Crush Villain Part-17

0
6650

#Crush_Villain
#লাবিবা_ওয়াহিদ
|| পর্ব ১৭ ||

কলিংবেলের আওয়াজে মিসেস শেখর দরজা খুলে এবং দেখে আবরার এসেছে। তিনি মুহূর্তেই চরম রেগে যায় এবং একপ্রকার খেঁখিয়ে উঠে বলে,”নবাবপুত্র তাহলে আসছেন? তা রাত-বিরাত কোথায় মেলা করে বেড়ান?”

আবরার কিছু না বলে মিসেস শেখরের পাশ কেটে চলে যায়। মিসেস শেখর রেগে চিল্লিয়ে বলে,”আবরার! বড় বেয়াদব হচ্ছো তো তুমি! তোমার সাহস তো খুব বেড়েছে।(আবরারের পোশাক দেখে) বাব্বাহ ফতুয়া ছেড়ে দেখছি নতুন সাজগোছ শুরু করসেন! তা টাকা কি আপনার গাছে ধরে? যে এভাবে খরচ করছো!”

– আমি আমার মায়ের টাকা খরচ করছি তাতে আপনার কোনো সমস্যা মা?

মিসেস শেখর অবাক হলেন। আবরারের হঠাৎ বদলে যাওয়া সে হজম করতে পারছে না। যে ছেলের দিকে তার একবার চোখ রাঙিয়ে তাকালেই ভয়ে কাঁপতো আজ সেই ছেলে এভাবে কথা বলছে। ব্যাপারটা খুব হাস্যকর ব্যাপার। মিসেস শেখর চোখ রাঙিয়ে কিছু বলতে নিতেই আবরার থামিয়ে দিয়ে বলে,”আপনার ওই চোখ রাঙানো ভয় পাইনা আমি। আমি এতো বোকাও কখনো ছিলাম না যে আপনার কথায় সবসময় উঠবো বসবো!”

– আবরার!! তোমার এখন কি অবস্থা হবে ভাবতে পারছো? আর এতো রাতে কোথা থেকে ফিরলে কোথায় গিয়েছিলে তুমি? আর এতো টাকা কই পেলে?

– আপনি যখন সারাক্ষণ নাইটক্লাব, ফ্রেন্ডস, শপিং নিয়ে পরে থাকেন তখন আমি আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করেছি? আপনার তো উচিত ছিলো সন্তান হিসেবে আমাকে সময় দেয়া কখনো দিয়েছিলেন? না দেননি উল্টো এর ওর সাথে ঘুরেছেন।আসলেই এটা জম্মগত সত্যি সৎ কোনোদিন আপন হয়না।

– মাইন্ড ইউর ল্যাঙ্গুয়েজ আবরার! ঠাটিয়ে এমন চড় দিবো না যে….

– ওহ কাম অন! আপনার কোনো প্রকার অধিকার নেই আমার উপর! এতোদিন সহজ সরল ছিলাম বলে অনেক অত্যাচার করেছেন কিছু বলিনি বাট এখন আমি আর আগের আবরার নেই। সো ভেবেচিন্তে কথা বলবেন নয়তো আপনার এবাড়িতে থাকতে দেয়া হবে না।

– থ্রেড দিচ্ছো আমাকে?

– যা ইচ্ছা ভেবে নিন। এনিওয়ে আপনি আপনার রুমে যান আপনার স্বামী তো আবার আপনার অপেক্ষায় মৃতপ্রায় হয়ে যাচ্ছে।

বলেই হনহন করে নিজের রুমে চলে গেলো আবরার। আর এদিকে মিসেস শেখর রেগে বেগুন ভাজা হয়ে গেছে। মিসেস শেখর হনহন করে নিজের ঘরে চলে গেছে যাতে করে তার স্বামীকে এই ঘটনা জানিয়ে আবরারকে উচিত শিক্ষা দিতে পারেন।

আবরার ফ্রেশ হয়ে এসে বিছানায় বসে পূর্ব দিকের দেয়ালে একটা ফ্রেমে বাঁধা ছবিটি গভীর ভাবে দেখছে। ছবিটি আবরারের মায়ের। আবরার বামক হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে চোখদুটো মুছে নাক টেনে ভাঙা গলা য় বলে,”মা আজ আমি তার সাথে উচু গলায় কথা বলেছি, তার অবাধ্য হয়েছি। কি করবো বলো এই দুনিয়া যে এতো সোজা নয়। সবাই সরলতার সুযোগ নেয়। এতোদিন সহজ ছিলাম আর অপেক্ষা করেছিলাম যেনো তারা শুধরে যায়। কিন্তু না মা তারা শোধরায়নি আর কোনোদিন শোধরাবেও না। অনেক অপেক্ষা করেছি না মা এদের উচিত শিক্ষা দিতেই যে হবে। দেখেছো মা তুমি সহজ-সরল ছিলে বলে আমার বাবা নামক পশুটা কিভাবে তোমায় মেরে ফেলেছে? আমি তার শোধ তুলবো। আমায় ক্ষমা করিও মা আমি পারবো না তোমার কথা রাখতে! আমি পারবো না এই অমানুষগুলোর সাথে ভালো ব্যবহার করতে। তোমার সাথে এবং আমার সাথে করা প্রত্যেকটা অন্যায়ের শাস্তি তাদের পেতেই হবে! পেতেই হবে।

মুহূর্তেই আবরার রেগে লাল হয়ে গেলো। তারপর মায়ের ছবিটির দিকে আবার তাকিয়ে ঘুমাতে চলে যায়। চোখ বুজতেই তার চোখের সামনে মানিশার মলিন চেহারা, আনন্দিত চেহারাটা চোখের সামনে ভেসে উঠে। আবরার সাথে সাথে চোখ খুলে একটা বাঁকা হাসি দেয়। হেসে মৃদ্যু সুরে আনমনেই বলে ফেলে,”থ্যাংক ইউ! তুমি আজ আমার চোখের সামনের খোসাটা খুলে দিয়েছো। তোমায় মৃত্যু পর্যন্ত পাশে চাই মানিশা। তুমি আমার নিসঙ্গে সঙ্গ দিয়েছো। আমার একাকিত্বের বন্ধু হয়েছো। থ্যাংকিউ আমার জীবনে আসার জন্য।”

বলেই মুচকি হাসে আবরার। তারপর নিষ্পাপ বাচ্চাদের মতো ঘুমিয়ে পরে।

এদিকে মানিশা ভাবছে আবরারকে নিয়ে। তার মাথায় শুধু আবরার ভনভন করে ঘুরছে। এই আবরার কে? কি তার পরিচয়? কেন এতোদিন সে এভবে সহজ সাধারণভাবে ঘুরে বেড়াতো? আজ হঠাৎ তার কি হলো? নাহ তার সব প্রশ্নের উত্তর চাই সব! তার জানতেই হবে আবরারের আসল পরিচয়।

– মা প্লিজ আমি এই ভার্সিটিতেই এডমিশন নিতে চাই আমি চট্টগ্রাম পড়বো না।

– দেখ রুহি এটা হয়না আম…

– আরে ওকে পড়তে দে এখানে সমস্যা কোথায় সানিয়াও তো পড়ছে।(সানিয়ার মা)

– আমি রাজি হলেও ওর বাবা কিছুতেই দিবে না আর সবচেয়ে বড় কথা চট্টগ্রাম আর ঢাকা আসা যাওয়া সহজ নাকি?

– আরে ওকে চট্টগ্রাম থেকে আসতে বলেছে কে আমাদের এখানে থেকেই পড়বে!

– না আপা আমি ওরে ছাড়া কি করে থাকবো? একটামাত্র মেয়ে আমার।

– যখন বিয়ে দিবি তখনও তো একাই থাকতে হবে নাকি তার চেয়ে ভালো হয়না আগেভাগে অভ্যাস করে নিলি। আর এমন তো নয় যে আমরা রুহির বিয়ে দেয়ার কথা বলছি? রুহি এখানে পড়তে চাইছে পড়তে দে। সানিয়াও তো এখানে পড়তে চেয়েছে আমরা ওকে এখানেই এডমিশন করিয়েছি এখন দেখ কতো ভালো রেজাল্ট করেছে। ইচ্ছাটাই আসল বোন, জোর করে চাপিয়ে দেয়া ঠিক না!

– কিন্তু আপা…

– কোনো কিন্তু নয় রুহি এই ভার্সিটিতেই পড়বে ব্যাস! দুলাভাই রাজি না হলে সানিয়ার আব্বু আছে সে ঠিক রাজি করিয়ে দিবে।

খালামনি চুপ করে রইলো। কথায় আছে না নিরবতা সম্মতির লক্ষণ? রুহি সম্মতি ধরেই লাফিয়ে অত্যন্ত খুশি হয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে বলে,”থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউউউ সোওওওওও মাচ খালামনি উম্মাহ!!”

মা হেসে দেয়। দূর থেকে আমি সব দেখলাম তারপর রুমে চলে আসলাম। যাক রুহি থাকবে ভালোই হবে আর একা ফিল হবে না। ভেবেই দীর্ঘশ্বাস ফেলি। এমন সময়ই জোহান আসলো কানের সামনে ঘ্যানঘ্যান করতে। পার্টি থেকে ফেরার পর থেকে এখন পর্যন্ত ওই আয়াফের প্রসংশা শুনতে শুনতে। আমার যেই কান ভালো ছিলো সেই কানেও ঠাডা পরসে এর বকরবকরে। কি জানি কোন মধু খাওয়াইসে এই জোহাইন্নারে! কানে হাত দিয়ে বলি,”মাফ চাই ভাই এবার তো থাম! এক কথা কয়বার বলোস তুই?”

– আরে আমি তো এখনো শুরুই করিনি। আপু জানিস আমাকে সেইরকম দামী চকলেট খাইয়েছে, দামী কল্ডড্রিংকসও খাইয়েছে। আবার প্রমিস করেছে যে আমার ফেভারিট রেস্টুরেন্টে নিয়েও খাওয়াবে। দেখছিস কতো কিউট আমার ভাইয়া। আর এদিকে তুই দেখ! খয়রাতি হিসেবে ১০ টাকা দামের ডেইরি মিল্ক ধরায় দেস!”

– আর কোনো খোচা মারানি কথা তোর বাকি আছে? বাকি থাকলে এখনই বাইর কর নইলে তোর পেটে গুল্লি মেরে সব বের করবো!

– খোচা কথা কেন হবে যা সত্যি তা-ই বলেছি। আর ম্যাম বলেছে ভালো এবং চিরন্তন সত্য কথা মানুষের গায়ে কাটার মতো লাগে।

আমি রেগে বলি,”তুই কি বলতে চাস?”

– যা তুমি ভাবো না তাই!

– ফকিরা পোলা! বাইর হ ফকিন্নি! যা রুম থেকে বাইর হো!(চেঁচিয়ে)

জোহান মুখে ভেংচিয়ে বলে,”আয়াফ ভাই তোমার থেকেও হাজারগুণ ভালো!”

– তোর আয়াফ ভাইয়ের চোদ্দগুষ্টির গুল্লি মারি তুই যাবি নাকি তোর পাছায় লাথি মেরে বের করো?

জোহান ভয়ে দৌড় দেয়। আমিও রেগে ঠাসসস করে দরজা লাগিয়ে ফ্লোরে দরজার সাথে লেগে বসে থাকি। আয়াফের প্রসংশা শুনতে ভালো লাগে না তেমনটা নয় তবে ওইযে আয়াফের সাথে আমারেও খোচাবে তার সাথে কম্পেয়ার করবে এতেই মাথায় রক্ত উঠে যায়। আমার সব ভালো লাগে কারো সাথে নিজেকে তুলনা করা পছন্দ না।

আবরার ঘুমিয়ে আছে হঠাৎ দরজা কেউ ধুরুম ধারুম করে বারি দিচ্ছে। আবরার কিঞ্চিৎ পরিমাণ ভ্রু কুচকালো আর পিটপিট করে তাকালো। এমন ভাবে দরজা বারি দিচ্ছে যেনো দরজা ভেঙ্গে ভেতরে চলে আসবে। আবরার উপায় না পেয়ে বিরক্ত হয়ে উঠে দরজা খুললো। খুলে দেখে তার মহামান্য পিতা রাগি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। আর অদূরে তার নটাংকিবাজ সৎমা চোখের পানি ফেলছে। আবরার ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে আমার ভেতরে চলে আসে। তা দেখে মিস্টার শেখর আরও রেগে গেলেন। রুমে ভেতরে এসে হট্টগোল শুরু করে দিলেন। আবরার শান্ত কন্ঠে বলে,”আওয়াজ নিচে মিস্টার শেখর। এভাবে সাতসকালে কারো ঘরে এসে চেঁচামেচি করার প্রশ্নই উঠে না!”

– আবরার! আমি তোর বাপ হই.. তোর সাহস কি করে এভাবে কথা বলার? আর তা তো না তুই তোর মায়ের সাথে খারাপ বিহেভ করেছিস! এতো সাহস কই থেকে পেলি তুই? শীলা গরম খুন্তিটা নিয়ে আসো তো আজ এর ঠোঁট পিঠ পুড়ে ছাই করে দিবো!

মিসেস শেখর তৎক্ষনাৎ দৌড়ে চললো গরম খুন্তি আনতে। আজ সে আবরারের শেষ দেখে ছাড়বে! আবরার তাচ্ছিল্যের সুরে বলে,”আপনি কোনোকালেই আমার বাবা ছিলেন না আর ওই চরিত্রহীন মহিলা তো আমার বাড়ির কাজের মহিলারও যোগ্য না!”

– আবরার!!

বলেই মিস্টার শেখর আবরারের গালে চড় দেয়ার জন্য হাত তোলে তার আগেই আবরার হাত ধরে হাসতে হাসতে বলে,”আগের আবরার নই যে আপনাদের সকল অত্যাচার মাথা পেতে নিবো!”

– আমার খেয়ে, আমার বাড়িতে থেকে আমার সাথেই তর্ক করছো? এই তোমার শিক্ষা?

– ভুল বললেন এই বিশাল বাড়ি, গাড়ি আর সম্পত্তি আমার মায়ের করা। আপনি তো শুধু প্লান অনুযায়ী মাকে চিরজীবনের জন্য সরিয়ে ফেলেছেন! ভাগ্যিস আপনার প্রেমলীলা আমার মা জেনে গেছিলো তাইতো সকল সম্পত্তির হুইল আমার নামে করে গেছিলো।।!

মিস্টার শেখর অবাক চোখে আবরারের দিকে তাকায়। ততোক্ষণে শীলা গরম খুন্তি নিয়ে হাজির হয়। আবরার হেসে চট করে গরম খুন্তিটা কেড়ে নেয় এবং বলে,”এই খুন্তির ঘা টা যদি আপনাদের গায়ে পরে কেমন লাগবে?”

মিসেস শেখর অবাক হলেও মিস্টার শেখর একটা শুকনো ঢোক গিললো তারপর ঠান্ডা গলায় বলে,”বৃষ্টি সব আমার নামে লিখে গেছে এবং আমার কাছে প্রমাণও আছে!”

আবরার হাসলো তারপর বলে,”নকল হুইল দেখিয়ে আমাকে বোকা বানাবেন ভেবেছেন?”

– তোমার কাছে তো কোনো প্রমাণ নেই যে ওইগুলা নকল আর না তোমার নামে সকল সম্পত্তি হুইল করেছে ওইটারও প্রমাণ নেই।

আবরার বাকা হেসে বলে,”আছে!”

এবং আপনাদের পাপকাজেরও সকল প্রমাণ আছে। আজই আপনাদের খেলা শেষ!

বলেই ফোন হাতে নিয়ে কাকে যেনো কল করলো তারপর বলে,”আপনাদের একটা সিনেমা দেখাবো আগে নিচে চলুন!”

বলেই আবরার চলে গেলো নিচে। মিস্টার শেখর আর শীলা অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকায়।

– আকিল!

আয়াফ বিরক্তি নিয়ে তার মায়ের দিকে তাকায়। মা হেসে বলে,”কি এভাবে চেয়ে আছিস কেন?”

– তোমার এই আকিল নামের কারণে কবে জানি আমার সম্মান নর্দমায় যায়!

– হা হা তা কেন?

– তোমার এই আনকালচার নামের কারণে!(মুখ গোমড়া করে)

– তাহলে আকিকা নতুন ভাবে দিয়ে নাম বদলে নে।

– মজা নিচ্ছো?

– তাহলে আমাদের ভালোবাসার নামকে নিয়ে এমন বিহেভ করছিস কেন?

– তোমার এই আকিল আকিল শুনতে শুনতে কবে যেনো করে যাই! তখন খুশি হবা তো?

– আহা এমন করিস কেন!

– তো কেমন করবো? কতোভাবে তোমায় বুঝিয়েছি এই নামে ডেকো না। এখন শুধু তোমার পা ধরাই বাকি!

– পা কেন ধরবি?(চোখ বড় বড় করে)

– যাতে করে আমার উপর দয়া দেখিয়ে তোমার এই ডিসগাস্টিং নেইম টা বদলাও।

– তুই পা ধরলেও কোনো কাজ হবে না।

আয়াফ অসহায় দৃষ্টিতে মায়ের দিকে তাকায়। মা তো হেসে কুটিকুটি। তারপর বলে,”আচ্ছা বাদ দে তা নবাবজাদা এতো হাসেন কেন আপনি?”

আয়াফ থতমত খেয়ে বলে,”মানে?”

– এইযে কিছুদিন ধরে খেয়াল করছি কি নিয়ে আনমনে একটু পর পর হেসে চলেছেন? ব্যাপার কি হুম?(চোখ ছোট ছোট করে)

– আরে তেমন কিছু না!

– তেমন কিছু না বললেই হলো? আমি হান্ড্রেড পারসেন্ট শিওর কোনো একটা ব্যাপার আছে। তুই কি আমাকে বলবি না আকিল?(মুখ গোমড়া করে)

– উফফ মা বললাম তো তেমন কিছু না। কিছু থাকলে তো তোমাকে জানাতাম-ই‌!

বলেই আয়াফ কেটে যেতে নিলো ওমনি মক বকে উঠে,”ওহ তাই তা সানিয়া টা কে শুনি?”

আয়াফ থম মেরে দাঁড়িয়ে গেলো। তারপর আয়াফ বিস্ময়ের চোখে বলে,”মা..মানে?”

– এহ এমন ভাব ধরছিস যেনো ভাজা মাছ টা উল্টে খেতে পারিস না! সত্যি করে বল ওই মেয়ে কে নইলে তোদের মাঝে ভিলেন হয়ে দাঁড়াবো বলে দিলাম হুম!

আয়াফ হেসে মাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে,”উফফ মা! ওই মেয়েকে এগুলা বুঝিয়ে লাভ নেই। ওই আমাকে ভিলেইন বানিয়ে রেখেছে, তাও যেমন তেমন ভিলেন না একেবারে ক্রাশ ভিলেইন!”

মা হেসে দিলো আয়াফের কথা শুনে তারপর বলে,”তাই বুঝি? মেয়েটা তো তাহলে মনে হচ্ছে চঞ্চল প্রকৃতির! তবে যাইহোক তোকে ক্রাশ ভাবে এটাই অনেক। তার ব্যাপার কতোদূর এগোলো?”

আয়াফ মুখ গোমড়া করে বলে,”এই মেয়ে আমাকে বুঝলে তো সব এগোবে নাকি? এই মেয়ের মাথায় আমাকে কি করে টাইট দিবে সেই চিন্তা।”

– আচ্ছা ও কিছু হবে না, তুইও দিবি সমস্যা কি।

– হুম তবে তুমি একটা কথা বলো তো, তোমাকে সানিয়ার কথা কি যাহির বলেছে?(ভ্রু কুচকে)

– ও ছাড়া আর কে?

– হারামিটার পেটে কিছু আটকায় না সব গরগর করে বলে দিলো! এরে আমি মজা দেখাচ্ছি।

বলেই আয়াফ হনহন করে চলে গেলো। মা পেছন থেকে কয়েকবার ডাকলো কিন্তু তা আয়াফের কান পর্যন্ত গেলো না। মা হেসে নিজে নিজে বলছে,”যাক আমার এই নিরামিষ ছেলেটা কোনো এক চঞ্চল মেয়ের প্রেমে পরলো এখন শুধু বিয়ের ব্যবস্থা করার পালা!”(দাঁত কেলিয়ে)

চলবে!!!