Divorce Part-35

0
5022

💔#Divorce💔
Writer: Tahmina Toma
Part: 35

হৃদয়ঃ জ্যোতি মেয়েটাকে আমি চিনি,,,,। ও কিন্তু সত্যি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে,,,

রিয়াদঃ তুই জ্যোতির সম্পর্কে সব জানতি,,,??

হৃদয়ঃ হুম,,,, সব জানি,,,

রিয়াদঃ সব জানার পরও অফিসে জব দিতে বলছিস,,,(শান্তভাবে)???

হৃদয়ঃ হুম,,,(মাথা নিচু করে,,,,,),,,,

ঠাসসসসসসসসস

হৃদয়ঃ (অবাক হয়ে ভাইয়ার দিকে তাকালাম,,,,) ভাইয়া,,,,

রিয়াদঃ No,,,, you won’t call me that,,,,, আমি কারো ভাইয়া নই,,,,, তুই যদি আমাকে নিজের ভাই ভাবতি,,, সিয়াকে ভাবি ভাবতি,,, তাকে ভালোবাসতি,,, তাহলে তার জায়গায় অন্যকাউকে বসানোর চেষ্টা করতি না,,,,,,, সিয়া তো তোকে কম ভালোবাসেনি,,,, এই তার ভালোবাসার প্রতিদান দিলি,,,,

হৃদয়ঃ কিন্তু ভাইয়া সে এখন আমাদের মাঝে নেই,,, অনেক তো হলো এবার নতুন করে বাঁচার চেষ্টা করো,,,, যে নেই তার স্মৃতি আঁকড়ে আর কতো পড়ে থাকবে,,,,,

রিয়াদঃ অন্তরাকে ভালোবাসিস তাই না,,,,,??

হৃদয়ঃ হুম বাসি,,,এর সাথে অন্তরার কী সম্পর্ক,,,??

রিয়াদঃ অন্তরার জায়গায় অন্যকাউকে কল্পনা করতে পারিস কি না দেখ তো,,,,,??

(কথাটা বলে রিয়াদ আর দাড়ালো না,,,, হনহনিয়ে বাড়ির দিকে চলে গেলো,,,,)

হৃদয়ঃ না না,,,,, অন্তরার জায়গায় আমি কাউকে ভাবতে পারবো না,,,,, এটা আমি কল্পনায় ও আনতে পারছি না,,,, অন্তরার সাথে আমার মাত্র এক বছরের পরিচয়,,,,, বিয়ের এখনো ২৪ ঘন্টা হয়নি,,,, এখনই আমি ওর জায়গায় অন্যকাউকে ভাবতে পারছি না,,,,, তাহলে ভাইয়া তার আঁট বছরের ভালোবাসা কীভাবে ভুলে যাবে,,,,,?? চোখের সামনে না থাকলেও তার অনুভবে তো ভাবি এখনো আছে,,,, কীভাবে সেই অনুভূতি অন্যকারো নামে করে দিবে,,,,,?? সরি ভাইয়া,,,, আমি তোমার কষ্ট বুঝতে পারিনি,,,,,, মাফ করে দাও,,,,

(হৃদয়ও ধীরে ধীরে বাসার দিকে গেলো,,,, সিয়াম ঘুম থেকে ওঠেই হৃদয়ের রুমে গিয়ে বেডে বসলো মুখ ফুলিয়ে,,,, )

অন্তরাঃ সিয়াম,,,,,,

সিয়ামঃ,,,,,,,,,,,

অন্তরাঃ কী হয়েছে আমার বাবাটার,,,,,,??

সিয়ামঃ তোমাল সাতে আমাল আলি,,,,,,,

অন্তরাঃ কেন বাবা,,,, মা কী করেছে,,,,??

সিয়ামঃ তুমি আমাল সাতে ঘুমাওনি কেনো,,,?? আমি তোমাকে কতো খুঁজলাম,,,,,

অন্তরাঃ সরি বাবা,,,,, আর এমন হবে না,,,,, আজ থেকে আমরা একসাথে ঘুমাবো আর গল্প করবো,,, এখন তাড়াতাড়ি ব্রাশ করে নাও,,,, নাহলে দাঁতে পোকা হবে তো,,,।

সিয়ামঃ আগে তুমি পমিস করো আমাল সাতে ঘুমাবে,,,,

অন্তরাঃ প্রমিস,,,,, এবার চলো,,,,,

(অন্তরা সিয়ামকে ফ্রেস করিয়ে এনে ড্রেসিংটেবিলের সামনে টুলে দাঁড় করিয়ে হাতমুখ মুছে দিচ্ছে,,, হৃদয় রুমে এলো মুখ ভাড় করে,,, কিছু বলছে না,,,, চুপচাপ বেডে গিয়ে বসলো,,)

অন্তরাঃ কী হয়েছে আপনার,,,,,??

হৃদয়ঃ কিছু না,,,,, সিয়াম আজ এতো আগে উঠেছে যে,,??

অন্তরাঃ জানি না,,,,, একটু আগে এসে বেডের ওপর মুখ ফুলিয়ে বসে ছিলো,,,,,(মুচকি হেসে,,)

হৃদয়ঃ কেন বাবা কী হয়েছে,,,??

সিয়ামঃ মা পতা,,,,,,

হৃদয়ঃ কেন মা আবার কী করেছে,,,( কপাল কুঁচকে অন্তরার দিকে তাকিয়ে,,)

সিয়ামঃ আমাল সাতে না ঘুমিয়ে তোমাল সাতে ঘুমিয়েছে,,,, পতা মা,,,,

হৃদয়ঃ (অসহায় মুখ করে সিয়ামের দিকে তাকালাম,,,, বেটা বলে কী,,,?? আমার বউ আমার কাছে আসতে দিবে না,,,??)

অন্তরাঃ(উনার মুখ দেখে ফিক করে হেঁসে দিলাম,,,, হঠাৎ হাসি থেমে গেলো,,,) আপনার গালে কী হয়েছে,,,??? লাল কেন,,,,,??

হৃদয়ঃ ক,,,ক,,,কই,,,, কিছু না,,,, এলার্জি হয়েছে মনে হয়,,,,গতকাল মনে হয় এলার্জির কিছু খেয়েছি,,,,

অন্তরাঃ ওহ্ ,,,,,,,

রিয়াদঃ আমাকে নিয়ে তোমাদের এতো প্রবলেম হলে বলো আমি বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছি,,,, (চিৎকার করে,,,)

হৃদয়ঃ ভাইয়া এতো চেচামেচি কেন করছে,,,,??

অন্তরাঃ কী জানি,,,,??

হৃদয়ঃ তুমি সিয়ামকে দেখো আমি আসছি,,,, ওকে নিয়ে ওখানে যেয়ো না,,,, ভয় পাবে,,,

অন্তরাঃ ঠিক আছে,,,,,,

(হৃদয় রিয়াদের চেচামেচি শুনে ড্রয়িংরুমে চলে গেলো,,,,,)

মাঃ আমি খারাপ কী বলেছি,,,,,?? সিয়ার মৃত্যুর তিন বছর পার হয়ে গেছে,,,,,, আর কতো এভাবে থাকবি তুই,,,,,,?? নিজের জীবন এবার গুছিয়ে নে,,,

রিয়াদঃ আমাকে নিয়ে তোমাদের এতো ভাবতে হবে না,,,, আমি বলেছি আমাকে নিয়ে তোমরা ভাবো,,,,,?? আমি ভালো আছি,,,, আমাকে আমার মতো থাকতে দাও,,,

মাঃ তুই ভালো নেই,,,,সেটা আমিও জানি আর তুই ও,,,, আর কতো লুকিয়ে কাঁদবি,,,, আমি তোকে এভাবে দেখতে পাচ্ছি না,,,,, আমিও তো মা আমার কষ্ট হয় তোকে এভাবে দেখতে,,,,,,

রিয়াদঃ ok fine,,,,, তোমাদের কাউকে আর আমাকে দেখতে হবে না,,,,,, কিন্তু একটা কথা কান খোলে শুনে রাখো সিয়ার জায়গায় আর কেউ কোনদিন আসবে না,,,,, কোনদিন না,,,,

মাঃ সিয়ার জায়গা আমি দিতে বলছি না,,,,থাকতে দে সিয়াকে সিয়ার জায়গায়,,,,, যে আসবে সে নাহয় নিজের জায়গা নিজে করে নিবে,,,,

রিয়াদঃ রিয়াদের জীবনে আর কারো তিল পরিমাণ জায়গা হবে না,,,,,, আর আজকের পর থেকে তোমাদের যেন এটা নিয়ে চিন্তা না করতে হয় সেই ব্যবস্থা করছি,,,,,।

মাঃ কী করবি তুই,,,,?? (ভয় পেয়ে)

রিয়াদঃ আমাকে না দেখলে আমার কষ্টও আর দেখতে হবে না তোমাকে,,,, আর আমাকেও আর এই কথাগুলো বারবার তোমাদের বুঝাতে হবে না,,, যে আমার জীবনে সিয়া ছিলো আর শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত সিয়াই থাকবে,,,,(আস্তে আস্তে গেইটের দিকে পিছাতে পিছাতে,,,,)

মাঃ কই যাচ্ছিস তুই,,,,( ভয় পেয়ে,,,)

রিয়াদঃ জানি না,,,, তবে যেখানে গেলে সিয়াকে ভুলতে বলা হবে না আমাকে সেখানে ,,,,,

মাঃ আ,,,আমি আর কিছু বলবো না,,,, তুই কোথাও জাস না,,,,,

রিয়াদঃ এই কথা অনেকবার বলে ফেলেছো তুমি,,,, আর ভুলবো না তোমার এই কথায়,,,,,

হৃদয়ঃ ভাইয়া,,,,, কী বলছিস এসব,,,??

রিয়াদঃ মা আর সিয়ামের খেয়াল রাখিস,,,,,,,(ঘুরে চলে যেতে যেতে)

অন্তরাঃ ভাইয়া,,,,,,,??

(অন্তরার ডাক শুনে রিয়াদ থেমে গেলো,,,,, হৃদয় যখন তার মায়ের পেটে ছিলো তার খুব শখ ছিলো একটা ছোট পরীর মতো বোন হবে,,,, অন্তরার ভাইয়া ডাক রিয়াদের মনে আঘাত করলো,,,,)

অন্তরাঃ আমার সম্পর্কে কতটা জানেন আমি জানি না,,,,,। সিয়া আপু আর আপনার সম্পর্কে আমি সবই জানি,,, কাউকে ভালোবাসা অন্যায় নয় ভাইয়া,,,,, আপনি সিয়া আপুকে ভালোবাসেন আর জ্যোতি আপনাকে,,,,,। কিন্তু আপনি তাকে না করে দেওয়ার পর সে আপনার সামনে আসবে না এটুকু আমি তাকে চিনি,,,,। আর মা আপনাকে এসব বলে কারণ সে চায় আপনি ভালো থাকুন,,,,। আপনি ভালো নেই সেটা আপনিও জানেন আর সবাই জানে,,,,,। মা শুধু আপনার ভালোর জন্যই বলেছে,,,,। আপনি যদি না চান এসব নিয়ে আর কেউ আপনাকে কিছু বলবে না আমি কথা দিচ্ছি,,,। কিন্তু এখন আপনি বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে মা কষ্ট পাবে,,,,, আর আমাকে শুনতে হবে অপয়া,,,,,। সবাই বলবে বাড়িতে পা রেখেই বাড়ির বড় ছেলেকে বাড়ি ছাড়া করেছে,,,,। আমার জায়গায় আপনার বোন হলে আপনি চাইতেন আপনার বোন এসব কথার সম্মুখীন হোক,,,,। এ বাড়িতে আপনাকে আর কেউ কিছু বলবে না এসব নিয়ে,,,,, আমি কথা দিচ্ছি,,,, এখনও যদি আপনি চলে যেতে চান আমি কিছু বলবো না,,,।

(রিয়াদ অন্তরার কোন কথার উত্তর না দিয়ে ঘুরে নিজের রুমে চলে গেলো হনহনিয়ে,,,,)

মাঃ আজ ওকে আটকানোর সাধ্য কারো ছিলো না,,, তোমার কথায় থেমে গেছে,,,,, সুখী হও মা,,,,,(অন্তরার মাথায় হাত রেখে,,,)

অন্তরাঃ ভাইয়া যদি আপুর স্মৃতি নিয়ে থাকতে চায়,,,, তাহলে তাকে তার মতো থাকতে দেওয়াই ভালো,,,,,,। বারবার এসব বললে হয়তো নিজের ক্ষতি করে বসবে,,,,,। আমার মনে হয় উনাকে উনার মতো থাকতে দেওয়াই ভালো,,,,।

মাঃ হুম,,,,, আর কিছু বলবো না ওকে,,,,,,

(হৃদয়ের মা নিজের রুমে চলে গেলো,,,)

হৃদয়ঃ ম্যাডাম কী ম্যাজিক জানেন,,,??

অন্তরাঃ যে কাজ মানুষকে রাগ দেখিয়ে করানো না যায় সেই কাজ ভালোবেসে বললেই অনেক সময় হয়ে যায়,,,,,। ভাইয়ার মতো মানুষ আমি কমই দেখেছি,,,,,। কেউ কাউকে এতটা ভালোবাসতে পারে,,,?? ভাইয়াকে না দেখলে বুঝতেই পারতাম না,,,

হৃদয়ঃ আমিও পারি অনেক ভালোবাসতে,,,, (পেছন থেকে অন্তরাকে জড়িয়ে ধরে)

অন্তরাঃ হুম,,,, ঠিক বলেছেন,,,,,। আমার মতো অন্তরা আমাদের চারপাশে অনেক আছে,,,,, সারা জীবনই কষ্টের সাথে লড়াই করেই কাটে আমার মতো অন্তরাদের,,,,,,,। সবার পাশে আপনার মতো কেউ দাঁড়ায় না,,,,, আপনার মতো দ্বিতীয় কেউ হয়তো নেই পৃথিবীতে,,,, আপনি আর ভাইয়া ভালোবাসার দুটি উদাহরণ,,,,,,

হৃদয়ঃ এবার বেশি বেশি বলে ফেলছো,,,,,। এমন ভালোবাসার পাগল অনেক আছে,,,,। এমনও প্রেমিক হয় তার ভালোবাসার মানুষের দশটা বিয়ে আর ডিভোর্স হলেও তার হাত ধরতে একবার ভাববে না,,,, শুধু সঠিক মানুষটিকে চিনে নিতে ভুল করি আমরা,,,,,। আমাদের কাছে যা আছে তার মূল্য না দিয়ে আমাদের কাছে যা নেই তার পিছনে ছুটি,,,,। মরিচীকার পেছনে ছুটে যা থাকে তাও হারিয়ে ফেলি,,,,,,,। আমার মতো অনেক হৃদয় আছে যারা ভালোবাসার মূল্য পায় না,,, হয়তো সমাজে তারা প্রতিষ্ঠিত নয় বলে,,,,। আজ আমি যদি এই পজিশনে না থাকতাম,,,,, কোন বেকার ঘুরে বেড়ানো ছেলে থাকতাম,,,, তোমার পরিবার আমার ভালোবাসার মূল্য দিতো এতো সহজে,,,,?? কখনো না,,, আমার মতো হৃদয় থাকে কিন্তু তাদের ভালোবাসার মানুষের হাত আঁকড়ে ধরার মতো শক্তি থাকে না,,,।

অন্তরাঃ সমাজটা বড় অদ্ভুত,,,,,। ভালোবাসা পেলে স্বার্থ খোঁজে,,,, আবার স্বার্থ পেলে তখন ভালোবাসা খোঁজে,,,,,। ইট-পাথরের দালান-কোঠায় শুয়ে একটু ভালোবাসার সন্ধান করে,,,,,। আবার কেউ কুড়ে ঘরের অঢেল ভালোবাসা পায়ে ঠেলে ইট-পাথরের দালান-কোঠায় থাকার স্বপ্ন দেখে,,,,,,। যার কাছে যা আছে তা নিয়ে সে সন্তুষ্ট নয়,,,,,, যা নেই তা পাওয়ার জন্য পাগল হয়,,,।

হৃদয়ঃ হুম,,,,,, এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা,,,,। আমাদের কাছে যা আছে তার মধ্যে সুখ খোঁজে নেওয়ার চেষ্টা করি না আমরা,,,,,,

সিয়ামঃ মা,,,,,,,,,,

হৃদয়ঃ (সিয়ামের গলা শুনে একটু দূরে সরে গেলাম,,,) নাও এসে গেছে মায়ের চামচা,,,,,। তুই কই ছিলি এতোক্ষণ,,,,,

(সিয়াম যেনো হৃদয়কে কোনো পাত্তাই দিলো না,,, অন্তরার পা জড়িয়ে ধরলো,,, অন্তরা কোলে তুলে নিলো সিয়ামকে)

সিয়ামঃ মা,, আমলা নানা বালি কথন যাবো,,,,

হৃদয়ঃ এ্যা,,,, এটা আবার কোথা থেকে শিখলো,,,,??

অন্তরাঃ তোমার নানা,,নানু,,, মামা,,,, মামি সবাই আমাদের নিতে আসবে তখন যাবো,,,,

সিয়ামঃ ইয়ে,,,, কী মদা,,, নানা বালি যাবো,,,,

হৃদয়ঃ এটা তুমি শিখিয়েছো,,,,??

অন্তরাঃ হুম,,,,, আচ্ছা একটা কথা বলবো,,,??

হৃদয়ঃ হুম,,,, বলো,,,,

অন্তরাঃ আপনাদের বাড়িতে কোন মেহমান নেই কেন,,,,??? এতো চেচামেচি হলো কেউ আসলো না,,, কেমন চুপচাপ সারা বাড়ি,,,,।

হৃদয়ঃ প্রথমত বলো আমাদের বাড়িতে কোনো মেহমান নেই কেন,,,?? এটা এখন তোমারও বাড়ি,,। দাদা বাড়ি সম্পর্কে আমি কিছু জানি না,,,, জ্ঞান হওয়ার পর থেকে নানা,,, ভাইয়া আর মা এরাই আমার পৃথিবী,,,, আমার মা আমার নানার একমাত্র মেয়ে তাই মামা বা খালা কেউ নেই,,, কাজিন আসে আছে কিছু তারা বিয়েতে গিয়েছিলো,,, অনেক রাত পর্যন্ত আড্ডা দিয়েছে সবাই,,,, তাই হয়তো ঘুমাচ্ছে এখনো,,,, ব্রেকফাস্ট টেবিলে দেখো কতগুলো। কমিউনিটি সেন্টারে আরো অনেকে আসবে দেখো,,, আর পড়া প্রতিবেশীর সাথে আমাদের তেমন চলাফেরা নেই,,,,,। তারাও সবাই শুধু অনুষ্ঠানেই আসবে,,,,

অন্তরাঃ ওহ্

হৃদয়ঃ রুমে চলো,,,,,,

অন্তরাঃ হুম,,,,
,,,,,,

জ্যোতিঃ(ঘুম ভাঙতেই ফোন খুঁজতে লাগলাম,,,,। ফোন হাতে নিয়ে দেখি ম্যাসেজ,,,, গুড মর্নিং,,,,, কী শুরু করেছে টা কী,,,,?? কল করলাম,,,, দুবার রিং হওয়ার পর রিসিভ করলো,,,,

গুড মর্নিং,,,,,,

জ্যোতিঃ (গলাটা কেমন চেনা চেনা লাগছে,,) কে,,,,??

তোমার হাসবেন্ড,,,,,,

জ্যোতিঃ সকাল সকাল ফাজলামি করেন আমার সাথে,,,,?? আমার বিয়ে হয়ে গেলো আর আমি জানি না,,,??

হয়নি,,,, তবে খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে,,,, রুমের বাইরে বের হয়ে দেখো,,,,

জ্যোতিঃ মানে,,,,,,??

চলবে,,,,