# Devil & secret lover😍
লেখিকা – Shultana akther
part – 29+30
…….
রুহান অফিসে গেলো,,গিয়ে দেখে নিলা আগে থেকেই বসে আছে,,
রুহান বলল নিলা তুমি এখানে কেন,
রুহান তোমার কাছে আসতে কারন লাগবে নাকি হুম😠এমনি এসেছি,,
ওহ আচ্ছা ভালো,রেগে যাচ্ছো কেন,,,,তো দেশে এতোদিন বিয়ে করার পরিকল্পনা আছে নাকি আঙ্কেল এর বিজনেস দেখবে কোনটা,,
নিলা ; বিয়ের পরিকল্পনা ছিল তবে ভালো ছেলে কোথায়,,তোমার মতো কেউ হলে ভেবে দেখতাম
রুহান ; হা হা হা,,আমার মতো আমার তো ভাই নেই, তো দেশে তো ভালো ছেলের অভাব নাই,,খুঁজো পাবে অবশ্যই,,
নিলা বলল হুম,,পরে নিলা আর রুহান নানা গল্পে মসগুল হলো,,
অন্যদিকে রিয়া তার শাশুড়ীর সাথে নানা বিষয়ে কথা বলছে,,পরে কথার ফাঁকে বলল মা,,,আমার এক বন্ধুর সাথে দেখা করার ছিল,,অনেক ছোট বেলার,, ওও রিকোয়েস্ট করছিল দেখা করতে আজকে,,এখন কি যাবো??
রুহানের মা বলল তুমি আমার মেয়ের মতো,,কোন বাঁধা দিব না,,তবে বুঝে শুনে চলবে,,বাড়ির মানসম্মান যায় এমন কিছু করো না,,যেও দেখা করতে,,আর যাওয়ার আগে রুহানকে ফোন দিয়ে বলে দিয়ো কেমন।।
রিয়া বলল জী মা বলবো,,
তো যাও রেডি হয়ে নাও সময় তো হয়ে গেলো,,
হুম মা যাচ্ছি,,,
রুহান এর মিটিং আছে সে মিটিংয়ে ডুকলো,,নিলা রুহানকে বলল মারকেটে যাবো কিনা কাটা করতে,,বলে চলে এলো,,
রিয়া রেডি হলো,, পরে রুহান কে ফোন দিলো,,রুহান মিটিংয়ে থাকায় ধরতে পারেনি,,
রিয়া তার শাশুড়ী মাকে বলে জাহিদের দেওয়া ঠিকানায় চলে গেলো,
…এসে দেখে জাহিদ বসে আছে,,দুইজন নানা বিষয়ে কথা বলছে,,কি করলো এতোদিন এই সেই,,নিরব লোক লাগিয়ে ওদের ছবি তুলেছে,,
নিলাও সেই জায়গায় এলো,, এসে রিয়ার আড়ালে বসে ছিলো,,
জাহিদ নানাভাবে রিয়াকে টাচ করছে হাতে,,রিয়া না করলেও শুনলো না,,
জাহিদ বললো আমরা ছোট বেলার বন্ধু এতো রিয়েকট কেন করছো কাম অন রিয়া,, বন্ধু তো,
রিয়া বললো দেখো জাহিদ এখন আমি আর ছোট নেই,,আমার বিয়ে হয়ে গেছে সো প্লিজ,, হাত ধরো না,,,ভালো দেখায় না
নিলা আড়াল থেকে রুহানকে ফোন দিলো বললো,,রুহান রিয়া কোথায়,,
রুহান বললো বাসায়,,কেন
নিলা বললো রিয়াকে রেস্টুরেন্ট ই একটা ছেলের সাথে দেখলাম,,অনেক হাসাহাসি করছে,,আমি এসে ছিলাম কফি খেতে পরে দেখলাম,,
রুহান নিলাকে বললো সিউর তুমি নিলা,,
হুম রুহান মিথ্যা কেনো বলবো,,,আচ্ছা বিশ্বাস না হলে তোমাকে পিক দিচ্ছি,,
নিলা রুহানকে কতগুলো ছবি দিলো জাহিদ যখন জোড় করে রিয়ার হাত ধরেছিলো,,
রুহান ছবি দেখে অবাক,,,ও রিয়াকে ফোন দিলো,,রিয়া ফোন ধরলো না,,রুহানের ভিষন রাগ হচ্ছে,,
রুহান বাসায় ফোন দিলো,,দিয়ে জানলো রিয়া তার কোন বন্ধুর সাথে দেখা করতে গেছে,,
রুহান ভাবছে বন্ধু হলে এতো হাত ধরাধরি কিসের, এই ছেলের সাথেই তো রিয়ার ছবি দেখেছিলাম গতকাল,,তবে কি সত্যি রিয়ার এই ছেলের সাথে রিলেশান আছে,,রিয়া আমাকে ঠকাচ্ছে?? কেন রিয়া??রুহানের ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে,,
রিয়ার ফোন সাইলেন্ট ছিলো তাই রুহানের কল দেখেনি,,
রিয়াকে জোড় করে জাহিদ বিয়ের গিফট বলে একটা শাড়ি কিনে দিলো,,আর পরে দুজন বাহির হলো,,রিয়া না করলেও শুনলো না,,জাহিদ রিয়াকে বাসায় নামিয়ে দেয়,,
রিয়া বাসায় আসে,,তার শাশুড়ী বলছে রিয়া রুহান ফোন দিয়েছিলো তোমাকে পায়নি ফোনে,,
রিয়া তখনি ফোন চেক করলো,,হুম মা আসলে ফোন সাইলেন্ট ছিলো বুঝিনি,,আমি ওনাকে ফোন দিচ্ছি,,,
হুম ফোন দিয়ে জানিয়ে দাও,,,
রিয়া রুহানকে ফোন দিলো রুহান ফোন ধরলো না,, বিকেলো রুহান নিলাকে নিয়ে বাসায় এলো,,আসার পর থেকে রিয়ার সাথে কথা বললো না,,রিয়া কিছু জিজ্ঞেস করলেও এরিয়ে গেছে,,,
আর নিলা তো রুহানকে ছাড়চেই না,,নানা ভাবে আটার মতো লেগে আছে,,
রিয়ার ভিষন রাগ হলো তাও কিছু বললো না,,
নিলা সন্ধায় চলে গেলো,,,
রুহান উপরে রুমে গেলো,,রিয়াও পিছনে পিছনে গেলো,,, রিয়া বললো আমার সাথে কথা বলছেন মা কেন?? কি দোষ করলাম বলেন
রুহান তাও কিছু বললো না,,
রিয়ার রাগ হচ্ছে,, জোড়েই বললো হয়েছে কি?
রুহান বললো আমার কথা বলতে হবে কেনো তোমার তো লোকের অভাব নাই,,ভালোই তো চলছে
রিয়া বললো মানে কি কি ভালোই চলছে??বলেন কি??
রুহান বললো ভালোবাসো কাউকে তুমি রিয়া?? ভালোবাসলে বলো তুমাকে মুক্তি দিয়ে দিবো?
রিয়া রেগে বললো এসবের মানে কি/?কাকে ভালবাসবো,,আমি ভালবাসি নাকি আপনি কাউকে ভালোবাসেন সেটা বলতে চাইছেন,,আমাকে দয়া দেখাতে বা জিদে বিয়ে করেছেন কোনটা,,আমার দাম ফুরিয়ে গেছে
রুহান রেগে রিয়ার ঘারেধরে কাছে এনে বললো,, তুমি কবে আমার হলে যে তোমার দাম ফুরিয়ে যাবে,,আমার সামনে এক বাহিরে আরেক,,কেন রিয়া,,আমার কি কম আছে যে তুমি আমাকে ভালোবাসো না,,,অন্য একটা ছেলেকে ভালো বাসো তাও মিথ্যে বলছো,,বাহিরে নুংরামো করে বেড়াও,,
রিয়া ; মানে কি ছাড়েন লাগছে,,কাকে ভালোবাসি বলেন,,বাহিরে কি করেছি আমি বলেন,,
রুহান রিয়াকে ধরে বললো এসব কি কার ছবি এইগুলো??কার সাথে ডেইটে গিয়েছিলে??কে এই ছেলে??
রিয়া বলল ও শুধু বন্ধু আমার আর কিছু না,,আর আজ ওর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলাম,, আপনাকে ফোন দিয়েছিলাম আপনি ধরেননি,,আর আপনার ভাবনা এতো নিচ জানতাম না,,না জেনে আমার গায়ে হাত তুললেন,,ছি ছি
রুহান বললো হুম বন্ধু এতো বন্ধু যে হাতধরা ধরি করতে হবে,,গলায় গলায় ভাব,,আর আমি বললেই ছি,,,,আগে নিজে ঠিক হও,,রুহান রিয়াকে ধাক্কা মেরে ফেলে বেড়িয়ে গেলো বাসা থেকে,,,
রুহান ধাক্কা দেওয়াতে রিয়া খাটের কোনায় পড়ে কপাল কেটে গেলো,,ব্যাথায় আহ করে উঠলো,,কপাল থেকে রক্ত পড়ছে,,রিয়া উঠে কপালের রক্ত মুছে ঔষুধ লাগালো,,,
রিয়া তার শাশুড়ী মার কাছে বলল খাবে না,,এসে শুয়ে পড়ল,,শুয়ে শুয়ে কাঁদছে,,,
নিলা জাহিদকে বললো রিয়াকে ফোন দিতে,,
তখনি জাহিদের ফোন এলো,,রিয়া ধরলো না,,বেশ অনেকবার ফোন দিলে রিয়া ধরলো,,
হুম হ্যালো জাহিদ বলো,,
জাহিদ ; কি করো রিয়া কি হয়েছে,,ফোন ধরতে এতো দেরি,,
না এমনি বলো,,কি করো,,
জাহিদ নানা আগের কথা বললো,,যা বলাতে রিয়া হাসাহাসি করছিল,, রিয়া প্রায় ১ ঘনটা কথা বললো,, পরে রেখে দিলো,,,
রিয়া শুয়ে ভাবছে ওনি আমাকে ভুল বুঝলো,,এই ওনার ভালোবাসা,,,আমার গায়ে হাত তুললো,,,আর ওনি ছবিগুলো কার থেকে পেলো,,কে দিলো ওনাকে, কে আমার আর ওনার সম্পর্ক ভাঙতে চাইছে,,😢😢
রুহান বারে বসে মদ খাচ্ছে,, রুহান এই প্রথমবার এত বেশি মদ খাচ্ছে কষ্ট পেয়ে,,আগে খেলেও এতো না,,,রুহান ১১ টায় বাড়ি ফিরলো,,
রুহান রুমে গিয়ে ঘুমন্ত রিয়াকে দেখছে নিচে বসে,,কি মায়াবী মুখ দেখলে বুঝাই যায় না কতটা নিকৃষ্ট,, কেন মায়াপরী এমন করলে,,কি দোষ ছিলো আমার,,রুহান রিয়ার ফোন চেক করলো হঠাৎ,, চেক করতেই দেখলো জাহিদ নামে কারো সাথে অনেক ক্ষন কথা,,রুহানের আরো রাগ বেড়ে গেলো,, ছি রিয়া,,বর থাকতেও এসব,, রুহান এসব একা একা বলতে বলতে ঘুমিয়ে গেলো,,,
সকাল বেলা রুহানের ঘুম ভাঙলো আগে,,,উঠে তার মায়াপরীর মুখ দেখছে।কতটা মিষ্টি দেখতে,,
কালকের ঘটনা মনে পড়তেই,,রুহান উঠে ওয়াশরুম থেকে পানি এনে রিয়ার মুখে ছুরে মারলো,,,
রিয়া ধরফরিয়ে উঠলো,,বললো কেকে কি,,চোখ মেলে ভালো করে চেয়ে দেখে রুহান,,রেগে বলল এসবের মানে কি😠😠
রুহান ; বসে বসে কত খাবে যাও উঠে সবার জন্য নাস্তা তৈরি করো,,বাড়ির বউ এতো বেলা পযন্ত ঘুমায় না,,তাড়াতাড়ি তারপর অফিস যাবে,, কাজ করো তাহলেই বাহিরে মমস্তি করার সখ চলে যাবে,,দেরি হলে খবর আছে যাও,, ধমক দিয়ে,,
রিয়া ; রিয়া রুহানের এই রুপ দেখে ভয় পেয়ে গেলো,,তাড়াতাড়ি করে নিচে নেমে গেলো,,
চলবে,,
#Devil & Secret Lover😍
লেখিকা – Shultana akther
Part- 30
…,,
রিয়া ভয়ে দৌড়ে হাতমুখে পানি দিয়ে নিচে যাচ্ছে,,
রুহানের এমন আচরন করতে ভিষন কষ্ট হয়েছে,,তাও তাকে বুঝতে হবে সব,,যা ভাবছে সব সত্যি নাকি কিছু ভুল আছে,,আর কেনই এসব,,
রিয়া নিচে নেমে দেখে তার শাশুড়ী রান্না ঘরে চা করছে,,রিয়া বলল দিন মা আজ আমি রান্না করি৷
না বউমা আমি পারবো,,
রিয়া ; মা দিন, একদিন করে খাওয়াই,,আসার পর থেকে কিছু করা হয়নি,,আজকে অন্তত না করবেন না,,
আচ্ছা করো,,তবে সাবধানে,,লিজা তোমাকে সাহায্য করবে,,
(লিজা বাড়ির কাজের মেয়ের নাম,,ছোট তেকেই এখানে থাকে,,)
রিয়া বলল না মা লাগবে না,,আমি একাই পারবো,,স্যার না করেছে কারো সাহায্য নিতে,,নিলে বকবে(মনেমনে ভাবছে)
রিয়া একা একা সব করছে চা করে তার শশুর শাশুড়ীকে দিলো,,আর রুহানের জন্য কফি করে লিজাকে দিয়ে পাঠালো,,
রুহান লিজার হাতে কফি দেখে রেগে গেলো,,বললো রিয়া কোথায়,,তুই কেন
ভাইজান,,বউমনি তো রান্না করতাছে,,তাই আমাকে দিতে বলছে,,,
রুহান ; যা কফি রেখে 😠
লিজা কফি রেখে দৌড়,,
রুহান রাগে আর কফি খেলো না,,নিজে না এসে কাজের মেয়েকে দিয়ে কফি পাঠানো বুঝবে তুমি,,😠
রুহান নিচে নেমে রিয়াকে কিচেনে দেখছে,,একদম পিচ্চি বউ বউ লাগছে,,বাড়ির বউ এর মতো কোমরে আচল গুজে রান্না করছে,,যা রুহানকে টানছে নেশার মতো,,,রুহান রিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে,, রিয়ার কাছে গিয়ে গারে মুখ গুজে কিস করে দিলো,আর কোমরে হাত দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো,,
আচমকা এমন হওয়ায় রিয়া ভয়ে জমে গেলো,,পরে স্পর্শে বুঝলো এটা রুহান,,বলল স্যার ছাড়েন,,কেউ দেখলে কি বলবে,
রুহান রিয়ার কথায় ছেড়ে দিয়ে রেগে বললো কি ভাবছো আদর করতে ধরেছি না,,পেট দেখা যাচ্ছে ঢেকে কাজ করো,,নাকি মানুষকে পেট দেখানোর সখ হয়েছে,,😠
রিয়া ; বা বাহ নিজের আদর করছে আবার নিজেই কথা শুনাচ্চে আজব
রুহান ; চুপচাপ কাজ করো তাড়াতাড়ি,, পরে আবার অফিস যেতে হবে ফাস্ট করো,,
চুরের মায়ের বড় গলা,,আদর করছিল এসে আর আমি বললেই দোষ,বিড়বিড় করে
রিয়া নাস্তা রেডি কর সবাইকে দিলো,,সবাই খেতে বসলো,,
রুহানের মা বললো বউমা তুমিও বসে পরো,,
রুহান ; রিয়া আগে রেডি হয়ে এসো,,অফিসে জন্য দেরি হয়ে যাবে,,যাও
রুহানের বাবা ; রিহান বউমা অফিস যাবে কেনো,এসব কি কথা?
রুহান ; বাবা ও এখনও আমার পিএ,,আর ও ছাড়া আমার কাজ কে করে দিবে,,ওকে ছাড়া আমার চলবে না পাপা। রিয়া যাও তুমি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে আসো,,।
রিয়া উপরে গেলো রেডি হতে,,রেডি হতে হতে রিয়ার সময় লাগলো একটু,,
রিয়া নিচে নামতেই রুহান বললো রিয়া এতো দেরি করলো,,চলো তাড়াতাড়ি
রুহানের মম ; রুহান বউমা খাবে না,না খেয় যাবে নাকি,,
মা রিয়া অফিসে খেয়ে নিবে,, আমি আছি তো রিয়া চলো,,
রিয়া রুহানের পিছে পিছে গাড়িতে গিয়ে বসলো,,
রুহানের পাপা বললো ছেলে আমার বউ পাগলা হয়েছে,,বউ ছাড়া কিছুই বুঝে না,,বউকে নিয়ে অফিস যাচ্ছে হা হা হা,,
রুহান ; রিয়া সীট বেল্ট লাগাও,,
রিয়া লাগাতে চেষ্টা করলো পারছে না,,
রুহান রিয়ার কাছে গিয়ে বেল্ট লাগিয়ে দিলো,,
রিয়ার পেটে খিদেতে ইদুর দৌড়াচ্ছে,, রিয়া মনেমনে বকছে বেটা খাটাশ,,নিজে খেলো আমাক খেতে দিলো না,,তর পেট খারাপ হবে,😠ডেবিল লুচ্চা
রিয়া ব্যাগ খুজে দেখলো ঐ দিনের একটা চকলেটই আছে,,রিয়া খওয়া শুরু করলো,,,
রুহান রিয়ার হাত থেকে চকলেট নিয়ে নিজে খেতে শুরু করলো,,,
রিয়া ; আরে আরে আমার চকলেট,, আমি খাবো দেন এটা,😂আর আমার মুখ লাগানোটা খাচ্ছেন কেনো?কিনে নেন দিন না
রুহান ; নানা আর খাওয়া যাবে না,,আর তোমাকে কিস করতে পারলে মুখ লাগানো চকলেট খাওয়া যাবে না কেনো,,
রিয়া লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো,, এই লোকের মুখে কিছু আটকায় না,,,
রুহান আর রিয়া এক সাথে অফিসে ডুকলো,,সবাই অবাক স্যার বউ নিয়ে অফিস এসেছ,,
রুহান সবাইকে ধমক দিয়ে বললো আমাকে দেখেননি কোন দিন হা করে আছেন কেনো,,সবাই যার যার কাজে যান,,,সব দৌড়
রিয়া রুহানের পিছনে পিছনে কেবিনে গেলো,,
কেবিনে গিয়েই রুহান নানাভাবে রিয়াকে খাটাচ্ছ,, এটা আনো ওটা আনো,,,রিয়া দৌড়তে দৌড়াতে হাপিয়ে গেছে,,
রুহান ; রিয়া কফি আনো আমার জন্য,,
রিয়া,, হুম আনছি,,
কিছু সময় পর,, স্যার কফি,,
রুহান ; আজ কিছু মিশাও নিতো,,,মনে আছে ঐ দিনের কথা,,
রিয়া ; না স্যার কিছু নেই খেয়ো দেখেন
আগে তুমি খাও,,
রিয়া খেলো স্যার নিন,,
রুহান বললো হুম এইবার ঠিক আছে,,
রুহান আবার বললো যাও কিছ চিজ আর ড্রিংস নিয়ে আসো।
রিয়া হুম যাচ্ছি,, রাক্ষস নাকি মাত্র খেয়ো এলো আবার খাবে,,বিড়বিড় করছে
মিস রিয়া বিড়বিড় শেষ হলে যান,,
রুহান ভাবছে আর হাসছে,,তোমার শাস্তি এটা,,আমি খাবো আর তুমি দেখবে,,
স্যার খাবার,,
রুহান ; হুম এখানে আনো,,,রুহান রিয়াকে কোলে বসিয়ে দিলো,,বললো খাইয়ে দাও কাজ করছি দেখছো না,,
রিয়া স্যার নামান আমাকে আমি দাড়িয়ে খাইয়ে দেই,,
বেশি কথা পছন্দ না,,চুপচাপ খাইয়ে দাও,,
রিয়া বাধ্য মেয়ের মতো খাইয়ে দিচ্ছে, রিয়ার খাবার দেখে আরো বেশি খিদে লাগছে,,কিন্তু কিছু করার নাই,,,,,রিয়া রুহানকে খাইয়ে দিচ্ছে,, আর রুহান বসেবসে খাচ্ছে,, আর রিয়াকে জালাচচে।
রিয়াকে এতো কাছে পেয়ো রুহানের আদর করতে ইচ্ছে হচ্ছে,, তবে না রিয়ার মনে তো আমি নেই এই ভেবে নিজেকে সামলে নিলো,,
রুহান বললো রিয়া মাথাটা টিপে দাও,,রিয়া মাথা টিপছে,, আর রুহান রিয়ার গলায় মুখ লাগিয়ে রিয়ার ঘ্রাণ নিচ্চে,,
কিছু সময় পর,, নিলা আসলো,,রুহান আসবো,,
ওহ নিলা আসো,,
রিয়াকে রুহানের কোলে দেখে নিলা ভিষন রেগে গেলো,,তাও রাগ চেপে বললো বাহ রুহান অফিসেও রুমান্স করছো ভুল সময়ে চলে এলাম,,আমি যাই বরং
রুহান ; আরে মা নিলা ওর সাথে আবার রুমানস,, আমাী মাথা ব্যথা করছিলো তাই আরকি,,তা তোমার কি খবর,,যাক তুমি এসে ভালোই করেছো,,বোর হচ্ছিলা,,রুহান রিয়াকে শুনিয়ে শুনিয়ে বললো,,ওহ রিয়া তুমি যাও নিলার জন্য কফি নিয়ে আসো
রিয়া ; হুম যাচ্ছি,, মনেমমে বলছে,,বোর তো হবিই লুচ্চা বর,,বউ রেখো অন্যজনকে নিয়ে ঘুরে😢😂ডায়নি রাক্ষসি আমার বরের দিকে নজর দেয়
নিলা তোমার কফি,,
রুহান বললো রিয়া এবার তোমার কেবিনে যাও,,পরো ডেকে নিবো,,এখন নিলার সাথে গল্প করি,,
নিলা তো ভিষন খুশি,, যাক একটু হলেও দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে,,,,নিলা বসে জাহিদকে এসএমএস করো দিলো যাতে রিয়াকে ফোন দেয়,,দিয়ে কথা বলে,,,
রিয়া কেবিনে বসে আছে একা একা,, ডায়নিটার সাথে বরটাকে রেখে এলাম,,কি জানি করে,,,
তখনি জাহিদ ফোন করলো,,রিয়ার ইচ্ছে না হলোও ধরতে হলো,,
হুম বলো
রিয়া তোমার কি মন খারাপ
না তো কেন,,
তো এমনি কতা বলছো কেনো,,
না এমনি বলো,,
জাহিদ নানান কথা বলছে তা শুনে রিয়ার ভিষন হাসি পাচ্ছে,,, রিয়ার তো পেট ফেটে হাসি আসছে,,
দুইজনই হাসাহাসি করছে,,,
রুহানের খেয়াল হলো,,রিয়া কারো সাথে হেঁসে হেঁসে কতা বলছে,,যা রুহানের সহ্য হলো না,,হয়ত সেই বয় ফ্রেন্ড আবার,,না রিয়া এমন করতে পারো না,,,তোমাকে তো 😠😠😠রুহান রিয়াকে ডেকে পাঠালো,,রিয়া বললো আসছি,,,
রিয়ার আসত একটু দেরি হচ্ছে,, রুহান আরো রেগে গেলো,,,
চলবে,,,