Game Part-10

0
594

#Game
#মিমি_মুসকান ( লেখনিতে )
#পর্ব_১০

আনহা রেগে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। মেয়েটা ব্যাগ থেকে টিস্যু টা বের করতেই যাবে এর আগে আনহা টেবিল থেকে টিস্যু নিয়ে অভ্রকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে স্যুট’টা মুছে দিতে লাগল। মেয়েটা তো অবাক কিন্তু মারাত্মক অবাক হয়েছে অভ্র। সে হা হয়ে তাকিয়ে আছে। তার মাথায় কিছুই ঢুকলো না কিন্তু এই মেয়েটার সামনে চেঁচিয়ে কিছু বলতে পারছে না। আনহা বলে উঠে..
– তুমি চলো যাও, আমি আছি এখানে হুম!

মেয়েটা কিছু না বলেই চলে গেলো। মেয়েটা যেতেই অভ্র আনহা’র হাত ধরে বলল..
– কি হচ্ছে টা কি আনহা, কি করছো এইসব। কেউ দেখলে কি বলবে?

– ওহ্ আচ্ছা আমি ধরলে কেউ দেখবে আর ওই মেয়ে দেখলে কেউ কিছু বলবে না।

– মানে! কি বলছো তুমি?

– আপনার মানে টানে রাখুন। আগে আমাকে বলুন, মেয়েটাকে মানা করলেন না কেন আপনি!

– করবার সুযোগ তুমি কোথায় দিলে, আর মেয়েটাকে মানা করতে বলছো তার আগে তো তুমি নিজেই করছো।

– আমি করবো আমার অধিকার আছে, ওই মেয়ে কেন করবে।

অভ্র এতোক্ষণে সব বুঝতে পারল, অতঃপর আনহার হাত ছেড়ে চেয়ারে বসে বলল..
– আমি সেই অধিকার কাউকে দিই নি আনহা, আর আমার কাছে এইসব কিছুর আসা করো না। মাথা থেকে ঝেরে ফেলো এইসব। হুমম!

আনহা রেগে গিয়ে অভ্র সামনে দাঁড়িয়ে বলল..
– কেন ঝাড়ব, আমি ভালোবাসি আপনাকে!

অভ্র খানিকক্ষণ আনহা’র দিকে তাকিয়ে বলল..
– বেসে লাভ নেই, সবাই সবকিছু পায় না।

– কেন? আমি তো সেদিন বলেছিলেন আমি নাকি দেখতে সুন্দরী,‌ভালো তাহলে। যে আমাকে পাবে সে ভাগ্যবান তাহলে! সেই মানুষটি আপনি কেন হবেন না।

– সবকিছুর কারন জানতে চেয়ো না। যাও এখন!

আনহা’র চোখে পানি এসে গেল। সে কোনোমতে চোখের জল মুছে বলল..
– যাচ্ছি!
বলেই আনহা বেরিয়ে গেলো। এদিকে অভ্র আবারও তার কাজে মন দিলো। তাদের মাঝে আর কথা হলো না সেদিন। এমনকি অভ্র আর একবার ডাকলো না আনহা’কে।
এদিকে মেহেরিন বেশ খুশি, কারন সে জানতে পেরেছে ‌আনহা অভ্র কে ভালোবাসে। এখন শুধু তার মিষ্টি ভাবী করে আনার প্ল্যান করতে হবে তাকে। জানে অভ্র কখনো বিয়ে করতে রাজি হবে না।

দেখতে দেখতে আজ প্রায় ১ সপ্তাহ, আনহা অভ্র’র সাথে প্রয়োজন ছাড়া কথা বলে না। অভ্র’র এই ব্যাপারটা অনেক খারাপ লাগে তবুও কিছু বলে না। হঠাৎ করেই আনহা অভ্র’র রুমে আসল এক প্যাকেট মিষ্টি নিয়ে। অভ্র’র সামনে একটা কার্ড ও রাখল। অভ্র সেই কার্ড হাতে নিয়ে বলল..
– কিসের কার্ড!

– আমার বিয়ের!
অভ্র কার্ড’টা আর খুলল না। মৃদু হাসি দিয়ে বলল..
– ওহ তো কবে?

– লেখা আছে ওখানে দেখে নিয়েন। আর হ্যাঁ এই যে মিষ্টি এনেছি আপনার জন্য। আমার বিয়েতে অবশ্যই আসবেন আর আদুরী কে সাথে আনবেন।

অভ্র মুচকি হেসে বলে…
– হুম আসবো!

আনহা বলে উঠে…
– সত্যি আসবেন তো।

– হ্যাঁ কেন আসবো না। আমি যাবো!

– আমি অপেক্ষায় থাকবো!

অভ্র হেসে বলে..
– কনগ্রেচুলেশন!

– ধন্যবাদ স্যার।
বলেই আনহা বেরিয়ে যায়। এদিকে অভ্র কেমন জানি অস্থির হয়ে যায়। টাই টা লুজ করে চোখ বন্ধ করে ‌চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে। কিছুক্ষণ পর উঠে বেরিয়ে যায় অফিস থেকে, সোজা বাসায় আসে।
বাসায় এসে দেখে মেহেরিন , ইহান ওরা সবাই ডান্স প্র্যাকটিস করছে। মেহেরিন অভ্র কে দেখে ওর কাছে দৌড়ে আসে আর অবাকও হয় কারন অভ্র এই সময়ে বাসায়! মেহেরিন জিজ্ঞেস করে..
– ভাইয়া ঠিক আছো তুমি!

মেহেরিন’র কপালে চুমু খেয়ে..
– হুম ঠিক আছি!

– তাহলে এই সময়ে বাসায় এলে যে।

– এমনে ভালো লাগছিলো না তাই! খেয়েছো!

– হামম হামম!

– নিহা, নীল, নিশি কোথায়?

– দি আর ভাইয়া ভার্সিটিতে গেলে আর আপু মেডিকেল কলেজে!

– ওহ্ আচ্ছা!

এমন সময় ডেভিল এসে উপস্থিত হয়। মেহেরিন আবারও চলে যায় ডান্স প্র্যাকটিস করতে। অভ্র ডেভিল কে জিজ্ঞেস করে..
– কিছু হয়েছে?

– সেদিন মেহেরিন এর উপর হামলাকারীদের খোঁজ পেয়েছি!

– কারা তারা?

– স্যার তারা সব ইন্টারন্যাশনাল সিরিয়াল কিলার ছিলো!

– ওয়াট! কি বললে?

– হুম স্যার প্রথমে শুনে আমিও খানিকটা অবাক হয়, সিরিয়াল কিলার!

– এতো বড় শত্রু কে আমাদের?

– স্যার খোঁজ চলছে তবে এখনো জানা জায়নি!

– বের করো খুব জলদি! আর হ্যাঁ মেহেরিন যেনো কোনোমতে এসব জানতে না পারে।

– জ্বি স্যার!
.
এদিকে সেই অজানা লোকগুলো..
– কাদের পাঠালে তুমি? ওরা তো আদুরীর কিছু্ই করতে পারলো না!

– সেটা আমিও ভাবছি! তবে..

– তবে আমার কি?

– তাদের ব্যাপারে ডেভিল জানতে পেরেগেছে!

– এটাই বাকি ছিল! তারা এখন কোথায়?

– আমি তাদের আবারও ব্যাংকক এ ফিরিয়ে এনেছি!

– এসব হবে না, কিছু হবে না এদের দ্বারা! আমাকেই কিছু করতে হবে।

– কিহহ তুমি যাবে।

– হ্যাঁ আমি যাবো!

– পাগল হয়ে গেলে নাকি? তুমি এখনো প্রস্তুত নও।

– যাই হোক না কেন আমি যাবো।

– পাগল হয়ো না এটা আর না মেহেরিন বর্ষা খান, অধরা খানের মেয়ে! তুমি ওর সাথে এখন পেরে উঠবে না।

– বুদ্ধি! বুদ্ধিতে আমি পারবো!

– আমার কথা শোন!

– না আমি আর শুনছি না। অনেক হয়েছে? আমি নিজেই এবার যাবো।
বলেই উঠে চলে গেলো সে!

– ও নিশ্চিত কিছু একটা করবে। প্রতিশোধের নেশায় পাগল হয়ে গেছে।‌ তবে এটা ওর জন্য যেমন ভয়ানক তেমনি মেহেরিন’র জন্য ও। জানি না কি করবে…
.
নিহা ভার্সিটিতে যাচ্ছে, পড়নে একটা সাদা হুডি, হুডি’র টুপি দিয়ে মাথা ঢাকা, চোখে সানগ্লাস ! ফোন টিপতে টিপতে যাচ্ছে! হঠাৎ’ই খেয়াল করলো পাশে কয়েকটা ছেলে একটা মেয়েকে টিজ করছে। নিহা ব্যাক নিয়ে টুপি টা সরিয়ে সানগ্লাস খুলে ছেলে গুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে। ছেলেগুলো প্রথমে নিহা কে খেয়াল না করলেও একসময়ে চোখে পড়ে। অতঃপর তারা মেয়েটাকে ছেড়ে দেয়। মেয়েটা কৃতজ্ঞ ভরা চোখে নিহা কে তাকিয়ে দেখে চলে যায়! তবুও নিহা তাকিয়ে থাকে ওই ছেলেগুলোর দিকে। ছেলে গুলো আড় চোখে নিহা’র তাকিয়ে থাকা দেখছে। নিহা’র চাহনি তে তাদের অস্বস্তি বোধ হচ্ছে।‌ অতঃপর তারা চলে যায় সেই স্থান থেকে। নিহা অবশ্য এটাই চেয়েছিল।

চোখে সানগ্লাস দিয়ে আবারও হাঁটতে শুরু করে সে। হঠাৎ করেই কেউ ডাকছে বলে মনে হয় তার কাছে।‌ কিন্তু নিহা পিছনে না তাকিয়ে সামনে চলে হাঁটতে লাগল।
কিন্তু সে ডেকেই যাচ্ছে…

– এই ম্যাম, মিস নিহা, নিহারিকা নিহা! আপনাকে ডাকছি। এই যে…

নিহা শুনেও না শোনার ভাব করে চলে যেতে লাগে। হুট করেই একটা ডাক শুনে ধমকে যায় নিহা। সানগ্লাস খুলে পিছনে ঘুরে তাকিয়ে দেখে একটা ছেলে বাইক চালিয়ে তার সামনে আসছে। হেলমেট পড়া, তবুও তার চোখ দুটি দেখতে পাচ্ছে সে। ছেলেটি আবারও বলে উঠে..

– এই যে মিস ভূতনি!

নিহা ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে ছেলেটার দিকে!

#চলবে….

#Game
#মিমি_মুসকান ( লেখনিতে )
#পর্ব_১০ [ বর্ধিতাংশ ]

– এই কথা যে মিস ভূতনি!

নিহা ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে ছেলেটার দিকে! ছেলেটি নিহা’র সামনে এসে বাইক থামিয়ে হেলমেটটা খুলল। নিহা হা হয়ে তাকিয়ে আছে। ছেলেটি দেখতে খুব সুন্দর, হুট করেই ছেলেটা হেসে বলল..

– ভূতনি এমন ভাবে কি দেখছেন ঘাড় মটকাবেন নাকি!

ছেলেটার কথায় নিহা’র হুশ ফিরে। অতঃপর রেগে বলে..
– আপনি আমাকে ভূতনি বললেন!

ছেলেটি নিহা’র গাল ধরে একবার এদিক ঘুরায় আবার ওদিক ঘুরায়। নিহা অবাক হয়ে যায়। অতঃপর ছেলেটা বলে উঠে..
– আপনার আশেপাশে কেউ তো নেই মনে হচ্ছে তাহলে নিশ্চয়ই আপনাকে ডেকেছি আমি।

নিহা রেগে ছেলেটার হাত গাল থেকে সরিয়ে বলে..
– সাহস কিভাবে হয় আমার গালে হাত রাখার!

গার্ড আসতে গেলে নিহা হাতের ইশারায় তাদের থামিয়ে দেয়!

– যেভাবে সাহস করে আপনার সামনে দাঁড়িয়ে আছি।

– আপনি জানেন আমি কে?

– সবাই জানে আমি কেন জানবো না। Whatever আমি আহিয়ান চৌধুরী! nam toh Sona hoga!

– জ্বি না। প্রথম বার শুনলাম!

আহিয়ান হেসে বলল…
– সমস্যা নেই এখন রোজ শুনবেন আমি শুনবো, ভূতনি!

– এই ভূতনি ডাকা বন্ধ করুন তো! আমার নাম আছে নিহারিকা নিহা খান বুঝলেন।

– কই আমি তো এতোবার ডাকালাম সারা দেও নি কেন?

– কেন দেবো! চিনি আপনাকে আমি?

– চেনার জন্য’ই ডাকলাম আপনাকে!

– কিন্তু আপনাকে চেনার কোনো ইচ্ছা নেই আমার।

– কিন্তু আমার অনেক ইচ্ছে আছে আপনাকে জানার,‌চেনার!

– সামনে থেকে সরুন যেতে দিন!

– আচ্ছা একটু কথা বলি না!

– না আমার অনেক কাজ আছে।

– তাহলে ফোন নম্বর টা দিন, ফ্রি হলে আমি কল করবো!

নিহা তাকিয়ে বাঁকা হেসে বলল..
– ফ্লাট করছেন!

– আরে না ইমপ্রেস করার চেষ্টা করছি! হও নি!

– না পারলেন না!

আহিয়ান চোখ টিপে বলল…
– সমস্যা নেই কবি বলেছেন একবার না পারিলে দেখো শতবার তবে আমি হাজার বার চেষ্টা করতে রাজী আছি!

– আশা করি আজকের পর আপনার সাথে আর দেখা হবে না।

– কি বলা যায় বলো, যদি আমার ভাগ্য তোমার সাথে থাকে তো…

– তো টা তো.. ‘ই হয়ে থাকবে। এর পর আর কোনো কিছু হবে না।

– আমার মনে হচ্ছে হবে, কারন..

– কারন?

– আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে এতোক্ষণে তোমার গার্ড এসে তাকে বেধোরে মারত কিন্তু তুমি তো তোমার গার্ড’দের আমার কাছে আসার আগেই থামিয়ে দিলে!

নিহা বাঁকা হেসে বলে..
– প্রথমবার তো সবাই ভুল করে, আপনার থেকেও আমি সেটাই ভেবেছিলাম। তাই! দেখা যাক সামনে কি হয়!
বলেই পাশ কাটিয়ে চলে গেলো নিহা। আহিয়ান তার চলার পানে তাকিয়ে কিঞ্চিত হাসল!
.
রাতে খাবার টেবিলে…

মেহেরিন বলে উঠে..
– দা প্রতিদিন অফিস থেকে আমার জন্য রান্না করতে তোমার খুব কষ্ট হয় নাহ!

অভ্র মেহেরিন’র দিকে তাকিয়ে আছে। কারন নিশ্চিত কোনো মতলব আছে নাহলে এরকম কথা। তবুও অভ্র শান্ত গলায় বলে..
– না হয় না!

– তুমি বরং একটা কাজ করো নিহা দি আর নিশি আপু কে রান্না করা শিখিয়ে দাও!

মেহেরিন কথায় নিহা আর নিশি’র বিষম লেগে যায়। কাশতে শুরু করে, অভ্র উঠে দুজনকে পানি খাওয়ায়। নিহা বলে উঠে…
– তোর মতলব টা কি বল তো!

– আমি বিয়ের দাওয়াত খেতে চাই!

অভ্র জানতো মেহেরিন এটাই বলবে। তাই কিছু না বলে চুপচাপ খেতে লাগল। সবাই চুপ কেউই কিছু বলছে না। মেহেরিন চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে ডাকতে লাগল…
– ডেভিল ডেভিল!

ডেভিল দৌড়ে এসে হাজির হলো। বলল…
– জ্বি ম্যাম!

– তোমার বিয়ে হয়েছে?

ডেভিল ভড়কে গেলো কথাটা শুনে। অবাক হয়ে বলল..
– জ্বি ম্যাম!

মেহেরিন বলে উঠে..
– তো কি? আবার বিয়ে করবে। পারবে না! তোমার বিয়েতে আমি অনেক নাচবো জানো!

এবার অভ্র কাশতে শুরু করে।‌ মেহেরিন উঠে তাকে পানি দেয়। ডেভিল শুকনো ঢোক গিলে। মেহেরিন মনে হচ্ছে এবার তার সংসার ভেঙে’ই ছাড়বে! অভ্র বলে উঠে..
– ডেভিল তুমি যাও তো এখান থেকে, আদুরীর কথা শুনতে হবে না ‌

মেহেরিন বলে উঠে..
– কিন্তু…
এর আগেই অভ্র তাকে চুপ করিয়ে পাঠিয়ে দেয়। ডেভিল আবার ফিরে আসে বলে..
– স্যার ফোন করেছে!

মেহেরিন হেসে বলে উঠে..
– বাপি! দাও দাও আমাকে দাও!

– হেলো বাপি, কেমন আছো?

– এইতো ভালো প্রিন্সেস তুমি!

– ভালো না

– কেন?

– জানে বাপি আমি একটা বিয়ে খেতে চাইছি কিন্তু দা আমাকে খেতে দিচ্ছে না!

– কার বিয়ে খাবে?

– ভেবেছিলাম ডেভিলের!
মেহেরিন’র কথা শুনে ডেভিল কথা শুনে ঘামতে শুরু করে। শুভ্র বলে উঠে…
– কিন্তু ডেভিল তো বিবাহিত!

– তো কি আবার বিয়ে করবে!

শুভ্র হেসে বলে..
– আসল কাহিনী কি মামনি!

মেহেরিন অভ্র’র দিকে তাকিয়ে আড়চোখে বলে..
– আমার একটা ভাবী চাই!

– ওহ আচ্ছা এই কথা!

– কিন্তু কেউ তো রাজী’ই হচ্ছে না।

– তুমি আগে মেয়ে ঠিক করো। আমি রাজী করছি।

মেহেরিন মুখ কোমল করে বলে উঠে..
– মেয়ে তো নেই বাপি!

অভ্র মেহেরিন’র‌ কথা শুনে বুঝে সে আনহা’র‌ কথাটা জানে। অতঃপর মেহেরিন’র কাছে বসে বলে..
– দেখলে তোমার কপালে ভাবী নেই!

মেহেরিন রেগে অভ্র’র দিকে তাকায়। শুভ্র হেসে বলে..
– আচ্ছা আমি তোমার ভাবী খোঁজার দায়িত্ব নিহা কে দিচ্ছি! নিহা খুঁজে বের করবে।

নিহা বলে উঠে..
– আমি পছন্দ করলেই কি তোমার ছেলে রাজী হবে।

অভ্র উঠে বলে..
– তোরা যে মেয়েকে পছন্দ করবি আমি তাকেই বিয়ে করবো।
বলেই সে ঘরে চলে যায়। এদিকে মেহেরিন আর নিহা একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকে!
.
পরদিন অফিসে..
আনহা এসে ছুটি নিয়ে যায় কিছুদিনের জন্য। বিয়ের প্রস্তুতি নেবে বলে। অভ্র হেসে বলে..
– তা বিয়ের পরে কি জব টা করবে!

– হুম করবো।

– তোমার হাসবেন্ড এলাও করবে!

– অবশ্যই করবে। এটা নিয়ে আগেই কথা হয়ে গেছে।

– ওহ আচ্ছা। ভালো!

– হুম আমার বর খুব ভালো, খুব মিষ্টি, খুব কিউট, খুব সুইট!

– ওরে বাবা এটাতো দেখি মিষ্টির দোকান!

– হ্যাঁ বলতে পারেন।

– যাক আবারও শুভকামনা রইল তোমার আর তোমার মিষ্টির দোকান বরের জন্য!

– ধন্যবাদ! তা আপনি বিয়ে করবেন না।

– জানি না!

– ওহ হ্যাঁ আপনি তো বিয়ে করতেই পারবেন না।

অভ্র হেসে বলে..
– তোমার কাজ শেষ হলে যেতে পারো।

– চলেই তো যাচ্ছি একবারের জন্য!

বলেই বের হয়ে আনহা। খুব কষ্ট হচ্ছে তার, কিভাবে করবে সে বিয়ে। ভালো তো বাসে অভ্র কে। কিন্তু সেদিন অভ্র না বলার কারনে এই সিদ্ধান্ত নেয় সে। ছেলেকে দেখা তো দূর তার নামও জানে না সে। রাগে সেদিন বাড়িতে গিয়ে জানে বাবা তার জন্য এক ছেলেকে পছন্দ করেছে। তারাও তার ছবি দেখে তাকে পছন্দ করেছে বিয়ে করতে চায়। আনহা রেগে তখনই হ্যাঁ বলে দেয়। তার কিছুদিন পরই বিয়ের ডেট ঠিক হয়ে যায়। সে ভেবেছিল একবার না করবে কিন্তু সেদিন বিয়ের কার্ড নেওয়ার পরও অভ্র যখন কিছু না বলে তখন আনহা আর মত পাল্টায় না। রাগের কারনে বিয়ের কার্ড’টাও দেখে না সে। তবে এই বিয়ে সে করবে না ব্যস!
কিন্তু সে ভেবেছিল হয়তো অভ্র তার বিয়ের কথা শোনার পর রিয়েক্ট করবে, বিয়ে করতে না বলবে তবে অভ্র কিছুই বলে নি। বরং তাকে শুভকামনা জানালো! যা তার মন কে ভেঙে ফেলেছে। চোখ থেকে দু’ফোটা জল গড়িয়ে পরল। ভাবতেও অবাক লাগে এতো কম সময়ে তাকে ভালোবেসে ফেলল সে। তবু সে বুঝলো না।‌এতো ভালো কি করে বাসলো সে। আরো একবার আসবে অভ্র’র কাছে। শেষবারের মতো বলবে “তাকে সে ভালোবাসে”!
“আমি আপনাকে ভালোবাসি অভ্র” বলবে!

#চলবে….