সাইকো_নীড় পর্ব-১৪

0
2868

#সাইকো_নীড়
part : 14
writer : Mohona

.

২জন দেশে ফিরলো। মেয়েকে দেখে কবির-কনিকার কি খুশি।
মেরিন : আম্মু বাবার খুশী তো ঠিক আছে। কিন্তু… তুমি কেন এতো খুশী!!!
কনিকা : বাদর মেয়ে।
কবির-মেরিন : হাহাহা….

নিহাল : তোমাকে কতো মিস করেছি জানো বাবা…?
নীড় : আমিও তোমাকে মিস করেছি ড্যাডডার্লিং…
নিহাল : কলিজাটা আমর… আজকে আমি নিজের হাতে সব তোমার প্রিয় খাবার রান্না করেছি….
নীড় : oh great …. ক্ষুধা যে ১০গুন বেরে গেলো । এখনই fresh হয়ে আসছি….

.

রাতে…
মেরিন খাওয়া দাওয়া করে রুমে গেলো। গিয়ে দেখে যে নীড় পায়ের ওপর পা তুলে শুয়ে আছে । মেরিনের বেশ বিরক্ত লাগলো। কারন ভীষন tired ও। একটু শান্তি মতো ঘুমাবে তারও উপায় নেই…

নীড় : এমন লাগছে কেন তোমাকে দেখতে? মনে হচ্ছে রেগে আছো? ক্লান্ত শরীরে রাগ করা হানিকারক my snow white …
মেরিন : …
নীড় : any way… অনেকদিনপর ড্যাডডার্লিং কে পেলাম। তাই আজকে ড্যাডডার্লিং এর সাথে থাকবো। জানো…. আমি ছারা না আমার ড্যাডডার্লিং এর কেউ নেই … যাই হোক bye…
মেরিন : bye…

নীড় চলে গেলো।
মেরিন : বাচা গেলো।

.

পরদিন…
মেরিন : বাবা… আজকে থেকে কি হসপিটালে বসবো?
কবির : না মামনি… ছুটিতে এসেছো ২০ দিনের জন্য । ঘুরো ফিরো আনন্দ করো। কাজ করার কি দরকার ? enjoy করো।
মেরিন : হামমম বাবা। বাবা…
কবির : বলো।
মেরিন : কিছু বলার ছিলো।
কবির : বলো…
মেরিন : …
কবির : বলো মামনি…
মেরিন : বাবা লন্ডনে আমি নীড়ের ফ্ল্যাটেই ছিলাম…
কবির : what?
মেরিন : হামম। sorry বাবা… আমি নননীড়ের ভভয়ে কিছু বলতে পারিনি…
কবির কিছু না বলে বেরিয়ে গেলো।
কনিকা : এই তোর লজ্জা করলো না ওই ছেলের সাথে এক ফ্ল্যাটে থাকতে…? আবার বাবাকে বলতে?
মেরিন : লজ্জার কি আছে এখানে? আমি কি ইচ্ছা করে থেকেছি নাকি? নীড় কে চিনোনা …?
কনিকা : এখন তোকে কে বিয়ে করবে?
মেরিন : এখানে বিয়ে কোথায় থেকে এলো?
কনিকা : আসবে না… কেউ যদি জানে যে তুই ১টা ছেলের সাথে ১ফ্ল্যাটে ছিলি তাও নীড়ের মতো ১টা ছেলের সাথে… তাও বিয়ে ছারা । কতো বড় বদনাম হবে জানিস? কেউ তোকে বিয়ে করবেনা।
মেরিন : আম্মু… কিসের মধ্যে কি? আর তুমি যা মিন করছো তেমন কিছুইনা। নীড় আমার সাথে উল্টা পাল্টা কিছুই করেনি..। উনি উনার রুমে আর আমি আমার রুমে থাকতাম… জানি উনি খারাপ কিন্তু আমার সাথে ওই ধরনের খারাপ আচরন করেনি…
কনিকা : অমন ১টা বাজে ছেলে তোর সাথে ভালো ভাবে ছিলো… তুই বলবি আর আমি মেনে নিবো?
মেরিন : মানা না মানা তোমার ব্যাপার…
বলেই মেরিন রুমে চলে গেলো।

মেরিন : কি অদ্ভুদ… এখন নীড় খারাপ বলে কি যেটা করেনি সেটার কথাও বলবো করেছে? অসহ্য ।

.

চৌধুরী বাড়িতে…
নিহাল : আরে মিস্টার খান আপনি?
কবির : আসতে হলো। আপনার গুনধর ছেলেটা কোথায়?
নিহাল : কেন ও আবার কি করেছে?
কবির : কোথায় ও?
নিহাল : ও কিন্তু কেবল কালকে রাতে আপনার মেয়ের সাথে দেখা করেই চলে এসেছে… thats enough … ৫-৬মিনিট duration হবে…
কবির : ভালো। যাই হোক। নীড় কে ডেকে আনুন… আপনার আর আপনার ছেলের সাথে আমার কিছু কথা আছে।
নীড় : আমার চোখ যে ধন্য হয়ে গেলো। আমার শশুড়ড্যাড আমার খোজ নিতে এসেছে… its just wow wow & wow… ড্যাডডার্লিং প্লিজ do something … lets celebrate ….
কবির : তোমার এসব কথা বলার জন্য আসিনি…
নীড় : তাহলে কেন এসেছো জানতে পারি?
কবির : আমার মেয়ের জন্য…
নীড় : কি হয়েছে মেরিনের? অসুস্থ? ব্যাথা পেয়েছে? ড্যাড আমি আসছি…
কবির : ১মিনিট থামো। আমার মেয়ে ঠিক আছে… তুমি কি আমার মেয়েকে মুক্তি দিবে?
নীড় : ইহকালে না…
কবির : তাহলে আমার মেয়েকে বিয়ে করো…. যতো তারাতারি সম্ভব …
নীড় : ড্যাডডার্লিং… pinch me.. আমার শশুড়ড্যাড আমাকে কি জিজ্ঞেস করছে…
কনিকা : দেখো … কিছু জিজ্ঞেস করেছি…
নীড় : ভালো যখন বাসি তখন বিয়ে তো করবোই।
কবির : তাহলে আমার মেয়ের নামে বদনাম বের হওয়ার আগে আমার মেয়েকে বিয়ে করো সেটাই ভালো।
নীড় : কারো এতো বড় কলিজা নেই যে আমার মেরিনের নামে বদনাম করবে।
কবির : আমার মেয়ে অনেক ভালো। কিন্তু ১টা মেয়ে । আর তোমার মতো ছেলের কাছে আমার মেয়ে কেন সব মেয়েকেই হার মানতে হয় ।
নিহাল : কি বলতে চাইছেন মিস্টার খান?
কবির : যাকে বলেছি সে ঠিকই বুঝেছে… লন্ডনে যা করেছে…
নীড় : শশুড়ড্যাড … তুমি exactly কি মিন করছো আমি জানিনা…
কবির : যাই হোক… মেয়ের বাবা তো… তাই নিজের আর মেয়ের সম্মানের কথা ভেবেই… লজ্জার মাথা খেয়ে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছি…
নিহাল : ঠিক আছে। ১দিন বসে বিয়ের তারিখ ঠিক করবো।
নীড় : wait… wait… বিয়ের তারিখ ঠিক করবে মানে? আমি বলেছি যে মেরিনকে আমি বিয়ে করবো। এরমানে এটা নয় যে এখনই করবো… যাক ৬মাস বা ১বছর। এরপর দেখা যাবে….
নিহাল : মানে কি নীড়? বিয়ে যখন করবেই তখন পরে কেন?
নীড় : আমার ইচ্ছা…
কবির : তোমার ইচ্ছাই কেবল নয়… এখানে আমার মেয়ের মান-সম্মান জরিত…
নীড় : আমার কাছে আমার ইচ্ছাটাই সবথেকে বড়…
কবির : আমার মেয়েকে মুক্তি দাও…।
নীড় : মরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দিবোনা।
কবির নীড়ের কলার ধরলো।
কবির : আমার কাছে আমার মেয়েই আমার দুনিয়া… ওর ভালোর জন্য আমি সব করতে পারি…
নীড় : কলার টা ছারো। না হলে কসম আল্লাহর… যে বদনাম বদনাম করছো সেটা আমি নিজে রটাবো। তুমি বা তোমার মেয়ে কেউই মুখ দেখাতে পারবেনা…
নিহাল : মিস্টার খান ছেরে দিন… মেয়ের ভালো চাইলে ছেরে দিন…
কবির ছেরে দিলো।
নীড় : good … but no so good …
বলেই নীড় বেরিয়ে গেলো।

নিহাল : নীড়… মিস্টার খান … আপনি আমাকে বিস্তারিত বলবেন প্লিজ….

.

মেরিন : আজব তো… ১টা লোক খারাপ বলে কি এমন তরো কথা বলবে? আমার সাথে কখনোই অমন আচরন করেনি… অন্য মেয়েরা সুযোগ দেয় বলেই উনিও তাদের ছুতে পারে। সেদিনের ওই মেয়ে এলিনা যদি না আসতো তবে কি …
তখন হাতে টান পরলো। ঘুরতে ঘুরতে ওকে কেউ গরুর মতো টেনে নিয়ে যেতে লাগলো।
কনিকা : একি তুই আমার মেয়েকে কেন এভাবে নিয়ে যাচ্ছিস? ছার…

অর্নব : ফুপ্পি… ও আমার property … সময় হয়েছে তাই নিয়ে যাচ্ছি…
মেরিন : অর্নব ভাইয়া ছারো আমার হাত… ব্যাথা পাচ্ছি তো…
অর্নব : আমার শাস্তি শেষ… এখন থেকে তুমি আমার কাছে থাকবে…
মেরিন : কি যা তা বলছো ভাইয়া? ছারো আমার হাত…
বলেই মেরিন হাত ছারিয়ে নিলো।
মেরিন : এমন পাগলের মতো আচরনের কারন কি ?
অর্নব : কারন আমি তোমাকে ভালোবাসি …
মেরিন : কি?
অর্নব : হ্যারে… আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি… ফুপ্পি আর ফুপ্পা জানে… যাই হোক এতো কথা ভাবার সময় নেই চলো…
অর্নব মেরিনের হাত ধরতে নিলে মেরিন ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো।
মেরিন : ভাইয়া ভাইয়ার মতো থাকো। তুমি আমার ভাইয়া… মামাতো ভাইয়া কি ভাইয়া নয়? ছোটবেলা থেকে তোমাকে ভাইয়া ভেবেই এসেছি…. তাই লিমিটে থাকো ।
অর্নব : আমি তোকে ভালোবাসি…
মেরিন : আমিও বাসি… কিন্তু ভাইয়া হিসেবে।
অর্নব : এখন থেকে প্রেমিক হিসেবে ভালোবাসবে… চলো । ফু্প্পা চলে এলে আর আমি তোমাকে নিয়ে যেতে পারবোনা… প্লিজ চলো…
মেরিন : ভাইয়া… বলেছি না নিজের লিমিটে থাকো…
অর্নব মেরিনের হাত ধরলো। নিয়ে যেতে লাগলো। তখন মেরিনের মাথায় এলো নীড়ের শেখানো টেকনিকগুলো…. নিজেকে বাচানোর। মেরিন সেগুলোর মধ্যে থেকে ১টা টেকনিক কাজে লাগালো।
অর্নব : ouch…
হাতে ব্যাথা পেয়ে অর্নব মেরিনের হাত ছেরে দিলো।
মেরিন : বলেছিনা… লিমিটে থাকো। এখন যদি এখান থেকে না যাও তবে তোমার হাল আরো খারাপ হবে।
অর্নব : এই কথাটা আমার আজীবন মনে থাকবে… বউ হয়ে তুই আমার ঘরেই যাবি… just wait & watch ….
মেরিন : কোনোদিনও না। ভাইয়া হিসেবে যতোটা ভালোবাসতাম সবটা ভালোবাসা শেষ করে দিলে…

বলেই অর্নব চলে গেলো। অর্নব মেরিনের মামাতো ভাই… accidently ওর কারনে কেউ মারা যায় । যারজন্য ৪বছরের জেল হয়।

.

মেরিন : এর টানাটানি ওর টানাটানিতে… আমি শেষ হ…
বলতে না বলতেই… নীড় এসে মেরিনকে কোলে তুলে হাটা ধরলো।
মেরিন : আরে কে?
কয়েক সেকেন্ডের মাথায় মেরিন বুঝতে পারলো যে এটা নীড়…
মেরিন : নীড়… নামান আমাকে… নীড়…
কে শোনে কার কথা?
মেরিন মনে মনে : কোনদিন যেন মরে যাই আমি… আল্লাহ… নির্ঘাত এখন আবার নীড় মহলে নিয়ে যাবে…

নীড় মেরিনকে নীড়মহলেই নিয়ে গেলো । একদম বেডে ফেলল। নীড়ের মুখ দেখে মেরিন ভয় পেলো। কারন নীড়কে হিংস্র দানবের মতো লাগছে।
মেরিন মনে মনে : আমার জানা মতে আমি কিছুই করিনি। তাহলে এমন আচরন করার মানে কি?
নীড় : জানতে চাইবে না কেন এখানে এনেছি?
মেরিন : কককেন?
নীড় : তোমার রেপ করতে…
বলেই নীড় মেরিনের ওপর এক প্রকার ঝাপিয়ে পরলো। সবকিছু মেরিনের মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। নীড় কেবলই ওরনায় হাত দিতে নিলো মেরিন হাত ধরে ফেলল।
মেরিন : আমার কথাটা তো একটু শোনেন প…

নীড় মেরিনের ঠোট জোরা দখল করে নিলো। মেরিন হাত দিয়ে বাধা দিতে গেলে নীড় শক্ত করে হাত ধরলো। যার জন্য চুরি ভেঙে মেরিনের হাতে ঢুকে রক্ত বের হতে লাগলো… সেই সাথে মেরিন কান্না করতে লাগলো। আর এই ২টাই যখন নীড় অনুভব করলো তখন নীড় মেরিনকে ছেরে দিয়ে উঠে বসলো। মেরিনও উঠে বসলো… ২হাত দিয়ে মুখে ঢেকে কান্না করতে লাগলো। নীড় রুমের সবকিছু ভাঙতে লাগলো । শব্দ পেয়ে মেরিন মুখ থেকে হাত সরালো। নীড় প্রলয় দেখে মেরিন আরো ভয় পেয়ে গেলো। ভাঙাটাঙার পর নীড় first aid box নিয়ে সেই কাচ ভাঙাগুলোর ওপর দিয়ে হেটে এসে মেরিনের সামনে বসলো। এরপর hexisol আর savlon বের করলো। ১টানে হাত থেকে চুরির টুকরা বের করলো। স্যাভলন দিয়ে প্রথমে হাতের রক্তটা পরিষ্কার করে গপগপ করে ওটার ওপর hexisol ঢেলে দিলো। নীড় মেরিনের হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছে… যেন মেরিন হাত না সরাতে পারে। মেরিন ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছে।
নীড় : কান্না থামাও…
মেরিন : …
নীড় : কান্না থামাও…
মেরিন : …
নীড় : কান্না থামাতে বলেছি কিন্তু…
মেরিন কেদেই যাচ্ছে। নীড় ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো। এরপর গলা চেপে ধরলো।
নীড় : কান্না করছিস কেন? হ্যা কান্না করছিস কেন? রেপ করেছি তোর? বল রেপ করেছি তোর? কান্না থামাতে বলেছি কতোবার…? বুঝতে পারছিস না যে তোর কান্না আমার সহ্য হচ্ছেনা… তবুও কাদছিস কেন? আরেকবার কান্না করলে জানে মেরে ফেলবো….
বলেই নীড় বেরিয়ে গেলো। মেরিন কাশি দিতে লাগলো।

.

কয়েকঘন্টা পর…
মেরিন বসে বসে ঝিমুচ্ছে। তখন নীড় এসে জরিয়ে ধরে কাদতে লাগলো।
নীড় : কেন বারবার আমাকে রাগাও? কতো ভাবি যে তোমাকে hurt করবেনা তবুও বাধ্য হই… কেন বোঝোনা তোমাকে কষ্ট দিলে আমার কলিজাটা কচকচ করে… তবুও কেন রাগ তুলো? কেন শশুড়ড্যাডকে বলেছো ওইসব মিথ্যা কথা? আমি কি কখনো তোমাকে অসম্মান করেছি? লন্ডনেও কি আমি তোমাকে কোনো অসম্মান করেছি …? তবে কেন শশুড়ড্যাডকে ওগুলো বলেছো?
মেরিন : আমি বাবাকে কি মিথ্যা বললাম? আমি তো কেবল বলেছি যে আমি আপনার ফ্ল্যাটে ছিলাম…
নীড় মেরিনকে ছেরে দিলো।
নীড় : মানে? তুমি কবল এতোটুকুই বলেছো…
মেরিন : হামম।
নীড় : সত্যি?
মেরিন : হামমম।
নীড় : তুমি অতোটুকু বলেছো আর শশুড়ড্যাড কি কি …
মেরিন : আমি বাসায় যাবো…
নীড় : হামমম।
নীড় মেরিনকে বাসায় নিয়ে গেলো।

.

২দিনপর…
নীড় : এই snow … snow …
কবির : যখন তখন এভাবে বাসায় কেন চলে আসো? এটা ভদ্র লোকের বাড়ি…
নীড় : i know শশুড়ড্যাড… snow white কোথায়?
কবির : জানিনা।
নীড় : তোমার জন্যেই তোমার মেয়েটা এতো ত্যারা…. snow …. snow …. snow white…
মেরিন : কি হয়েছে?
নীড় : কতোক্ষন ধরে ডাকছি বলো তো…. চলো চলো চলো…
কবির : আমার মেয়েকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো?
নীড় : ঘুরতে। bye মিস্টার শশুড়ড্যাড।

বলেই মেরিনকে নিয়ে গেলো।

গাড়ি ধীরে ধীরে গ্রামের দিকে যাচ্ছে। ১টা বিলের সামনে গাড়ি থামলো। নীড় মেরিনকে নিয়ে ছোট্ট ১টা নৌকায় উঠলো। এরপর নৌকা চালাতে লাগলো। মেরিন চুপচাপ বসে আছে । বেশ খানিকটা পথ যেয়ে নীড় বৈঠাটা রেখে গিয়ে মেরিনের পাশে বসলো। ডান গালে থাকা কালো মিচমিচে তিলটাতে কিস করে
বলল : i am sorry …

.

চলবে….