Black Rose Part-12 (Season 03)

0
1164

#Black_Rose?
#Season_03
#The_Dark_king_of_kingdom♚
#Lamiya_Rahaman_Meghla
#Part_12

–মেঘ চোখ খুলে কাকে দেখতে চেয়েছে?
–স্যার তার বাবাকে।
–(ছোট একটা শ্বাস ফেলে) হুম ও কি বাসায় যেতে চায়?
–হ্যা স্যার বার বার বলছে আমার বাবাই অসুস্থ আমাকে ঔষধ নিয়ে যেতে হবে।
–হুম ওকে নিচে থাকা গাড়িতে উঠিয়ে ওর বাসায় পৌঁছে দেও৷ আর হ্যা ওর গলায় লকেট আর চেইনটা জদি হারায় আপনাদের হারিয়ে দিবো আমি।
–স্যার কখনো না আমরা ওটাকে ওনার সাথে করে ঘাট টাইট করে দিচ্ছি।।
–হুম।
–ওকে স্যার।
–সুইটহার্ট আমার জীবনে আমি তোমাকে গেঁথে দিয়েছি আমার থেকে তুমি আলাদা হতে পারবে না কখনো না।তোমার লকেট এ ট্রাকার আছে পৃথিবীর যে প্রান্তে তুমি থাকো না কেন লোকেশন আমি ঠিকি বের করে নিবো।
আমার খামখেয়ালির জন্য তুমি আমার থেকে এখন দুরে আমি আসছি তোমার জীবনে আবার নতুন রুপে নতুন করে নতুন আমান হয়ে সেই আগের আমান।
কথা গুলো বলেই আমান চাঁদনি খান কে ফোন দিলো,
–বাবা চিন্তা করিস না আমার মনে হয়।
–মা ১ মাস ধৈর্য ধরো ১ মাসের মধ্যে আমি তোমার কাছে নিয়ে আসবো তোমার বৌ কে।
–কি করে।
–আমি ময়মনসিংহ যাচ্ছি।
–তার পর।
–আজ থেকে ঠিক এক মাস পর ফিরে আসবো মেঘকে নিয়ে কথা দিলাম মা।
–ঠিক আছে।

এক মুহূর্তের মধ্যে জীবনের সব তচনচ হয়ে গেল।
কিন্তু মেঘ যে আমানের ওর থেকে দুরে মেঘ কখনো যেতে পারবে না।
আমান বুঝে গেছিলো মেঘের এক্সিডেন্ট হয়েছে মানে হয়তো ডক্টর যা বলেছিলো তাই হবে। হলো তাই আমান মেঘকে ট্রাক করে সেই হসপিটালে ফোন দেয়৷
আমান প্রভাবশালী লোক তাই তার কথা শুনতে তারা বাদ্ধ।


–ম্যাম নিচের গাড়িতে করে আপনি বাসায় পৌঁছে যেতে পারবেন৷
–কিন্তু।
–ম্যাম চলুন৷
মেঘ চলে আসলো৷

মেঘ ময়মনসিংহ পৌঁছে যায়।
বাসায় গিয়ে দৌড়ে ভেতরে যেতে সবাই অবাক।
–বাবা তুমি ঠিক হলে কি করে বাবা। আমি তোমার জন্য ঔষধ আনতে গেছিলাম বাবা।
–মা তুই আমার মেঘ মা৷
–এমন বলছো কেন৷
–তুই ছিলি কই৷
–কই থাকবো আমার মনে হয় এক্সিডেন্ট হইছিলো।
মেঘের আম্মু আব্বু কিছুটা আচ করতে পেরে সাভাবিক হলেন,
–মা তুই ঘরে যা অনেকটা পথ পেরোয়ছিস।
–বাবা কিন্তু।।
–আর কিন্তু না মেঘ আমি খাবার আনছি ঘরে যা (মেঘের আম্মু)

মেঘ ঘরে এসে নিজের পরনে শাড়ি আর সাজ দেখে অবাক হচ্ছে।
–আমি কি এসব পরেছিলাম। কই নাতো আমি তো। মনে পরছে না কেন কিছু আমার উফ। মাথায় যন্ত্রণা শুরু হলো।
মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো মেঘ
অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। কিছু না ভাবতে পেরেই সেন্স হারালো


–মেঘের আব্বু কিছুই বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে।
–আমি বুঝিয়ে দেয়৷
হটাৎ মেইন ডোর দিয়ে আমানের আগমন৷
যা দেখে মেঘের আম্মু বললেন,
–কে বাবা তুমি৷
–আমি আপনাদের জামাই।
–মানে।
–আসুন বসুন বুঝিয়ে বলছি৷
আমান সব ঘটনা খুলে বলে মেঘের সাথে কাটানো সব মুহূর্তের ছবি দেখায়।
–আমার মেয়েটা অনেক ভগ্যবান তাই তোমার কাছে পরেছিলো কতো খুঁজেছি ওকে ফলাফল শূন্য ছিলো। (মেঘের আম্মু)
–সারা জীবন কৃতগ্য থাকবো তোমার কাছে বাবা (মেঘের আব্বু)
–এটা বলবেন না আমি এখন আপনাদের ছেলে দয়া করে এগুলা বলে আমাকে ছোট করবেন না৷ আমি কিছু বলতে চাই আমার কথা খেয়াল করুন৷
–বলো বাবা৷
–শনুন তবে,





–কিন্তু এতে কাজ হবে।
–হতে হবে আন্টি ওকে আমি হারাতে পরবো না জীবন থেকে বেশি ভালোবাসি ওকে।
–আন্টি কি মা বলো।
–জি মা৷
আমি এখন আসি।
–তুমি কই থাকবা৷
–থাকবো একটা হোটেলে।
–কি ভাগ্য দেখ আমার জামাই আমার বাসায় প্রথম এসেছে তাও থাকতে পারবে না।
–মন খারাপ করবেন না অবশ্যই আল্লাহ তৈফেত দান করবে। আসি মা বাবা৷
–এসো৷

আমান আসার সময় মেঘের রুম হয়ে আসতে গিয়ে মেঘকে ওভাবে দেখে দৌঁড়ে ভেতরে যায়৷
–জান কি হইছে।
আমান বুঝতে পারে সে সেন্স হারায়ছে।
তাই মেঘকে বিছনায় শুইয়ে একটা ডিপ কিস করে.
–আসবো আবার তোমার কাছে আসবো তোমার কাছে আমার ভুলের জন্য আমি আজ তোমাকে এভাবে পেয়েছি ভুল আমার আমি ঠিক করবো।
কথা গুলো বলে আমান চলে আসে।।

এদিকে,
–রোজ মেঘ এসেছে।
–কি বলছো, না আপু
–অনেক কথা বাসায় আয় সব বলবো।।
–কি বলছিলো আন্টি (আকাশ ভ্রু কুঁচকে)
–আপু আসছে নাকি৷
–মানে।
–মেঘ আপু৷
–বাসায় চলো।
–বাসায়
–কথা বাড়িও না এক্ষুনি সব গুছাও।
রোজ উপায় না পেয়ে সব গুছাতে শুরু করে।
চলবে,