#ঝরা_পাতা🍂🍂
#Angel_Frozen_Nishi_khatun
#পর্ব_১৬
স্টেজের উপর দুই রাজকন্যা বধূ সেজে বসে আছে।অরিন আর তারিফা দুজনকে অনেক সুন্দর লাগছে।পাশাপাশি দুজনের মাঝে একটা মিল সব থেকে সুন্দর লাগছে যা এখানে উপস্থিত সবার নজর কেড়েছে।ভাবী আর ননদী দু জনে খুব সুন্দর করে হিজাব পড়েছে। দুজনে খুব সিম্পল সাজেও মাশাআল্লাহ অনেক মিষ্টি লাগছে।
কতো মানুষের আনাগোনা চলছে এখানে।সবাই ওদের সাথে দেখা করছে ছবি তুলতে ব্যস্ত। ওদের যে এসবে বিরক্তিকর লাগছে তা কেউ বুঝতেই চাইছে না।
এদিকে অরিনের মামা মামী আসে।মমতা খান তার ভাইকে সাথে করে মেয়ে জামাই আর না মানা ছেলের বউয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে সাথে করে নিয়ে আসে।
অরিনের মামা রোহান কে দেখে বলে,”আপা তোমার জামাই কিন্তু দেখতে মাশাআল্লাহ রাজকুমারের থেকে কম না।যাক তোমার ভাগ্য ভালো এতো সুন্দর জামাই পেয়েছ। দুজনকে মাশাআল্লাহ সেই সুন্দর মানিয়েছে।”
মমতা খান একটু খুশি প্রকাশ করে।কারন রোহান কে তার বেশ পছন্দ হয়েছে।তা ছাড়া ছেলেটার রেজাল্ট ও অনেক ভালো।মাস্টার্স কমপ্লিট করার পর মমতা খানের ইচ্ছা ছেলের সাথে জামাই কেও তাদের কোম্পানিতে জয়েন করতে বলবে।তাহলে মেয়ের জীবটা সেটেল্ট হয়ে যাবে।মেয়ের জামাই আর ছেলে মিলেমিশে একসাথে কোম্পানি সামলাবে।
এদিকে অরিনের মামা তারিফা কে দেখে কোনো মন্তব্য করে না।অরিনের মামী বলে,”আপা এই মেয়ের বাড়ির লোকজন কোথায়?আপনার কি শেষ পর্যন্ত বংশপরিচয় হীন রাস্তার মেয়েকে বাড়ির বউ করে আনলেন? এইসব রাস্তার মেয়েদের চরিএ কিন্তু ভালো হয় না।সাবধানে দেখে শুনে থাকবেন। ”
কথা গুলো মামী তারিফার সামনে বলছিল! তারিফার কথা গুলো শুনে চোখ দুটো লাল টুকটকে হয়ে যায়।পাশে রোহান দাঁড়িয়ে ছিলো সে প্রতিবাদ করে বলে,”এই সম্পর্কে তো মামী শাশুড়ি হন!তা আসতে না আসতেই নিজের শাশুড়ি মার্কা রুপ প্রকাশ করলে চলছিল না?এখানে আশেপাশে অনেক মানুষ।তারা এমন কথা শুনলে তারিফা কে যতোটা না খারাপ ভাববে তার থেকে বেশি খারাপ ভাববে এই পরিবার কে।”
এমন সময় আয়াশ এসে বলে,”যে স্বামী তার স্ত্রীকে মানুষের সামনে অসম্মান হতে দেখে সেই স্বামীর আত্মমর্যাদা কমে যায়।তাই আমি চাইনা মামী আপনার জন্য এখানে আমার আত্মমর্যাদা কোনো ভাবে নষ্ট হোক।”
মমতা খানের রোহানের কথা গুলো ভালো লাগে।
সত্যি তো এখানে অনেক মানুষ। মেয়েটাকে অপমানিত করতে গিয়ে নিজের সম্মানের বারোটা বাজানোর কোনো মানেই হয় না।
এরপর নিজের ভাইয়ের বউকে নিয়ে মমতা খান সেখানে থেকে চলে যায়।
এদিকে কেউ একজন বার বার তারিফার দিকে আড় চোখে দেখছে আর এই হালকা শীতের মাঝেও প্রচুর পরিমাণে ঘামছে। হয়তো তারিফাকে নিয়ে সে খুব ভয় পাচ্ছে।
এদিকে আয়াশের বাবার বন্ধুকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে স্ব-পরিবারে তারা পৌঁছে গেছে।তাদের পৌঁছানোর কথা শুনে আয়াশের মুখটা শুকিয়ে শুটকি মাছের মতো হয়ে যায়।
আয়াশ আর রোহান, তারিফা আর অরিনের পাশে বসে আছে।আরিফুল খান তার বন্ধু এবং তার বউকে সাথে করে স্টেজের উপর নিয়ে আসে।অরিন কে দেখে খুব প্রশংসা করতে থাকে।এমন সময় হঠাৎ করে একটা পিচ্চি চকলেট খেতে খেতে বউ দেখতে এসে তারিফা ড্রেসের উপর ফেলে দেয়।তারিফা কিছু না বলে ড্রেস ক্লিন করতে বাথরুমে চলে যায়।তাদের সাথে তারিফার আর দেখা হয় না
অরিন তার বাবার বন্ধুর বউকে উদ্দেশ্য করে বলে,”আন্টি আপু আসে নাই!না কি আমার ভাইয়ের বউ দেখতে আসার সাহসে কুলাই নি তার?”
আন্টি একগাল হেসে বলে,”অরিন মামুনি কী যে বলো না তুমি!আমার মেয়ে এসেছে তো পেছনে আছে চেনা কারো সাথে হয়তো কথা বলছে।ঐ তো আমার মেয়ে আসছে তোমরা গল্প করো আমরা বরং অন্যদিকে যায়।”
অরিন নিজের আসন থেকে উঠে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলে,”তবে শেষ পর্যন্ত যে আবারো তোমার সাথে দেখা হবে এটা কখনো ভাবতে পারি নাই সুমু আপু।”
সুমাইয়া বলে,”উঁহু সুমু নয়!কথাটা সংশোধন করে সুমাইয়া আপু বলো।আমি তোমার অনেক বড় কথাটা ভুলে যাবে না।আর যাই হোক তোমার থেকে ভালো কিছু আমি আশা করি না।”
অরিন বলে,”তোমার মতো ফালতু মেয়ের কাছে থেকে কোনো রকম জ্ঞান নেওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই।তা এতো কাহিনী হবার পর ও তুমি আমাদের সামনে আসলে?”
সুমাইয়া বলে,”আরে অরিন শুনলাম তোমার ভাইয়ের ও না কি বিয়ে হয়েছে? তা তোমার ভাইয়ের বউ কে তো দেখছি না!না কি আগের বউয়ের মতোপালিয়ে গেছে গো?”
অরিন বলে,”সুমু আপু কথা ঠিক করে বলো!
আগের বউ মানে কী?ভাবী ফ্রেশ হতে বাথরুমে গেছে।”
সুমু আয়াশের সামনে দাঁড়িয়ে বলে,”তা ড্রাইভার সাহেব কেমন আছেন?নতুন বউ নিয়ে বেশ মজাই আছেন। আগের বউয়ের খবর বাড়ির মানুষকে বলেন নাই দেখছি।তা অর্ণা কে কোথায় লুকিয়ে রাখছেন? ”
আয়াশের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমতে শুরু করে দেয়।আয়াশ বলে,”একদম ঐ মেয়ের নাম নিবে না।আমি অতীত ভুলে নতুন করে শুরু করতে চাই।ওসব পুরাতন গান বাদ দাও।”
সুমু বলে,”ওরে ড্রাইভার সাহেব আমার কলিজার টুকরো বান্ধবীর জীবনটা নষ্ট করে আপনি তো মহা সুখে আছেন দেখছি!তা বাড়ির মানুষকে সুখবর টা দিতেই আমি আসছি।”
অরিন সুমুর হাত ধরে স্টেজ থেকে দূরে একপাশে নিয়ে আসে যেখানে মানুষের আনাগোনা কম।
সুমু নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলে,”আরে অরিন সোনা তোমার চেহারার রং এমন বদলে গেছে কেনো?ভাইয়াদের দুইটা বউয়ের খবর শুনে বুঝি?”
অরিন বলে,”কিসের বিয়ে!আর এই অর্ণা টা কে?
বিয়ে হবার কথা ছিলো তোমার সাথে তুমি রিজেক্ট করে দিয়েছিলে!তো মাঝে এই অর্ণা আসলো কোথায় থেকে।”
সুমু বলে,”তোমার ভাই আমাদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আমার একমাএ কলিজার টুকরো বান্ধবীকে পছন্দ করে।অনাথ ছিলো মেয়েটা, মা,বাবা,পরিবার বলতে কেউ ছিলো না,সব কিছু জানতে পেরে তোমার ভাই কয়েকদিনের মধ্যেই অর্ণা কে পটিয়ে বিয়ে করে।
বেচারি কে ধোঁকা দিয়ে ভোগ করে পালিয়ে চলে আসে।বেচারি এসব সহ্য করতে না পেরে সুইসাইড করে মারা যায়।”
অরিন বলে,”তোমার একটা কথাও আমি বিশ্বাস করি না বুঝলে সুমু আপু।”
সুমাইয়া একটা বিজয়ী হাসি দিয়ে বলে,”যাও তাহলে তোমার ভাইকে জিজ্ঞাস করো সে অর্ণা নামের মেয়েকে চিনতো কি না?আর তাকে বিয়ে করেছিল কি না।”
অরিন বলে,”তোমার মিথ্যা কথা শুনে কখনো আমি আমার ভাইয়া কে সন্দেহ করবো না বুঝলে?”
সুমাইয়া বলে,”হ্যা তা কেনো করবে?তোমরা তো পারো শুধু অন্যদের দিকে আঙ্গুল তুলতে।এছাড়া আর কিছুই শেখো নাই।যদি এতোই সাহস থাকে ডাকো তোমার ভাইকে। কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যা তা আজ এখনি যাচাই হয়ে যাবে।”
অরিন সুমাইয়া কে রেখে সোজা আয়াশ কে ডেকে এনে সুমাইয়ার সামনে দাঁড়িয়ে বলে,”ভাইয়া অর্ণা নামের মেয়ের সাথে তোমার বিয়ে হয়েছিল? ”
আয়াশ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে!
অরিন অগ্নিদৃষ্টিতে আয়াশের দিকে তাকিয়ে বলে,”ভাইয়া কথা বলো!তুমি অর্ণা নামের মেয়েটা কে চিনতে?বিয়ে করেছিলে?”
আয়াশ একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নিচু স্বরে বলে,”হ্যাঁ! ”
অরিন বলে,”তার মানে সুমাইয়া আপুর বলা সব কথা সত্যি। ভাইয়া তুমি একটা মেয়ের জীবন কীভাবে নষ্ট করতে পারো?তোমার তো বিয়ে করার ইচ্ছা ছিলো না।সেখানে এমন কাহিনী করে আসতে তোমার বিবেক বাধলো না?ছিঃ ছিঃ ভাইয়া!তোমার জন্য আজ আমার মাথাটা নিচু হয়ে গেলো।”
সুমাইয়া অরিনের কানের কাছে এসে বলে,”কী আর হলো!এসবের মধ্যে এতিম মেয়েটার জীবটা শেষ হয়ে গেছে।এটাই তো চেয়েছিল তোমার ভাই।আমি আজ এখানে এসেছি শুধু মাএ সত্যি বলে আমার বান্ধবীর রুহ কে শান্তি দিতে।তাই বলে সুমাইয়া চলে যায়।
অরিনের রাগে কষ্টে নিজের চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে।ভাইয়া যে সুমুদের বাড়িতে গিয়ে এমন কাহিনী করে আসবে তা কখনো আমরা কল্পনাও করি নাই।
অরিন আর কিছু না বলে সোজা স্টেজের উপর গিয়ে রোহানের হাত ধরে সোজা শ্বশুর শ্বাশুড়ি কে সাথে নিয়ে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।যাবার সময় বলে যায় ওর শরীর খারাপ লাগছে বাড়িতে যেতে চাই।তবে বাবার বাড়িতে নয়!
‘
‘
‘
চলবে….
#ঝরা_পাতা🍂🍂
#Angel_Frozen_Nishi_khatun
#পর্ব_১৭
মমতা খান এসে আয়াশ কে বলে,”দেখ অরিন আবারো ঐ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে। ওর তো আমাদের বাড়িতে থাকার কথা তাই না বল।”
তারিফা পেছনে থেকে এসে বলে, “বিয়ের পর যদি মেয়ে বাবার বাড়িতে থাকতে না চাই তাহলে তাকে জোড় করতে নেই।বিয়ের পর মেয়েরা পর হয়ে যায়।তাই পরের বাড়ির সম্পদ নিয়ে এতো চিন্তার কিছু নেই আম্মাজান।”
অরিনের মামী বলে,”দেখছেন আপা আপনার বউমা বাড়িতে আসতে না আসতেই অরিন মামুনি কে পড় করে দিচ্ছে। কিছুদিন পর হয়তো অরিনের নাম নিশানা বাড়িতে রাখবে না এই মেয়ে।”
আয়াশ এবার জোড়ে চিৎকার করে shut up guys বলে ওঠে।আয়াশের চিৎকারে পরিবেশটা পুরো থমথমে হয়ে যায়।
তারিফা আয়াশের কাছে এসে বলে,”আপনাদের কি কোনো সমস্যা হয়েছে?না মানে হঠাৎ করে আপনার মেজাজ এমন জ্বলন্তআগুন হলো কি করে?”
আয়াশ তারিফার দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,”that’s none of your business!”
তারিফা পেছন থেকে বলে ওঠে,”বর আমার,ননদ আমার মাথা তো আমার ব্যাথা করবেই।”
আয়াশ দু হাত দিয়ে তারিফার বাহু শক্ত করে ধরে বলে,”কোন সম্পর্কের জোড়ে এতো মাথা ব্যাথা তোমার!এই সম্পর্কটা আমি চুলাই দিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিবো।না থাকবে বিয়ে না থাকবে আমার সমস্যা। ”
তারিফা প্রচণ্ড ব্যাথা সহ্য করেও মুখ থেকে একটা আহহ শব্দ না বাহির করে একটা মায়াবী দৃষ্টিতে আয়াশের চোখে চোখ রেখে বলে,”একবার কালিমা পাঠ করে যে বিয়ের সম্পর্ক হয় সেই সম্পর্কের মাঝে রহমত বরকত সব কিছু মহান আল্লাহ দান করেন।দুটি অপরিচিত মানুষের মাঝে একটা শব্দের মাধ্যমে ভালোবাসার সাগরের সৃষ্টি হয়।আপনি কে সেই সম্পর্ক নষ্ট করা?”
আয়াশে কানে কথা গুলো ঢুকেছে কি না তা সে জানে না।তবে মেয়েটার এই দৃষ্টি তাকে এটা বুঝিয়ে ঠিকি দিচ্ছে সে মেয়েটার সাথে অন্যায় করছে।আয়াশ নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে তাড়াতাড়ি হাত দুটো সরিয়ে নেয়।
তারিফা বলে ওঠে,”আমাকে স্পর্শ করার সম্পর্ক অধিকার আপনার আছে।এখন সিদ্ধান্ত আপনার ভালোবাসা দিতে স্পর্শ করবেন!না কি আঘাত দেওয়ার জন্য আমাকে স্পর্শ করবে।”
আয়াশ তারিফার চোখে আর চোখ রেখে তাকিয়ে থাকতে পারছে না।তারিফার চোখের দিকে তাকাতেই নিজেকে অপরাধী লাগছে তার খুব।আয়াশ সেখানে আর এক মূর্হত্ব না দাঁড়িয়ে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।
আয়াশের পেছনে পেছনে ওর মা আর মামী মাও চলে যায়।
তারিফা থপ করে মেঝেতে বসে পড়ে।মেঝেতে দু হাত রেখে তার উপর মাথা দিয়ে বলতে থাকে,”মা গো আজ তোমার মেয়েটা বড়ই ক্লান্ত!একবার টি ছুটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরো।মা গো কিসের এতো অভিমান যার জন্য আমাদের মাঝে এতো দূরত্ব আজ।
এমন সময় চোখ থেকে অবাধ্য অশ্রু গুলো একাই বাঁধন ভেঙ্গে বন্যার সৃষ্টি করছে।
‘
‘
‘
অরিন শ্বশুরবাড়িতে ফিরে সোজা নিজের ঘরে চলে যায়।লাগেজ থেকে নিজের একটা হাতে করে সোজা বাথরুমে ফ্রেশ হতে চলে যায়।
ফ্রেশ হয়ে ড্রেস এনে সোফাসেটের উপর এলোমেলো করে রেখে বিছানার উপর চাদর গায়ে দিয়ে মাথার উপর হাত রেখে চোখ বন্ধ করে বসে থাকে।
রোহানের মা এসে চুপচাপ বিছানার উপর বসে অরিনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,”বউমা তোমার কি খুব খারাপ লাগছে?তাহলে চলো তোমাকে ডাক্তার দেখিয়ে নিয়ে আসি।বলা তো যায় না রাতে যদি তোমার শরীরটা বেশি খারাপ করে।”
অরিন তাড়াতাড়ি উঠে খাটের সাথে বালিশ রেখে আধশোয়া হয়ে বসে বলে,”না আম্মা তেমন কিছুই হয়নি।আসলে মাথার মধ্যে খুব ব্যাথা করছে।
একটু শুয়ে থাকলে কমে যাবে সমস্যা নেই।”
রোহানের মা বলে,”আচ্ছা তুমি শুয়ে থাকো আমি তোমার জন্য কড়া করে এক কাপ চা পাঠিয়ে দিচ্ছি।কড়া চা খেলে দেখবে অনেক ভালো লাগবে।”
অরিন একটা মলিন হাসি দিয়ে সম্মতি প্রকাশ করে।
একটুপর এককাপ চা হাতে করে রোহান রুমে এসে অরিনের পাশে বসে বলে,”মা তোমার জন্য চা বানিয়েছে।তা মহারানীর কী চা পছন্দ? ”
অরিন রোহানের কথার উওর না দিয়ে সোজা হাত থেকে চায়ের কাপটা নিয়ে নেয়।রোহানের চোখের দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হাসি দিয়ে পরম শান্তিতে চায়ের কাপে চুমুক দেয়।একটুপর চায়ের কাপটা রোহানের হাতে ধরিয়ে দিয়ে অরিন বলে ওঠে,”ভালোবাসার মানুষের সাথে সুখে থাকার জন্য একটু নিজেকে গুছিয়ে নিলে কিছুই সমস্যা মনে হয় না।শুধু সারাজীবন সুখে শাস্তিতে থাকার ইচ্ছা থাকতে হবে।সবাইকে একটু নিজ নিজ স্থানে থেকে চেষ্টা করা উচিত বাকিটা আল্লাহ ভরসা।”
রোহান বলে,”বড়লোকের মেয়ের মুখে দেখি মধ্যবিত্তদের মত কথা বেপার কি?Something something! ”
অরিন বলে,”রোহানের মাথা!”
রোহান কিছু না বলে চুপচাপ চলে যায়।অরিন আবারো আগের মতো চোখ বন্ধ করে আধশোয়া হয়ে থাকে।
একটুপর হঠাৎ নিজের কপালে কারো হাতের স্পর্শ পেতেই তাকিয়ে দেখে রোহান। অরিন কিছু বলতে যাবে তার আগেই ওর ঠোঁটের উপর হাত রেখে রোহান বলে,”একদম মুখ বন্ধ করে শুয়ে থাকো,কোনো কথা বলবে না।”
রোহান অরিনের পাশে বসে ওর কপালের বাম লাগিয়ে ম্যাসেজ করে দিতে থাকে।অরিনের খুব ভালো লাগছিল। এর মাঝেমাঝে রোহান অরিনের চুলের মধ্যে বুলিয়ে দিতে থাকে।নিজের স্বামীর কাছে এতোটা যত্ন পেয়ে আজ অরিন সত্যি নিজেকে ধন্য মনে করছে।
সত্যি সে রোহান কে পছন্দ করে কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেই নি।মধ্যবিত্ত হলেও সুখি হওয়া যায়।বড়লোক হলেই যে সুখি হবে মানুষেরা এমনা কোথাও লেখা নেই।
অরিন পরম শান্তিতে ঘুমিয়ে যায়।বর এতো ভালোবেসে যদি মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় তাহলে ঘুম কি দূরে পালিয়ে থাকতে পারে?
রোহান দেখে অরিন গভীর ঘুমে তলিয়ে গেছে।অরিনের গায়ে চাদর ঠিক করে দিয়ে সে মোবাইল টা হাতে নিয়ে বারান্দাতে চলে যায়।
.
.
.
রোহান সোজা তারিফা কে কল করে।তারিফা রোহানের কলটা রিসিভ করতেই রোহান ওর নিশ্বাসের শব্দ শুনে বুঝতে পারে ওর মন খারাপ। তারিফাকে কিছু বলতে না দিয়ে রোহান বলে,”তোমার মন খারাপের কারণ জানতে চাইবো না।তবে বলবো মন খারাপের দাম তুমি পাবে না।যতোদিন না স্বামীর ভালোবাসার ভাগীদার হতে পারছো।তাই আগে ভালোবাসার অধিকারটা না হয় ভালবাসার দিয়ে আদায় করে নাও।বলে কলের লাইন টা রোহান কেটে দেয়।”
তারিফা মেঝে থেকে উঠে নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে সামনে দিকে যাবার সময় একজনের সাথে থাক্কা খায়।
তারিফা লোকটা কে উদ্দেশ্য করে বলে,”কিছু স্বার্থপর মানুষ নিজের স্বার্থের জন্য কিছু সম্পর্ক অস্বীকার করে।সম্পর্ক ছিন্ন করে।আজ শুধু আপনার জন্য আমার জীবনের গল্পটা এমন ঝরা পাতার মতো।কোথাও নিজের সঠিক মূল্যায়ন করাতে পারি না।তার একটাই কারণ আপনি শুধু আপনি।আপনাকে কোনোদিক ও আমি মাফ করবো না। বলে চলে যায়।
এদিকে এসে দেখে আরিফুল খান এবং তার পরিবারের মানুষেরা ছাড়া আর কেউ নেই।
আরিফুল খান বলে,”বউমা অনেক রাত হয়ে গেছে!অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেছে।এবার আমাদের বাড়িতে ফিরে যেতে হবে।”
মমতা খান বলে,”তুমি চাইলে এই হোটেলে থেকে যেতে পারো।তোমার মতো মেয়েরা তো এসব করে বেড়াই। ”
তারিফা এবার নিজের অগ্নিদৃষ্টি নিয়ে শাশুড়ির দিকে তাকিয়ে কড়া দৃষ্টিতে বলে,”অন্যের দিকে একটা আঙ্গুল তুললে বাকি চারটা আঙ্গুল আপনার নিজের দিকে ফিরে আসবে।তাই মেয়ে হয়ে অন্য মেয়ের দিকে আঙ্গুল তোলার সময় সাবধানতা অবলম্ব করা উচিৎ। ”
আরিফুল ইসলাম বলে,”আহ মমতা তুমি সব সময় এমন কড়া কথা বলো কেনো?”
তারিফা বলে,”আসলে শাশুড়ি মাকে হয়তো কেউ জন্মের পর মিষ্টি খাওয়াতে ভুলে গিয়েছিল।”
মমতা খান বলে,”এই মেয়ে একদম চুপ।
বেশি কথা বলবা না।বাড়াবাড়ি পছন্দ না আমার।”
আরিফুল খান নিজের বউয়ের হাত ধরে সোজা গাড়িতে নিয়ে বসিয়ে দেয়।এদিকে আয়াশ নেই সে অনেক আগের বাড়িতে চলে গেছে।তাই অনিচ্ছা শর্তেও শ্বশুরের গাড়িতে বসে তাকে বাড়িতে যেতে হচ্ছে।
তারিফা যাবার সময় ভাবতে থাকে,”কাপালে সুখ আছে তবে তা নিজের অর্জন করতে হবে।নিজের সুখের ব্যবস্থা মানুষের নিজের করতে হয়।বাকিরা তো দুঃখের গল্প শুনে মজা নেয়।সুখের পথে কাঁটা বেশি থাকে।”
‘
‘
‘
চলবে….
#ঝরা_পাতা🍂🍂
#Angel_Frozen_Nishi_khatun
#পর্ব_১৮
তারিফা বাড়িতে ফিরে নিজের রুমে প্রবেশ করে দেখো পুরো রুমের বেহালা অবস্থা। বিছানার কোনো চিহ্ন নেই।সব কিছু এদিকে সেদিকে রাখা।
বাথরুমের দরজার সামনে গিয়ে বুঝতে পারে আয়াশ বাথরুমে আছে।
তারিফা পাশের রুমে গিয়ে দ্রুত কোনোরকম নিজের ড্রেস চেঞ্জড করে এসে বিছানা ঠিকঠাক করতে শুরু করে।
যতো যাই হোক রাতে আরামে ঘুমের দরকার আছে।নয়তো সারাদিন মানুষিক অশান্তি ভোগ করার শক্তি টুকু সে যোগার করতে পারবে না।
বিছানা ঠিকঠাক করে বাথরুমের দরজাতে কড়া নাড়তে শুরু করে দেয়।অনেক সময় ধরে কোনো সাড়া না পেয়ে নিজেই বলতে শুরু করে,”আগে অনেক গল্প আর সিনেমাতে দেখেছি নায়িকা রাগে দুঃখে বাথরুমে গিয়ে ঘন্টার পর ঘণ্টা পাড় করে।আমার ঘরে দেখছি একদম ভিন্ন কাহিনী! আমার স্থানে আমার বর বাথরুমে শাওয়ারের নিচে বসে আছে ভাবা যায়!”
আয়াশের এই কথাটা খুব ইগোতে লাগে।এই ফাজিল মেয়ের এতো সাহস হয় কি করে আমাকে এমন কথা বলার!
শাওয়ার বন্ধ করে দরজা খুলে তারিফার সামনে দাঁড়িয়ে বলে,”এই শাঁকচুন্নি আমার জীবটা ধনেপাতা বানিয়ে হয়নি এখন শান্তিতে গোসল ও করতে দিবা না!”
তারিফা বলে,”তা কোথায় কি পাপ করে আসছেন?
যে মাঝ রাতে তা গোছস করে পরিষ্কার করতে হচ্ছে?”
আয়াশ ভিজা শরীরে নিজের কপালের চাপড়ে বলে,”এই কাপারের দোষে আজ নিজেই নিজের সিদ্ধান্তের বেড়াজালে আটকা পড়ে মরছি উনি আসছে খোঁচা দিতে।”
তারিফা আয়াশের দিকে ভ্রু নাচিয়ে বলে,”বডি তো মাশাআল্লাহ সেই সুন্দর এমন ভেজা শরীরে বউয়ের সামনে আসতে লজ্জা করলো না,,এই বডি দেখিয়ে বাকি চারটা বিয়ে করার শখ আছে না কি?”
আয়াশ নিজের দিকে তাকিয়ে দেখে নিজেই লজ্জা পেয়ে যায়।সত্যি তো খালি গাঁয়ে তাও ভেজা অবস্থায় এভাবে কোনো মেয়ের সামনে আসা উচিৎ হয় নি।
এবার তারিফার দিকে তাকিয়ে রাগী দৃষ্টি তে বলে,”আপনিও কম নির্লজ্জ না, এভাবে আমাকে দেখার কি আছে।এমন ভাবে সব মেয়েরা দেখলে অনেক বিয়ে কপালে আছে হয়তো বলেই দরজা বন্ধ করে দেয়।”
তারিফা বলে,”হ্যাঁ আপনি একশো বিয়ে করবেন, আর আমি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবো।আপনার বিয়ের ঘরে যদি আগুন না দেই তবে আমার নাম বদলে রাখবো। ”
একটুপর আয়াশ বাথরুম থেকে বাহির হয়ে সোজা বারান্দাতে চলে যায়।
তারিফা পেছনে থেকে বলে,”ঐ মেয়েটার সাথে এমন না করলে চলতো না?মেয়েটা শেষ পর্যন্ত মারা গেছে।আপনার আফসোস হয় না?”
আয়াশ চমকে উঠে বলে,”কেনো আফসোস হবে আমার?আমি তো গুনাহ করি নাই।”
তারিফা বলে,”শুনেছি যাদের প্রথমে বউ মরে যায় তাদের সব বউ বরের আগেই মরে যায়।হায় আল্লাহ!
হায় আল্লাহ! আমার কি হবে?”
আয়াশ একটা ধমক দিয়ে বলে,”একদম চুপ!একদম নাটক করবে না আমার সামনে?আমি মেয়েটা কে বলেছিলাম যাও সুইসাইড করে মরে যায়।আমার থেকে মুক্তি একাই পাবে?”
তারিফা ভেংচি কেটে বলে,”আপনি অন্যায় না করলে সে এমনি কবরে চলে গেছে?”
আয়াশ একদম তারিফার এতোটা কাছে চলে আসে যে আয়াশের প্রতিটা নিশ্বাস তারিফার মুখের উপর পড়ছে!
আয়াশ চোখ বন্ধ করে বলে,”ঐ মেয়েটা মরে তো আমার জীবনটা শেষ করে দিলো।যদি সম্ভব হতো ওকে কবর থেকে উঠিয়ে এনে সব প্রশ্নের উওর নিতাম। কেনো কি কোন ভুলের শাস্তির ভাগিদার করলো আমাকে।”
আয়াশের প্রতিটা নিশ্বাস তারিফার বুকের মাঝে অন্য রকম এক ঝড়ের সৃষ্টি করছে।না এমন অনুভূতির সাথে সে আগে থেকে পরিচিত নয়।এটা অন্যরকম অনুভূতি।
নিজের বর যখন এতোটা কাছে থাকে তখন হয়তো এমন অনুভূতিরা দোলা দেয়।
আয়াশ চোখ খুলে রুমে এসে বিছানার উপর থেকে চাদর নিয়ে সোফাসেটের উপর ধপাৎ করে শুয়ে পড়ে।
তারিফা নিজেকে বলে,”যে মেয়ের কোনো স্মৃতি নেই এর জীবনে তাকে নতুন করে আর জায়গা পেতে দিবো না, আমি আমার অধিকার নিয়ে থাকবো।”
‘
‘
‘
এদিকে সকালে ঘুম থেকে উঠে অরিন রান্নাঘরে শাশুড়ি মা’র পেছনে পেছনে ঘুর ঘুর করছে।শাশুড়ি যখন যেখানে যাচ্ছে সেখানে গিয়ে অরিন উপস্থিত হচ্ছে।
একটুপর শাশুড়িকে উদ্দেশ্য করে বলে,”আম্মাজান কি আমার উপর বিরক্তিপ্রকাশ করছেন? ”
শাশুড়ি মা রাগি দৃষ্টি তে বলে,”চুপচাপ বসে কাজ করা দেখে,,এতো পেছনে পেছনে ঘোড়ারঘাস কাটার কি দরকার? ”
অরিন ন্যাকামি করে বলে “আম্মাজান! ”
শাশুড়ি মা বলে,”আরে বাবা দুদিন আসছো বাড়িতে এতো রান্নাবাড়া শেখার কি দরকার তা তো বুঝতেছি না।যাও না মন দিয়ে লেখাপড়া করো।সংসার করার জন্য সারাজীবন পড়ে আছে।”
অরিন নাক মুখ খিঁচে বলে,”বিয়ের পর কিসের লেখাপড়া? ”
রোহানের মা অরিনের দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে বলে,”বউমা আমার বাড়িতে এমন ফাঁকিবাজের কোনো স্থান নেই!তোমার শ্বশুরের কাছে দাঁড়াও তোমার নামে বিচার দিবো।তখন দেখো কি হয়।”
অরিন মুচকি হাসি দিয়ে বলে,”আচ্ছা দেখা যাবে কি হয়।”
সকালের নাস্তার টেবিলে রফিক সাহবে অরিন কে উদ্দেশ্য করে বলে,”বউমা বিয়েটা হঠাৎ করে যে ভাবে হোক সম্পন্ন হয়েছে।তাই বলছিলাম যে তোমাদের দু জনের উচিৎ নিজেদের লেখাপড়া কমপ্লিট করা।”
শ্বশুরের মুখে লেখাপড়ার কথা শুনে অরিনের গলা দিয়ে আর খাবার নিচে নামতে চাইছে না।তবুও ঠোঁটের কোণায় হাসির রেখাংশ ফুটিয়ে রেখেছে।
রোহানের বাবা আবারো বলে ওঠে,”দেখো মা রোহানের লেখাপড়া এখনো কমপ্লিট হয়নি! এমনকি তোমার ও লেখাপড়া কমপ্লিট হয় নি।তাই আমি চাইছি রোহান মাস্টার্স কমপ্লিট করে একটা চাকুরী করে তোমার দায়িত্ব নেওয়া যোগ্যতা অর্জন কুরুক। ততোদিন না হয় তুমি তোমার বাবার বাড়ি গিয়ে থাকলে।মাঝেমধ্যে না হয় এখানে বেড়াতে আসবে।”
শ্বশুরের কথা শেষ হবার আগেই অরিন বিষম খেয়ে নিজের অবস্থা খারাপ বানিয়ে ফেলে।তাড়াতাড়ি সবাই অরিনের মাথায় ফুঁ দিতে শুরু করে,রোহান পানির গ্লাস এগিয়ে দেয়।
অরিন মনে মনে বলে,”ও শ্বশুর আব্বা আপনে এ কি কথা বলছেন! যাকে পাবার জন্য এতো বছর ধরে সাধনা করছি তাকে পাবার পর তার থেকে দূরে যাবো এটা কি করে মেনে নেই।এখন হেংলার মতো এখানে থাকবো সে কথা তো বলতেই পারবো না।শেষে কি না এমন জ্বালাই পড়বো আগে ভাবি না।আল্লাহ তুমি মোরে বাঁচাও। ”
রোহান বলে,”আচ্ছা বাবা!আমি তোমার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে রাজী আছি!কারণ সত্যি আমি এখনো সবার দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা নেই।আমি চাই নিজের পায়ের নিচের মাটিকে শক্ত করে তারপর সব সম্পর্ক গুলোকে গুছিয়ে নিবে পারবো।নিজের যোগ্যতা ছাড়া কি করে বাবা মা আর বউয়ের দায়িত্ব নিবো।নিজে রোজগার করে সবাইকে সুখি করতে চাইছি!”
অরিন চুপচাপ সব কথা শুনে বুঝতে চেষ্টা করছিল তখন রফিক সাহেব বলেন,”বউমা সংসারে মায়াজন্ম নেওয়ার আগেই তুমি তোমার বাবার বাড়িতে যাও।আমি তোমার বাবার সাথে কথা বলেছি।তুমি রুমে গিয়ে সব কিছু গুছিয়ে নাও।রোহান বিকালে তোমাকে ঐ বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবে!”
রোহান বলে,”জ্বি বাবা আমি অরিন কে বাবার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবো।”
অরিন চুপচাপ নিজের রুমে গিয়ে সব কিছু সব কিছু গোছাতে থাকে।আর ভাবতে থাকে সত্যি তো রোহানের কোনো রোজগার নাই।কিছুদিন পর হয়তো যখন আমার হাতখরচের টাকা দিতে পারবে না তখন আমি নিজেই ওর সাথে ঝগড়াফসাদ শুরু করে দিবো।আমাদের বিয়ে যখন হয়ে গেছে তখন তো আর চিন্তার কিছু নাই।ওরে অরিন আমি তো এবার ভার্সিটি তে গিয়ে জমিয়ে বরের সাথে প্রেম করতে পারবো।এই কথাটা ভাবতেই মজা লাগছে।তবে ঐ বাড়িতে গেলে তো আমাকে আবারো ভাইয়ার সামনে দাঁড়াতে হবে।উফফ সব কিছু গোলমেলে লাগছে রে।
তবুও শত মন খারাপ নিয়ে অরিন বাবার বাড়িতে যাবার জন্য রেডি হয়।অরিন চাইছে না তার জন্য রোহানের ফিউচারের কোনো ক্ষতি হোক।শ্বশুরবাড়ির সবার থেকে বিদায় নিয়ে বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
‘
‘
‘
চলবে….