,,ওকে আমি আসি তাহলে
হুম যা
রুহানের সাথে নিলাও বলল আমি বাসায় যাব আমাকে নামিয়ে দিবে রুহান
চলে যাবে কেন আজ আমরা এসেছি থাক,,
নিলা বলল থাকব আচ্ছা,, তবে এখন তোমার সাথে যাব,,বাসায় বোর লাগছে
ওকে চলো।।
রুহান গাড়ি চালাচ্ছে,, আর নিলা বকবক করছে,,নিলা হঠাৎ চিৎকার দিয়ে বলল রুহান গাড়ি থামাও
রুহান জোরেই ব্রেক করল,,বলল কি হলো নিলা,হেয়াট হেপেনড
রুহান ফুসকা খাব প্লিজ
রুহান বলল তাই বলে এইভাবে চিৎকার করবে,,চলো যাচ্ছি
নিলা বলল রুহান তুমি খাবে,,
রুহান বলল না তুমি খাও,,নিলা বলল মামা ঝাল দিয়ে এক প্লেট ফুসকা দিন,
নিলা ফুসকা খেতে লাগল,,রুহান কেও জোড় করে কয়েকটা খাইয়ে দিচ্ছে,, রুহান না করলেও শুনছে না,
,নিলা নানা ভাবে রুহানের সাথে জরিয়ে থাকছে আর দুর থেকে নিরবের লোক ওদের ছবি তুলছে,,রিয়াকে দেখিয়ে ওদের দুরে করবে তাই।নিলা খাওয়া শেষে ঝাল ঝাল করছে ডং করে,,রুহান বলল না করেছিলাম এতো ঝাল খেয়ো না তাও শুনলে না,,
রুহান নিলা কে পানি দিচ্ছে তাও নিলার ঝাল কমছে না,,রুহান বুঝছে না কি করবে,,
আচমকা নিলা রুহানের কলার ধরে কাছে এনে ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিল,,ঠোঁট শুষে ঝাল কামাচ্ছে নিলা।।
রুহান হতবাক এটা কী হলো,,নিলা কি করছে এসব,,রুহান ধাক্কা মারল নিলা ছাড়,
নিলা মাথা নিচু করে বলল আই এম সরি রুহান,, আসলে এতো ঝাল লেগেছিল তাই,,
রুহান বলল তাই বলে আমার ঠোঁটে কিস করবে😠
নিলা বলল আসলে শুনেছিলাম কিস করলে ঝাল কমে তাই তোমাকে আসলে😴😴সরি রাগ করো না
রুহান রাগ চেপে বলল ওকে চলো।।।
নিলা বাঁকা হাসল তার কাজ শেষ,,ছবি তুলা তো হয়েছে। এবার রিয়াকে এইগুলো দেখাবো হা হা হা মনেমনে ভাবছে।
রুহানের ভিষন রাগ হচ্ছে নিলার এমন কাজে তবে কিছু বললো না,অফিসেও চুপচাপ নিলার সাথে রুহান কথা বলছে না
রিয়ার গুম ভাঙলো,,উঠে নিজেকে একা বিছানায় দেখলো,, দুটো চোখ রুহানকে খুজছে,,,রিয়া নেমে নিচে গেল,,,
রুহানের মা কে বলল, মা ওনি কি অফিস গেছে,,
হুম রে মা রুহান অফিস গেছে,,তুই ঘুমে ছিলি তাই না বলেই গেছে,,আয় কাছে এসে বস,,
রুহানের মার এখনো খঠকা লাগছে তাই তিনি হেসে রিয়াকে তার বাড়ি স্কুল কলেজ নিয়ে কথা জিজ্ঞেস করছেন,,,
রিয়াও বাধ্য মেয়ের মত সব বলছে,,,
এই সব নিয়েই শাশুড়ী বউমা কথা বলছে,,
রুহানের রাগ কমছে না,,নিলা কথা বলতে চাইলেও এরিয়ে যাচ্ছে,,এই ঠোঁট শুধু মায়াপরীর আর কারো না,,
,, হঠাৎ নিলা কান্না শুরু করলো,,বললো রুহান আমি বুঝিনি,,না বুঝে এমন করে ফেলেছি ক্ষমা করে দাও,,,আমি তো তোমার বন্ধুই একবারই তো ভুল করেছি মাফকরে দাও,,
রুহানেরও খারাপ লাগলো,,তাই সে বলল ওকে ওকে নিলা কান্না থামাও,,হয়েছে মাফ করেছি,,তবে পরেরবার এমন ভুল করবে না,,
নিলা মাথা নাড়ায়,,
নিলা মনেমনে বলছে তোমার সব আমারই আর এই ঠোঁটে শুধু আমার অধিকার,,রিয়া না এই ঠোঁটের সাদ আমি আমার,,,
নিরবের ছবি ইডিট করা শেষ,,নিরব নিলাকে ফোন দিয়ে সব বললো,,রিয়ার বন্ধু জাহিদকেও ওরা নিজেদের কাছে এনে রেখেছে টাকার লোভ দেখিয়ে,,
আর সেই ফোন থেকেই রুহানের ফোনে কিছু ইডিট করা,,আর কিছু ইডিট ছাড়া ঘনিষ্ঠ পিক রুহানকে পাঠিয়েছে,,
রুহান রিয়াকে ফোন দিয়ে ফোন রাখতেই,,দেখে এমএমএস,,চেক করে যা দেখল রুহান রেগে শেষ,,
রুহান বলল না এমন কি করে হয়,,রিয়াকে তো আমি গার্ড দিয়ে সব সময় আগলে রেখেছি,,নাকি ওরাই কাজ ফাকি দিয়েছে,,রিয়ার সব ঠিক খবর আমাকে দেয়নি,,,আর এই ছেলেটাই কে,,ওর সাথে আবার রিয়ার কবে রিলেশন ছিল,,
রুহানের মাথায় হাত😠
রুহান তার এক পরিচিত ছেলেকে রিয়ার কিছু স্ববাভিক পিক পাঠালো,,বেশি ঘনিষ্ঠ গুলো দেয়নি মানসম্মানের ব্যাপার,,দিয়ে বলল দেখো তো পিক গুলো ইডিট করা নাকি,,
জি স্যার দেখছি,, আমি কিছু সময় পর আপনাকে জানাচ্ছি,,,
রুহান বলল ওকে ফাস্ট কাজ কর,,,
কিছু সময় পর,, ছেলেটা ফোন দিয়ে জানালো পিক গুলো আসল,,
রুহান বলল ওকে,,রুহানের কপালে রাগের চিনহ,, কিছু ভাবতে পারছে না,,এসব কেমনে কি,,তবে কি গার্ডরা অবহেলা করেছে,,ওদের কই বা পাব,,তাড়িয়ে দিয়েছি অনেকদিন হলো,,না আর পারছি না,,,,
রিয়াও তো বললো না,,বন্ধু হিসেবে যখন ফ্রী ছিলাম,,বলেছে তার জীবনে কেউ নেই,,তবে রিয়া আমাকে ঠকাচ্ছে,,,, আর আজ সকালের এসএমএস,, তবে কি সত্যি সব
রুহান রাগে সব মেলে ফেলে দিলো,,নিলা দৌড়ে আসলো বলল কি হয়েছে রুহান,,বল আমাকে,,
রুহান রাগে চিৎকার করে বলল নিলা যাও ভাল লাগছে না,,
নিলা বাঁকা হেসে মনেমনে বলল যাক কাজ হয়েছে😀
রুহান গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেল,,,দুপুরেও বাসায় ফিরল না,,
রিয়া ফোন দিলেও ফোন ধরল না,,
রিয়া ভাবছে হয়ত কাজে,,তবে এতগুলো ফোন একটাও কেন ধরলো না,,দুপুরে খেয়েছে কিনা কে জানে,,রিয়া চিন্তায় আছে খুব
নিলা বাসায় গিয়ে খুশিতে আত্তহারা,,তার প্লেন কাজ করেছে,,
এইভাবেই সময় চলে গেল,,
রুহান নিরিবিলি বসে আছে নদীর পারে,,সন্ধা হয়ে এলো,,রুহান বসে সিগারেট খাচ্ছে,,রুহানের ভিষন কষ্ট হচ্ছে,, রুহান উঠল উঠে বাসায় যাওয়ার জন্য রওনা দিল,,আনমনে বসে গাড়ি চালাচ্ছে,,,
রিয়া ভাবছে ওনি তো কখনও এমন করেন না তো আজ কেন একবার ও ফোন দেননি,,আর রিসিব ও করছে না,,
রুহান ৮ টায় বাসায় এলো,,
রুহামের মা বাবা জিজ্ঞেস করছে রুহান একসময় কই ছিলে,,
রুহান বলল মম কাজ ছিল,,বলে উপরে চলে গেল,,
রিয়াও উপরে গেল রুহানের পিছে পিছে,
রিয়া রুমে গিয়ে বলল কই ছিলেন এতক্ষন? ফোন কেন ধরেননি,,বলেন উওর দিন,,
রুহান কোনো কথা বলছে না,,
রিয়া এবার জোরে বলল কানা চোখে দেখন না,, নাকি কানে শুনেন না,,কথার উত্তর দিন,,
রুহান বলল চেচাচ্ছো কেন,,চুপ থাক ভাল লাগছে না,,রেগে ধমক দিয়ে বলল,, বলে ওয়াশরুমে চলে গেলো,,
রিয়ার এমন ধমকে কান্না চলে এলো,,ওনি আমাকে শুধু শুধু বকলেন,😢😢😢
চলবে,,,
#Devil & Secret Lover😍
লেখিকা -Shultana akthr
Part -28
…..
রিয়ার ভিষন কান্না পেল,,এক তো সারাদিন খোজ নিলো না,,তার উপর আবার বকা দিলো,,হুম আমি দেখে নিবো😠😠
রুহান ঝরনা ছেড়ে পানির নিচে বসে আছে,,তার মাথায় কিছু ডুকছে না,,,তবে কী সত্যি রিয়ার মনে অন্য কেউ ছিল?? বা আছে,,,থাকলেও রিয়া জানালো না কেন,,,আর এই ছেলেই বা কে,,রুহানের ভিষন কষ্ট হচ্ছে,, তার মায়াপরীর ছবি অন্য কারো সাথে দেখে,,,
রুহান প্রায় ১ ঘন্টা ওর বের হলো শাওয়ার নিয়ে,,টাওয়াল পেছিয়ে বের হয়ে এলো,,,
রুহানকে এইভাবে দেখেই রিয়া দিলো এক চিৎকার,,আপনার শরম নেই
রুহান কিছু বললো না,,ড্রেস নিয়ে চলে গেল
রিয়া অবাক আমার সাথে কথা বললো না একটাও,,আমি কি করলাম আবার
রুহান বের হতেই রিয়া বলল কি হয়েছে,, কথা বলছেন না কেন,,আমার দোষ কি বলেন??আরে কথা বলেন,,খাবেন না??
রুহান তাও কথা বলছে না,,
রিয়ার ভিষন রাগ হলো,,রাগে সে রুহানের শার্ট টেনে ধরে গলায় কামর মারলো
রুহান ব্যথা পেয়ে বলল সব সময় ফাইজলামি,, দিব এক থাপ্পড় গালে,খাব কি খাব না আমার ব্যাপার,,,,রুহান হাত উচু করলো তবে দেয়নি,,
রিয়া ভয়ে আর কষ্ট পেয়ে কান্না করে দিলো,,তাও কিছু বললো না,,চুপচাপ খাঠে এক কোনে বসে রইল,কান্না করছে বসে,,
রুহানের খারাপ লাগলেও কিছু বললো না,,
একটু পর রুহানের মা বললো রুহান আসবো বাবা,,আরে মম আসো,,বলো কিছু বলবে
রুহানের মা বলল,, তুই যে কাজেই তাকিস খুজ নিবি তো একটা,,আমরা খেয়ে নিলেও রিয়া খায়নি,চিন্তায় করছিল মেয়েটা, তর জন্য বসে আছে,,
ত
রুহান খেয়েছিস তুই,,
না মম খাব,,
রুহান মনেমনে ভাবছে মায়াপরী তার জন্য না খেয়ে বসে আছে,,আর আমি বকলাম দুর।
রুহানের মা বলল খাবার নিয়ে এসেছি তুই আর বউমা ঘরেই খেয়ে নে,,খেয়ে শুয়ে পর,,কেমন আমি যাই,,ওনি চলে গেলেন,,
রুহান রিয়াকে বলল সার্ভ করো খাবার,,খিদে পেয়েছে,,আর খাওনি কেন,,কে বলেছে বসে থাকতে?
রিয়া খাবার সার্ভ করে দিল বলল খেয়েনিন,,আমার খিদে নেই,,বলে খাঠে শুয়ে পড়লো
রুহানের রাগ হলো , রেগে বলল উঠে খেতে আসো,,নয় খুব খারাপ হবে
রিয়া বললো খাবো না,,
রুহান উঠে রিয়াকে আনতে গেলো,,রিয়া উঠবেই না,,
রুহান জোড় করে রিয়াকে উঠালো,উঠিয়ে মুখ চেপে ধরে খাইয়ে দিলো,,রিয়া ছুটতে চাইলেও পারলো না,,,
পরে রুহান নিজেও খেয়ে নিলো,,
রিয়া চুপচাপ, রুহান রিয়াকে বলল সরি,,আসলে মাথা ঠিক ছিল না,,
রিয়া বলছে মাথা টিক থাকবে কি করে,, সারাদিন ঐ নিলা ডায়নির সাথে ঘুরবেন, এটা করবেন ওটা করবেন,,এখানে সেখানে যাবেন, আর ঐ ডায়নির সাথে ঝগড়া হলে,,আমাকে বকবেন,,রিয়া রাগে যা ইচ্ছে বলছে,,
রুহানের রিয়ার এমন কথা সহ্য হলো না,,ঠাস করে রিয়াকে চড় মারলো,,বললো আমি কাজে গিয়েছিলাম ডেইটে না,, সবাইকে নিজের মত ভাবো,,ছোট আর ভালবাসি বলে কিছু বলিনা তাই বলে যা ইচ্ছে বলবে এমন না,,,সবাই তোমার মতো না,,,নিজের মতো ভাববে না সবাইকে,,বলে বেলকনিতে চলে গেল,,,
রিয়া গালে হাত দিয়ে বসে আছে,,ওনি আমাকে মারলেন,,আমি তো রাগে একটু বললাম তাই বলে মারবেন আমাকে,,রিয়া কান্না করছে,,
রুহান বেলকনিতে গিয়ে একটার ওর একটা সিগেরেট খাচ্ছে,, সে তার মায়াপরীকে মারলো,,রুহান দেয়ালে কতোগুলো গুষি মারলো,,রিয়াকে যতটা কষ্ট দিয়েছে,, তার চেয়ে বেশি নিজেকে দিচ্ছে,,, রুহানেরও ভিষণ কষ্ট হচ্ছে,,
রিয়া কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে গেল,,
রুহান অনেকক্ষন পরে এসে দেখে রিয়া ঘুমে,,,রুহান ও শুয়ে পড়লো,,রিয়াকে নিজের কাছে টেনে,,গালে কপালে চুমু একে দিলো,,সেও ঘুমিয়ে গেলো,,,
সকালবেলা,,রিয়ার ঘুম ভাঙলো,,সে নিজেকে রুহানের বাহুডোরে দেখতে পেলো,,রুহানকে দেখে রিয়ার কালকের কথা মনে হলো,,
সে আসতে আসতে রুহানের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে হাতমুখ ধুয়ে নিচে চলে আসলো,
কিছু সময় পর রুহানেরও ঘুম ভাঙলো,, সে রিয়াকে দেখতো পেলো না,,ভাবলো উঠে হয়তো নিচে চলে গেছে,,কালকে চড় মারাটা ঠিক হয়নি সরি বলতে হবে,,,রুহান রুমে অনেকক্ষন শুয়ে রইলো রিয়া এলো না,,রিয়াকে ডাকলেও উপরে আসলো না
রুহান উঠে সাওয়ার নিতে গেলো,,এই ফাঁকে রিয়া এসে কফি রেখে চলে গেলো,
রুহান বের হয়ে কফি দেখল,, রিয়া এসেছিল তবে ডাকলো না একবার ও এত রাগ,,
রুহান রেডি হয়ে নিচে নামলো,,রিয়া খাবার সার্ভ করছে,,রুহানের দিকে তাকালো না,,
রুহানের মা বলল,,রিয়া তুমিও বসো খেতে যার যার লাগে নিয়ে নিবে
রিয়া বলল না মা পরে খাব,,
রুহান ; চুপচাপ খেতে বসো,কম কতা বলো
রিয়া খেতে বসলো,,,,
খাওয়া শেষে রুহান বললো রিয়া রুমে আসো তো,,
রুহান উপরে গেল,,
রিয়া তার শাশুড়ীর সামনে কিছু বলবে না,,তাই উপরে গেল
উপরে যেতেই রুহান রিয়াকে টেনে কোলে বসিয়ে দিল,,,রিয়া না করলেও শুনলো না,,
রুহান বললো,,জানো না অফিসে যাওয়ার আগে তোমাকে আদর করা লাগে৷ এতো রাগ কিসের
রিয়া বললো আমি তো ভালো না,,তো আমাকে কেন দরকার,,,
রুহান বলছে একদম রাগ তুলবে না,,চুপ থাকো
রিয়া কিছু বললো না,,
রুহান রিয়াকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে ঠোঁটে কপালে কিস করলো,,
রিয়া কিছু বললো না,,রিয়ার এমন চুপচাপ রুহানের বড্ড খারাপ লাগছে
রুহান রিয়াকে জিজ্ঞেস করলো,,আচ্ছা রিয়া তোমার ভাল বন্ধু বা পরিবার ছাড়া অন্য কেউ আছে,,,যাকে তুমি ভালোবাসো
রিয়া বললো কি বলতে চাইছেন সরা সরি বলেন,,
রুহান বললো না এমনি জানতে চাইছিলাম, বাহিরের কেউ আপন আছে নাকি,,
রিয়া বলল না,,নেই বন্ধু যারা ছিলো তাদের সাথে যোগাযোগ নেই,,
রুহান বললো ওকে আমি আসি দেরি হয়ে যাচ্ছে
রুহান চলে গেলো,,,
নিলা জাহিদকে বুঝিয়ে দিলো কি কি বলতে হবে রিয়াকে,,ফোন দিয়ে
রিয়া নিজের ফোন নিয়ে বাবা মার সাথে কথা বললো,,,এর পরই দেখলো আননোন নাম্বার,, ২ বার কলের পর রিসিব করলো,
রিয়া ; হ্যালো কে?
আমি রিয়া জাহিদ ভুলে গেছো
রিয়া বললো তুমি এতোদিন পর,,কই ছিলে এতোদিন,,
জাহিদ বললো না ভুলিনি,,তুমি ভুল বুঝে দুরে সরিয়ে দিয়েছিলে,,
রিয়া বলল যাই হোক কেমন আছো
হুম ভালো,,,তুমি কেমন জাহিদ
হুম ভালো,,অনেকদিন তোমাকে দেখি না,,
রিয়া বললো আমার বিয়ে হয়ে গেছে আমি তো শশুড় বাড়ি,,দেখবে কি করে,,
জাহিদ ; আসো একবার কাফেতে,,দেখা করি তোমার হাসবেন্ড কে বলে আসো,,প্লিজ না করো না,,বিয়ের দাওয়াত তো দিলে না,,এখন না হয় খাওয়াও।
রিয়া ; ওকে দেখছি চেষ্টা করবো কোথায় আসতে হবে বলে দিও এসএমএস করে,,,আচ্ছা রাখি
জাহিদ বললো হুম ওকে,,,
নিলা বাঁকা হাসলো প্লেন সাকসেসফুল হা হা হা,,,এসো রিয়া এর পর কি হবে ভাবতে পারবে না,,
রিয়া ভাবছে কি করে বলবে,,ওনি তো অফিসে,,আচ্ছা মার কাছে বলে দেখি,,যাওয়া যায় কিনা।।
চলবে,,,,
কেমন হলো জানাবেন,, ভুল ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন,,