Game Part-07

0
681

#Game
#মিমি_মুসকান ( লেখনিতে )
#পর্ব_৭

ভোরে ‌মেহেরিন’কে টেনে বিছানা থেকে তুলে আনে নীল। তবুও সে ঘুমে ঢলছে। নীল কোনোমতে ওকে অভ্র’র সামনে আনে। মেহেরিন মিটি মিটি চোখে অভ্র কে দেখে বলে..
– দা এতো সকাল সকাল কেন ডেকেছো আমায়!

– এক্সারসাইজ করতে!

অভ্র’র কথায় মেহেরিন এর চোখের ঘুম নিমিষেই উধাও হয়ে যায়। সে চোখ মেলে আশেপাশে তাকিয়ে দেখে সবাই এখানে। অতঃপর সে বলে ওঠে..
– এক্সারসাইজ এতো ভোরে! কেন দা!

– এটা তো আগেও করতে তবে মাঝখানে ৫ বছরে আমার মনে হয় না একদিন ও করেছো তুমি, যাই হোক এখন থেকে এটা তোমাকে করতে হবে কজ তুমি একজন ডান্সার। এক্সারসাইজ না করলে বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ঠিক থাকবে না শেষে ডান্স করতে পারবে না আর এভাবেও এখন তোমার প্র্যাকটিস করা দরকার।

– কিসের?

– তোমার উপর এখন যেকোনো সময় আক্রমণ হতে পারে সেটার প্রস্তুতি! আর শুধু তুমি না আমরা সবাই করবো প্রতিদিন সকালে উঠে!

– খান দের রক্তে এইসব নেই দা।

– না থাকলে করতে হবে, নাও শুরু করো!

মেহেরিন বিরক্তি চোখে তাকিয়ে দেখে নিশি আর নিহা’র হাল তার মতোই তবে ইহান, রোদ্দুর আর কাব্য বেশ খুশি। তার মানে এটা তাদের’ই কাজ। কাল রাতে ঘুমাতে দেয় নি বলে এরকম টা করেছে। তবে নীল ভাইয়া কিছুর মধ্যে নেই। সে নিরপেক্ষ শুধু অভ্র দা’র হ্যাঁ তে হ্যাঁ মিলাবে। যাই হোক অনিচ্ছাকৃত ভাবে তাকে সব কিছু করতে হলো। অতঃপর শাওয়ার নিয়ে এসে টেবিলে বসল নাস্তা খেতে। সচরাচর মেহেরিন নাস্তায় পরোটা খায় তবে আজ অন্যকিছু ছিল যা সে কখনো দেখেনি। সে একবার সেটা মুখে দিতেই বুঝতে পারল এটা খেতে মোটেও ভালো না। অতঃপর তাকিয়ে দেখে সবার খাবার একই। দা দিকে তাকাতেই দা বলল…
– এখন থেকে তেলে জাতীয় খাবার খাওয়া বাদ। এসব হেলদি খাবার খেতে হবে।

– কিন্তু এটা খেতে মোটেও মজা না।

– তবুও খেতে হবে। খাও!
মেহেরিন কিছু না বলে খেতে থাকে। জানে বলে লাভ নেই। মেহেরিন’র সব ইচ্ছা সে পূরন করবে তবে এসব খাবার – দাবার , ব্যায়াম, পড়ালেখা এসবে গাফিলতি কখনো করবে না। যাই হোক, মেহেরিন কোনোমতে খাবার শেষ করে সোফায় এসে বসে। কিছুক্ষণ পর, একটা চিপস খেতে যাবে তখন রোদ্দুর সেটা ওর হাত থেকে কেড়ে নেয়। মেহেরিন ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থাকলে রোদ্দুর ওর হাতে একটা কাগজ দিয়ে বলে..
– এই নে এসব খাবার তোকে খেতে দেওয়া যাবে না!

মেহেরিন কাগজ টা নিয়ে পড়তে শুরু করে..
– বার্গার, পিজা, চাইনিজ, ফুচকা, সব স্ট্রিট ফুড খাওয়া বাদ। আইসক্রিম তিন দিন পর একবার। চকলেট প্রতিদিন এক প্যাকেট এর বেশি না! এইসব কি!

– যা দেখছিস তাই!

ইহান উঠে বলে..
– রিভেঞ্জ ইজ রিভেঞ্জ জান!

কাব্য বলে উঠে..
– এখন বুঝো ঠেলা।

মেহেরিন কিছু বলতে যাবে দেখে অভ্র আসছে। মেহেরিন অভ্র’র কাছে গিয়ে বলে..
– দা এইসব!

– পেয়ে গেছো! এটা তোমার খাবার রুটিন বুঝলে। তোমার দি আর নিশি কে দিয়ে দেবে।

– কিন্তু দা!

– আমি লেট হচ্ছি আদুরী এসে কথা হবে।
অতঃপর আদুরীর কপালে একটা চুমু খেয়ে চলে যায় অভ্র। মেহেরিনকে দেখে ইহান ওরা হাসতে থাকে। মেহেরিন ওদের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলে..
– রিভেঞ্জ এর রির্টান কিন্তু খুব খারাপ হবে।

কাব্য মেহেরিন এর গাল টেনে বলে..
– ওকে ডান জান!
.
দুপুরে মেহেরিন মোটেও এইসব খাবার খাবে না। তাই লুকিয়ে বাড়ির দেওয়াল টপকে বের হয়ে যায়। পড়নে একটা হুডি আর জিন্স। মুখে ব্লাক মাস্ক, সামনের ছোট ছোট চুল গুলো সামনে এসে পড়ছে। পুরো রাস্তা খালি, দোকান পাট প্রায় সব’ই বন্ধ। মেহেরিন এক হাতে আইসক্রিম নিয়ে সেটা খেতে খেতে বাজারের দিকে যায়, দেখে কিছু স্ট্রিট দোকান আছে। সে নাচতে নাচতে দোকানের সামনে যায়। অতঃপর ফুচকা খাওয়া শুরু করে। খেতে খেতে ১৯ নাম্বার ফুচকা মুখে দিয়ে দিয়েছে। তার ফর্সা মুখ ঝালে লাল হয়ে গেছে। ২০ নাম্বার ফুচকা’টা নিতে যাবে হঠাৎ কেউ তার সামনে এসে দাঁড়ায়। মেহেরিন তাকিয়ে দেখে ইহান দাঁত বের করে হেঁসে দাঁড়িয়ে আছে। মেহেরিন একটা ঢোক গিলে দাঁত বের করে হেসে বলে..
– তুই এখানে!

– কেমন দিলাম! বাসা থেকে পালিয়ে এখানে এসে এসব খাচ্ছিস। আর আমরা সবাই খুঁজতে খুঁজতে হয়রান তোকে। আইডিয়া আছে কোনো কি রকম অবস্থা হয়েছে আমাদের।

– ওহ আচ্ছা!
বলেই ফুচকা টা নিতে যাবে এর আগেই ইহান ওর হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে। মেহেরিন লাফিয়ে লাফিয়ে বলে যাচ্ছে…

– আমার শেষ ফুচকা, আমার শেষ ভালোবাসা! কি করছিস তুই!

– অনেক খেয়েছেন আর খাওয়া লাগবে না চল এখন।

– এ্যা এ্যা আমি খাবো ওটা!

– না আর না এমনেতে অনেক খেয়েছিস আর না।

– দেখ ছাড় না আমাকে,

– জ্বি না চলুন!

– আমি কিন্তু চেঁচামেচি করবো।

– Whatever!

মেহেরিন চেঁচিয়ে বলতে থাকে…
– বাঁচাও বাঁচাও আমাকে ছেলে ধরা ধুরি মেয়ে ধরা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কে আছো বাঁচাও আমাকে।

– আরে আরে কি করছিস!

– কে আছো বাঁচাও আমাকে!

– চুপ কর বোন, শেষে তো পাবলিক প্লেসে মার খাওয়াবি আমাকে।
বলতে বলতে লোকজন এসে জড়ো হয়ে গেল। একটা গন্ডগোল হতে যাবে তার আগেই ডেভিল চলে আসে। অতঃপর সে সব কিছু কন্ট্রোল করে মেহেরিন কে বাসায় নিয়ে আসে। কিন্তু এখানে ইহান একবারের জন্যও মেহেরিনের হাত ছাড়ে না। মেহেরিন আনমনে তার শেষ ফুচকার স্বাদ ভেবে যাচ্ছে। ইশ কতোই না মজা লাগতো খেতে।

বাসায় এসে দেখে সবাই ডয়িংরুমে বসে আছে। মেহেরিন ঢোকার সাথে সাথে অভ্র তাকে জরিয়ে ধরে। অতঃপর মাথায় চুমু খেয়ে বলে..
– ঠিক আছো তুমি? কিছু হয়নি তো? কোথায় গিয়েছিলে?

মেহেরিন হতাশ মুখ করে সামনে হেঁটে মেঝেতে গালে হাত দিয়ে বসে পড়ল। নিহা অবাক হয়ে ওর সামনে এসে বসল। অতঃপর জিজ্ঞেস করল..
– কি হয়েছে?

– আমার শেষ ভালোবাসা!

ইহান বাদে সবাই একসাথে…
– কিহহহ?

অভ্র মেহেরিন’র কাছে এসে বলে..
– কি বললে তুমি?

ইহান বলে উঠে..
– তার শেষ ভালোবাসা, শেষ ফুচকা উনি খেতে পারি নি

ইহানের কথায় সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। মেহেরিন আবারও আনমনে বলে..
– ইশ্ শেষ ফুচকার স্বাদ টা কি ভালোই না হতো।

ইহান বলে উঠে..
– ১৯ টা ফুচকা খেয়েও তোর ওই ১ টা ফুচকা খেতে না পাওয়ার আফসোস এতো। দা জানো এইসব খাওয়ার জন্য’ই তোমার বোন বাড়ি থেকে লুকিয়ে বের হয়েছিল।

মেহেরিন রেগে ইহানের দিকে তাকিয়ে বলে..
– জানিস না, শেষ ভালো যার সব ভালো তার। আমি তো সেই শেষ টাই খেতে পারলাম না।

অভ্র মেহেরিন এর মাথায় হাত রেখে বলে..
– ওহ আচ্ছা এই ব্যাপার, আমি এক্ষুনি তোকে বানিয়ে খাওয়াচ্ছি! কিন্তু এইসব এর জন্য বাড়ি থেকে পালানোর কোনো দরকার ছিলো না।

– তো কি করবো আমি, তুমি আমাকে এসব খেতে মানা কেন? এসব না খেয়ে কি থাকতে পারি আমি।

– আমি তো তোমার ভালোর জন্যই বলেছি!

– হুহ এসব না খেয়ে থাকলে আমি থাকতে পারি না। এখন চলো আমাকে বানিয়ে খাওয়াবে তুমি!

– আচ্ছা!
মেহেরিন উঠে দু’কদম হাঁটার পর’ই হঠাৎ করেই অজ্ঞান হয়ে গেল। সবাই একসাথে ছুটে এসে ওকে ধরে। মেহেরিন অভ্র’র কোলেই শুয়ে পড়ে। নিহা নিশি’র দিকে তাকিয়ে বলে..
– নিশি!

নিশি বলে উঠে..
– আজকে মেডিসিন নেবার ডেট ছিল। তাই এমন হয়েছে!

কাব্য বলে উঠে..
– আমি এক্ষুনি ইনজেকশন নিয়ে আসছি।

অতঃপর কাব্য ইনজেকশন নিয়ে আসলে নিশি মেহেরিন’র হাত ধরে ইনজেকশন পুশ করে। কিছুক্ষণ পর মেহেরিন এর জ্ঞান ফিরে। অভ্র যেন প্রান ফিরে পায়। অতঃপর তাকে সোফায় বসিয়ে খাবার খাইয়ে দেই। না খাওয়ার কারনেই মূলত দুর্বল ছিল সে। আর এই দুর্বলতা তার অসুস্থ কে ‌বাড়িয়ে দিয়েছে।

মেহেরিন শুয়ে আছে অভ্র’র কোলে। ডক্তর আংকেল কিছুক্ষণ আগে এসে দেখে গেছে মেহেরিন কে। অভ্র তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। পাশে’ই সবাই বসে আছে। হঠাৎ’ই ডেভিলের আগমন হয় সেখানে। অভ্র জিজ্ঞেস করে..
– কি হয়েছে ডেভিল?

– স্যার’রের কল! কথা বলতে চায় আদুরীর সাথে!

মেহেরিন এক লাফে উঠে পড়ে। অতঃপর তাড়াহুড়ো করে ডেভিলের হাত থেকে ল্যাপটব নিয়ে বসে পড়ে। তার বাবা শুভ্র খান কল করেছেন ভিডিও কলে!
মেহেরিন একগাল হাসি দিয়ে বলে উঠে..
– হেই বাপি!

– আরে আমার প্রিন্সেস যে! কেমন আছো মামনি!

– আলহামদুলিল্লাহ এতো গুলো। তুমি?

– আলহামদুলিল্লাহ! অভ্র, নিহা , ইহান ওরা সবাই ভালো আছে।

– হ্যাঁ তা তো থাকবেই।

– মামনি! কোথায় গিয়েছিলে আজকে, কাউকে কিছু না বলে হুট করে।

– ফুচকা খেতে গিয়েছিলাম, জানো আমার শেষ ফুচকা আমাকে খেতে দেয় নি।

– কে দেয় নি।

– এই হাতির ডিম ইহান’টা!

ইহান বলে উঠে..
– না মামা, এর কারন আছে।‌ ভাইয়া ওকে এসব খেতে মানা করেছে। তাই ও বাসা থেকে পালিয়ে এসব খেতে গেছে।

শুভ্র খানিকক্ষণ হেসে অভ্র কে বলে..
– মামনি যা খেতে চায় ওকে তাই দাও!

– কি বাবা তুমি তো জানো এইসব…

– হুম জানি, তবে তুমি হয়তো ভুলে গেছো। ছোট বেলা থেকেই ওর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ভালো। এটার জন্য শুধু ওকে পর্যাপ্ত ব্যায়াম করালেই হবে। খাওয়া দাওয়ার উপর এতো নজর না দিলেও চলবে তবে টাইমলি খাওয়াতে হবে।‌ আর মামনি এইসব বাজে খাবার এখন একটু কম খাও তোমার শরীর ভালো না।‌ ডক্তর এসব খেতে বারণ করেছে তোমাকে!

– হুহ!

শুভ্র কাব্য কে বলে..
– পড়ালেখার খবর কি তোমাদের!

– হুম ভালো।

– কোনো কিছু নিয়ে কি সমস্যা আছে।

নিহা বলে উঠে..
– না বাবা। এখানে সব ঠিক আছে, তোমার ওখানে!

– আপাতত ঠিকই আছে। তবে খারাপ লাগে তোদের ছাড়া থাকতে।

কাব্য বলে উঠে..
– তবে মামা বেঁচে থাকতে হলে তো থাকতে হবে।

রোদ্দুর বলে উঠে..
– তুমি জানো তো আমাদের সাথে থাকাটা তোমার জন্য কতো রিস্কের!‌

শুভ্র বলে উঠে..
– এভাবে বেঁচে থাকার কোনো অর্থ নেই রোদ্দুর! একদিন বুঝবি তোরা!

মেহেরিন বলে উঠে…
– তবে ততোদিন তুমি বোঝো আমাদের!
শুভ্র মেহেরিনের কথায় দীর্ঘশ্বাস ফেলে। সে জানে চাইলেও সে তাদের সাথে থাকতে পারবে না। কারন একটাই ওদের দুর্বলতা সে। তাইতো অধরা’র মৃত্যুর পর তাকেও অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয় যাতে তার কিছু না হয়ে যায়। তবে সে কোথায় আছে এটা শুধু মেহেরিন আর অভ্র’ই জানে। এই একই কারনে রোদ্দুর, ইহান আর কাব্য তাদের ফ্যামিলির সাথে থাকে না। কারন ওরা তাদের দুর্বলতা। মাফিয়া হয়ে নিজের দুর্বলতা সবার সামনে রেখে দিলে সেটা বোকামি ছাড়া কিছু’ই না। যেহেতু অধরা খান রোদ্দুর, ইহান আর কাব্য কে ছেলে বলেই মানতো তাই তারা তাকে মামনি বলেই ডাকতো। ওই সূত্রে তারা শুভ্র কে মামা বলে ডাকে।

এদিকে আনহা এই নিয়ে ৩২ বার কল করলো অভ্র কে কিন্তু অভ্র তুলে নি। তুলবে কিভাবে? সে ফোন সাইলেন্ট করে ঘরে রেখে দিয়ে বাইরে চলে গেছে। আর এখানে বেচারি আনহা’র অবস্থা খারাপ হতে থাকে। কারন মেহেরিন এর কথা শুনে অভ্র মিটিং ছেড়ে চলে গেছে। যার কারনে মিটিং অসমাপ্ত আছে। তবে এভাবে হুট করে যাওয়াতে আনহা বেশ ভয় পাই। সত্যি কিছু হয় নি তো আবার। তার মধ্যে এই লোকটা ফোন কেন তুলছে না। রেগে আনহা ঠিক করলো কাল সকালের খান বাড়িতে যাবে সে। দেখে আসবে কিছু হয়েছে কি না ওখানে!

যথারীতি আনহা এসে পড়ল খান বাড়িতে। তাকে দু’বার চেক করে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। বেশ হবাক হলো সে। যাই হোক, বাড়িতে ঢুকে কারো দেখা পেলো না। একজন সার্ভেন্ট এসে দরজা খুলে দিল। তবে পাশের ঘর থেকে অনেক শব্দ আসছে। আনহা সার্ভেন্ট’র কাছে অভ্র’র কথা জিজ্ঞেস করল। সে বলল ” অভ্র স্যার রুমে আছেন, কিছুক্ষণ পর অফিসের জন্য বের হবে। ওই যে তার রুম”।

বলেই সার্ভেন্ট চলে গেল। আনহা হাঁটতে হাঁটতে ঘরের বাইরে দরজার আছে আসল। দরজায় টোকা দিতে গিয়ে দেখল দরজা খোলা। সেও স্যার স্যার বলে ডাকতে ডাকতে ঘরে ঢুকে গেল। নাহ কেউ নেই ঘরে। ওয়াসরুম থেকে আওয়াজ আসছে, মনে হয় স্যার শাওয়ার নিচ্ছে। আমি বরং বের হয়ে যাই। অতঃপর বের হতে গেলেই একটা ছবির দিকে নজর গেলো। ছোট বাচ্চার ছবি, স্যার এর সাথে অনেকটা মিল। আমি সেই ছবি টা দেখতে লাগলাম। হঠাৎ তখন কেউ যেন দা দা বলে চেঁচিয়ে আসছিল। এরমধ্যে স্যারও মাথা মুছতে মুছতে বের হয়ে এলো!

#চলবে….