#Marriage_With_Benefits_2
#Part_17
Writer:: Sanjida Nahar Shaanj
.
.
তা বাবা তুমি কি করো?(খালা আরিফকে উদ্দেশ্য করে)
আ,,আমি(আরিফ ভয়ে তুতলিয়ে)
এই ছেলের তো মেয়ে দেখতে এসেই পা কাপছে।আর কি বিয়ে করবে।(কলি)
আরমান স্যার।(আরিফ কাদো কাদো হয়ে)
কী স্যার স্যার করছিস?মেয়ে দেখতে এসেছিস।তাদের জিজ্ঞেস করা প্রশ্নর উত্তর দে।(দাদু দাত চেপে চেপে)
আমি আরমান স্যারের পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট।(আরিফ এক দমে)
তখন কেনো তুতলিয়ে কথা বলছিলে?(খালা ভ্রু কুঁচকে)
অনেক তো আপনারা আমাদের ছেলে সম্পর্কে জানলেন এখন না হয় আপনাদের মেয়ে সম্পর্কে জানি?(সুমাইয়া ভ্রু উচুঁ করে)
জানেন না।না করেছে কেউ?আপনারাই তো প্রশ্ন করছেন না।(কলি পায়ের উপর পা তুলে)
আপনারা সেই সুযোগ দিলে তো করবো?(সুমাইয়া ফিসফিস করে)
কিছু বললেন?(কলি সন্দেহর দৃষ্টিতে)
না না। তা আপনার মেয়ে কি করে?(সুমাইয়া কথা ঘুরিয়ে)
ব্যবসা সামলায় আমাদের।(কলি ভাব নিয়ে)
রান্না বান্না করতে জানে?(সুমাইয়া ঠোঁট উল্টে)
রান্না বান্নার কাজে আমার মেয়ে একদম পাকা।(কলি)
আপনার মেয়ে কি করে?(ঈশানি ভ্রু কুঁচকে)
আমার মেয়ে উকিল।(ফুপি ভাব নিয়ে)
উকিল তো অনেক মিথ্যা কথা বলে। যাই হোক।বাচ্চা সামলাতে পারবে তো?(ঈশানি মাথা নেড়ে)
একদম পারবে।নিজেরটা তো পারবেই আপনারটাও পারবে।(ফুপি ভাব নিয়ে)
এই কথা শুনে আয়ুশ কাশতে শুরু করলো।আর আরশি পানি এগিয়ে দিলো।
দেখলেন সামলে নিলো।(ফুপি ওদের দেখিয়ে)
তা আপনার মেয়ে কি করে?(ফুফা)
আমার মেয়ে আমাদের কোম্পানিতে কর্মরত আছে।(রোহান গর্ব করে)
ও। তা সংসার দিক মতো চালাতে পারবে তো।(ফুফা চশমার উপর দিয়ে তাকিয়ে)
আমরা আবার মেয়ের প্রশংসা বেশি করি না।তবে যেই আমাদের মেয়েকে বাড়ি বউ করবে তার তো কপাল খুলে যাবে।(রোহান ভাব নিয়ে)
তা আপনার এই মেয়ে কি করে?(সুমাইয়া রাবেয়াকে উদ্দেশ্য করে)
আমাদের মেয়ে নিজেই নিজের খরচ চালায়।ভার্সিটিতে পড়ে আর পার্ট টাইম জবও করে!এমন কর্মঠ মেয়ে খুঁজে পাবেন না একটাও।লাখে একটা আমার মেয়ে(কলি রাবেয়াকে নিয়ে বললো)
তাতো বিয়ে হলেই বুঝা যাবে।(ঈশানি)
হুম।বুঝবেন।(খালা)
আচ্ছা।সব কথাবার্তা যখন হয়ে গেছে।তাহলে আমরা ভেবে আপনাদের বলছি।(জিসান)
ভেবে বলছি মানে?(আভি চিৎকার দিয়ে)
মানে আমরা রাজি কি না?ভেবে বলছি।(কলি অবাক হয়ে)
হতচ্ছাড়া বিয়েটা কি করবি?এইভাবে মাঝ পথে উঠে চিৎকার করে কি আমাকে হার্ট অ্যাটাক দিবি।(দাদু বুকে হাত দিয়ে)
সরি দাদু।অনেক হয়েছে।এখন দেখো আমরা কি করি।
বলেই আভি আমার সামনে হাঁটু গেড়ে বসলো।
আয়ুশ ছায়ার সামনে
জয় আরশির সামনে
আর আরিফ রাবেয়ার সামনে
আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।কথা দিচ্ছি সারা জীবন এইভাবেই ভালোবেসে যাবো(আভি আমার হাত ধরে)
আমি ওর এই কান্ডতে অনেক অবাক হয়ে গেলাম।ভাবতে পারি নি ও এমন করে আমার দেয়া বাঁশটা হজম করবে।(আমি মনে মনে)
কোনো দিন তোমার গায়ে একটা আঁচড় লাগতে দিবো না।ভালোবাসার চাদর দিয়ে মুড়ে রাখবো।(আরিফ রাবেয়ার হাত ধরে)
রাবেয়ার চোখে পানি চলে আসলো।আরিফের কথা শুনে ওর নিজেকে অনেক সুরক্ষিত মনে হলো।
কোনোদিন তোমার চোখের জলের কারণ হবো না।তোমার মুখের হাসি ফুটানোর জন্য যা করার করে যাবো।(আয়ুশ ছায়ার গালে হাত দিয়ে)
ছায়া লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে।আজ যেনো ওর ও সুখের কোনো সীমা নেই।
সারা জীবন তুমি যেটুকু ভালোবাসবে তার বেশি ভালোবেসে যাবো।কোনো দিন এই হাত ছাড়বো না।(জয় আরশির গালে হাত রেখে)
আরশি তো না পারে খুশিতে নাচতে।ভালোবাসার মানুষ অবশেষে মন বুঝে ভালোবেসেছে।এর থেকে বড় পাওয়া আর হয় না।
আই লাভ ইউ।(আভি,,জয়,,আয়ুশ আরিফ এক সাথে)
আমরা খুশির ঠেলায় কেঁদে উঠলাম।
রাজি?(আভি আমার গালে হাত দিয়ে)
হুম।(আমি মাথা নেড়ে)
তাহলে আর কি মিয়া বিবি রাজি
এখন ডাকো কাজী।(দাদু)
আরাভি আর আরাভ এতক্ষন বাগানে খেলছিল।বাচ্চাদের সামনে এইসব করা আমার ঠিক লাগছিলো না।তাই বুঝিয়ে বাগানে খেলতে পাঠিয়েছিলাম।এখন এসেই শুনে আমাদের বিয়ে হবে।এতে ওরা অনেক এক্সসাইটেড হয়ে যায়।
দুজন হাত তালি দিয়ে নাচতে শুরু করলো।আমাদের চেয়ে ওদের খুশি বেশি মনে হচ্ছে।আমি আরাভিকে কোলে নিয়ে একটা চুমু দিলাম।আর আভি আরাভকে।পরেই আভি আমাকে জড়িয়ে ধরলো।আজ যেনো এই ভুবনে আমিই সব চেয়ে সুখী।সব পাওয়া হয়ে গেছে আমার।
।
।
গায়ে হলুদের দিন
এই কয়দিন আভিকে অনেক মিস করছি এখন অপেক্ষার প্রহর শেষ হবার পালা।কালকেই ডালিয়া আর নিহাল ভাইয়া এসেছে।নিহাল ভাইয়া আভিদের বাসায় আর ডালিয়া আমাদের বাসায়।
আসু তোকে কতো মিস করছি জানিস?(ডালিয়া এসেই সেই আগের মত দম বন্ধ করার মত জড়িয়ে ধরলো)
আমিও তোকে অনেক মিস করছি।এখন ছাড় দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।(আমি ওকে ছেড়ে কাশতে কাশতে)
আর বলিস না।তোকে তো জড়িয়ে একদম পিষে ফেলতে ইচ্ছে করছে আমার।যদি মিস করতি তাহলে ঠিকই খবর নিতি।(ডালিয়া ঠোঁট ফুলিয়ে বেডে বসলো)
তুই জানিস আমার পরিস্থিতি কেমন ছিল!আমি আর আভি কি পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেছি।(আমিও ওর পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে)
হ্যা।তবুও অভিমান করার অধিকার আমার আছে।তবে এখন আমি খুশি তুই ফিরে এসেছিস।(ডালিয়া আমার কাঁধে মাথা রেখে)
হুম।আছে এখন আর অভিমান করিস না।সব শেষ।এখন আমি আর কোথাও যাবো না।(আমি ওকে জড়িয়ে ধরে)
ওকে।(ডালিয়াও আমাকে জড়িয়ে ধরে)
কিছুক্ষণ পর খালা একটা বাচ্চাকে কোলে করে নিয়ে রুমে ঢুকলো।
ডালিয়া ওর মনে হয় ক্ষিদে পেয়েছে।খাইয়ে দে।খুব কান্না করছে।(খালা বাচ্চাটাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে)
দাও।এখনই খাইয়ে দিচ্ছি।(ডালিয়া বলেই বাচ্চাটাকে কোলে নিলো)
ও মা।এইটা কি তোর পিচ্ছি নাকি?(আমি বাচ্চাটার গাল টেনে)
হুম। ও হচ্ছে ছোটো জন।বড়ো জন নিহালের সাথে ওই বাড়িতে।(ডালিয়া বাচ্চাকে নিয়ে বেডে বসলো খাওয়ানোর জন্য)
কী কিউট দেখতে।(আমিও ওর পাশে বসলাম)
একটু বসতেই খালা তারা দিতে লাগলো সাজার জন্য।
।
।
কিছুক্ষণ পর আমাদের সাজ কমপ্লিট করে আমরা অপেক্ষা করছি কখন আমরা বের হবো।আমরা সবাই গাঢ় গোলাপী রঙের মধ্যে মেরুন রঙ সাথে শাড়ি পড়ছি। সবার এক কালার হলেও ডিজাইন ভিন্ন।আমাদের বর কনের সবার গায়ে হলুদ একদিনে।আর তা হলো ওদের বাড়িতে।আমরা সবাই ওদের বাড়িতে যাবো।এই বাড়িতে বিয়ে হবে ওই বাড়িতে গায়ে হলুদ।দুই বাড়িতে এক অনুষ্ঠান হলে বেশি চাপ করে যাবে বলে এই পদ্ধতি অবলম্বন।সবাই তৈরি।আমার বাচ্চারাও হলুদ রঙের জামা পড়ছে। আরাভি হলুদ শাড়ি কিন্তু মেয়েটার শাড়ি সামলাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।দেখেই বুঝা যাচ্ছে।তবে এতে ও মজাই পাচ্ছে।আর আমার ছেলেটা পাঞ্জাবি পড়ে একদম হিরো সেজেছে। বড়ো হলে যে কতো মেয়ে এর পিছনে ঘুরবে কে জানে? তবে এতো দৌড়া দৌড়ির মধ্যে ওকে খুব শান্ত লাগছে।ঠান্ডা মাথা হওয়া কেউ ওর কাছ থেকে শিখে।
আমি বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে ওদের কথা ভাবছি তখনই ওরা আমার কাছে এসে বললো
আম্মু কেমন লাগছে আমাদের?(আরাভ)
একদম রাজকুমার আর রাজকুমারী লাগছে।আমার সোনা মনিদের।(আমি)
তোমাকেও রানী পরী লাগছে।(আরাভি)
আরাভি মাকে রানী পরী লাগলে আমাদের কেমন লাগছে।(ছায়া আরাভীর মাথায় হাত বুলিয়ে)
চাচী মা তোমাকে একদম হিরোইন লাগছে।আমার আয়ুশ চাচুর হিরোইন।(আরাভি)
আর আমাকে?(রাবেয়া পিছন থেকে)
তোমাকে একদম মিস বাংলাদেশ লাগছে।রাবেয়া আন্টি।(আরাভি)
আর আমাকে?(আরশি)
ফুপি তুমি শাকচুন্নি ছিলে শাকচুন্নি আছো।তোমার কোনো পরিবর্তন হয় নি।(আরাভি)
কিহ!তবে রে দাড়া।ফাজিল গুলো কোথাকার।
বলেই আরশি ওদের পিছনে দৌড়াতে লাগলো।
আরে আরশি থামো।শাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। মেক আপ খারাপ হয়ে যাবে।(আমি আরশি কে থামিয়ে)
আজ ভাবী ছিলো বলে বেচেঁ গেলি।(আরশি)
কী রে তোরা কি তৈরি।(ফুপি)
হ্যা।ফুপি সবাইকে বলো বের হতে।(আমি)
আচ্ছা।(ফুপি)
চল ডালিয়া।(আমি)
পরেই আমরা বের হলাম।
।
।
অন্যদিকে
অবশেষে,,,অবশেষে বিয়ে নামক অনুষ্ঠান হচ্ছে।(আয়ুশ এক্সসাইটেড হয়ে)
তুই এতো এক্সসাইটেড হচ্ছিস কেনো?(আভি সন্দেহর দৃষ্টিতে)
সুখে তো আছে।কালকে ধরবে ভূতে এই জন্য এক্সসাইটেড আছে।(আরিফ)
এই লোকটা আর চেঞ্জ হলো না।(আয়ুশ)
আর হয়ে কি লাভ?এখন তো লাটাই ধরার লোক এসে পড়েছে।(নিহাল দরজা দিয়ে ঢুকতে ঢুকতে)
আরে নিহাল তুই?what a surprise! তুই না বললি আসবি না?(আভি নিহালকে জড়িয়ে ধরে)
আরে ডালিয়ার শরীরটা বেশি ভালো ছিলো না।তাই আসার সম্ভাবনা ছিল না।এখন ও সুস্থ তাই ভাবলাম এসে দেখা করেই যাই।(নিহাল আভির কাধে হাত রেখে)
যাক।খুব ভালো হয়েছে তুই এসেছিস।(আভিও নিহালের কাধে হাত রেখে)
আভি তোমরা তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নাও(মিস সাবিনা বাহিরে থেকে চিৎকার করে)
ওকে।মিস সাবিনা।(আভি)
চল চল তোদের রেডি করিয়ে দেই।(নিহাল তাড়া দিয়ে)
কিছুক্ষণ পরেই
আভি,,আয়ুশ,,আরিফ আর জয় তৈরি হয়ে গেল।
সবাই কাচা হলুদ পাঞ্জাবি পড়েছে।
বাহ।আজ আমাদের দেখে মেয়েদের হুশ উড়ে যাবে।(আয়ুশ আয়নাতে নিজের চুল ঠিক করতে করতে)
তাতো দেখাই যাবে।মেয়েদের হুশ উড়ে না তোদের হুশ ফুস হয়ে যায়।(নিহাল হাসতে হাসতে)
তুই কাদের দলে বল তো?(আভি ভ্রু কুঁচকে)
আমি হাফ এই দল হাফ ওই দল।(নিহাল)
সোজা কথা নিহাল মীর জাফর।(আরিফ)
আরিফ? বেটা তোমার বারোটা বাজিয়ে দিতে হবে।(নিহাল ভ্রু কুঁচকে)
নাহ। নাহ আমি তো এমন কথা বলি আপনি তো জানেনই(আরিফ জোরপূর্বক হাসি দিয়ে)
কিছুক্ষণ পর
জয় উনারা কি বেরিয়েছে?(রোহান রুমের ভিতরে ঢুকে)
হ্যা বাবা। একটু আগেই মামা ফোন দিয়ে বলেছে উনারা বেরিয়ে পড়েছে!(জয়)
ও আচ্ছা।তাহলে তোমরা স্টেজে যাও।(রোহান)
হুম।যাচ্ছি।
বলেই ছেলেরা স্টেজে গেলো।
।
।
কিছুক্ষণ পর সবাই চলে আসলো
আয়ুশ এর ছায়ার দিকে তাকিয়ে হা হয়ে গেছে।শুধু আয়ুশ না জয়ও আরশির দিকে তাকিয়ে হা হয়ে গেছে।আরিফ তো রাবেয়াকে দেখে নিজেই লজ্জা পেয়ে গেল।এতই সুন্দর লাগছিল ওদের।কিন্তু আভির চোখ এখনও আস্থাকে খুঁজে যাচ্ছে কিন্তু আস্থাকে পাচ্ছে না।এছাড়া বাচ্চারাও একটা চোখে পড়ছে না।
আস্থা কোথায়? আবার কি করতে চায় এই মেয়ে?আমাকে টেনশন ছাড়া আর কিছু দিতে পারে না এই মেয়ে।(আভি মনে মনে)
গায়ে হলুদের স্টেজে দুটো করা হয়েছে।একটাতে চারটা জুটি একসাথে বসবে আর সবাই তাদের হলুদ দিবে।আরেকটাতে যারা পারফর্ম করবে তাদের জন্য স্টেজ।
প্রথমে
আয়ুশ আর ছায়াকে স্টেজে উঠানো হলো।
তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে?(আয়ুশ ছায়ার কানে কানে)
তোমাকেও হ্যান্ডসাম লাগছে।(ছায়া কানে কানে)
পরেই জয় আর আরশিকে উঠানো হলো
হায় আমার বরকে এতো মিষ্টি লাগছে মনে হচ্ছে।ধরে খেয়ে ফেলি।(আরশি যেনো জয়কে না পারে খেয়ে ফেলতে)
আরশি নিজেকে সংযত করো।সবাই দেখছে।(জয় আরশিকে সামলে)
আরশি ঠোঁট ফুলিয়ে চুপ হয়ে রইল।
তোমাকে খুব বানিয়েছে শাড়িতে অনেক সুন্দর লাগছে।(জয় কানে কানে)
আরশি একটা মুচকি হাসি দিলো।
তারপর আরিফ আর রাবেয়াকে উঠানো হলো
রাবু তুমি খুশি তো?(আরিফ রাবেয়ার হাত ধরে স্টেজে উঠছে)
হুম।আপনার মত স্বামী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।আমি অনেক খুশি।আর আমার তো এখন একটা পরিবারও আছে।(রাবেয়া বসতে বসতে)
আমিও অনেক খুশি।তোমাকে একদম পরি লাগছে।(আরিফ মুচকি হেসে)
আপনিও না।আপনাকেও খুব সুন্দর লাগছে।(রাবেয়া মুচকি হেসে)
অন্য জুটির রোমান্স দেখে
দূর এখন আমার জুটিই কই?আস্থা কই তুই?এদিকে তোর হাহাকারে আমি মরি।(আভি আস্থাকে খুঁজতে খুঁজতে)
আভি দৌড় দিয়ে স্টেজে উঠলো
ছায়া আস্থা কোথায় জানো?(আভি চিন্তিত হয়ে)
ঠিকই ভাবীকে দেখলাম না।(আয়ুশ ছায়ার দিকে তাকিয়ে)
নাহ।ভাইয়া ওর তো অন্য গাড়ি দিয়ে আসবে বলেছিলো।বাচ্চারাও ওর সাথেই আসবে।(ছায়া)
কিন্তু এখনও তো আসলো না।কোনো সমস্যা হলো নাকি?(আভি চিন্তিত হয়ে)
চিন্তা করো না ভাই এসে পড়বে।(আয়ুশ আভির কাধে হাত রেখে)
কী হয়েছে আয়ুশ?(নিহাল স্টেজে উঠে)
আস্থা ভাবী আসে নাই।তাই ভাই চিন্তা করছে।(আয়ুশ)
আভি তুই চিন্তা করিস না।আমি দেখছি।আমি ডালিয়াকে ফোন দেই ও এখনও আসে নি।(নিহাল)
আচ্ছা দে।(আভি)
।
।
আভি চিন্তিত অবস্থায় দাড়িয়ে আছে তখনই পাশের একটা স্টেজের পর্দা সরানো হলো।
এখন কে পারফর্ম করবে?(আয়ুশ স্টেজের দিকে তাকিয়ে)
আভি পিছনে তাকাতেই দেখে স্টেজে আস্থা বসে আছে হাতে একটা গিটার নিয়ে,,,,
আস্থা?(আভি)
আপনারা সবাই হয়তো অনেক অবাক হচ্ছেন আমি এখানে কেনো?আমার তো গায়ে হলুদের স্টেজে থাকার কথা।আসলে ওই স্টেজে ওই মানুষটার(আভি) পাশে বসার আগে আমি ওই মানুষটাকে কিছু বলতে চাই।
বলেই আমি গিটারটা চেয়ারে রেখে মাইক নিয়ে বলতে শুরু করলাম।
আভি মুচকি হাসি দিয়ে আয়ুশ এর পাশে বসলো।
আসলে আর পাঁচটা মেয়ের মত আমারও স্বপ্ন ছিলো বিয়ে নিয়ে।কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে সেই রকম বিয়ে আমার হলো না।কিন্তু যেই রকম স্বামী চেয়ে ছিলাম তার থেকে হাজার গুনে ভালো একজন পেয়েছি।অনেক ঝড় তুফানের মধ্যে দিয়ে আমাদের সম্পর্কটা গিয়েছে।কিন্তু ওই যে ওই মানুষটা দেখছেন(আভির দিকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে)ওই মানুষটা কখনও কোনো দিন আমার উপর গিভ আপ করে নি।এমন সময় হয়েছে আমি উনার উপর গিভ আপ করেছি।কিন্তু উনি শেষ পর্যন্ত আমার জন্য লড়াই করে গেছে।আমাকে সব কষ্টের হাত থেকে বাঁচাতে নিজে সেই কষ্টের মধ্যে বলি হয়েছে।এমন স্বামি কয়জনের ভাগ্য জুটে।
আভি শুধু মুচকি হেসে যাচ্ছে আস্থার কথা শুনে।
যখন আমি ছিলাম না।তখন একজন ভালো বাবা হয়ে আমার সন্তানদের সামলেছে।দরকারের সময় মা হয়েছে। ও তো একজন ভালো ছেলে সব সময় ছিলো।ভালো স্বামীও।আর একজন দায়িত্ববান বাবা।সবাই বলে আমি নাকি এই বাড়ির সব কিন্তু আমি বলি ওই লোকটা আমার সব।আমার জীবনের পুঁজি।
আভির চোখ ছল ছল করছে।কিন্তু মুখে হাসি যেনো থামছেই না।
আয়ুশ আভির কাধে হাত দিলো।
আমি স্টেজ থেকে নেমে আভির সামনে গিয়ে হাঁটু মুড়ে বসে
আজ আমি সবার সামনে বলছি। মি:: কোবরা Will you marry me? Will you be my marriage with love?(আমি)
.
.
চলবে,,,,