#তুই_যে_আমারই
#আঁখি আজমীর নুরা
part 30
আঁখির জ্ঞান ফিরতেই চোখ মেলে আস্তে আস্তে উঠে বসলো। মাথাটা কেমন যেনো একটু ঝিমঝিম করছে। পুরো বিষয়টা বুঝে উঠতে কিছুটা সময় নিলেও যখন সব ক্লিয়ার হয়…
আমি তড়িঘড়ি করে চারদিকে তাকায়। দেখলাম আয়াজ সোফায় বসা। আর গালে হাত দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আয়াজের এমন তাকানো দেখে লজ্জায় আমার মাথা হেট হয়ে আছে। গালদুটো লজ্জায় টমেটো হয়ে আছে।
আয়াজ উঠে এসে আঁখির পাশে বসলো। আর বলল..
–কেমন লাগছে এখন?
এদিকে আমি লজ্জায় তাকাতে পারছি না কথা বলতে পারছি। আমি কিছু না বলে মাথাটা নিচু করে আছি। আয়াজ দেখলো একদম মেয়েটার গালদুটো লাল টকটকে হয়ে আছে। আয়াজ হাত দিয়ে আলতো করে গালদুটো টেনে দিলো।
আয়াজ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য বলল..
-আচ্ছা শোন শপিং যাবো। কিছু কেনাকাটা করতে হবে। আর তাছাড়া কিছু খাওয়া দাওয়াও হয়নি। রেডি হয়ে নে। বাইরে বেরোবো। এই বলে আয়াজ চলে গেলো। আয়াজ যেতেই আমিও রেডি হতে যাবো তখন নিজের গায়ের জামার দিকে নোটিশ করলাম। একি আমিতো ওয়াশরুমে অজ্ঞান হয়ে পরেছিলাম। কিন্তু আমার ড্রেস চেঞ্জ কে করলো। চিন্তায় মাথাটটা ভোঁ ভোঁ করছে। ওই মূহুর্তে আয়াজ ভিতরে এসে ঢুকলো। আর ঢুকেই দেখলো আঁখি চিন্তিতো হয়ে বসে আছে। তাই জিজ্ঞেস করলো কিরে কোন ভাবনার মধ্যে আছিস?
আমি আয়াজের আওয়াজ শুনতেই এবার আমি আয়াজের দিকে সন্দেহর চোখে তাকালাম। আয়াজ আমাকে অমন করে তাকাতে দেখে জিজ্ঞেস করলো…
-কিরে অমন করে দেখছিস যে?
আমিও কোনো ভণিতা না করে ফট করে বলে ফেললাম
-আমার জামা কে চেঞ্জ করেছে।
আয়াজ এবার আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে?
– কি হলো?
-যদি বলি আমি?
-মানে? একটু জোরেই বললাম!
-মানে সিম্পল। আমি ড্রেস চেঞ্জ করেছি। তো কি হয়েছে। এমন আজিব রিয়েক্ট করার কি আছে?
-আশ্চর্য আপনি আমার জামা চেঞ্জ করেছেন আর আমি রিয়েক্ট করবো না?
-কেন করবি? আমি কি পরপুরুষ? নাকি আমরা অবিবাহিত কোনটা? লিসেন ইউ আর মাই ওয়াইফ তোর উপর আমার সমস্ত অধিকার আছে। সো এই ব্যাপারটা যত তাড়াতাড়ি নিজের মাথায় ঢুকিয়ে নিবি ততই তোর মঙ্গল। বলেই রেগে রেগে হনহন করে চলে গেলো।
আমি যেনো পুরাই থ হয়ে গেলাম। কি বলল এটা? রাগ করার কথা আমার। এখন কিনা উল্টো সে নিজেই আমার উপর রাগ দেখায়। উগান্ডার দৈত্য। মনটা চাই শালারে কচু গাছের সাথে ফাঁসি দিয়ে ঝুলায় দেয়। আয়াজকে বকতে বকতে রেডি হয়ে নিলাম। রেডি হয়ে উঠতেই দেখলাম আয়াজ এসেছে। হু কি ঢং? তাকাই ও নাহ। উস্টা মারি তোর এটিটিউডের উপর। বলিসনা কথা। আমিও বলবো নাহ। খালি তুই রাগ দেখাইতে পারিস যে আর কেউ পারেনা ভেবেছিস।
এরপর আয়াজের পিছু পিছু নিচে নামতে লাগলাম। দুজনে নামতেই দেখলাম ইফাজ ভাইয়া আর আজিফা আপু এসেছে। দেন সবাই রেস্টুরেন্টে গিয়ে একসাথে লাঞ্চ করে নিলাম। খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ করে সবাই হিমছড়ি ঘুরতে যায়। সারা দিন ঘরাঘুরি করে একেবারে ডিনার সেরে রাতে বাসায় ফিরি।
এরমধ্যে আয়াজ একবারো আমার সাথে কথা বলেনি। আর মুখটা গোমড়া করে রেখেছে। এবার যেনো আর নিতে পারছিনা। পেটের ভিতর কথাগুলো কিলবিল করছে। ধ্যাত… দেখলাম আয়াজ ফ্রেশ হয়ে এসে বিছানায় শুয়ে পরলো।
কি সাংঘাতিক! আমাকে একটিবার ডাকলোও না। আগেতো এসেই বলতো যা ফ্রেশ হয়ে নে। আমি যে এভাবে দাড়িয়ে আছি চোখে কি দেখছে না। একটিবার বললোও নাহ। এবার কিন্তু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে। রাগ যেনো এখন উনার থেকে আমার বেশি হচ্ছে।
রাগ করে তাই ধুমধাম করে জুতো খুলছি, ওরনাটা একদিকে ছুড়ে ফেলছি। বেগটাকে ড্রেসিং টেবিলের উপর ধপাস করে রাখলাম। টাসটাস করে হেঁটে ওয়াশরুমে ঢুকে দরজাটাকে দাম করে বন্ধ করলাম। যার ফলে ভিষণ জোরে আওয়াজ হয়। এতক্ষণ যেনো রুমের মধ্যে ছোটোখাটো একটা সুনামি ভয়ে গেলো।
আয়াজ সব শুয়ে শুয়ে লক্ষ্য করছে। কিন্তু কিছু বলছে না।
বাথরুম থেকে বের হয়ে আয়াজের পাশে অন্যদিকে মুখ করে শুয়ে পরলাম। ভেবেছিলাম হয়তো বুকে টেনে নিবে। অনেকক্ষণ ওয়েট করার পরও দেখলাম কোনো লাভ হলোনা। ফলাফল জিরো।
উফফ আর পারছিনা। বারবার বিছানার এপাশ ওপাশ করছি। কিছুতেই ঘুম আসছে না।
আচ্ছা আমি কি বেশি করে ফেললাম নাকি। এতোটা রেগে যাওয়ার কথাতো না। কি করি এখন? রাগ ভাঙ্গাতে হবে? এসব ভাবতে আয়াজের দিকে ফিরলাম। দেখলাম উল্টো হয়ে শুয়ে আছি। আমি আর সাতপাঁচ না ভেবে পিছন থেকে আয়াজকে জড়িয়ে ধরলাম। এতে আয়াজের কোনো ভ্রুক্ষেপ দেখলাম না। তাই আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম। আয়াজ এবার আমার হাত ঝাড়া দিয়ে ফেলে দিলো। আমিও কম যায় নাকি?
আবার জড়িয়ে ধরলাম। এবার একেবারে হাতের সাথে সাথে পা সহ তুলে দিলাম। আয়াজ আমাকে ছাড়ানোর ট্রাই করছে। আর আমি ততই শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছি। আসলে মিছে মিছে ট্রাই করছে আরকি। আমার মতো একটা শুঁটকি মাছকে ঝটকা মেরে ফেলে দেওয়া আয়াজের জন্য এক তুড়ির ব্যাপার।
এবার আমি আয়াজকে আমার দিকে ফিরিয়ে একদম বুকের উপর উঠে শুয়ে রইলাম। দেখি এবার বাবু আমার রাগ না ভেঙে যায় কোথায়।
-সরি..
…..
সরিতো। এই যে নাক ধরে সরি বলছি। প্লিজ আর করবো নাতো।
আঁখির এমন ইনোসেন্ট মার্কা সরি বলা দেখে আয়াজ রাগ করে থাকতে পারেনি। তাই হেসে দিলো। আর আঁখিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলো।
সকালে উঠেই সবাই সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হলো। কক্সবাজার এসেছি সেন্টমার্টিন যাবোনা এটা কোনো কথা। ওখানে গিয়ে সবাই একসাথে আনন্দে মেতে উঠলাম। সারাদিন ওখানেই ছিলাম। বাট আসার সময় মনটা ভিষণ খারাপ হয়ে আছে। কজ পরেরদিনই ঢাকায় চলে যেতে হবে। তাই মনটা অফ হয়ে আছে।
চলবে
#তুই_যে_আমারই
#আঁখি আজমীর নুরা
part 31
সকালেই কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। বাসা এসে ফ্রেশ হয়ে লম্বা একটা ঘুম দিলাম। কজ জার্নি করে এসে ভিষণ টায়ার্ড হয়ে আছি। শুতেই রাজ্যের ঘুম যেনো চোখে এসে ভর করেছে। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে এককাপ কফি খেয়ে নিলাম। বেলকনিতে দাঁড়িয়ে গোধুলি বেলাটা উপভোগ করছি। সন্ধ্যা হতেই আমি খালামনির কাছে রান্নাঘরে গেলাম। দেখলাম বেসিংয়ের উপর কিছু থালাবাসন পরে আছে। গিয়ে অগুলো ধুয়ে নিলাম। তারপর খালামনির পাশে দাঁড়িয়ে চুলোর রান্নাগুলো দেখতে লাগলাম। খালামনি রান্না করতে করতে জিজ্ঞেস করছে
-কিরে বেড়ানি কেমন কাটিয়েছিস?
-অসাম খালামনি।
-তাই?
-হুমম! আচ্ছা খালামনি আমি বলছিলাম কি.. কয়েকদিনের জন্য বাড়িতে যাবো। অনেকদিন হলো যায়না।
-এটা কোনো কথা? যাবি আরকি আর তাছাড়া আমি এমনিতেও আজকে বলতাম তোকে এই কথাটা। আমি আয়াজকে বলে দিবো কাল যেনো তোদের বাসায় পৌঁছে দিয়ে আসে।
-ঠিক আছে খালামনি। এরপর রুমে এসে আইপ্যাড টা নিয়ে গেমস খেলতে লাগলাম। যেহেতু এক্সাম শেষ আর কিছুই করার নেই। তাই এসব করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই।
এরমধ্যে আয়াজ কই থেকে এসে দরজাটা অফ করে দিয়ে আমার পাশে খাটের উপর ধপ করে শুয়ে পরলো। আর বলল কিরে সারাদিন ফোনে গেমস খেলা ছাড়া আর কোনো কাজ নাই।
-আমি সারাদিন গেমস খেলি?
-তা নয়তো কি?
-কি মিথ্যে কথা। আপনি জানেন আমি এখন রান্নাঘর থেকে কাজ সেরে আসছি। আর আপনি বলেন কিনা আমি গেমস খেলি?
-ওলে বাবা তাই বলেই আঁখিকে টান দিয়ে নিজের উপর নিয়ে নিলো।
আঁখি আয়াজের উপর থেকে উঠে আয়াজের পেটের উপর বসে বলল
-হ্যাঁ তাই তো।
-ভালো। দেখি এবার আমার মাথাটা একটু চিপে দেতো। একদম লক্ষী মেয়ের মতো।
বলেই আমাকে নামিয়ে দিয়ে আমার কোলের উপর মাথা রেখে বলল নে এবার চেপে দে।
আমিও আর কিছু না বলে মাথাটা চিপে দিতে লাগলাম।
সকালবেলা আমাকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।
বাসায় পৌঁছাতে গিয়ে আম্মু কে জড়িয়ে ধরলাাম।
-কেমন আছো আম্মু।
– এই তো ভালো। তুই ভালো আছিস?
-হুম আমিও ভালো।
আরে আয়াজ তুই কেমন আছিস?
– জ্বি ছোট আন্টি ভালো। আঙ্কেল কোথায় দেখছি না যে। উনিতো বাইরে গিয়েছে। বস তোরা
খালামনি চলে যাবো আমি।
থাপ্পড় খাবি। বস খেয়ে যাবি।
-আন্ট…
– চুপ কোনো কথানা। এরপর আয়াজও আর কিছু বলল না। বসে বসে টিভি চালিয়ে দেখতে লাগলো।
আয়াজও খেয়ে দেয়ে বিকেলবেলা চলে গেলো। তবে যাওয়ার আগে একটা সারপ্রাইজ ও দিয়ে গেলো। ভাইয়া যাওয়ার আগেই আমার রুমে এসে দেখে আদিফের সাথে বসে বসে দুষ্টুমি করছি।
-আদিফ!
-হুমম ভাইয়া!
-যাতো আন্টি কিজন্য ডাকছে দেখে আয়।
-আচ্ছা বলেই আদিফ রুম থেকে বেরিয়ে চলে গেলো।
-আদিফ বের হতেই আয়াজ আমাকে বলল, আদিফের সাথে বেশি ঝগড়াঝাটি করবিনা, টাইম মতো খাবি, আর আমি কল দিলেই যেনো সাথে সাথেই রিসিভ হয়। ওকে?
– কিন্তু আমি ফোন কোথায় পাবো? আমারতো কোনো ফোন নেই।
-তখনই আয়াজ আমার হাতে একটা ব্যাগ ধরিয়ে বলে। ওপেন কর?
-আমিও আর কিছু না বলে ব্যাগটা ওপেন করতেই আমার চোখ কপালে। কজ আয়াজ আমাকে ফোন গিফট করেছে। আহা আমার আনন্দ আর দেখে কে? খুশিতে আয়াজকে একটা চুমু দিয়ে দিলাম।
-আয়াজ ও আমার খুশি দেখে হাসছে। আর বলল ফোন পেয়েছিস বলে সারাদিন এটা নিয়ে বসে থাকবি তা কিন্তু না। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চাপবি। এর বেশি নিয়ে পরে আসিছতো যেভাবে ফোন দিয়েছি ঠিক ওভাবেই কেড়ে নিবো। বুঝলি।
-হুমম।
-গুড বলেই আয়াজ আমার গালে একটা কিস দিয়ে বেরিয়ে গেলো।
বাসায় আসতেই রোজিনা চৌধুরী বলল এসেছিস আব্বু।
-হুমম আম্মু।
-আচ্ছা শোন বাবা তোকে কিছু বলতে চাই। হ্যা বলো?
-আঁখির এক্সামতো শেষ হলো। মেয়েটাকে পুত্রবধু করে ঘরে তুলতে চাই? তোর বাবাও আমাকে এই কথাটা গতকালকে বলেছে। এখন তুই কি বলিস?
-তোমরা যা ভালো বোঝ।
-তাহলেতো আলহামদুলিল্লাহ। আমি চাচ্ছি এই মাসেই নিয়েটা সেরে ফেলতে।
-ওকে। তাহলে বিয়ের বিয়ের কেনাকাটা শুরু করে দাও। আমি আজিফাকে ফোন দিয়ে বলছি। আর ছোট আন্টিকে তুমি জানিয়ে দাও।
– আচ্ছা বাবা। বলেই রোজিনা চৌধুরী রুমে চলে গেলো। আর আয়াজও রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে ল্যাবটবটা নিয়ে বসলো। বসে বসে অফিসের কাজ করতে লাগলো।
রাতেই আঁখি খেয়েদেয়ে বিছানায় শুতে যাবে অমনি ফোনটা বেজে উঠলো। স্কিনের দিকে তাকিয়ে দেখলো আয়াজ।
-আসসালামুয়ালাইকুম।
-ওয়ালাইকুমুসসালাম। কি করছিস?
-এইতো ঘুমোতে যাচ্ছি।
-রাতে খেয়েছিস?
-হুম খেয়েছি। আপনি খেয়েছেন?
-মাত্রই খেয়ে আসলাম। আঙ্কেল আন্টি কই?
– ঘুমোই।
-তাই? কবে যে এভাবে তোকে নিয়ে ঘুমোবো।
-যখন নিজের রুমে পার্মানেন্টলি শিফট করবেন তখন থেকে।
-হুমম। আর তারই তো বন্দোবস্তো করেছি আজকে।
-মানে?
-মানে আবার কি? আজকে আম্মু বাসায় আসার পর তোর আর আমার বিয়ের কথা উঠিয়েছে।
-তো আপনি কি বলেছেন?
-বললাম যা তারা ভালো বুঝে।
-খালমনি কি বলছে?
-বলল এই মাসে বিয়েটা একেবারে সেরে ফেলতে। গতরাতে আব্বু নাকি আম্মু কে আমাদের বিয়ে নিয়ে কথা উঠিয়েছে। বুঝোয়তো বয়স হয়েছে। নাতি নাতনির মুখ দেখতে চাই। আর কতোদিনই বা ধৈর্য্য ধরবে অনেকতো হলোই। আর তাছাড়া আমারোতো বাবা ডাকটা শুনতে ইচ্ছে করে। আমার প্রিন্সেস আমাকে পাপা পাপা বলে ডাকবে। আহা কি মধুর কন্ঠ।
-আঁখি আয়াজের কথাগুলো শুনে লজ্জায় লাল নিল হয়ে যাচ্ছে।
-আয়াজ ওপার থেকে ভালো করেই বুঝতে পারছে তার প্রিয়তমা লজ্জায় কুঁকড়ে আছে। তাই আরেকটু লজ্জায় ফেলার জন্য বলল
-শোন আমার কিন্তু একটা প্রিন্সেসে হবেনা। দুইটা প্রিন্সেস লাগবে। আই মিনস টুইনস বেবি। একদম তোর মতো গুলুমুলু টাইপের।
-ছিহ। আপনি এতো নির্লজ্জ কিভাবে হলেন।
-এই শোন বেবি কিভাবে হয় জানিসতো?
-ওমা এটা আবার না জানার কি আছে?
-তাই? বলতো তাহলে কিভাবে হয় সেটা।
-এটা আবার বলার কি আছে। বিয়ে হলেই মেয়েদের আপনাআপনিই বাচ্চা হয়। এটা আাবার না জানার কি আছে?
-এখনো পিচ্চিই রয়ে গেলি
-মানে
-মানে কিছুনা। বিয়ের পরে সব প্রাকটিক্যালি বুঝিয়ে দিবো। আপাতত তোলায় থাকুক।
এভাবে প্রায় অনেকরাত অবধি ফোনে নানা কথা চলতেই থাকে। কথার যেনো ফুলঝুরি খুলেছে দুজনের মধ্যে।
যার ফলে সকাল আঁখির ঘুম থেকে উঠতে অনেকটা লেট হয়ে যায়। সকালেই উঠেই মোবাইলটা হাতে নিতেই আয়াজের গুড মরনিং কলিজাটা এমন একটা এসএমএস দেখে। মুখে অজান্তেই একটা হাসি ফুটে উঠে। দেন ব্রাশ করে নাস্তা করে নিলাম। নাস্তা শেষেই উপরে উঠতে আম্মু বলে উঠলো..
-শোন আঁখি?
-হুম আম্মু। কিছু বলবে।
-কালকে বিয়ের শপিংয়ে যাবো। সকালে রেডি হয়ে থাকিস।
-আচ্ছা আম্মু। ভিতরে এসেই কেমন যেনো লজ্জা লজ্জা লাগছে। বিয়ে? আমার বিয়ে? ব্যাপারটা কেমন যেনো ভাবতেই শিহরণ বয়ে যাচ্ছে। আবার পরিবারের সবার কথা ভেবে খারাপ ও লাগছে।
পরেরদিন।
চলবে