Game Part-20

0
534

#Game
#মিমি_মুসকান ( লেখনিতে )
#পর্ব_২০

অভ্র আর আনহা ১ সপ্তাহ পর ফিরে এলো। মেহেরিন বাকি সবাই অভ্র আর আনহা কে দেখে খুব খুশি হয়!
মেহেরিন কে পরেদিন থেকে আবার কলেজে পাঠানো হয়। সবকিছু মোটামুটি ঠিকঠাকই চলে। এভাবে কেটে যায় ৩ মাস। এই ৩ মাসে নিশান নিশি’র সাথে বন্ধুত্ব করতে সক্ষম হয়। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অবশেষে বন্ধুত্ব হয় তাদের। এদিকে নিহা আর আহিয়ান ভালোবাসা আরো বেড়ে যায় তবে নিহা এখনো বাড়ির কাউকে আহিয়ান’র সম্পর্কে এখনো কিছু বলে নি তাহলে।

নীল আর নীলাশা’র ঝগড়া আরো বাড়তে থাকে। সেদিন তো নীলাশা রেগে নীলের মুখে পানি ছুড়ে মারে। নীল রেগে তখন ভার্সিটি থেকে বের হয়ে যায়। অতঃপর নীলাশা ভার্সিটি থেকে বের হলে নীল নীলাশা’র পাশ দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাবার সময় ইচ্ছে করে নীলাশা’র দিকে কাঁদা ছুঁড়ে মারে। নীলাশা রাগে গজগজ করতে থাকে আর নীল নীলাশা’কে দেখে হাসতে হাসতে চলে যায়।
সবার এমন খুঁটিনাটি ভালোবাসার মাঝে অভ্র আর আনহা’র সম্পর্কও ভালোভাবে যেতে থাকে।
.
আজকে সকাল থেকেই আনহা’র শরীর টা ভালো না। আজ অফ ডে বলে তারা দুজনেই বাসায়। আনহা’র শরীর তেমন ভালো লাগছিলো না বলে রান্না ঘরে এসে একটু কাজ করতে লাগলো। ভাবল হয়তো ভালো লাগবে। তখন নীলও আসে রান্না ঘরে।‌ আনহা নীল কে দেখে হেসে বলে..

– দেবরজী যে কিছু লাগবে!

– হুম মিষ্টি ভাবী, একটু কফি খাবো।

– তুমি বসো আমি বানিয়ে দিচ্ছি।

– মিষ্টি ভাবী আমি বানিয়ে নিতে পারবো!

– আরে তুমি বসো না আমি আনছি।

– আচ্ছা!

অতঃপর নীল এসে সোফায় বসে টিভি দেখতে থাকে। আনহা কফি বানিয়ে নিয়ে আসলে নীল মুচকি হেসে ‌আনহা’র হাত থেকে কফি নিতে যায় তখন হুট করেই আনহা’র মাথা ঘুরে যায়। নীল তাড়াতাড়ি করে আনহা ধরে বসিয়ে অভ্র আর নিহা কে ডাকতে থাকে। অভ্র আর নিহা সাথে বাকি সবাই দৌড়ে আসে। আনহা’র এমন অবস্থা শুনে অভ্র ডেভিল কে বলে ডাক্তার ডাকতে।

ডাক্তার এসে আনহা কে চেকআপ করে জানায় আনহা প্রেগন্যান্ট! পুরো খান বাড়িতে উৎসব লেগে যায়। সবচেয়ে বেশি খুশি তো মেহেরিন! ওর যেনো একটা সঙ্গি আসতে চলেছে। অভ্র পরদিন থেকেই আনহা’র অফিস যাওয়া বন্ধ করে। তাকে সবসময় বাড়িতেই থাকতে বলে। নিহা, নীল, রোদ্দুর, ইহান সবাই অনেক খুশি। প্রায় অনেক দিন পর খান বাড়িতে এরকম একটা খুশির এলো।
তবে এই হাসি খুশি মুখ বেশি দিন থাকলো না। তখন আনহা’র ৩ মাস চলে। এই কয়দিন ধরেই বাগানে ফুল গাছের পরিচর্যা করছে সে। অভ্র এখন আনহা কে অনেক সময় দিচ্ছে। সবকিছুই ঠিকঠাক ছিলো কিন্তু নিহা’র মন আজকাল বেশি ভালো থাকে না কারন আজ কয়েকদিন ধরেই আহিয়ান তাকে ইগনোর করছে। সময় দিচ্ছে না তাকে। সারাদিনে একবারও ফোন দেয় তাকে। নিহা আহিয়ান’র এমন আচরণ সহ্য করতে পারছে না। হঠাৎ একদিন আহিয়ান ফোন করলো। নিহা খুশিতে আত্নহারা হয়ে গেল। দেরি করা করে তাড়াতাড়ি করে ফোন তুলল নিহা!

– হ্যালো আহিয়ান!

– কেমন আছো ভূতনি!

– আলহামদুলিল্লাহ! তবে আপনার জন্য মন খারাপ লাগছিলো।

– কেন?

– আপনি তো আমার কোনো খোঁজ খবর’ই নেন না ইদানিং!

– আসলে একটা কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম।

– সেটা কি আমার থেকেও ইম্পর্ট্যান্টে!

– না ভূতনি তোমার থেকে ইম্পর্ট্যান্টে আর কিছু না। আচ্ছা শোন কাল তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।

– সত্যি!

– হুম কাল সন্ধ্যায় ‌তুমি আমার বাসায় আসবে।

– আপনার বাসায় কেন?

– এলেই দেখতে পাবে। তবে এসো কিন্তু!

– হুম আসবো।

– অপেক্ষায় থাকবো!

নিহা মুখের হাসি রেখা বেড়ে গেলো। সে ভাবল কালকেই আহিয়ান কে সে ভালোবাসি বলবে। এখনো এই কথা বলেনি সে আহিয়ান কে। কাল’ই বলে দেবে।
.
সন্ধ্যায় নিহা একটা পিংক কালারের টপস্ আর জিন্স পড়ে তৈরি হলো আহিয়ান’র বাসায় যাবার জন্য! মুখের কোথাও সাজগোজের একটু ছোঁয়া নেই তার। চুল গুলো মাঝে সিঁথি করে নিল। ব্যস এতেই অনেক সুন্দর লাগছে তাকে। নিহা গাড়ি নিয়ে ধামল আহিয়ান’র বাসার সামনে। দেখল পুরো বাড়ি সাজানো! নিহা ভাবল হয়তো বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান আছে কিন্তু আহিয়ান তাকে এইসময় কেন ডাকলো বাড়িতে। নিহা কিছুই বুঝতে পারলো না। সে বাড়িতে প্রবেশ করল।

বাড়িতে প্রবেশ করে দেখল বাড়ির ভেতর দিকটাও অনেক সুন্দর করে সাজানো।নিহা’র চোখে আহিয়ান কে পড়ল। কালো স্যুট পড়ে দাঁড়িয়ে ছিল একপাশে। নিহা আহিয়ান কে ডাক দিলো। আহিয়ান নিহা কে দেখে তার কাছে আসল।‌ নিহা বলল..

– বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান আছে আহিয়ান!

– হুম দেখতেই তো পারছো।

– তাহলে তুমি আজ কেন ডাকলে আমায়।আর কিসের অনুষ্ঠান এখানে!

– আসলে নিহা…

নিহা’র অনেকটা অবাক লাগলো কারন আহিয়ান কখনো ওর নাম ধরে ডাকে না।‌আহিয়ান এবার বলতে যাবে তখন একটা মেয়ে ডাক দিলো…

– আহি বেবী!

নিহা অবাক হয়ে আহিয়ান’র দিকে তাকাল। অতঃপর মেয়েটার দিকে তাকাল একটা কালো রঙের গ্রাউন পড়া মেয়েটা! আহিয়ান মুচকি হেসে বলল..

– ইয়াপ বেবী!
বলেই মেয়েটার হাত ধরে নিহা’র সামনে আনলো। নিহা মুখে হাসি নিয়েই আহিয়ান কে জিজ্ঞেস করল..

– এ কে আহিয়ান?

মেয়েটা বলে উঠলো..
– আহি বেবী এনি কে?

আহিয়ান হেসে বলল..
– নিহা মিট নিতি মাই ফিয়ান্সে! উড বি ওয়াফ ও বলতে পারো।

আহিয়ান’র কথা শুনে নিহা’র পায়ের থেকে মাটি সরে গেল। সে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আহিয়ান’র দিকে। নিহা কাঁপা কাঁপা গলায় বলে…
– তোমার ফিয়ান্সে!

– হুম আমার ফিয়ান্সে। ইনফেক্ট আজ আমাদের এনগেজমেন্ট!

নিহা আহিয়ান’র দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলো। আহিয়ান নিতি কে বললো!

– বেবী মিট মাই ফ্রেন্ড নিহা!

নিতি বলে উঠে..
– হ্যালো! আমি নিতি! আহি’র ফিয়ান্সে , আজ ফাইনালি এনগেজমেন্ট! জানো গত ১ বছর ধরে শুধু এই দিনটার অপেক্ষা করছিলাম। ছোট থেকেই ভালোবাসতাম ওকে। বিশ্বাস’ই হচ্ছে না এতোদিন পর আমার ভালোবাসা পূর্ণতা পাবে!

– ইয়াপ বেবী! নিহা কনগ্রেচুলেশন করবে না!

নিহা হাত বাড়িয়ে নিতি কে কনগ্রেচুলেশন করে। নিতি বলে উঠে..
– তোমাকে না চেনা চেনা লাগছে। আচ্ছা তোমার পুরো নাম কি?

– নিহারিকা নিহা খান!

– ও মাই গুডনেস! নিহা খান তুমি, মানে অধরা খানের মেয়ে!

– হুম!

– জানো তোমাকে দেখার কোনো ইচ্ছে ছিল আমার। অবশেষে দেখা হলো তোমার সাথে। একটা সেলফি প্লিজ।

– হুম কেন না।

অতঃপর নিতি নিহা’র সাথে সেলফি তুলল। নিতি বলে..

– তুমি না অনেক সুন্দর!

– ধন্যবাদ, তুমিও অনেক সুন্দর!

আহিয়ান বলে..
– বেবী মা ডাকছে তোমাকে!

– আচ্ছা আমি আসছি!
বলেই চলে গেলো নিতি। আহি আর নিহা এখন মুখোমুখি! নিহা আহিয়ানের দিকে তাকিয়ে বলল…

– এজন্য আসতে বলেছিলেন আমায়!

– হুম সারপ্রাইজ! কেন ভালো লাগেনি।

– কেন করলেন এসব!

– জানতে চাও!
নিহা কৌতুহল বসত আহিয়ানের দিকে তাকাল।‌ আহিয়ান মুখ একটা ছবির দিকে ঘুরাল। নিহা ও তাকাল ছবিটার দিকে। ছবিতে আহিয়ান আর একটা ছেলে। নিহা‌ চরম অবাক হলো ছবি টা দেখে। সে বলে ওঠে…

– আহনাফ!

– অবশেষে চিনতে পারলে।

– আহনাফ আপনার সাথে!

– আহনাফ চৌধুরী! আমার ছোট ভাই! আহিয়ান চৌধুরীর ছোট ভাই আহনাফ চৌধুরী!

নিহা আহিয়ানের দিকে তাকিয়ে আছে। আহিয়ান একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে হেসে বলল..

– চিনতে পারছো আমার ভাইকে।‌ আজ থেকে ১ বছর তোমার জন্য মারা গিয়েছিল সে।

– আহিয়ান ও তো সুইসাইড করেছে।

– কার জন্য করেছে বলো কার জন্যে! তোমার জন্যে। তুমি মেরেছো আমাকে ভাইকে।

– আহিয়ান!

– তোমার জন্য মারা গেছে আমার ভাই শুধু মাত্র তোমার জন্য। আমার ভাইয়ের মৃত্যুর আগে চিঠি পড়েছিলাম আমি। সেখানে শুধু তোমার নাম লেখা ছিল। নিহারিকা নিহা খান!

– আপনার ভাই সুইসাইড করেছে আহিয়ান। এতে আমার দোষ কোথায়? আমি তো মারে নি তাকে।

– তোমার জন্য তো মরেছে। কি বলেছিলো আমার ভাই তোমায়। সে তোমাকে ভালোবাসে শুধু এটাই তো। আর তুমি…
আহিয়ান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে..
– তোমার জন্য তার ভালোবাসার কোনো মূল্যে ছিল না।‌ আমার একমাত্র ছোট আদরের ভাই ছিল ও। আমি জানতাম তোমার নামে কেস করে লাভ হবে না কারন তুমি নিহা খান! তাই তোমার সাথেও তাই করলাম যা তুমি আমার ভাইয়ের সাথে করলে। এখন তিলে তিলে শেষ হবে তুমি। যা কষ্ট আমার ভাই পেয়েছে সেটা তুমি ও পাবে।

নিহা একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আহিয়ানের দিকে। অতঃপর একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল..

– শোধ নিচ্ছেন তাহলে!

– হ্যাঁ বলতে পারো!

নিহা হেসে বলে…
– আপনি ভাবতেও পারছেন না আহিয়ান এর ফল কি হবে!

– তুমি বুঝতে পারছো না এরপর কি হবে!
বলেই নিহা’র‌ হাতে একটা কার্ড দিলো।‌বলল..

– ১০ দিন বিয়ে এসো কিন্তু!

– অবশ্যই আসবো। আপনার প্রতিশোধের ঋণ বাকি এখনো। দেখবেন এরপর আমি কি করি।

– অপেক্ষায় থাকবো দেখার জন্য। আচ্ছা এখন এনগেজমেন্ট হবে। তোমার জন্য’ই ওয়েট করছিলাম। তুমি যখন এসেছো তাহলে এনগেজমেন্ট টা করেই ফেলি।
বলেই আহিয়ান চলে যেতে নিলো। নিহা পেছন থেকে বলল..

– বেস্ট অফ লাক আহিয়ান। আশা করি আপনার আর আপনার নিতি বেবী’র বৈবাহিক জীবন সুখের হোক।

আহিয়ান পিছনে ফিরে মুচকি হেসে বলল…
– ধন্যবাদ!
অতঃপর আহিয়ান আর নিতি আন্টি বদল করল।‌আহিয়ান নিহা কে দেখিয়ে দেখিয়ে ‌নিতি’র হাতে কিস করল। সবাই হাততালি দিল। নিহা মুচকি হেসে বের হয়ে গেল।‌গাড়ি’র‌ কাছে এসে সজোরে একটা লাথি মারল গাড়িতে। রাগে তার পুরো শরীর কাঁপছে, রাগে গজগজ করতে করতে বাসায় আসল নিহা। বাড়িতে এসেই ‌সোজা নিজের রুমে ঢুকে গেল নিহা। মেহেরিন ওরা সবাই বসার ঘরে ছিল। মেহেরিন অনেকটা অবাক হলো কারন আজ পর্যন্ত এমন হয় নি। নিহা আর বাড়ির যেই হোক বাড়িতে এসে সবার আগে মেহেরিন’কেই ডাকে। এমন কোনো দিন নেই যে নিহা বাড়িতে এসে মেহেরিন’র কপালে চুমু না খেয়ে ঘরে যায় নি।

মেহেরিন বসা থেকে উঠে দাঁড়াল, নিহা’র ঘর থেকে জিনিসপত্র ভাঙচুর করার শব্দ আসছে। সবাই দৌড়ে নিহা’র ঘরের দিকে গেল। মেহেরিন দরজার সামনে দাঁড়ানো। নিহা পেছনে ঘুরে আছে। ভাঙ্গা জিনিসপত্র ঘরের চারদিকে পড়ে আছে। মেহেরিন পেছন থেকে বলে উঠে…

– দি!

মেহেরিন’র কথা শুনে নিহা রাগ কমানোর চেষ্টা করে। অতঃপর সামনে ঘুরে হেসে বলে..

– আদুরী!

ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে…
– কি হয়েছে দি!

– সাবধানে কাঁচ আছে।

নিহা’র দিকে তাকিয়ে…
– তোমার কি হয়েছে?

– কি..ছু কিছু না!

মেহেরিন পিছনে তাকাল। সবাই চলে গেলো, মেহেরিন নিহা’র গালে হাত রেখে বললো…
– কি হয়েছে?

নিহা মেহেরিন’র হাত ধরে চুমু খেয়ে তাকিয়ে আছে মেহেরিন’র দিকে। মেহেরিন খেয়াল করলো নিহা’র চোখের কোনে পানি জমছে। সে দেরি না নিহা’র হাতে একটা ইনজেকশন পুশ করল। নিহা সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে বিছানায় লুটিয়ে পড়ল। মেহেরিন নিহা’র দিকে তাকিয়ে বলল…

– খান বাড়ির কারো কাঁদার অনুমতি নেই!

বলেই বেরিয়ে আসল। সবাই ঘরের মধ্যে ঢুকে নিহা কে দেখতে লাগলো। মেহেরিন নিজের রুমে বসে ভাবছে কি এমন হয়েছে দি এর সাথে। কার জন্য কাঁদতে যাচ্ছিল দি। হঠাৎ কেউ দরজা নক করে। মেহেরিন তাকিয়ে দেখে ডেভিল!

– ডেভিল আসো!

– ডেকেছিলেন আমায়!

মেহেরিন উঠে ডেভিলের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলল..
– আমাকে গত ৬ মাসে দি এর ডিটেল দাও। গত ৬ মাস কার সাথে ছিল দি, কি করছিল, কার সাথে কথা বলছিলো সব।

– ম্যাম!

– ২ ঘন্টা! শুধু ২ ঘন্টা দিলাম তোমায়। সে কে? কোথায় থাকে? কি করে? এভরিথিং, সবকিছু চাই আমার এই ২ ঘন্টায়।

– ওকে ম্যাম!

– নাও গো!

ডেভিল বেরিয়ে যায় রুম থেকে। মেহেরিন ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকে।
.
২ ঘন্টা পর…

মেহেরিন রান্না ঘরে কফি বানাচ্ছিল। তখন ডেভিল এলো…

– ম্যাম!

– নাম কি?

– আহিয়ান চৌধুরী!

– আসল ঘটনা কি?

– ম্যাম ১ বছর আগে তার ছোট ভাই আহনাফ চৌধুরী নিহা ম্যাম এর সুইসাইড করেছিল। আর আহিয়ান তার প্রতিশোধ নিতে ম্যাম কে ধোঁকা দিয়েছে!

মেহেরিন ডেভিলেল দিকে তাকাল। ডেভিল বলল..
– ১০ দিন আহিয়ান চৌধুরীর বিয়ে। আর এই কথা শুনে ম্যাম….

– অফিসিয়াল কোনো সম্পর্ক!

– গত ৬ মাস ধরে উনার বাবা কবীর চৌধুরী আমাদের কোম্পানির সাথে ডিল করতে চাইছে কিন্তু এখন অবদি পারে নি।

– দা কে বলে দাও আমি কাল অফিস যাচ্ছি। আর প্রথম মিটিং টা চৌধুরী’দের সাথেই করবো।

– ওকে ম্যাম। নিহা ম্যাম কেমন আছে?

হুট করেই নিশি এসে বলল দি’র জ্ঞান ফিরেছে। মেহেরিন আসছি বলে দু’কাপ কফি নিয়ে চলে গেলো। যাবার আগে ডেভিল কে বলল..

– দি এখন ঠিক আছে!

মেহেরিন নিহা’র ঘরে গেলো। মেহেরিন কে দেখে সবাই বের হয়ে গেল। মেহেরিন কফি নিয়ে নিহা’র কাছে গেলো।

– দি!

– আদুরী! জান আমার!
বলেই মেহেরিন’র‌ কপালে চুমু খেল।‌ মেহেরিন এক কাপ কফি নিহা’র দিকে এগিয়ে দিলো।

– আমি নিজে বানিয়েছি!

– সত্যি নাকি!

– হুম খেয়ে বলো কেমন হয়েছে?

নিহা এক চুমুক দিয়ে বলল…
– দারুন হয়েছে!

মেহেরিন জবাবে মুচকি হাসল। নিহা কফি টা রেখে মেহেরিন’র কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ল। মেহেরিন নিহা’র মাথায় হাত রেখে বলল…

– এখন কেমন লাগছে!

– হুম ভালো।
বলেই একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। অতঃপর বলল…
– আমি জানি তুই জানিস।

– কি তুমি চাও!

– উনাকে! এনে দিবি।

মেহেরিন নিহা’র কপালে চুমু খেয়ে বলল…
– কথা দিলাম ১০ দিন পর তোমার উনি আমার জিজু হবে। বিয়ের জন্য তৈরি হও তুমি!

নিহা মেহেরিন দিকে ‌একটা স্বস্তির হাসি দিলো!

#চলবে….