Devil & Secret lover
লেখিকা shultana akther
Part – 1+2+3
….
ঘড়িতে ৬ঃ৩০ এর এলার্ম বেজেই চলেছে, অথচ রিয়ার ঘুম ভাঙার নামই নেই, সে বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছে।।তার আরমোড়া এখনও ভাঙেনি।।তখনি রিয়ার মা বলছে মাহরানির ঘুম কি ভাঙবে??সময় তো চলে গেলো প্রাইভেট এর। রিয়া;মা আর একটু ঘুমায় চেছাচ্ছো কেন।😕ঘুমা তর নাকি ৭ টায় প্রায়বেট।। হেয়😵😵মা আগে ডাকবা না।। রিয়ার মা কখন থেকে ডাকছি মহারানি বলেন আগে ডাকলে না কেন।
রিয়া ;ওয়াশরুমে দৌড়,,,ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে।।মা -বাবা আসছি।।
মা;না খেয়ে যাবি না,, না মা দেরি হয়ে গেছে বলে দৌড়…☺ওও হো আপনাদের তো পরিচয় দেয়নি নায়কা রিয়া আহমেদ, মা বাবা একমাএ কন্যা,, এক ভাই তার।।রিয়া হলো পগলি টাইপ আাবার গুছালো সব দিক খেয়াল রাখে।☺ বাসায় যতটা অগুছালো,, বাহিরে ঠিক ততটাই ভদ্র😀রিয়ারা এত বড়লোক না তবে দিন ভালোই চলে।,,বাবা সরকারি একজন সৎ মানুষ,,রিয়া তার বাবার আদর্শেই বড়☺😍
অন্যদিকে রুহান আজ ৪বছর পর বাংলাদেশে ব্যাক করেছে।।আর আজ সকালে মরনিং ওয়াক করতে করতে তার তার রিয়াকে দেখতে যাচ্ছে।
রুহান;৪ বছরে আমার রিয়া না জানি কতটা বড় হয়ে গেছে।। দেখতে হয়তো আরো সুন্দর হয়েছে।।☺😍😍😍
একজন দৌড়ে আসছে,,অন্যজন কল্পনা করতে করতে আসছে।।একটু পরই ঝাপাস 😱😱😱রিয়া আর রুহান, একজন অন্যজনের উপর😍😍😍💞💞
রিয়া ; কোন কানারে আমার কোমর ভেঙে দিলরে।।তর জীবনে বাল হবে না, তর বউ তকে ঝাটা পিটা করবে বলে ব্যাথা পেয়ে কাঁদছে আর বলছে😂😂😂😂😂
রুহান ; ইউ স্টুপিড, একই ধাক্কা মেরেছে আবার ফাউল বকছো হওয়াট দ্যা হেল😠😠 রুহান বুঝনি এই তার রিয়া সে এত বড় আর আরো সুন্দর হয়ে গেছে।😠রুহান চোখে দেখতে পাও না,, চোখ কী ব্যাগে নিয়ে হাটো😠😠😠
রিয়া ; আপনি চোখে দেখতে পান না হাতি😠 আপনার চোখ কই থাকে gf এর ব্যাগে।ফালতু গন্ডার 😕😕উঠেন আমার উপর থেকে আমাকে বর্তা করে ফেলছে রে😨😨😨😨 আমার কী হবে😂😂
রুহান ঃ ঐ চুপ ফালতু মেয়ে নিজে ধাক্কা দিয়ে আবার ঝগড়া করছে,, চিন তুমি আমি কে??😠😠😠
রিয়া ঃ ধুর কোন লাখপতিরে,😕😕দিল আমার প্রইভেটের দেরি করে বলে দিল দৌড়😎😎😎…..
রুহান ; ঝগরুটে মেয়েরে দোষ করলো তাও সরি না বলেই চলে গেল,,ওহহ শীট রিয়া কে দেখতে যাব দেরী হচ্ছে,, বলে হাটা ধরল।।রুহান রিয়াদের বাসার সামনে দাড়িয়ে রইল অনেকক্ষন তবে রিয়াকে বেলকনিতে পেল না। হতাস হয়ে ফিরে এল।।।😴😴😴😴
Devil & secret lover😍
লেখিকা – Shultana akther
Part-2
এই পর্বে নায়কের কথা বলার কথা ছিল,,
রুহান ; রুহানের পুরো নাম সাদিকুর রহমান রুহান। রহমান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রির মালিক সারোয়ার রহমানের একমাত্র ছেলে।।
পড়াশুনার জন্যে বাহিরে গিয়েছিল ৪ বছর পর ফিরেছে।। রুহান খুব জেদি এবং রাগী।
আর রিয়াকে রুহান ৪ বছর আগে দেখেছিল,, তখন দেখাতেই এই ছোট ক্লাস নাইনে পড়া মেয়ের প্রেমে পড়ে গিয়েছিল💞
প্রেমটা কিভাবে হলো এখন তা বলি,, রুহান মা বাবার আদরের হওয়ার কারনে যা চাইতো তাই পেতো।।একদিন বাবার কাছ থেকে নিউ কার গিফট চেয়েছিল এবং তা পেয়েছিল।।☺তা নিয়ে ফ্রেন্ডদের সাথে ঘুরতে বেরিয়েছিল।।আর মাঝ রাস্তায় রিয়া রাস্তা পাড় হওয়ার সময়,, দুম করে রুহান এর গাড়ীর সামনে পরে ব্যাথা পায়নি তবে ভয় পেয়েছিল।।
রুহান ; ভয় পেয়ে চোখ বন্ধ করে আছে মেয়েটা মারা গেল না তো।।না চোখ তুলে দেখে একটা মিষ্টি পরী তার গাড়ীর সামনে।। বসা থেকে উঠে রুহান এর দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে😠 পিচ্চি মেয়ের এমন কান্ড দেখে রুহান হাসছে।।
তা দেখে রিয়া আরো রেগে গেল বলল কানা নাকি দেখে চলতে পারেন না,, ছোট মেয়েটা যা নয় তা বলছে রুহান এর সামনে তবে রুহান কিছু বলছে না কারন,,সে প্রমে পড়ে গেছে ফেয়ার ইন লাভ।।
রুহানের ফ্রেন্ডরা তো অবাক সামন্য কথাতে যে রুহান যে কাউকে মেরে বর্তা করে ফেলে,,সে রুহান এই মেয়েকে কিছুই বলছে না😱 রুহান উল্টো সরি বলছে😍 এর পর রিয়া ক্ষমা করেছে বলে চলে গেল।
রুহানের তো হোস নেই সে এক দেনে আছে,, বন্ধুদের ধাক্কায় তার হোস ফিরল।। সে তার মায়াপরীকে খুজছে আর পেল না,, সে চলে গেছে।।এর পর যে যার মত।
রুহান ; রুহান খেতে বসতে শুধু মায়াপরীর কথা মনে বসে,,যে কিনা কোন মেয়ের দিকে তাকাত না,,সে একটা পিচ্চি মেয়ের প্রেমে পড়ল💑
পরেরদিন রুহান খুজ নিয়ে জানল মেয়েটার নাম রিয়া। ডানমিন্ডতে তাকে ছোট একটা ফ্যামেলি তাদের।।আর সে ক্লাস নাইনে পড়ে৷ এর পর থেকে রুহানের অভ্যাস হয়ে গেল প্রতিদিন মায়াপরীকে একনজর দেখার।। একবার দিনে রিয়াকে দেখতে রুহান আসতই।। রিয়াকে দেখা তার প্রতিদিনের বাজে অভ্যাস হয়ে গেছে।।
বন্ধুমহলে রুহানের এমন আচরনে সবাই অবাক😱 রুহান ভাবছে এমন পিচ্চি মেয়েকে কিভাবে প্রেমের কতা বলবে,,আদো সে বুঝবে😴 এইভাবনায় মগ্ন।। রুহানের মা-বাবাও রুহানকে নিয়ে চিন্তিত এমন পরিবর্তনে😴
কেমন হলো জানাবেন ভাল মন্তব্য আাসা করছি☺
চলবে,, continue…
Devil & secret lovers😍
লেখিকা – Shultana akther
Part – 3
রুহান ; না এইভাবে আর মায়াপরীর থেকে দূরে থাকা সম্ভব না। যে ভাবেই হোক মায়পরীকে নিজের করতে হবে।। তার জন্য বিয়া আর এই পিচ্চিকে তার মা বাবা বিয়ে দিবে।। আর না দিলে তুলে আনব।।
তবে এনে খাওয়াবো কী? মান সম্মানের বিষয়৷ মায়াপরীকে নিজের করতে হলে আগে নিজের পায়ে দাড়াতে হবে 😴
অন্যদিকে রিয়া আাসায় ফিরে ছোট ভাইয়ের সাথে খেলায় মাতলো☺
রুহান বাসায় গিয়ে বলল মম – ডেড আমি অফিসে জয়েন করতে চাই।
মা বাবা তো অবাক যে ছেলে আড্ডা ছাড়া কিছু বুঝে না, সে অফিস যাবে ডাল মে কুচ কালা হে😕😕
রুহানের বাবা ; অফিস যাবে তার আগে পরাশুনা শেষ করতে হবে, আরো ২ বছর লাগবে, মা বাবা একটু বুঝ।। বুঝব তুমাকে বাহিরে যেতে কবে থেকে বলছি, এতদিন গেলে তোমার ব্যাবসার উওর কোর্স শেষ হয়ে যেত। রুহান ওকে আমি যাব 😴
রুহানের মা বাবা অবাক এতদিন ধরে বলে রাজি করাতে পারলাম না হঠাৎ হলো কী😱
তোমরা সব কিছু রেডি কর, যত তাড়াতাড়ি পার।।
রুহান ; মায়াপরী তোমাকে নিজের করতে আমাকে দূরে যেতেই হবে। ফিরে এসেই তোমাকে নিজের করব।। এই ভেবে রুহান কল্পনায় ডুব দিল, ভালবাসার স্বপ্নে😍
এদিকে রুহানের সব কিছু রেডি বাহিরে যাওয়ার।। কালই ফ্লাইট ১০ টায় তাই সে ভাবছে কখন সকাল হবে আর সে একবার মায়াপরীকে দেখবে,, এর পর বহুদূরে অনেকদিনের জন্য।।
রুহান ; আমি দূরে যাব তবে তোমাকো নিজের পাহারায় রাখব,, ফুলের টোকাও লাগতে দিব না মায়াপরী মায় লাভ😍
সকালবেলা রুহান তার মা – বাবাকে বলল তোমরা এয়ারপোর্টে যাও আমি আসছি একটু কাজ আছে।।
রুহান চলে গেল মায়াপরীকে দেখতে,, গিয়ে দেখল মায়াপরী সকালবেলা ফুলগাছে পানি দিচ্ছে।। তখনি লক্ষ্য করল নিচে একটা গাড়ি,, তবে কার আর আমাদের বাসার সামনে কেন রিয়া ভাবছে এই ভেবে রিয়া নিচে নামতে বের হল।।
আর অন্যদিকে রুহান ও চলে আসল রিয়া নিচে এসে কোন গাড়ি পেল না।
রুহান এয়ারপোর্টে যাওয়ার আগে রিয়ার উপর নজর রাখতে লোক টিক করে রপখে গেল। আর বলল তার মায়াপরীর কিছু হলে সবকটার প্রান নিবে।।এর পর চলে আসল।।
ফ্লাইটের সময় হয়ে গেল মা বাবাকে বলে রুহান বিমানে উঠে গেল।।আর গো টু আমেরিকা…..
আর রিয়া ভাবছে আজও একটা বদ ছেলের থেকে কিছু লোক আমাকে বাঁচাল,, অনেকদিন ধরেই দেখছি কেউ আমাকে আড়াল থেকে রক্ষা করছে।। যে কোন বিপদ থেকে বাঁচাচ্ছ।। সে কে?? বাসায় ফিরে রিয়া এটাই ভাবছে।।
চলবে.