সাইকো_নীড় পর্ব-৩৩

0
2833

#সাইকো_নীড়
part : 33
writer : Mohona

.

নীড় : ২টাই… ৫মিনিট ধরে ডাকছিলাম তুমি ওঠার নামই নিচ্ছিলেনা।
মেরিন : just ৫মিনিট ডেকেই হয়রান।
নীড় : যাও গিয়ে রেডি হয়ে এসো…
মেরিন : huh…
মেরিন কাপতে কাপতে রুমে গিয়ে আবার ঘুমিয়ে পরলো। ।
নীড় : ওই ওঠো…
মেরিন : উহু…
নীড় : what উহু?
মেরিন : অনেক শীত। কোথাও যাবোনা। শুয়ে থাকুন।
নীড় : এবার কিন্তু পানিতে নিয়ে ফেলবো। ওঠো।
মেরিন : শীতটা একটু কমুক।
নীড় : ওই… এটা বাংলাদেশ না switzerland …
মেরিন : তো…?
নীড় : ১টা থাপ্পর দিবো… ওঠো।
নীড় মেরিনকে ঠেলেঠুলে উঠিয়ে fresh হতে পাঠালো। এরপর breakfast করে বের হলো।

.

রাতে…
মেরিন : কি হলো এখন এই বারান্দায় নিয়ে এলেন কেন ?
নীড় : sshh…. আকাশের দিকে তাকাও।
মেরিন তাকালো। আর আতশবাজী শুরু হলো।
মেরিন : wow… my favorite ..। thank you নীড়…
এরপর “sorry” লেখা উঠলো।
মেরিন : sorry ?
নীড় : হামম sorry …
মেরিন : কিন্তু কেন?
নীড় : কারন আমার জন্য তোমাকে নানু এতোগুলো কথা শুনিয়েছে… আর আমি তাকে এখনও কোনো শাস্তি দিতে পারিনি। ইচ্ছা করেছিলো জানে মেরে দিতে… কিন্তু পারিনি। কারন চোখের সামনে কাকিমার মুখটা ভেসে উঠছিলো । যে জন্ম দিয়েছে সে তো ফেলে চলে গিয়েছিলো। কিন্তু কাকিমা অনেক আদর দিয়েছে । তবে হ্যা শাস্তি তো তাকে পেতেই হবে। আমার snow রে hurt করা.. আমার snow কে….
মেরিন নীড়ের দিকে ঘুরলো। নীড়ের কাধে হাত রাখলো। এরপর উচু হয়ে নীড়ের কপালে কিস করলো।
মেরিন : কাউকে শাস্তি দিতে হবেনা নীড়। নানু বয়স্ক মানুষ । তার ভাবনা চিন্তা তো আমাদের থেকে আলাদা হবেই। বাদ দিন।
নীড় : আমার snow whiteএর চোখে সে পানি আনিয়েছে । তার চোখেও আমি পানি আনবোই ।
মেরিন : নীড়…
নীড় মেরিনের ঠোটের মধ্যে হাত রাখলো।
নীড় : sshh… কোন কথানা…. যা হয়েছে তা আমার জন্যই হয়েছে। আমার জন্যই তোমাকে এতো বাজে কথা শুনতে হয়েছে। please punish me …
মেরিন : আপনার মাথায় কি punishment ছারা আর কিছু ঘুরে না…
নীড় : আমার মাথায় তুমি ছারা অন্য কিছু ঘুরেনা।
মেরিন : 😒।
নীড় : এভাবে তাকানোর কি আছে…
মেরিন : কিছুনা… সরেন change করবো…

.

পরদিন …
মেরিন : wow… চমৎকার । এখানে এমন সবুজে ঘেরা , ফুলে ভরা জায়গা দেখতে পারবো ভাবতেই পারিনি । দেখুন নী…. আরে নীড় কোথায় গেলো? নীড় … নীড় …. এই নীড় ….
মেরিন নীড়কে খুজতে লাগলো।
মেরিন : নীড় কোথায় গেলো?
তখন কেউ মেরিনের কাধে টোকা দিলো। মেরিন ঘুরলো। দেখলো নীষ রং বেরঙের ফুল নিয়ে হাটু গেরে দারিয়ে আছে ওর সামনে।
মেরিন : আপনি…
নীড় : ভালোবাসি। ভীষন ভালোবাসি তোমাকে। তুমি আমার সব মেরিন… তুমি আমার সব । i just love you…
মেরিন ফুল গুলো নিলো।
মেরিন : i love you too…

২জন দুপুরে lunch করতে গেলো। খাচ্ছে আর কথা বলছে। তখন ১টা মেয়ে নীড়ের পেছন থেকে এসে ওর চোখ ধরলো। মেয়েটার নাম মায়া।
মেরিন : who are you?
মায়া : 😒।
নীড় : oh মায়া … তোমার এই অভ্যাসটা আজও গেলোনা।
মায়া নীড়ের চোখ ছেরে দিলো।
মায়া : how could you?
নীড় : কেন ভুলে যাও আমি কে?
মায়া : most handsome person … the নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন । আগে বলো আমাকে চিনলে কি করে?
নীড় : তোমার perfume এর smell এ।
মায়া : আজও মনে আছে?
নীড় : oh come on dearling…. এটা কি ভোলার?
মেরিন তো দেখছে আর জ্বলছে।
নীড় : meet my lovely wife… মেরিন বন্যা নীড় খান চৌধুরী।
মায়া : এই মেয়ে তোমার বউ। অবিশ্বাস্য ।
মেরিন : কেন এখানে অবিশ্বাস্যের কি আছে? নীড় আমাকে ভালোবাসে তাই বিয়ে করেছে ।
মায়া : ওরে বাবা… এ তো দেখি ঝাল মরিচ।
নীড় : ok… আসছি মায়া…
নীড় মেরিনকে নিয়ে চলে গেলো। ও ভালো মতোই জানে যে বেশিক্ষন এখানে থাকলে ঘোর বিপদ আছে ।

.

হোটেলে…
নীড় : আরে মারছো কেন আমাকে?
মেরিন কিছু না বলে মেরেই যাচ্ছে নীড়কে।
নীড় : pillow টা তো শহীদ হয়ে যাবে….
মেরিন : আজকে আমি আপনকে শহীদ করবো।
নীড় : আয়হায় বলে কি? এতো ক্ষেপেছো কেন? আর মারছো কেন?
মেরিন : মারবো না তো কি করবো? চুমু খাবো? huh… ওই মেয়ের সাথে আপনার কি সম্পর্ক?
নীড় : ও আমার girlfriend ছিলো। you know না… আমার কতততোগুলো girlfriend …
মেরিন : সেগুলো তো বিয়ের আগে ছিলো…
নীড় : তো আমি কখন বললাম বিয়ের পর…
মেরিন : তাহলে ওই মেয়ের নাম আর perfume এর smell কিভাবে আপনার মনে আছে…
নীড় : কারন মায়ার চোখ ২টা ভীষন সুন্দর। আর perfume টা তো wow….
মেরিন : কি? 😡।
নীড় : কিছুনা… 😅…
মেরিন : huh… কথা বলবোনা আপনার সাথে…
বলেই মেরিন washroom এ চলে গেলো।
নীড় : বউ মানেই ভয়ংকরী…
মেরিন : কি? 📢।
নীড় : তুমি না washroom এ ঢুকলে….

.

রাতে…
নীড় বারান্দায় দারিয়ে আছে। তখন মেরিন এসে পেছন থেকে জরিয়ে ধরলো । নীড় মুচকি হাসি দিলো।
নীড় : কি হয়েছে আমার বউটার…
মেরিন : কিছুনা..
নীড় : তাহলে কন্ঠে এতো ভয় কেন…
বলেই নীড় নিজেকে ছারিয়ে মেরিনের দিকে ঘুরলো। মেরিনের চোখে ভাষা পানি নীড় দেখতে পেলো।
নীড় : কি হয়েছে?
মেরিন খুব শক্ত করে নীড়কে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন : নীড়… কেউ যদি এসে আপনাকে নিজের বলে দাবি করে? আপনাকে আমার কাছ থেকে কেরে নেয়? তখন ? আমি কি করবো?
নীড় : কিছুই করবানা। কারন এমন কিছু কখনোই হবেনা। কারন নীড় কেবল মেরিনের। আর তুমি কাদছো কেন? না করেছি না?
মেরিন : …
নীড় মেরিনের মাথাটা তুলল। চোখের পাতায় চুমু দিলো ।
নীড় : এতো ভালো কবে বাসলে আমায়?
মেরিন : …
নীড় : কখনো ভাবিনি যে তুমি আমায় এতোটা ভালোবাসবে…
বলেই নীড় মেরিনের ঠোট জোরা দখল করে নিলো। এরপর কোলে তুলে নিয়ে বেডে গেলো। মেরিন চোখ বন্ধ করেই আছে । নীড় মেরিনকে দেখছে।
নীড় মনে মনে : খুব কি দোষ হবে তোমাকে আরো ভালোবাসলে? না… তুমি তো আমারই….
নীড় মেরিনের খুব কাছে গেলো। আবার মেরিনের সেই কান্না ভরা মুখের কথা মনে পরে গেলো। মনে পরে গেলো যে ওর জন্যেই কবির-কনিকা মারা গিয়েছে। নীড় মেরিনকে ছেরে শার্টটা পরে চলে গেলো।

.

সকালবেলা…
নীড় ফিরলো। নীড়ের উস্কো খুস্কো অবস্থা দেখে মেরিন বুঝতে পারলো যে ও সারারাত drinks করেছে। মেরিনের দিকে তাকাচ্ছেনা। আসলে মেরিনের চোখের দিকে তাকানোর সাহস নীড়ের নেই। মেরিন কিছু না বলে নীড়ের জামাকাপড় বের করে দিয়ে খাবার অর্ডার করলো। নীড় দারিয়েই আছে। মেরিন টেনে নীড়কে washroom এ নিয়ে গেলো। shower on করলো।
মেরিন : দয়া করে তারাতারি বের হবেন। ভীষন ক্ষুধা পেয়েছে।
বলেই মেরিন বের হয়ে গেলো। কিছুক্ষনপর নীড় বেরিয়ে এলো। এরপর চুপচাপ খেয়ে নিয়ে শুয়ে পরলো।
মেরিন : একি ঘুমাচ্ছেন কেন? ঘুরতে বের হবেন না?
নীড় বুঝতে পারছেনা মেরিন এতো নরমাল কেন?
মেরিন : কি হলো? খারাপ লাগছে… কি হলো কিছু বলছেন না কেন?
নীড় blanket টা ছুরে ফেলে দিলো। মেরিনের সামনে গিয়ে দারালো।
নীড় : কি সমস্যাটা কি তোমার ? আসার পর থেকে এতো প্রশ্ন করছো কেন? এতো কথা বলছো কেন? তোমার সব প্রশ্নের আরালে কি প্রশ্ন আছে বুঝিনা ভেবেছো? কালকে রাতের কথাই তো বলবা তাইনা?
মেরিন : নীড় আপ…
নীড় : shut up… কোন কথা বলবানা। আমার just তোমাকে সহ্য হচ্ছেনা। তোমার কথা সহ্য হচ্ছেনা।
বলেই নীড় আবার বেরিয়ে গেলো। বেরিয়ে গাড়ির কাছে গিয়ে গাড়িতে লাথি মারলো। নীড় রুমে ফিরে গেলো। দেখলো মেরিন কবির-কনিকার ছবি নিয়ে বসে বসে কান্না করছে।
নীড় : i am sorry …
মেরিন নীড়ের কন্ঠ শুনে চোখের পানি মুছে বারান্দায় চলে গেলো। নীড় গিয়ে মেরিনের পাশে দারালো ।
নীড় : রাগ করেছো?
মেরিন : তুমি তো জানো তোমার নীড়কে। কি বলে কেন বলে তা নিজেই জানেনা…
মেরিন : …
নীড় : ওই কিছু তো বলো । দরকার হয়ে রেগে রুম থেকে বের করে দাও ।
মেরিন : …
নীড় : তোমার কি মনে হয় যে সত্যিই তুমি আমার কাছে অসহ্য ?
মেরিন : হামম।
নীড় : আমি আবার তোমাকে hurt করেছি। so i should be punished…
বলেই নীড় রুমে গেলো ।
মেরিন : না জানি আবার কি করে সাইকোটা…
ভেবেই মেরিন ছুটে রুমে গেলো।
নীড় : হাহাহা…
মেরিন : 😒।
নীড় : ঠিক জানতাম যে কথাটা শুনে তুমি ছুটে আসবে। হাহাহা…
মেরিন নীড়ের কাছে গিয়ে ওর বুকে দামদুম কিল বসিয়ে দিলো।
মেরিন : আপনি সত্যিই ভীষন খারাপ।
নীড় : তোমার সবকিছুর ওপরই আমার অধিকার। hurt করারও। তাই নিজেকে শাস্তি দিবোনা । চলো ঘুরতে যাই।

.

রাতে…
নীড়-মেরিন ফিরলো। আর হোটেলে পা রাখতেই নীড় মেরিনকে কোলে তুলে নিলো।
মেরিন : মাঝে মধ্যে আপনি কি করেন তা আমার মাথায়ই ঢোকেনা।
জবাবে নীড় কেবল হাসি দিলো। তবে রুমের দরজা খুলতেই মেরিন অবাক হয়ে গেলো। কারন সারারুম ফুল দিয়ে সাজানো। মেরিন অবাক হয়ে নীড়ের দিকে তাকালো।
নীড় : অনেক ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি… কেন তোমার থেকে দূরে থাকবো?
মেরিন : নীড় আপনি কি নানুর কথার জন্য এসব করছেন?
নীড় কোন কথা না বলে মেরিনের ঠোটে কিস করে বসলো।

নীড় : পেয়েছো তোমার জবাব? কারো কথা কখনোই আমাকে effect করেনা।। আমার জীবনের একমাত্র সত্য এটাই যে আমি তোমাকে ভালোবাসি….
মেরিন : নীড়…
নীড় : shh… কোন কথানা… আজকে আর কোনো কথানা… কোনো অপরাধবোধ না… আজকে তুমি আমার আর আমি তোমার….

নীড় নিজের অপরাধবোধ ভুলে নতুন করে ওদের সম্পর্কটা শুরু করলো। আরো ৪-৫দিন switzerland থেকে ওরা দেশে ফিরলো।

.

দেশে ফিরে জানতে পারলো যে তিন্নিক মিসক্যারেজ হয়েছে। মেরিনের খুব খারাপ লাগলো কথাটা শুনে। ও কেদেই দিলো।

নীড় : what? এভাবে তাকিয়ে আছো কেন?
মেরিন : আপনিই নিশ্চয়ই কিছু করেছেন।
নীড় : কি করেছি?
মেরিন : তিন্নির মিসক্যারেজ হওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই আপনি দায়ী…. আপনি বলেছিলেন না যে আপনিও নানুকে কাদাবেন…
নীড় ঠাস করে মেরিনকে থাপ্পর মারলো।
নীড় : stupid … আমার কি মনে হয় জানো? তুমি ভাত ছারা থাকতে পারো কিন্তু আমার থাপ্পর ছারা না। এমন বেহুদা কথা তুমিই ভাবতে পারো…. মানে যেখানে যা হয় সব আমিই করি। ভাবলে কি করে যে আমি ১টা বাচ্চাকে মেরে ফেলবো?
মেরিন : কথাটা তো ভালোভাবেই বলতে পারতেন…. 😕… ঠিকই বুঝতাম।
নীড় : তুমি ভালো কথা বোঝার মেয়েই না। মক্কেল কোথাকার ।

.

কিছুদিনপর…
জহির : বলো কি বলতে চাও…?
মেরিন : ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা আমি বলতে পারিনা। ১টা প্রশ্ন … হ্যা অথবা না তে জবাব দিবেন । ৩০বছর আগে আপনিই আসমা খালামনিকে কিডন্যাপ করেছিলেন ?
জহির : …
মেরিন : বলুন…
জহির : …
মেরিন : কি হয়েছ বলছেন না কেন ? বলুন।
জহির : তোমাকে বলতে বাধ্য নই ।
মেরিন : বলতে তো আপনি বাধ্য । ভুলে যাবেন না যে আমি নীড়ের বউ ।
জহির : কি করবে? আমাকে মেরে ফেলবে?
মেরিন : না… মেরে ফেলবোনা। কিন্তু ১টা কথা বলুনতো। আপনি না মামনিকে ভালোবাসতেন? তবে? মামনির জীবনটা শেষ হয়ে গেলো। তবুও আপনি তার জন্য কিছুই করলেন না…
জহির : নীলিমাকে সত্যি ভালোবেসেছি… কিন্তু ….
মেরিন : কিন্তু ?
জহির : কিছুনা।
জহির উঠে যেতে নিলো।
মেরিন : আপনার ছেলেকে হারাতে চান?
জহির : মেরিন…
মেরিন : হামমম। বলুন আসমা খালামনিকে আপনি কিডন্যাপ করেছিলেন কি না?
জহির : হ্যা।
মেরিন : আপনার রেকর্ড মোটেও ভালোনা । তাই আসমা খালামনিকে কিডন্যাপ করে নিশ্চয়ই তাকে সাজিয়ে রাখেননি….
জহির : তোমাকে আমি আর কিছু বলতে পারবোনা…
বলেই জহির চলে গেলো।
মেরিন : ১জন psychiatrist এর কাছে নিজের মনের কথা লুকাতে পারেন। কিন্তু কিন্তু কিন্তু reaction না। আসমা খালামনির নাম শুনতেই আপনার চোখে মুখে ভেসে ওঠা অপরাধবোধ আপনি লুকাতে পারেননি… নিশ্চয়ই অনেক খারাপ কিছু করেছিলেন … যেটা দিয়ে হয়তো শুরুতে blackmail করেছেন…. আর না হয় মামনি নিজে থেকেই বোনের জন্য সব কিছু করেছে…

.

মেরিন বাসায় ফিরলো। মেরিন ফিরতেই নীলিমা টেনে মেরিনকে নিয়ে গেলো।
নীলিমা : তোমার সাহস কি করে হয় জহির রায়হানকে এসব নিয়ে প্রশ্ন করার? কেন অতীত ঘাটছো?
মেরিন : আমার নীড়ের জন্য। ওর খুশির জন্য। বাবার জন্য। তোমার জন্য।
নীলিমা : ছাই ছারা কিছুই পাবেনা।
মেরিন : যেখানেই দেখিবে ছাই উরাইয়া দেখিও তাই। পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন ।
নীলিমা : আমি তোমাক warn করছি… আমার অতীত থেকে দূরে থাকো। ভুলে যেওনা আমি নীড়ের মা। নীড় এমনিতেই এমন ভয়ংকর হয়নি।
মেরিন : তুমি যেমন নীড়ের মা তেমব আমিও নীড়ের বউ। বর্ষনের বন্যা আমি । নীড় না আমাকে প্রায় সবধরনের শাস্তি দিয়েছে , সব ধরনের ভয় দেখিয়েছে । তাই আমি এখন কোনো কিছুতেই ভয় পাইনা। সত্য তো আমি জেনেই ছারবো। নিজের ভালো পাগলেও বোঝে। কিন্তু তুমি না। যাই হোক বন্যার পথে কেউ বাধা হতে পারেনা। প্রয়োজন হলে সে বাধও ভেঙে দেয়। আর যদি বর্ষন সাথে থাকে তবে তো কথাই নেই।
বলেই মেরিন রুমে গেলো।
নীড় : জহির রায়হানের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলে কেন?
মেরিন : আপনার দেয়া কাজ পুরন করতে। ৬মাসের মধ্যে মামনির সত্য সামনে আনার।
নীড় : নতুন কোন সত্য নেই। থাকলে অনেক আগেই বের করতে পারতাম। অনেক চেষ্টা করেছি।
মেরিন : সবকাজ মারামারি কাটাকাটি করে হয়না নীড়। ভালোবেসেও করা যায়। সত্যির অনেক কাছে পৌছে গিয়েছি আমি…
নীড় : oh really ….?

.

চলবে…